ফতুল্লায় নাশকতা মামলায় গ্রেফতার ৬ জনসহ আসামী হলেন যারা!

35

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় বিএনপি নেতাকর্মীদের গোপন বৈঠকে হানা দিয়ে দলটির ছয়জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ওই বৈঠক থেকে পালিয়েগেছে মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক ও নাসিকের ১৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদসহ শতাধিক নেতাকর্মী।

মঙ্গলবার মধ্যরাতে ফতুল্লার কাশিপুর এলাকায় বিএনপি নেতা হারুন অর রশিদের রিকশার গ্যারেজে বসা গোপন বৈঠকে এ অভিযান চালায় পুলিশ। বুধবার সকালে ফতুল্লা মডেল থানার এসআই শাফিউল বাদী হয়ে খোরশেদকে প্রধান আসামি করে ৪০ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ৫০ জনকে আসামি করে মামলা করেছে।

ঘটনাস্থল থেকে গ্রেফতারকৃতরা হলেন- হারুন অর রশিদ, পল্টু, মিলন, শাহিন,লুৎফর রহমান ও নবী হোসেন। পুলিশ ঘটনাস্থল হতে কয়েকটি ককটেল, লাঠিসোটা ও ইটপাটকেল উদ্ধার করে।

ফতুল্লা মডেল থানার ওসি কামাল উদ্দিন জানান, মঙ্গলবার রাতে বিএনপি নেতা হারুন অর রশিদের রিকশার গ্যারেজে বসে খোরশেদের নেতৃত্বে ঢাকা- মুন্সিগঞ্জ সড়ক অবরোধসহ বিভিন্ন স্থানে নাশকতার পরিকল্পনা করা হচ্ছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে পুলিশ গেলে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে এবং ককটেল ফাটিয়ে পালিয়ে যেতে থাকে। পুলিশ ধাওয়া করে ছয়জনকে আটক করে।

তিনি জানান, মামলার পলাতক আসামিরা হলেন- মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ ছাড়াও মাইনুল হোসেন রতন, রশিদুর রহমান রশু, মোখলেছুর রহমান মিয়া,শাহীন আলম, জাহিদ হাসান, এ্যাডঃ আলমগীর হোসেন, খন্দকার মনিরুজ্জামান মনির, জনি, রাশেদুল বসু, নিজাম উদ্দিন, আমানুজ্জামান, মিজান, আমজাদ সিকদার, সৈকত হোসেন ওরফে খোপা ইকবাল, আমিনুল ইসলাম, শাহীন মুন্সি, ডালিম মেম্বার, মমিন, বড় জনি, আসলাম মিয়া, ছাদেক, মজিবুর রহমান, আমজাদ হোসেন সিকদার, রকিব উদ্দিন সুমন, হামিম মিয়া, হাবিবুর রহমান, মাসুদ হাসান সুমন, সেলিম মিয়া, সম নুরুল ইসলাম, রমিজ উদ্দিন রঞ্জু, আসলাম মুন্সি, লিটন, আবু সাইদ মুন্না, মাসুদ রানা, জনিসহ অজ্ঞাত ৫০ জন।