নয়াপল্টনে পুলিশি হামলায় দুই সাংবাদিক আহত

61

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ প্রথম জন কিরণ সেখ। বাংলাদেশ জার্নালের স্টাফ রিপোর্টার। বিএনপি বীটের পরিচিত মুখ। সাংবাদিক পরিচয় দেয়ার পরও আজ নয়াপল্টনে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে তাকে বেধড়ক পিটিয়েছে পুলিশ। আরেকজন কামরুল হাসান। দৈনিক সমকালের স্টাফ রিপোর্টার। তাকেও পুলিশ দীর্ঘক্ষণ আটকে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করে। সাংবাদিক পরিচয় পাওয়ার পরও পুলিশ তাদের নির্যাতন ও অকথ্য ভাষায় গালাগালি করেছেেএমন অভিযোগ আহত দুই সাংবাদিকের। তারা দুজনই ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সদস্য।

শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপির কালো পতাকা প্রদর্শন কর্মসূচিতে এ ঘটনা ঘটে।

সাংবাদিক কিরণ সেখ জানান, বিএনপির কালো পতাকা প্রদর্শন কর্মসূচির সংবাদ সংগ্রহে সকালে নয়াপল্টনে আসি।বিএনপির কার্যালয়ের সামনে আসামাত্রই পল্টন থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) কুবায়েরের নেতৃত্বে কয়েকজন পুলিশ সদস্য আমাকে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে, পরিচয় জানতে চান।তিনি বলেন, আমি পেশাগত পরিচয়পত্র দেখাতেই গালাগাল করতে থাকেন। প্রতিবাদ করলে কিল-ঘুষি ও লাথি মেরে মাটিতে ফেলে দেন। পরে শার্টের কলার ধরে টেনে তুলে আবারও পেটান।কিরণ শেখ আরও বলেন, কেন মারছে, জানতে চাইলে নির্যাতন আরও বেড়ে যায়। গাল ধরে থাপ্পড় মেরে বলা হয়- একদম চুপ কর, কোনো কথা বলবি তো শেষ করে দেব।

’ঘটনার খবর পেয়ে নয়াপল্টন কার্যালয়ের সামনে কর্তব্যরত অন্যান্য গণমাধ্যমকর্মীরা গেলে কিরণ সেখকে ছেড়ে দেয়া হয়।পরে এ বিষয়ে মতিঝিল জোনের সহকারি কমিশনার আরিফুল ইসলাম আরটিভি অনলাইনকে বলেন, এটা অপ্রত্যাশিত। আমরা দুঃখ প্রকাশ করছি। এডিসি স্যারও সরি বলেছেন। এরপরতো আর কিছু বলার থাকে না।

এদিকে পুলিশি হামলায় সাংবাদিক আহতের ঘটনা সাংবাদিক মহলে ছড়িয়ে পরলে সর্বত্র ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। দাবি উঠেছে ঘটনার সাথে জড়িত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধেব্যবস্থা নেয়ার। অপরদিকে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন ও ঢাকা রিপোর্টর্স ইউনিটি এই হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। এছাড়া এই ঘটনায় জড়িত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবিতে রোববার দুপুরে পৃথক পৃথক কর্মসূচি দিয়েছে সংগঠন দু’টি।