আল্লামা আব্বাসী হুজুরের মাহফিলে ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা কন্টাক এবং ব্যক্তিগত বডিগার্ড নিয়ে নিউজের প্রতিবাদ ও দাঁতভাঙ্গা জবাব

521

বিজ্ঞপ্তি:গত রবিবার আল্লামা আব্বাসী হুজুরের নাটোরের মাহফিলকে পুঁজিকরে কিছু হলুদ সাংবাদিক বিভিন্নভাবে ভাতেমরা কয়েকটি অনলাইন পত্রিকায় অপপ্রচারে চালিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আব্বাসী সাইবার টিমের কর্মীদের নিকট প্রশ্ন আসায় তার সঠিক ঘঠনাটি জানানোর লক্ষে কিছু কথা……………….

১.হলুদ গুটিকয়েক সাংবাদিকদের প্রথম মিথ্যাচার ছিল- আল্লামা আব্বাসী হুজুর নাকি নাটোর, সিংড়ার,শালমার দাখিল মাদ্রাসা মাহফিল করার জন্য হেলিকপ্টার ভাড়া ৮০ হাজার এবং ১ ঘন্টা ওয়াজ করার নামে ১ লাখ টাকা নিয়েছেন..!
তার জবাবে প্রথমেই বলে নিচ্ছি- এই হলুদ সাংবাদিক ভাইটা কতটা গাঁজাখোরী লেখা লেখেছে, তা সেই ভাল জানে। কারণ আল্লামা আব্বাসী হুজুর মাহফিলে কন্টাক করেন এটা একটা পাগলকে বললেও বিশ্বাস করবেনা কারণ সাড়া বাংলার মানুষ জানে দিবালোকের ন্যায় এটা স্পষ্ট যে আব্বাসী হুজুর কন্টাক করেন না বরং তিনি কন্টাক বিরোধী। কন্টাক তো দূরের কথা পরিচিত কেউ যদি মাহফিলে কন্টাক করে যায় তাহলে তাকে সমচিন জবাব দেন। আর সেখানে তিনি ১ লাখ টাকা কন্টাক করেছেন ? এই ধরণের গাঁজাখুরি কথা একমাত্র মাতালরাই লিখতে পারে।
তবে হেলিকপ্টার ভাড়া যেটা আসে সেটা মাহফিল কমিটি বহন করে থাকে। তবে সেটার সাথে আব্বাসী হুজুরের কোন সম্পর্ক নাই বরং সেটা হুজুরের পি. এস এবং মাহফিল কমিটির মাধ্যমে হেলিকপ্টার কোম্পানিকে শিডিউল দেওয়া হয়। যা সরাসরি কোম্পানির সাথে মাহফিল কমিটির যোগাযোগ। যেখানে আব্বাসী হুজুরের কোন সম্পর্ক নেই। এখন এই মহাসত্যকে মিথ্যার ছাইদিয়ে যারা ঢাকতে চায়। আমি তাদেরকে বলবো তারা এখনো বোকার স্বর্গে বাস করছে। আর বিস্তারিত জানতে নাটোর মাহফিল কমিটির সভাপতির কাছ থেকে জানতে পারেন-০১৭৭৪৭২৯১৪৭

এ ব্যাপারে শালমার দাখিল মাদ্রাসা কমিটির সভাপতি মুসলিম উদ্দিনের সাথে ইউরোবাংলা সিলেটের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন যে সাংবাদিক অনলাইন পত্রিকায় নিউজ করেছে তার সম্পূর্ন মনগড়া বানোয়াট সাজানো গল্প। আমাদের সাথে আব্বাসী হুজুর কোন কন্টাক করে আসেননি। তিনি আমাদের কাছে থেকে কোন অগ্রীম নেননি। আমরা শুধূ হেলিকপ্টার ভাড়া সরাসরি পাইলট কে ৮০ হাজার টাকা দিয়েছি। তিনি আমাদের মাহফিলে বক্তব্য দিয়েছেন আড়াই ঘন্টা লেখা হয়েছে একঘন্টা এটা সর্ম্পূন ঐ সাংবাদিকের বানানো গল্প। আমরা ঐ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিবো। তিনি আরো বলেন যারা হুজুরকে এসব অপবাদ দেয় তারা পথদ্রষ্ট ওহাবী খারেজী দলের সদস্য। একটা সংবাদ লেখার আগে যাছাই বাচাই না করে এসব নিউজ করা ঠিক হয়নি।

এছাড়াও হেলিকপ্টার এভিয়েশনে যোগাযোগ করতে পারেন। সঠিকটা জেনে যাবেন। ‎মনে রাখবেন আল্লাহ যার সম্মান দেন,তাকে কেউ পরাস্ত করতে পারেনা।

২….. সেখানে ২য় মিথ্যাচার করা হয়েছে- হুজুর নাকি প্রতি ঘন্টা ওয়াজের বিনিময়ে ১ লাখ টাকা নিয়ে থাকেন। আমি বলবো আপনার মিথ্যাচার নম্রুদ,ফেরাউনকেও হার মানায়..!!!
এই বিষয়ে আমি কিছু না লিখে প্রথমেই সেই সমস্ত মিথ্যাবাদীদেরকে ওপেন চ্যালেঞ্জ দিলাম।আল্লামা আব্বাসী হুজুর ১ ঘন্টা ওয়াজের বিনিময়ে ১ লাখ টাকা কন্টাক করেন, কিংবা তিনি কন্টাক করেন এই ধরণের কথা প্রমান করতে পারলে ১০ লাখ টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে। আর যদি প্রমান না করতে পারেন তাহলে আপনার বিপক্ষে দূত মানহানি মামলা করা হবে ইনশাআল্লাহ।

‎৩….. আল্লামা আব্বাসী হুজুর নাকি বিলাসিতার জন্য হেলিকপ্টার এবং বডিগার্ড ব্যবহার করে থাকেন। আরো কত উদ্ভট কথা। প্রথমেই আমি বলতে চাই বিলাসিতা কাকে বলে????? সেই সংজ্ঞাটি কি জানা আছে?? নাকি মাথায় বিলাতি গোবর তাই আলেমদের বিরোধী করাই চিরাচরিত অভ্যাস হয়ে দাঁড়িয়ে ??
‎কোন এমপি,মন্ত্রী, নায়ক,নায়িকা,শিল্পী, বা শিল্পপতি যদি হেলিকপ্টারে যাতায়াত করে তাহলে কোন এলার্জী নাই। কিন্তু কোন আলেম ওলামা হেলিকপ্টারে মাহফিলের মত মহানকাজে গেলেই চোখটা আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়ে যায়! আল্লামা আব্বাসী হুজুর কোরআনের দাওয়াত নিয়ে দেশ,দেশের বাহিরে থাকেন সাড়া বছর। আর প্রতিদিন ১/২/৩ টি মাহফিল দিনে রাত্রে থাকায় হেলিকপ্টার ব্যবহার করতে হয় নিয়মিত চার মাস। দেখা যায় আজকে দুইটি মাহফিল দিনে ফরিদপুর আর রাত্রে সিলেট। এখন একদিনে দুইটি মাহফিল করাকি সম্ভব..??
তাই ‎শুধু মাত্র সময় সেভ করার জন্যই হেলিকপ্টার ব্যবহার করা হয় এটা বিলাসিতা হয় নয় বরং এটা হুজুরের জন্য প্রয়োজন।

‎৪. হুজুর কেন ব্যক্তিগত বডিগার্ড রাখেন এটা নিয়েও তাদের এলার্জী। আবার কত ফতোয়া তিনি কেন সাথে বডিগার্ড রাখেন??? রাসুল (সা) কি বডিগার্ড রেখেছিলেন ? বাহ এ যেন ফেসবুক মুফতী !

প্রথমেই বলে নেই রাসুল (সা) আমাদের মত সাধারণ মানুষ নন। ওনার সাথে কোন কিছুরই তুলনা করা যাবেনা। তবে ওনার দেখানো পথকে অনুসরণ করতে হবে। সেখান থেকেই দৃষ্টান্ত দিচ্ছি একবার এক সাহাবী এক উটের রশিছেড়ে দিয়ে বলল্য ইয়া রাসল্লাল্লাহ (সা)।আমি উটের রশি ছেড়ে দিয়েছি আর আমি আল্লাহর উপর পূর্ণ তাওয়াক্কুলে বিশ্বাসী। তখন রাসুল (সা) বললেন তুমি আগে উটের রশি বাধো তারপর তাওয়াক্কুল কর।
‎এখন যারা কুরআনের দাওয়াত দেয় কাফের মুশরেকরা তাকে দুনিয়া থেকে চিরতরে বিদায় করার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টাচালায় যেমনটি করেছে শহীদ ফারুকি(রহঃ) কে.।
‎আজ সাড়া বাংলায় যখন কথিত কিছু আলেম নামের জালেমরা ইহুদি খৃষ্টানদের টাকা খেয়ে উম্মতের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে, ঠিক তখনই কোরআন, হাদিসের সঠিক বাণি যখন প্রচার করে যাচ্ছেন ড. এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী সাহেব।তখনই একদন হিজলাসদৃশ, মুনাফেকরা আল্লামা আব্বাসী হুজুরের বিরুদ্ধে কুৎসা রটিয়ে যাচ্ছে। শুধু তাই নয় যখন এতেও কোন কাজ হচ্ছেনা তখন তারা তাঁকে বারবার হত্যার পরিকল্পনা করেও ব্যর্থ হয়েছে।বিশেষ করে ২৫ মের ঐতিহাসিক বাহাসের পর তারা যেন পাগলা কুকুর হয়েগেছে। আজ তারা হিটলার নীতিতে চলেগেছে।
‎অতি ভক্তি কিন্তু চোরের লক্ষণ। তাহলে কি শহীদ ফারুকির মত আরেকটি ঘঠনা ঘঠাতে মরিয়া এই চক্রটি
‎।তারা হয়তো ভুলে গেছে সব মাওলায়ে কারীমের পক্ষ থেকে ফায়সালা হয়। তারা যতই হত্যার চেষ্টা করুক না কেন তা কাজে আসবেনা।
‎পরিশেষে ঐসকল হলুদ সাংবাদিকদের কাছে কিছু প্রশ্ন রেখে ইতি টানছি-

১…আপনারা আব্বাসী হুজুরের বিপক্ষে রিপোর্ট করলেন অথচ তার অফিসিয়াল ফেইসবুক আইডিই জানেন না??

২…. উনি কন্টাক্ট করে হাদিয়া নেয় এমন একটি প্রমাণ দিতে পারলেন না, আবার মিথ্যাচার ????

৩….আব্বাসী হুজুর মাহফিলে ১লক্ষ টাকা হাদিয়া নেয় আর হেলিকপ্টার ভাড়া ৮০ হাজার বাহ ভালইতো!! হেলিকপ্টার ভাড়া কিভাবে করা হয় তাকি জানা আছে ??

৪…আপনি কি চোখে কম দেখেন নাকি মিথ্যাশ্রিত বিদ্যাই আপনাদের প্রধান পুজি! আব্বাসী হুজুরের দুই পাশেইকি বডি গার্ড নাকি এক পাশে???
আর পুলিশ কি হুজুরের নিরাপত্তার জন্য নাকি হেলিকপ্টার দেখার জন্য..????

এ ব্যাপারে শালমার দাখিল মাদ্রাসা কমিটির সভাপতি মুসলিম উদ্দিনের সাথে ইউরোবাংলা সিলেটের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন যে সাংবাদিক অনলাইন পত্রিকায় নিউজ করেছে তার সম্পূর্ন মনগড়া বানোয়াট সাজানো গল্প। আমাদের সাথে আব্বাসী হুজুর কোন কন্টাক করে আসেননি। তিনি আমাদের কাছে থেকে কোন অগ্রীম নেননি। আমরা শুধূ হেলিকপ্টার ভাড়া সরাসরি পাইলট কে ৮০ হাজার টাকা দিয়েছি। তিনি আমাদের মাহফিলে বক্তব্য দিয়েছেন আড়াই ঘন্টা লেখা হয়েছে একঘন্টা এটা সর্ম্পূন ঐ সাংবাদিকের বানানো গল্প। আমরা ঐ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিবো। তিনি আরো বলেন যারা হুজুরকে এসব অপবাদ দেয় তারা পথদ্রষ্ট ওহাবী খারেজী দলের সদস্য। একটা সংবাদ লেখার আগে যাছাই বাচাই না করে এসব নিউজ করা ঠিক হয়নি। বাহ..!!!!এক রবট সুফিয়ার জন্য যখন ১৪ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছিল তখন কোথায় ছিলেন????
তখন অপচয় হয়নি…..!!!!!
আব্বাসী হুজুরের পিএস মাওলানা আহমদ হাসান সাথে নিউজ প্রতিদিন ডট নেটের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন কেউ যদি প্রমান দিতে পারে হুজুর টাকা কনটাক্ট করে টাকা নিয়েছেন বাংলাদেশের কোথায় তাকে আমরা পুরস্কৃত করবো। এটা ওয়াহাবী লা-মাজহাবীদের অপপ্রচার করে হুজুরের সুনাম নষ্ট করার জন্য ষড়যন্ত্র করছে। আমরা এসব হুলুদ সাংবাদিকদের মিথ্যা নিউজের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। হুজুর হচ্ছেন কনটাক্ট আ চুক্তিবাদী বিরোধী। কখনো প্রোগ্রামে হুজুর অগ্রীম কোন টাকা নেন না। আর হাদিয়ার ব্যাপারে তিনি কোন কথা বলেন না যার মনে যত চায় তত দেন। যারা হুজুরে প্রোগ্রাম করেছে তাদের সাথে কথা বলেন সকল সন্দে দুর হয়ে যাবে।
আশাকরি জবাব দিবেন…..
এব্যাপারে ড. সাইয়েদ এনায়েত উল্লাহ আব্বাসী ওয়া সিদ্দিকী হুজুরের সাথে ইউরোবাংলা সিলেটের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন আমি চ্যালেঞ্চ দিয়ে বলছি কাহার সাহসা তাকে আমার সামনে এসে একবার প্রমান করুক আমি চুক্তি করে কোন জায়গায় মাহফিল করেছি। আমার বিরুদ্ধে যারা মিথ্যাচার ও অপ-প্রচার করছে আল্লাহর গজব তাদেরকে একদিন ধ্বংস করে দিবে। এসব আজগুবি সংবাদে তৌহিদি জনতা কোন সময় কান দিবেন না।যারা বলে আমি কন্টাক করে মাহফিল করি তারা ইহুদিদের দালাল ছাড়া আর কিছু না। আমার প্রতিটি মাহফিলে খোঁজ নেন তখন যদি মাহফিল কাহার কাছে বলে আমি কন্টাক করে টাকা নিয়েছি তখন আমাকে প্রশ্ন করবেন আর না হয় এসব বিষয় নিয়ে কোন কথা বলতে চাই না। আমি বাংলাদেশে একমাত্র বক্তাদের একজন চুক্তি করে ওয়াজের বিরুদ্ধে আমার অবস্থান। আমার ওয়াজে আমার ব্যক্তি আর্কষনের কেউ আসে না। সবাই আল্লাহর কোনআন হাদিসের আকর্ষনে সবাই ওয়াজ শোনতে হাজার হাজার জনতা আসে। যারা তৌহিদের দাওয়াত দেয় তারা কখনো টাকার এসব কাজ করে না। আমার বিরুদ্ধে যে সব অপপ্রচার করা হচ্ছে ষড়যন্ত্র করে মাহফিল বন্ধ করা হচ্ছে কেউ কেউ আবার আড়ালে থেকে আমার বিরুদ্ধে নানা অপ-প্রচার করছে তাদেরকে বলবো সাহস থাকলে একবার আব্বাসীর মুখাবেলা করে দেখেন কে সঠিক। আমি সত্যের পথে আজীবন অটল থাকবো এতে বিন্দুমাত্র পিছপা হবো না। আমি তৌহিদের দাওয়াত দিতে আর আল্লাহর রাসুলের কথা বলতে গিয়ে যদি প্রান চলে গেলেও হাসি মুখে বরণ করবো। এসব অপ-প্রচার অপেক্ষা করে তৌহিদের দাওয়াত চলবে এক চুল পরিমান সত্যের পথ থেকে সরে আসবো না।

প্রচারে মাওলানা আহমদ হাসান গাজীপুরী
আব্বাসী সাইবার টীম বাংলাদেশ