গণরোষ থেকে বাঁচতে দৌড়ে পালালেন পলাশের সহযোগী কানা রফিক

146

স্টাফ রিপোর্টারঃ ফতুল্লার কথিত শ্রমিক নেতা এবং সম্প্রতি ফতুল্লার শ্রমিক অসন্তোষের সন্দেহভাজন মূল হোতা কানা রফিক সাংবাদিকদের দেখে নেয়ার হুমকী দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার দুপুর দেড়টায় ফতুল্লা থানা গেইট সংলগ্ন গলিতে দাড়িয়ে তিনি এ হুমকী প্রধান করেন। এ ঘটনায় উপস্থিত সাংবাদিকরা প্রতিবাদ জানালে কানা রফিক দৌড়ে ফতুল্লা বাজারের ভেতরের গলি দিয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের সাধারন সম্পাদক আবদুর রহিম সাংবাদিকদের পক্ষে কানা রফিকের বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানাজায়, ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের সাধারন সম্পাদক আবদুর রহিম স্থানীয় সাংবাদিক মাসুদ আলী, নজরুল ইসলাম সুজন,খোকন প্রধান, মুন্নাসহ বেশ ক’জন সাংবাদিককে নিয়ে থানা থেকে তথ্য সংগ্রহ শেষে পাশে গলিতে এসে অবস্থান নেয়। এসময় কুতুবআইলের পপুলার নিট ওয়্যাারের বেশ ক’জন শ্রমিক অভিযোগ নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকলে উপস্থিত সাংবাদিকরা এর তথ্য জানতে চাইলে কথিত শ্রমিক নেতা কানা রফিক এগিয়ে এসে বাধা প্রদান করে এবং গত রোববার এবং সোমবারের শ্রমিক অসন্তোষের ঘটনার জন্য সাংবাদিকদের দায়ি করে নানা ধরনের মন্তব্য করতে থাকে। এসময় তিনি উচ্চ স্বরে বলে উঠেন সেলিম ওসমানের ফ্যাক্টরীতে হামলার ঘটনাটিও তাদের নিজস্ব নাটক এবং সাংবাদিকরা টাকা খেয়ে গল্প বানিয়েছে। কানা রফিক সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলতে থাকেন এমপি সেলিম ওসমানকে বলে দিয়েন এসব নাটক বন্ধ করতে। তার নাটক মানুষ বুঝতে পেরেছে। এসময় ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের সাধারন সম্পাদক আবদুর রহিম এর প্রতিবাদ জানালে তাকে এমপি সেলিম ওসমানের দালাল বলে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করতে থাকে এবং দেখে নেয়ার হুমকী দেয়। এসময় আশপাশের সাংবাদিকরা এগিয়ে এসে এর প্রতিবাদ জানালে কানা রফিক অবস্থার বেগতিক দেখে এক পর্যায়ে ফতুল্লা বাজারের গলি পথ দিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায়।
প্রসঙ্গত, কানা রফিক ফতুল্লা থানা শ্রমিক লীগ নেতা কাউছার আহমেদ পলাশের হয়ে দীর্ঘদিন ধরে ফতুল্লার বিভিন্ন স্থানে শ্রমিকদের পক্ষে কাজ করে আসছে। সম্প্রতি ফতুল্লা শিল্পাঞ্চলের শ্রমিক অসন্তোষের ঘটনায় সন্দেহের তীর এই কানা রফিকের দিকে।