বক্তাবলীর আকবরনগরের সামেদ আলী ও রহিমের নাটকীয় সমঝোতা

215

ফতুল্লার বক্তাবলী ইউনিয়নের আকবর নগর এলাকার বিবাদমান দুই গ্রুপের নেতা সামেদ আলী হাজি ও রহিম হাজি সংঘর্ষ ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপে সম্পৃক্ত না থাকার অঙ্গিকার করে পুলিশের কাছে লিখিত দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১২ জুলাই) রাত সাড়ে ১০টার দিকে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের অফিসার-ইন-চার্জ (ওসি) শাহ মোহাম্মদ মঞ্জুর কাদেরের কাছে ওই অঙ্গিকারনামা প্রদান করেন তাঁরা। এসময় তাঁদের সাথে ছিলেন বক্তাবলী ইউনিয়ণ পরিষদ চেয়ারম্যান ও ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম শওকত আলী।

সূত্র জানায়, বেশ কয়েক বছর ধরেই আকবর নগরের সামেদ আলী হাজি ও রহিম হাজি গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দ্বন্দ্ব চলে আসছিলো। এর জের ধরে প্রায় সময় উভয় পক্ষের লোকজন রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের জড়িয়ে পড়ে। চলে হামলা পাল্টা হামলাসহ অগ্নিসংযোগের ঘটনা। এসব ঘটনায় আকবর নগরের সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রাও ব্যাহত হয়।

উভয় গ্রুপের মধ্যে সম্প্রতি উত্তেজনা দেখা দিলে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ প্রায় ১৪ ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণের টেঁটা, বল্লম, রামদাসহ ১২জনকে আটক করে।

ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের অফিসার-ইন-চার্জ (ওসি) শাহ্ মোহাম্মদ মঞ্জুর কাদের(পিপিএম)বলেন, “এভাবে তাঁরা এর আগেও লিখিত দিয়েছিলো। বুকে বুকও মিলিয়েছিলো উভয় গ্রুপ। বেশ কয়েকবার বলেছিলো তাঁরা আর এমন কর্মকা- করবেন না। কিন্তু সেসব কথা আর রাখেনি। এবার রাখবেন বলেও মনে হয় না। তারপরও আমরা দেখবো। এরপর যদি আবারও সন্ত্রাসী কর্মকা- করে তাহলে কঠোর অ্যাকশনে যাবে পুলিশ। কোনো ধরণের সন্ত্রাসী কর্মকা- বরদাস্ত করা হবে না।”

এ প্রসঙ্গে ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বক্তাবলী ইউনিয়ণ পরিষদ চেয়ারম্যান শওকত আলী বলেন, এর আগে তাঁরা কথা রাখেনি। এবার আমরা এর সাথে সম্পৃক্ত। এবার যদি কথা না রাখে তাহলে কঠিন অ্যাকশনে যাবো প্রশাসনের মাধ্যমে। কাউকে কোনো ছাড় দেয়া হবে না। এই সুযোগই তাঁদের জন্য শেষ।