বক্তাবলীর আকবরনগরে দুই হাজ্বী বাহিনীর সংঘর্ষে আহত-১০

535

ফতুল্লার বক্তাবলী এলাকার আকবর নগর গ্রামের সামেদ আলী হাজ্বী  ও রহিম হাজ্বীর বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের এসআই শাফিউল আলম ও এসআই কামরুল ইসলামের নেতৃত্বে বিপুল সংখ্যক পুলিশ ঘটনাস্থল হতে ১১ টি টেটাঁ উদ্ধার করে।ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার (৯ আগস্ট) বিকাল ৫ ঘটিকার সময় বক্তাবলীর আকবর নগর গ্রামে।

আহতরা হলেন,রহিম হাজ্বী বাহিনীর মৃত তাহের আলীর স্ত্রী নাসিমা (৫০),রিয়াজুলের স্ত্রী আউশি (৩০),রমজান আলী হাজ্বীর পুত্র আলমগীর (৪৫), সামেদ আলীর পুত্র রনি (৩৫),  ফুলু মাদবরের পুত্র নবী হোসেন (৩৫) ও কবির হোসেন( ৩৭)। নবী
হোসেনের হাতের কনুইতে টেটাবিদ্ধ হলে প্রথমে মুন্সিগঞ্জে চিকিৎসার জন্য নেয়া হয়। অবস্থা আশংকা জনক হওয়ায় নবী হোসেনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়।

এলাকাবাসী জানান,বিকাল ৫ ঘটিকার সময় রহিম হাজ্বীর ভাতিজা ফুলু মাতবরের পুত্র কবীর হোসেন,নবী হোসেন সহ তার বন্ধুরা আকবর নগর মসজিদের সামনে বসে ছিল। সামেদ আলীর পুত্র ওসমানসহ তার সহযোগীরা মসজিদের সামনে আসলে তর্কবির্তক হয়। এক পর্যায়ে সামেদ আলী বাহিনীর অর্তকিত হামলা চালায়। এতে রহিম হাজ্বীর ভাতিজা টেটাবিদ্ধ হয়।

সামেদ আলীর লোক জন জানান,ডাকাতি করার উদ্যেশ্য রহিম হাজ্বী বাহিনীর সদস্য ফুলু মাদবরের পুত্র কবির হোসেন,নবী হোসেন এর নেতৃত্বে কাদির, রিয়াজুল,টারজান,সুইজা,জিহাদ,সাইদুর,আল আমিন,রশিদ,জাহিদ, হাসান সহ ৬০/৭০ জন সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে ভাষান মাদবরের পুত্র সামসুলের বাড়ি,সফি মাদবর সহ ৩/৪ টি বাড়ি ভাংচুর করে লুটপাট চালায়।
সামসুলের স্ত্রী লিমা জানান,সন্ত্রাসীরা ভাংচুর করে ৫০/৬০ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়।এ ছাড়া ৮ টি গরু ছিনিয়ে নিয়ে যায় বলে জানান আলমগীর হোসেন।

রহিম হাজ্বীর ভাই ফুলু মাদবর বলেন,আজ সামেদ আলী বাহিনীর লোকজন অর্তকিত ভাবে আমার ছেলে নবী হোসেন ও কবীর হোসেনের উপর হামলা চালায়।সামেদ আলীর লোকজনের বাড়িঘর ভাংচুর, অগ্নিসংযোগের ঘটনা সাজানো।
সামেদ আলী জানান,রহিম হাজ্বীর লোকজন নিজেদের টেটাঁয় নিজেরা টেটাঁবিদ্ধ হয়েছে।

এলাকাবাসি জানায়,রহিম হাজ্বী ও সামেদ আলী নিজেদের আধিপত্য বিস্তারে প্রায় সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ঘটে। মাস খানেক আগে ফতুল্লা মডেল থানার ওসি শাহ মঞ্জু কাদের ও বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শওকত আলীর উপস্থিতিতে উভয়কে মিলিয়ে দেয়া হয়।