নারায়ণগঞ্জে টেন্ডারবাজী নিয়ে সংঘর্ষ

47

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলায় একটি কোরবানির পশুর হাটের সিডিউল কেনা নিয়ে নূর হোসেন ও মুন্না নামে দুই জনপ্রতিনিধির সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর ও মহানগর শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান মুন্নার সমর্থক ইসমাইল হোসেন বলেন, মুন্না ভাই আমাদের পাঠিয়েছেন সিডিউল কেনার জন্য।

আমরা উপজেলা কার্যালয়ে প্রবেশের সময়ই গোগনগর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য নূর হোসেন মেম্বারের লোকজন আমাদের বাধা দেয়। এ সময় প্রতিবাদ করলে তারা আমাকে ও আমার সঙ্গে আসা সাইদ, জনি, শাহ জাহানসহ ৫-৬ জনকে এলোপাতাড়ি কিলঘুষি মারতে থাকে এবং মুন্নাকে গালাগাল করতে থাকে। এ সময় এলাকাবাসী এসে আমাদের রক্ষা করে। তাদের বাধার মুখে সিডিউল কিনতে পারিনি।

নূর হোসেন মেম্বারের ছোট ভাই মকবুল সওদাগর জানান, গোপগনগর ইউনিয়ন পরিষদের ১২ জন মেম্বার মিলে সৈয়দপুর মাতবর বাড়ি এলাকার হাটটি ইজারা নেয়ার জন্য সিডিউল কেনে।

বিষয়টি জানতে পেরে মুন্না সমর্থক ইসমাইল লোকজন নিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে উপজেলায় এসেছিল। তারা হাটের সিডিউল কিনতে আসেনি। তারা আমাদের লোকজন দেখে উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করেন। এতে আমরা প্রতিবাদ করেছি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হোসনে আরা বিনার সহকারী মনির হোসেন জানান, ইউএনও অফিসিয়াল কাজে বাইরে আছেন। বিকাল ৫টা পর্যন্ত বিভিন্ন হাটের সিডিউল বিক্রি করেছি। আমাদের কার্যালয়ে কোনো মারধরের ঘটনা ঘটেনি। বাইরে কিছু ঘটলে এর জন্য পুলিশ আছে তারাই ব্যবস্থা নেবে। ফতুল্লা মডেল থানার এসআই আরিফুর রহমান জানান, উপজেলার উত্তর গেটের কাছে কিছু লোকজনের মধ্যে হাতাহাতি ও কিলঘুষির ঘটনা ঘটেছে। তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।