অদালত অবমাননার দায়ে দুই মন্ত্রী’র অর্থদন্ড

180

দুই মন্ত্রীকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছেন আপিল বিভাগ। জরিমানার এই অর্থ অনাদায়ে তাদেরকে ৭ দিনের কারাদণ্ডাদেশ দেয়া হয়েছে।
রোববার সকালে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদেশে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের ক্ষমার আবেদন খারিজ করে আদালত অবমাননার দায়ে তাদের অভিযুক্ত করা হয়। এর দায়ে দুই মন্ত্রীকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।
জরিমানার অর্থ আই হসপিটাল ও লিভার ফাউন্ডেশনকে প্রদান করার জন্য বলা হয়েছে। একই সঙ্গে ওই দুই প্রতিষ্ঠানে জরিমানার অর্থ প্রদান করে আগামী ৭ দিনের মধ্যে আদালতকে তা অবহিত করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
জরিমানার অর্থ অনাদায়ে দুই মন্ত্রীকে ৭ দিন করে কারাদণ্ডের আদেশও দেন আদালত।
মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া মীর কাসেম আলীর আপিলের রায়কে কেন্দ্র করে প্রধান বিচারপতির বক্তব্যের সমালোচনা করে গত ৫ মার্চ রাজধানীতে এক সেমিনারে বক্তব্য দেন সরকারের দুই মন্ত্রী কামরুল ইসলাম ও আ ক ম মোজাম্মেল হক।
এই পরিপ্রেক্ষিতে গত ৮ মার্চ খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হককে ১৫ মার্চ সকাল ৯টায় সশরীরে আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেন আদালত। তবে খাদ্যমন্ত্রী দেশের বাইরে থাকায় সময়ের আবেদন করেন তার আইনজীবী। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ২০ মার্চ নির্ধারণ করা হয়।
ওই দিন সকালে আদালতে হাজির হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে জবাব দাখিল করে নিঃশর্ত ক্ষমা চান দুই মন্ত্রী। কিন্তু কামরুল ইসলামের জবাব দাখিলের ওপর আদালত সন্তুষ্ট না হওয়ায় ২৭ মার্চ দুই মন্ত্রীকে আবারও সশরীরে হাজির হতে বলা হয়।
রোববার শুনানি শেষে দুই মন্ত্রীর ক্ষমার আবেদন খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে তাদের আদালত অবমাননায় অভিযুক্ত করে অর্থদণ্ড প্রদান করেন।
শুনানিতে আ ক ম মোজাম্মেল হকের পক্ষে অংশ নিয়েছিলেন ব্যারিস্টার রফিক-উল হক আর কামরুল ইসলামের পক্ষে ছিলেন আবদুল বাসেত মজুমদার।
প্রধান বিচারপতির সঙ্গে বেঞ্চে ছিলেন বিচারপতি আবদুল ওয়াহহাব মিয়া, বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম ও বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার