জয়নাল হাজারী:
নির্বাচনের আর বেশি দিন বাকি নাই। নির্বাচনকে ঘিরে বিভিন্ন ধরনের কর্মকাণ্ড আলাপ-আলোচনা দৌঁড়ঝাপও পরিকল্পনা চলছে। সব কিছুকে ছাপিয়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে আ.লীগ থেকে কে কোথায় নমিনেশন পাচ্ছে এবং মনোনয়ন প্রত্যাশিরা নেতাদের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরে বেড়াচ্ছে। বিশেষ করে যে সমস্ত নেতারা আ.লীগের সংসদীয় কমিটিতে রয়েছে।
এ ব্যাপারে আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নাম সকলের উপরে রয়েছে। সচিবালয়ে, কাদেরের বাসভবনে এবং আ.লীগ অফিসে কাদেরের সাক্ষাৎ প্রার্থী শত শত লোক এ সব সাক্ষাৎ প্রার্থীদের অর্ধেকও তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারে না। আমু ভাই তোফায়েল ভাইয়ের ঘরেও সাক্ষাৎ প্রার্থীর সংখ্যা কম নয়। যদিও ইনারা অনবরত বলে যাচ্ছেন আমাদের হাতে কিছু নাই। এ বারের ব্যাপারটি একেবারেই নেত্রীর হাতে। বাজারে গুঞ্জব আছে একশো কোটি টাকা দিয়েও আ.লীগের নমিনেশন কেনার লোক আছে। গতকাল স্বাস্থ্যমন্ত্রী নাসিম ভাই বলেছে সকল নমিনেশনই এবার এককভাবে নেত্রী নিজেই ঠিক করবেন। এ কথার কারণে পরিষ্কার ধারণা করা যায় ওবায়দুল কাদেরও নমিনেশন এ দিক ও দিক করতে পারবে না।
অবশ্য ওবায়দুল কাদের নিজেও কারো নমিনেশন নিশ্চিত করতে পারবে এমন কথা বলেনি মনে হয় বলবেও না। শোনা যায় গতবারের নমিনেশনে ও কাদের কিছু কিছু প্রভাবখাটিয়ে কাজ করেছিল। দুয়েকজনের নিশ্চিত নমিনেশন আপত্তি দিয়ে বাতিল করেছিল। ওবায়দুল কাদেরকে নিজের আসনেই জয়ী হয়ে আসতে ঘাম ঝরাতে হবে। বিএনপি যেভাবেই হোক যদি ভোটে আসে তবে কাদেরকে ভোট করতে হবে ব্যারিষ্ট্রার মওদুদ আহমেদের সঙ্গে। সেখানে মওদুদ আহমেদের শক্ত অবস্থান রয়েছে।
তবে মন্ত্রী থেকেই যখন ওবায়দুল কাদের ভোট করবে তখন বাড়তি কিছু সুবিধা তো পাবেই। পরিস্থিতি যেদিকে যাচ্ছে তাতে আ.লীগও ক্ষমতায় আসবে কাদেরেরাও এমপি মন্ত্রী হবে। আ.লীগের মধ্যে মনোনয়ন প্রত্যাশিদের কারো কারো ধারণা ইচ্ছা করলে ওবায়দুল কাদেরও কিছু কিছু মনোনয়ন নির্ধারণ করবে। তবে নেত্রীর সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত এতে কোন সন্দেহ নাই। এখন শুধু সব চাইতে ভারি প্রশ্ন হচ্ছে বিএনপিকে ভোট করতে দেয়া হবে কি হবে না। সূত্র(হাজারিকা প্রতিদিন)








