নির্বাচনকে হাতিয়ার বানিয়ে কেউ যাতে এদেশকে সংঘাত রক্তপাতে পরিণত করতে না পারে-ড.এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী

289

নির্বাচন নিয়ে ২৮ ডিসেম্বর(শুক্রবার) জুম্মা পুর্বক বয়ানে তাহরিকে খাতমে নুবুওয়্যাত বাংলাদেশের আমীর,আল্লামা মুফতী ড.সাইয়্যেদ মুহাম্মাদ এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী ওয়া সিদ্দিকী পীর সাহেব জৈনপুরী হুজুর বলেন- আগামী ৩০ ডিসেম্বর আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে নিয়ে কোন বিজাতী শক্তি যাতে আমাদের মধ্যে সংঘাত রক্তপাত তৈরী করে দেশকে অশান্ত করতে না পারে সেই দিকে দেশের বড়, ছোট সব দলকেই সতর্ক থাকতে হবে। কারণ সিরিয়া,আফগানিস্তান, লিবিয়া, ইরাকসহ পৃথিবীর মুসলিম ভাই ভাই দেশের মধ্যে মানবতার শত্রু যুক্তরাষ্ট্র ঝগড়া লাগিয়ে নিজ স্বার্থ হাসিল করে সেই দেশগুলো থেকে স্বর্ণ,তৈল প্রাকৃতিক খনিজ সম্পদ হাতিয়ে নিয়ে গেছে । আর সেই শকুনদের কালো দৃষ্টি কিন্তু দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম বাংলাদেশের প্রতিও রয়েছে। তা বেমালুম ভুলে গেলে চলবেনা কারণ এই দেশে প্রচুর পরিমাণ খনিজ সম্পদে বড়পূর। শুধু তাই নয় মার্কিনযুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের একাংশ নিয়ে বিশেষ করে পার্বত্যচট্টগ্রাম, কক্সবাজার, সেন্টমার্টিন দ্বীপ ইত্যাদি নিয়ে একটি খ্রিষ্টান রাষ্ট্র বানাবার যে মিশন নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে তাও কিন্তু ভুলে গেলে হবেনা । আর তাদের মিশনকে বাস্তবায়ন করার জন্য এই শকুনের দলগুলো ৩০ তারিখকে টার্ণিং পয়েন্ট হিসেবে ব্যাবহার করতে চাইবে তাই আগামী ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যাতে আমরা ভাই ভাই রক্তপাতে লিপ্ত না হইবসেই দিকে সতর্ক থাকতে হবে। আর স্বরণে রাখতে হবে যেই নেতা নেত্রির কথা শুনে প্রতিবেশি ভাইয়ের মাথায় লাঠি চালাচ্ছি সেই প্রতিবেশিই একদিন আমার বিপদে ঝাপিয়ে পড়বে। আর সেই স্বার্থবাদী ধান্ধাবাজ নেতাকর্মীরা হবে নিরুদ্ধেশ! তাই সামান্য পেটনীতির জন্য কোন ধরণের মারামারি হানাহানি নয়। বরং আচরণ হবে একজন মুসলমান আদর্শ নাগরিক এবং উত্তম চরিত্রবানদের মত।
আমরা মুসলমান আর ইসলাম আমাদেরকে সবচেয়ে বেশি পারস্পরিক সংঘাত দূরত্ব কমানোর ব্যাপারে আদেশ করে। শুধু তাই নয় ঐক্যবদ্ধভাবে থাকার প্রতি কঠোরভাবে আদেশ করে এবং একজন মুসলমান আরেক মুসলমান দ্বারা যেন নির্যাতিত না হয়, কেউ কারো সম্মান নষ্ট না করে সেই দিকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার আদেশ প্রদান করে। আমাদেরকে স্বরণ রাখতে হবে মুসলমানদের মধ্যে কাফের মুশরেক ঝগড়া লাগিয়ে তারা ফায়দা হাসিল করে নেয়। বিগতকালে মুসলমানদের মধ্যে যে ঝগড়া হয়েছিল তার মূলে ষড়যন্ত্র করেছিল মুনাফেক কাফেররা।
যেমন সিফফিনের যুদ্ধ, আব্বাসী খিলাফত ধ্বংস কালে বাগদানের যুদ্ধসহ বিভিন্ন যুদ্ধে ইন্ধন দিয়েছিল কাফের মুনাফেক শক্তিরা।
সুতরাং অপার সম্ভাবনাময় বাংলাদেশ। যেই জমীনে শুয়ে আছেন হযরত শাহ্‌ জালাল(রহঃ), হযরত শাহ্‌ পরান (রহঃ), হযরত শাহ্‌ কারামাত আলী জৈনপুরী(রহঃ), ৩৬০ আউলিয়াসহ অসংখ্য আল্লাহ ওলারা এই জমীনে শুয়ে আছেন। তাই এই জমিনকে কেউ যাতে ফিলিস্থিন,আফগানিস্থান, সিরিয়ারমত চূর্ণবিচূর্ণ করতে না পারে সেই দিকে সকলে সতর্ক থাকতে হবে।

পরিশেষে দেশ ও জাতীর কল্যাণে দোয়া পরিচালিত হয়।