পুলিশ সুপারের নির্দেশ উপেক্ষিত:প্রকাশ্যে চলছে সাংবাদিকের জমি দখল

41

ফতুল্লার সাংবাদিক সেলিম পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ করে এবং সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশের দ্বারস্ত হয়েও শেষ পর্যন্ত তার পৈত্রিক জমি আর রক্ষা করতে পারলেন না । জেলা পুলিশকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে ভাড়াটে ক্যাডারদের সহযোগীতায় প্রকাশ্যে জমি দখল করে নিয়েছে জালকুড়ি,তক্কার মাঠ এলাকার একদল ভূমিদস্যু। গত ক’দিন ধরে একদল ভূমিদস্যু জাল দলিলের মাধ্যমে সাংবাদিক সেলিমের পৈত্রিক জমি দখলের চেষ্টা করে।

এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশকে জানানো হলে গত সোমবার রাতে কথিত জমির মালিকদের ডেকে কাজ বন্ধ রাখার নিদের্শ প্রদান করেন এবং জমি নিয়ে কাউকে বিরোধে না জড়াতে নিদের্শ প্রদান করেন। কিন্তু পুলিশের সিদ্ধান্তকে উপক্ষো করে মঙ্গলবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ভাড়াটে ক্যাডারদের সহযোগীতায় পূর্বের স্থাপনা ভেঙ্গে নতুন স্থাপনা নির্মাণ কাজ অব্যাহত রাখে জমির কথিত মালিকরা।

এর আগে ১৯ শতাংশ জমি রক্ষা করতে পুলিশ সুপারের বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে জমির মালিক সাংবাদিক সেলিম হোসেন। সাংবাদিক সেলিমের অভিযোগ, ১৯৮৪ সালে পিয়ার আলী,লতিফুনের কাছ থেকে জমি কিনেন তার বাবা আব্দুল মালেক। এরপর থেকে জমি ভোগ দখল করে আসছে। এইক জমি ৮৮ সালে আলমগীর- দেলোয়ার গং জালকুড়ির চিহ্নিত ভূমিদস্যু আবদুল কাদিরের মাধ্যমে আহমদ আলীর কাছ থেকে কিনে নিয়েছে দেখিয়ে জমি দখলের চেষ্টা করে। উল্লেখ্য, আহম্মদ আলী ৮৭ সালে মারা যান।

এদিকে সেলিমের বাবা আবদুল মালেক ২০০৫ সালে মেরিনা বেগমের স্বামীর নিকট ৫শতাংশ জমি বিক্রি করে। মেরিনা বেগম তার জমি বুঝে নিয়ে উন্নয়ন কাজ করতে গেলে ভূমিদ্যুরা আদালতে একটি মামলা দায়ের করলে আদালত থানা পুলিশকে শৃঙ্খলা বজায় রাখার আদেশ দেন। এদিকে ৮৪ সালের দলিলকে তোয়াক্কা না করেই ৮৮ সালের দলিল নিয়ে পুরো ১৯ শতাংশ জমি জোর করে দখলে নিয়ে স্থাপনা নির্মাণ কাজ শুরু করেছে। এ ব্যাপারে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার না পেয়ে শনিবার দুপুরে পুলিশ সুপারের বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন সাংবাদিক সেলিম হোসেন।