নারায়ণগঞ্জে চরমোনাইয়ের সকল কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবিতে সুন্নী জনতার বিক্ষোভ

1621

৫ ই মার্চ মঙ্গলবার ভন্ডপীর চরমোনাই ও তার অনুসারীদের সহিংসতা,দলীয় উগ্রতা ও যখন তখন পেশী শক্তির প্রভাব খাটিয়ে হক্কানী পীর মাশায়েখ ও আহলে সুন্নাত ওয়ান জামাতের ওয়াজ মাহফিল বন্ধের প্রতিবাদে ফতুল্লা ঈদগাহে সুন্নী আলেম উলামা ও জনতার উদ্যোগে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

গত ৪ মার্চ (সোমবার) ফতুল্লা চতলার মাঠে সুন্নী জনতার উদ্যোগে আয়োজিত এক বিশাল মাহফিল উগ্র ও বাতিল আকিদা পন্থী চরমোনাই গ্রুপের লোকজন বাধা দিয়ে বন্ধ করে দেয়।

মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকার কথা ছিল বিশ্ব বরেণ্য মুফাসসির ও সুন্নী জনতার নয়ন মনি আল্লামা ড. এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী।

আব্বাসী হুজুর প্রায় সময় নেক সুরতের ভেকধারী ভন্ড চরমোনাইদের ওহাবী মতাদর্শের বিরুধীতা করে থাকেন।তাই তারা মাহফিলটিতে বাধা দেয়।

তারই প্রতিবাদে ৫ মার্চ (মঙ্গলবার) বাদ যোহর ফতুল্লা ঈদগাহে সুন্নী আলেম ওলামার নেতৃত্বে ভন্ড চরমোনাইকে ফতুল্লায় নিষিদ্ধের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে বক্তাগন বলেন,ভন্ড চরমোনাই রাজনীতির নামে পেট নীতি চর্চা করে। পিরালীর নামে তারা মূর্খ মুরীদদের ধোকা দিয়ে বোকা বানিয়ে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। আর পিরালি ও রাজনীতি টিকাতে তারা উগ্র সন্ত্রাসী পেটোয়া বাহিনী দিয়ে যখন খুশি তখন হক্কানী পীর মাশায়েখ ও সুন্নী উলাময়ে কেরামের উপর চড়াও হওয়ার চেষ্টা করে থাকে এজন্য তাদের অনেক জায়গায় চরম খেসারত ও দিতে হয়েছে।

যেমন গত ২০১৬ সালে পঠুয়াখালীর মোকামিয়া ও ২০১৮ সালে ডেমরা দারুন নাজাতে সুন্নী জনতার হাতে তারা গণ ধোলাইয়ের স্বীকার হয়।

বক্তব্যে বক্তাগন তাদের সকল কার্যক্রম অবিলম্বে ফতুল্লাতে বন্ধ করার জন্যে নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপারের নিকট আবেদন করেন। যথাযথ ব্যবস্থা যদি না নেওয়া হয় এবং চতলার ময়দানে মাহফিলের অনুমতি না দেওয়া হয় তাহলে ভন্ড চরমোনাই পন্থীদের শায়েস্তা করার জন্য সুন্নী জনতা মাঠে নামার হুশিয়ারী দেন।

বিক্ষোভ সমাবেশে উপস্তিত হয়ে বক্তব্য রাখেন,এই সময় উপস্থিত ছিলেন হযরত মাওলানা মুফতি মোশাররফ হোসেন হেলালী,হযরত মাওলানা মুফতি ফয়সাল আমিন আল হানাফি,হযরত মাওলানা মুফতিজোবায়ের আহমদ নাসেরী,হযরত মাওলানা মুফতি ইসমাঈল হুসেন জালালী,হযরত মাওলানা মোকাম্মেল হুসাইন,হযরত মাওলানা মুফতি আমির হামজা, হযরত মাওলানা মুফতি আরিফ বিল্লাহ,হযরত মাওলানা মুফতি তানভীর হুসাইন ফারুকী,হযরত মাওলানা মুফতি মোজাম্মেল হুসাইন, হযরত মাওলানা মুফতিআবু সুফিয়ান আবেদী,হযরত মাওলানা মুফতি শাখাওয়াত হুসেন পাটুয়ারী, হযরত মাওলানা মুফতি মাহফুজুর রহমান,হযরত মাওলানা মুফতি দেলোয়ার হুসাইন,হযরত মাওলানা মুফতি আব্দুল আজিজ চিশতী,হযরত মাওলানা মুফতি নূরুল আমিন,হযরত মাওলানা ফযলে রাব্বি,হযরত মাওলানা মুফতি সবির হুসাইন জিহাদী,হযরত মাওলানা মুফতি নোমান কাসমী,হযরত মাওলানা মুফতি ইমাম হুসাইন, হযরত মাওলানা মোবারক হুসাইন,হযরত মাওলানা নাঈমুর রহমান, হযরত মাওলানা আব্দুল আজিজ, হযরত মাওলানা ওসমানগনী,হযরত মাওলানা আলআমিন জিহাদী,হযরত মাওলানা মোকছেদুল,হযরত মাওলানা আব্দুর কাদের,হযরত মাওলানা হামিদুল ও হযরত মাওলানা হাফেজ বাইজিদ হুসাইন প্রমূখ।

বিক্ষোভ মিছিল ও মোনাজাতের মাধ্যমে সমাবেশটি সমাপ্ত হয়।