সম্প্রতি লন্ডন সফরে গিয়েছিলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামীলীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে প্রধানমন্ত্রীকে যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিমসহ হাইকমিশনের কর্মকর্তারা বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান। যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ নেতাদের পক্ষ থেকে বরন করে নেন প্রধানমন্ত্রীকে। দুর দুরান্ত থেকে প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন এবং একনজর দেখার জন্য ছুটে আসেন আওয়ামলীগের নেতা কর্মীরা। সেন্ট্রাল লন্ডনের তাজ হোটেলে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতারা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা আসলেই সংসদে শক্তিশালী বিরোধী দল চেয়েছিলাম। গত নির্বাচনে বিএনপির পরিণতির জন্য তারাই দায়ী। তারা তিনশ’ আসনে ছয়শ’র বেশি দলীয় প্রার্থী বানিয়ে মনোনয়ন বাণিজ্য করেছে। প্রধানমন্ত্রীকে একনজর দেখার জন্য একটু বক্তব্য শোনার জন্য দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে লন্ডনের তাজ হোটেলের সামনে আসেন আওয়ামীলীগের নিবেদিত প্রাণ, আওয়ামীলীগের জন্য বহু ত্যাগস্বীকারকারী লন্ডন প্রবাসী আতাউর রহমান তালুকদার। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য শোনার জন্য তখন ব্যাকুল হয়ে পড়েন আতাউর রহমান। আওয়ামলীগের একনিষ্ট ভক্ত, সমর্থক আর নিরলসকর্মী আতাউর রহমান অতি আবেগ আপ্লুত হয়ে একটি বক্তব্য রাখেন। ঐ বক্তব্যে একটি কুচক্রী মহল বিকৃত করে প্রচার করে। কুচক্রী মহলের উদ্দেশ্য হলো আতাউর রহমানকে আওয়ামীলীগ নেত্রীর কাছে হেয় করা। অনেকটা আবেগবশত হয়ে অনিচ্ছকৃতভাবে মুখ ফসকে আতাউর রহমানের একটি বক্তব্য বেরিয়ে আসে। ঐ বক্তব্যে জন্য আতাউর রহমান বলেন, আমি অতি আবেগী হয়ে কথা বলেছি। মুখ ফসকে ভুলবশন একটা কথা আমার মুখ থেকে বেরিয়ে গেছে। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে দু:খ প্রকাশ করিছি। প্রধানমন্ত্রী উদার। তিনি আমাকে ক্ষমা করবেন। আমি সত্যি সত্যি লজ্জিত। কিন্তু আমার আবেগ আর ভুলকে পুঁিজ করে একটি মহল আমাকে নানাভাবে হেয় করার চেষ্টা করছে। তাদের উদ্যেশ্যে আমি বলতে চাই আমাকে কখনো আওয়ামীলীগ থেকে সরাতে পারবে না। আমার রক্ত মাংসের সাথে আওয়ামীলীগ মিশে আছে। আমি বঙ্গবন্ধুর আর্দশের সৈনিক। শেখ হাসিনা আমার নেত্রী। আওয়ামীলীগ আমার প্রাণ । যতই আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করুক যতই অপপ্রচার করুক আমি আওয়ামীলীগের জন্য জীবনবাজি রেখে কাজ করে যাবে। কেউ আমাকে দমাতে পারবে না।
জানা গেছে প্রধানমন্ত্রী যখন লন্ডনে ছিলেন তখন ৮ দিন প্রতিদিনই আতাউর রহমান তালুকদার প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাত করতে লন্ডনে আসেন। তখন পবিত্র রমজান মাস ছিল। সুদুর বেডপোর্ড থেকে রোযা রেখে তিনি লন্ডনে আসতে শুধু মাত্র প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করা এবং তার বক্তব্য শোনার জন্য । নবম দিন যখন যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগ নেতারা প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাত করার সিডিউল পান তখন আতাউর রহমান জানতে পারেন প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাতের তালিকায় তার নাম নেই। স্বাভাবিক ভাবে তার মন খারাপ হয়ে যায়। আতাউর রহমান তখন বুঝতে বাকি নেই তার বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র হয়েছে। কারন এর আগে প্রধানমন্ত্রী যতবারই লন্ডন এসেছেন আতাউর রহমান তার সাথে সাক্ষাতের সুযোগ পেয়েছে। এবার এতো কষ্ট করার পরও প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাত না পেয়ে আরো আবেগী হয়ে উঠেন এবং লাইভে এসে কথা বলেন।
লন্ডনের একাধিক প্রবাসী জানান, আতাউর রহমান তালুকদার মনেপ্রাণে আওয়ামীলীগকে ভালোবাসেন । আওয়ামীলীগের জন্য তার অবদান কোন ভাবে অস্বীকার করা যায় না। বছরের পর বছর তিনি আওয়ামীলীগের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। আতাউর রহমান একজন ভালোমানুষ । তিনি অতি আবেগী। আবেগ ধরে না রাখতে পেরে একটি ভুল কথা তার মুখ দিয়ে বেরিয়ে গেছে। এটার জন্য তিনি অনুতপ্ত। প্রধানমন্ত্রীর কাছে তিনি ক্ষমাও চেয়েছেন। তবে এটা নিয়ে একটা মহল ঘোলাপানিতে মাছ শিকার করতে চায় । যেটা কখনো সফল হবে বা। কারন সূদুর যুক্তরাজ্যে বসে আওয়ামীলীগের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন প্রবাসী আমীর আতাউর রহমান তালুকদার। ইতোমধ্যে তিনি যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগের কাছে একজন একনিষ্ঠ কর্মী হিসেবে ব্যাপক পরিচিত এবং সুনাম অর্জন করেছেন। আওয়ামীলীগের জন্য একজন নিবেদিত প্রাণ প্রবাসীআমীর আতাউর রহমান তালুকদার। কোন লোভ লালসা কিংবা চাওয়া পাওয়ার জন্য নয় ,জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি ভালোবাসা এবং জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি গভীর শ্রদ্ধাবোধ থেকেই তিনি আওয়ামীলীগ করেন। যুক্তরাজ্যে আওয়ামীলীগের প্রতিটি কর্মকান্ডে নিজেকে সম্পৃক্ত করেন।
জন্ম থেকেই প্রবাসী আমীর আতাউর রহমান তালুকদার বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রানিত হয়ে আওয়ামীলীগে নিজেকে সম্পৃক্ত করেন। একমূর্হুতের জন্যও তিনি আর্দশ বিচ্যুত হননি। কারন তিনি ভালোবাসেন বঙ্গবন্ধুকে। ভালোবাসেন আওয়ামীলীগকে। ১৯৮৬ সালে যুক্তরাজ্যে যান প্রবাসী আমীর আতাউর রহমান তালুকদার। সেই থেকে আজ পর্যন্ত আওয়ামীলীগের প্রতিটি কর্মকান্ডে তার সম্পৃক্ততার কথা জানা গেছে।
যুক্তরাজ্যে আসার পর থেকে আওয়ামীলীগের প্রতিটি কর্মকান্ডে সক্রিয় থাকেন প্রবাসীআমীর আতাউর রহমান তালুকদার সপ্তাহে অন্তত ২/৩ দিন যুক্তরাজ্যের লন্ডনস্থ আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের বিভিন্ন কর্মকান্ডে অংশ নেন তিনি। এসব কর্মাকান্ডে অংশ নেন কারন তিনি আওয়ামীলীগকে ভালোবাসেন।
এর আগের গতবছর সেপ্টেম্বর মাসে আওয়ামীলীগ সভানেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা যুক্তরাজ্য সফরে এলে প্রবাসী আমীর আতাউর রহমান তালুকদার তার সাথে সাক্ষাতের সুযোগ পান। এসময় তিনি জননেত্রীর সামনে বক্তব্য দেয়া কালে আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন। প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রবাসী আমীর আতাউর রহমান তালুকদার আওয়ামীলীগের জন্য তার ত্যাগ শ্রম আর আবেগ তুলে ধরেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মনোযোগ দিয়ে প্রবাসী আমীর আতাউর রহমান তালুকদারের আবেদন শুনেন এবং তিনি তাৎক্ষনিক যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদককে নির্দেশ দেন প্রবাসী আমীর আতাউর রহমান তালুকদারকে যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগের কার্যনির্বাহী সদস্য করে নিতে। এজন্য প্রবাসী আমীর আতাউর রহমান তালুকদার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রীর কাছে।