বক্তাবলী ফেরীঘাট সংলগ্ন গরুর হাট জমে উঠেছে

249

নারায়ণগঞ্জের সদর ও বিভিন্ন উপজেলা গুলোতে ইজারা পাওয়া হাটগুলো বসতে শুরু করেছে। হাটগুলোতে ধীরে ধীরে আসতে শুরু করেছে গরু।

শুক্রবার (২ আগস্ট) বক্তাবলী ফেরীঘাট সংলগ্ন গরুর হাট ও সদরের ফতুল্লার ডিআইটি মাঠের গরুর হাট ঘুরে এমন দৃশ্য দেখা গেছে।

বক্তাবলীর হাটে দেখা যায়, সেখানে নদীপথে আসছে গরু। নদীতে ট্রলারে করে গরুগুলো নিয়ে আসছেন ব্যাপারীরা। পাশাপাশি তাদের নিজেদের থাকা খাওয়ার কিছু আসবাবপত্রও সাথে আনছেন। ইতোমধ্যে হাটের এক চতুর্থাংশ অংশে গরু বাধা অবস্থায় দেখা যায় হাটটিতে।

একই অবস্থা ফতুল্লা গরুর হাটে। সেখানে নদীপথে ট্রলারে গরু আনছেন ব্যাপারীরা। আগে আগে গরু এনে নিজেদের স্থান নির্বাচন করে সেখানে অনেকে বালু দিয়ে উঁচু করছেন নিজ খরচে। অনেকেই ৫০ থেকে ৭০টি গরু আনছেন আবার অনেকেই দলভুক্তভাবে অনেক গরু একসাথে আনছেন। গরুর সংখ্যা বেশি হওয়ায় তারা আগেভাগেই এসে স্থান নির্বাচন করে গরুগুলো উঠাতে শুরু করেছেন।

বক্তাবলীর গরুর হাটে আসা ব্যাপারী আয়নাল জানান, তিনি নিজের গরুর খামারে গরু লালন পালন করার পরও সিরাজগঞ্জের শাহাজাদপুর থেকে গরু নিয়ে এসেছেন এখানে। প্রায় ৫০ টি গরু তার ও তার আত্মীয়ের। তিনি আগেভাগেই এসে হাটের একটি উঁচু ও ভালো জায়গা নিয়েছেন। ৫০টি গরু বিক্রি শেষ হলে তিনি আবারো গরু আনবেন বলে জানান। এখনো গরুর ক্রেতা নেই বলে জানান আয়নাল।

ফতুল্লা হাটে আসা ফরিদপুরের কামরুল ব্যাপারী জানান, তিনি প্রতি বছরের মত এবারো ফতুল্লা হাটে গরু এনেছেন। আগে ভাগে এসে গরুর জন্য স্থান নির্বাচন ও বালু নিজ খরচে দিয়ে স্থানটি উঁচু করেছেন। তিনি ও তার সাথেও কয়েকজন মিলে মোট ৩০ টির মত গরু এনেছেন বলে জানান তিনি। তবে সবগুলো একসাথে না ধীরে ধীরে হাটে উঠাবেন তিনি।

তবে গরু নিয়ে আসার পথে নৌপথে চাঁদাবাজি বা কোন রকমের হয়রানির অভিযোগ তুলেছেন না ব্যাপারীরা। চাঁদাবাজি যেন না হয় সেদিকের আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সজাগ দৃষ্টি কামনা করেছেন তারা।