নিউজ প্রতিদিন ডট নেট : নারায়ণগঞ্জ শহরের লঞ্চ টার্মিনাল ঘাট এলাকার শীতলক্ষ্যা নদী থেকে বন্দর উপজেলার স্বাস্থ্য কেন্দ্রের সেবিকা (নার্স) নাজনীন আক্তারের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ । প্রথমে অজ্ঞাতনামা হিসেবে নার্স নাজনীনের লাশ উদ্ধার করলেও বন্দর থানায় ঈদের দিন নিহতের বাবা গোল্লার শিকদারের দায়ের করা জিডির প্রেক্ষিতে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলামের অনুরোধে লাশ দেখতে এসে পরিচয় মিলে নিহতের ।
তিনি ঈদের দিন সকাল থেকে নিখোজ হন বলে জানান নিহতের বাবা, বোন শিপা আকতার ও ভাই বায়েজিত ।
৩ অগাস্ট মঙ্গলবার দুপুরে শীতলক্ষ্যা নদীতে লাশটি ভাসতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে মর্গে পাঠায় নারায়ণগঞ্জ সদর থানা পুলিশ।
নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এস আই) ফয়সাল হাওলাদার জানান, অজ্ঞাত পরিচয়ে নারীর লাশ শীতলক্ষ্যা নদীতে ভাসতে দেখে স্থানীয়রা খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর পর বন্দর থানা থেকে খবর পেয়ে লাশ শনাক্ত করে নিহতের বাবা, বোন ও ভাই । তবে এটি হত্যা কি না ময়নাতদন্তের পর বলা যাবে।
বন্দর থানায় দায়ের করা জিডির তদন্তে দায়িত্বে থাকা উপ পরিদর্শক প্রদ্যুৎ সরকার বলেন, নিহত নাজনীন আক্তারের সাথে তরিকুল ইসলামের বিয়ে হয়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে । আসলেই কি ঘটনা তা তদন্ত না করে বলা যাবে না ।
নারায়ণগঞ্জ সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) গোলাম মোস্তফা বলেন, নিহত নারী বন্দর থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সেবিকা হিসেবে চাকরী করতেন । তার সাথে সাতক্ষিরা জেলার জনৈক তরিকুল ইসলামের সাথে বিয়ে হয়েছিলো বলে শুনতেছি ।








