নিউজ প্রতিদিন: ফতুল্লায় খাদ্যের দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ফতুল্লা ইউনিয়নের ২ ও ৩ নং ওয়ার্ডবাসী। খাদ্য সামগ্রী না পেয়ে ত্রাণের দাবীতে বিক্ষোভ করে রাস্তায় নেমে এসেছে নিন্ম আয়ের শত-শত নারী পুরুষ।
বুধবার দুপুর ৪ টায় নিন্ম আয়ের দরিদ্র শ্রেনীর শত-শত নারী পুরুষ ত্রানের দবীতে রাস্তায় নেমে এসে ঢাকা-নারায়নগঞ্জ পুরাতন সড়কে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে ফতুল্লা থানা গেইট হয়ে ফতুল্লা চৌধুরীবাড়ীস্থ স্বপন চেয়ারম্যানের বাড়ীর সামনে অবস্থান গ্রহন করে। সামাজিক দুরুত্ব বজায় না মেনে শত-শত নারী পুরুষ এক হয়ে বিক্ষোভ মিছিল করে।বিক্ষোভরত সকল নারী পুরুষ খাবার চাই,খাবার চাই বলে শ্লোগান দিচ্ছিলো।
দীর্ঘক্ষন অবস্থান করার পর ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষধের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান থন্দকার লুৎফর রহমানর স্বপন তাদেরকে ত্রাণ দেওয়ার আশ্বাস দিলে বিক্ষোভরত জনগণ নিজ নিজ বাড়ীতে চলে যায়।
গতকাল দুপুরে লক ডাউন ভেঙ্গে ফতুল্লা ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের নিন্ম আয়ের শত শত দরিদ্র নারী পুরুষ খাদ্র দ্রব্য ত্রাণের দাবীতে খাবার চাই চাই শোল্গান দিয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে আসে রাস্তায়। এক পর্যায়ে তারা মিছিল নিয়ে ফতুল্লা থানা গেইটে এসে বিক্ষোভ করে থানা গেইটের বিপরীতে ফতুল্লা ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান খন্দকার লুৎফর রহমান স্বপনের বাড়ীর গেইটে গিয়ে অবস্থান সহ বাড়ী ঘিরে রাখে।
এ সময় কথা হয় ৩ নং ওয়ার্ডের বাসীন্দা দিনমজুর রহমতুল্লা,জোবেদা,আকলিমা এবং ২ নং ওয়ার্ডের বাসীন্দা জহুরা,রোজিনা সহ বেশ কয়েকজনের সাথে তারা সকলেই অভিযোগের সুরে বলেন গত কয়েক দিন পূর্বে সরকার দলীয় স্থানীয় নেতা এবং ইউপি সদস্যের লোকজন এসে ত্রাণ দেয়ার জন্য ভোটার আইডি কার্ডর ফটোকপি নিয়ে যায়। কিন্তু আজকের দিন পর্যন্ত তারা কোনো ত্রাণ পায়নি।





স্থানীয়রা জানায়, নাগেরহাট গ্রামের হারুন বেপারী (৫৭) পিতা আব্দুল জলিল তিনি গত- ০৫-০৪-২০ইং তারিখে জ্বর ও শ্বাসকষ্টে নিয়ে রাজধানীর ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। পরিবারের লোকজনের আশংকা ছিলো হারুন বেপারীর শরীরে করোনার ভাইরাসের উপস্থিতি আছে। তারা দ্রুত আইইডিসিআরের সাথে যোগাযোগ করে । আইইডিসিআর মৃত হারুন বেপারীরর শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পরিক্ষার জন্য প্রেরন করে। পরবর্তীতে মৃত হারুন বেপারীকে লৌহজং উপজেলার নাগেরহাটের সাত ঘরিয়া গোরস্তানে দাফন করা হয়। মঙ্গলবার ওই মৃত ব্যক্তির রিপোর্টে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতির বিষয়টি উঠে আসে।
এছাড়াও বিদেশ ফেরত প্রবাসী ও করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে থাকা ব্যাক্তিবর্গকে ১৪ দিনের হোম কোয়ারান্টাইন অথবা নিজ ঘরে আলাদা থাকারও অনুরোধ জানান তারা।


