৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২৩শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 206

৮জুলাই পাগলা আদর্শ ইসলামী বহুমুখী সমিতির নির্বাচন

 

স্টাফ রিপোর্টার
পাগলা আদর্শ ইসলামী বহুমুখী সমবায় সমিতির নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ৮-৭-১৭ইং শনিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত সমিতির কার্যালয়ে বিরতিহীন ভাবে বিশেষ সাধারণ সভায় ব্যবস্থাপনা কমিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে একজন সভাপতি, একজন সহ-সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, যুগ্ম সম্পাদক একজন,কোষাধ্যক্ষ একজনক ও ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য ৬জন নির্বাচিত হবে।
নির্বাচনে মনোনয়নপত্র বিতরণ ৮জুন সকাল ১০-বিকেল ৪টা। মনোনয়ন ডত্র জমা ১২জুন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা। মনোনয়ন পত্র বাছাই( প্রার্থীদের উপস্থিতিতে যদি কেহ উপস্থিত থাকেন),বৈধ ও বাতিলকৃত প্রার্থীদের প্রাথমিক খসড়া তালিকা প্রকাশ ১৩জুন। বৈধ ও বাতিলকৃত প্রার্থীদেও মনোনয়নপত্রের বিরুদ্ধ আপীল আবেদন গ্রহন ১৪-১৫জুন অফিস চলাকালীন সময়ে। আপীলের শুনানী গ্রহন ও রায় প্রকাশ ১৮-১৯-২০জুন জেলা সমবায় কার্যালয়ে। বৈধ ও বাতিলকৃত প্রার্থীদেও চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ ২১জুন। মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার(লিখিত আবেদনের মাধ্যমে) ২২জুন সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৩টা। প্রর্থীদেও মধ্যে প্রতীক বরাদ্ধ ও চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ ২৯জুন বেলা ১১টা থেকে ২টা পর্যন্ত। বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় নির্বাচিত প্রার্থীদেও তালিকা প্রকাশ(প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) ২ জুলাই বেলা ১১টা থেকে বিকাল ৩টা। ভোট গ্রহন ৮জুলাই সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত। ভোট গণনা ৮জুলাই ভোট গ্রহনের পর। ফলাফল প্রকাশ ৮জুলাই ভোট গণনার পর।

২৪ ঘণ্টার মধ্যে সুলতানা কামালকে গ্রেপ্তারের দাবি হেফাজতের

আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সুলতানা কামালকে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়ে হেফাজতে ইসলামের ঢাকা মহানগরের সহ-সভাপতি জুনায়েদ আল হাবীব বলেছেন, সুলতানা কামালকে তসলিমা নাসরিনের মতো দেশের বাইরে পাঠিয়ে দেন। তার দেশ বাংলাদেশ নয়।

শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে আয়োজিত সুপ্রিমকোট থেকে ভাস্কর্য অপসারণের দাবিতে হেফাজতে ইসলামের এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এই দাবি জানান।

মাওলানা জুনায়েদ আল হাবীব বলেন, ‘ভাস্কর্য থাকতে না দিলে মসজিদ থাকতে দেয়া হবে না- এমন কথা বলার সাহস হলো কিভাবে সুলতানা কামালের। সুলতানা কামাল রাজপথে নেমে দেখুন, হাড্ডি-গোস্ত রাখা হবে না।’

তিনি বলেন, বদরের যুদ্ধ এই রমজান মাসে হয়েছে। মক্কায় যত মূর্তি সরনো হয়েছে, সেটা রমজান মাসেই সরানোর হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান বিচারপতি মূর্তি কি এখান থেকে সরাবেন? নাকি আমরা আসব? যদি আমাদের আসতে হয়, বাংলাদেশে পূজা মণ্ডপ ছাড়া আর কোথাও মূর্তি রাখা হবে না।

প্রশাসন ও সরকারকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলন,  আমরা যে আসতে পারি, আপনাদের নিশ্চয় তা জানা আছে। ২৪ ঘণ্টায় কোটি মানুষ ঘেরাও করবে হাই কোর্ট। মেহেরববানি করে আমাদের আসতে বাধ্য করবেন না। আমরা যে দিন আসব, পুলিশ ঠেকাতে পারবে না। আমরা যে দিন আসব, কাফনের কাপড় হাতে নিয়ে আসব।

হেফাজত নেতা মাওলানা মামুনুল হক বলেন, ‘বাংলাদেশ স্পষ্টভাবে দু’টি শিবিরে বিভক্ত। একটি মূর্তির পক্ষে, অন্যটি মূর্তির বিরুদ্ধে। সুপ্রিম কোর্টের সামনে মূর্তি স্থাপন করা হয়েছে ভিনদেশি এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য। সুপ্রিম কোটের কোন স্থানেই মূর্তি থাকতে দেয়া হবে না।

ঢাকা মহানগর হেফাজতের সহ সভাপতি মুজিবুর রহমান পেশওয়ারী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী, আপনি কলা ঝুলিয়ে মুলা খাওয়ালেন। তিন চারজন লোকের কারণে আপনার ভোট বাক্স কমছে। ৫ জানুয়ারির নির্বাচন সামনে আশা করবেন না। আগামী নির্বাচনে স্বয়ং মোদি এসে আপনাকে ক্ষমতায় বসাতে পারবেন না।

মাওলানা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘ওরা বলে ভাস্কর্য আর মূর্তি এক জিনিস না। মূর্তির চেয়ে ভাস্কর্য আরো খারাপ। মূর্তির পূজা করে সামান্য গুটি কয়েক হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকেরা।  আর ভাস্কর্য পূজা করে মৃণাল হক, সুলতানা কামাল, শাহরিয়ার কবির, ইমরান এইচ সরকাররা। এসব নাস্তিক-মুরতাদরা ভাস্কর্য পূজা করে। এসব ডিজিটাল নাস্তিকদের বাংলার জমিন থেকে ভাস্কর্যসহ ভারতে পাচার করে দেয়া হবে। মৃণাল হক সুপ্রিম কোর্টের সামনে জঙ্গিবাদ শুরু করেছে। সুপ্রিম কোর্টের সামনে দেবীর হাতে তরবারি দিয়েছে। এদের গ্রেফতার করে শাস্তি দিতে হবে।’

সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা নূর হোছাইন কাসেমী বলেন, ‘গ্রিক দেবী অপসারণের কারণে আমার গত শুক্রবার ধন্যবাদ জানিয়েছিলাম প্রধানমন্ত্রীকে। কিন্তু অত্যন্ত ব্যথা বেদনার সঙ্গে আজ আমাদের প্রতিবাদ সমাবেশে সমবেত হতে হয়েছে। মূর্তি অপসারণের পর আবার প্রতিস্থাপন তামাশা, এছাড়া আর কিছু নয়। অনতিবিলম্বে মূর্তি অপসারণ করা হোক, না হলে রমজানের পরে বৃহৎ আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে বিশ্বাসী, জ্বালাও-পোড়াও এ বিশ্বাসী না।’

নারায়ণগঞ্জে রূপগঞ্জে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে পুলিশের বিশেষ অভিযানে দু’টি রকেট লঞ্চার, ৬০টি এম-১৬ রাইফেল, ৪০টি ম্যাগজিন, গ্রেনেড ও বিপুল পরিমাণ গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। এসব অস্ত্র মজুদের সঙ্গে জড়িত সন্দেহ পুলিশ তিনজনকে আটক করেছে।

শুক্রবার সকালে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফারুক হোসেন এই তথ্য জানান। বৃহস্পতিবার রাতে রূপগঞ্জের পূর্বাচল ৫ নম্বর সেক্টরে অভিযান শুরু হয়। অভিযান এখনো চলছে বলেও জানান তিনি।

নারায়ণগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ওসি মাহমুদুল ইসলাম জানান, বুধবার রকেট লঞ্চারসহ শরীফ নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পরিত্যাক্ত অবস্থায় বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।

বক্তাবলীতে জিয়াউর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকী পালন

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাস্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৩৬ তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বক্তাবলী ইউনিয়ন ৯ নং ওয়ার্ড বিএনপির উদ্যোগে আলোচনা সভা,মিলাদ ও কাঙ্গালী ভোজ অনুষ্ঠিত হয়।শুক্রবার (২ রা জুন) বিকালে বক্তাবলীর চরবয়রাগাদী আব্দুল খালেক মেম্বার মার্কেটে অনুষ্ঠিত হয়।

৯ নং ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি মোহাম্মদ আলী মাহমুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন,জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবি দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারন সম্পাদক মিলন মেহেদী।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি মিলন মেহেদী বলেন, মহান স্বাধীনতার ঘোষক সাবেক রাস্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমানের একজন কর্মী হতে পেরে নিজেকে গর্বিতবোধ মনে করি। আধুনিক গ্রাম-বাংলার রুপকার জিয়াউর রহমান ছিলেন বাঙ্গালী জাতির মধ্যমনি। তিনি আজ আমাদের মাঝে নেই রয়েছে তার রেখে যাওয়া আদর্শ। তার সেই আদর্শেই অনুপ্রেনিত হয়ে আগামী বাংলাদেশকে সুন্দরভাবে গড়তে আমরা বেচেঁ রয়েছি শহীদ জিয়ার লক্ষ-কোটি সৈনিক।

উপস্থিত ছিলেন,ইউনিয়ন বিএনপি ,সিনিয়র সহ সভাপতি আলাউদ্দিন বারী,সাংগঠনিক সম্পাদক মন্জুর আলী মন্জু,বিএনপি নেতা মতিউর রহমান ফকির,জাহাঙ্গীর ফকির,আলমগীর হোসেন,মতিউর রহমান,যুবদল নেতা আব্দুল হাকিম,জাকির হোসেন,আবু বক্কর সিদ্দিকসহ স্থানীয় এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

 

পরে দুঃস্থদের মধ্যে রান্না করা খিচুরী বিতরন করেন অতিথি বৃন্দ।

৪ লাখ ২৬৬ কোটি টাকার বাজেট পেশ

নতুন অর্থবছরে ৪ লাখ ২৬৬ কোটি টাকা ব্যয়ের ফর্দ জাতীয় সংসদের সামনে উপস্থাপন করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

প্রস্তাবিত বাজেটের এই ব্যয় বিদায়ী ২০১৫-১৬ অর্থবছরের মূল বাজেটের চেয়ে ১৭ শতাংশ এবং সংশোধিত বাজেটের চেয়ে ২৬ শতাংশের বেশি।

বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে তিনি এ বাজেট পেশ করেন। ২০২১ সালে মধ্যম আয়ের ও ’৪১ সালে উন্নত রাষ্ট্র গড়ার লক্ষ্যকে সামনে রেখে এ বাজেট প্রণয়ন করা হয়েছে।

বাজেটে মোট রাজস্ব আয় ধরা হয়েছে ২ লাখ ৮৭ হাজার ৯৯০ কোটি টাকা। এরমধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড সূত্রে আয় ধরা হয়েছে ২ লাখ ৪৮ হাজার ১৯০ কোটি টাকা। এছাড়া এনবিআর বহির্ভূত সূত্র থেকে কর রাজস্ব ধরা হয়েছে ৮ হাজার ৬২২ কোটি টাকা। কর বহির্ভূত খাত থেকে রাজস্ব আয় ধরা হয়েছে ৩১ হাজার ১৭৯ কোটি টাকা।

প্রস্তাবিত বাজেটে অনুন্নয়নসহ ব্যয় ধরা হয়েছে ২ লাখ ৩৪ হাজার ২৬২ কোটি টাকা। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আকার ধরা হয়েছে ১ লাখ ৫৫ হাজার ২৫২ কোটি টাকা। প্রস্তাবিত বাজেটে সার্বিক বাজেট ঘাটতি ১ লাখ ২১ হাজার ১৬৮ কোটি টাকা দেখানো হয়েছে। এ ঘাটতি অর্থায়নে বৈদেশিক সূত্র থেকে ৬০ হাজার ৮১৬ কোটি টাকা এবং অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ৬০ হাজার ৩৫২ কোটি টাকা। অভ্যন্তরীণ উৎসের মধ্যে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে ২৮ হাজার ২০৩ কোটি টাকা, সঞ্চয়পত্র ও অন্যান্য ব্যাংক বহির্ভূত উৎস থেকে ৩২ হাজার ১৪৯ কোটি টাকা সংস্থানের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

প্রস্তাবিত বাজেটে মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৭.৪ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া প্রস্তাবিত বাজেটে মূল্যস্ফীতি ৫.৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। এর আগে সংসদ ভবনের মন্ত্রিসভা কক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিপরিষদের সভায় প্রস্তাবিত বাজেট অনুমোদন করা হয়। এরপরই রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ প্রস্তাবিত বাজেট অনুমোদন করেন।নতুন অর্থবছরে ৪ লাখ ২৬৬ কোটি টাকা ব্যয়ের ফর্দ জাতীয় সংসদের সামনে উপস্থাপন করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

প্রস্তাবিত বাজেটের এই ব্যয় বিদায়ী ২০১৫-১৬ অর্থবছরের মূল বাজেটের চেয়ে ১৭ শতাংশ এবং সংশোধিত বাজেটের চেয়ে ২৬ শতাংশের বেশি।

বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে তিনি এ বাজেট পেশ করেন। ২০২১ সালে মধ্যম আয়ের ও ’৪১ সালে উন্নত রাষ্ট্র গড়ার লক্ষ্যকে সামনে রেখে এ বাজেট প্রণয়ন করা হয়েছে।

বাজেটে মোট রাজস্ব আয় ধরা হয়েছে ২ লাখ ৮৭ হাজার ৯৯০ কোটি টাকা। এরমধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড সূত্রে আয় ধরা হয়েছে ২ লাখ ৪৮ হাজার ১৯০ কোটি টাকা। এছাড়া এনবিআর বহির্ভূত সূত্র থেকে কর রাজস্ব ধরা হয়েছে ৮ হাজার ৬২২ কোটি টাকা। কর বহির্ভূত খাত থেকে রাজস্ব আয় ধরা হয়েছে ৩১ হাজার ১৭৯ কোটি টাকা।

প্রস্তাবিত বাজেটে অনুন্নয়নসহ ব্যয় ধরা হয়েছে ২ লাখ ৩৪ হাজার ২৬২ কোটি টাকা। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আকার ধরা হয়েছে ১ লাখ ৫৫ হাজার ২৫২ কোটি টাকা। প্রস্তাবিত বাজেটে সার্বিক বাজেট ঘাটতি ১ লাখ ২১ হাজার ১৬৮ কোটি টাকা দেখানো হয়েছে। এ ঘাটতি অর্থায়নে বৈদেশিক সূত্র থেকে ৬০ হাজার ৮১৬ কোটি টাকা এবং অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ৬০ হাজার ৩৫২ কোটি টাকা। অভ্যন্তরীণ উৎসের মধ্যে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে ২৮ হাজার ২০৩ কোটি টাকা, সঞ্চয়পত্র ও অন্যান্য ব্যাংক বহির্ভূত উৎস থেকে ৩২ হাজার ১৪৯ কোটি টাকা সংস্থানের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

প্রস্তাবিত বাজেটে মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৭.৪ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া প্রস্তাবিত বাজেটে মূল্যস্ফীতি ৫.৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। এর আগে সংসদ ভবনের মন্ত্রিসভা কক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিপরিষদের সভায় প্রস্তাবিত বাজেট অনুমোদন করা হয়। এরপরই রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ প্রস্তাবিত বাজেট অনুমোদন করেন।

লুটপাট ও চুরির বাজেট: খালেদা জিয়া

????????????????????????????????????

নতুন অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটকে আওয়ামী লীগের বাজেট বলে অভিহিত করেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। খালেদা বলেছেন, ‘এ বাজেট লুটপাটের বাজেট। এই বাজেট অর্থমন্ত্রীর নয়, শেখ হাসিনার বাজেট।’

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সুপ্রিমকোর্টে আইনজীবীদের এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

খালেদা জিয়া বলেন, এটি নিজেদের পকেট ভারী করার বাজেট। এই বাজেট অর্থমন্ত্রী তৈরি করেননি, এটি শেখ হাসিনার কথামতো তৈরি করা হয়েছে।

বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন,  বাজেটের কী দরকার? প্রত্যেক বারই তো বাজেট করা হয় এবং সে বাজেট শেষ হয়।

তিনি অভিযোগ করেন, নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে সরকার। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির মতো নির্বাচনের চেষ্টা করছে তারা। সরকারের এই অপচেষ্টা সফল হবে না। ৫ জানুয়ারির মতো নির্বাচনের চেষ্টা করলে, সেখান থেকেই সরকারকে বিদায় নিতে হবে।

ফতুল্লায় তিন ব্ল্যাকমেইলার গ্রেফতার

 

নিজস্ব প্রতিবেদক

মহিলা দিয়ে প্রতারনার মাধ্যমে চাকুরীজীবীকে ব্যাকমেইলিং করে টাকা ও মটরসাইকেল হাতিয়ে নেয়ার ঘটনায় প্রতারকচক্রের ৩ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ। ২৯ মে সোমবার বিকার ৪টায় দাপা সাহারা সিটি সংলগ্ন পাকিস্তানী বিল্ডিং এলাকা তেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। পরে তাদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক প্রতারিত ব্যাক্তির মটরসাইকেল উদ্ধার করে পুলিশ।  গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে রহমানের ছেলে ডাকাত টুটুল(৩০), আফজালের ছেলে বোতল রাসেল(৩৫) ও মৃত আব্দুস সালামের ছেলে মামুন(২৫) । দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত এ অভিযানের নেতৃত্ব দেন ফতুলা মডেল থানা ওসি(অপারেশন) মজিবুর রহমান ও এএসআই কামরুল হাসান। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসা ও ডাকাতির মামলা রয়েছে।

মামলার বাদী শিকার আবু বক্কর সিদ্দিক জানায়, গত শনিবার রাতে ১০/১২জনের একটি সংঘবদ্ধ প্রতারকচক্র মোবাইল ফোনে একটি মেয়েকে দিয়ে তাকে ও তার সহকর্মী আসাদুজ্জামান টুটুলকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে তাকে দাপা ইদ্রাকপুর পাইলট স্কুল সংলগ্ন পাকিস্তানি বিল্ডিং এলাকায় নিয়ে আসে। এখানে আসার পর তাকে বাড়ির মধ্যে আটক রেখে ওই মেয়েকে পাশে দাঁড় করিয়ে ছবি তুলে মারধর করে হাতে থাকা স্বর্নের আংটি, মোবাইল, টাকা ও মটরসাইকেল রেখে দেয়। এ সময় সিদ্দিকের ব্যাংক একাউন্টের এটিএম কার্ডের মাধ্যমে বুথ থেকে আরো ১০ হাজার টাকা তুলে নেয়। পরে রাত ৩টায় ভয়ভীতি দেখিয়ে সাদা কাগজে স্বাক্ষর রেখে আরো পঞ্চাশ হাজার টাকা আনার জন্য ছেড়ে দেয়। এতে ভীত হয়ে চাকুরীজীবি সিদ্ধিক ও টুটুল আরো ২০ হাজার প্রদান করলেও তাদের হোন্ডা কিংবা স্বর্নালঙ্কার কিছুই ফেরত দেয়।

এ ঘটনায় প্রতারনার শিকার টুটুল ফতুলা মডেল থানায় অভিযোগ দিলে পুলিশ গত রোববার মধ্যরাত থেকে অভিযানে নামে। একপর্যায়ে সোমবার বিকালে সাহারা সিটি এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রতারক চক্রের ৩ সদস্যকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হলেও ডাকাত রকিম(৩০)পিতা আমির হোসেন, তালিবুল(২৫)পিতা- আব্দুর রব, রাজু পিতা অজ্ঞাত, শিশির দেওয়ান পিতা মৃত আরশাফ দেওয়ানসহ প্রায় ৮/১০জন পালিয়ে যায়। পরে তল্লাশি চালিয়ে পাকিস্তানী বিল্ডিংয়ের নীচে কামরুল ইসলাম অপু‘র মালিকানাধীন প্রভাবশালী নেতাদের ছবি টানানো স্থানীয় একটি অফিসে তল্লাশি চালিয়ে ছিনতাইকৃত হোন্ডার কাগজপত্র ও প্রতারনার শিকার ব্যাক্তিদের কাছ থেকে জোরপূর্বক আদায়কৃত স্বাক্ষরযুক্ত সাদা কাগজ এবং পাইলট স্কুল সংলগ্ন একটি গ্যারেজ থেকে হোন্ডা উদ্ধার করা হয়। এ ব্যাপারে ফতুলা মডেল থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মজিবুর রহমান জানান,এ ঘটনার সাথে আরো ক’জন জড়িত রয়েছে,তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

ফতুল্লার রিপোর্টার্স ইউনিটি থেকে মুন্না পদত্যাগ

প্রেস বিজ্ঞপ্তি : ফতুল্লার রিপোর্টার্স ইউনিটি থেকে প্রচার সম্পাদক মো: মামুনুর রশিদ মুন্না স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছে। শনিবার দুপুরে ফতুল্লার রিপোর্টার্স ইউনিটির প্রচার সম্পাদক মো: মামুনুর রশিদ মুন্না স্বাক্ষরিত এক প্রেসবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, সংগঠনের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক তার সাথে অশোভন আচরন করায় তিনি ফতুল্লার রিপোর্টার্স ইউনিটি থেকে প্রচার সম্পাদকের পদসহ সাধারন সদস্য পদ থেকেও স্বেচ্ছায় অব্যাহতি নিয়েছেন।

সাংবাদিকের পকেটে ইয়াবা ঢোকাতে গিয়ে জনরোষে পালিয়ে গেল পুলিশ !

সাংবাদিকের পকেটে ইয়াবা বড়ি ঢোকাতে গিয়ে জনতার হাতে ধরা খেলেন পুলিশের এক উপপরিদর্শক (এসআই) ও তার সহযোগি দুই কনস্টেবল। পরে প্রায় আধা ঘন্টা ক্ষুব্দ জনতার হাতে অবরুদ্ধ থাকার পর ক্ষমা চেয়ে পালিয়ে যায় ওই পুলিশ সদস্যরা।
ঘটনাটি ঘটেছে গত সোমবার নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার মোগরাপাড়া চৌরাস্তার লিজা ফিলিং স্টেশনের সামনে। এ ঘটনায় পুলিশের ওই এসআই সহ তিনজনের শাস্তির দাবিতে পুলিশ সদর দপ্তর ও পুলিশ সুপারের বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। মাজহারুল ইসলাম আলোকিত সময়ের স্থানীয় প্রতিনিধি।
লিখিত অভিযোগে মাজহারুল ইসলাম উল্লেখ করেন, গত সোমবার রাতে প্রেসক্লাব থেকে রিকশাযোগে বাড়ি ফেরার পথে মোগরাপাড়া চৌরাস্তার লিজা ফিলিং স্টেশনের সামনে সোনারগাঁ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মফিজুল ইসলাম ও তার সহযোগি দুই কনস্টেবল হারুন মিয়া ও হালিম মিয়া দৈনিক আলোকিত সময় পত্রিকার সোনারগাঁ প্রতিনিধি মাজহারুল ইসলামের পথরোধ করে। এ সময় তার পকেটে ইয়াবা বড়ি ঢুকিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হলে সে চিৎকার করে রাস্তার পাশে ল্যাম্পপোস্টের আলোর নিচে চলে আসে। চিৎকার শুনে মোগরাপাড়া চৌরাস্তার কাঁচা বাজারের ব্যবসায়ীরাসহ স্থানীয় জনতা ছুটে আসেন। পরে সাংবাদিক মাজহারুল ইসলাম উপস্থিত জনতাদের বলে যে পুলিশ তার পকেটে ইয়াবা বড়ি ঢুকিয়ে থানায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। এসময় উত্তেজিত জনতা পুলিশের ওই এসআই ও দুই কনস্টেবলের কাছে জানতে চাইলে এসআই মফিজুল ইসলাম জানায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা আছে। পরে উপস্থিত সবাই গ্রেপ্তারী পরোয়ানার কাগজ দেখতে চাইলে এসআই মফিজুল কোন কাগজ দেখাতে পারেনি। এসময় উপস্থিত জনতা উত্তেজিত হয়ে এসআই ও দুই কনস্টেবলকে প্রায় আধাঘন্টা অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে এসআই মফিজুল ইসলাম ও তার দুই সহযোগি কনস্টেবল ক্ষমা চেয়ে ঘটনাস্থল থেকে কেটে পড়েন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত সোমবার রাত ১০ টার দিকে লিজা ফিলিং স্টেশনের সামনে কয়েকজন পুলিশ সদস্যদের দেখা পান একজন পথচারীর সঙ্গে জবরদস্তি করে পকেটে হাত দেওয়ার চেষ্টা করছেন। পথচারীর চিৎকার শুনে সামনে এগিয়ে গেলে পুলিশ সদস্যরা জানায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারী পরোয়ারা আছে। কিন্তু পুলিশ সদস্যরা কোন গ্রেপ্তারী পরোয়ারার কাগজ দেখাতে পারেনি। পরে পুলিশ সদস্যরা ক্ষমা চেয়ে কেটে পড়েন।

সাংবাদিক মাজহারুল ইসলাম জানান, সম্প্রতি সোনারগাঁয়ের আনন্দবাজারে যুবকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার, সোনারগাঁ ডিগ্রী কলেজের সামনে অটোরিকশা চালককে গলাকেটে হত্যাসহ খুন, গণডাকাতি ও মাদকের ভয়াবহতা বেড়ে যাওয়ায় গত ১৫ মে দৈনিক আমাদের আলোকিত সময় পত্রিকায় “আইন শৃঙ্খলার চরম অবনতি, আতঙ্কে সোনারগাঁবাসী” সংবাদ প্রকাশিত হয়।
এ সংবাদ প্রকাশের পর থেকে সোনারগাঁ থানার উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আমাকে বিভিন্ন সময় হুমকি দিচ্ছে। এর জের ধরে গত সোমবার রাতে প্রেসক্লাব থেকে বাড়ি ফেরার পথে আমার পকেটে ইয়াবা বড়ি ঢুকিয়ে থানায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে সোনারগাঁ থানার এসআই মফিজুল ইসলাম ও তার সহযোগি দুই কনস্টেবল হারুন মিয়া ও হালিম মিয়া।
জানা যায়, প্রাচীন বাংলার রাজধানী সোনারগাঁয়ে সম্প্রতি একের পর এক খুন, মাদকের ছড়াছড়ি, চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের ঘটনার সঙ্গে জড়িত বড় বড় অপরাধীরা ধরা ছোয়ার বাইরে থাকার কারনে অপরাধের মাত্রা দিনের পর দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। সোনারগাঁয়ে অন্য যে কোনো সময়ের তুলনায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির এ অবনতির পেছনে এলাকাবাসী ও রাজনৈতিক দলের নেতারা থানা পুলিশকে দায়ী করে বিভিন্ন সভা সমাবেশে বক্তব্য দিচ্ছেন। গত ১০ মে ও ২০ মে থানা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক মাহফুজুর রহমান কালাম মাদক বিরোধী সভায় পুলিশের কঠোর সমালোচনা করেন।

এ ব্যাপারে সোনারগাঁ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মফিজুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

ভাস্কর্য অপসারণের পেছনে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্য’

বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালতে স্থাপিত গ্রিক দেবীর ভাস্কর্য অপসারণ করা হয়েছে৷ অনেকে মনে করছেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক ফায়দা হাসিল করতেই ভাস্কর্যটি অপসারণ করেছে৷

বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ভাস্কর্যটি অপসারণের পর বিষয়টি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা চলছে বাংলাদেশ জুড়ে৷ রাস্তায়ও নেমেছেন অনেকে৷

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক স্নেহাদ্রী চক্রবর্ত্তী রিন্টু বলেন, নির্বাচনী রাজনীতির সাথে মিলিয়ে আওয়ামী লীগ ভাস্কর্য সরানোর কাজটা করল৷ প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তিনিও চান না, এই ভাস্কর্য এখানে থাকুক৷ এই কথাটাই যথেষ্ট৷ মৌলবাদী শক্তির সাথে সম্পর্ক রেখে, তাদেরকে কাজে লাগানোর অংশ হিসাবে প্রধানমন্ত্রী এই কাজ করেছেন৷

বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সদ্য সাবেক সভাপতি সৈকত মল্লিক বলেন, যারা এটা অপসারণের দাবি করেছেন, তারা সম্ভবত জানেন না, মূর্তি ও ভাস্কর্য এক বিষয় না৷ তিনি মনে করেন, হেফাজতে ইসলামের দাবির প্রেক্ষিতে এটা অপসারণ, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের আকাঙ্ক্ষার সাথে সাংঘর্ষিক৷ সরকার এখানে নিরাপদ দূরত্বে থাকছেন৷ একদিকে হেফাজতে ইসলাম, অন্যদিকে প্রগতিশীলরা৷

ছাত্র ইউনিয়ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সভাপতি তুহিন কান্তি দাস বলেন, কাল রাতে ভাস্কর্য অপসারণ করা হয়েছে, এটা নতুন কোনো ঘটনা নয়৷ এর আগে আমরা দেখেছি, হেফাজতের দাবির প্রেক্ষিতে পাঠ্যপুস্তকে সাম্প্রদায়িকীকরণ করা হয়৷ কোনো ধরণের বিচার বিশ্লেষণ ছাড়া মাস্টার্সের মান দিয়ে দিলেন৷ তাছাড়া প্রধানমন্ত্রী যখন নিজেই বলেন, হাই কোর্টে ভাস্কর্য থাকা তার পছন্দ না৷ তখন বোঝা যায়, সরকার হেফাজতের সাথে আপোশ করে ক্ষমতায় থাকতে চায়৷ এটা বাংলাদেশের স্বাধীনতার চেতনার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা৷

রাজনীতিতে বিরোধিতা থাকলেও একই সুরে বিষয়টিকে আদালতের উপরেই ছেড়ে দেয়ার পক্ষে ছাত্রলীগ ও ছাত্রদল৷ সংসদের বাইরে থাকা বিরোধী দল বিএনপির অঙ্গ সংগঠন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি রাজীব আহসান বলেন, এটা সরকার ও সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্ত৷ সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এবং অন্যরা যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তার প্রেক্ষিতে ভাস্কর্যটি অপসারণ করা হয়েছে৷

আমাদের কথা হচ্ছে, এই ভাস্কর্য স্থাপনের সময়ই এই বিষয়গুলো চিন্তা করা উচিত ছিল৷ অপসারণের বিষয়ে আমাদের মন্তব্যের কী আছে৷

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকির হোসেন বলেন, এটা আদালতের বিষয়৷ অপসারণের জন্য আদালত যদি রায় দিয়ে থাকে, তাহলে করে ফেলবে৷ আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল৷ আদালত যে রায় দেবে, সেটার প্রতিও আমাদের শ্রদ্ধা আছে৷

অপরাজেয় বাংলার মতো ভাস্কর্যগুলোও অপসারণের দাবি উঠলে আপনাদের অবস্থান কী হবে– জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা কোনো দাবি হতে পারে না৷ এ রকম কোনো দাবি এলে ছাত্রলীগ অতীতের মতো করে সেটাকে প্রতিহত করবে৷

ভাস্কর্য অপসারণ প্রসঙ্গে গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার বলেন, সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এই ভাস্কর্যকে ব্যবহার করা হয়েছে৷ এটা তৈরি বা ভাঙা কোনোটার সাথেই বাংলাদেশের জনগণ অবহিত নয়৷ মানুষ জানেও না কবে এটা তৈরি করা হয়েছে৷ উদ্দেশ্যমূলকভাবে এই পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছে৷

ইমরান এইচ সরকার আরো বলেন, আপনি জানেন, দেশে নানানকরম সমস্যা৷ দেশে হত্যা-গুম থেকে শুরু করে প্রতিদিন ধর্ষণ হচ্ছে৷ মানুষ কথা বলতে পারছে না৷ সামগ্রিক এই বিষয়গুলোকে আড়াল করতে এটাকে একটা ইস্যু বানানো হয়েছে৷ এখন আবার সেটাকে ভাঙা হয়েছে, মৌলবাদীদের কাছাকাছি নেয়ার জন্য৷

উচ্চ আদালতের আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়াও বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ৷ তিনি বলেন, এটা বসানোর ফলে আইন অঙ্গনে বিরাট কোনো পরিবর্তন হয়েছে বলে আমার মনে হয়নি৷ এটাকে ন্যায় বিচারের প্রতীক হিসাবে বসানো একটা প্রতীকী বিষয়৷

বিচার অঙ্গনে সৌন্দর্য্য বর্ধনের অংশ হিসাবে হয়ত এটা বসানো হয়েছে৷ এটাতে বাংলাদেশে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা হয়ে যায় নাই৷ তবে এটা নিয়ে আইন বিভাগ ও শাসন বিভাগের মধ্যে দ্বন্দ্ব দেখেছি৷ ধর্মীয়ভাবেও ব্যবহারের অপচেষ্টা হয়েছে৷

তিনি বলেন, এই ভাস্কর্য স্থাপন বা অপসারণে দেশে বড় কোনো পরিবর্তন হয়ে গেছে বলে অধিকাংশ মানুষ মনেই করে না৷ সেখানে তাদের সম্পর্কেই একটা ভুল বার্তা যায়, মনে হয় যেন বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষই ধর্মান্ধ৷ ব্যাপারটা এতটা সরলীকরণ করা ঠিক না৷ -ডয়চে ভেলে।