৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২৪শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 168

খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রায়ের প্রতিবাদে নারায়ণগঞ্জ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে কারাদন্ড দেওয়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখা। রায় ঘোষণার সাথে সাথেই নারায়ণগঞ্জ আদালত অঙ্গনে উপস্থিত ফোরাম নেতাকর্মীরা তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ মিছিলটি বের করেন। জেলা আইনজীবী সমিতির গেট থেকে মিছিলটি বের হয়ে পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সামন দিয়ে প্রদক্ষিণ করে পুনরায় আইনজীবী সমিতি ভবনের সামনে এসে মিছিলটি শেষ হয়। মিছিল শেষে আইনজীবী সমিতির সামনে ফোরাম নেতাকর্মীরা এক বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে। জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার দপ্তর সম্পাদক এডভোকেট আল আমীন সিদ্দিকীর সঞ্চালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ফোরামের সহ-সভাপতি এডভোকেট সামসুজ্জামান খোকা। সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন এডভোকেট আবুল কালাম আজাদ জাকির,এডভোকেট আনিসুর রহমান মোল্লা, এডভোকেট আশরাফুল আলম সিরাজী রাসেল, এডভোকেট আজিজুর রহমান মোল্লা, এডভোকেট ওমর ফারুক নয়ন, এডভোকেট রাসেদুল আলম মানিক, এডভোকেট নুরুল আমিন মাসুম, এডভোকেট মাসুদা বেগম সম্পা, এডভোকেট মোজাম্মেল হক শিপলু, এডভোকেট জাহিদুল ইসলাম মুক্তি, এডভোকেট সুমন মিয়া, এডভোকেট নজরুল ইসলাম মাসুম, এডভোকেট শেখ আনজুম আহমেদ রিফাত, এডভোকেট হেলাল উদ্দিন চৌধুরী, এডভোকেট লিজা, এডভোকেট আলী হোসেন, এডভোকেট আমেনা বেগম শিল্পী এডভোকেট সায়েম রানা প্রমুখ আইনজীবী ফোরাম নেতৃবৃন্দ।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন, বর্তমান অবৈধ আওয়ামী লীগ সরকারের ষড়যন্ত্রের নীল নকশার অংশ হিসেবে আদালত প্রভাবিত হয়ে মিথ্যা মামলায় বেগম খালেদা জিয়াসহ অন্যান্যদেরকে সাজা প্রদান করেছে। আমরা এই ষড়যন্ত্রমূলক রায় মানি না। বক্তারা অবিলম্বে এই মিথ্যা মামলা থেকে খালেদা জিয়াসহ অন্যান্যদের নিঃশর্ত অব্যাহতি দাবি করেন। অন্যথায় দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলার হুশিয়ারী উচ্চারণ করেন।

কারাগারে খালেদার সঙ্গে থাকবেন ফাতেমা

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। রায় ঘোষণার পর নাজিমউদ্দিন রোডের কারাগারে নেওয়া হয়েছে বিএনপির চেয়ারপারসনকে। কারাগারে খালেদা জিয়ার সঙ্গে একই সেলে থাকবেন তার ব্যক্তিগত ফাতেমা বেগম (৩৫)।

বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটার দিকে পুরান ঢাকার বকশিবাজারে স্থাপিত বিশেষ আদালতের বিচার আকতারুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন। এই মামলায় খালেদা জিয়ার বড় ছেলে ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ মামলার বাকি পাঁচ আসামিকে ১০ বছর করে কারাদণ্ডাদেশ এবং ২ কোটি ১০ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

সূত্র জানায়, আজ গুলশানের বাসা থেকে ফাতেমাকে নিয়ে একই গাড়িতে করে আদালতে উপস্থিত হন খালেদা জিয়া। রায় পড়ার সময়ও তার সঙ্গেই ছিলেন ফাতেমা। আদালতের রায় পড়া শেষ হলে বিচারকরা কক্ষ ত্যাগ করেন। এর পর খালেদা জিয়ার অসুস্থতার কথা উল্লেখ করে, পরিচর্যার জন্য ফাতেমাকে তার সঙ্গে কারাগারে রাখার আবেদন জানান আইনজীবীরা। আবেদনে স্বীকৃতি দিয়ে এ বিষয়ে একটি আবেদনপত্র দেওয়ার জন্য আইনজীবীদের নির্দেশ দেন বিচারক।

আদালতের স্বীকৃতি পেলে, ফাতেমাকে নিয়ে নাজিমউদ্দিন রোডের কারাগারের দিকে রওনা দেন খালেদা জিয়া।

শুক্রবার সারা দেশে বিএনপির বিক্ষোভ

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়ার রায়ের প্রতিক্রিয়ায় বিক্ষোভ কর্মসূচির ঘোষণা করেছে বিএনপি।

বৃহস্পতিবার দুপুর ২টা ১৫ মিনিটে রাজধানীর বকশীবাজার আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ আদালতের বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান বেগম খালেদা বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা করেন। রায়ে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে তাকে।

এরপর বেলা পৌনে ৪টার দিকে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ওই কর্মসূচির ঘোষণা দেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, দেশনেত্রীর সাথে রায়ের আগের দিন কথা হয়েছে। রায় হওয়ার পর তা নিয়ে শন্তিপূর্ণ কর্মসূচি ঘোষণা দেওয়ার কথা বলেছিলেন তিনি।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, চেয়ারপারসনের রায় নিয়ে আমরা শুক্রবার সারাদেশে জেলায়-উপজেলায় বিক্ষোভ করা হবে। কর্মসূচি হবে শান্তিপূর্ণ। এরপরদিন শনিবার সারাদেশে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করা হবে।

রায় প্রতিহিংসা মূলক, ঘৃণা ভরে প্রত্যাখান করছি: রিজভী

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের সাজানো মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছর ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রমানকে দশ বছরের সাজা দেওয়ায় তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে বিএনপি।

বৃহস্পতিবার বিকালে রায়ের পর এক তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভ আহমেদ এ তীব্র প্রতিবাদ জানান।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, এই রায় প্রতিহিংসামূলক আমরা ক্ষোভ ও ঘৃণা ভরে এই রায় প্রত্যাখান করছি। শেখ হাসিনার ইচ্ছায় এবং নির্দেশে এ রায় প্রদান করা হয়েছে।

তিনি বলেন, পৃথিবীর কোথাও আমরা এটা দেখিনি। কোনো দেশে একজন স্বামীহারা, সন্তানহারা, আরেক সন্তানের মাতৃত্বের স্নেহ বঞ্চিত হয়ে শুধু মানুষের জন্য যিনি কাজ করেছেন। এটি যেন এক দীর্ঘ প্রতিহিংসার ফল। মনের মধ্যে যে বিষ পুষে রেখেছিলেন, তারই বহিঃপ্রকাশ। এ রায় প্রধানমন্ত্রীর প্রতিহিংসা পূরণের রায়।

একদলীয় শাসন দীর্ঘায়িত করার জন্যই এ রায় দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে রিজভী বলেন, এ রায় বাংলাদেশের মানুষ ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে। এটা গণবিরোধী রায়। একজন ব্যক্তিকে খুশি করার জন্য এই রায় দেওয়া হয়েছে। রায়ে ন্যায়বিচার হয়নি। শুধু চাকরি রক্ষার্থে এই রায় দেওয়া হয়।

খালেদা জিয়ার ৫ বছর ও তারেক রহমানসহ অন্য পাঁচ জনকে ১০ বছর দণ্ডিত করে আদালতের রায়

ষড়যন্ত্রমূলক ও হয়রানিমূলক মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ অন্য পাঁচ জনকে দশ বছরের সাজা দিয়েছে আদালত।

বৃহস্পতিবার বেলা আড়াইটার দিকে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান পুরান ঢাকার বকশীবাজারস্থ অস্থায়ী আদালতে এ রায় ঘোষণা করেন।

বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার ৫০ মিনিটে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া বকশীবাজারের আলিয়া মাদ্রাসায় স্থাপিত বিশেষ জজ আদালতে এসে হাজির হন। বেগম খালেদা জিয়া সকাল ১১টা ৪০ মিনিটে তাঁর গুলশানের বাসভবন ‘ফিরোজা’ থেকে আদালতের পথে রওয়ানা হন।

আদালতে খালেদা জিয়া

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ আদালতে পোছেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। দুপুর পৌনে ২টায় তিনি গাড়ি বহর নিয়ে বকশিবাজারস্থ বিশেষ আদালতে পৌছান।

দুর্নীতির মামলার রায় শুনতে আদালতের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টা ৪০ মিনিটে তিনি গুলশানের বাসা থেকে রওনা হন। রাজধানীর বকশীবাজারে আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত অস্থায়ী বিশেষ আদালতে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার রায় ঘোষণা করা হবে।

কাকরাইল মোড়ে পুলিশের সাথে বিএনপি কর্মীদের সংঘর্ষ

ডেস্ক নিউজঃ রাজধানীর কাকরাইল মোড়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গাড়িবহরের সামনে পুলিশের সঙ্গে তার দলের কর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় পুলিশ ১০-১২ রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এরপর কাকরাইল মোড়ে পুলিশ বক্সে ভাঙচুর করে বিএনপি কর্মীরা। বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।

সরেজমিন দেখা গেছে, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গাড়িবহর প্রধান বিচারপতির বাসভবনের সামনে কাকরাইল চার্চের মোড়ে পৌঁছালেই পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এ সময় বিএনপির নেতাকর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়ে। এখানে খালেদা জিয়ার গাড়ি ৭-৮ মিনিট দাঁড়িয়ে থাকে। এরপর আবারও আদালতের পথে রওনা দেয়।

এর আগে গাড়িবহর মগবাজার হলি ফ্যামিলি হাসপাতালের কাছাকাছি পৌঁছালে বিএনপি কর্মীদের মধ্য থেকে সহিংসতা তৈরির চেষ্টা করতে দেখা যায়। মগবাজারে ছাত্রদল কর্মীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়।

দুর্নীতির মামলার রায় শুনতে বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা ৪০ মিনিটে গুলশানের বাসা থেকে রওনা হন খালেদা জিয়া। রাজধানীর বকশীবাজারে আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত অস্থায়ী বিশেষ আদালতে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার রায় ঘোষণা করা হবে। তার সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ৩০টির বেশি গাড়ি আছে। ইউনিফর্মধারী সদস্যরা ছাড়াও সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা আছেন। গাড়িবহর সাতরাস্তা পর্যন্ত আসার পর ছাত্রদল, বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা মিছিল করে এসে বহরের সঙ্গে যুক্ত হয়। এ সময় তাদের কোনও ধরনের বাধা দেয়নি পুলিশ।

খালেদা জিয়ার মামলার রায়কে সামনে রেখে ঢাকাসহ সারাদেশে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। বকশীবাজারে বিশেষ আদালত ও এর আশপাশের এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুল সদস্য মোতায়েন রয়েছে।

কুয়েত থেকে এতিমদের জন্য পাঠানো ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলা করা হয়। ২০০৮ সালের ৩ জুলাই সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে রাজধানীর রমনা থানায় মামলাটি করে দুদক। ওই বছরই ৪ জুলাই মামলাটি গ্রহণ করেন আদালত। তদন্ত শেষে দুদকের সহকারী পরিচালক হারুন অর রশিদ ২০০৯ সালের ৫ আগস্ট বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, তার বড় ছেলে তারেক রহমানসহ ছয় জনের বিরুদ্ধে এ মামলায় অভিযোগপত্র দেন।

মামলার বাকি আসামিরা হলেন মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, সাবেক মুখ্যসচিব কামালউদ্দিন সিদ্দিকী এবং বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান। মামলার ছয় আসামির মধ্যে খালেদা জিয়া জামিনে রয়েছেন। মাগুরার সাবেক সাংসদ কাজী সালিমুল হক কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ কারাগারে আর তারেক রহমান, সাবেক মুখ্য সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান পলাতক।

মগবাজারে সংঘর্ষ, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া

ডেস্ক নিউজঃ জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার রায় শুনতে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বকশিবাজারের উদ্দেশে রওনা হয়ে মগবাজার হলি ফ্যামিলি হাসপাতালের সামনে পৌঁছালে সেখানে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের কর্মীদের মধ্যে ইট-পাটকেল ছোড়াছুড়ি হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় কেউ আহত হয়েছেন কি তাৎক্ষণিকভাবে সে সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি।

এরআগে দুপুর পৌনে ১২টার দিকে গুলশানের বাসভবন ফিরোজা থেকে বিশেষ আদালতের উদ্দেশে বের হন খালেদা জিয়া। পথে তার সঙ্গে যোগ দিয়েছেন হাজারো নেতাকর্মী। এদিকে লোচিত এ রায় ঘিরে গতকাল থেকেই রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে কঠোর অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

পটুয়াখালীতে শেখ হাসিনা সেনানিবাসের উদ্বোধন

পটুয়াখালী প্রতিনিধি : পটুয়াখালীর লেবুখালীতে দেশের ৩১মত সেনানিবাস উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ৩১মত সেনানিবাসটির নামকরণ করা হয়েছে শেখ হাসিনা সেনানিবাস। বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে প্রধানমন্ত্রী সেনানিবাসটি উদ্বোধন করেন।

এর আগে সকাল সোয়া ১১টার সময় প্রধানমন্ত্রী হেলিকপ্টারে করে পটুয়াখালী জেলার লেবুখালীতে স্থাপিত শেখ হাসিনা সেনানিবাসে পৌঁছান।

সেনানিবাস উদ্বোধন শেষে প্রধানমন্ত্রী ৭ পদাতিক ডিভিশনসহ ১১টি ইউনিটের পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

পরে প্রধানমন্ত্রী ১৪টি উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন ও একটি কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

এদিকে বিকেল তিনটায় বরিশাল বঙ্গবন্ধু উদ্যানে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় যোগ দেবেন শেখ হাসিনা। জনসভা মাঠ থেকে প্রধানমন্ত্রী ৩৯টি উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন ও ৩৩টি কাজের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করবেন।
এ সফরে শেখ হাসিনা সেনানিবাসসহ ৮৮টি উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন এবং আওয়ামী লীগের জনসভায় যোগ দেবেন।

প্রধানমন্ত্রীর সফরকে কেন্দ্র করে বরিশালে সাজ সাজ পরিস্থিতি বিরাজ করছে। পুরো এলাকা জুড়ে উৎসবের আমেজ সৃষ্টি করেছে। পুরো অঞ্চলে তোরণ, বিলবোর্ডে ছেয়ে গেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। নগরীর সবকটি প্রবেশদ্বার, মহাসড়ক ও গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা, লঞ্চঘাটগুলোসহ বিভিন্ন স্থানে চেকপোস্ট স্থাপন করা হয়েছে।

ফতুল্লায় বিএনপির ৬২ নেতাকে আসামী করে আরো একটি মামলা

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লায় নাশকতার পরিকল্পনায় গোপন বৈঠকসহ পুলিশের উপর হামলার অভিযোগে পুলিশ আরেকটি মামলা করেছে। এ মামলায় জেলা বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল আমিন শিকদারকে প্রধান আসামি করে ৬২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৫৮ জনকে আসামি করা হয়েছে। এছাড়া বিএনপির এ গোপন বৈঠক থেকে ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

বুধবার রাত দেড়টার দিকে ফতুল্লা মডেল থানার এসআই কাজী এনামুল বাদী হয়ে মামলা করেছেন। মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, ৭ ফেব্রুয়ারি বুধবার রাত সোয়া ৯টায় ফতুল্লার দাপা ইদ্রাকপুর বালুরঘাট সংলগ্ন রহমানের পরিত্যাক্ত প্রগতি ডাইংয়ের তৃতীয় তলা বিল্ডিংয়ের দ্বিতীয় তলায় ওই গোপন সভাটি করে নাশকতার পরিকল্পনা চলছিল।

মামলায় রুহুল আমীন (৩৫), পিতা- মৃত আলম শিকদার @ আবুল কাশেম, সাং- দাপা ইদ্রাকপুর, আদর্শ স্কুল সংলগ্ন, থানা- ফতুল্লা, নারায়নগঞ্জ ছাড়াও ২। একরামুল কবির মামুন (৩৭), পিতা- মৃত কবির, সাং- ফতুল্লা চৌধুরী বাড়ী, ৩। সাগর ছিদ্দিক (২০), পিতা- তুষার আহম্মেদ মিঠু, ৪। মোঃ তুষার আহম্মেদ মিঠু (৪২), পিতা- মৃত গফুর, উভয় সাং- দাপা ইদ্রকাপুর মাদবাড়ী সুনু মেম্বারের বাড়ী সাথে, ৫। খোকা (৪০), পিতা- মৃত সাহাবুদ্দিন, সাং- দেলাপাড়া চেয়ারম্যান বাড়ী রোড, ৬। মোঃ দিপু (৩৮), পিতা- আক্তার হোসেন, সাং- দাপা ইদ্রাকপুর শৈলকুরা, ৭। শহিদুল ইসলাম টিটু (৩৮), পিতা- সফি ড্রাইভার, ৮। ইসমাইল (৪০), পিতা- মৃত বাবু খা, উভয় সাং- নয়ামাটি ভাবি বাজার, ৯। লিখন (৩৫), পিতা- তোতা মিয়া, সাং- আদর্শনগর নিশ্চিন্তপুর, ১০। সেলিম চৌধুরী কমর (৩৬), পিতা- মৃত ঠান্ডা চৌধূরী, সাং- ফতুল্লা চৌধুরী বাড়ী।

১১। আবু বখতিয়ার সোহাগ (৩৫), পিতা- আঃ বারেক, সাং- আলীগঞ্জ, ১২। রানা চৌধুরী (৩০), পিতা- আব্দুল রাজ্জাক চৌধুরী, সাং- ফতুল্লা, ১৩। সেলিম আহম্মেদ (৩২), পিতা- মৃত আব্দুর রাজ্জাক, সাং- তল্লা, ১৪। রয়েল চৌধুরী (৪০), পিতা- মৃত আলামীন চেীধুরী, সাং- ফতুল্লা চৌধূরী বাড়ী, ১৫। বাহাউদ্দিন @ সাগর (৩৭), পিতা- ফজলুর রহমান, সাং- সস্তাপুর, ১৬। মামুন (মমির ছেলে) (৪২), পিতা- আবুল হোসেন, সাং- ভুইগড় পশ্চিমপাড়া, ১৭। মিঠু সরদার (৩৮), পিতা- তাজু সরদার, ১৮। কাদির শিকদার (৩৬), পিতা- বচ্চু শিকদার, উভয় সাং- ভুইগড় পূর্বপাড়া, ১৯। কাজী মশিউর (৩৫), পিতা- কাজী আব্দুল মালেক, সাং- ভুইগড় পূর্বপাড়া, ২০। ইসমাইল (৩৮), পিতা- আব্দুল জলিল, সাং- মাহমুদুর, নিতাইপুর।

২১। নজরুল মেম্বার (৪০), পিতা- এসহাক মাদবর, ২২। আব্দুর রহমান বিশ্বাস, পিতা- মৃত সিদ্দিক, উভয় সাং- মাহমুদপুর, ২৩। খোকন তারেক (৩৫), পিতা- জব্বার হাজী, সাং- শান্তিধার, ২৪। আবুল হোসেন পায়েল (৩৮), পিতা- মৃত মমতাজ উদ্দিন, মাহমুদপুর, ২৫। স্বপন (৩৫), পিতা- সজু খান, সাং- দেলপাড়া মির্জা বাড়ী মোড়, ২৬। মুসলিম (৪০), পিতা- বাচ্চু মিয়া, সাং- দাপা ইদ্রাকপুর, খোঁজপাড়া, বাদল মেম্বারের বাড়ীর পাশে, ২৭। মোঃ জুয়েল (২৫), পিতা- আবুল হোসেন, সাং- দাপা ইদ্রাকপুর, পোষ্ট অফিস রোড, পশু হাসপাতালের সাথে, ২৮। মোঃ টুটুল (২২), পিতা- আব্দুর রহমান, সাং- দাপা ইদ্রাকপুর, পাকিস্তান বিল্ডিং এর পার্শ্বে, ২৯। শিভলু (২৫), পিতা- আরব আলী, সাং- দাপা ইদ্রাকপুর, কোচপাড়া, শাহ ফতুল্লা কিন্ডার গার্ডেনের সাথে, ৩০। গোলাম মোস্তফা অরুন (৩৫), পিতা- মৃত মোহাম্মাদ আলী ড্রাইভার, সাং- ফতুল্লা রেল ষ্টেশন সুলতান মেম্বারের বাড়ী।

৩১। আব্দুল মতিন কন্ট্রাক্টর @ ভুইট্টা মতিন (৪০), পিতা- মৃত রহব আলী মাদবর, সাং- দাপা ইদ্রাকপুর শৈলকুড়া, ৩২। অনি (২৭), পিতা- আবুল কাশেম, সাং- শিয়ারচর উকিল বাড়ীর মোড়, ৩৩। আব্দুর রাজ্জাক টিক্কা (৩৮), পিতা- মৃত গোলাপ চান, সাং- দাপা ইদ্রাকপুর শৈলকুড়া, ৩৪। টিপু (২৮), পিতা- মৃত আঃ গফুর, সাং- দাপা ইদ্রাকপুর আদর্শ স্কুল সংলগ্ন, ৩৫। মাসুদ (৩৬), পিতা- মৃত আঃ করিম, সাং- পশ্চিম দেলপাড়া খালপাড়, ৩৬। কামাল সরকার (৪৩), পিতা- মৃত এনামুল হক মাষ্টার, ৩৭। শাহাদাত চৌধূরী (৪৮), পিতা- নবী উল্লাহ, ৩৮। আতাই রাব্বি (৩০), পিতা- শাহাদাত হোসেন, ৩৯। আলতাফ হোসেন বাবু (৩২), পিতা- সিরাজ মিয়া, সর্ব সাং- গিরিধারা, ৪০। রনি (৩৫), পিতা- রমিজ উদ্দিন, সাং- দাপা ইদ্রাকপুর খোজপাড়া।

৪১। কাজী মিন্টু (৩৫), পিতা- মৃত মতলব কাজী, সাং- দাপা ইদ্রাকপুর শৈলকুড়া, ৪২। সৈকত @ শওকত (৩৩), পিতা- আলী আকবর, ৪৩। জিতু (৩২), পিতা- মজিবর রহমান, উভয় সাং- সস্তাপুর, ৪৪। সুমন (৩৪), পিতা- কালা মিয়া ড্রাইভার, সাং- চিতাশাল কুসুমবাগ, ৪৫। মামুন (৩৪), পিতা- মোসলেহ উদ্দিন, সাং- পাগলা নয়ামাটি, ৪৬। নুর ইসলাম তেলা (৩৩), পিতা- আঃ করিম, সাং- পাগলা বউ বাজার, ৪৭। মোস্তাফিজুর রহমান (৩২), পিতা- আঃ রব, সাং- পাগলা বৈরাগী বাড়ী, ৪৮। গিয়াস উদ্দিন লাভলু (৩৪), পিতা- নাজিম উদ্দিন, সাং- শিয়াচর লালখা, ৪৯। সাইদ খন্দকার (৩৬), পিতা- মৃত আবুল খন্দকার, সাং- ভূইগড়, ৫০। বাবুল মেম্বার (৩৮), পিতা- নোয়াব আলী, সাং- পাগলা শাহী মহল্লা পূর্ব পাড়া।

৫১। মোঃ শহিদ (৩৩), পিতা- ইলিয়াস খান, সাং- পাগলা নয়ামাটি, ৫২। আনিসুর রহমান মানিক (৩৫), পিতা- ইউনুস, সাং- রঘুনাথপুর, ৫৩। মাসুদুর রহমান মাসুম (৪২), পিতা- অজ্ঞাত, সাং- ফাজিলপুর, সাধারণ সম্পাদক, ফতুল্লা থানা যুবদল, ৫৪। পান্না মোল্লা (৫০), পিতা- মৃত আওলাদ হোসেন মোল্লা, সাং- নন্দলালপুর, ৫৫। সালাউদ্দিন (৩৮), পিতা- নিজাম উদ্দিন নজু, সাং- লামাপাড়া, ৫৬। লোকমান হাকিম ভূইয়া (৪৮), পিতা- ইসলাম উদ্দিন ভূইয়া, সাং- দাপা ইদ্রাকপুর রেম্বু ডাইং, ৫৭। জহির উদ্দিন মোহাম্মদ বাবর (৪৫), পিতা- মোঃ নুর হোসেন, সাং- আদর্শনগর বাদামতলা, ৫৮। এনামুল হক মামুন (৪২), পিতা- আবুল হোসেন, সাং- ভূইগড় পশ্চিম পাড়া, ৫৯। লাল মামুন (৩৫), পিতা- সৈকত, সাং- দাপা ইদ্রাকপুর সাহারা সিটি, ৬০। আনিস (৪৬), পিতা- রশিদ মিস্ত্রি, সাং- দাপা ইদ্রাপুর বাইতুস সালাহ জামে মসজিদ।

৬১। আমিন (৫৫), পিতা- মৃত জাবেদ চৌরা, সাং- ভূইগড় চৌরাবাড়ী, ৬২। মোসলেম উদ্দিন (৫০), পিতা- মৃত জয়নাল আবেদীন, সাং- লালপুর, সর্ব থানা- ফতুল্লা, জেলা- নারায়ণগঞ্জগণ। এছাড়া অজ্ঞাত আরো ৫৮ জনকে আসামী করা হয়।