৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২৪শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 164

খা‌লেদা জিয়ার নিঃশর্ত মু‌ক্তির দা‌বি‌তে গণস্বাক্ষর কর্মসূচী‌তে সাক্ষর কর‌ছেন এড.আল আমীন সি‌দ্দিকী

খা‌লেদা জিয়ার নিঃশর্ত মু‌ক্তির দা‌বি‌তে গণস্বাক্ষর কর্মসূচী‌তে সাক্ষর কর‌ছেন বাংলা‌দেশ সু‌প্রিম কো‌র্টের আইনজীবী এড‌ভো‌কেট আল আমীন সি‌দ্দিকী

খালেদা জিয়াকে মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত প্রতিবাদ চলবে:জয়নাল আবদীন ফারুক

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নাল আবদীন ফারুক বলেছেন, আমরা খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করছি, যতোদিন পর্যন্ত তাকে মুক্তি দেওয়া না হবে ততোদিন পর্যন্ত আমাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চলবে। শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মাধ্যমেই খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে আনবো।

রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেওয়ার সময় তিনি এসব কথা বলেন।

খালেদার উপদেষ্টা ফারুক বলেন, দেশনেত্রী খালেদা জিয়া আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালনের নির্দেশ দিয়ে গেছেন। সে অনুযায়ী শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ করছি। তাকে মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত প্রতিবাদ চলবে।

এসময় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে দলের বিভিন্ন নেতাকর্মী উপস্থিত থাকলেও বিএনপির সাতজন নেতাকে কার্যালয়ে প্রবেশ করতে দেয় পুলিশ।

এরা হলেন- নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সভাপতি আবুল কালাম, সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামালস, সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান, অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন, সরকার হুমায়ুন কবির, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সবুর খান সেন্টু, আবু আল ইউসুফ খান টিপু, মহানগর বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট ভাষানী।

পরে সকাল সাড়ে ১১টায় স্মারকলিপি জমা দেন জেলা বিএনপির সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান, মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মনিরুল ইসলাম রবি, আব্দুল হাই রাজুসহ সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল আমিন শিকদার, উজ্জল হোসেন।

এদিকে, দুপুর ১২টায় দিকে দলের অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের নিয়ে স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা যুবদলের সভাপতি মোশারফ হোসেন, সাবেক জেলা বিএনপি নেতা আনোয়ার হোসেন খান।

 

বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে সকল কর্মসূচিতে ফতুল্লা থানা বিএনপি ঐক্যবদ্ধ হয়ে অংশ গ্রহণ করবে:আজাদ বিশ্বাস

বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী ফতুল্লা থানা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের উদ্যোগে গণস্বাক্ষর কর্মসূচী পালিত হয়েছে।

শনিবার বেলা ১১ টায় ফতুল্লার শীষমহল এলাকায় পঞ্চবটী ইউনাইটেড ক্লাবে এই কর্মসূচি পালিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আবুল কালাম আজাদ বিশ্বাস।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায় মশিউর রহমান রনি, জেলা মহিলা দলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক রহিমা শরিফ মায়া, কাশিপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ওমর আলী, এনায়েতনগর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্বাস আলী বাবুল, সাধারন সম্পাদক এড.মাহামুদুল হক আলমগীর, বক্তাবলী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারন সম্পাদক এড.আল আমিন সিদ্দীকী, এনায়েতনগর ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হাবিবুর রহমান রিপন, ফতুল্লা ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল হোসেন, কাশিপুর ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সাধারন সম্পাদক আমিনুল,বক্তাবলী ইউনিয়ন বিএনপির দপ্তর সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ,ফতুল্লা থানা শ্রমিক দলের সভাপতি মন্টু মেম্বার।


আজাদ বিশ্বাস বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে যত কর্মসূচি দেয়া হবে সকল কর্মসূচিতে আমরা সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করবো। আমরা ফতুল্লা থানা বিএনপি ঐক্যবদ্ধ। বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির আগ পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। কোন বাঁধায় আমাদের আন্দোলন থেকে দূরে রাখতে পারবে না।
ছাত্রদল নেতা মশিউর রহমান রনি বলেন, দলীয় কর্মসূচি পালনে ফতুল্লা থানা ছাত্রদল সবসময় সক্রিয় ছিল। যার ফলে আমাদেরকেই বেশি মামলায় জড়ানো হয়। তবে আমাদের এসব মামলা দিয়ে কর্মসূচি থেকে দূরে রাখতে পারবে না। অতীতের ন্যায় আগামীতেও আমরা দলীয় কর্মসূচিতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করবো।

এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন, এনায়েত নগর ইউনিয়ন ৪ নং ওয়ার্ড সভাপতি আক্কাছ আলী, ১ নং ওয়ার্ড সাংগঠনিক সম্পাদক হাফেজ, ফতুল্লা থানা ছাত্রনেতা শাহজাহান আলী, জুয়েল আরমান, কায়েস আহম্মেদ পল্লব, শরিফ হোসেন মানিক, জিয়াউল হক জিয়া, নূর মোহাম্মদ, রাজিব, মুরাদ হাসান, শ্রমিক নেতা আওলাদ, মান্নান, ফতুলা থানা সেচ্ছাসেবক দল নেতা সাগর জাহান, নজরুল, ছাত্রনেতা ইফতেখার আহমেদ রাজু, শোয়েব আকতার সোহাগ, মাহামুদুল্লাহ, রিয়াদ, তুহিন, শাকিল, দুলাল, সাদ্দাম, আপন, বিজয়, সুফিয়ান, যুবদল নেতা দেলু, সুজন, জাহের , কাবাদ, মোক্তারসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ।

হাজীগঞ্জ কেল্লার উন্নয়নে মেয়রের অনুমতি চাইলেন সেলিম ওসমান

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বিকেল থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত শহরের হাজীগঞ্জ কেল্লার ভেতরে যাতে করে সাধারণ মানুষ সম্পূর্ন নিরাপদ ভাবে হাটা চলা এবং নির্মল বিনোদন নিতে পারে সেই ব্যবস্থা করতে সেখানে পর্যাপ্ত আলো এবং বিশুদ্ধ খাবার পানি, বসার স্থান, উন্নত টয়লেট নির্মাণ করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান। যেহেতু হাজীগঞ্জ কেল্লাটি নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের অধীনে রয়েছে তাই এসব কাজের জন্য অবশ্যই সিটি মেয়রের অনুমতির প্রয়োজন রয়েছে উল্লেখ করে মুক্তিযোদ্ধা আমিনুল রহমানকে অনুমোদন আনার অনুরোধ জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন সিটি করপোরেশনের অনুমতি পেলে আপাতত এতটুকু উন্নয়ন তিনি করবেন। পরে যখন সিটি করপোরেশন থেকে কেল্লাটির বড় পরিসরে উন্নয়নের বাজেট অনুমোদন তখন সিটি করপোরেশন উন্নয়ন করবে সেখানেও মুক্তিযোদ্ধারা সহ সকলে সহযোগীতা করবে।

শনিবার বিকেল ৩টায় হাজীগঞ্জ কেল্লার বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নারায়ণগঞ্জ জেলা ইউনিটের উদ্যোগে মিলন মেলা অনুষ্ঠানে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি এসব ঘোষণা দেন।

তিনি আরো বলেন, এমন অনুষ্ঠান বছরে একবারই কেন হবে। এমন অনুষ্ঠানে ৩ মাস অথবা ৬ মাস অন্তর অন্তর আয়োজন করবেন। এই স্থানটির ইতিহাস দেয়ালের বিভিন্ন স্থানে লাগিয়ে রাখবেন যাতে করে ভবিষ্যত প্রজন্ম ঈশা খাঁ কেল্লার ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পারে।

মিলনমেলায় বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নারায়ণগঞ্জ জেলা ইউনিটের কমান্ডার মোহাম্মদ আলী সহ ফতুল্লা ইউনিয়ন এবং সিটি করপোরেশনের ৭,৮,৯ ও ১১নং ওয়ার্ডের মুক্তিযোদ্ধা এবং তাদের পরিবারের স্বজনেরা উপস্থিত ছিলেন।

শান্তিরচরে সকল ধরণের শিল্পায়নে দাবী সেলিম ওসমানের

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বন্দর উপজেলার মদনগঞ্জে শান্তিরচরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক অনুমোদিত কর অঞ্চলে (নীটপল্লী) নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রি শিল্প প্রতিষ্ঠান গুলোকে নিয়ে একত্রে বসে প্রস্তাবিত কর অঞ্চলটির উন্নয়ন করতে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহম্মেদ এর কাছে অনুরোধ রেখেছেন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান।

শনিবার ১৭ ফেব্রæয়ারী দুপুরে নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার হরিপুর এলাকায় পারটেক্স কেবলস লিমিটেডের কারখানায় এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের কাছে এ অনুরোধ রাখেন।

সেলিম ওসমান বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ইতোমধ্যেই বাংলাদেশ একটি নি¤œ মধ্যম আয়ের দেশের পরিণত হয়েছে। আগামী ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার হাত ধরেই। আর ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে একটি উন্নত দেশ।

বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহম্মেদ এর দৃষ্টি আকর্ষন করে তিনি বলেন, যখন প্রাচ্যেরডান্ডি নারায়ণগঞ্জ থেকে পাট ধ্বংস করে দেওয়া হয়। আমরা তখন হোসিয়ারী নিয়ে তৎকালীন শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রীর কাছে গিয়ে ছিলাম। যিনি বর্তমানে আবারো বাণিজ্যমন্ত্রী হয়েছে। উনি আমাদেরকে বিকেএমইএ সৃষ্টির পরামর্শ দিয়ে পন্য রপ্তানি করার পরামর্শ দেন। আমরা উনার পরামর্শ মত বিকেএমইএ সৃষ্টি করে পন্য রপ্তানি শুরু করি। উনি আমাদের সর্বাত্ম সহযোগীতা করেন। বর্তমান নীটপন্য রপ্তানিতে বাংলাদেশ বিশ্বে দ্বিতীয়স্থানে রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মদনগঞ্জে শান্তিরচরে একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল নির্মাণের অনুমোদন দিয়েছেন যেখানে ৭০০ একর সরকারী খাস জমি সহ মোট ১৫০০ একর জমি রয়েছে। আমাদের নীট ওয়্যার সেক্টরের জন্য এতো বিশাল জায়গার দরকার হবে না। অনেকেই ওই স্থানে শিল্প গড়ার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। অনেক বিদেশী দাতা গোষ্টি এসে পরিদর্শন করে বিনিয়োগের আশ্বাস দিয়েছেন। তবে আমি পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে বলতে চাই বর্তমান বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহম্মেদ সকল ব্যবসায়ী সংগঠনের লিডার। আমার মনে হয় নারায়ণগঞ্জে পারটেক্স, আকিজ, বসুন্ধরা, মেঘনা যত গুলো গ্রæপ অব ইন্ডাস্ট্রি রয়েছে আপনি তাদের সবাইকে নিয়ে একত্রে বসলে হয়তো আমাদেও দেশের টাকাইতে এটা নির্মাণ করা সম্ভব এবং আপনি উদ্যোগ নিলে সবাইকে একত্রে করা সম্ভব বলে আমি বিশ্বাস করি। তাই বিষয়টি গুরুত্ব দেওয়ার জন্য আমি জোর দাবী রাখছি। প্রয়োজনে বিজিএমইএ, বিটিএমইএ, বিকেএমইএ সকলের অংশগ্রহণ থাকবে। এটি বাস্তবায়ন করতে পারলে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ গড়ার পথে সবথেকে বেশি ভূমিকা রাখবে এই অর্থনৈতিক কর অঞ্চলটি।

এমপি সেলিম ওসমানের দাবীর পরিপ্রেক্ষিতে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহম্মেদ বলেন সেলিম ওসমান যে বিষয়টি উল্লেখ করেছেন বিষয়টি আমি দেখবো। এর আগে বাণিজ্য মন্ত্রী বলেছেন, এই নারায়ণগঞ্জ প্রাচ্যেরডান্ডি। এই নারায়ণগঞ্জ থেকেই আওয়ামীলীগের জন্ম হয়েছে। নারায়ণগঞ্জ থেকেই ৬ দফার উৎপত্তি। বঙ্গবন্ধুর সাথে আমি বহুবার এই নারায়ণগঞ্জে এসেছি। সেলিম ওসমান, শামীম ওসমানদের বাসায় এসেছি।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশে এখন আর শুরু ২২ পরিবার নাই। ১৯৭৯ সালে বাংলাদেশ তৈরি পোশাক রপ্তানি শুরু করে সে বছর ১২ হাজার ডলারের পন্য রপ্তানি করা হয়। বর্তমানে আমরা রপ্তানিতে বিশ্বে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে এবছর রপ্তানি হয়েছে ২৮দশমিক ৭৯ বিলিয়ন ডলার, ২০২১ সালে ৫০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে ডিজিটাল মধ্যম আয়ের দেশ।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন, পারটেক্স এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এমএ হাশেম, ভাইস চেয়ারম্যান আজিজ আল কায়সার, ম্যানেজিং ডিরেক্টর আজিজ আল মাহমুদ, প্রতিষ্ঠাতা এমএ হাশেমের সহধর্মিনী সুলতানা হাশেম, পারটেক্স এগ্রা লিমিটেডের চেয়ারপার্সন তাবাসসুম কায়সার ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর সাভেরা এইচ. মাহমুদ প্রমুখ।

প্রধানমন্ত্রীর ফোন, কেমন আছেন খালেদা!

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় কারাবন্দি বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার খোঁজ খবর নিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

জানা গেছে, শুক্রবার আবুদাবি থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। এসময় বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনার মধ্যে কারাগারে বেগম জিয়া সম্পর্কেও খোঁজ নেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী কারাগারে প্রাপ্য সব সুযোগ সুবিধা তাঁকে যেন দেওয়া হয় তা নিশ্চিত করতে বলেন।

জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল প্রধানমন্ত্রী জানান যে,খালেদা জিয়া সুস্থ এবং স্বাভাবিক আছেন। প্রাপ্য সুযোগের চেয়েও বেশী সুযোগ সুবিধা বেগম জিয়াকে দেওয়া হচ্ছে।

উল্লেখ্য, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ৫বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

এ মামলায় বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ১০ বছর কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।গত ৮ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার বেলা আড়াইটার দিকে এ রায় ঘোষণা করেন মামলার বিচারক ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ মো. আখতারুজ্জামান। মামলার অন্যান্য ৫ আসামীকেও ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

সাজা প্রাপ্ত অন্য আসামীরা হলেন- সাবেক সাংসদ ও ব্যবসায়ী কাজী সালিমুল হক কামাল, সাবেক মুখ্যসচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ ও জিয়াউর রহমানের বোনের ছেলে মমিনুর রহমান। মামলায় শুরু থেকে পলাতক আছেন তারেক রহমান, কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমান।

রায়ে সাজাপ্রাপ্ত প্রত্যেকের ২কোটি ১০লক্ষ ৭১ হাজার টাকা সমপরিমান জরিমানাও ধার্য করা হয়েছে।

খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবিতে গণস্বাক্ষর কর্মসূচী শুরু

বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবিতে গণস্বাক্ষর কর্মসূচী শুরু করেছে দলটি।

শনিবার সকালে নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই কর্মসূচীর উদ্বোধন করেন।

এসময় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, মির্জা আব্বাস, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুল আউয়াল মিন্টু, জয়নুল আবদীন ফারুক, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানী, মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, রফিক সিকদার , মর্তুজা চৌধুরী তুলা, মুক্তিযাদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, মহিলা দলের আফরোজা আব্বাস, সুলতানা আহম্মেদ, হেলেন জেরিন খান, শাম্মী আখতার, মাদারীপুরের শিবচর উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ইয়াজ্জেম হোসেন রোমান, আ ক ম মোজাম্মেল হক, সরদার মো: নূরুজ্জামান, কাজী মোক্তার, মিনহাজুল ইসলাম ভুইয়া, ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, কৃষকদল, শ্রমিক দল সহ ঢাকা মহানগর বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

রাজধানী ঢাকা ছাড়াও সারা দেশের জেলা, মহানগর ও উপজেলায় একসঙ্গে এ কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। দলের নেতাকর্মী ছাড়াও সাধারণ মানুষ বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে স্বাক্ষর করতে পারবেন।

জিয়া অরাফানেজ ট্রাস্ট মামলায় পাঁচ বছরের সাজাপ্রাপ্ত হয়ে বেগম খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ার পয় এটি বিএনপির তৃতীয় দফা কর্মসূচি। এর আগে ৯ ফেব্রুয়ারি ঢাকাসহ দেশব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচি, ১০ ফেব্রুয়ারি থানা, উপজেলা, জেলা মহানগরে প্রতিবাদ সমাবেশ, ১২ ফেব্রুয়ারি মানববন্ধন, ১৩ ফেব্রুয়ারি অবস্থান কর্মসূচি ও ১৪ ফেব্রুয়ারি অনশন কর্মসূচি পালন করে বিএনপি।

খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিএনপির এই পাঁচদিনের কর্মসূচি পালন ছাড়াও বিদেশি কূটনৈতিক, ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি, পেশাজীবী, আইনজীবী ২০ দলীয় জোটসহ দলের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন দলের জ্যৈষ্ঠ নেতারা।

সাব্বির আলম খন্দকারের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া ও শোক র‌্যালী

শহীদ সাব্বির আলম খন্দকারের ১৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে খুনিদের গ্রেফতার ও বিচার এবং নারায়ণগঞ্জকে সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত করার দাবিতে র‌্যালী করেছে শহীদ সাব্বির আলম খন্দকার ফাউন্ডেশন।

শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারী) সকালে নগরীর মাসদাইরস্থ নিজ বাড়ীর সামনে থেকে শুরু হওয়া শোক র‌্যালী শুরু হয়ে মাসদাইর কবরস্থানে এসে শেষ হয়। পরে সেখানে নিহতের জন্য দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।

র‌্যালিতে অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দাকার বলেন, ‘আমার ভাইকে কোন ব্যক্তিগত কারণে হত্যা করা হয়নি। শুধু মাত্র সমাজসেবায় মাদক, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজের বিরুদ্ধে কথা বলার কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে। আমার ভাই আইনশৃঙ্খলার মিটিংয়ে সন্ত্রাসী চাঁদাবাজীদের নাম উল্লেখ্য করে এবং তারা কে কত টাকা পায় এসব বলার কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে। আজও আমার ভাইয়ের হত্যা বিচার পাইনি। শুধুমাত্র টাকার কাছে হেরে গেছি। হত্যাকারীরা টাকা দিয়ে ত্রুটিপূর্ণ চার্জশীট করিয়েছে। তাই আজও বিচার পাইনি। খুনিরা আবারো ঢাকায় ফিরে আমাদের খুন করার হুমকি দিচ্ছে।

02-1সাব্বির আলম খন্দাকার গার্মেন্ট মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফেকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিকেএমইএ) এর সাবেক সহ সভাপতি ও ব্যবসায়ী নেতা ছিলেন। মৃত্যু তিনি নারায়ণগঞ্জ জেলা ক্রীড়া সংস্থা ও নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কর্মাসেরও সহ-সভাপতি ছিলেন।

এর আগে সকালে নগরীর মাসদাইরে খুনিদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে ‘নারায়ণগঞ্জ সর্বস্তরের সন্ত্রাস বিরোধী জনগণ’ এর ব্যানারে মানববন্ধন করে বিএনপির নেতারা। ওই মানববন্ধন থেকে হত্যাকারীদের ফাঁসি ও নারায়ণগঞ্জকে সন্ত্রাস ও মাদক মুক্ত করার দাবি জানান বক্তারা। মুক্তিযোদ্ধা সাহাবুদ্দিন খন্দকার মানব বন্ধনে সভাপতিত্ব করেন।

লালপুরে প্রশ্নপত্র ও আ’লীগ সভাপতিসহ আটক ১৩

নাটোরের লালপুরে প্রশ্নপত্রসহ হাতে নাতে আ’লীগ সভাপতি ও যুবলীগ সাধারণ সম্পাদকসহ -১৩ জনকে আটক করেছে নাটোর সিপিসি-২ র‌্যাব-৫।

লালপুর-ডি কেন্দ্র চাঁদপুর উচ্চ বিদ্যালয় এলাকা থেকে কদিমচিলান ইউনিয়ন আ’লীগ সভাপতি হাসান আলী(৫০), যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা(৩৫) ও সোহেল রানার স্ত্রী কলসনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা জান্নাতুল ফেরদৌশ রুনা(৩২) কে রসায়ন প্রশ্ন পত্র সহ তাদের হাতেনাতে আটক করা হয়।আজ সকাল ৯ টা ৪৫ মিনিটের সময় যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানার বাড়ির সামনে থেকে আটক করা হয়। এসময় ১০ জন শিক্ষার্থীকেও আটক করা হয়। তারা হলেন, কলসনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থী তাহমিনা খাতুন( ১৫), আছিয়া খাতুন(১৫), জান্নাতুল ফেরদৌশ(১৫), নুরে জান্নাত(১৫), সুমি খাতুন(১৫), রত্না খাতুন(১৫), নাসরিন জাহান নিপা(১৫) , জিসান কাজী নিবিড়(১৭) ও হাজিরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের মাসুমা খাতুন(১৫), সৈকত সরকার (১৭)।

উল্লেখ্য যে, বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে লালপুর ডি- পরীক্ষা কেন্দ্রটি কলসনগর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এই প্রথম স্থানান্তরিত করে চাঁদপুর -১ নং উচ্চ বিদ্যালয়ে নেওয়া হয়। সে কারনেই নতুন কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীদের বাড়তি সুবিধা দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ পেয়ে নাটোর র‌্যাব-৫ এর মেজর কমান্ডার শিবলী মোস্তফার নেতৃত্বে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নজরুল ইসলামের উপস্থিতিতে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।

কারারুদ্ধ জননী; কারারুদ্ধ গণতন্ত্র

নির্মোহ নীলগিরি:সরকার ক্রমাগত একের পর এক তামাশা করে যাচ্ছে। এই তামাশা তারা করছে বাংলাদেশের প্রধান বিরোধী দল বিএনপির সাথে, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সাথে, বাংলাদেশের জনগণের সাথে। কিন্তু হীরক রাজার দেশের মতো বাংলাদেশের মানুষের মুখে আজ স্কচটেপ লাগিয়ে রেখেছে। চোখে লাগিয়ে রেখেছে রঙ্গিন চশমা। ‘লাগ ভেল্কি লাগ’ বলে একের পর এক ভেল্কি দেখাচ্ছে। আবাল জনগণকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সরকার একের পর এক দেশ বিরোধী চুক্তি করে যাচ্ছে। আর দেশের মানুষকে গালভরা ফিরিস্তি দিয়ে বলছে বাচ্চালোক তালিয়া বাজাও। তাদের পোষা মাধ্যম গুলো হাততালি দিয়ে মারহাবা মারহাবা করে বলছে ‘ক্যায়া বাত ক্যায়া বাত’। সকল অন্যায়, দুর্নীতি অনিয়ম হালাল করতে বেহায়া মিডিয়া কিছু নির্লজ্জ ক্লাউন নিয়ে বসে যাচ্ছে লাইভ মস্করা-শো করতে। ছিঃ এরা পারেও বটে!!!

বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার দীর্ঘ সংগ্রামে ত্যাগ এবং আপসহীন ভুমিকার জন্য দেশবাসীর কাছে সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রীতে পরিণত হন বেগম খালেদা জিয়া। প্রধানমন্ত্রী হিসাবে এবং বিরোধী দলীয় নেত্রী হিসাবে সুদীর্ঘ সময় তিনি গণতন্ত্র রক্ষার জন্য সংগ্রাম করেছেন। তাঁর এই সংগ্রামের পথ কখনোই মসৃণ ছিলনা। বরং তাঁকে ষড়যন্ত্রের খানাখন্দে ভরা কণ্টকাকীর্ণ দুর্গম পথ পাড়ি দিতে হয়েছে। কোন হুমকি, কোন ষড়যন্ত্র, কোন বাঁধা তাকে থামাতে পারেনি। ইস্পাত কঠোর দৃঢ়তায় তিনি দেশের মানুষের অধিকার রক্ষায় কাজ করে গেছেন। বাংলাদেশের গণতন্ত্র রক্ষায় তাঁর এই সংগ্রামী ভূমিকার জন্য বেগম খালেদা জিয়াকে ২০১১ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউজার্সি ষ্টেট সিনেটর ’ফাইটার ফর ডেমোক্রেসি’ খেতাবে ভূষিত করেন।

মহাত্মা গান্ধী বলেছিলেন ‘‘আমার কাছে গণতন্ত্র হচ্ছে যেখানে সবচেয়ে র্দূবলতম ব্যাক্তিও সবচেয়ে সবলের সমান সুযোগ পায়।‘‘ সব নাগরিকের সমান অধিকার ও ন্যায় বিচার নিশ্চিত করার চর্চার মাধ্যমেই শুধু গণতন্ত্রের পথে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব। কিন্তু গত কয়েক বছরে এই চর্চা চলেছে কি? গণতন্ত্র শম্ভুক গতিতে হাঁটতে গিয়ে প্রতি পদে হোঁচট খেয়েছে। স্বেচ্ছাচারিতা, একগুয়েমী, আগ্রাসী দমননীতির র্হাডলে প্রতিবার গণতন্ত্র হয়েছে বাধাগ্রস্থ। বতর্মান সরকার র্নিবাচিত সরকারের দোহাই দিয়েছে কিন্তু গণতান্ত্রিক সরকারের আচরণগত পরীক্ষায় পেয়েছে ডাবল জিরো।

গণতন্ত্র হত্যা করতে আর নিজেদের অবৈধ ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে আওয়ামী সরকার বারবার একই নাটক মঞ্চস্থ করে। সেই একই ডায়লগ, একই বুলি। শুধু স্থান আর কালটা ভিন্ন। ২০১৩ সালে ‘র্মাচ ফর ডেমোক্রেসী‘ কমর্সূচী ঠেকাতে বেগম খালেদা জিয়াকে আটকে রাখা হয়েছিলো তার নিজ বাসভবনে আর ‘গণতন্ত্র হত্যা‘ দিবসের কমর্সূচী ঠেকাতে তাকে আটকে রাখা হয়েছিল দলীয় কার্যালয়ে। সেই একই কায়দায় আইন শৃংক্ষলাবাহিনী দিয়ে কয়েক স্তরের বেস্টনী, জলকামান, প্রিজন ভ্যান আর ইট-বালু-সুরকীর ট্রাক দিয়ে রাস্তায় তৈরী করা হয়েছিল ব্যারিকেড। আর ২০১৫ সালে নতুন সংযোজন করা হয়েছিল গেইটে ঢাউস সাইজের একখানা তালা। আর ২০১৮ তে এসে মিথ্যা সাজানো ষড়যন্ত্রমুলক মামলায় সাজা দিয়ে এভাবে সরকার শুধু বেগম খালেদা জিয়াকেই কারারুদ্ধ করেনি, কারারুদ্ধ করেছে গোটা দেশকে, গণতন্ত্রকে।

কর্তৃত্ববাদী সরকার মিথ্যা বানোয়াট মামালায় বেগম খালেদা জিয়াকে জেলে পুরেই ক্ষান্ত হয়নি। গোয়েবলসের মতো ধারাবাহিক ভাবে র্নিজলা মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে নিজেদেরকে করে তুলেছে তামাশার পাত্র। এখন লটারী করে ঠিক করতে হবে যে- মানুষ নিজের চোখকে বিশ্বাস করবে নাকি শেখ হাসিনা এবং তার সভাসদদের কথা বিশ্বাস করবে!

একদিকে বলা হচ্ছে বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে সবরকম সুযোগ সুবিধা দেয়া হচ্ছে। বাস্তবে আমরা কি দেখছি- সত্তরঊর্ধ একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে রাখা হয়েছে একাকী একটি পরিত্যাক্ত, স্যাঁতস্যাঁতে ভবনে। কোন ডিভিশন দেয়া হয়নি।

আর ‘হীরক রাজার দেশের’ মতো প্রধানমন্ত্রীর সাথে সুর মিলিয়ে তার সব মন্ত্রীরা বলে চলেছেন- কোথায় আজ খালেদা জিয়া? জেলে পুরে চোখের আড়াল করলেই তাঁকে মনের আড়াল করা যাবেনা। তিনি আছেন লক্ষ কোটি মানুষের হৃদয়ের মণিকোঠায়।

৮ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের সাধারণ জনগণ আবারো ছোট্ট একটি নমুনা দেখিয়েছে যে তারা বেগম খালেদা জিয়ার সাথেই আছে। ১৪৪ ধারা জারি করেও বেগম জিয়ার গাড়ী বহরে গণমানুষের স্রোত আটকাতে পারেনি। ঢাকার অলি গলি রাজপথ থেকে হঠাৎ আসা সুনামির মতো মানুষ আসতে থাকে। তাদের গন্তব্য ছিল একটাই। বেগম খালেদা জিয়ার গাড়ী বহর। তারা এসেছিলেন নেত্রীর প্রতি তাদের আনুগত্য, তাদের সহমর্মিতা, তাদের ভালোবাসা প্রকাশ করতে। পুলিশের গ্রেফতার, লাঠিচার্জ, টিয়ার গুলি, ছাত্রলীগ যুবলীগের হামলা ও তাদের ঠেকাতে পারেনি।

বিচার বিভাগের স্বাধীনতা দেওয়ার ওয়াদা করে ক্ষমতায় আসা আওয়ামী লীগ বিচার বিভাগকে পরিনত করেছে তাদের আজ্ঞাবহ প্রতিষ্ঠানে। স্বাধীন বিচার ব্যবস্থার নামে চলছে সীমাহীন স্বেচ্ছাচারিতা। বিচারের বানী এখন শুধুই নিভৃতে কেঁদে মরে। বিচারের আশায় অসহায় মানুষ আদালতের দ্বারে দ্বারে ঘুরলেও ন্যয় বিচার যেন শুধুই মরিচীকা। বলা হয়ে থাকে আইনের হাত অনেক লম্বা কিন্তু এখানে প্রমানিত হয় সরকার দলীয় প্রভাবের কাছে বাংলাদেশের আইনী ব্যবস্থা পক্ষাঘাতগ্রস্ত, ডিজএইবল।

বর্তমানে বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি সেক্টর দুর্নীতিতে ছেয়ে গেছে। সন্ত্রাসের কালো ছোবল থেকে রেহাই পাচ্ছেনা দেশের একজন মানুষও। সরকার দলীয় লোকজনের পাশাপাশি এমনকি সরকারী প্রতিষ্ঠান গুলোও একেকটা সন্ত্রাস আর দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে আর সরকার এক্ষেত্রে উটপাখির নীতি গ্রহণ করেছে। কিন্তু সমস্ত আবহাওয়া রিপোর্টকে ভুল প্রমানিত করে হঠাৎ আসা টর্নেডোর মতো, যত ঝড় ঝাপটা বিরোধী দলের নেতা, কর্মী, সমর্থক এমনকি তাদের আত্মীয় স্বজনদের উপর দিয়ে যাচ্ছে। জেল-জুলুম, নির্যাতনতো রয়েছেই, এমনকি তাদের হত্যা, গুম খুন করতেও দ্বিধা করছেনা। কোন একটা অপকর্মের ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার সবচেয়ে সহজ সমাধান বিরোধী নেতাকর্মীদের ক্রসফায়ার দেয়া। এ হচ্ছে এক ঢিলে দুইপাখি মারার সবচেয়ে সহজ সমাধান বটিকা। ইস্যু ধামাচাপার সাথে সাথে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে তাদের মুখ বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে।

উন্নয়নের নামে যেখানে দেশে চলছে অবাধ লুটপাটের মহোৎসব আর বিচারের নামে চলছে প্রহসন, যেখানে সরকার ব্যতিব্যস্ত রয়েছে ইন্ডিয়া তোষণে আর সরকারি নেতাকর্মীরা ব্যস্ত রয়েছে নিজ নিজ উদরপূর্তিতে। শুধুমাত্র হয়রানি করার হীন উদ্দেশে বৃহৎ সরকারী ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে দুদক নামক পঁচা শামুকের দ্বারা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নামে মিথ্যা মামলা সাজিয়ে সাজা দেয়া হয়েছে। বেগম জিয়াকে চার দেয়ালে আটকে রাখলে, মানুষের মনে সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ আর ঘৃণা শুধু বাড়বে বৈ কমবেনা। তাই অবিলম্বে তাঁর মুক্তির দাবি জানাচ্ছি।

ক্ষমতাকে আরো দীর্ঘায়িত করতে যা যা করা দরকার কোর্টের মাধ্যমে হালাল করিয়ে নিচ্ছে সরকার। যাকে যে ভাবে দমানো দরকার, কন্ঠরোধ করা দরকার, রুলজারির মাধ্যমে তার বাস্তবায়ন করছে তারা। র্কোট কেন রাজনৈতিক দলের হাতিয়ার হবে? যাত্রাপালার সংয়ের মতো অতি উৎসাহী কিছু বিচারপতির কারনে বিচারালয় দলীয় অংগ সংগঠনের আদলে কাজ করছে। আর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র থাকাকালীন সময়ে ছাত্রলীগের ক্যাডার এই বিচারপতির কাছে বেগম খালেদা জিয়ার ন্যায়বিচার পাওয়া বাতুলতা মাত্র। ছাত্রজীবনে শেখ হাসিনার পরিক্ষীত সৈনিক বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অন্যায় রায় দিয়ে বিচারপতির পরীক্ষায় গোল্ডেন এ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন। এবার শুধু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে গোল্ড মেডেল পাবার অপেক্ষা।

সরকার ভাবে তাদের ভুজুং ভাজুং বাংলাদেশের মানুষ বোঝেনা। আইনী জুজুর ভয় দেখিয়ে, একপ্রকার চিপে ধরে জনগণের মুখ বন্ধ করে রাখছে সরকার। সেদিন আর বেশী দূরে নেই যেদিন জেগে উঠবে লক্ষ কোটি জনতা। বিচারপতি তোমার বিচার করবে যারা একদিন জাগবেই সেই জনতা। এই জনতা। সূত্র:(জাস্ট নিউজ)

লেখকঃ লন্ডন প্রবাসী সাংবাদিক।