২১শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
৬ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 37

‘গ্রুপ টর্চারে’ মারা গেছে আনুশকা-পরিবারের দাবি

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : রাজধানীর মাস্টারমাইন্ড স্কুলের ‘ও’ লেভেলের ছাত্রী আনুশকা নুর আমিনকে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া দিহানের স্বীকারোক্তি নিয়ে সন্দেহ পোষণ করেছেন নিহতের পরিবার। আনুশকার পরিবার বলছে ঘটনার শুরু থেকেই পুরো সত্য লুকানোর অপচেষ্টা করে আসছে দিহান। তাদের দাবি ‘গ্রুপ টর্চারে’ মারা গেছে ‘ও’ লেভেলের শিক্ষার্থী আনুশকা।

তার পরিবার আরো দাবি করছে যে এ ঘটনায় শুধু দিহান নয়, তার আরও তিন বন্ধু জড়িত ছিল। এখন আনুশকার পরিবার দিহানের তিন বন্ধুকেও আসামি করতে চায়। তবে পুলিশ বলছে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর এ ঘটনায় তিন বন্ধুর কোন সংশ্লিষ্টতা না পাওয়ায় তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

আনুশকার মা সোমবার (১১ জানুয়ারি) গণমাধ্যমকে বলেন, ঘটনার সময় দিহানসহ চারজন সেখানে উপস্থিত ছিল। ঘটনা শুনে হাসপাতা লে যাওয়ার পর দিহানের কাছে জানতে চাইলে সে জানায়, চার বন্ধু তার বাসায় ছিল। দিহানকে আগে থেকে চিনতাম না। ওই দিন ফোন করে সে তার পরিচয় দিয়েছিল।

তিনি আরো বলেন, বন্ধুদের অপরাধ আড়াল করতে একাই দায় মা থায় নিয়েছে দিহান। হয়তো ওরা জোর করেই আমা র মেয়ের ওপর নির্যাতন চালায়। কিছু খাইয়ে ওকে অচেতন করা হতে পারে। ঘটনার পর আমা র মে য়ের পিঠে আ ঘাতের চিহ্ন দেখেছি। প্রভাবশালী হওয়ায় তিন বন্ধু পার পাচ্ছে বলে অ ভিযোগ তার।

ছাত্রীর মা আরও বলেন, ঘটনা শুনে আমি হাসপাতা লে যাওয়ার পরই দিহান আমা র পা জড়িয়ে ধরে। সে বলতে থাকে- ‘আমাকে বাঁ চান।’ তিনি বলেন, পুলিশের পরামর্শে তারা মামলায় একজনকে আ সামি করেছেন। এখন দিহানের আরও তিন বন্ধুকে আ সামি করতে চান। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে অনেক তথ্য বেরিয়ে আসবে। তার মে য়েকে ফাঁদে ফেলা হয়েছে।

এদিকে, একইদিন এ ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া দিহানের কলাবাগান বাসার দারোয়ানকে আ টক করেছে পুলিশ। ঘটনার পর থেকেই তিনি পলাতক ছিলেন বলে জানা যায়। তার নাম দুলাল। ডিএমপির রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার ডিসি মো. সাজ্জাদুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ঘটনার বিষয়ে দারোয়ানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

এ ঘটনায় আনুশকার ময়নাত দন্ত রিপোর্টে বলা হয়েছে তার শরীরে বি কৃত যৌ নাচারের আলামত মিলেছে। বড় আকৃতির কিছু একটা ভিক্টিমের দেহে পুশ করানোর ফলে তার বিশেষ অঙ্গ ফেটে গিয়ে অ তিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয় এবং সে মারা যায়।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতা লের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, স্বাভাবিকশা রীরিক স ম্পর্কে এতটা ভ য়াবহ পরিণতি হওয়ার কথা নয়। শরীরের নিম্নাঙ্গে কোন ‘ফরেন বডি’ কিছু একটা ব্যবহার করা হয়েছে। এক কথায় সেখানে বি কৃত যৌ নাচার করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) সকালে বন্ধু দিহানের মোবাইল কল পেয়ে বাসা থেকে বের হন রাজধানীর ধানমন্ডির মাস্টারমাইন্ড স্কুলের ‘ও’ লেভেলের শিক্ষার্থী আনুশকা নুর আমিন। এরপর কি শোরীকে কলাবাগানের ডলফিন গলির নিজের বাসায় নিয়ে যান দিহান। ফাঁকা বাসায় তাকে ধ র্ষণ করা হয়।

অসুস্থ হয়ে পড়লে দিহানসহ চার বন্ধু তাকে ধানমন্ডির আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক ছাত্রীকে মৃ ত ঘোষণা করেন। ধর্ষণের পর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয় বলে জানান চিকিৎসকরা। এ ঘটনায় আনুশকার বাবা বাদী হয়ে মা মলা করেছেন। এ ঘটনার মামলায় দিহান গ্রেপ্তার রয়েছেন। তিনি ১৬৪ ধারায় আদালতে জবানবন্দিও দিয়েছেন।

বক্তাবলী ইউপি ৪নং ওয়ার্ডে প্রার্থী হচ্ছেন ইফতেখারুজ্জামান শাহীন

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : বক্তাবলী ইউপি নির্বাচনে মেম্বার প্রার্থী হচ্ছেন সাদা মনের মানুষ মো. ইফতেখারুজ্জামান শাহীন। আসন্ন ২০২১ বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ৪নং ওয়ার্ড (রাজাপুর-গঙ্গানগর ) গ্রাম থেকে মেম্বার পদে প্রার্থী হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন বক্তাবলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ও শহীদ পরিবারের সন্তান মো. ইফতেখারুজ্জামান শাহীন। তিনি সকলের কাছে দোয়া চেয়েছেন।

একান্ত আলাপকালে তিনি বলেন,মিথ্যা প্রতিশ্রুতি নয়, সত্যিকার অর্থে আপনাদের কল্যাণে কাজ করার উদ্দেশ্যে নির্বাচনে প্রার্থী হতে চাই। আমি নির্বাচিত হলে আমার (রাজাপুর-গঙ্গানগর) গ্রামকে মাদক, ইভটিজিং, বাল্যবিবাহ ও সন্ত্রাস মুক্ত ওয়ার্ড হিসেবে গড়ে তুলবো। এবং মুরব্বিদের পাশে থেকে অবহেলিত জনগোষ্ঠীর জন্য সুন্দর সমাজ গঠনে ভূমিকা রাখতে সর্ব মহলের সমর্থন একান্তভাবে কামনা করছি।

সরেজমিনে নির্বাচনী এলাকাতে ঘুরে ওয়ার্ডের বিভিন্ন ভোটারদের সাথে আলাপ কালে সাধারন ভোটাররা জানান, মো. ইফতেখারুজ্জামান শাহীন একজন ন্যায় পরায়ন ব্যক্তি। তার মত যোগ্য প্রার্থী পেলে  আমরা সত্যিই আনন্দিত হব।।

শিবু মাকের্টে মহানগর মা ও শিশু হাসপাতালের উদ্বোধন

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : ফতুল্লা শিবুমার্কেট এলাকায় মহানগর মা ও শিশু হাসপাতালের উদ্বোধন হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে দোয়া মাহফিলের মধ্য দিয়েই এই হাসপাতালের উদ্বোধন করা হয়।

উপস্থিত ছিলেন মোঃ মজিবুর রহমান, ডাঃ মোঃ আবুল কাসেম, মোঃ আব্দুস ছালাম খাঁন, খন্দকার মামুন উর রশিদ, মোঃ আরিফুজ্জামান আরিফ, মোঃ আনোয়ার হোসেন, সাংবাদিক আঃ রহিম, সাংবাদিক মোঃ সফিকুল ইসলাম আরজু, সাংবাদিক মোঃ সিরাজুল ইসালাম, প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান এমএম হাসান প্রমুখ।

দোয়া পরিচালনা করেন ধনকুন্ডা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা মুফতি নাজমুল হক নোমানী।

নারায়ণগঞ্জে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের পদত্যাগের দাবিতে বিএনপি’র মানববন্ধন

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা প্রধান নির্বাচন কমিশনারের পদত্যাগের দাবিতে মানববন্ধন করেছে।

১১ জানুয়ারী (সোমবার) সকালে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে জেলা বিএনপির উদ্যোগে এ আয়োজন করা হয়। ঘন্টাব্যাপী আয়োজিত কর্মসূচির সভাপতিত্ব করেন বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও জেলার নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটির সভাপতি এ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার।

এড. তৈমুর আলম খন্দকার বলেন, এদেশের নির্বাচন কমিশন কত বড় নির্লজ্জ তা আর বলার অবকাশ রাখে না। বাংলাদেশে শুধু একজন লোককে খুশি রাখতে সব চালানো যায়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে খুশি রাখলেই সব চালানো যায়। ৪২ জন বিশিষ্ট নাগরিক ইসির পদত্যাগ দাবিতে রাষ্ট্রপতি বরাবর আবেদন দিয়েছেন। মাননীয় রাষ্ট্রপতি, আপনি যদি শুধু আওয়ামী লীগের রাষ্ট্রপতি হয়ে থাকেন তাহলে কিছু বলার নেই। কিন্তু যদি সারাদেশের মানুষের রাষ্ট্রপতি হয়ে থাকেন তাহলে এই ইসির যে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে তদন্ত করবেন, ব্যবস্থা নেবেন। আপনি আপনার স্বচ্ছতা ও আপনি যে দেশবাসীর রাষ্ট্রপতি সেটি প্রমাণ করতে এ আবেদনের তদন্ত করবেন।

তিনি আরো বলেন, আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধেও একটি মিথ্যা মামলায় যে পরোয়ানা জারি হয়েছে সেটিও প্রত্যাহার করার দাবি জানাই আমি।

এসময় আরোও বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপি’র যুগ্ন আহবায়ক নাসির উদ্দিন, জাহিদ হাসান রোজেল, মনিরুল ইসলাম রবি ও সদস্য সচিব অধ্যাপক মামুন মাহমুদ সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে দূর্ণীতিবাজ আখ্যা দিয়ে বলেন, নির্বাচন কমিশনারের দুর্নীতির ব্যাপারে দেশের ৪২ জন বিশিষ্ট নাগরিক রাষ্ট্রপতির কাছে তথ্য দিলেও সরকার এই দুর্নীতিবাজ নির্বাচন কমিশনারের পক্ষে কথা বলছে। বিশিষ্ট নাগরিকদের দেয়া এইসব তথ্য তদন্ত করে নির্বাচন কমিশনারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানান বিএনপি নেতারা। মানববন্ধন শেষে নেতা-কর্মীরা মিছিল করতে চাইলে পুলিশ তাদের বাধা দিয়ে রাস্তা থেকে সরিয়ে দেয়।

নারায়নগঞ্জে ইভটিজিংকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত-১৪

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ দুই মহল্লার বখাটে কিশোর গ্যাংদের সংঘর্ষে ১৪ জন আহত হয়েছে। গত রবিবার (১০ জানুয়ারী) রাত ৭ টার দিকে মহানগরের ৩নং ওয়ার্ডে ইভটিজিং করাকে কেন্দ্র করে মাদানীনগর ও নয়াআটি মুক্তিনগর গ্রামবাসীর মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে দুইজনের অবস্থা গুরুতর। এক পক্ষের মামলা দায়ের। অপর পক্ষেরটি প্রত্রিয়াধিন রয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ঘটনাস্থলের চা দোকানদার এসডু সরকার জানান, মাদানীনগর এলাকার ৩০ থেকে ৪০ জন লোক দেশিয় অস্ত্র নিয়ে মুক্তিনগর কবরস্থান এলাকায় এসে অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় মুক্তিনগর এলাকার নারী পুরুষসহ অর্ধশতাধিক লোক দেশিয় অস্ত্র নিয়ে পাল্টা হামলা করে।

আরেক প্রত্যক্ষদর্শী আনোয়ার হোসেন আনু জানায়, মাদানীনগর এলাকার তাহেরুল, খায়রুল, আব্দুল্লাহ, রাকিব, আল-আমিন, তুষার, বাহারুলসহ অজ্ঞাত বহু লোকজন হামলা করতে আসলে আমরা কয়েকজন তাদের শান্ত করার চেষ্টা করি। এসময় শাহ আলমের মাথায় আঘাত করে ফাটিয়ে ফেলে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকার নারী-পুরুষ ছুটে আসলে মারামারি শুরু হয়। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানায়, বখাটে কিশোরগ্যাং সদস্যরা এলাকায় মাদক সেবন ও বিক্রি করছে। তাদের উশৃঙ্খলতা সীমা ছাড়িয়ে গেছে।

মাদানীনগর এলাকার তাহেরুল বলেন, আমার স্ত্রী বাসায় ফেরার পথে মুক্তিনগর এলাকার হিমেল অপত্তিকর কথা বলে। স্ত্রীর কাছ থেকে বিষয়টি জেনে আমি হিমেলকে জিজ্ঞেস করতে গেলে উত্তেজিত হয়ে উঠে। আমাদের উপর হামলা করে।

ইভটিজিং করার অভিযোগ মিথ্যা দাবি করে হিমেল বলে, পূর্বশত্রুতার জের ধরে আমাকে ডেকে নিয়ে তাহেরুল আমার পেটে ছুরিকাঘাত করে। কিন্তু আমি সরে যাওয়া ভাল করে লাগেনি। আমি দৌড়ে কবরস্থান এলাকায় চলে আসি। তখন সে দলবল নিয়ে সেখানে এসে হামলা করে।
এ সংঘর্ষে মুক্তিনগর এলাকার শাহ আলম, হিমেল, জাকির, বিল্লাল, আলমগীর, খোকন, মহিউদ্দিন, সিয়াম, হাসিনা ও ময়না আর মাদানীনগর এলাকার আল-আমিন, তাহেরুল, রাকিব ও খায়রুল আহত হয়। তাদের মধ্যে শাহ আলম ও আল-আমিন গুরুতর। তাদের রাতেই নারায়ণগঞ্জ খানপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহজালাল বাদল জানান, মারামারির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে পরিস্থিতি বেগতিক দেখে থানায় ফোন করি। পরে পুলিশ আসার পর দুই পক্ষই পালিয়ে যায়।

ঘটনাস্থল পরিদর্শনকারী সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) কাজল চন্দ্র মজুমদার জানান, ইভটিজিং সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে মারামারির ঘটনা ঘটে। উভয় পক্ষের লোকজন আহত হয়েছে।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশিউর রহমান জানান, ইভটিজিং এর ঘটনায় নাহিদা নামে এক নারী বাদী হয়ে মামলা করেছে। প্রতিপক্ষের অভিযোগ তদন্ত চলছে।

চামচারা শেখ হাসিনার সব অর্জন ধ্বংস করে দিচ্ছে: ওবায়দুল কাদেরের ভাই

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : চামচারা’ শেখ হাসিনার সব অর্জন ধ্বংস করে দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই আবদুল কাদের মির্জা। আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট বাজারের ব্যবসায়ীদের নিয়ে এক নির্বাচনী পথসভায় তিনি এই মন্তব্য করেন।

১৬ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় দ্বিতীয় ধাপের পৌরসভা নির্বাচনে আবদুল কাদের মির্জা বসুরহাট পৌরসভার মেয়র পদে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন। সোমবার নির্বাচনী সভায় আবদুল কাদের মির্জা বলেন, ‘ফেনীর একটা উপজেলা চেয়ারম্যান একরাম, তাঁকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করে গাড়ির ভেতরে ঢুকিয়ে পেট্রল ঢেলে জ্বালিয়ে দিয়েছে। নিজাম হাজারীকে জবাব দিতে হবে। কীভাবে লুটপাট চলছে, খবর নেন। চাকরি–বাণিজ্য, টেন্ডারবাজি চলছে হাজার হাজার, লাখ লাখ টাকার। এসব চামচারা শেখ হাসিনার সব অর্জন ধ্বংস করে দিচ্ছে।’

সুষ্ঠু নির্বাচনের আশ্বাস দিয়ে আবদুল কাদের মির্জা বলেন, ‘আমি স্পষ্ট ভাষায় বলছি যে কেন্দ্রে কেউ গন্ডগোল করবে, সঙ্গে সঙ্গে নির্বাচন বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রয়োজনে ১০ বার নির্বাচন হবে। তবু নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ করা যাবে না।’ তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের দিন আপনারা যদি দেখেন আমি অনিয়ম করছি, তাহলে আমি প্রার্থনা করে বলছি, হে খোদা, আমি যদি অনিয়মের ভোটের সঙ্গে সম্পৃক্ত হই, তাহলে তুমি আমাকে ভোটের দিনই মৃত্যু দিয়ো।’

আবদুল কাদের মির্জা আরও বলেন, ‘আজ সকালে এক জায়গা থেকে একজন বিএনপির প্রার্থী আমাকে ফোন করে বলে, ‘‘ভাই, আপনার এলাকায় বিএনপি ভোট করছে, আর আমি আমার বাড়ি থেকেও বের হতে পারছি না, ভোট করা তো দূরের কথা।’’ এই হলো অবস্থা, তারা বড় বড় কথা বলে।’

তিনি তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী দুই প্রার্থীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘আপনাদের প্রতি অনুরোধ, যদি কোথাও কারচুপি হয়, সঙ্গে সঙ্গে আমাকে বলবেন। সঙ্গে সঙ্গে সেই কেন্দ্র বন্ধ করে দেব। নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কোনো কর্মকর্তাকে কোনো অন্যায় করতে দেওয়া হবে না।’

নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে ষড়যন্ত্র চলছে, উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী বলেন, ‘কোম্পানীগঞ্জে যদি একটা মায়ের বুক খালি হয়, নির্বাচন নিয়ে কোনো প্রহসন করা হয়, যদি একটা জাল ভোট কোথাও পড়ে, যদি কারও ঘরে আগুন লাগানো হয়, কারও খড়ের গাদায় আগুন লাগে তার দায়দায়িত্ব নোয়াখালীর ডিসি, এসপি ও নির্বাচন কর্মকর্তাকে নিতে হবে।’

মাদক নিয়ে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি সম্পর্কে আবদুল কাদের মির্জা বলেন, ‘মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের নেত্রী জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন। মাদক কি চলে? চললে প্রশাসনের কাজ কী? আমরা এখান থেকে সকালে ধরে দিলে বিকেলে ছেড়ে দেয়। তাহলে শেখ হাসিনার জিরো টলারেন্স নীতি কোথায় গেল? নেত্রীকে অবজ্ঞা করছে তারা।’ তিনি প্রস্তাব করেন, ‘যারা এমপিসহ জনপ্রতিনিধি হবে, তারা মদ খেতে পারবে না, নারী–কেলেঙ্কারিতে জড়াতে পারবে না। দলের যেকোনো পর্যায়ের নেতা হতে হলে মদ–নারীর সঙ্গে থাকতে পারবে না।’

নির্বাচনী সভায় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাহাব উদ্দিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খানসহ উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। বসুরহাট বাজারের ব্যবসায়ীরা ছাড়াও বিপুলসংখ্যক দলীয় নেতা-কর্মীর সমাগমে পথসভাটি কার্যত সমাবেশে রূপ নেয়।

মুন্সিগঞ্জে বোনকে ধর্ষণ চেষ্টা, ছেলেকে হত্যা করলেন বাবা-মা

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার হোসেন্দী গ্রামে বাড়ির পাশের ডোবা থেকে মো. হাসান মিয়া (১৭) নামে এক কিশোরের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় তার বাবা, মা ও বোনকে আটক করেছে পুলিশ।

শনিবার (৯ জানুয়ারি) দুপুরে গজারিয়ার হোসেন্দী বাজার এলাকা থেকে অভিযুক্ত তিনজনকে আটক করা হয়েছে।

এরা হলেন-নিহত হাসানের বাবা মো. শামীম শিকদার (৪০), মা হাসিনা বেগম (৩৮) ও বোন (১৫)।

গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রইছ উদ্দিন নিশ্চিত করে জানান, নিহত হাসান মিয়া মাদকাসক্ত ছিল। ঘটনার দিন রাতে তার বোন প্রকৃতির ডাকে সাড়ে দিতে ঘরের বাইরে বের হলে হাসান তাকে জোর করে তার ঘরে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে। বোনের চিৎকারে মা, বাবা এসে ছেলেকে মারধর করলে একপর্যায়ে বোন হাসানের পুরুষাঙ্গ কেটে দেয় ও মা পায়ে ধরে ও বাবা বালিশ দিয়ে মুখে চাপা দিলে হাসানের মৃত্যু হয়। গোপন করার জন্য হাসানের মরদেহটি বাড়ির পাশে ডোবায় ফেলে দেয় পরিবারের সদস্যরা। নিহতের মা হাসানের মরদেহ ডোবায় পড়ে রয়েছে বলে স্বপ্নে দেখেছেন বলেও তিনি জানান। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায়। প্রথমে এ হত্যাকাণ্ডটি এলাকার পূর্ব শত্রুতার জেরে হয়েছে বলে মা দাবী করেন।

ওসি আরও জানান,  এ ঘটনা প্রত্যক্ষ করে নিহতের ছোট ভাই। তাদের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করেই ঘটনার মূল রহস্য জানা গেছে। সে মামলার বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করে।

উল্লেখ্য, এর আগে শুক্রবার (৮ জানুয়ারি) সকাল ১১টার দিকে উপজেলার হোসেন্দী গ্রামের ডোবা থেকে হাসানের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। বাড়ির পাশের ডোবা থেকে অতিমাত্রায় দুর্গন্ধ বের হলে পুলিশকে খবর দেয়া হয়। একপর্যায়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে হাসানের মরদেহ উদ্ধার করে। ১৭ দিন ধরে মরদেহটি ডোবায় পড়ে ছিল।

আনুশকার শরীরে মিলেছে রহস্যজনক ‘ফরেন বডির’ আলামত

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : সম্প্রতি চাঞ্চল্যকর ঘটনা রাজধানীর কলাবাগানে আনুশকা নূর আমিন ধর্ষণ ও হত্যা মামলা। মাস্টার মাইন্ড স্কুলের ‘ও’ লেভেলের এই ছাত্রীর রেক্টাম ও যৌনাঙ্গে মিলেছে অস্বাভাবিক ‘ফরেন বডি’র আঘাত। কি ছিল সেই ‘ফরেন বডি’? সেই রহস্যকে কেন্দ্র করে চলছে গভীর অনুসন্ধান।

আনুশকার মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনে কাজ করছে সংশ্লিষ্ট একাধিক প্রতিষ্ঠান। ইতোমধ্যেই মেডিকেল ফরেনসিক টিম ময়নাতদন্তের কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে। বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করে কাজ করে যাচ্ছে সিআইডিসহ আইন প্রয়োগকারী ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। এরইমধ্য থেকে তদন্ত সংশ্লিষ্ট নির্ভরযোগ্য সূত্র প্রত্যক্ষ আলামত ও চিহ্নের ভিত্তিতে ধারণা করছে যে- দেশীয় আকৃতির পুরুষাঙ্গ নয়, বরং ফরেন বা বিদেশি বড় পুরুষাঙ্গ আকৃতির কিছু একটা ভিক্টিমের রেক্টামে পুশ করানো হয়েছে। যে কারণে যৌনাঙ্গ ও রেক্টাম ফেটে গিয়ে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়।

সংশ্লিষ্ট ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) সাজ্জাদুর রহমান বলেন, গত বছরের নভেম্বর থেকে দিহানের সাথে ওই ছাত্রীর প্রেমের সম্পর্ক চলমান ছিল বলে প্রমাণ মিলেছে। আমরা দিহানের বাসা থেকে বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করেছি। তবে, তদন্তের স্বার্থে সকল বিষয়ে এখনই বলা যাচ্ছে না। ময়নাতদন্ত রিপোর্টসহ অন্যান্য পরীক্ষা নিরীক্ষার ডকুমেন্ট আমাদের হাতে আসলেই এই ঘটনার রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব হবে বলে মনে করছি। ফরেনসিক চিকিৎসক অভিমত দিয়েছেন- ‘বিকৃত’ যৌনাচারের কারণে ওই মেয়েটির যৌনাঙ্গ এবং রেক্টাম থেকে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়েছে।

আনুশকা নূরের ময়নাতদন্ত হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এ বিষয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদের কাছে জানতে চাইলে তিনি আরটিভি নিউজকে বলেন, স্বাভাবিক পেনিস দ্বারা রেক্টাম ও যৌনাঙ্গ ব্যবহার করলে এতোটা ভয়াবহ পরিণতি হওয়া কথা নয়। শরীরের নিম্নাঙ্গে ‘কোন ফরেন বডি সাইজ’ কিছু একটা ব্যবহার করা হয়েছে। এক কথায় সেখানে বিকৃত যৌনাচার করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ‘আমি আমার পোস্টমর্টেম জীবনের অভিজ্ঞতার আলোকে বলতে পারি, পেনিস (পুরুষাঙ্গ) দ্বারা এই ইনজুরি মোটেও সম্ভব না। ওটা পেনিসের বাইরে অন্য কিছু ছিল।

ডা. সোহেল মাহমুদ আরটিভি নিউজকে আরও বলেন, যোনিপথ ও পায়ুপথ থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ তার (আনুশকার) মৃত্যুর কারণ হতে পারে। এই প্রচুর রক্তক্ষরণ হওয়ায় সে ‘হাইপো ভোলেমিক’ শকে মারা গেছে। মানুষের মাত্রাতিরিক্ত রক্তক্ষরণ বা দেহ থেকে অতিরিক্ত তরল বের হয়ে গেলে হৃদপিণ্ড স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা হারায়। এ কারণে হৃদযন্ত্র শরীরে রক্ত সরবরাহ করতে পারে না, মানুষ মারা যেতে পারে।

বিকৃত যৌনাচারের তথ্য পাওয়ার কথা জানিয়ে এই ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘যোনিপথ ও পায়ুপথ দুই রাস্তা থেকেই আমরা রক্তক্ষরণের আলামত পেয়েছি। আমরা জোর জবরদস্তির কোনো আলামত পাইনি। তবে যোনিপথ ও পায়ুপথে কিছু ইনজুরি আমরা পেয়েছি। মূলত সেই ইনজুরিগুলোর জন্যই সেখান থেকে রক্তক্ষরণ হয়েছে। কিন্তু বডির অন্য কোথাও জোরাজুরির কোনো আলামত পাওয়া যায়নি।’

যৌনাচার দলগত ছিল কি না? এমন প্রশ্নে সোহেল মাহমুদ বলেন, ‘তার (মেয়েটি) বডি থেকে আমরা ডিএনএ সংগ্রহ করেছি। সেটি আমরা ল্যাবে পাঠিয়েছি। তার রিপোর্ট আসলে আমরা জানতে পারব এটা গ্যাং রেপ ছিল কি না।’

গত শুক্রবার (৮ জানুয়ারি) ঢাকার মুখ্য মহানগর আদালতের হাকিম মামুনুর রশিদ ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় দিহানের জবানবন্দি গ্রহণ করেন।
আদালত ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, জবানবন্দিতে দিহান বলেছেন, শারীরিক সম্পর্কের পর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হলে বন্ধুদের ডেকে তাদের সহযোগিতায় মেয়েটিকে আনোয়ার খান মডার্ন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। পরীক্ষা করার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) দুপুরের পর মেয়েটির মৃত্যুর ঘটনায় রাতেই কলাবাগান থানায় মামলা দায়ের করেন ওই ছাত্রীর বাবা আল আমিন আহম্মেদ।
মামলার এজহারে মেয়েটির বাবা জানান, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টায় তার স্ত্রী অফিসের উদ্দেশে ঘর থেকে বের হন। তিনি ব্যবসায়িক কাজে বের হন সকাল সাড়ে ৯টার দিকে। বেলা পৌনে ১২টার দিকে তার স্ত্রীকে ফোন করে মেয়ে জানায়, সে কোচিং থেকে পড়ালেখার পেপার্স আনতে যাচ্ছে।

বেলা একটা ১৮ মিনিটে মেয়ের মায়ের মোবাইল ফোনে কল আসে। ফারদিন ইফতেখার দিহান (১৮) নিজের পরিচয় দেয়। এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ‘আমার স্ত্রীর ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে ফোন করে বলে, ‘সে দিহান। আমার মেয়ে তার বাসাতে গিয়েছিল। আকস্মিকভাবে আমার মেয়ে তার বাসাতে অচেতন হয়ে পড়লে সে আমার মেয়েকে আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যায়।’

এই খবর পেয়ে মেয়েটির মা অফিস থেকে বের হয়ে বেলা ১টা ৫২ মিনিটে হাসপাতালে ছুটে যান।

এজাহারে আনুশকার বাবা আরও উল্লেখ করেন, ‘সেখানে থাকা কর্তব্যরত ডাক্তারের কাছ থেকে আমার মেয়েকে ধর্ষণ করে মেরে ফেলা হয়েছে মর্মে আমার স্ত্রী জানতে পারেন।’

বেলা ১টা ৫৭ মিনিটে বিষয়টি মেয়ের বাবা আল আমিনকে জানান স্ত্রী। এরপর তিনি পুরান ঢাকার নবাবপুরের ব্যবসাস্থল থেকে দ্রুত হাসপাতালে ছুটে যান।
এজাহারে বাবা লেখেন, ‘জরুরি বিভাগে থাকা কর্তব্যরত ডাক্তার নার্স হাসপাতালে অন্যান্য কর্মচারীসহ উপস্থিত অন্যান্য লোকজনের মাধ্যমে জানতে পারি যে উপরে বর্ণিত বিবাদী ফারদিন ইফতেখার দিহান দুপুরে ১২ টার দিকে বড় মেয়ে আনুশকা নূর আমিনকে প্রেমে প্রলুব্ধ করে মোবাইল ফোনে তার কলাবাগান ডলফিন গলির, লেকসার্কাসের ফাঁকা বাসায় ধর্ষণের উদ্দেশ্যে ডেকে নিয়ে যায়।’

রক্তক্ষরণে মেয়ে অচেতন হয়ে পড়লে দিহান ধর্ষণের বিষয়টি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে বেলা একটা ২৫ মিনিটের দিকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে পৌনে ২টার দিকে মারা যায় মেয়েটি।

পরে কলাবাগান থানা পুলিশের একটি দল হাসপাতালে যায়। তারা মেয়েটির সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগে পাঠায়।

মেয়ের ফোন কলটা কেটে দেওয়ার আফসোস করছেন আনুশকাহ’র বাবা

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : রাজধানীর কলা বাগানের ডলফিন গলি এলাকায় ধানমন্ডির মাস্টারমাইন্ড স্কুলের এক শিক্ষার্থীকে পর অ’ভিযোগ পাওয়া গেছে তার বয়ফ্রেন্ড ফারদিন ইফতেখার দিহান ও তিন সহপাঠীর বি’রুদ্ধে।

যখন প্রচন্ড রক্তপাত শুরু হয় তখন অভিযুক্ত ফারদিন ইফতেখার দিহান তাকে ধানমন্ডির আনোয়ার খান মর্ডান হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে বিকাল পাঁচটায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। মরদেহ বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। এ বিষয়ে আমরা মামলা করেছি।

বাসার পশ্চিম দিকের শেষ ছোট রুমটিই নির্যাতনের শিকার হয়ে মারা যাওয়া কিশোরীর। রুমে ছোট্ট একটা খাট, পড়ার টেবিল আর একটা কাঠের আলমারি।

বর্তমানে বাসাজুড়ে শুধুই শূন্যতা। চারদিকে পিনপতন নীরবতা। খাটে বসে আছেন তিনদিন আগে মারা যাওয়া আনুশকাহ নূর আমিন নামে ওই কিশোরীর বাবা।

রোববার সেদিনের ঘটনার বর্ণনায় আনুশকাহ’র বাবা কান্নাজ’ড়িত কণ্ঠে বলেন, ঘটনার দিন ঠিক ১২টা ১৯ মিনিটে আমা’র মেয়ের নম্বর থেকে কল আসে। আমি মিটিংয়ে থাকায় ফোনটা কেটে দেই। এরপর আর ফোন করেনি। তার কিছু সময় পর আমার স্ত্রীর ফোনে কল আসে। ফোন করে আমার মেয়ের অসুস্থতার কথা জানায়। প্রথম ফোনটা না ধরাটাই ছিল আমার সবচেয়ে বড় ভুল।

 

ফতুল্লা থানা আ’লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের পূর্নাঙ্গ কমিটির অনুমোদন দেয়া হয়েছে। কমিটিতে আলহাজ্ব এম সাইফউল্লাহ বাদলকে সভাপতি ও আলহাজ্ব এম শওকত আলীকে সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেনকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে ৭১ সদস্যের পূর্নাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।

রোববার (১০ জানুয়ারী) জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল হাই ও সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহিদ মোহাম্মদ বাদলের স্বাক্ষরিত ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের কমিটির অনুমোদন দেয়া হয়।

কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি আসাদুজ্জামান, সহ- সভাপতি ওয়ালী মাহমুদ খান, একেএম শহিদুল ইসলাম, খন্দকার লুৎফর রহমান স্বপন, আলহাজ্ব গিয়াস উদ্দিন, মো: আশরাফুল আলম, আব্দুল হাকিম চৌধুরী, মো: মঞ্জুরুল ইসলাম, হাজী মোস্তফা কামাল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এইচ এম ইসহাক, ফরিদ আহম্মেদ লিটন, মোমেন শিকদার, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন, মাহবুব রহমান মাসুম, এমএ মান্নান, আইন বিষয়ক সম্পাদক আবু তাহের রানা, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ইউনুছ দেওয়ান, তথ্য ও গবেষনা বিষয়ক সসম্পাদক মতিউর রহমান প্রধান, ত্রান ও সমাজ কল্যান বিষয়ক সম্পাদক এমএ সাত্তার, দপ্তর সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক আবজাল উন নুর, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক জাহিদুল হক খোকন, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মাহবুব আলম মাসুদ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্ত বিষয়ক সম্পাদক সফিউল্লাহ সফি, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক নাছিমা আক্তার বিউটি, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক ফরিদ উদ্দিন আহম্মেদ, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক রমিজ উদ্দিন ঢালী, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ন কবির রতন, শ্রম সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম বেপারী, সাংস্কৃতিক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক মোস্তফা চৌধুরী, সহ দপ্তর সম্পাদক রাজিব হোসেন মিঠু, সহ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক রেহান শরীফ বিন্দু, কোষাধ্যক্ষ মো: জাকির হোসেন মেম্বার।

কমিটির কার্যনির্বাহী সদস্যরা হলেন এ কে এম শামীম ওসমান, সালমা ওসমান লিপি, ইমতিনান ওসমান অয়ন, শাহ আলম গাজী টেনু, আব্দুল মোতালেব মোল্লা, মমিন মাদবর, মানিক চান, দুলাল হোসেন, আইয়ুব আলী, এমএ সাত্তার, লুৎফর রহমান স্বপন, আজগর আলী, ইদ্রিস আলী, সিদ্দিকুর রহমান, আবুল হোসেন প্রধান, বাবুল মিয়া, আলমগীর হোসেন, সালাউদ্দিন আহম্মেদ, রঞ্জিত মন্ডল, মোস্তফা কন্ট্রাকটার, আব্দুল কাদির ব্যাংকার, জাহাঙ্গীর হোসেন, মিছিল আলী, মজিবুর রহমান, মোবারক, বাদশা মিয়া, রেহান শরীফ, মেহেদী হাসান রবিন, আতাউর রহমান নান্নু, সালাউদ্দিন ভুইয়া, আলাউদ্দিন হাওলাদার, জসিম উদ্দিন, জাহাঙ্গীর হোসেন (সাবেক মেম্বার), শাহীন আলম, আল মামুন মিন্টু।

জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহিদ মোহাম্মদ বাদল জানান, ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের কমিটির অনুমোদন দেয়া হয়েছে। সম্প্রতি সম্মেলনের মাধ্যমে আলহাজ্ব এম সাইফউল্লাহ বাদল সভাপতি ও আলহাজ্ব শওকত আলী সাধারণ সম্পাদক হিসাবে নির্বাচিত হয়েছে। আর এ কমিটিতে ৭১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্নাঙ্গ কমিটির অনুমোদন দেয়া হয়েছে। ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের যাদের নিয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে তারা পরিক্ষিত ও দক্ষ রাজনীতিবিদ।

জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল হাই জানান, ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের ৭১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্নাঙ্গ কমিটির অনুমোদন দেয়া হয়েছে। সম্প্রতি সম্মেলনের মাধ্যমে ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের এম সভাপতি এম সাইফউল্লাহ বাদল ও সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী নির্বাচিত হয়। আর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সকলের সম্মতিক্রমে ৭১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করলে আমরা কমিটির অনুমোদন প্রদান করি। কমিটিতে যারা অন্তর্ভুক্ত হয়েছে তারা আওয়ামীলীগের পরিক্ষিত রাজনীতিবিদ। আমরা জেলা আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে তাদের সফলতা কামনা করছি। তাদের নেতৃত্বে ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগ একটি শক্তিশালী কমিটি গঠিত হয়েছে বলে আমি মনে করছি।