২২শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
৭ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 53

সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রত্যাহারের দাবিতে ফতুল্লায় বিক্ষোভ

নিউজ প্রতিদিন: দৈনিক মানব জমিনের প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং বাংলাট্রিবিউনের সাংবাদিক আরিফুর রহমান রিগানকে অবৈধ ভাবে গ্রেফতার ও নির্যাতনের ঘটনায় জড়িত কুড়িগ্রামের ডিসি সুলতানা পারভীনকে গ্রেফতারের দাবিতে ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের উদ্যোগে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার বিকেলে ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের সামনে এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের সাধারন সম্পাদক আবদুর রহিমের সঞ্চালনায় এবং ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের সভাপতি সৈয়দ ওবায়েদ উল্লার সভাপতিত্বে এসময় বক্তব্য রাখেন মানব জমিনের স্টাফ রিপোর্টার বিল্লাল হোসেন রবিন,ফতুল্লা রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি রনজিত মোদক,ফতুল্লা রিপোর্টাস ইউনিটির সভাপতি নুরুল ইসলাম নুরু,বন্দর থানা প্রেস ক্লাবের সভাপতি সাব্বির আহমেদ সেন্টু,নারায়ণগঞ্জ ফটো জার্নালিস্ট এসোসিযেশনের সাধারন সম্পাদক এনামুল হক সিদ্দিকী, সাংবাদিক ফরিদ আহমেদ বাঁধন, ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক নিয়াজ মোঃ মাসুম,সাবেক সহ-সভাপতি রুহুল আমীন প্রধান,দপ্তর সম্পাদক শাকিল আহমেদ ডিয়েল,অর্থ সম্পাদক সেলিম হোসেন, আবদুল আলিম লিটন,পম আজিজ,কজী আনিসুল হক হিরা,শাকিল আহমেদ ডিয়েল, নিউজ প্রতিদিনের সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ উজ্জিবীত বাংলাদেশের সম্পাদক সোহেল আহমদ, সংবাদ নায়ণগঞ্জের সম্পাদক দুলাল আহমেদ,ফতুল্লা রিপোর্টার্স যুগ্ম সম্পাদক এ আর কুতুবে আলম, ক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম সুজন, দপ্তর সম্পাদক শিশির, মোস্তাক আহমেদ সুমন, মেহেদী হাসান রাসেল, শফিকুল ইসলাম জনি, জামিল হোসেন, মনির হোসেন, কুমকুম,খোকন প্রধান, ইমাম হোসেন সবুজ প্রমুখ।

 

বক্তাবলীর সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম বাবুল জালিয়াতি মামলায় কারাগারে

নিউজ প্রতিদিন: নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম বাবুল জালিয়াতি মামলায় কারাগারে।

বুধবার (১১ মার্চ) চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পন করে জামিন চাইলে বিজ্ঞ বিচারক জামিন না মঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

মামলার বাদী আব্দুল হাই কেনু নিউজ প্রতিদিন ডটনেটকে বলেন, জমিজমা নিয়ে জালিয়াতের আশ্রয় নেয়ায় নজরুল ইসলাম বাবুলের বিরুদ্ধে কোর্টে মামলা করি। মামলা নং- ২৬১।

সেই মামলায় আত্মসর্ম্পন করে জামিন চাইলে বিজ্ঞ বিচারক জামিন না মঞ্জুর করে প্রতারক বাবুলকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

উল্লেখ্য নজরুল ইসলাম বাবুল প্রথমে বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের ৪নং ওয়ার্ড রাজাপুরের মেম্বার ছিল। মিলন মেহেদী চেয়ারম্যান পদ হারালে নজরুল ইসলাম বাবুল ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত নজরুল ইসলাম বাবুল।

বক্তাবলীর ৫নং ওয়ার্ড আ’লীগ নেতাদের শওকত আলীকে ফুলেল শুভেচ্ছা

নিউজ প্রতিদিন: ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সংগ্রামী সাধারণ সম্পাদক ও বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের রাষ্ট্রীয় স্বর্ণপদক প্রাপ্ত সফল চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো. শওকত আলীকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বক্তাবলীর ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নবনির্বাচিত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।

মঙ্গলবার (১০ মার্চ) বিকালে বক্তাবলী ঘাটস্থ শওকত আলীর অফিসে এসে নবনির্বাচিত এই দুই নেতা ফুল দিয়ে তাকে শুভেচ্ছা জানান।

নবনির্বাচিত সভাপতি বাছির সরদার ও সাধারণ সম্পাদক আল আমিন ছাড়াও  এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন-বক্তাবলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ কামরুল ইসলাম, বক্তাবলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ বাবুল মিয়া , ফতুল্লা থানা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, প্রকৌশলী আবু সাইদ রিংকু, আশাদ ভান্ডারী, মোঃ মোকলেছ আলী, শুক্কুর আলী, নান্নু মিয়া, আক্কাছ আলী , মোঃ নাজিমুদ্দিন, মীর নাছির উদ্দীন, আনোয়ার আলী, মোঃ নোয়াব, মোঃ রাসেল, তানভির, তানজিল, মোঃ মিজু, মোঃ সোহাগ, আদর, মোঃ ফুশাদ, মোঃ রাকিবুল প্রমুখ।

বক্তাবলীর ৫নং ওয়ার্ড আ’লীগের সভাপতি বাছির সরদার-সম্পাদক আল আমিন

নিউজ প্রতিদিন: ফতুল্লা থানাধীন বক্তাবলী ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছ। সম্মেলনে বাছির সরদার সভাপতি ও আল আমিন সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। বাছির সরদার এর আগেও এই ওয়ার্ডের সভাপতি ছিলেন।

সোমবার (৯ মার্চ) সন্ধ্যায় সম্মেলনের এ ফলাফল ঘোষণা করেন সম্মেলনের প্রধান অতিথি ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও কাশীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম সাইফ উল্লাহ বাদল।

এর আগে একই পদে কয়েকজন প্রার্থী থাকায় কাউন্সিলরদের মতামতে ভোটের আয়োজন করা হয়। ২০০জন কাউন্সিলর সরাসরি ভোটে অংশ নেন। বাছির সরদার ১১১ ভোট ও আল আমিন ৭৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন।

সম্মেলনে উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম শওকত আলী। বক্তাবলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আফাজউদ্দিন ভুইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- জেলা পরিষদের সদস্য ও জেলা যুবলীগ নেতা জাহাঙ্গীর হোসেন, নারায়ণগঞ্জ কলেজের সাবেক ভিপি আলমগীর হোসেন, ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সাবেক ধর্মবিষয়ক সম্পাদক আবুল হোসেন প্রধান, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম।

সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন-ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ বাবুল মিয়া, বক্তাবলী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিক মাহমুদ, বক্তাবলী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক মাসির উদ্দিন, খোরশেদ আলম মাস্টার, ফতুল্লা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসাইনন।

সম্মেলনে বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যবৃন্দ ও সবক’টি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি-সম্পাদকরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে অনুষ্ঠানে এম শওকত আলী বলেন, এই মার্চ মাস অগ্নিঝরা মাস। এ মাসেই বাঙালী জাতির স্বপ্নদ্রষ্টা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে এবং এই বক্তাবলীর ২৯ নভেম্বরে ১৩৯জন লোক শহীদ হন।

এম সাইফ উল্লাহ বাদল বলেনন, সমস্ত থানায় সম্মেলন হয়েছে কিন্তু এমন কোথায়ও দেখিনি, ব্যালট পেপার সিল মানে প্রত্যক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে নেতা নির্বাচন খুব গর্বের এবং মজার ঘটনাও।

সভাপতি পদে বাছির সরদারের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন হানিফা ফকির। হানিফা ফকির এর আগে এই ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। সাধারণ সম্পাদক পদে বিজয়ী আল আমিন ছাড়াও প্রার্থী ছিলেন-আতাউর রহমান ও ইব্রাহিম সোহেল।

১৭ মার্চে আসছেন না মোদিসহ বিদেশি অতিথিরা

নিউজ প্রতিদিন: বিশ্বজুড়ে করোনা ভাইরাসের প্রেক্ষাপটে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠানসূচি পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে। আগামী ১৭ মার্চ জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে বিদেশি অতিথিদের উপস্থিতিতে যে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল তা স্থগিত করা হয়েছে। পরবর্তীতে এই সমাবেশের তারিখ চূড়ান্ত হবে।

ফলে ১৭ মার্চের অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিসহ যেসব বিদেশি অতিথি আসার কথা ছিল তারা আসছেন না। রবিবার (৮ মার্চ) সন্ধ্যায় গণভবনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উদযাপন জাতীয় কমিটির সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে  জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে।

বিদেশি অতিথিদের আপাতত না আসার বিষয়টি নিশ্চিত করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উদাপন বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ড. কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী বলেন, যেহেতু মূল অনুষ্ঠানটি এখন হচ্ছে না, তাই তারা এখন আসবেন না। পরবর্তী সময়ে অনুষ্ঠানসূচি ঘোষণা করা হলে তাদের আমন্ত্রণ জানানো হবে।

প্রসঙ্গত, দে‌শে তিনজন করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হওয়ার প্রেক্ষিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈঠক করেন। রোববার (৮ মার্চ) সন্ধ্যায় গণভবনে এ বৈঠক শুরু হয়। বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর আগামী ১৭ মার্চ মুজিববর্ষের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান কীভাবে আয়োজন করা যেতে পারে তা নিয়ে বিস্তা‌রিত আলোচনা হয় বৈঠকে।

বৈঠকে চলমান পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠানসূচি পুনর্বিন্যাস করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আগামী ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে বিশাল কলেবরে বিদেশি অতিথিদের উপস্থিতিতে যে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল তা স্থগিত করা হয়। তবে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ও টুঙ্গিপাড়ায় ওই দিন যে কর্মসূচি আছে তা ব্যাপক জনসমাবেশ পরিহার করে সীমিত আকারে করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বাংলাদেশে ৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস, সতর্ক থাকার পরামর্শ

নিউজ প্রতিদিন: বাংলাদেশে তিনজন করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউট (আইইডিসিআর)।

আজ রোববার একটি সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানিয়েছেন সংস্থাটির পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।

তিনি জানিয়েছেন, এই তিনজনের শরীরে নভেল করোনাভাইরাস পাওয়া গেছে।

তাদের মধ্যে দুইজন ইটালি থেকে বাংলাদেশে এসেছিলেন বলে তিনি জানিয়েছেন। সেই দুজনের একজনের পরিবারের একজন নারী সদস্য বাংলাদেশে আক্রান্ত হন। এদের বয়স বিশ থেকে পয়ত্রিশ বছরের মধ্যে বলে জানা গেছে।

সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, তিনজন আক্রান্ত হলেও পুরো দেশে করোনা ছড়িয়ে পড়ার মতো কোনো পরিস্থিতি এখনো সৃষ্টি হয়নি। এখনই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করার দরকার নেই।

তবে সতর্কতার জন্য প্রয়োজন ছাড়া কোনো জনসমাবেশে যেতে নিষেধ করে তিনি বলেন, ভাইরাস প্রতিরোধে ইতোমধ্যে সব ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। বিভিন্ন হাসপাতালে আইসোলেশন ইউনিট প্রস্তুত করা হয়েছে।

বাংলাদেশের সকল বাসিন্দাকে বিশেষভাবে সতর্ক থাকার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

সূত্র: বিবিসি বাংলা

শিরশ্ছেদ হতে পারে সৌদি বাদশাহর ভাই-ভাতিজার!

নিউজ প্রতিদিন: সৌদি রাজপরিবারের জ্যেষ্ঠ দুই সদস্যকে শুক্রবার ভোরেই আটক করেন কালো পোশাক পরা নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। অভ্যুত্থান চেষ্টার অভিযোগে বাদশাহ সালমানের ছোট ভাই প্রিন্স আহমেদ বিন আবদুল আজিজ ও ভাতিজা মোহাম্মদ বিন নায়েফকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের খবরে দাবি করা হয়, রাজকীয় আদালত তাদের বিরুদ্ধে বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ ও যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানকে সিংহাসনচ্যুত করতে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ এনেছে। এতে তাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড কিংবা শিরশ্ছেদও হতে পারে।

নিজের সিংহাসনে আরোহনের ক্ষেত্রে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না রাখতেই এই আটক অভিযান বলে ডেইলি মেইলের খবরে বলা হয়।

প্রিন্স আহমেদ ও বিন নায়েফের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ আনা হয়েছে। ২০১৭ সাল পর্যন্ত সৌদি সিংহাসনের উত্তরসূরি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন বিন নায়েফ। তার ছোট ভাই নওয়াফ বিন নায়েফকেও গ্রেফতার করা হয়েছে।

ক্ষমতা সুসংহত করতে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের ধরপাকড় অভিযানে সর্বশেষ আটক হলেন আহমেদ ও বিন নায়েফ।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক র‌্যান্ড কর্পোরেশনের নীতিবিশ্লেষক বেকা ওয়াসের ব্লুমবার্গকে বলেন, যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠেছেন। তার উত্থানের ক্ষেত্রে সব হুমকি ইতিমধ্যে তিনি সরিয়ে দিয়েছেন। পাল্টা প্রতিক্রিয়া ছাড়াই তার সমালোচকদের হত্যা করছেন।

‘আর ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করতে এটা তার আরও বড় পদক্ষেপ। তাকে যাতে অতিক্রম করার চেষ্টা করা না হয়, রাজপরিবারের সদস্যদের তিনি সেই বার্তা দিতে চেয়েছেন নতুন এই ধরপাকড়ের মাধ্যমে,’ বললেন এই বিশ্লেষক।

আল-জাজিরার সাংবাদিক জামাল এলশায়াল বলেন, সৌদি রাজপরিবারের দুই জ্যেষ্ঠ সদস্যের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। কী কারণে যে এই গ্রেফতার, তা জোর দিয়ে বলা যাচ্ছে না। আর এ বিষয়ে কিছু বলা অপ্রয়োজনীয়। কারণ সেখানে স্বচ্ছতা ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা বলতে কিছু নেই।

তিনি বলেন, যে দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তারা সৌদির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের অন্যতম। দীর্ঘ সময় তারা স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে পারছেন না। কাজেই অভ্যুত্থান চেষ্টার যে অভিযোগ তাদের বিরুদ্ধে আনা হয়েছে, তা খুবই অসম্ভব ও কঠিন। তারা আগে থেকেই মারাত্মক বিধিনিষেধের মধ্যে রয়েছেন।

নিউইয়র্ক টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, এর একটি সম্ভাব্য মতলব হতে পারে বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজের বয়স। তিনি এখন ৮৪ বছরে রয়েছেন। বাবার মৃত্যু কিংবা সিংহাসন ত্যাগের আগে সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বীদের আটকে রাখতে চাচ্ছেন উত্তরসূরি মোহাম্মদ বিন সালমান।

রাজপরিবারে প্রিন্স আহমেদ বিশেষ মর্যাদা বহন করেন। কারণ বাদশাহ সালমানের একমাত্র জীবিত আপন ভাই তিনি। আর বাদশাহ আবদুল আজিজের জীবত সন্তানদের মধ্যে একজন তিনি। কাজেই শাসক পরিবারের জ্যেষ্ঠ সদস্যদের মধ্যে তার ব্যাপক সম্মান রয়েছে।

এর আগে নিজের ভাইকে সিংহাসনের উত্তরসূরি মনোনয়ন দিতেন সৌদি শাসকরা। কিন্তু বাদশাহ সালমান প্রথমবারের মতো ২০১৭ সালে নিজের ছেলেকে এই পদে বসান।

২০১৮ সালে লন্ডনে বিক্ষোভকারীদের মুখোমুখি হওয়ার সময় সৌদি আরবের বর্তমান নীতির সমালোচনা করার পর থেকে প্রিন্স আহমেদকে প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে ভাবতে শুরু করেন যুবরাজ।

বিক্ষোভকারীরা তখন ইয়েমেনে সৌদি নেতৃত্বাধীন বিমান হামলার বিরুদ্ধে স্লোগান দিচ্ছিলেন। কাজেই প্রতিবেশী দেশটিতে মানবিক সংকটের দায় নেয়ার ক্ষেত্রে বাকি রাজপরিবারের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রেখে চলছেন প্রিন্স আহমেদ।

এক ভিডিওতে রাজপরিবারের নাম নিয়ে তাকে বলতে শোনা গেছে, আল-সৌদে এসব কি হচ্ছে? এসবের জন্য বাদশাহ ও তার সন্তানই দায়ী। এরপরে ইন্টারনেটে ক্ষুব্ধ সৌদিরা প্রিন্স আহমেদের আনুগত্য মেনে চলার প্রতিশ্রুতি দেন।

কিন্তু দ্রুতই এটা পরিষ্কার হয় যে সিংহাসনের উত্তরসূরি হওয়ার কোনো ইচ্ছা তার নেই। একটি বিবৃতি ইস্যু করে তিনি বলেন, তার মন্তব্য ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।

পরবর্তী বসন্তে তিনি দেশে ফিরে যান। বিমানবন্দরে প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানকে আলিঙ্গন করেন। ভাইয়ের ছেলের সঙ্গে উষ্ণ সম্পর্ক রেখে আসতেই দেখা গেছে তাকে।

রাজপরিবারের যেসব সদস্যদের অবাধ্য হিসেবে বিবেচনা করছেন যুবরাজ, তাদের সঙ্গে যে আচরণ করা হয়েছে, প্রিন্স আহমেদের ক্ষেত্রে প্রথমে তেমনটি ঘটতে দেখা যায়নি। তিনি অনেকটা স্বাধীনভাবেই দেশে ফিরে আসা ও চলাচলের সুযোগ পান।

বুধবার তিনি অবকাশ থেকে ফিরে আসেন এবং পরের দিনেই গ্রেফতার হন। ক্ষমতাসীন আল-সৌদ পরিবারের জ্যেষ্ঠ সদস্যদের নিয়ে গঠিত হাইয়াতুল বাইয়ার তিন সদস্যের একজন তিনি। ২০১৭ সালে মোহাম্মদ বিন সালমানকে যখন সিংহাসনের উত্তরসূরি করা হয়, তখন প্রিন্স আহমেদ তার বিরোধিতা করেন।

প্রিন্স মোহাম্মদ বিন নায়েফ ছিলেন সাবেক যুবরাজ। ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে তার চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। তাকে মোহাম্মদ বিন সালমানের সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবেই বিবেচনা করা হয়ে আসছে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনকালে তিনি দেশের তিন সশস্ত্র বাহিনী নিয়ন্ত্রণ করেছেন। যার মধ্যে সেনাবাহিনী ও ন্যাশনাল গার্ড বাহিনীও রয়েছে। কাজেই ক্ষমতার লড়াইয়ে তিনি তাৎপর্যপূর্ণ সুবিধা পাবেন বলেই মনে করা হচ্ছে।

২০১৭ সালে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান কেবল তাকে ক্ষমতাচ্যুতই করেননি, ব্যাপক অপমান ও লাঞ্ছনাও দিয়েছেন। নিজের পদ থেকে সরে দাঁড়াতে বর্তমান যুবরাজের সহযোগীরা তাকে শারীরিকভাবে জবরদস্তি করেছেন।

তাকে দীর্ঘ সময় আটক রাখার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় চিকিৎসাবঞ্চিত করা হয়েছে। বিন নায়েফের সম্পদ জব্দ করা হয়। আর সামাজিকমাধ্যমে তার বিরুদ্ধে প্রচার চালানো হয়, তিনি ব্যথানাশকে আসক্ত।

তার ক্ষমতা কেড়ে নেয়া হয় এবং স্বাধীন চলাচল বন্ধ করা হয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কালো উর্দি ও মাস্ক পরা লোকজন রিয়াদে তার ডেজার্ট ক্যাম্পে আসেন এবং তাকে ও তার ছোটভাইকে তুলে নিয়ে যান। এসময় তার বাড়িঘর তল্লাশি ও যোগাযোগ লাইন বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়।

তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহীতার অভিযোগ তোলা হয়েছে। রাজপরিবারের অবাধ্য সদস্যদের গ্রেফতার যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের নিত্য অভ্যাস। মূলত ক্ষমতা সুসংহত করতেই তিনি এই ধরপাকড় চালাচ্ছেন বলে সমালোচকদের দাবি।

সাম্প্রতিক দিনগুলোতে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস মোকাবেলায় বিভিন্ন পদক্ষেপ নিতে দেখা যাচ্ছে সৌদি আরবকে। বিদেশি ওমরাহ যাত্রীদের দেশটিতে ঢুকতে বাধা দেয়া হচ্ছে। চলতি বছরে হজ পালনকে সামনে রেখে সেই সংকট বড় আকার নিতে পারে। সূত্রঃ যুগান্তর

আজ ঐতিহাসিক ৭ মার্চ

নিউজ প্রতিদিন: আজ ঐতিহাসিক ৭ মার্চ। বাঙালি জাতির দীর্ঘ স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে এক অনন্য দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) এক বিশাল জনসমুদ্রে দাঁড়িয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ডাক দেন।

এ দিন লাখ লাখ মুক্তিকামী মানুষের উপস্থিতিতে এই মহান নেতা বজ্রকণ্ঠে ঘোষণা করেন, ‘রক্ত যখন দিয়েছি রক্ত আরো দেব, এ দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো ইনশাআল্লাহ। এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একাত্তরের ৭ মার্চ দেওয়া ঐতিহাসিক ভাষণ পরবর্তীতে স্বাধীনতার সংগ্রামের বীজমন্ত্র হয়ে পড়ে। একইভাবে এ ভাষণ শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলিলই নয়, জাতির সাংস্কৃতিক পরিচয় বিধানের একটি সম্ভাবনাও তৈরি করে।

বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণকে ২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয় জাতিসংঘের শিক্ষা বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কো।

একাত্তরের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর এই উদ্দীপ্ত ঘোষণায় বাঙালি জাতি পেয়ে যায় স্বাধীনতার দিক-নির্দেশনা। এরপরই দেশের মুক্তিকামী মানুষ ঘরে ঘরে চূড়ান্ত লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিতে শুরু করে। বঙ্গবন্ধুর এই বজ্রনিনাদে আসন্ন মহামুক্তির আনন্দে বাঙালি জাতি উজ্জীবিত হয়ে ওঠে। যুগ যুগ ধরে শোষিত-বঞ্চিত বাঙালি ইস্পাতকঠিন দৃঢ়তা নিয়ে এগিয়ে যায় কাঙ্খিত মুক্তির লক্ষ্যে।

ধর্মীয় চিন্তা, সাম্প্রদায়িকতার মানসিকতা ও দ্বি-জাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে ১৯৪৭ সালে গঠিত পাকিস্তান রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ২৩ বছরের আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্যদিয়ে বাঙালি জাতিসত্ত্বা, জাতীয়তাবোধ ও জাতিরাষ্ট্র গঠনের যে ভিত রচিত হয় তারই চূড়ান্ত পর্যায়ে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের পর ছাত্র-কৃষক-শ্রমিকসহ সর্বস্তরের বাঙালি স্বাধীনতা অর্জনের জন্য মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি গ্রহণ করে।

বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে ৯ মাসের সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ী হয়ে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় ছিনিয়ে আনে বাঙালি জাতি। এই বিজয়ের মধ্য দিয়ে বিশ্ব মানচিত্রে জন্ম নেয় স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ।

ঐতিহাসিক ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ভাষণে গর্জে ওঠে উত্তাল জনসমুদ্র। লাখ লাখ মানুষের গগনবিদারী শ্লোগানের উদ্দামতায় বসন্তের মাতাল হাওয়ায় সেদিন পত্ পত্ করে ওড়ে বাংলাদেশের মানচিত্র খচিত লাল-সবুজের পতাকা। শপথের লক্ষ বজ্রমুষ্টি উত্থিত হয় আকাশে। সেদিন বঙ্গবন্ধু মঞ্চে আরোহণ করেন বিকেল ৩টা ২০ মিনিটে। ফাগুনের সূর্য তখনো মাথার ওপর। মঞ্চে আসার পর তিনি জনতার উদ্দেশ্যে হাত নাড়েন। তখন পুরো সোহরাওয়ার্দী উদ্যান লাখ লাখ বাঙালির ‘তোমার দেশ আমার দেশ বাংলাদেশ বাংলাদেশ, তোমার নেতা আমার নেতা শেখ মুজিব, শেখ মুজিব’ শ্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে। তিনি দরাজ গলায় তাঁর ভাষণ শুরু করেন, ‘ভাইয়েরা আমার, আজ দুঃখ-ভারাক্রান্ত মন নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি…।’ এরপর জনসমুদ্রে দাঁড়িয়ে বাংলা ও বাঙালির স্বাধীনতার মহাকাব্যের কবি ঘোষণা করেন- ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম…, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’

মাত্র ১৯ মিনিটের ভাষণ। এই স্বল্প সময়ে তিনি ইতিহাসের পুরো ক্যানভাসই তুলে ধরেন। তিনি তাঁর ভাষণে সামরিক আইন প্রত্যাহার, জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর, গোলাগুলি ও হত্যা বন্ধ করে সেনাবাহিনীকে ব্যারাকে ফিরিয়ে নেওয়া এবং বিভিন্ন স্থানের হত্যাকাণ্ডের তদন্তে বিচার বিভাগীয় কমিশন গঠনের দাবি জানান।

বঙ্গবন্ধু বলেন, ‘ভাইয়েরা আমার, আমি প্রধানমন্ত্রীত্ব চাই না, মানুষের অধিকার চাই। প্রধানমন্ত্রীত্বের লোভ দেখিয়ে আমাকে নিতে পারেনি। ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলিয়ে দিতে পারেনি। আপনারা রক্ত দিয়ে আমাকে ষড়যন্ত্র-মামলা থেকে মুক্ত করে এনেছিলেন। সেদিন এই রেসকোর্সে আমি বলেছিলাম, রক্তের ঋণ আমি রক্ত দিয়ে শোধ করবো। আজো আমি রক্ত দিয়েই রক্তের ঋণ শোধ করতে প্রস্তুত।’

তিনি বলেন, ‘আমি বলে দিতে চাই- আজ থেকে কোর্ট-কাচারি, হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্ট, অফিস-আদালত, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সব অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে। কোনো কর্মচারী অফিসে যাবেন না। এ আমার নির্দেশ।’

বঙ্গবন্ধুর ভাষণের সর্বশেষ দু’টি বাক্য, যা পরবর্তীতে বাঙালির স্বাধীনতার চূড়ান্ত লড়াইয়ের দিক-নির্দেশনা ও প্রেরণার হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে। বঙ্গবন্ধু বলেন, ‘রক্ত যখন দিয়েছি রক্ত আরো দেব। এ দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো ইনশাআল্লাহ। এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। জয়বাংলা’।

দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। আওয়ামী লীগের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে ভোর ৬টা ৩০ মিনিটে বঙ্গবন্ধু ভবন ও দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, সকাল ৭টায় বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন।

সিরাজদিখান দুই গ্রুপের গোলাগুলিতে আহত-৪

নিউজ প্রতিদিন : মুন্সিগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান থানার বালুচরে কাশেম নেতার সন্ত্রাসী বাহিনীর অর্তকিত হামলায় হৃদয় সহ ৪ জন আহত হয়েছে বলে সংবাদ পাওয়া গেছে।

ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার (৫ মার্চ) সন্ধ্যায় বালুচর  চৌরাস্তায়।

আহতরা আকবরনগর গ্রামের সামেদ ও রহিম হাজ্বীর লোকজন।আহতরা হলেন হৃদয়,আরিফ,কবির ও রাজু।আহতরা জানান,তারা কেনাকাটা করার জন্য বালুচর চৌরাস্তায় আসা মাত্র সন্ত্রাসী  সুরুজ্জামাল, হুমায়ুন, শাহআলম, আলী আজগর সহ আরো ২০/২৫ জন এবং  হাসনাবাদ  থেকে আগত সন্ত্রাসী মামুন গংরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অতর্কিত ভাবে হামলা চালায় আমাদের উপর।পরে দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। শত শত জনতা এসময় আতংকিত হয়ে পড়ে সন্ত্রাসীদের তান্ডবে।

রাজু জানান,আকবরনগরে হারানো প্রভাব ফিরে পেতে সন্ত্রাসীদের গডফাদার কাশেম নেতা মরিয়া হয়ে উঠেছে । তিনি তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে আমাদের উপর হামলা চালিয়েছে।

এ বিষয়ে সিরাজদিখান থানার ওসি ফরিদ উদ্দিন জানান, ঘটনার সাথে সাথে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আছে। উত্তেজনা হয়েছে তবে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

জুতা পায়ে শহীদ মিনারে ছাত্রলীগের প্রতিবাদ

নিউজ প্রতিদিন: শহীদ মিনারে জুতা পায়ে আড়াইহাজার ছাত্রলীগের প্রতিবাদ সমাবেশ নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে।

প্রতিবাদ করছেন খোদ দলের নেতা কর্মীরা। কয়রা উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাসেল ও নোয়াখালি বেগমগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের নেতা রাকিবকে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীদের দ্বারা নৃসংশভাবে হত্যার ঘটনায় বিচার দাবি করে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার থানা ছাত্রলীদের নেতাকর্মীরা মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে প্রতিবাদ সভা ও বিক্ষোভ মিছিল বের করেন।

স্থানীয় শহীদ মিনারে আয়োজিত সভায় থানা ছাত্রলীগের আহবায়ক কাজী রাজিবুল ইসলাম জুয়েলের নেতৃত্বে অংশ নেন আড়াইহাজার সরকারি সফর আলী কলেজের ভিপি রাজু, জিএস আয়োবুর রহমান, এজিএস ইকবাল, কলেজ শাখা সভাপতি রমজান, সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল, সাবেক ভিপি আমীর হোসেন, সাবেক এজিএস ছাত্রলীগ নেতা সাদ্দাম হোসেন, সাবেক সভাপতি সোহান ঢালী, সাবেক জিএস সাইফুল ইসলাম, ছাত্রলীগ নেতা নির্জল, উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য অপুসহ ইউপি ও পৌরসভা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় জুয়েল বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থেকে আমাদের ওপর হামলা, এটা হতে পারে না। স্থানীয় প্রশাসন ও বাংলাদেশ প্রশাসনের কাছে আমাদের একটি দাবি আপনারা জামায়াত-বিএনপির হাত থেকে ছাত্রলীগকে রক্ষা করবেন। সাবেক ভিপি আমীর হোসেন বলেন, ১৯৪৮ সালের ৪ষ্ঠা জানুয়ারি প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর থেকে সকল আন্দোলন সংগ্রামে থেকেছে। ছাত্রলীগের ভালো কাজের বাহবা কেউ দিতে চায় না। আমরা যখন কোনো ভুল করে ফেলি, তখন ভাইরাল হয়ে যায়। আমাদের ভালো কাজ ভাইরাল হয় না।

আমি আমাদের দুইভাইকে হত্যার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানাই। সাদ্দাম হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধুর বাংলায় কোনো বিএনপির প্রেতাঁতারা থাকতে পারবে না। আমি বলতে চাই, তাদের দ্বারা আর কত ছাত্রলীগ নেতা প্রাণ দিবেন। আমি নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। সেই সাথে বিচার দাবি করছি।