২০শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
৫ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 251

জড়িতদের শেকড় খুঁজে বের করা হবে : শেখ হাসিনা

গুলশানের স্প্যানিশ রেস্টুরেন্টে সন্ত্রাসী হামলাকে ‘অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক’ হিসাবে বর্ণনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যারা সন্ত্রাসীদের অস্ত্র ও গোলাবারুদ সরবরাহ করেছে সেই অপরাধীদের অবশ্যই শেকড় খুঁজে বের করা হবে।

রবিবার সকালে জাপানের স্টেট মিনিস্টার ফর ফরেন এফেয়ার্স সিইজি কিহারা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবনে সাক্ষাৎ করতে গেলে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন। বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের একথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, রেস্টুরেন্টে ভয়ঙ্কর পরিকল্পিত এই হামলার জন্য যারা সন্ত্রাসীদের অস্ত্র ও গোলাবারুদ সরবরাহ করেছে আমরা অবশ্যই সেই অপরাধীদের শেকড় খুঁজে বের করবো।

তিনি বলেন, সন্ত্রাসীরা এর আগে গুপ্তহত্যা চালিয়েছে এবং পুরোহিত, ফাদারস ও ভিক্ষুদের টার্গেট করেছে। অপরাধে জড়িত অনেক সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী এবং জাপানের স্টেট মিনিস্টার ঐকমত্য প্রকাশ করেন যে, বাংলাদেশ ও জাপান ঐক্যবদ্ধভাবে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করবে।  এ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা ফ্রান্স, বেলজিয়াম, জাপান ও ভারতে সন্ত্রাসী হামলার কথা উল্লেখ করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, গুলশানে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত জাপানী নাগরিকদের মৃতদেহের ময়না তদন্ত শেষে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে।

আসুন দলমত নির্বিশেষে সন্ত্রাস বিরোধী ঐক্য গড়ে তুলি : খালেদা জিয়া

কালবিলম্ব না করে আসুন আমরা সব ভেদাভেদ ভুলে দলমত নির্বিশেষে সন্ত্রাসবিরোধী ঐক্য গড়ে তুলি’ বলে আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া।

রবিবার বিকাল সোয়া ৪টায় গুলশানে নিজ রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই আহ্বান জানান।

শুক্রবার রাতে গুলশানে হলি আর্টিজান রেস্টেুরেস্টে সন্ত্রাসী হামলা এবং দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বিএনপি। এর আগে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের স্থায়ী কমিটির সাথে বৈঠক করেন খালেদা জিয়া।

খালেদা জিয়া বলেন, কে ক্ষমতায় থাকবে, কে ক্ষমতায় যাবে সেটা আজ বড় কথা নয়। আজ আমরা যারা আছি, আগামীতে হয়তো তারা কেউ থাকবে না। দেশ থাকবে, জাতি থাকবে। সেই দেশ ও জাতির ভবিষ্যৎ আজ বিপন্ন। তিনি বলেন, আমরা যে যাই বলি, যদি সন্ত্রাস দমন না করতে পারি। জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত না করতে পারি, তাহলে আমাদের কোনো অর্জনই টিকে থাকবে না।

খালেদা জিয়া বলেন, কাল বিলম্ব না করে আসুন আমরা সব ভেদাভেদ ভুলে, দলমত নির্বিশেষে সন্ত্রাসবিরোধী ঐক্য গড়ে তুলে শান্তিপূর্ণ নিরাপদ গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ে তুলি।

খালেদা জিয়া বক্তব্যের শুরুতেই বলেন, গভীর বেদনাভরা মন নিয়ে আপনাদের (সাংবাদিক) সামনে এসেছি। আমাদের জাতীয় জীবনের এক মহা সঙ্কটের সময় এখন। গত শুক্রবার রাতে রাজধানী ঢাকায় এক ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। কূটনৈতিক এলাকার কঠোর নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে আগ্নেয়াস্ত্র, গোলাবারুদ, গ্রেনেড ও বোমা নিয়ে সন্ত্রাসী দল ঢুকে পড়তে সক্ষম হয়। তারা গুলশানের ৭৯ নম্বর সড়কের একটি স্প্যানিশ রেস্তোরাঁয় ঝটিকা আক্রমণ চালিয়ে সেখানে অবস্থিত দেশী-বিদেশী নাগরিকদের জিম্মি করে।

তিনি বলেন, আইনশৃংখলা বাহনীর সদস্যরা উদ্ধার অভিয়ান চালাতে গেলে সন্ত্রাসীদের গুলি-বোমায় দুজন পুলিশ অফিসার নিহত ও অনেকে আহত হন। রাতেই সন্ত্রাসীরা তাদের হাতে জিম্মি দেশী-বিদেশী ২০ জন নিরপরাধ মানুষকে নৃশংসভাবে হত্যা করে। এই পৈশাচিক সন্ত্রাসী হামলা এবং নারীসহ দেশী-বিদেশী নির্দোষ নাগরিকদের এভাবে হত্যার ঘটনার নিন্দা করার কোনো ভাষা নেই। আমরা গভীর বেদনাহত এবং ক্ষুব্ধ। কোনো অজুহাতেই শান্তিপ্রিয় নিরপরাধ মানুষকে হত্যা করা সুস্থতার লক্ষণ নয়। এই বিকারগ্রস্ততার প্রতি আমরা তীব্র ঘৃণা প্রকাশ করছি।

সঙ্কটের শেকড় আরো গভীরে উল্লেখ করে বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, কেবল আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযান দিয়ে এই সন্ত্রাস মোকাবিলা করা যাবে না। এই সঙ্কটের শেকড় আরো অনেক গভীরে। সন্ত্রাস দমন কার্যক্রমকে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ দমনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে গেলে এই সঙ্কট আরো প্রকট আকার ধারণ করবে। তিনি এই বিষয়টির দিকে সংশ্লিষ্ট সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সতেচন হবার আহ্বান জানান।

সন্ত্রাসবাদকে ভয়াবহ জাতীয় সঙ্কট আখ্যা দিয়ে খালেদা জিয়া বলেন, ভৌগোলিক ও রাষ্ট্রীয় গন্ডি পেরিয়ে সন্ত্রাস আজ বিশ্বের দেশে দেশে রক্ত ঝরাচ্ছে। আমাদের প্রিয় মাতৃভূমিও আজ সন্ত্রাসের বিষাক্ত ছোবল জর্জরিত। এটা আমাদের জন্য নতুন এক ভয়াবহ জাতীয় সঙ্কট। শুক্রবার রাতের ঘটনায় শুধু একটি রেস্তোরাঁ নয়, সারা বাংলাদেশ আক্রান্ত হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছে আমাদের জাতীয় নিরাপত্তা, শান্তি, স্থিতিশীলতা, আমাদের বিশ্বাস ও আস্থা।

তিনি বলেন, আমাদের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড, ব্যবস্যা-বাণিজ্য, জীবনযাপন পদ্ধতি ও আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে এর সুদূরপ্রসারী নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। তাই সবার মিলিত প্রয়াসে আমাদেরকে এ সঙ্কট মোকাবিলা করতে হবে।

বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, কোনো সুস্থ ও বিবেকবান মানুষ এধরনের কাপুরুষোচিত হামলা ও নিরপরাধ মানুষের হত্যাযজ্ঞকে মেনে নিতে পারে না। এমন অযৌক্তিক, নিষ্ঠুর, হঠকারী ও ভুল পথে কোনো কিছুই অর্জন করা সম্ভব নয়। কোনো আদর্শ কিংবা ধর্মই এ ধরণের কাণ্ডজ্ঞানহীন সন্ত্রাসী কার্যকলাপ অনুমোদন করে না। শান্তির ধর্ম পবিত্র ইসলাম নিরপরাধ মানুষকে হত্যা করা এবং সন্ত্রাসের ঘোর বিরোধী। তাই সংযম সাধনার মহিমান্বিত মাস রমজানে এই রক্তপাত প্রতিটি ধর্মপ্রাণ মুসলমানকে স্তম্ভিত করেছে।

খালেদা জিয়া বলেন, আমাদের সবাইকে মনে রাখতে হবে গণতন্ত্রহীন দেশে, স্বৈরাচারী শাসন, অসহিষ্ণু রাজনীতি, দমন-পীড়নের রাষ্ট্রব্যবস্থা, অধিকারহীন সমাজ, আইনের শাসনের অনুপস্থিতি, অর্থনৈতিক বৈষম্য-বঞ্চনা এবং সুশিক্ষার অভাব ক্রমাগত চলতে থাকলে সেখানে সন্ত্রাসবাদ মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদী পদক্ষেপের মাধ্যমে এই কারণগুলো দূর না করলে সমাজ থেকে সন্ত্রাস নির্মূল করা যায়না। আমি মনে করি জনগণের অংশগ্রহণ ছাড়া এ ধরনের জাতীয় সঙ্কট মোকাবিলা করা সম্ভব নয়। কেবল গণতান্ত্রিক পরিবেশই জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত হতে পারে।

কোথায়ও কেউ নিরাপদ নয় উল্লেখ করে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই আতঙ্ক, এই হত্যালীলা থামাতে হবে। বন্ধ করতে হবে রক্তপাত। আমাদেরকে একতাবদ্ধ হতেই হবে। জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে।

তিনি বলেন, শুধু শুক্রবার রাতের ঘটনাই নয়। সারা বাংলাদেশ আজ সন্ত্রাসের থাবায় ক্ষতবিক্ষত। মসজিদের ইমাম ও মুয়াজ্জিন, মন্দিরের পুরোহিত, ধর্মগুরু ও যাজক, ভিন্ন মতের লেখক প্রকাশক-ব্লগার, খেটে-খাওয়া শ্রমজীবী মানুষদের নৃশংসভাবে হত্যা করা হচ্ছে। ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা আক্রান্ত হচ্ছে। নষ্ট হচ্ছে আমাদের সংযত লালিত সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ঐতিহ্য।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ ও বিশ্বের শান্তিকামী মানুষের সঙ্গে আমরাও শঙ্কিত। কারণ এই ঘটনায় আমাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থার দুর্বলতা ও ত্রুটি এবং সন্ত্রাসীদের সামর্থ প্রকটভাবে ফুটে উঠেছে। আমরা এর আগে সন্ত্রাসীদের চোরাগোপ্তা হামলার সাথে পরিচিত ছিলাম। কিন্তু এখন তা আর চোরাগোপ্তা হামলার মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। কারণ আমাদের এই শান্তিপ্রিয় মানুষের দেশে ভয়াবহ সন্ত্রাসের দানব গোপনে বেড়ে উঠেছে। তারা এখন পৈশাচিক হত্যাযজ্ঞের মাধ্যমে প্রকাশ্যেই ভয়ঙ্কর ছোবল হানছে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে বাস্তবতাকে অস্বীকার করে পরিস্থিতিকে আরো অবনতির দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। দৃশ্যমান শত্রুর তুলনায় অদৃশ্য শত্রুর হামলা মোকাবিলা এবং তাদের দমন করা অনেক কঠিন। এই কথা জানি বলেই আমরা এতোটা উৎকণ্ঠিত।

খালেদা জিয়া বাংলাদেশ সেনাবাহীনিকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, শুক্রবার রাতের রক্তক্ষয়ী ঘটনার অবসান ঘটেছে শনিবার সকালে আমাদের সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে পরিচালিত কমান্ডো অভিযানের মাধ্যমে। এতে সন্ত্রাসীদের হত্যা, সন্দেহভাজন হিসেবে আটক এবং জিম্মি দশা থেকে ১৩ জন দেশী-বিদেশী নাগরিককে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা সাময়িক স্বস্তি পেয়েছি। এরজন্য আল্লাহ্ রাব্বুল আলামিনের কাছে শুকরিয়া আদায় করছি। আমি সেনাবাহিনীকে ধন্যবাদ জানাই জাতীয় জীবনের এমন সঙ্কটে তাদের সামর্থ ও অনিবার্য প্রয়োজন আরেকবার প্রমাণ করার জন্য।

বিএনপি প্রধান বলেন, এই অভিযানে নৌবাহিনী, বিমান বাহিনী পুলিশ, র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন, সীমান্তরক্ষী বাহিনী, আইনশৃংখলা রক্ষাকারী অন্যান্য সংস্থা, অগ্নিনির্বাপক দল এবং গোয়েন্দা সংস্থা সমূহের যেসব সদস্য অসম সাহসিকতার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন আমি তাদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি। ঝুঁকি নিয়ে সংবাদ সংগ্রহের কাজে নিয়োজিত সাংবাদিকসহ কর্তব্যরত সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানাই।

এ ছাড়া পুলিশ বাহিনীর যে দুজন অফিসার উদ্ধার অভিযান চালাতে গিয়ে শুক্রবার রাতেই নিহত হন তাদের জন্য গভীর শোক প্রকাশ করেন বিএনপি চেয়ারপারসন দুজনের স্বজনদের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে তাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন। এছাড়া যারা আহত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন, তাদের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করেন খালেদা জিয়া।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম জিয়া বলেন, ইতালির নয়জন জাপানের সাতজন এবং ভারতীয় একজন নাগরিক সন্ত্রাসীদের হাতে নিষ্ঠুরভাবে অসহায় মৃত্যুর শিকার হয়েছেন। এই বিদেশী নাগরিকেরা পোশাক শিল্পের ক্রেতা হিসাবে এবং ব্যবসা, চাকরি ও পর্যটনের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশে আসেন। তাদের জন্য গভীর শোক প্রকাশ করছি। তাদের নিজ নিজ পরিবার এবং ইতালি, জাপান, যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের সরকার এবং জনগণের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। তাদের আত্মার শান্তি কামনা করছি।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশী নাগরিক তিন জন সম্ভবনাময় তরুণ-তরুণীকে হত্যা করেছে। তাদের রুহের মাগফিতার কামনা করছি। শোকাহত পরিবার বর্গের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।

খালেদা জিয়া বলেন, এই বিপদের দিনে সহানুভূতি ও সহায়তার প্রস্তাব নিয়ে যেসব বন্ধু রাষ্ট্র বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছে, আমি তাদের ধন্যবাদ জানাই। আশা করি আমাদের রাষ্ট্রীয় সার্বভৌমত্বের প্রতি শ্রদ্ধা বজায় রেখে তারা সন্ত্রাস মোকাবিলায় সম্ভাব্য সকল ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে। তবে নির্দিষ্ট ভূখন্ডে সন্ত্রাস মোকাবিলায় প্রথম কর্তব্য হচ্ছে সে দেশের সরকার ও জনগণের। বর্তমানে আমরা সন্ত্রাসের যে চিত্র দেখছি সেটা নিছক আইনশৃংখলা জনিত মামুলী কোনো সমস্যা নয়।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আ স ম হান্নান শাহ, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বয় চন্দ্র রায় প্রমুখ।

প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার রাতে গুলশানে হোটেল হলি আর্টিজান বেকারি রেস্তোরাঁয় সন্ত্রাসীদের হামলায় ২০ জন নিহত হয়। এর  মধ্যে নয়জন ইতালিয়ান, সাতজন জাপানি, একজন ভারতীয়, একজন বাংলাদেশি আমেরিকান ও দুজন বাংলাদেশি রয়েছেন। এর আগে জিম্মিদের উদ্ধার প্রচেষ্টাকালে দুই পুলিশ কর্মকর্তা বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাহউদ্দিন খান ও গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার (এসি) রবিউল ইসলাম নিহত হন। পরে শনিবার সকালে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে অপারেশন থান্ডারবোল্টে ছয় সন্ত্রাসী নিহত হয় বলে তারা দাবি করেছে।

দেশটা ভারত নিয়ে নিলো? : মোস্তফা সরয়ার ফারুকী

গত শুক্রবার রাত পৌনে নয়টার দিকে রাজধানীর ঢাকার কূটনৈতিক এলাকা গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় তলোয়ার-আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় জঙ্গিরা। তারা দেশি-বিদেশিদের জিম্মি করে। অভিযান চালাতে গেলে জঙ্গিদের গ্রেনেড হামলায় গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সহকারী কমিশনার রবিউল করিম ও বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাউদ্দিন নিহত হন। ৪০ জনের মতো আহত হন। জঙ্গিরা ওই রাতের বিভিন্ন সময় তিন বাংলাদেশিসহ ২০ জন জিম্মিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যা করে। পরদিন শনিবার সকালে যৌথ বাহিনী কমান্ডো অভিযান চালায়। এতে ছয় জঙ্গি নিহত হয়। গ্রেপ্তার হয় একজন। আর ১৩ জিম্মিকে জীবিত উদ্ধার করা হয়

এই ঘটনায় ক্ষোভ ও নিন্দা জানিয়েছেন সংস্কৃতি অঙ্গনের অনেকেই। চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক, চিত্রনাট্যকার এবং নাট্য নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী তার ভেরিফায়েড ফেসবুক প্রোফাইলে লিখেছেন

‘দেশটা ভারত নিয়ে নিলো? ইসলাম ধর্মকে ধ্বংস করার চক্রান্ত নিয়ে মাঠে নেমেছে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ?’

তিনি লিখেছেন, ‘যারা প্রাণ হারিয়েছে তাদের ছবিগুলোর দিকে তাকাতে পারি নাই। এইসব বিকৃত লাশের ছবি দেখার পরও কিভাবে আমরা গাইবো- এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি, সকল দেশের রানী সে যে আমার জন্মভূমি’? বিদেশীরা যখন জানতে চায় বাংলাদেশ কি আফগানিস্তান হতে চলেছে, তখন আমাদের গলায় আর কতদিন জোর পাবো বলতে ‘না’?’

হতাশা প্রকাশ করে তিনি লিখেছেন, ‘কতটা পৈশাচিক হলে মানুষ এই কাজ করতে পারে? এর পর আমি পিশাচদের দেখতে গেলাম ফেসবুকে । আমি দেখি আমি অন্ধ। পিশাচ খুঁজি, প্রোফাইলে ভাসে একদল হাস্যোজ্জ্বল তরুণ যারা মায়ের সাথে, বোনের সাথে, বন্ধুর সাথে মায়াভরা চোখে পোজ দেয়, যারা পৃথিবীর প্রতিটি প্রাণই মূল্যবান বলে পোস্ট দেয় কয় মাস আগেও । কে তাদের এতো দ্রুত মানুষ থেকে অমানুষ বানালো?

কি বলে তাদের ব্রেনওয়াশ করলো, ওদের ভেতরের কোন ক্ষোভকে পুঁজি করলো? সামনে এদেরই মতো আরও কাউকে যখন ব্রেনওয়াশ করবে কোন ক্ষোভের দাবানলকে পুঁজি করবে?’

মনে জিজ্ঞাসা রেখে ফারুকী লিখেছেন, ‘দেশটা ভারত নিয়ে নিলো? ইসলাম ধর্মকে ধ্বংস করার চক্রান্ত নিয়ে মাঠে নেমেছে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ?’

বিপদগামী তরুণদের উদ্দেশ্যে করে তিনি আরও লিখেছেন, ‘ওহে তরুণ, তোমার কানের কাছে যারা এইসব বলবে তাদের প্রশ্ন করো, এইসব করলে কি দেশ উদ্ধার হবে নাকি আরো বিপদে পড়বে? প্রশ্ন করো “এইসব বিকৃত লাশ আর ‘আল্লাহ আকবর’ ডাক দিয়ে করা নিষ্ঠুর খুন কি ইসলামের ইমেজ বৃদ্ধি করবে না ধ্বংস করবে? মনে রাখবা, তুমি যখন ছোটো ছিলা তখন তোমার বাবা মাকে তোমার দরকার ছিলো। এখন তুমি যখন বড় হচ্ছো তোমার বাবা মায়ের তোমাকে খুব দরকার । তাদের হাত ধরে যেমন তুমি হাঁটা শিখেছিলে, তাদেরও এখন তোমার হাতটা দরকার । তুমি যখন জড়ানো পায়ে হাঁটতে, তারা এক মুহূর্তের জন্যেও তোমার হাত ছাড়তো না যাতে তুমি পড়ে না যাও। সেই তুমি কিভাবে আজকে তাদের হাত ছেড়ে দিবা? তোমাকে তাদের দরকার ।

তোমাকে তোমার বোনের দরকার, ভাইয়ের দরকার, বান্ধবীর দরকার, এমন কি যে দেশ আর ধর্ম রক্ষার জন্য তুমি জীবন দিতে চাও সেই দেশ এবং ধর্মেরও তোমাকে দরকার।

পরিশেষে ফারুকী লিখেছেন, ‘তুমি না থাকলে সুন্দরবন বাঁচাবে কে? ট্রানজিট মাশুল নির্ধারনের নামে যে হাস্যকর ফি ধার্য করা হলো এটার যুক্তিযুক্ত প্রতিবাদ কে করবে? আমাদের সাগরে চোখ পড়েছে পশ্চিম-পূর্ব সকলের। তোমার সজাগ উপস্থিতি ছাড়া কে বাঁচাবে আমাদের সাগর। তুমি তো দেশ বাঁচাতেই চাও। তাহলে তোমাকেই তো থাকতে হবে।

তোমার জীবন অদরকারী নয়, যেমন অদরকারী না তোমার ছুরির ঐ পাড়ে থাকা জীবনটাও।গত শুক্রবার রাত পৌনে নয়টার দিকে রাজধানীর ঢাকার কূটনৈতিক এলাকা গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় তলোয়ার-আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় জঙ্গিরা। তারা দেশি-বিদেশিদের জিম্মি করে। অভিযান চালাতে গেলে জঙ্গিদের গ্রেনেড হামলায় গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সহকারী কমিশনার রবিউল করিম ও বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাউদ্দিন নিহত হন। ৪০ জনের মতো আহত হন। জঙ্গিরা ওই রাতের বিভিন্ন সময় তিন বাংলাদেশিসহ ২০ জন জিম্মিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যা করে। পরদিন শনিবার সকালে যৌথ বাহিনী কমান্ডো অভিযান চালায়। এতে ছয় জঙ্গি নিহত হয়। গ্রেপ্তার হয় একজন। আর ১৩ জিম্মিকে জীবিত উদ্ধার করা হয়

এই ঘটনায় ক্ষোভ ও নিন্দা জানিয়েছেন সংস্কৃতি অঙ্গনের অনেকেই। চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক, চিত্রনাট্যকার এবং নাট্য নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী তার ভেরিফায়েড ফেসবুক প্রোফাইলে লিখেছেন

‘দেশটা ভারত নিয়ে নিলো? ইসলাম ধর্মকে ধ্বংস করার চক্রান্ত নিয়ে মাঠে নেমেছে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ?’

তিনি লিখেছেন, ‘যারা প্রাণ হারিয়েছে তাদের ছবিগুলোর দিকে তাকাতে পারি নাই। এইসব বিকৃত লাশের ছবি দেখার পরও কিভাবে আমরা গাইবো- এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি, সকল দেশের রানী সে যে আমার জন্মভূমি’? বিদেশীরা যখন জানতে চায় বাংলাদেশ কি আফগানিস্তান হতে চলেছে, তখন আমাদের গলায় আর কতদিন জোর পাবো বলতে ‘না’?’

হতাশা প্রকাশ করে তিনি লিখেছেন, ‘কতটা পৈশাচিক হলে মানুষ এই কাজ করতে পারে? এর পর আমি পিশাচদের দেখতে গেলাম ফেসবুকে । আমি দেখি আমি অন্ধ। পিশাচ খুঁজি, প্রোফাইলে ভাসে একদল হাস্যোজ্জ্বল তরুণ যারা মায়ের সাথে, বোনের সাথে, বন্ধুর সাথে মায়াভরা চোখে পোজ দেয়, যারা পৃথিবীর প্রতিটি প্রাণই মূল্যবান বলে পোস্ট দেয় কয় মাস আগেও । কে তাদের এতো দ্রুত মানুষ থেকে অমানুষ বানালো?

কি বলে তাদের ব্রেনওয়াশ করলো, ওদের ভেতরের কোন ক্ষোভকে পুঁজি করলো? সামনে এদেরই মতো আরও কাউকে যখন ব্রেনওয়াশ করবে কোন ক্ষোভের দাবানলকে পুঁজি করবে?’

মনে জিজ্ঞাসা রেখে ফারুকী লিখেছেন, ‘দেশটা ভারত নিয়ে নিলো? ইসলাম ধর্মকে ধ্বংস করার চক্রান্ত নিয়ে মাঠে নেমেছে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ?’

বিপদগামী তরুণদের উদ্দেশ্যে করে তিনি আরও লিখেছেন, ‘ওহে তরুণ, তোমার কানের কাছে যারা এইসব বলবে তাদের প্রশ্ন করো, এইসব করলে কি দেশ উদ্ধার হবে নাকি আরো বিপদে পড়বে? প্রশ্ন করো “এইসব বিকৃত লাশ আর ‘আল্লাহ আকবর’ ডাক দিয়ে করা নিষ্ঠুর খুন কি ইসলামের ইমেজ বৃদ্ধি করবে না ধ্বংস করবে? মনে রাখবা, তুমি যখন ছোটো ছিলা তখন তোমার বাবা মাকে তোমার দরকার ছিলো। এখন তুমি যখন বড় হচ্ছো তোমার বাবা মায়ের তোমাকে খুব দরকার । তাদের হাত ধরে যেমন তুমি হাঁটা শিখেছিলে, তাদেরও এখন তোমার হাতটা দরকার । তুমি যখন জড়ানো পায়ে হাঁটতে, তারা এক মুহূর্তের জন্যেও তোমার হাত ছাড়তো না যাতে তুমি পড়ে না যাও। সেই তুমি কিভাবে আজকে তাদের হাত ছেড়ে দিবা? তোমাকে তাদের দরকার ।

তোমাকে তোমার বোনের দরকার, ভাইয়ের দরকার, বান্ধবীর দরকার, এমন কি যে দেশ আর ধর্ম রক্ষার জন্য তুমি জীবন দিতে চাও সেই দেশ এবং ধর্মেরও তোমাকে দরকার।

পরিশেষে ফারুকী লিখেছেন, ‘তুমি না থাকলে সুন্দরবন বাঁচাবে কে? ট্রানজিট মাশুল নির্ধারনের নামে যে হাস্যকর ফি ধার্য করা হলো এটার যুক্তিযুক্ত প্রতিবাদ কে করবে? আমাদের সাগরে চোখ পড়েছে পশ্চিম-পূর্ব সকলের। তোমার সজাগ উপস্থিতি ছাড়া কে বাঁচাবে আমাদের সাগর। তুমি তো দেশ বাঁচাতেই চাও। তাহলে তোমাকেই তো থাকতে হবে।

তোমার জীবন অদরকারী নয়, যেমন অদরকারী না তোমার ছুরির ঐ পাড়ে থাকা জীবনটাও।রর

ইমামের পিছে মুক্তাদীগণের সূরা ফাতেহা পড়া যাবে না-আল্লামা ড.এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী

ইমামের পিছে মুক্তাদীগণের সূরা ফাতেহা পড়া যাবে না এর পক্ষে সহীহ বুখারী শরীফ থেকে দলীল এবং লা-মাযহাবীদের দাঁতভাঙ্গা জবাব…।।

আলহামদুলিল্লাহ্‌….!! ঐতিহ্যবাহী আব্বাসী মঞ্জিল জৈনপুরী দরবার শরীফ পাঠানটুলী শাহী জামে মসজিদে বিগত ৪০ হাদীসের ২৮টি হাদীসের দারস আপনারা শুনেছেন…।।
গত ১৮ই রমজান পাঠানটুলী শাহী মসজিদে আয়োজিত দারসে বুখারীর বিদায়ী অনুষ্ঠানে বাকী ১২টি হাদীসের উপর খুবই তাত্ত্বিক ও দলীল ভিত্তিক দারস প্রদান করে আল্লামা আব্বাসী হুজুর…।।

দারসের মধ্যে উল্লেখযোগ্য বিষয়গুলো হলঃ—–
১. বিতের নামাজ ১ রাকাত নয় বরং ৩ রাকাত এর পক্ষে সহীহ বুখারী শরীফ থেকে দলীল এবং লা-মাযহাবীদের দাঁতভাঙ্গা জবাব…।।
২. ইকামতের আগে দাঁড়িয়ে কাতার সোজা করা বিদআত, ইকামতের পরে দাঁড়িয়ে কাতার সোজা করা সুন্নাতে মুয়াক্কাদা এর পক্ষে সহীহ বুখারী শরীফ থেকে দলীল এবং লা-মাযহাবীদের দাঁতভাঙ্গা জবাব…।।
৩. নামাজে আমিন জোরে বলা যাবে না, আস্তে বলতে হবে এর পক্ষে সহীহ বুখারী শরীফ থেকে দলীল এবং লা-মাযহাবীদের দাঁতভাঙ্গা জবাব…।।
৪. ইমামের পিছে মুক্তাদীগণকে সূরা ফাতেহা পড়া যাবে না এর পক্ষে সহীহ বুখারী শরীফ থেকে দলীল এবং লা-মাযহাবীদের দাঁতভাঙ্গা জবাব…।।
৫. নবীজী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামা গায়েব জানতেন এর পক্ষে সহীহ হাদীস থেকে দলীল এবং লা-মাযহাবী ও ওহাবীদের দাঁতভাঙ্গা জবাব…।।
৬. মুসলমানের ঐক্য এবং জিহাদ…।।
৭. খাতমে নুবুওয়্যাত অস্বীকারকারী ইহুদীদের চেয়েও বড় কাফের…।।

রুদ্ধশ্বাস ১২ ঘণ্টা: মানুষের দৃষ্টি গুলশানে

নিজস্ব প্রতিবেদক: ৯ দিনের সরকারি ছুটি সামনে রেখে শুক্রবার রাজধানীবাসীর অনেকেরই ব্যস্ততা ছিল বাড়ি ফেরা ঘিরে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি স্মারকগ্রন্থে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে প্রথম রাষ্ট্রপতি বলা নিয়ে বিকেলের দিকে কিছুটা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। এভাবেই শেষ হচ্ছিল শুক্রবার।

কিন্তু রাত ৯টার দিকে আচমকা সম্পূর্ণ নতুন এক পরিস্থিতির মুখে পড়তে হলো বাংলাদেশকে। দেশের ইতিহাসে প্রথবারের মতো দেখা গেল জিম্মিদশা।

শুক্রবার রাত ৯টার কিছু পরে প্রথমে খবর পাওয়া যায় গুলশানে পুলিশের সঙ্গে সন্ত্রাসীদের গোলাগুলি হচ্ছে। গুলশান-২ এর ৭৯ নম্বর রোডে গোলাগুলির ঘটনা ঘটছে পুলিশ সূত্রে এমন খবর পাওয়া গেলেও তখনো বোঝা যাচ্ছিল না কারা এই সন্ত্রাসী, কী তাদের উদ্দেশ্য।

এর কিছুক্ষণ পরই খবর পাওয়া যায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে দুই পুলিশসহ ছয়জন আহত হয়েছেন। তখন খবর আসে, ৭৯ নম্বর রোডের লেক ভিউ রেস্তোরাঁ থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হচ্ছে। পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। মোটামুটি রাত ১০টার দিকেই পুরো রেস্তোরাঁ ঘিরে ফেলে পুলিশ। গুলশান-২ এলাকার বেশ কিছু রাস্তাও বন্ধ করে দেয়া হয়।

ততক্ষণে বেসরকারি বেশ কয়েকটি টিভি চ্যানেল গুলশান থেকে সরাসরি সম্প্রচার শুরু করেছে। ঘটনার গভীরতা তখনও অনেকের বোধগম্য না হলেও বিষয়টি নিয়ে আতঙ্ক বাড়ছিল। পুলিশের উপর গুলি চালানোর ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে গুলশান এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। মোতায়েন করা হয় বিপুল সংখ্যক পুলিশ, বিজিবি, র্যাব, বোমা ডিজপোজাল, সোয়াট সদস্য। টহল দেয়া শুরু করে হেলিকপ্টারও।

সময় যত যেতে থাকে তত পরিষ্কার হতে থাকে প্রাথমিকভাবে যা মনে করা হয়েছিল ঘটনা তার চেয়ে অনেক বেশি ভয়ঙ্কর। তথ্য আসতে শুরু করে, পুলিশের সঙ্গে যাদের গোলাগুলি হচ্ছে তারা আসলে একটি রেস্তোরাঁয় কয়েকজনকে জিম্মি করে রেখেছে। তবে এ সংখ্যা কত তা নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছিল না।

এরইমধ্যে রাত ১২টার দিকে খবর আসে সন্ত্রাসীদের গুলিতে আহত ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাউদ্দিন নিহত হয়েছেন। এডিসি আহাদ, গুলশান থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম, উপপরিদর্শক (এসআই) রফিক ও এসআই জিয়া, ভাটারা থানার পরিদর্শক ইয়াছিনসহ বেশকিছু পুলিশ সদস্য তখনো ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সালাউদ্দিনের নিহত হওয়ার খবরে নতুন মাত্রা পায় আতঙ্ক।

এরপর পরিস্থিতির ব্যাখ্যা দিতে ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন র্যাব মহাপরিচালক। তিনি নিশ্চিত করেন কয়েকজন অস্ত্রধারী একটি স্প্যানিশ রেস্তোরাঁয় কয়েকজনকে জিম্মি করে রেখেছেন। তবে হামলাকারী কতজন বা জিম্মি কতজন সে সম্পর্কে তিনি কোনো তথ্য দেননি। জাতীয় স্বার্থে ও সাংবাদিকদের নিজেদের নিরাপত্তার স্বার্থে টেলিভিশনের লাইভ সম্প্রচার বন্ধ রাখার আহ্বানও জানান তিনি। বেনজিরের আহ্বানে সাড়া দিয়ে টিভি চ্যানেলগুলো সরাসরি সম্প্রচার বন্ধ করে দেয়। তবে ফুটারে চলতে থাকে ব্রেকিং নিউজ।

রাত ১টার দিকে খবর পাওয়া যায় জিম্মিদের মধ্যে একজন, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফ করিম রাত ১০টা ৪১ মিনিটে তার চাচা আনোয়ার হোসেনকে ফোন করে জানিয়েছেন, ‘পুলিশকে অনুরোধ করুন ভেতরে যেন গুলি না চালায়। গুলি চালালে তারা (সন্ত্রাসীরা) আমাদের মেরে ফেলবে।’

এরপর খবর আসে সন্ত্রাসীদের গুলিতে আহত ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের সহকারী কমিশনার রবিউল ইসলামও মারা গেছেন। ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।

বাংলাদেশে বিরল এ ধরনের হামলা কারা চালিয়েছে- সে বিষয়ে নিশ্চিত না হওয়া গেলেও বাংলাদেশে অবস্থানরত যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের নিরাপদে থাকার পরামর্শ দেয় মার্কিন দূতাবাস।

বাংলাদেশের এই ঘটনাটি ততক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ খবর হয়ে উঠেছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোর কাছেও। ফলাও করে তারা খবর প্রকাশ করে বাংলাদেশে জিম্মি সঙ্কটের। বিবিসি, সিএনএন রাত থেকেই সরাসরি সম্প্রচার শুরু করে গুলশানের ঘটনাটির।

খবর আসে, রেস্টুরেন্ট গোলাগুলি, জিম্মি নাটক এবং হতাহতের দায় স্বীকার করেছে আল-কায়েদার ভারতীয় উপমহাদেশ শাখা (একিউআইএস)-এর সংগঠন আনসার আল ইসলাম।

গুলশানের ঘটনাটির প্রতিক্রিয়ায় হজরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা সতর্কতা জারি করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের পর অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকদেরও সতর্ক থাকার পরামর্শ দেয় বাংলাদেশে অবস্থিত দেশটির দূতাবাস।

ঘটনার দায় স্বীকার করে জঙ্গি সংগঠন আইএসও। সংগঠনটির মুখপত্র আমাক নিউজ এজেন্সির সূত্র দিয়ে রয়টার্সের একটি টুইটে ২০ জন নিহত হওয়ার খবরও বলা হয়।

রাত ৩টার দিকে সন্ত্রাসীদের জিম্মিদশা থেকে দুইজনকে জীবিত উদ্ধার করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তিনি হলেন স্প্যানিশ নাগরিক দিয়েগো স্তেন। তিনি রেস্তোরাঁটিতে বাবুর্চি হিসেবে কর্মরত ছিলেন। অপরজন বাংলাদেশি নাগরিক বেলারুশ। তিনি রেস্তোরাঁর কর্মচারী।

জিম্মিদশার আট ঘণ্টা কেটে গেলেও পরিস্থিতিতে কার্যত কোনো পরিবর্তন আসছিল না। এ পরিস্থিতি জিম্মিদের উদ্ধারে অভিযান শুরু করতে ভোর সাড়ে ৫টার দিকে সিলেট থেকে গুলশান এসে পৌঁছায় সেনাবাহিনীর কমান্ডো টিম।

সকাল ৭টা ৫০ মিনিটের দিকে শুরু হয় অভিযান। মুহুর্মুহু গুলি-বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে ওঠে গুলশান।  ঘটনাস্থল থেকে একজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।

জিম্মিদশা শুরুর মোটামুটি ১২ ঘণ্টার মাথায়, সকাল ৯টার দিকে র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক মিজানুর রহমান জানান, উদ্ধার অভিযান শেষ হয়েছে। র্যাবের গোয়েন্দা শাখার এক কর্মকর্তা জানান, এক বিদেশিসহ ৫ জন নিহত হয়েছেন। ১৩ জনকে উদ্বার করা হয়েছে। নিহত ও উদ্ধার হওয়াদের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলেও জানান তিনি।

বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বঙ্গবন্ধু আন্তজার্তিক সম্মেলন কেন্দ্রে এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানান, হামলাকারীদের ছয়জন নিহত হয়েছে। জীবিত অবস্থায় আটক করা হয়েছে একজনকে।

দেড়টার দিকে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়, রাতেই ২০ জনকে গলা কেটে হত্যা করা হয়।

যৌথ বাহিনীর অভিযানে ২০ জনের মৃতদেহ উদ্ধার: সেনা সদর দফতর

নিজস্ব প্রতিবেদক: গুলশানের হলি আর্টিসান রেস্টুরেন্টে জিম্মি সঙ্কটের অবসান ঘটেছে। সেনাকমান্ডোর নেতৃত্বে ১৩ মিনিটের যৌথ অভিযান অপারেশন ‘থান্ডার বোল্ড’ এ সঙ্কটের অবসান ঘটলো। অভিযানে নিহত হয়েছে ৬ সন্ত্রাসী। এর আগেই শুক্রবার সন্ধ্যায় ওই রেস্টুরেন্টে হামলা করে সন্ত্রাসীরা। যৌথ বাহিনীর অভিযানে সেখানে থেকে মোট ২০ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এর আগে রাতেই হাসপাতালে মারা গেছেন ওসি সালাউদ্দিন এবং ডিবির এসি রবিউল ইসলাম।

সেনাবাহিনীর সদরদপ্তরে শনিবার বেলা দেড়টায় সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাঈম আসফাক চৌধুরী।

তিনি জানান, অভিযানে একজন জাপানি, দুই শ্রীলঙ্কানসহ মোট ১৩ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। এদের মধ্যে অনেকেই গুরুতর আহত। তাদের সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

উল্লেখ্য, গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় গুলশান ২ এর ৭৯ নম্বর সড়কে ৫নং বাসার দ্বিতীয় তলায় হলি আর্টিসান রেস্টুরেন্টে হামলা চালায় কয়েকজন অস্ত্রধারী। রেস্টুরেন্টে প্রবেশের সময় তারা বেশ কয়েকটি বিস্ফোরণ ঘটায় এবং গুলি চালায়। এসময় পুলিশের সঙ্গে গুলিবিনিময় হয়। তখনই গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন বনানী থানার ওসি সালাউদ্দিন, ডিবির এসি রবিউল ইসলাম, পুলিশের দুই কনস্টেবল, একজন মাইক্রোবাসচালকসহ ২০ জনের বেশি। গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতালে মারা গেছেন ওসি সালাউদ্দিন এবং এসি রবিউল।

ফতুল্লার বক্তাবলীতে গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

ফতুল্লা প্রতিনিদি: শুক্রবার ফতুল্লার বক্তাবলী ইউনিয়নের কানাই নগর এলাকা থেকে ফারজানা আক্তার ইলা নামের এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহত ফারজানা আক্তার ইলা বন্দর ফরাজীকান্দা এলাকার মো. আব্দুল আলী মিয়ার মেয়ে।

জানাযায়, বছর খানেক আগে বক্রাবলীর কানাই নগর এলাকার রফিকুল ইসলাম রফিকের ছেলে নাজমুলের সাথে সামাজিক ভাবে ফারজানার বিবাহ হয়। ফারজানার স্বামী নাজমুল বর্তমানে একটি প্রাইভেট কম্পানীর গাড়ী চালক হিসেবে চাকুরী করে আসছেন। বর্তমানে তারা কানাই নগর এলাকায় মো. আশরাফ উদ্দিনের ভাড়া বাড়ীতে বসবাস রত ছিলেন।

এদিকে বিবাহের পর থেকে যৌতুকের টাকা আদায়ের জন্যে সার্বক্ষনিক ফারজানাকে তার শশুর বাড়ীর লোকেরা বিভিন্ন ভাবে চাপ প্রয়োগ করতেন। কিন্তু বাবা আব্দুল আলী মিয়া কুলির কাজ করায় তাদের দাবীকৃত যৌতুকের অর্থ পরিশোধ করা হয়ে উঠেনি ফারজানার। হয়তো এর খেসারতেই ফারজানাকে জীবন বলী দিতে হয়েছে। এমনটাই গুঞ্জন ছড়াচ্ছে ওই এলাকার স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে।

এদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ। পরে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্যে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়ছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।

গুলশানে রেস্টুরেন্টে সন্ত্রাসীদের হামলা, বনানী থানার ওসি নিহত ॥ আনসার আল ইসলামের দায় স্বীকার

রাজধানীর গুলশান ৭৯ নম্বর রোডে ‘হলি আর্টিসান বেকারি’ নামে একটি রেস্টুরেন্টে পুলিশের সঙ্গে সন্ত্রাসীদের গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটেছে।

সন্ত্রাসীদের গুলিতে বনানী থানার ওসি সালাহউদ্দীন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন পুলিশের এডিসি মারুফ হাসান জানান।

এতে ১০ পুলিশ সদস্যও আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। রেস্টুরেন্টটির পাশে নরডিক হসপিটাল ও নরডিক ক্লাব নামে দুটি ভবন রয়েছে।

এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পুলিশের সঙ্গে সন্ত্রাসীদের গুলি বিনিময়ের ঘটনা চলছে। সন্ত্রাসীরা বোমা বিস্ফোরণও ঘটিয়েছে। রেস্টুরেন্টটির ভেতরে বিদেশি নাগরিকসহ বেশ কয়েকজনকে সন্ত্রাসীরা জিম্মি করেছে বলে জানা গেছে।

শুক্রবার (০১ জুলাই) রাত ৮টা থেকে গুলি বিনিময়ের ঘটনা শুরু হয়। এতে পুলিশের এডিসি আহাদুল ইসলামসহ দুই পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন বলে প্রাথমিক জানা গেছে।

ঘটনাস্থলে র‌্যাবের ডিজি বেনজির আহমেদ, র‌্যাব, পুলিশ, বিজিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত হয়েছেন।

এ ঘটনায় পুরো এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। নিয়ন্ত্রিত করা হয়েছে যান চলাচল।

পুলিশ জানায়, সন্ত্রাসীরা সেখানে অবস্থান করছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ রেস্টুরেন্টটিতে প্রবেশ করতে চাইলে সন্ত্রাসীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এরপর আত্মরক্ষায় পুলিশ গুলি চালায়। এতে রাত ৮টা থেকে পুলিশের সঙ্গে সন্ত্রাসীদের দফায় দফায় গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটছে।

তবে এখন পর্যন্ত পুলিশ রেস্টুরেন্টটিতে প্রবেশ করতে পারেনি। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ভেতরে অভিযান চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

গুলশান থানা উপ পরিদর্শক (এসআই) মহিদুল ইসলাম জানান, যেখান থেকে গুলি চালানো হয়েছে ওই রেস্টুরেন্টটি পুলিশ ঘিরে রেখেছে। ভেতর থেকে গুলি চালানো হচ্ছে।

বক্তাবলি ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড মেম্বার রাসেলের বিরুদ্ধে ভিজিএফ কার্ড বিতরনে অনিয়ম-পার্ট-১

বক্তাবলি ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের মেম্বার রাসেল চৌধুরীর বিরুদ্ধে ভিজিএফ কার্ড বিতরনে  অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রকৃত দুস্তদের পরিবর্তে বিগত নির্বাচনে যারা তার পক্ষে নির্বাচন করেছে তারাই নিজেদের মধ্যে ভিজিএফ কার্ড ভাগ ভাটোয়ারা করে নিয়েছে। রামনগর গ্রামের অনেক দুস্ত অসহায় লোকজন কে ব্যাগ নিয়ে শুন্য হাতে ফিরে আসতে দেখা গেছে।তাদের একজন রামনগর গ্রামের মৃত ছোয়াব আলীর পুত্র লিয়াকত আলী জানায়,আমি ভিজিএফ কার্ড না পেয়ে রাসেল মেম্বারের একান্ত কর্মী বিএনপি নেতা মিছির আলীর কাছে গেলে সে আমাকে কার্ড না দিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে চাল আনতে যেতে বলে, পরিষদে গিয়ে চাউল নেওয়ার পর আমার কাছে কার্ড চায়, না দিতে পারায় চাল রেখে দেয় তাই শুন্য হাতে ফিরে আসি,একই গ্রামের মৃত মনুর উদ্দিনের বউ জানায়,নির্বাচনে তালা মার্কায় সদর উদ্দিনকে ভোট দেওয়ার কারনে আমাকে স্লিপ দেয় নাই,তাই আমি পরিষদে গিয়ে চেয়ারম্যান থেকে শ্লিপ নিয়ে মাল আনছি। এ গ্রামের খালেদা জানায় প্রতিবারই একলাই এক স্লিপের মাল পাই এ বছর দুজন কে ভাগ করে দিয়েছে। রামনগর গ্রামের অনেক দুস্থ,অসহায় ব্যক্তিরা জানায়,আমরা রাসেল মেম্বার কে ভোট না দেওয়ায় আমাদের ভিজিএফ কার্ড দেয়নি।তারা অভিযোগ করে বলেন, রাসেল মেম্বার তার কর্মী বিএনপি নেতা মিছির,ইসমাইল,আলী হোসেন,আবুল,আক্তার,নুর হোসেন আওয়ামীলীগ কর্মী নজরুলের মাধ্যমে ভিজিএফ কার্ড বিতরনের কারনে প্রকৃত দুস্থদের না দিয়ে নিজেদের আত্নীয় স্বজনদের মাঝে ভাগ করে দিয়েছে।গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ সমর্থীত প্রার্থী রাসেল ও ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি সদর উদ্দিন প্রতিদ্বন্ধিতা করেন।নির্বাচনে যে সমস্ত আওয়ামীলীগের কর্মী সমর্থক সদর উদ্দিনের পক্ষে কাজ করেছে তাদের কে ভিজিএফ কার্ড দেয়নি।

নারায়ণগঞ্জে মেয়েকে ধর্ষনের অভিযোগে বাবা আটক

সিদ্ধিরগঞ্জে নিজ মেয়ে (১৩)কে ধর্ষনের অভিযোগে সাজেদ আলী (৪২) নামে এক লম্পট বাবাকে আটক করে গনধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে এলাকাবাসী। পরে সাজেদ আলীর স্ত্রী ও মেয়েটির মা খাদিজা নাহারের অভিযোগে পুলিশ সাজেদ আলীকে থানায় নিয়ে যায়। বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রসুলবাগ এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। সাজেদ আলী পেশায় পিকআপ চালক। সে কক্সবাজার জেলার রামু থানার পানিছড়া গ্রামের বাসিন্দা। তবে সাজেদকে থানায় নিয়ে যাওয়ার পর  ওই মেয়ে ও তার মা বিষয়টি অস্বীকার করেন।
খাদিজা নাহার ঘটনাস্থলে গনমাধ্যমের কর্মী ও পুলিশ সদস্যদের জানান, এর আগেও একবার সাজেদ আলী মেয়েকে ধর্ষন করেছিলো। লোক লজ্জা ও মেয়ের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে বিষয়টি ধামাচাপা দিয়ে রাখেন তিনি । বৃহস্পতিবার দুপুরে মেয়েকে বাসায় একা পেয়ে সাজেদ আলী ফের ধর্ষনের চেষ্টা চালায়। এ সময়ে মেয়ের আর্তচিৎকারে আশপাশের বাড়ির লোকজন ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে পুলিশে খবর দেয়।
ঘটনাস্থলে যাওয়া সিদ্ধিরগঞ্জ থানা এসআই শাহাদাৎ হোসেন জানান, সাজেদ আলীর স্ত্রী ও মেয়েটির মা খাদিজা নাহারের ধর্ষনের চেষ্টার অভিযোগে সাজেদকে ঘটনাস্থল থেকে থানায় নিয়ে আসা হয়। পরে খাদিজা বেগম বিষয়টি অস্বীকার করছেন। বিষয়টি রহস্যজনক মনে হচ্ছে। এ ঘটনাটি তদন্তনাধীন রয়েছে। তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।