১৭ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
২রা নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 260

সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রে ফেঁসে যেতে পারেন বিএনপির একাধিক নেতা

ইসরায়েলের লিকুদ পার্টির নেতা মেনদি এন সাফাদির সঙ্গে বৈঠকের কথা স্বীকার করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরী। তবে ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সহযোগিতায় বাংলাদেশে সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রের ব্যাপারে আলোচনা না হলেও সংখ্যালঘুদের বিষয়ে কাজ করার জন্য দুজনের মধ্যে আলোচনা হয় বলে দাবি করেছেন তিনি। এদিকে তদন্তসংশ্লিষ্টরা বলছেন, জিজ্ঞাসাবাদে ষড়যন্ত্রের কথা সরাসরি কবুল না করলেও ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে যে তার যোগাযোগ দীর্ঘদিনের তা তারা নিশ্চিত। আর ইসরায়েলের সঙ্গে তিনি যে সংযোগ রক্ষা করতেন তা বিএনপির শীর্ষ নেতাদের সম্মতি নিয়েই।

তদন্ত সূত্রগুলো জানায়, ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থার এজেন্টের সঙ্গে আসলাম চৌধুরীর কতবার ও কোথায় কোথায় বৈঠক হয়েছে এবং তাতে কারা উপস্থিত ছিলেন এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। একই সঙ্গে বৈঠকে কী কী আলোচনা হয়েছে এবং সিদ্ধান্তের বিষয়টিও বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে রিমান্ডের জিজ্ঞাসাবাদে। তবে শুধু আসলাম চৌধুরী নন, ষড়যন্ত্রের সঙ্গে বিএনপির শীর্ষ নেতারা জড়িত বলে সন্দেহ কর্মকর্তাদের। যদিও জিজ্ঞাসাবাদে আসলাম চৌধুরীর জবাব হচ্ছে, ভারতের একটি সংগঠনের দাওয়াতে তিনি আগ্রার ওই সেমিনারে যোগ দিয়েছিলেন। ওই সেমিনারেই মেনদির সঙ্গে তার প্রথম পরিচয় হয়। পরে তাদের মধ্যে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিষয়ে আলোচনা হয়। আসলাম চৌধুরী দাবি করেন, রাজনীতির বাইরেও নিজে ব্যবসায়ী হওয়ার কারণে ইসরায়েলের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ব্যবসা করার বিষয়টিও উঠে আসে তাদের আলোচনায়।

ঢাকা মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (ডিসি) মারুফ হোসেন সরদার জানান, রিমান্ডের জিজ্ঞাসাবাদে আসলাম চৌধুরী গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। বিভিন্ন সূত্র থেকে পাওয়া তথ্যের সঙ্গে আসামির দেওয়া তথ্য যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়ে তিনি জানান, মোসাদের সঙ্গে বৈঠকে আসলাম চৌধুরী ছাড়াও আর কারা কারা উপস্থিত ছিলেন এবং কতবার বৈঠক হয়েছে এ ব্যাপারে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। রবিবার রাতে আসলাম চৌধুরী ও তার সহযোগী আসাদুজ্জামান মিয়াকে রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকা থেকে আটক করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। সোমবার ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। আসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ইসরায়েলের ক্ষমতাসীন লিকুদ পার্টির নেতা মেনদি এন সাফাদির সঙ্গে ভারতে বসে বাংলাদেশে বর্তমান সরকারকে উৎখাতের উদ্দেশে ষড়যন্ত্রমূলক বৈঠক করেছেন। তাদের দুজনের একসঙ্গে তোলা ছবিও রয়েছে। মেনদি সাফাদি ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের এজেন্ট বলে কথিত আছে। এদিকে বিএনপির পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, বহির্বিশ্বে দলটিকে কোণঠাসা করার উদ্দেশেই আসলামের সঙ্গে সাফাদির ছবিকে বড় করে দেখানো হচ্ছে।

তদন্তসংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, আসলাম চৌধুরীর কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্য যাচাই-বাছাই চলছে। রাষ্ট্রবিরোধী তৎপরতায় অন্য কারও নাম পাওয়া গেলে তদন্ত সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে তাদের কাছে খবর রয়েছে, ব্যবসার আড়ালে ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থার এজেন্টের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলেন আসলাম চৌধুরী। মোসাদ এজেন্টের সঙ্গে তার একাধিক বৈঠক হয়েছে। এসব বৈঠকে পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বিএনপিকে সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দেওয়া হয়।

আসলামের সঙ্গে দেখা হয়েছিল : ইসরায়েলি রাজনীতিক মেনদি এন সাফাদি স্বীকার করেছেন যে ভারতে তার সঙ্গে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরীর দেখা হয়েছিল। সেই সঙ্গে দাবি করেছেন, তাদের মধ্যে কোনো গোপন বিষয়ে কথা হয়নি। ইসরায়েল থেকে মঙ্গলবার টেলিফোনে বিবিসি বাংলাকে তিনি বলেন, বাংলাদেশের পরিস্থিতি, সেখানে সংখ্যালঘুদের অবস্থা নিয়ে কথা বলেছি, তাও সেটা প্রকাশ্য অনুষ্ঠানে। আমরা বাংলাদেশে সামরিক অভ্যুত্থানের পরিকল্পনা করছিলাম বা সরকারের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছিলাম এর চেয়ে হাস্যকর কিছু হতেই পারে না। তিনি বিবিসি বাংলাকে আরও বলেন, আগ্রার যে অনুষ্ঠানে তার সঙ্গে আসলাম চৌধুরীর সম্প্রতি দেখা হয়েছিল তাতে তাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল ভারতে ক্ষমতাসীন দল বিজেপির যুব শাখা। প্রতিবেশী দেশের একটি রাজনৈতিক দলের নেতা হিসেবে আসলাম চৌধুরীও সেখানে আমন্ত্রিত ছিলেন। দুজনের আগে থেকে কোনো পরিচয় ছিল না। একই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত দুই অতিথি হিসেবে তাদের মধ্যে স্বাভাবিক আলাপ হয়েছিল মাত্র। উনি শুধু ভারতে এসে একজন ইসরায়েলির সঙ্গে কথা বলেছেন। আসলাম চৌধুরী তার দেশে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন নিয়ে সরব হয়েছেন বলেই তাকে হেনস্তা করা হচ্ছে বলে আমার ধারণা। তিনি বলেন, আমি সারা পৃথিবীতেই সংখ্যালঘুদের অধিকার নিয়ে কথা বলি। তাদের জন্য লড়ি। বাংলাদেশও তার কোনো ব্যতিক্রম নয়। ইত্তেফাক

আ.লীগের ১০ বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী বহিষ্কার

দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে নির্বাচনে অংশ নেওয়া ও দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে ১০ চেয়ারম্যান প্রার্থীকে বহিষ্কার করেছে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ।

মঙ্গলবার (১৭ মে) রাতে উপজেলা আওয়ামী লীগের জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বহিষ্কৃতরা হলেন- দেওয়ানগঞ্জ ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মাসুদুর রহমান, দেওয়ানগঞ্জ সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য সামিউল হক, চর আম খাওয়া ইউনিয়নের সভাপতি আজিজুর রহমান আকন্দ, দেওয়ানগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম, বাহাদুরাবাদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য আল আমিন, ডাংধরা ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক মাসুদুর রহমান, হাতিভাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য শাহাজাহান আলী আকন্দ, পাররামরামপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক লেমন সিদ্দিকী, ইউনিয়ন কৃষক লীগের আহ্বায়ক সুরুজ্জামান, কৃষক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সোহেল রানা।

দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইসতিয়াক হোসেন দিদার ও সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিকে এ তথ্য জানা গেছে।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ২৮ মে অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে উল্লেখিত ব্যক্তিদ্বয় দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে স্ব-স্ব ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন। দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে তাদের বহিষ্কার করা হয়।

নির্বাচন হতে পারে ২০১৮ সালে, অংশগ্রহণে অযোগ্য হবেন বিএনপির অনেক নেতা

সব দলের অংশগ্রহণে একটি গ্রহণযোগ্য ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করার ব্যাপারে সরকারের উপর চাপ বাড়ছে। এই নির্বাচন সরকার যতক্ষণ পর্যন্ত না করছে ততক্ষণ পর্যন্ত সরকারের উপর থেকে চাপ কমানো হবে না। এই চাপ বিরোধী রাজনৈতিক দল, জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের। পাশাপাশি ভোটাররাও চাইছেÑ তারা ভোট দিতে পারবে এমন একটা নির্বাচন হোক।

জাতীয় সংসদ নির্বাচন, তিনটি সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন, পৌরসভা নির্বাচন ও সব শেষে পৌরসভা নির্বাচন। এই সব নির্বাচনের ব্যাপারে নানা মহল থেকেই নিরপেক্ষ, অবাধ ও সুষ্ঠু না হওয়ার অভিযোগ রয়েছে। তারপর সব দিকের চাপের কারণে সরকার নিজেও বুঝতে পারছেÑ নির্বাচন একটা করতে হবে। সেটা হবে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এ জন্য সরকারও এমন একটি নির্বাচন করতে চাইছে যে নির্বাচনটাকে আন্তর্জাতিক মহলের মেনে নিতে হবে যেÑ নির্বাচন সুষ্ঠুু, অবাধ ও নিরপেক্ষ হয়েছে।

বিশ্বস্ত সূত্র জানায়, আগামী নির্বাচনে বিএনপির র্শীষ নেতা যারা মামলার আসামি তারা যেন কেউ অংশ নিতে না পারেন সেই চেষ্টাও চলছে। সরকারের সব পরিকল্পনা ঠিক থাকলে আগামী ২০১৮ সালে একটি নির্বাচন হবে। ওই নির্বাচন কোন মাসে হবে তা এখনও ঠিক হয়নি। নিয়ম অনুযায়ী ২০১৯ সালের ৪ জানুয়ারির মধ্যে একাদশ সংসদ নির্বাচন হওয়ার কথা। সংবিধান মতে সরকারের মেয়াদ পূর্তির তিন মাস আগে সরকার নির্বাচন করতে পারে। সেই হিসাবে সরকার ২০১৯ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত অপেক্ষা না করে আগামী ২০১৮ সালের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে একটি নির্বাচন করার পরিকল্পনা নিয়েছে। সরকার মনে করছে, এতে আগাম নির্বাচনও করা হবে আবার ওই সময়ে নতুন নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন হবে। এই কারণে নির্বাচন কমিশন নিয়ে যে বিতর্ক রয়েছে সেটা সরকারের সামনে থাকবে না। আন্তর্জাতিক মহলেরও চাপ থাকবে না। এমনভাবে নির্বাচন করা হবে যাতে সবাই মনে করে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। এ জন্য সরকার সব করবে।

বিশ্বস্ত সূত্র আরও জানায়, শেখ হাসিনার ইচ্ছে হচ্ছে আগামী ২০২১ সালে তিনি বাংলাদেশের ৫০তম বার্ষিকী উদযাপন করবেন তার সরকারের আমলে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী পালন করবেন। আওয়ামী লীগ এই দুই অনুষ্ঠানের পাশাপাশি দেশের উন্নয়নও করতে চাইছে। ২০১৮ সালে পদ্মাসেতু উদ্বোধন করতে চাইছে। এত সব কাজের সাফল্য কোনোভাবেই বিএনপিকে নেওয়ার সুযোগ দিতে চায় না আওয়ামী লীগ। এ জন্য আরও একটি মেয়াদের জন্য যেমন করেই হোক তাদেরকে ক্ষমতাসীন হতেই হবে। আরেক মেয়াদে ক্ষমতায় আসার জন্য যত ধরনের কৌশল করা দরকার সবই সরকার করবে। এখন যে সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য প্রাথমিক কাজগুলো করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে সরকারে একজন দায়িত্বশীল মন্ত্রীও কাজ করছেন। তাকে বিশেষভাবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে আইনিভাবে এমন ব্যবস্থা নিতে হবে যার ফলে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর একাধিক মামলায় কমপক্ষে দুই বছরের শাস্তি নিশ্চিত হয়। তারা কোনোভাবেই নির্বাচনে অংশ নেওয়ার যোগ্যতা না রাখেন। তাদের মামলা কেবল নিম্ন আদালতেই শেষ হলে হবে না, হাইকোর্টে ও আপিল বিভাগেও যেন মামলা শেষ করা যায় সেই হিসাবে তারা চেষ্টা করে যাচ্ছেন।

আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেছেন, তাদেরকে যে আমরা পরিকল্পিতভাবে নির্বাচনের বাইরে রাখার জন্য এগুলো করছিÑ বিষয়গুলো এমন নয়। তারা যে কৃতকর্ম করেছেন এর বিচার হওয়া প্রয়োজন। আর সেজন্য বিচার করতে হলে অবশ্যই তাদেরকে আইনের আওতায় আনতে হবে। সেটাই আমরা করছি। এমনতো নয় যে তারা অপরাধ করেনি। তারা তো অপরাধ করেছেন। যদি তারা অপরাধ না করে থাকেন তাহলে তারা আদালতে প্রমাণ করুক যে তারা অপরাধ করেননি। আইনের বিচারে তারা নির্দোষ প্রমাণিত হয়ে এলে আমাদের কিছুই বলার থাকবে না। কিন্তু আমরা জানি তারা আইনের বিচারে নিজেদের নির্দোষ প্রমাণ করতে পারবেন না। এই কারণে তারা যতই চেষ্টা করুক না কেন তাদেরকে এই ব্যাপারে আইনের যে বিধান সেই বিধানে শাস্তি পেতেই হবে। জনগণ এটা দেখতে পাবে।

তিনি বলেন, আমরা তাদের প্রতি আক্রোশের বশে কোনো কাজ করছি না। বরং তারা জানে যে মামলা নিষ্পত্তি হলে তাদের শাস্তি হবে। এ জন্য তা ঠেকাতেও কালবিলম্ব করতে বার বার নানা আইনি পদক্ষেপ নিচ্ছে। এতে কোর্টের সময় নষ্ট হচ্ছে। এটা করে অপরাধ ঢাকা যাবে না।

এদিকে বিএনপির একটি ঘনিষ্ট সূত্র বলছে, বিএনপি চেয়ারপারসন, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান, মহাসচিব, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিবÑ এরা অপরাধ না করলেও এদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা করা হয়েছে। এই মামলাগুলো সরকার ইচ্ছা করেই করেছে। কারণ সরকার আবারও বিএনপিকে বাদ দিয়ে নির্বাচন করতে চাইছে। সরকারের পরিকল্পনা হচ্ছে বিএনপির সিনিয়র সবাইকে মাইনাস করে একটি নির্বাচন করা। তাদেরকে বাদ দিয়ে ও নির্বাচনের বাইরে রেখে অন্য যারা থাকবে তাদেরকে ম্যানেজ করে নির্বাচনে নেওয়া। ওই নির্বাচনে বিএনপিকে কয়েকটি আসন দিয়ে বিরোধী দলে রাখা। আর না হলে একটি দল হিসেবে কয়েকজন সংসদ সদস্য দিয়ে তাদেরকে সংসদে রাখা। যাতে তাদের বাইরে রাখার কারণে এখনকার মতো কোনো চাপে পড়তে না হয়।

বিএনপির প্রথম সারির কয়েকজনের শাস্তি সরকার নিশ্চিত করতে পারলে বিএনপি ক্ষমতাসীন হতেও পারবে না। আর এতে করে সরকার বিএনপিকে সংসদে রাখলে আন্তর্জাতিক মহলও কোনো চাপ দিতে পারবে না। কারণ তারা দেখবে যে দুর্নীতির কারণে তাদের শাস্তি হয়েছে। এতে আওয়ামী লীগের জন্য আগামী দিনে দেশ পরিচালনা করা সহজ হবে।

সূত্র জানায়, বিএনপি যতই চেষ্টা করুক আর আন্তর্জাতিক মহল যতই সরকারের ওপর, প্রধানমন্ত্রীর ওপর এবং আওয়ামী লীগের ওপর একটি আগাম নির্বাচন করার জন্য চাপ তৈরি করুক তাতে কোনো লাভ হবে না। কারণ এতে সরকার বা শেখ হাসিনা তার সিদ্ধান্তে কোনো পরিবর্তন করবেন না। তিনি তার পরিকল্পনামতো কাজ করবেন।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগ এবার ক্ষমতা হারালে আগামীতে ক্ষমতায় আসার সুযোগ অত্যন্ত ক্ষীণ বলে সরকার নির্যাতন-নিপীড়ন চালিয়ে ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। তবে ইতিহাসে কোনো স্বৈরশাসকদের ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। তিনি আরও বলেছেন, ৫ জানুয়ারি একতরফা নির্বাচনের পর জনগণের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতার মাধ্যমে শাসন ক্ষমতায় এসে বর্তমান ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী করার অপচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।

তিনি বলেন, সরকারকে ষড়যন্ত্রের পথ পরিহার করতে হবে। আমাদের নামে মিথ্যা ও রাজনৈতিক যেসব মামলা দেওয়া হয়েছে এগুলো প্রত্যাহার করতে হবে। কারণ মানুষ বুঝতে পারছে সরকারের অবস্থা। সরকার এত পরিকল্পনা না করে সত্যিকার অর্থে একটি গ্রহণযোগ্য, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দিক আমরা ২০০’র বেশি আসন পেয়ে নির্বাচনে জয়ী হয়ে আসব। এটা সরকার জানে বলেই ভয় পায়। আর ভয় পায় বলেই ওই ধরনের একটি নির্বাচন দেবে না। আবারও তারা ৫ জানুয়ারির মতো একটি নির্বাচন করার চেষ্টা করবে। এবার হয়তো কৌশলে তারা কিছুটা ভিন্নতা আনবে। আগে তারা বিএনপিকে বাইরে রেখে যে ভুল করেছিল এবার হয়তো সেই ভুল করবে না। তবে বিএনপি ভাঙার যে ষড়যন্ত্র চলছে তা সফল হবে না। বিএনপি ভাঙা এত সহজ হবে না। এর আগে যারা এই চেষ্টা করেছে সবাই ব্যর্থ হয়েছে। বিএনপির ভেতরকার কোনো কোনো নেতাও বাইরে গিয়েছে। দল করার চেষ্টা করেছে, কিন্তু সফল হতে পারেনি। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেছেন, সরকার নির্বাচন ব্যবস্থাকে এমন পর্যায়ে নিয়ে গেছে এতে করে মানুষের মধ্যে ভোট না দেওয়ার প্রবণতা তৈরির চেষ্টা করছে। আর প্রার্থীদের মধ্যে বিনা ভোটে নির্বাচিত হওয়ার সুযোগ তৈরি করছে। এই সংস্কৃতি আগামী দিনের জন্য ভালো হবে না। এখন যেভাবে চলছে এইভাবে তো চলতে পারে না। এখানে পরিবর্তন দরকার। বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আহমেদ আজম খান বলেন, সরকার আমাদের দুইশ’ নেতাকে আগামী নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করতে পারেন বলে আমাদের কাছে খবর রয়েছে। সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলেই হয়তো সরকার নির্বাচনের চিন্তা করবে। এই জন্য আমাদের নেতাদের নামে এত মামলা করা হচ্ছে।

অস্ত্রসহ যুবলীগ নেতা গ্রেফতার

নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার পিপরুল ইউনিয়ন পরিষদের নবনির্বাচিত সদস্য ও ওয়ার্ড যুবলীগের সদস্য নুরুজ্জামান সুরুজ মিয়াকে অস্ত্র-গুলিসহ গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রবিবার ভোররাতে নুরুজ্জামানকে তাঁর নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল ও পাঁচটি গুলি উদ্ধার করা হয়েছে বলে পুলিশ জানায়।

পুলিশের ভাষ্য নুরুজ্জামান যুবলীগের স্থানীয় একজন নেতা। তিনি পিপরুল ইউনিয়ন পরিষদের ২ নম্বর ওয়ার্ডের নবনির্বাচিত সদস্য। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। নুরুজ্জামানকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

নলডাঙ্গা থানার উপপরিদর্শক সাইফুল ইসলাম বলেন, একটি হত্যাচেষ্টা মামলায় নুরুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করতে তাঁর বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। অস্ত্র ও গুলিসহ তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

মুন্সীগঞ্জে শতাধিক ককটেল উদ্ধার

মুন্সীগঞ্জের মোল্লাকান্দি ইউনিয়নে একটি বাড়ি থেকে শতাধিক ককটেল উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় বাড়ির মালিক মো. মামুনকে আটক করা হয়েছে।

শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে শতাধিক পুলিশ সদস্যের অংশগ্রহণে অভিযান শুরু হয় মোল্লাকান্দি ইউনিয়নে। রাত ২টার দিকে আমঘাটা গ্রামে মামুনের বাড়িতে এসব ককটেলের সন্ধান পায় পুলিশ। একে একে পানিভর্তি তিন বালতিতে থাকা শতাধিক ককটেল উদ্ধার করা হয়।

মুন্সীগঞ্জের জেলা পুলিশ সুপার বিপ্লব বিজয় তালুকদার জানান, রাত সাড়ে ৩টায় অভিযান শেষ হয়েছে।

অধিক বজ্রপাত টাওয়ার দায়ী কিনা তদন্ত করা হবে-তারানা হালিম

মোবাইল ফোন টাওয়ারের কারণে বজ্রপাত বেশি ঘটছে কিনা- তা তদন্ত করে দেখবেন বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।

সম্প্রতি বজ্রপাতে ব্যাপক প্রাণহানির প্রেক্ষাপটে যত্রতত্র মোবাইল টাওয়ার স্থাপন নিয়ে রোববার (১৫ মে) ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগে এক সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান প্রতিমন্ত্রী।

কয়েক দিন আগে থেকে সারাদেশে বজ্রপাতে অর্ধশতাধিক মানুষের প্রাণহানি ঘটে, পাশাপাশি আহত হয়েছেন আরও বেশকিছু মানুষ।

বিশেষজ্ঞ মত দিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ আসছে মোবাইল ফোনের টাওয়ারগুলো বজ্রপাত বৃদ্ধি করছে।

এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে তারানা হালিম বলেন, কারিগরি জ্ঞান থেকে বলছি না, এ বিষয়ে পড়াশুনা থেকে জেনেছি, বজ্রপাত খালি জায়গায় উঁচু স্থাপনায় আঘাত করে। সেই ক্ষেত্রে একটা মাঠের মধ্যে টাওয়ার ও মানুষ থাকলে প্রথমে টাওয়ারে আঘাত করবে, ব্যক্তিকে নয়। তবে, টাওয়ারের কারণে যদি বজ্রপাত হয়, তাহলে টাওয়ারই ভষ্মিভুত হবে, মানুষ না।

তারানা হালিম বলেন, একটি টাওয়ারের কারণে যদি একটি মানুষের জীবনের ক্ষতি হয়, আমি থাকতে সেটা হবে না। সে টাওয়ার সেখানে থাকবে না। যেভাবেই হোক, যে ক্ষতি হোক।

‘আমাকে জানাতে হবে যেখানে যেখানে বজ্রপাত হয়েছে, সেখানে সেখানে টাওয়ার রয়েছে। আমি বিষয়টি অবশ্যই টিমের মাধ্যমে তদন্ত করে দেখে ব্যবস্থা নেব। বিশেষজ্ঞদের সঙ্গেও এ বিষয়ে কথা বলব। আমরা এটা নিয়ে অবশ্যই বসবো। আসলে কী কারণে ঘটেছে এবং আমাদের সেখানে কী করণীয় আছে?’ বলেন প্রতিমন্ত্রী।

সভায় বিটিআরসি’র এক কর্মকর্তা বলেন, বজ্রপাত হলে টাওয়ারের আর্থিংয়ের মাধ্যমে নিচের দিকে চলে যায়। মানুষের জন্য ক্ষতিকর নয়।

বিটিআরসি’র ওই কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, টাওয়ারের সিস্টেমে আর্থিং করা আছে। মানুষের জন্য বিপজ্জনক পরিস্থিতি সৃষ্টি করে না।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব ফয়জুর রহমান বলেন, বজ্রপাতে সব থেকে বেশি মানুষ মারা যাচ্ছে গ্রামে, কিন্তু শহরে টাওয়ারের সংখ্যা বেশি। বজ্রপাতে যে ক্ষতি হচ্ছে এটা মানতে রাজি না। তবে পথ বের করতে হবে। এজন্য সাজেশনেই আসতে হবে।

মোবাইল টাওয়ার কত তলার ওপর করা যায়, সে বিষয়ে সিটি করপোরেশন দেখভাল করে বলে জানান বিটিআরসি কর্মকর্তারা।

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরী গ্রেফতার

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরীকে গ্রেফতার করা  হয়েছে। রাজধানীর কুড়িল বিশ্বরোড এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

রবিবার বিকাল সাড়ে ৬টায় তাকে গ্রেফতার করা হয়। আসলামের ভাই আমজাদ হোসেন চৌধুরী গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, কুড়িল বিশ্বরোড এলাকায় গাড়ি থেকে নামিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপকমিশনার (ডিসি-উত্তর)শেখ নাজমুল আলম গণমাধ্যমকে জানান, রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকা থেকে ডিবি পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে।

এর আগে, ইসরাইলের ক্ষমতাসীন লিকুদ পার্টির এক নেতার সঙ্গে বৈঠক করার অভিযোগে বিএনপি নেতা আসলাম চৌধুরীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করে চট্টগ্রাম পুলিশ।

চট্টগ্রামের পুলিশ কমিশনার ইকবাল বাহার জানান, বিএনপি নেতা আসলাম চৌধুরীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। যখনই তাকে পাওয়া যাবে তখনই গ্রেপ্তার করা হবে।

প্রধানমন্ত্রী নিজের ঘরে ইহুদী রেখে অন্যর ঘরে খোঁজার চেষ্টা করছে-হান্নান শাহ

নিজের ঘরে ইহুদী রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অন্যর ঘরে ইহুদী খোঁজার চেষ্টা করছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আ স ম হান্নান শাহ।

রোববার (১৫ মে) দুপরে রাজধানীর পল্টনে ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি আয়োজিত ঐতিহাসিক ফারাক্কা লং মার্চ স্মরনে ও পানি আগ্রাসনের প্রতিবাদে গণসমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

হান্নান শাহ বলেন, প্রধানমন্ত্রীর পুত্রবধূ ইহুদী। তাই আমরা কি ঢোল বাজাবো ইসরাইলের সঙ্গে তার কি সর্ম্পক আছে। আমরা এমনটা চাই না। শুধু বলবো কাঁচের ঘরে থেকে ঢিল ছুড়বেন না।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের সঙ্গে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থার লোকদের ওঠা-বসা আছে। এটা শতভাগ সত্য। তাতে কোনো সমস্যা হয় না।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি সর্ম্পকে হান্নান শাহ বলেন, বিএনপির তথা বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি তো নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার।

হাইজ্যাক, ক্রসফায়ারের কথা আগে কখনো শুনিনি। এগুলো ভারত থেকে আনা হয়েছে বলেন হান্নান।

হান্নান শাহ বলেন, ভারতের সঙ্গে কোনো প্রতিবেশি দেশের সর্ম্পক ভাল নেই। শুধু বাংলাদেশের সরকারের সঙ্গে ভাল সর্ম্পক আছে। কি কারনে সর্ম্পক আছে তা সবাই জানেন। ফারাক্কা বাধের কারনে বাংলাদেশের অনেক নদীর পানি শুকিয়ে গেছে। বাংলাদেশের কিছু দালালের কারনে আমরা অধিকার বঞ্চিত হচ্ছি। এ সরকার আমাদের অধিকার রক্ষায় কাজ করছে না। তারা ক্ষমতায় থাকা আর লুটপাট করতে যা যা দরকার তাই করছে। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে ২০ দলীয় জোটের নেতৃবৃন্দ জনগণের অধিকার আদায়ের জন্য কাজ করছেন।

বিএনপির এই নেতা বলেন, ৬১৬টি গার্মেন্ট কারখানা বন্ধ ও ৩১৪ টি  বন্ধ হওয়ার পথে। এতে কত লোক বেকার হয়ে পড়ছে। আরো কত লোক বেকার হবে। এই যদি হয় উন্নয়নের নমুনা। এ সরকার শুধু মুখে মুখে উন্নয়নের কথা বলে। খোঁজ নিয়ে দেখেন হাজার হাজার মানুষ চাকরিচ্যুত হচ্ছে। বেকারদের চাকরি হচ্ছেনা।

তিনি আরো বলেন, বর্তমান সরকার ভারতের স্বার্থে কাজ করছেন। তাই ভারতের দালালদের প্রত্যাখ্যান করতে হবে। আর যারা দেশের স্বার্থে কাজ করে তাদের গ্রহন করতে হবে।

জাগপার সভাপতি শফিউল আলম প্রধানের সভাপতিত্বে গণসমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ ন্যাপের চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি, এনডিপির চেয়ারম্যান খোন্দকার গোলাম মোর্ত্তজা, এনপিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, জাতীয় পার্টি মহাসচিব মোস্তফা জামাল হায়দার, বাংলাদেশ ন্যাপের মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ভূইয়া প্রমুখ।

এসএসসি পরীক্ষায় ফেল থেকে জিপিএ-৫ পেলো ৭৯ পরিক্ষার্থী

যার মধ্যে হিন্দু ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা বিষয়ে ফেল থেকে পাস করেছে ১,১৪১ জন, ফেল থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭৯ জন। এর মাধ্যমে মোট জিপিএ-৫ বেড়েছে ১৫টি।

বিষয়টি নিশ্চিত করে উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অরুন কুমার গাইন জানান, প্রধান দুই পরীক্ষকের ভুলের কারণে হিন্দু ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা বিষয়ে ‘খ’ ও ‘গ’ সেটের নৈমিত্তিক উত্তরপত্রের সঙ্গে গুলিয়ে ফেলেন। ফলে বরিশাল বোর্ডের এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলে বিপর্যয় ঘটে। পরে বিষয়টি বোর্ড কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচর হলে তা সংশোধন করে শনিবার বিকেলে পুনরায় নিরীক্ষা শেষে সংশোধিত ফলাফল ঘোষণা করা হয়।

তিনি জানান, পরীক্ষার ফলাফল পরিবর্তনের জন্য মোট আবেদন পড়েছিল ৮,৮০৯টি। যার মধ্যে সংশোধিত ফলাফলে পরিবর্তন ঘটেছে ১,৯৯৪টির।

এদিকে, এ ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে নিয়মানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বোর্ড চেয়ারম্যান প্রফেসর মু. জিয়াউল হক।

উল্লেখ্য, বুধবার প্রকাশিত এসএসসির ফলাফলে বরিশাল বোর্ডে পাশের হার ছিল ৭৯.৪১ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৩,১১৩ জন। ২০১৫ সালে বরিশাল বোর্ডে পাশের হার ছিল ৮৪.৩৭ শতাংশ এবং ২০১৪ সালে পাশের হার ছিল ৯০.৬৬ শতাংশ।

খালেদা জিয়ার মামলা স্থগিতের আবেদন হাইকোর্টে খারিজ

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় স্থগিত চেয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার দুটি আবেদন খারিজ করে দিয়েছে হাইকোর্ট।

রবিবার সকালে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি আমির হোসেনের দ্বৈত বেঞ্চ এই আদেশ দেয়। এর ফলে মামলার কার্যক্রম চালিয়ে নিতে কোন আইনি বাধা থাকল না বলে জানিয়েছেন দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।

আগামী ১৯শে মে ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতে এ দুর্নীতি মামলায়  বিএনপি  চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার আত্মপক্ষ সমর্থনের দিন রাখা আছে।