২২শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
৭ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 38

ফতুল্লায় স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী সভা অনুষ্ঠিত

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : নারায়নগঞ্জ জেলার সদর উপজেলায় ফতুল্লায় মঙ্গলবার সকালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল কেন্দ্রীয় (ঢাকা বিভাগীয়) কমিটির সঙ্গে নারায়নগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানা শাখার স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা- কর্মীদের সাথে কর্মী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ফতুল্লা ডি,আই,টি মাঠ সংলগ্ন রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরীর বাস ভবনে অনুষ্ঠিত কর্মী সভায় জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আনোয়ার সাদাত সায়েমের সভাপতিত্বে ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুর রহমানের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ- সভাপতি আনু মোহাম্মদ শামীম আজাদ।

এ সময় প্রধান অতিথি আনু মোহাম্মদ শামীম আজাদ স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক কমিটির প্রার্থীদের উদ্দেশ্য করে বলেন, আমরা আপনাদের এখানে কারো ব্যক্তি, চেহারা বা অবস্থান নির্ণয় করে নির্বাচন করবো না।আপনেরা অনেকেই অনেক মামলা হামলা, জেল জুলুমের শিকার হয়েছেন দেখেছি। আপনাদের এখানে ১৬ বছর ধরে কোন নতুন কমিটি নেই।তাই আমরা অতীতে যারা মাঠ পর্যায় জোড়ালো ভাবে কাজ করেছে, মামলা,হামলা ও জেল জুলুমের শিকার হয়েছে তাদের থেকে মূল্যায়ন করে নেতা নির্বাচিত করবো। এবং এখানে বর্তমান অস্থায়ীভাবে ২১ সদস্য বিশিষ্ট একটি আহবায়ক কমিটি করবো।আমাদের দেশের গনতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে পূর্বের ন্যায় আপনেরা সবাই রাজপথের এক সাথে কাজ করবেন।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের আন্দোলন, সংগ্রাম, প্রতিরোধ, প্রতিবাদ এই নারায়ণগঞ্জ জেলা থেকেই শুরু হয়েছে। ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বাধীনতা যুদ্ধ, গণঅভার্থান এই নারায়ণগঞ্জ থেকেই শুরু হয়েছে।আর আমাদের নেতা তারেক জিয়া দেশে গনতন্ত্র ও মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য কাজ শুরু করেছে। ১৯৭১ সালে ৩০ শহীদের রক্তের বিনিময়ে দেশ স্বাধীন হলেও এখনো দেশের মানুষ স্বাধীন না কারন এখনো বাসায়, অফিসে বসে কোন মিটিং মিছিল করলে পুলিশের বাঁধার মুখে পড়তে হয়।

বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ে দীর্ঘ ৩০ বছর পর ডাকসুর নির্বাচন হয়েছে তাও ভোট চুরির মাধ্যমে। জনগনের ভোটের অধিকার বিএনপি ফিরিয়ে দিবে না।আপনাদেরই অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে হবে।আর তাই জনগনের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনতে নেতার নির্দেশে আমরা অতীতের জেল জুলুম, মামলা হামলায় মাঠে যারা কাজ করছে তাদের এনে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য কাজ করছি।

সভাপতির বক্তব্যে আনোয়ার সাদাত সায়েম বলেন,আজকে আমরা কর্মী সভায় সবাই উপস্থিত হয়েছি একটি নতুন কমিটির জন্য।ফতুল্লা থানা নেতাকর্মীরা অতন্ত নিষ্ঠাবান, শৃঙ্খল ও কর্মঠ।তাই আপনাদের কাজের উপর ভিত্তি করে কেন্দ্রীয় কমিটির নেতারা মূল্যায়ন করে নেতা হিসেবে নির্বাচিত করবে।যারা মাঠ পর্যায় কাজ করে জেল জুলুম, মামলা হামলার শিকার হইছে তাদেরই মূল্যায়ন করা হবে কোন ব্যক্তি বা দলকে প্রাধান্য দেওয়া হবে না। আমাদের নেতা তারেক জিয়ার নির্দেশ মোতাবেক আপনাদের থেকে নেতা নির্বাচিত হবে।

এর আগে কেন্দ্রীয় কমিটি ও নারায়ণগঞ্জ জেলার নেতাকর্মীদের ফুলের শুভেচ্ছা ও ক্রেস্ট দিয়ে সম্মাননা প্রদান করা হয়।এবং ফতুল্লা আহবায়ক কমিটির আহবায়ক পদে জাকির হোসেন রবিন, জহিরুল ইসলাম, আবুল হোসেন পায়েল, ফারুক হোসেন সানি, আনোয়ার হোসেন গাজী, রাসেল মাহমুদ, জাকির হোসেন রবি, কাজী মাজেদুল হক মোট ৬ জন এবং সদস্য সচিব পদে আমিনুল ইসলাম লিটন, মোহাম্মদ আলী, মতিউর রহমান ফকির, হারুন অর রশিদ হারুন, এস কে শাহীন, নজরুল ইসলাম, মোহাম্মদ হানিফ মোল্লা, মুক্তার হোসেন, পিন্টু, এস এম দেলোয়ার হোসেন, মোহাম্মদ সোহাগসহ মোট ১৩ প্রার্থীর বক্তব্য কেন্দ্রীয় কমিটির নেতারা শুনেন।

এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সাধারন সম্পাদক জুলফিকার হোসেন জনি, সালাউদ্দিন শাহীন, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আকরামুজ্জামান টুকন, মোঃ শরিফ ফেরদৌস। উক্ত কর্মী সভায় আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল কেন্দ্রীয় কমিটির কমিটির সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী, প্রস্তাবিত কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ সম্পাদক আলমগীর হোসেন শামীম, নারায়ণগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন মোল্লা, জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল কুমিল্লা জেলার সহ-সভাপতি নিজাম উদ্দিন জুয়েল কুমিল্লা উত্তরের ছাত্র দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি ওয়াহিদ মোল্লা প্রমূখ।

বিচারের আগে আমার ছেলেকে ধর্ষক হিসেবে চিহ্নিত করবেন না: দিহানের মা 

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : ধর্ষণের উদ্দেশ্যে নয়, একান্তে সময় কাটাতে বাসায় আনুশকাকে ডেকেছিল বলে গণমাধ্যম বরাবর পাঠানো খোলা চিঠিতে অভিযুক্ত দিহানের মা সানজিদা সরকার দাবি করেছেন। তিনি এ ঘটনায় মর্মাহত হয়েছেন জানিয়ে সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন।

খোলা চিঠিতে দিহানের মা বলেছেন, গত ৭ জানুয়ারি আমার বাসায় আমার ছেলে দিহান ও ওর বান্ধবী অরনা আমিনের ঘটনায় আমি হতবাক। একজন মা ও নারী হিসেবে এ ধরনের ঘটনা মেনে নেওয়া খুবই কষ্টকর। গত দুদিন আমি কোনো সংবাদমাধ্যমে কথা বলিনি।

কারণ, আমি পুরো ঘটনা বোঝার চেষ্টা করেছি। দিহানের বন্ধুবান্ধবের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে আমার ছেলের ধর্ষণ এবং হত্যার উদ্দেশ্য ছিল কি না, তা মা হিসেবে জানার চেষ্টা করেছি। একজন নারী হিসেবে কোনো কিশোরীর অসম্মান হোক বা ধর্ষিত হোক- কখনো চাই না।

৭ জানুয়ারি সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে আমি আমার অসুস্থ পিতাকে দেখতে যাওয়ার জন্য দিহানকে বাসায় একা রেখে বগুড়ার উদ্দেশে রওনা হই। আমার অন্য ছেলে নিজের কর্মস্থলে ছিল। যমুনা সেতু পার হওয়ার পর দুপুর ২টা ৪৫ মিনিটে প্রাথমিকভাবে জানতে পারি মডার্ন হাসপাতালে দিহানের বান্ধবী মারা গেছে। দিহানকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।

দ্রুত ঢাকায় এসে দেখি পুলিশ আমার বাসায়। জানলাম মেয়েটি আমার বাসায় দিহানের সঙ্গে দেখা করতে এসে ধর্ষিত হয়েছে এবং মারা গেছে। মা হিসেবে আরও আগে থেকেই একটু আন্দাজ করতে পেরেছি, আমার ছেলে কোনো একটি সম্পর্কে জড়িয়েছে।

কিন্তু কোন মেয়ের সঙ্গে, তা জানা ছিল না। তবে বিভিন্ন মাধ্যম থেকে মেয়েটির ‘Aurna Amin’ নামের ফেসবুক আইডিতে দিহানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ছবি, দিহানকে নিয়ে কবিতা লিখা ইত্যাদি দেখে মনে হলো এই মেয়েটির সঙ্গেই দিহান সম্পর্কে জড়িয়েছে। আমি ধারণা করছি, আমি বাসা থেকে বের হওয়ার পর দিহান মেয়েটির সঙ্গে যোগাযোগ করলে মেয়েটি আমার বাসায় আসে।

দিহানের সঙ্গে বিশ্বস্ততার সম্পর্ক ছিল বিধায় মেয়েটি আমার বাসায় এসেছিল। আমি মনে করি, ধর্ষণ বা হত্যার উদ্দেশ্যে দিহান মেয়েটিকে বাসায় ডাকেনি। একজন আরেকজনকে ভালোবাসে। সেই হিসেবে একান্তভাবে সময় কাটানোর জন্যই হয়তো ডেকেছিল। উভয়ের বয়স কম। একজন নাবালিকা এবং আমার ছেলেরও বয়স ১৮ বছর ৭ মাস অর্থাৎ কিশোর। আবেগের বশে উভয়েই শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়েছিল এবং অপরিপক্বতার পরিচয় দিয়েছে। পরবর্তীতে যা হয়েছে তা নিতান্তই দুর্ঘটনা মনে হচ্ছে।

আমার ছেলে ধর্ষক বা হত্যাকারী হলে সে নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টা করত কিন্তু সে তা করেনি। সে নিজে গাড়ি করে মেয়েটিকে হাসপাতালে নিয়ে গেছে। মেয়েটির মাকে ফোন করেছে, পুলিশের কাছে ঘটনা স্বীকার করেছে। আমার ছেলে যদি মেয়েটির সঙ্গে অন্যায় করে তাহলে একজন নারী হিসেবে আমিও আমার ছেলের যথাযথ বিচার হোক সেটা চাই।

কিন্তু মেয়েটির ইচ্ছায় শারীরিক সম্পর্ক হয়েছিল কিনা এবং একমাত্র শারীরিক সম্পর্কের কারণেই রক্তক্ষরণ ও মৃত্যু হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে পুলিশ প্রশাসনের ওপর আমি বিশ্বাস রাখতে চাই এবং বিচার বিভাগের ওপর আস্থা রাখতে চাই। বিচারের আগে আমার ছেলেকে ধর্ষক বা হত্যাকারী হিসেবে চিহ্নিত না করার জন্য সমাজের সবার প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি।

এদিকে কলাবাগান থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) ঠাকুর দাস মালো বলেন, ধর্ষণ এবং হত্যার আগে চেতনানাশক কোনো কিছু খাওয়ানো হয়েছিল কিনা সেজন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এবং বয়স নির্ধারণের জন্যও তার নমুনা নেয়া হয়েছে। প্রতিবেদন পাওয়া গেলে মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে সুনিশ্চিত হওয়া যাবে।

  1. এর আগে গত ৮ জানুয়ারি দিহান দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবিন্দ দিয়েছে। বর্তমানে দিহান কারাগারে রয়েছে। এদিকে এ ঘটনায় ফারদিন দিহানকে একমাত্র আসামি করে মেয়েটির বাবা ধর্ষণ ও হত্যার মামলা করেন।

‘গ্রুপ টর্চারে’ মারা গেছে আনুশকা-পরিবারের দাবি

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : রাজধানীর মাস্টারমাইন্ড স্কুলের ‘ও’ লেভেলের ছাত্রী আনুশকা নুর আমিনকে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া দিহানের স্বীকারোক্তি নিয়ে সন্দেহ পোষণ করেছেন নিহতের পরিবার। আনুশকার পরিবার বলছে ঘটনার শুরু থেকেই পুরো সত্য লুকানোর অপচেষ্টা করে আসছে দিহান। তাদের দাবি ‘গ্রুপ টর্চারে’ মারা গেছে ‘ও’ লেভেলের শিক্ষার্থী আনুশকা।

তার পরিবার আরো দাবি করছে যে এ ঘটনায় শুধু দিহান নয়, তার আরও তিন বন্ধু জড়িত ছিল। এখন আনুশকার পরিবার দিহানের তিন বন্ধুকেও আসামি করতে চায়। তবে পুলিশ বলছে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর এ ঘটনায় তিন বন্ধুর কোন সংশ্লিষ্টতা না পাওয়ায় তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

আনুশকার মা সোমবার (১১ জানুয়ারি) গণমাধ্যমকে বলেন, ঘটনার সময় দিহানসহ চারজন সেখানে উপস্থিত ছিল। ঘটনা শুনে হাসপাতা লে যাওয়ার পর দিহানের কাছে জানতে চাইলে সে জানায়, চার বন্ধু তার বাসায় ছিল। দিহানকে আগে থেকে চিনতাম না। ওই দিন ফোন করে সে তার পরিচয় দিয়েছিল।

তিনি আরো বলেন, বন্ধুদের অপরাধ আড়াল করতে একাই দায় মা থায় নিয়েছে দিহান। হয়তো ওরা জোর করেই আমা র মেয়ের ওপর নির্যাতন চালায়। কিছু খাইয়ে ওকে অচেতন করা হতে পারে। ঘটনার পর আমা র মে য়ের পিঠে আ ঘাতের চিহ্ন দেখেছি। প্রভাবশালী হওয়ায় তিন বন্ধু পার পাচ্ছে বলে অ ভিযোগ তার।

ছাত্রীর মা আরও বলেন, ঘটনা শুনে আমি হাসপাতা লে যাওয়ার পরই দিহান আমা র পা জড়িয়ে ধরে। সে বলতে থাকে- ‘আমাকে বাঁ চান।’ তিনি বলেন, পুলিশের পরামর্শে তারা মামলায় একজনকে আ সামি করেছেন। এখন দিহানের আরও তিন বন্ধুকে আ সামি করতে চান। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে অনেক তথ্য বেরিয়ে আসবে। তার মে য়েকে ফাঁদে ফেলা হয়েছে।

এদিকে, একইদিন এ ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া দিহানের কলাবাগান বাসার দারোয়ানকে আ টক করেছে পুলিশ। ঘটনার পর থেকেই তিনি পলাতক ছিলেন বলে জানা যায়। তার নাম দুলাল। ডিএমপির রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার ডিসি মো. সাজ্জাদুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ঘটনার বিষয়ে দারোয়ানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

এ ঘটনায় আনুশকার ময়নাত দন্ত রিপোর্টে বলা হয়েছে তার শরীরে বি কৃত যৌ নাচারের আলামত মিলেছে। বড় আকৃতির কিছু একটা ভিক্টিমের দেহে পুশ করানোর ফলে তার বিশেষ অঙ্গ ফেটে গিয়ে অ তিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয় এবং সে মারা যায়।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতা লের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, স্বাভাবিকশা রীরিক স ম্পর্কে এতটা ভ য়াবহ পরিণতি হওয়ার কথা নয়। শরীরের নিম্নাঙ্গে কোন ‘ফরেন বডি’ কিছু একটা ব্যবহার করা হয়েছে। এক কথায় সেখানে বি কৃত যৌ নাচার করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) সকালে বন্ধু দিহানের মোবাইল কল পেয়ে বাসা থেকে বের হন রাজধানীর ধানমন্ডির মাস্টারমাইন্ড স্কুলের ‘ও’ লেভেলের শিক্ষার্থী আনুশকা নুর আমিন। এরপর কি শোরীকে কলাবাগানের ডলফিন গলির নিজের বাসায় নিয়ে যান দিহান। ফাঁকা বাসায় তাকে ধ র্ষণ করা হয়।

অসুস্থ হয়ে পড়লে দিহানসহ চার বন্ধু তাকে ধানমন্ডির আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক ছাত্রীকে মৃ ত ঘোষণা করেন। ধর্ষণের পর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয় বলে জানান চিকিৎসকরা। এ ঘটনায় আনুশকার বাবা বাদী হয়ে মা মলা করেছেন। এ ঘটনার মামলায় দিহান গ্রেপ্তার রয়েছেন। তিনি ১৬৪ ধারায় আদালতে জবানবন্দিও দিয়েছেন।

বক্তাবলী ইউপি ৪নং ওয়ার্ডে প্রার্থী হচ্ছেন ইফতেখারুজ্জামান শাহীন

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : বক্তাবলী ইউপি নির্বাচনে মেম্বার প্রার্থী হচ্ছেন সাদা মনের মানুষ মো. ইফতেখারুজ্জামান শাহীন। আসন্ন ২০২১ বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ৪নং ওয়ার্ড (রাজাপুর-গঙ্গানগর ) গ্রাম থেকে মেম্বার পদে প্রার্থী হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন বক্তাবলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ও শহীদ পরিবারের সন্তান মো. ইফতেখারুজ্জামান শাহীন। তিনি সকলের কাছে দোয়া চেয়েছেন।

একান্ত আলাপকালে তিনি বলেন,মিথ্যা প্রতিশ্রুতি নয়, সত্যিকার অর্থে আপনাদের কল্যাণে কাজ করার উদ্দেশ্যে নির্বাচনে প্রার্থী হতে চাই। আমি নির্বাচিত হলে আমার (রাজাপুর-গঙ্গানগর) গ্রামকে মাদক, ইভটিজিং, বাল্যবিবাহ ও সন্ত্রাস মুক্ত ওয়ার্ড হিসেবে গড়ে তুলবো। এবং মুরব্বিদের পাশে থেকে অবহেলিত জনগোষ্ঠীর জন্য সুন্দর সমাজ গঠনে ভূমিকা রাখতে সর্ব মহলের সমর্থন একান্তভাবে কামনা করছি।

সরেজমিনে নির্বাচনী এলাকাতে ঘুরে ওয়ার্ডের বিভিন্ন ভোটারদের সাথে আলাপ কালে সাধারন ভোটাররা জানান, মো. ইফতেখারুজ্জামান শাহীন একজন ন্যায় পরায়ন ব্যক্তি। তার মত যোগ্য প্রার্থী পেলে  আমরা সত্যিই আনন্দিত হব।।

শিবু মাকের্টে মহানগর মা ও শিশু হাসপাতালের উদ্বোধন

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : ফতুল্লা শিবুমার্কেট এলাকায় মহানগর মা ও শিশু হাসপাতালের উদ্বোধন হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে দোয়া মাহফিলের মধ্য দিয়েই এই হাসপাতালের উদ্বোধন করা হয়।

উপস্থিত ছিলেন মোঃ মজিবুর রহমান, ডাঃ মোঃ আবুল কাসেম, মোঃ আব্দুস ছালাম খাঁন, খন্দকার মামুন উর রশিদ, মোঃ আরিফুজ্জামান আরিফ, মোঃ আনোয়ার হোসেন, সাংবাদিক আঃ রহিম, সাংবাদিক মোঃ সফিকুল ইসলাম আরজু, সাংবাদিক মোঃ সিরাজুল ইসালাম, প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান এমএম হাসান প্রমুখ।

দোয়া পরিচালনা করেন ধনকুন্ডা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা মুফতি নাজমুল হক নোমানী।

নারায়ণগঞ্জে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের পদত্যাগের দাবিতে বিএনপি’র মানববন্ধন

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা প্রধান নির্বাচন কমিশনারের পদত্যাগের দাবিতে মানববন্ধন করেছে।

১১ জানুয়ারী (সোমবার) সকালে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে জেলা বিএনপির উদ্যোগে এ আয়োজন করা হয়। ঘন্টাব্যাপী আয়োজিত কর্মসূচির সভাপতিত্ব করেন বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও জেলার নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটির সভাপতি এ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার।

এড. তৈমুর আলম খন্দকার বলেন, এদেশের নির্বাচন কমিশন কত বড় নির্লজ্জ তা আর বলার অবকাশ রাখে না। বাংলাদেশে শুধু একজন লোককে খুশি রাখতে সব চালানো যায়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে খুশি রাখলেই সব চালানো যায়। ৪২ জন বিশিষ্ট নাগরিক ইসির পদত্যাগ দাবিতে রাষ্ট্রপতি বরাবর আবেদন দিয়েছেন। মাননীয় রাষ্ট্রপতি, আপনি যদি শুধু আওয়ামী লীগের রাষ্ট্রপতি হয়ে থাকেন তাহলে কিছু বলার নেই। কিন্তু যদি সারাদেশের মানুষের রাষ্ট্রপতি হয়ে থাকেন তাহলে এই ইসির যে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে তদন্ত করবেন, ব্যবস্থা নেবেন। আপনি আপনার স্বচ্ছতা ও আপনি যে দেশবাসীর রাষ্ট্রপতি সেটি প্রমাণ করতে এ আবেদনের তদন্ত করবেন।

তিনি আরো বলেন, আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধেও একটি মিথ্যা মামলায় যে পরোয়ানা জারি হয়েছে সেটিও প্রত্যাহার করার দাবি জানাই আমি।

এসময় আরোও বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপি’র যুগ্ন আহবায়ক নাসির উদ্দিন, জাহিদ হাসান রোজেল, মনিরুল ইসলাম রবি ও সদস্য সচিব অধ্যাপক মামুন মাহমুদ সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে দূর্ণীতিবাজ আখ্যা দিয়ে বলেন, নির্বাচন কমিশনারের দুর্নীতির ব্যাপারে দেশের ৪২ জন বিশিষ্ট নাগরিক রাষ্ট্রপতির কাছে তথ্য দিলেও সরকার এই দুর্নীতিবাজ নির্বাচন কমিশনারের পক্ষে কথা বলছে। বিশিষ্ট নাগরিকদের দেয়া এইসব তথ্য তদন্ত করে নির্বাচন কমিশনারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানান বিএনপি নেতারা। মানববন্ধন শেষে নেতা-কর্মীরা মিছিল করতে চাইলে পুলিশ তাদের বাধা দিয়ে রাস্তা থেকে সরিয়ে দেয়।

নারায়নগঞ্জে ইভটিজিংকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত-১৪

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ দুই মহল্লার বখাটে কিশোর গ্যাংদের সংঘর্ষে ১৪ জন আহত হয়েছে। গত রবিবার (১০ জানুয়ারী) রাত ৭ টার দিকে মহানগরের ৩নং ওয়ার্ডে ইভটিজিং করাকে কেন্দ্র করে মাদানীনগর ও নয়াআটি মুক্তিনগর গ্রামবাসীর মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে দুইজনের অবস্থা গুরুতর। এক পক্ষের মামলা দায়ের। অপর পক্ষেরটি প্রত্রিয়াধিন রয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ঘটনাস্থলের চা দোকানদার এসডু সরকার জানান, মাদানীনগর এলাকার ৩০ থেকে ৪০ জন লোক দেশিয় অস্ত্র নিয়ে মুক্তিনগর কবরস্থান এলাকায় এসে অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় মুক্তিনগর এলাকার নারী পুরুষসহ অর্ধশতাধিক লোক দেশিয় অস্ত্র নিয়ে পাল্টা হামলা করে।

আরেক প্রত্যক্ষদর্শী আনোয়ার হোসেন আনু জানায়, মাদানীনগর এলাকার তাহেরুল, খায়রুল, আব্দুল্লাহ, রাকিব, আল-আমিন, তুষার, বাহারুলসহ অজ্ঞাত বহু লোকজন হামলা করতে আসলে আমরা কয়েকজন তাদের শান্ত করার চেষ্টা করি। এসময় শাহ আলমের মাথায় আঘাত করে ফাটিয়ে ফেলে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকার নারী-পুরুষ ছুটে আসলে মারামারি শুরু হয়। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানায়, বখাটে কিশোরগ্যাং সদস্যরা এলাকায় মাদক সেবন ও বিক্রি করছে। তাদের উশৃঙ্খলতা সীমা ছাড়িয়ে গেছে।

মাদানীনগর এলাকার তাহেরুল বলেন, আমার স্ত্রী বাসায় ফেরার পথে মুক্তিনগর এলাকার হিমেল অপত্তিকর কথা বলে। স্ত্রীর কাছ থেকে বিষয়টি জেনে আমি হিমেলকে জিজ্ঞেস করতে গেলে উত্তেজিত হয়ে উঠে। আমাদের উপর হামলা করে।

ইভটিজিং করার অভিযোগ মিথ্যা দাবি করে হিমেল বলে, পূর্বশত্রুতার জের ধরে আমাকে ডেকে নিয়ে তাহেরুল আমার পেটে ছুরিকাঘাত করে। কিন্তু আমি সরে যাওয়া ভাল করে লাগেনি। আমি দৌড়ে কবরস্থান এলাকায় চলে আসি। তখন সে দলবল নিয়ে সেখানে এসে হামলা করে।
এ সংঘর্ষে মুক্তিনগর এলাকার শাহ আলম, হিমেল, জাকির, বিল্লাল, আলমগীর, খোকন, মহিউদ্দিন, সিয়াম, হাসিনা ও ময়না আর মাদানীনগর এলাকার আল-আমিন, তাহেরুল, রাকিব ও খায়রুল আহত হয়। তাদের মধ্যে শাহ আলম ও আল-আমিন গুরুতর। তাদের রাতেই নারায়ণগঞ্জ খানপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহজালাল বাদল জানান, মারামারির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে পরিস্থিতি বেগতিক দেখে থানায় ফোন করি। পরে পুলিশ আসার পর দুই পক্ষই পালিয়ে যায়।

ঘটনাস্থল পরিদর্শনকারী সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) কাজল চন্দ্র মজুমদার জানান, ইভটিজিং সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে মারামারির ঘটনা ঘটে। উভয় পক্ষের লোকজন আহত হয়েছে।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশিউর রহমান জানান, ইভটিজিং এর ঘটনায় নাহিদা নামে এক নারী বাদী হয়ে মামলা করেছে। প্রতিপক্ষের অভিযোগ তদন্ত চলছে।

চামচারা শেখ হাসিনার সব অর্জন ধ্বংস করে দিচ্ছে: ওবায়দুল কাদেরের ভাই

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : চামচারা’ শেখ হাসিনার সব অর্জন ধ্বংস করে দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই আবদুল কাদের মির্জা। আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট বাজারের ব্যবসায়ীদের নিয়ে এক নির্বাচনী পথসভায় তিনি এই মন্তব্য করেন।

১৬ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় দ্বিতীয় ধাপের পৌরসভা নির্বাচনে আবদুল কাদের মির্জা বসুরহাট পৌরসভার মেয়র পদে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন। সোমবার নির্বাচনী সভায় আবদুল কাদের মির্জা বলেন, ‘ফেনীর একটা উপজেলা চেয়ারম্যান একরাম, তাঁকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করে গাড়ির ভেতরে ঢুকিয়ে পেট্রল ঢেলে জ্বালিয়ে দিয়েছে। নিজাম হাজারীকে জবাব দিতে হবে। কীভাবে লুটপাট চলছে, খবর নেন। চাকরি–বাণিজ্য, টেন্ডারবাজি চলছে হাজার হাজার, লাখ লাখ টাকার। এসব চামচারা শেখ হাসিনার সব অর্জন ধ্বংস করে দিচ্ছে।’

সুষ্ঠু নির্বাচনের আশ্বাস দিয়ে আবদুল কাদের মির্জা বলেন, ‘আমি স্পষ্ট ভাষায় বলছি যে কেন্দ্রে কেউ গন্ডগোল করবে, সঙ্গে সঙ্গে নির্বাচন বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রয়োজনে ১০ বার নির্বাচন হবে। তবু নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ করা যাবে না।’ তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের দিন আপনারা যদি দেখেন আমি অনিয়ম করছি, তাহলে আমি প্রার্থনা করে বলছি, হে খোদা, আমি যদি অনিয়মের ভোটের সঙ্গে সম্পৃক্ত হই, তাহলে তুমি আমাকে ভোটের দিনই মৃত্যু দিয়ো।’

আবদুল কাদের মির্জা আরও বলেন, ‘আজ সকালে এক জায়গা থেকে একজন বিএনপির প্রার্থী আমাকে ফোন করে বলে, ‘‘ভাই, আপনার এলাকায় বিএনপি ভোট করছে, আর আমি আমার বাড়ি থেকেও বের হতে পারছি না, ভোট করা তো দূরের কথা।’’ এই হলো অবস্থা, তারা বড় বড় কথা বলে।’

তিনি তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী দুই প্রার্থীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘আপনাদের প্রতি অনুরোধ, যদি কোথাও কারচুপি হয়, সঙ্গে সঙ্গে আমাকে বলবেন। সঙ্গে সঙ্গে সেই কেন্দ্র বন্ধ করে দেব। নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কোনো কর্মকর্তাকে কোনো অন্যায় করতে দেওয়া হবে না।’

নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে ষড়যন্ত্র চলছে, উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী বলেন, ‘কোম্পানীগঞ্জে যদি একটা মায়ের বুক খালি হয়, নির্বাচন নিয়ে কোনো প্রহসন করা হয়, যদি একটা জাল ভোট কোথাও পড়ে, যদি কারও ঘরে আগুন লাগানো হয়, কারও খড়ের গাদায় আগুন লাগে তার দায়দায়িত্ব নোয়াখালীর ডিসি, এসপি ও নির্বাচন কর্মকর্তাকে নিতে হবে।’

মাদক নিয়ে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি সম্পর্কে আবদুল কাদের মির্জা বলেন, ‘মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের নেত্রী জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন। মাদক কি চলে? চললে প্রশাসনের কাজ কী? আমরা এখান থেকে সকালে ধরে দিলে বিকেলে ছেড়ে দেয়। তাহলে শেখ হাসিনার জিরো টলারেন্স নীতি কোথায় গেল? নেত্রীকে অবজ্ঞা করছে তারা।’ তিনি প্রস্তাব করেন, ‘যারা এমপিসহ জনপ্রতিনিধি হবে, তারা মদ খেতে পারবে না, নারী–কেলেঙ্কারিতে জড়াতে পারবে না। দলের যেকোনো পর্যায়ের নেতা হতে হলে মদ–নারীর সঙ্গে থাকতে পারবে না।’

নির্বাচনী সভায় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাহাব উদ্দিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খানসহ উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। বসুরহাট বাজারের ব্যবসায়ীরা ছাড়াও বিপুলসংখ্যক দলীয় নেতা-কর্মীর সমাগমে পথসভাটি কার্যত সমাবেশে রূপ নেয়।

মুন্সিগঞ্জে বোনকে ধর্ষণ চেষ্টা, ছেলেকে হত্যা করলেন বাবা-মা

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার হোসেন্দী গ্রামে বাড়ির পাশের ডোবা থেকে মো. হাসান মিয়া (১৭) নামে এক কিশোরের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় তার বাবা, মা ও বোনকে আটক করেছে পুলিশ।

শনিবার (৯ জানুয়ারি) দুপুরে গজারিয়ার হোসেন্দী বাজার এলাকা থেকে অভিযুক্ত তিনজনকে আটক করা হয়েছে।

এরা হলেন-নিহত হাসানের বাবা মো. শামীম শিকদার (৪০), মা হাসিনা বেগম (৩৮) ও বোন (১৫)।

গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রইছ উদ্দিন নিশ্চিত করে জানান, নিহত হাসান মিয়া মাদকাসক্ত ছিল। ঘটনার দিন রাতে তার বোন প্রকৃতির ডাকে সাড়ে দিতে ঘরের বাইরে বের হলে হাসান তাকে জোর করে তার ঘরে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে। বোনের চিৎকারে মা, বাবা এসে ছেলেকে মারধর করলে একপর্যায়ে বোন হাসানের পুরুষাঙ্গ কেটে দেয় ও মা পায়ে ধরে ও বাবা বালিশ দিয়ে মুখে চাপা দিলে হাসানের মৃত্যু হয়। গোপন করার জন্য হাসানের মরদেহটি বাড়ির পাশে ডোবায় ফেলে দেয় পরিবারের সদস্যরা। নিহতের মা হাসানের মরদেহ ডোবায় পড়ে রয়েছে বলে স্বপ্নে দেখেছেন বলেও তিনি জানান। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায়। প্রথমে এ হত্যাকাণ্ডটি এলাকার পূর্ব শত্রুতার জেরে হয়েছে বলে মা দাবী করেন।

ওসি আরও জানান,  এ ঘটনা প্রত্যক্ষ করে নিহতের ছোট ভাই। তাদের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করেই ঘটনার মূল রহস্য জানা গেছে। সে মামলার বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করে।

উল্লেখ্য, এর আগে শুক্রবার (৮ জানুয়ারি) সকাল ১১টার দিকে উপজেলার হোসেন্দী গ্রামের ডোবা থেকে হাসানের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। বাড়ির পাশের ডোবা থেকে অতিমাত্রায় দুর্গন্ধ বের হলে পুলিশকে খবর দেয়া হয়। একপর্যায়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে হাসানের মরদেহ উদ্ধার করে। ১৭ দিন ধরে মরদেহটি ডোবায় পড়ে ছিল।

আনুশকার শরীরে মিলেছে রহস্যজনক ‘ফরেন বডির’ আলামত

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : সম্প্রতি চাঞ্চল্যকর ঘটনা রাজধানীর কলাবাগানে আনুশকা নূর আমিন ধর্ষণ ও হত্যা মামলা। মাস্টার মাইন্ড স্কুলের ‘ও’ লেভেলের এই ছাত্রীর রেক্টাম ও যৌনাঙ্গে মিলেছে অস্বাভাবিক ‘ফরেন বডি’র আঘাত। কি ছিল সেই ‘ফরেন বডি’? সেই রহস্যকে কেন্দ্র করে চলছে গভীর অনুসন্ধান।

আনুশকার মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনে কাজ করছে সংশ্লিষ্ট একাধিক প্রতিষ্ঠান। ইতোমধ্যেই মেডিকেল ফরেনসিক টিম ময়নাতদন্তের কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে। বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করে কাজ করে যাচ্ছে সিআইডিসহ আইন প্রয়োগকারী ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। এরইমধ্য থেকে তদন্ত সংশ্লিষ্ট নির্ভরযোগ্য সূত্র প্রত্যক্ষ আলামত ও চিহ্নের ভিত্তিতে ধারণা করছে যে- দেশীয় আকৃতির পুরুষাঙ্গ নয়, বরং ফরেন বা বিদেশি বড় পুরুষাঙ্গ আকৃতির কিছু একটা ভিক্টিমের রেক্টামে পুশ করানো হয়েছে। যে কারণে যৌনাঙ্গ ও রেক্টাম ফেটে গিয়ে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়।

সংশ্লিষ্ট ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) সাজ্জাদুর রহমান বলেন, গত বছরের নভেম্বর থেকে দিহানের সাথে ওই ছাত্রীর প্রেমের সম্পর্ক চলমান ছিল বলে প্রমাণ মিলেছে। আমরা দিহানের বাসা থেকে বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করেছি। তবে, তদন্তের স্বার্থে সকল বিষয়ে এখনই বলা যাচ্ছে না। ময়নাতদন্ত রিপোর্টসহ অন্যান্য পরীক্ষা নিরীক্ষার ডকুমেন্ট আমাদের হাতে আসলেই এই ঘটনার রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব হবে বলে মনে করছি। ফরেনসিক চিকিৎসক অভিমত দিয়েছেন- ‘বিকৃত’ যৌনাচারের কারণে ওই মেয়েটির যৌনাঙ্গ এবং রেক্টাম থেকে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়েছে।

আনুশকা নূরের ময়নাতদন্ত হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এ বিষয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদের কাছে জানতে চাইলে তিনি আরটিভি নিউজকে বলেন, স্বাভাবিক পেনিস দ্বারা রেক্টাম ও যৌনাঙ্গ ব্যবহার করলে এতোটা ভয়াবহ পরিণতি হওয়া কথা নয়। শরীরের নিম্নাঙ্গে ‘কোন ফরেন বডি সাইজ’ কিছু একটা ব্যবহার করা হয়েছে। এক কথায় সেখানে বিকৃত যৌনাচার করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ‘আমি আমার পোস্টমর্টেম জীবনের অভিজ্ঞতার আলোকে বলতে পারি, পেনিস (পুরুষাঙ্গ) দ্বারা এই ইনজুরি মোটেও সম্ভব না। ওটা পেনিসের বাইরে অন্য কিছু ছিল।

ডা. সোহেল মাহমুদ আরটিভি নিউজকে আরও বলেন, যোনিপথ ও পায়ুপথ থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ তার (আনুশকার) মৃত্যুর কারণ হতে পারে। এই প্রচুর রক্তক্ষরণ হওয়ায় সে ‘হাইপো ভোলেমিক’ শকে মারা গেছে। মানুষের মাত্রাতিরিক্ত রক্তক্ষরণ বা দেহ থেকে অতিরিক্ত তরল বের হয়ে গেলে হৃদপিণ্ড স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা হারায়। এ কারণে হৃদযন্ত্র শরীরে রক্ত সরবরাহ করতে পারে না, মানুষ মারা যেতে পারে।

বিকৃত যৌনাচারের তথ্য পাওয়ার কথা জানিয়ে এই ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘যোনিপথ ও পায়ুপথ দুই রাস্তা থেকেই আমরা রক্তক্ষরণের আলামত পেয়েছি। আমরা জোর জবরদস্তির কোনো আলামত পাইনি। তবে যোনিপথ ও পায়ুপথে কিছু ইনজুরি আমরা পেয়েছি। মূলত সেই ইনজুরিগুলোর জন্যই সেখান থেকে রক্তক্ষরণ হয়েছে। কিন্তু বডির অন্য কোথাও জোরাজুরির কোনো আলামত পাওয়া যায়নি।’

যৌনাচার দলগত ছিল কি না? এমন প্রশ্নে সোহেল মাহমুদ বলেন, ‘তার (মেয়েটি) বডি থেকে আমরা ডিএনএ সংগ্রহ করেছি। সেটি আমরা ল্যাবে পাঠিয়েছি। তার রিপোর্ট আসলে আমরা জানতে পারব এটা গ্যাং রেপ ছিল কি না।’

গত শুক্রবার (৮ জানুয়ারি) ঢাকার মুখ্য মহানগর আদালতের হাকিম মামুনুর রশিদ ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় দিহানের জবানবন্দি গ্রহণ করেন।
আদালত ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, জবানবন্দিতে দিহান বলেছেন, শারীরিক সম্পর্কের পর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হলে বন্ধুদের ডেকে তাদের সহযোগিতায় মেয়েটিকে আনোয়ার খান মডার্ন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। পরীক্ষা করার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) দুপুরের পর মেয়েটির মৃত্যুর ঘটনায় রাতেই কলাবাগান থানায় মামলা দায়ের করেন ওই ছাত্রীর বাবা আল আমিন আহম্মেদ।
মামলার এজহারে মেয়েটির বাবা জানান, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টায় তার স্ত্রী অফিসের উদ্দেশে ঘর থেকে বের হন। তিনি ব্যবসায়িক কাজে বের হন সকাল সাড়ে ৯টার দিকে। বেলা পৌনে ১২টার দিকে তার স্ত্রীকে ফোন করে মেয়ে জানায়, সে কোচিং থেকে পড়ালেখার পেপার্স আনতে যাচ্ছে।

বেলা একটা ১৮ মিনিটে মেয়ের মায়ের মোবাইল ফোনে কল আসে। ফারদিন ইফতেখার দিহান (১৮) নিজের পরিচয় দেয়। এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ‘আমার স্ত্রীর ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে ফোন করে বলে, ‘সে দিহান। আমার মেয়ে তার বাসাতে গিয়েছিল। আকস্মিকভাবে আমার মেয়ে তার বাসাতে অচেতন হয়ে পড়লে সে আমার মেয়েকে আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যায়।’

এই খবর পেয়ে মেয়েটির মা অফিস থেকে বের হয়ে বেলা ১টা ৫২ মিনিটে হাসপাতালে ছুটে যান।

এজাহারে আনুশকার বাবা আরও উল্লেখ করেন, ‘সেখানে থাকা কর্তব্যরত ডাক্তারের কাছ থেকে আমার মেয়েকে ধর্ষণ করে মেরে ফেলা হয়েছে মর্মে আমার স্ত্রী জানতে পারেন।’

বেলা ১টা ৫৭ মিনিটে বিষয়টি মেয়ের বাবা আল আমিনকে জানান স্ত্রী। এরপর তিনি পুরান ঢাকার নবাবপুরের ব্যবসাস্থল থেকে দ্রুত হাসপাতালে ছুটে যান।
এজাহারে বাবা লেখেন, ‘জরুরি বিভাগে থাকা কর্তব্যরত ডাক্তার নার্স হাসপাতালে অন্যান্য কর্মচারীসহ উপস্থিত অন্যান্য লোকজনের মাধ্যমে জানতে পারি যে উপরে বর্ণিত বিবাদী ফারদিন ইফতেখার দিহান দুপুরে ১২ টার দিকে বড় মেয়ে আনুশকা নূর আমিনকে প্রেমে প্রলুব্ধ করে মোবাইল ফোনে তার কলাবাগান ডলফিন গলির, লেকসার্কাসের ফাঁকা বাসায় ধর্ষণের উদ্দেশ্যে ডেকে নিয়ে যায়।’

রক্তক্ষরণে মেয়ে অচেতন হয়ে পড়লে দিহান ধর্ষণের বিষয়টি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে বেলা একটা ২৫ মিনিটের দিকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে পৌনে ২টার দিকে মারা যায় মেয়েটি।

পরে কলাবাগান থানা পুলিশের একটি দল হাসপাতালে যায়। তারা মেয়েটির সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগে পাঠায়।