২২শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
৭ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 39

মেয়ের ফোন কলটা কেটে দেওয়ার আফসোস করছেন আনুশকাহ’র বাবা

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : রাজধানীর কলা বাগানের ডলফিন গলি এলাকায় ধানমন্ডির মাস্টারমাইন্ড স্কুলের এক শিক্ষার্থীকে পর অ’ভিযোগ পাওয়া গেছে তার বয়ফ্রেন্ড ফারদিন ইফতেখার দিহান ও তিন সহপাঠীর বি’রুদ্ধে।

যখন প্রচন্ড রক্তপাত শুরু হয় তখন অভিযুক্ত ফারদিন ইফতেখার দিহান তাকে ধানমন্ডির আনোয়ার খান মর্ডান হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে বিকাল পাঁচটায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। মরদেহ বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। এ বিষয়ে আমরা মামলা করেছি।

বাসার পশ্চিম দিকের শেষ ছোট রুমটিই নির্যাতনের শিকার হয়ে মারা যাওয়া কিশোরীর। রুমে ছোট্ট একটা খাট, পড়ার টেবিল আর একটা কাঠের আলমারি।

বর্তমানে বাসাজুড়ে শুধুই শূন্যতা। চারদিকে পিনপতন নীরবতা। খাটে বসে আছেন তিনদিন আগে মারা যাওয়া আনুশকাহ নূর আমিন নামে ওই কিশোরীর বাবা।

রোববার সেদিনের ঘটনার বর্ণনায় আনুশকাহ’র বাবা কান্নাজ’ড়িত কণ্ঠে বলেন, ঘটনার দিন ঠিক ১২টা ১৯ মিনিটে আমা’র মেয়ের নম্বর থেকে কল আসে। আমি মিটিংয়ে থাকায় ফোনটা কেটে দেই। এরপর আর ফোন করেনি। তার কিছু সময় পর আমার স্ত্রীর ফোনে কল আসে। ফোন করে আমার মেয়ের অসুস্থতার কথা জানায়। প্রথম ফোনটা না ধরাটাই ছিল আমার সবচেয়ে বড় ভুল।

 

ফতুল্লা থানা আ’লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের পূর্নাঙ্গ কমিটির অনুমোদন দেয়া হয়েছে। কমিটিতে আলহাজ্ব এম সাইফউল্লাহ বাদলকে সভাপতি ও আলহাজ্ব এম শওকত আলীকে সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেনকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে ৭১ সদস্যের পূর্নাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।

রোববার (১০ জানুয়ারী) জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল হাই ও সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহিদ মোহাম্মদ বাদলের স্বাক্ষরিত ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের কমিটির অনুমোদন দেয়া হয়।

কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি আসাদুজ্জামান, সহ- সভাপতি ওয়ালী মাহমুদ খান, একেএম শহিদুল ইসলাম, খন্দকার লুৎফর রহমান স্বপন, আলহাজ্ব গিয়াস উদ্দিন, মো: আশরাফুল আলম, আব্দুল হাকিম চৌধুরী, মো: মঞ্জুরুল ইসলাম, হাজী মোস্তফা কামাল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এইচ এম ইসহাক, ফরিদ আহম্মেদ লিটন, মোমেন শিকদার, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন, মাহবুব রহমান মাসুম, এমএ মান্নান, আইন বিষয়ক সম্পাদক আবু তাহের রানা, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ইউনুছ দেওয়ান, তথ্য ও গবেষনা বিষয়ক সসম্পাদক মতিউর রহমান প্রধান, ত্রান ও সমাজ কল্যান বিষয়ক সম্পাদক এমএ সাত্তার, দপ্তর সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক আবজাল উন নুর, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক জাহিদুল হক খোকন, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মাহবুব আলম মাসুদ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্ত বিষয়ক সম্পাদক সফিউল্লাহ সফি, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক নাছিমা আক্তার বিউটি, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক ফরিদ উদ্দিন আহম্মেদ, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক রমিজ উদ্দিন ঢালী, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ন কবির রতন, শ্রম সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম বেপারী, সাংস্কৃতিক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক মোস্তফা চৌধুরী, সহ দপ্তর সম্পাদক রাজিব হোসেন মিঠু, সহ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক রেহান শরীফ বিন্দু, কোষাধ্যক্ষ মো: জাকির হোসেন মেম্বার।

কমিটির কার্যনির্বাহী সদস্যরা হলেন এ কে এম শামীম ওসমান, সালমা ওসমান লিপি, ইমতিনান ওসমান অয়ন, শাহ আলম গাজী টেনু, আব্দুল মোতালেব মোল্লা, মমিন মাদবর, মানিক চান, দুলাল হোসেন, আইয়ুব আলী, এমএ সাত্তার, লুৎফর রহমান স্বপন, আজগর আলী, ইদ্রিস আলী, সিদ্দিকুর রহমান, আবুল হোসেন প্রধান, বাবুল মিয়া, আলমগীর হোসেন, সালাউদ্দিন আহম্মেদ, রঞ্জিত মন্ডল, মোস্তফা কন্ট্রাকটার, আব্দুল কাদির ব্যাংকার, জাহাঙ্গীর হোসেন, মিছিল আলী, মজিবুর রহমান, মোবারক, বাদশা মিয়া, রেহান শরীফ, মেহেদী হাসান রবিন, আতাউর রহমান নান্নু, সালাউদ্দিন ভুইয়া, আলাউদ্দিন হাওলাদার, জসিম উদ্দিন, জাহাঙ্গীর হোসেন (সাবেক মেম্বার), শাহীন আলম, আল মামুন মিন্টু।

জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহিদ মোহাম্মদ বাদল জানান, ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের কমিটির অনুমোদন দেয়া হয়েছে। সম্প্রতি সম্মেলনের মাধ্যমে আলহাজ্ব এম সাইফউল্লাহ বাদল সভাপতি ও আলহাজ্ব শওকত আলী সাধারণ সম্পাদক হিসাবে নির্বাচিত হয়েছে। আর এ কমিটিতে ৭১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্নাঙ্গ কমিটির অনুমোদন দেয়া হয়েছে। ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের যাদের নিয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে তারা পরিক্ষিত ও দক্ষ রাজনীতিবিদ।

জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল হাই জানান, ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের ৭১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্নাঙ্গ কমিটির অনুমোদন দেয়া হয়েছে। সম্প্রতি সম্মেলনের মাধ্যমে ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের এম সভাপতি এম সাইফউল্লাহ বাদল ও সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী নির্বাচিত হয়। আর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সকলের সম্মতিক্রমে ৭১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করলে আমরা কমিটির অনুমোদন প্রদান করি। কমিটিতে যারা অন্তর্ভুক্ত হয়েছে তারা আওয়ামীলীগের পরিক্ষিত রাজনীতিবিদ। আমরা জেলা আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে তাদের সফলতা কামনা করছি। তাদের নেতৃত্বে ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগ একটি শক্তিশালী কমিটি গঠিত হয়েছে বলে আমি মনে করছি।

নারায়ণগঞ্জে মদ্যপানে ছাত্রলীগ নেতাসহ ৪ জনের মৃত্যু, ৫ জন আশঙ্কাজনক

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদ হাসান বাবুসহ তিনজনের অতিরিক্ত মদপানে মৃত্যু হয়েছে।

শনিবার বিকেলে জাহিদ হাসান বাবু মারা যান। এর আগে গত শুক্রবার দিবাগত রাতে অপর ছাত্রলীগ নেতা মহসিন ও গাড়ির চালক তোফাজ্জলের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। আশংকাজনক অবস্থায় জিসান, রাহিম ও হৃদয়সহ আরো ৬ জন ঢাকার বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিবার ও এলাকাবাসী। তবে নিহতের পরিবারের দাবী খাদ্যে বিষক্রিয়ায় তাদের মৃত্যু হয়েছে। মদ্যপানে মৃত্যুর খবরটি সঠিক নয় বলে দাবি করেছেন নিহতের পরিবার।

ছাত্রলীগ নেতা বাবুর মৃত্যুর খবরে শোকার্ত পরিবারকে সমবেদনা জানাতে আসেন নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা, নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহীদ মোহাম্মদ বাদল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. আবু জাফর চৌধুরী বিরুসহ জেলা ও স্থানীয় আওয়ামীলীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। তারা শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, সোনারগাঁওয়ের পিরোজপুর ইউনিয়নের মেঘনা শিল্পাঞ্চল এলাকায় সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম আহবায়ক ও পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুমের ছোট ভাই সোনারগাঁও উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদ হাসান বাবু, চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত গাড়িচালক ও পিরোজপুর জৈনপুর গ্রামের সিদ্দিক মিয়ার ছেলে তোফাজ্জল হোসেন, কাদিরগঞ্জ গ্রামের মোক্তার হোসেনের ছেলে ছাত্রলীগ নেতা মহসিন, প্রতাপনগরের কামালের ছেলে জিসানসহ সহ ১০-১২ জনের একটি দল গত বৃহস্পতিবার রাতে সংঘবদ্ধ ভাবে মদ পান করে অসুস্থ্য হয়ে পড়েন। পরে তাদের সোনারগাঁও ও ঢাকার বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করে। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার রাতে গাড়ি চালক তোফাজ্জল ও ছাত্রলীগ নেতা মহসিন মারা যান।

পরে গতকাল শনিবার সকালে তাদের দাফন সম্পন্ন করা হয়। এ ঘটনার পর শনিবার বিকেলে সোনারগাঁও উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদ হাসান বাবু চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। ছাত্রলীগ নেতা বাবুর লাশ মেঘনা প্রতাপের চর এলাকায় নিয়ে আসলে এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। এতে পরিবার, স্বজন ও এলাকাবাসীর মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে। নিহত জাহিদ হাসান বাবুকে রাত সাড়ে ৮টায় মেঘনা শিল্প নগরী স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।

এলাকাবাসী জানায়, অসুস্থ্য হওয়ার পর সবাইকে চিকিৎসা দেওয়ার হয়েছে। এদের মধ্যে ৩ জন সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরে এসেছেন।
সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম আহবায়ক ও পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুম বলেন, খাদ্যে বিষক্রিয়ায় তাদের মৃত্যু হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাড়ির সামনে তাদের ১০-১২জন বন্ধু বান্ধব মিলে স্পীড (কোমল পানীয়) ও বিভিন্ন খাবার খায়। ওই খাবারে বিষক্রিয়ায় তাদের মৃত্যু হয়েছে। মদ পানে তাদের মৃত্যু হলে সঙ্গে সঙ্গে সমস্যার সৃষ্টি হতো। ২৪ ঘন্টার পর তাদের বিষক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। তবে এলাকায় চাওর হয় তারা অতিরিক্ত মদ পান করেছে।

পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য সেলিম রেজা জানান, বৃহস্পতিবার রাতে স্থানীয় একটি রেস্টুরেন্টে নানরুটি, গ্রিল ও কোমলপানীসহ বিভিন্ন খাবার খেয়ে অসুস্থ্য হয়ে পড়েন তারা। আশংকাজনক অবস্থায় তাদের ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাদের মৃত্যু হয়।

সোনারগাঁও থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, অতিরিক্ত মদ পানে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও ৪জন অসুস্থ্য অবস্থায় বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

ফতুল্লা থানা ছাত্রদলের কমিটি বাতিলের দাবীতে বিক্ষোভ, রনির কুশপুত্তলিকা দাহ

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট :  কমিটি বাতিলসহ বিভিন্ন দাবী নিয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করেছে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।

শনিবার সকাল ১১ টায় এ বিক্ষোভ সমাবেশ করে। পরে তারা স্মারকলিপি দেয়। স্মারকলিপিতে তারা উল্লেখ করে ফতুল্লা থানা ছাত্রদলকে ধ্বংস করতে তৎপর একটিমহল। রাজপথে কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে যে মুহুর্তে নেতাকর্মীরা জেল জুলুম নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন ঠিক তখন একটি অশুভ চক্র অপতৎপরতায় লিপ্ত রয়েছে।

তাদের অভিযোগ সরকারি মদদপুষ্ট,আওয়ামী পরিবারের সন্তান রনি কৌশলে নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলকে ধ্বংস করার যে ষড়যন্ত্র মূলক কৌশল অবলম্বন করেছে তারই বাস্তবায়নে সে ফতুল্লা থানা সহ নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের অধিনস্থ প্রতিটি ইউনিটের দীর্ঘদিনের পরিক্ষিত, নির্যাতীত, হামলা-মামলার পরেও রাজপথে সক্রিয় নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে তার পরিবারের সদস্য ও তার ব্যাক্তিগত লোকজন যারা রাজনৈতিকভাবে অনভিজ্ঞ, অছাত্র, মাদকসেবী, বিবাহিত লোকজন দিয়ে ফতুল্লা থানা ছাত্রদলের কমিটি গঠন করেছে।

স্বারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক টিম (খ) এর দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত হওয়ার সুবাদে রনি কেন্দ্রীয় নেতাদের বিভিন্নভাবে ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করে ত্যাগী ও যোগ্য নেতাকর্মীদের বঞ্চিত করে তার পছন্দের লোকদের দিয়ে সেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে কমিটি গঠন করে নেয়।যার প্রতিবাদে ফতুল্লা থানা ছাত্রদলের প্রকৃত যোগ্য ও ত্যাগি নেতাকর্মীরা রাজপথে রনির অযৌক্তিক সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক ভাবে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ এবং রনির কুশপুত্তলিকা দাহ করেছে।

সেই ধারাবাহিকতায় আমরা সবাই আজকে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় প্রাঙ্গণে সমবেত হয়েছে এবং ফতুল্লা থানা ছাত্রদলের সকল প্রতিবাদী সহযোদ্ধারা ঐক্যবদ্ধভাবে আমাদের এই যৌক্তিক প্রতিবাদে একাত্বতাপোষন করেছে।

অবিলম্বে ফতুল্লা থানা ছাত্রদলের বিতর্কিত কমিটি বিলুপ্ত ঘোষনা করে ত্যাগী ও যোগ্যদের স্বমন্বয়ে ফতুল্লা থানা ছাত্রদলের নতুন কমিটি গঠন ও দালাল রনির বহিষ্কারের জোর দাবী জানায়।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবের কাছে আমাদের আবেদন অবিলম্বে সরকারের দালাল রনিকে বহিষ্কারের মাধম্যে নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলকে ধংসের হাত থেকে রক্ষা করার দাবী জানানো হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন সাগর সিদ্দিকী, পিয়াস খন্দকার, আরিফ হাসান, লেলিন আহম্মেদ, রোমান আহম্মেদ, সিফাত আহম্মেদ, সোহাগ,তূর্য,আল আমিন, বাবু, শান্ত, সাকিল, ইফতি, শাওন, রনি, আবিদ ও রবিন প্রমুখ।

 

গরু না থাকায় স্ত্রী-সন্তান দিয়ে জমি চাষ করছেন আবু বকর!

কামরুজ্জামান মিন্টু: কৃষক আবু বকর সিদ্দিকের নেই গরু। অনেক কষ্টে ট্রাক্টর দিয়ে জমি চাষের পর স্ত্রী আর স্কুল পড়ুয়া ছেলেকে দিয়ে জমিতে মই টানাচ্ছেন। অনেকের কাছে টাকা ধার চেয়েও পাননি। আর টাকা ধার নিয়ে যে পরিশোধ করবেন সে সাধ্যও নেই। অভাবের তাড়নায় তাদের এমন দৃশ্য যে কারো মনকে ভারাক্রান্ত করবে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ওই কৃষক ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার হবিরবাড়ি ইউনিয়নের ছোট কাশর গ্রামের বাসিন্দা। এক মেয়ে ও তিন ছেলে সন্তানের জনক আবু বকরের বড় ছেলেও কৃষিকাজ করেন। কিন্তু নিজের পরিবারের ভরণপোষণের পর বাবাকে সাহায্য করার মতো আর্থিক অবস্থা নেই তার। মেজো ছেলে ঢাকায় গার্মেন্টসে চাকরি করেন। এক মেয়ে বিয়ে হয়ে শ্বশুরবাড়িতে। ছোট ছেলে মাহাদী হাসান সুমন দশম শ্রেণির ছাত্র। অভাবের তাড়নায় ছোট ছেলে সুমন আর স্ত্রী মমতাজ বেগমকে নিয়ে কোনো উপায় না পেয়ে ফাসলি জমিতে মই টানিয়ে তৈরি করছেন জমি।

আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ‘৩৫ শতাংশ জমিন ট্রাক্টর দিয়ে হালের কাজ করছি। কিন্তু জমিটি হমান (সমান) করে লাগানির (রোপনের) উপযোগী করতে হইবো। কিন্তু টাহার (টাকা) অভাবে কয়দিন ধরে ক্ষেতে মই দিতে পারতেছি না। অনেক খানেই টেহা (টাকা) পয়সা ধার চাইয়া ব্যর্থ হইছি। পরে কোনো উপায় না পায়া বউ পুলারে লয়া মই দিতাছি।’

আবু বকর সিদ্দিকের স্ত্রী মমতাজ বেগম বলেন, বড় ছেলে বিয়া কইরা আলগা (আলাদা) হইয়া গেছে। ছোড (ছোট) ছেলেরে লইয়া থাকি। ছেলেডা ইস্কুলে টেনে (দশম শ্রেণী) পড়ে। হাতে কোনো টেহা পয়সা (টাকা) নেই। কোনো উপায় না দেইখা স্বামীর কাজে সহযোগিতা করতাছি।’ এই কাজ করায় কোনো লজ্জা বা কষ্ট নেই।

করোনার কারণে স্কুল বন্ধ আর বাবার অনেক বয়স হয়েছে। তাই মায়ের সঙ্গে জমি চাষে নেমে পড়েছেন বলে জানিয়েছেন ছোট ছেলে সুমন।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নারগিস আক্তার বলেন, হালের বলদের অভাবে স্ত্রী-সন্তানকে দিয়ে মই দেয়াটা খুবই পীড়াদায়ক। আমি দ্রুতই খবর নিব এই পরিবারটির। ওই পরিবারকে সরকারি প্রনোদনাসহ বিভিন্ন সহায়তা দেয়া হবে।

সিলেট মাজারে ৭০-৮০ রাকাত নফল নামাজের ব্যাখ্যা দিলেন শামীম ওসমান

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ শামীম ওসমান সিলেট মাজারে মুসল্লি ও স্থানীয় একজন গণমাধ্যমকর্মীর প্রশ্নবানে জর্জরিত হন। শেষে ৮০ রাকাত নফল নাজামের ব্যাখা দেন। ৫ জানুয়ারী তিনি সিলেট মাজার জিয়ারতে গেলে এ ঘটনা ঘটে।

দৈনিক ৭০-৮০ রাকাত নফল নামাজের ব্যাখ্যায় শামীম ওসমান বলেন, ‘আমি নামাজটা পড়ার চেষ্টা করি। আমি নফল ইবাদতে বিশ্বাস করি। গাড়িতে বসে পড়ি। যোহরের পরে পড়ি, মাগরিবের পরে পড়ি, এশার পরে পড়ি, তাহাজ্জুদের পরে পড়ি। আমি ৭০ নাকি ৮০ রাকাত নামজ পড়ি জানিনা। তবে ৭০-৮০ রাকাতের নিচে পড়িনা।’

এসময় পাশে থেকে আরেকজন বলে উঠেন আজকে পড়ছে কিনা জিজ্ঞাসা করেন। এসময় পাশের একজনকে এমপি শামীম ওসমান বলেন কথা কম বলো।

তিনি আরো বলেন, আমি মনে করি মানুষ যখন কোন সমস্যায় পড়ে চাহিদায় পড়ে তখন আল্লাহ সবচেয়ে বেশি পছন্দ করে সেজদায় যাওয়া। ওইটা যদি আছরের ওয়াক্ত না হয় আর ফজরের ওয়াক্ত না হয় তুমি নফল পড়তে পারো। যখন তার বান্দা হাত তুলে কান্দে চায় তখন আল্লাহ ওই হাত ফিরাইয়া দিতে লজ্জা বোধ করে। মারামারি না কইরা ভাল কইরা দোয়া করা যাতে করোনা থেকে বাঁচি।

উল্লেখ্য, ২৬ ডিসেম্বর বিকেলে সিদ্ধিরগঞ্জের নাভানা বালুর মাঠে থানা আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত এক কর্মীসভায় নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান মাওলানাদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমাদেরকে আপনারা ইসলাম বুঝান আমরা কুরআন পড়ি না ? ২২ বছর ধরে তাহাজ্জুদ ছাড়ি নাই। প্রতিদিন ৭০ থেকে ৮০ রাকাআত নফল নামাজ বেশি পড়ি আল্লাহর রহমতে। দুইবেলা কুরআন শরীফ পড়ি। ধর্ম সবার। ধর্মের জবাব আল্লাহর কাছে দিবো আর কারও কাছে না। কারও কাছ থেকে লাইসেন্স দিতে হবে আমার ? আমি মুসলমান আমি মুসলমান না। আপনারা লাইসেন্স দিবেন আমাদের। আল্লাহ আপনাদের হেদায়েত করুক।

২৭ ডিসেম্বর ফতুল্লার কর্মীসভায় শামীমও সমান বলেন, হঠাৎ করে শুনলাম বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভেঙ্গে ফেলবে। কারা ভেঙ্গে ফেলবে? ওরা নাকি আলেম। কিসের আলেম এরা। ওই বেঠা তুই কেমনে আলিম হলি। যারা বলছে তারা যদি আলেমই হইতো তাহলে বাংলাদেশের প্রকৃত আলেম যাকে আমি মন থেকে শ্রদ্ধা করি। ইসলামের কথা হচ্ছে একজনের মুসলমানের মুখ এবং হাত থেকে অন্য মুসলমান নিরাপদ থাকবে। আর তোমরা কি করছ মাওলানা শফী সাহেবের মতো একজন প্রকৃত মুমিন একজন প্রকৃত আলেমকে দুইদিন ধরে আটকিয়ে রাখছিলা। তার গায়ে হাত দিছ। এটা আমাদের কথা না এটা তার পরিবারের কথা হচ্ছে মাওলানা শফী সাহেবকে নির্যাতন করা হয়েছে। আর এই নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে আমাদেরকে ছেড়ে চলে গেছেন। যারা উনার নাম ব্যবহার করে দল গঠন করতে পারে আমি তাদেরকে আলেম বলতে পারি না। তারা আলেম না। আমি অধিকাংশ আলেমের সাথে কথা বলেছি তারা বুঝে গেছে এটা রাজনৈতিক গেম।

 

কুরআন হাদিসে কাউকে ‘মুরগী চোরা’ বলার অনুমতি দেওয়া হয়নি: গোলাম মাওলা রনি

নিউজ  প্রতিদিন ডটনেট : সম্প্রতি সময়ে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি ও বাংলাদেশে ইসলামবিদ্ধেষী হিসেবে পরিচিত শাহরিয়ার কবির নিয়ে বিভিন্ন বক্তব্য দিয়ে আলোচনায় রয়েছেন সাবেক আওয়ামী সাংসদ ও বর্তমান বিএনপির সংসদ সদস্য প্রার্থী গোলাম মাওলা রনি।

শাহরিয়ার কবিরকে নিয়ে তার বক্তব্য বিষয়ে খোলাসা করে আজ দেওয়া এক বক্তব্যে তিনি শাহরিয়ার কবিরের পক্ষ নিয়ে বলেন – ‘আমি মনে করি, কুরআন হাদিস ও ইসলামের কোনো জায়গাতেই কোনো আলেম ওলামারা একথাটি খুঁজে পাবেন না যেখানে একজন মানুষকে মুরগির সাথে তুলনা করা হবে বা একজন মানুষকে বলা হবে যে মানুষটি মুরগি চুরি করতো। যদি সে ধরনের (মুরগি চুরির) প্রমাণ থাকেও যে সে মুরগি চুরি করতো তাহলেও এটিকে গোপন রাখার বিধান আল্লাহতালা করে দিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন – লক্ষ লক্ষ মানুষের সামনে যেভাবে শাহরিয়ার কবিরকে বেইজ্জতি করা হয় সেই বেইজ্জতির ব্যাপারে যদি আমি আমার অবস্থান থেকে কথা না বলি, প্রতিবাদ না করি তাহলে আমি সেই সাধারণ মানুষদের কবলে পড়ে যাব এবং অনাগত দিনে আল্লাহ রব্বুল আলামীনের কাছে আমাকে জবাবদিহি করতে হবে। তখন আমিও তাদের কাতারে পড়ে যাব। তো সেই দিক থেকে আমার কাছে যেটা মনে হয়েছে আমি সেটাই ন্যায্য ভাবে বলেছি বাকি আমার কোনো ভুল-ভ্রান্তি হলে তার ফায়সালা আল্লাহর হাতে।

শাহরিয়ার কবির বাংলাদেশের স্বাধীনতার সময় মুরগী চুরি করে পাকিস্তানী আর্মিদের কাছে সাপ্লাই দিতেন মর্মে দেওয়া অনেকের বক্তব্য ভুলভাবে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে বিশেষ করে আলেম ওলামারা মাহফিলে এসব কথা বলেন দাবি করে ইউটিউবে নিজ চ্যানেলে এক ভিডিও বক্তব্যে গোলাম মাওলানা রণি আজ এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন – শাহরিয়ার কবিরকে নিয়ে যারা আমার বক্তব্য দ্বারা আহত হয়েছেন তারা জানেন যে শাহরিয়ার করির মূলত একজন নাস্তিক। তারা জানেন যে শাহরিয়ার করিরের ছদ্মনাম হলো ‘মুরগী কবির’। তারা জানেন যে, ১৯৭১ সালে শাহরিয়ার কবির বিভিন্ন বাড়ি থেকে মুরগি চুরি করে পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর কাছে সাপ্লাই করতেন এবং এর দ্বারা তার সংসার চলত। অথচ এগুলো তার ব্যাপারে সঠিক তথ্য নয়।

এসব বক্তব্য ছড়িয়ে দিতে বিভিন্ন ইসলামিক বক্তারা ভূমিকা রাখছেন ও জনগণ তাদের বক্তব্যে বিভ্রান্ত হয়ে রনির বক্তব্যে আহত হয়েছেন দাবি করে তিনি বলেন – বিভিন্ন ওয়াজ এর বক্তব্যে বড় বড় দাড়ি রাখা ও টুপি পড়া বক্তারা যখন ঠিক এই কথাগুলি বলতেন যে জনাব শাহরিয়ার কবির একজন নাস্তিক, তিনি মুরগি চুরি করেছেন ৭১ সালে, তাকে সেজন্য মুরগী কবির বলা হয়। এই কারণে যারা সাধারন ও সরল প্রাণের মানুষ রয়েছেন, আল্লাহকে ভালবাসেন এবং রাসূলকে ভালোবাসেন, জান্নাতে যেতে চান, হাদীসকে ভালোবাসেন ও ওয়াজ শুনেন এবং ওয়াজের ময়দানে যারা বক্তব্য দেন তাদের সম্পর্কে তাদের একটা বিরাট ধারণা রয়েছে সংগত কারণেই তারা আমার বক্তব্য আহত হয়েছেন।

তিনি আরও বলেন – ডঃ সলিমুল্লাহ খান কিংবা ফরহাদ মজহার এদের সমপর্যায়ের লোক কিন্তু শাহরিয়ার কবির। এখন বক্তব্য হলো শাহরিয়ার কবির ইসলামের বিরুদ্ধে কথা বলেন, ইসলামপন্থীদের বিরুদ্ধে কথা বলেন, কিন্তু বাংলাদেশের কোন আলেম ওলামা বুকে হাত দিয়ে একবারও বলতে পারবেন যে শাহরিয়ার কবিরের কাছে ইসলামের দাওয়াত দেওয়া হয়েছে। তার কাছে গিয়ে কোরআনের কোনো বিষয় কথা বলা হয়েছে। তার সাথে পারিবারিক পরিবেশে মতবিনিময় করা হয়েছে।

রনি বলেন – আমি জানিনা কেয়ামতের দিন আল্লাহ রব্বুল আলামিন যখন বাংলাদেশের আলেম ওলামাদের কে প্রশ্ন করবেন তখন কয়জন আলেম-ওলামা এব্যাপারে জবাব দিতে পারবেন।

উদাহরণ দিয়ে রনি বলেন – লক্ষ করুন, পাকিস্তানের মাওলানা তারিক জামিল তিনি এই বয়সে, এ অবস্থায় থেকেও কিন্তু দ্বীনের কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি ভারতের বড় বড় সেলিব্রিটি মুসলমান-হিন্দু বলেন তাদেরকে দ্বীনের দাওয়াত দিচ্ছেন। তার দাওয়াতে ভারত-পাকিস্তানের অনেকেই যারা সারাজীবন ইসলামের বিরুদ্ধে ছিলেন হজে গিয়েছেন। ইসলামের ব্যাপারে নমনীয় হয়েছেন। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশে যারা আলেম ওলামা রয়েছেন তারা কি ভাবেন একবারও যে – এই দেশে শীর্ষ পর্যায়ের যেসব বুদ্ধিজীবী রয়েছেন, কবি-সাহিত্যিক রয়েছেন, তাদেরকে শুধুই গালাগাল করে যাচ্ছেন। কিন্তু তাদের সঙ্গে ইসলামের অমীয় বাণী, ইসলাম যে শ্রেষ্ঠ ধর্ম এটি কয়জনে প্রমাণ করার চেষ্টা করছেন। কিন্তু তা না করে এ সমস্ত মানুষদেরকে যেভাবে অপমান করা হচ্ছে, যে ভাবে লাঞ্চিত করা হচ্ছে, ফলে ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও তারা ইসলামে দাখিল হতে পারছে না। তারা সে সুযোগ পাচ্ছে না।

গোলাম মাওলা রনি বলেন – এসব ক্ষেত্রে আমার কাছে মনে হয়েছে শাহরিয়ার কবিরের মতো যেসব লোকজন রয়েছেন তাদের সম্পর্কে বিষোদগার না করে। তাদেরকে তাদের জায়গায় যদি সম্মান করি এটি একটি বিরাট ব্যাপার হবে। এবং এই জিনিসটা আমি শিখিয়েছি নেলসন ম্যান্ডেলার কাছ থেকে।

গোলাম মাওলা রনি আরও বলেন – আমি শাহরিয়ার কবিরের প্রশংসা করেছি কারণ তিনি দেশের একজন শীর্ষ সাংবাদিক এবং তদন্তমুখী সাংবাদিক। এসব ক্ষেত্রে তার অবদান সংবাদপত্র জগতের সাথে যারা জড়িত তারা বুঝতে পারেন। তাছাড়া তিনি একজন বয়স্ক মানুষ। সে যেভাবেই হোক না কেন তার যারা অনুজ রয়েছেন তাদের কাছ থেকে একটি নির্দিষ্ট সম্মান তার প্রাপ্য সেটা যে কোন ধর্মই হোক না কেন। এছাড়াও তিনি যতোটুকু ইসলামকে আক্রমণ করেন ততটুকুই তাকে আক্রমণ করা ইসলামে বৈধতা রয়েছে এর বাহিরে থাকে যে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করা হয়, তাকে গালিগালাজ করা, তার চরিত্র হরণ করা, তার ব্যাপারে আজেবাজে কথা বলা, এটা কোন ধর্ম মতে সমর্থন করে না।

গোলাম মাওলা রনি বলেন – আমি মনে করি শাহরিয়ার কবিরের মত অন্যান্য যারা রয়েছেন তাদের জন্য ইসলামে একটি জায়গা করে দিতে হবে। একটি স্পেস করে দিতে হবে এবং তারা যাতে ইসলামে আসতে পারে এবং আলেম-উলামার সম্পর্কে খারাপ ধারণা পোষণ না করেন সে ব্যাপারেও কিন্তু আমাদেরকে সতর্ক থাকতে হবে।

কত দেনমোহরে কত টাকা দিতে হয় কাজীকে?

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক জানান, মুসলিম বিবাহ ও তালাক বিধিমালা, ২০০৯-এর ২১ বিধি অনুযায়ী নিকাহ ও তালাক নিবন্ধন ফি বাবদ একজন নিকাহ রেজিস্টার ৪ লাখ টাকা পর্যন্ত দেনমোহরের ক্ষেত্রে প্রতি ১ হাজার টাকায় ১২ টাকা ৫০ পয়সা হারে বিবাহ নিবন্ধন ফি আদায় করতে পারবেন। দেনমোহরের পরিমাণ ৪ লক্ষাধিক হলে পরবর্তী প্রতি ১ লাখ টাকা দেনমোহরের জন্য ১০০ টাকা বিবাহ নিবন্ধন ফি আদায় করতে পারবেন। তবে দেনমোহরের পরিমাণ যাই হোক সর্বনিম্ন ফি ২০০ টাকার কম হবে না। গতকাল রোববার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে দিদারুল আলমের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।

মন্ত্রী জানান, মুসলিম বিবাহ ও তালাক বিধিমালা, ২০০৯-এর ২১ বিধি অনুযায়ী তালাক নিবন্ধনের জন্য ৫০০ টাকা ফি গ্রহণ করতে পারবেন রেজিস্ট্রার। নকল প্রাপ্তি ফি ৫০ টাকা, যাতায়াত বাবদ প্রতি কিলোমিটার ফি ১০ টাকা ও তল্লাশি ফি ১০ টাকা গ্রহণ করতে পারবেন। তিনি জানান, বিয়ের নিবন্ধন ফি বর কর্তৃক পরিশোধ করতে হবে এবং তালাকের ক্ষেত্রে যে পক্ষের উদ্যোগে তালাক নিবন্ধন করা হবে সে পক্ষ কর্তৃক পরিশোধ করতে হবে।

নারায়ণগঞ্জ সোনারগাঁয়ে কনকা ইলেক্টনিক্স ফ্যাক্টরীতে ভয়াবহ আগুন, কয়েক হাজার কোটি টাকার ক্ষতি, আহত ২

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট: নারায়ণগঞ্জ সোনারগাঁ উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের সাদিপুর এলাকায় অবস্থিত কনকা ইলেক্টনিকস ফ্যাক্টরীতে ভয়াবহ আগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে।

অগ্নিকান্ডে কয়েক হাজার কোটি টাকার মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এ ঘটনায় দুুই শ্রমিক আহত হয়েছে। স্থানীয়রা আহত শ্রমিকদের উদ্ধার করে হাতপাতালে প্রেরণ করেছে।

এ ঘটনায় স্থানীয় সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সোনারগাঁ থানার ওসি ও হাইওয়ে থানার ওসিসহ বিভিন্ন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

স্থানীয়রা জানান, রবিবার সকাল ১০টার দিকে শ্রমিকরা যখন কাছে যোগদান করছিলেন তখন ফ্যাক্টরীটির ৩য় তলায় বিকট শব্দে বিস্ফোরন ঘটে আগুনের সুত্রপাত ঘটে। মুহুর্তের মধ্যে আগুন ফ্যাক্টরীতে ছড়িয়ে পড়ে। এসময় ফ্যাক্টরীর ভেতরে থাকা শ্রমিকরা জানালা ও মুল ফটক দিয়ে দৌড়ে বেরিয়ে আসে। এতে ২ শ্রমিক আহত হয়। এদিকে খবর পেয়ে সোনারগাঁ ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা করে। পরে আশপাশের উপজেলা, ডেমরা ও ঢাকার ১২ টি ইউনিট ও মেঘনা ইকোনোমি জোনের ২ টি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে ৩ ঘন্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রনে আসে।

তবে মুল ফটক নির্মানাধীন থাকায় ফায়ার সার্ভিসের গাড়ী ভেতরে প্রবেশ করতে না পারায় আগুন নেভানোর চেষ্টা ব্যর্থ হয়।

ফ্যাক্টরী সংশ্লষ্টদের ধারনা আগুনে ফ্যাক্টরীতে থাকা কয়েক হাজার কোটি টাকার মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

ঢাকা ফায়ার স্টেশনের মিডিয়া উয়িং মো: রায়হান জানান, আগুন লাগার খবর পেয়ে সোনারগাঁ ও ঢাকাসহ প্রায় ১২টি সরকারী ও ২টি বেসরকারি ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে। তবে কিভাবে কোথায় থেকে আগুনের সুত্রপাত হয়েছে তা বলা যাচ্ছে না। আমরা তদন্ত করে দেখছি। তিনি আরো জানান, আগুনে কোন শ্রমিক নিহত হয়েছেন কিনা সে ব্যাপারে কোন তথ্য নেই। তবে শুনেছি দুজন শ্রমিক আহত হয়েছে।

 

টিকা এনে বেক্সিমকো কত কমিশন পাচ্ছে, জানতে চান ফখরুল

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট থেকে আনা অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা মানুষ কীভাবে পাবে, কারা পাবে এবং এর সংরক্ষণ ও বিতরণ করার বিষয়টি স্পষ্ট নয় বলে মন্তব্য করেছে বিএনপি। দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এ বিষয়ে সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো কথা বলেননি। এর একটা সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা বা রোডম্যাপ জনগণের সামনে প্রকাশ করা উচিত।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘টিকার জন্য সরকার নিজে সিরাম ইনস্টিটিউটকে টাকা না দিয়ে বেক্সিমকোর মাধ্যমে কেন দিচ্ছ? বেক্সিমকোর এখানে কত কমিশন আছে, সেটাও জানতে চাই।’

আজ রোববার দুপুরে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।