১লা অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
১৬ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 70

জামায়াত শিবির চক্র দলে অনুপ্রবেশ করতে না পারে সেদিকে নজর রাখতে হবেঃ- এম শওকত আলী

নিউজ প্রতিদিন: ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও কাশিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম সাইফউল্লাহ বাদল বলেছেন, আমাদের সবাইকে লক্ষ্য রাখতে হবে যারা ২০০৮ সালের পর আওয়ামীলীগের প্রবেশ করেছে তারা কিছুতেই পদ পদবী পাবে না। তারা সাধারন সদস্য হয়ে থাকতে পারবে। আর কোন ভাবে যদি কমিটিতে অনুপ্রবেশকারী ঢুকে যায় তাহলে তাকে বের করে দেয়া হবে। এছাড়াও কমিটি গঠনে যদি কোন হাইব্রিড ব্যক্তিকে অন্তর্ভূক্ত করা হয় এমন কোন প্রমান পাওয়া যায় তাকেও কমিটি থেকে বাদ দেয়া হবে।

শনিবার (২ নভেম্বর) বিকেলে বক্তাবলী বাজারে বক্তাবলী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কর্মসূচি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, শওকত আলী সাহেবের আমলে বক্তাবলী উপশহরে পরিনত হয়েছে। কিন্তু আমি বলতে চাই বক্তাবলী উপ-শহর নয় শহরে পরিণত হয়েছে। প্রতিটি এলাকা পাকা রাস্তা হয়েছে। এই এলাকায় মানুষ গাড়ি দিয়ে চলাচল করছে। বক্তাবলীতে প্রতিটি ঘরে বিদ্যুত পৌছে দেয়া হয়েছে। বক্তাবলীর উন্নয়নের জন্য শওকত আলী সব সময় চিন্তা করেন। শওকত আলীর নেতৃত্বে এই বক্তাবলীতে একটি ব্রিজ হবে সেটাই প্রত্যাশা করছি। নারায়ণগঞ্জ হতে বক্তাবলীর সাথে যোগাযোগের সু-ব্যবস্থা করতে শওকত আলী সাহেব শামীম ওসমানকে চাপ সৃষ্টি করে থাকে।

ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সংগ্রামী সাধারণ সম্পাদক ও বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের সফল চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো.শওকত আলী তার বক্তব্যে বলেন,জামায়াত শিবির চক্র যাতে দলে অনুপ্রবেশ করতে না পারে সেদিকে নজর রাখতে হবে।

অনুষ্ঠানে বক্তাবলী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আফাজউদ্দিন ভূইয়ার সভাপতিত্বে ও সাধারন সম্পাদক কামরুল ইসলামের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শওকত আলী।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের প্রচার সম্পাদক জাহিদুল হক খোকন, থানা আওয়ামীলীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক আবুল হোসেন প্রধান, জেলা পরিষদের সদস্য জাহাঙ্গীর হোসেন, নারায়ণগঞ্জ কলেজের সাবেক ভিপি আলমগীর হোসেন, থানা আওয়ামীলীগের সহ-প্রচার সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, বক্তাবলী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহসভাপতি হাকিম চৌধুরী, বক্তাবলী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো: বাবুল মিয়া, শফিক মাহমুদ, ফতুল্লা থানা যুবলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক রেহান শরীফ বিন্দু, থানা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক এমএ মান্নান, সহসভাপতি শরীয়তউল্লাহ বাদল, যুগ্ম সম্পাদক নাজির হোসেন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক নেতা মাশফীকুর রহমান শিশির, বক্তাবলী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক ইফতেখারুজ্জামান শাহিন, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের কোষাধ্যক্ষ সামেদ আলী, থানা আওয়ামীলীগ নেতা মালেক খন্দকার, বক্তাবলী ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি সদর উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলিম, বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য আতাউর রহমান প্রধান, রাসেল চৌধুরী, আব্দুল জলিল গাজী, মনির হোসেন, আমজাদ হোসেন, ওমর ফারুক, আখিল উদ্দিন ও আওয়ামী লীগ নেতা মো. দেলোয়ারসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

প্রাণহীন নারায়ণগঞ্জ যুবলীগ

নিউজ প্রতিদিন: দীর্ঘদিন ধরে নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবলীগের ব্যানারে সব ধরনের কর্মকান্ড বন্ধ রয়েছে। ভুলতে বসেছে নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবলীগের কথা। জেলা যুবলীগের ব্যানারে সর্বশেষ কবে, কখন, কোথায় কর্মসূচি পালন করেছে তা অনেকেরই মনে নেই। যে কারণে ভুলতে বসেছে নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবলীগের কথা। যারা যুবলীগের পদ দখল করে আছেন, তারা এখন মূল দলের গুরুত্বপূর্ন পদে অধিষ্ঠিত রয়েছেন। যে কারণে মূল দলের কর্মকান্ড নিয়েই ব্যস্ত রয়েছে জেলা যুবলীগের পদ আকড়ে থাকা নেতারা। এদিকে মেয়াদ উর্ত্তীণ জেলা যুবলীগ নতুন করে গঠন করা এখন সময়ের দাবীতে পরিনত হয়েছে। যুবলীগের পদের বাইরে থাকা নিপু,শরীফ,সানি,মান্নানদের কারণেই নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবলীগের অস্থিত্ব টিকে রয়েছে।ফলে তাদের হাতেই জেলা যুবলীগের নেতৃত্বে তুলে দেয়ার জোড় দাবি তৃণমূলের।

তবে দীর্ঘদিন ধরে জেলা যুবলীগকে চাঙ্গা রাখার চেষ্টা করছেন পদের বাইরে থাকা বেশ কিছু নেতা। যুবলীগের কমিটি নিয়ে নানা জল্পনা-কল্পনা কিংবা গুঞ্জন থাকলেও এখনি সময়ই নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবলীগের নতুন কমিটি গঠন করার এমন দাবি যুবলীগের রাজনীতিতে সংশ্লিষ্ট মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীদের।

এ ব্যাপারে জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন বলে মনে করছেন তারা। সূত্রমতে, নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবলীগের বয়স ১৪ বছর। মেয়াদ ফুরিয়ে গেছে অনেক আগে। কিন্তু তারপরও জেলা যুবলীগ নতুন করে গঠন নিয়ে কারো মাথা ব্যথা নেই। জেলা যুবলীগের শীর্ষ নেতারা মূল দলে চলে গেলেও নতুন করে জেলা যুবলীগ গঠনের কোন উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে না। জেলা যুবলীগের সভাপতি বর্তমানে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি, সাধারন সম্পাদক ভিপি বাদল ও হেলাল আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। কিন্তু তারপরও তারা যুবলীগ ছাড়ছেন না।

এ নিয়ে যুবলীগের মাঠ পর্যায়ে রয়েছে চাপা ক্ষোভ। কেউ কেউ প্রকাশ্যে জেলা যুবলীগের শীর্ষ নেতাদের নিয়ে সমালোচনা করছেন। কিন্তু তারপরও কোন কাজ হচ্ছে না। জেলা যুবলীগের ব্যানারে কোন কর্মকান্ড নেই। অথচ এক সময় নারায়ণগঞ্জ যুবলীগ রাজপথ প্রকম্পিত করতেন। জেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতিকে চাঙ্গা রাখতে জেলা যুবলীগই যথেষ্ট ছিলো। কিন্তু বর্তমানে নারায়ণগঞ্জে জেলা যুবলীগের কোন অস্থিত্ব নেই। তবে জেলা যুবলীগের রাজনীতিকে ধরে রেখেছেন পদের বাইরে থাকা বেশ কিছু নেতা। এদের মধ্যে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এহসানুল হাসান নিপু, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাফায়াত আলম সানি, ফতুল্লা থানা ছাত্রলীগের সভাপতি আবু মোঃ শরীফুল হক, জানে আলম বিপ্লব,ফতুল্লা থানা যুবলীগ নেতা আজমত আলী, সাব্বির আহমেদ জুলহাস অন্যতম বেশ কিছু নেতা। যুবলীগের মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মতে, নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবলীগের নেতৃত্বে আহসানুল হক নিপু ও শরীফুল হকের হাতে তুলে দেয়া প্রয়োজন।

এই দুই নেতা জেলা আওয়ামী লীগের নানা কর্মকান্ড সফল করতে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী নিয়ে অংশ নিয়ে থাকেন। যে কারণে জেলা যুবলীগের নেতৃত্ব পাওয়ার দাবিদার এই দুই নেতা। অন্যদিকে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাফায়াত আলম সানিকে নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবলীগের শীর্ষ পদে আনা প্রয়োজন বলেও মনে করছেন যুবলীগের তৃনমূলের নেতাকর্মীরা। উল্লেখ্য, ২০০৫ সালে নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবলীগের কমিটি গঠন করা হয়। সম্মেলনে আবদুল কাদির সভাপতি ও অ্যাডভোকেট আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহীদ বাদল সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। বৈরি সময়ে ওই সম্মেলনে ছিল আওয়ামীলীগের দুই পক্ষের অবস্থান। এছাড়াও সম্মেলনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করা জাকিরুল আলম হেলালকে করা হয় সিনিয়র সহ-সভাপতি, আসিফ হোসেন মানুকে সহ-সভাপতি ও শাহ নিজামকে করা হয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।

ইসকন কতটা ভয়ংকর : গোলাম মওলা রনি

ইসকন নামটি নিয়ে এ মুহূর্তের বাংলাদেশে যে অন্তহীন বিতর্ক শুরু হয়েছে, তা যে শেষ অবধি কোন পরিণতি ডেকে নিয়ে আসে তা স্পষ্ট করে বলা যাচ্ছে না। ইসকনকে ঘিরে রাজ্যের সন্দেহ, অবিশ্বাস, ভ’য়ভীতি এবং আরো বহু অ’শ্রাব্য গু’জব ক্রমাগত বেড়েই চলেছে।

দেশের সাধারণ মানুষ তার চিরাচরিত স্বভাব ও অভ্যাস অনুযায়ী, কোনো ধরনের বাছবিচার না করেই ইসকনকে উগ্র হিন্দুত্ববাদের একটি ভ’য়ঙ্কর জ’ঙ্গি সংগঠন বিবেচনা করে, যার যা মুখে আসে তাই বলে যাচ্ছে।

তারা মনে করছে, ভারতের সাম্রাজ্যবাদী শক্তি এবং বিজেপি যুগপৎভাবে তাদের বাংলাদেশ মিশন সম্পন্ন করার জন্য সব রকম ক্ষমতা এবং লজিস্টিক সাপোর্ট দিয়ে ইসকনকে বাংলাদেশের মাটি-মানুষ এবং সংখ্যাগরিষ্ঠের ধর্মকে বরবাদ করার জন্য সুদূরপ্রসারী পরি’কল্পনা নিয়ে লেলিয়ে দিয়েছে।

ইসকন সম্পর্কে সাধারণ মানুষের উল্লিখিত সন্দেহ শুরু হয়ে যায় কয়েকজন অনলাইন কর্মীর জোরালো তৎপরতার কারণে, যারা বহুবিধ বাহারি প্রচারে ইসকন সম্পর্কে মানুষের মনে ভ’য় ধরিয়ে দিয়েছে। অন্য দিকে সরকার, আওয়ামী লীগ ও ইসকন কোনো রকম প্রতিক্রিয়া না দেখানোর কারণে জনমনে স’ন্দেহ আরো ঘনীভূত হতে শুরু করেছে।

কারণ জনগণ মনে করছে, ইসকনের পেছনে ভারতের মদদ থাকার দরুন তারা হয়তো সব কিছুকে থোড়াই কেয়ার করছে- অন্য দিকে বাংলাদেশের ক্ষমতাসীনদের ভারতপ্রীতি ও ভারতভীতির কারণে তারা ইসকন নিয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া দেখাতে সক্ষম নয়।

এহেন পরিস্থিতিতে স’ন্দেহপ্রবণ ভীতু শ্রেণীর লোকেরা সময় সুযোগ পেলেই নিজেদের মধ্যে ইসকন নিয়ে নানাবিধ আলাপ-আলোচনা করে এক দিকে যেমন নিজেদের ভ’য়ভীতি ক্রমাগত বাড়িয়ে চলেছে- তেমনি সেই ভয় দিয়ে জ্যামিতিক হারে অন্যান্য মানুষকে আক্রান্ত করে ছাড়ছে।

বাংলাদেশে ইসকনের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে আমরা হয়তো কিছুই জানতাম না, যদি না তারা তাদের নিয়মিত কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে একটি প্রথাবিরোধী কর্ম না করে বসত। তারা বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গিয়ে ছেলেমেয়েদের মধ্যে খাদ্য বিতরণ করে এবং ছোট ছোট ছেলেমেয়েকে দিয়ে তাদের হরিনামের কীর্তন গাওয়ায়।

শিশুরা তাদের সহজাত কৌতূহল এবং আন্তরিকতা নিয়ে সমস্বরে জয় হরি বা জয় হরিবল ইত্যাদি শব্দের সমাহারে কীর্তন গাইতে গাইতে ইসকনের দেয়া খাবার খেতে থাকে। এই দৃশ্য যখন ফেসবুকের মাধ্যমে সারা দেশে চাউর হয়ে যায়, তখন ধর্মপ্রাণ মুসলমান জনসাধারণ, ইসলামী দলগুলোর নেতৃবৃন্দ এবং ইসলামপন্থী সাংবাদিক ছাড়াও অনলাইন অ্যাক্টিভিস্টরা দারুণভাবে ক্ষেপে যান।

তারা মুসলিমপ্রধান বাংলাদেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কোমলমতি বালক-বালিকা ও শিশুদেরকে পূজার প্রসাদ বলে কথিত খাদ্য বিতরণ করে শিশুদের মুখে হরিবল বাণী উচ্চারণ করিয়ে তাদেরকে হয়তো হিন্দু ধর্মে দীক্ষিত করার চেষ্টা করছেন বলে সন্দেহ করতে থাকেন।

ইসকন নিয়ে সারা দেশে বিতর্ক যখন তুঙ্গে তখন ইসকনের ধর্মগুরু তথা নেতৃবৃন্দের সাথে বাংলাদেশের রাষ্ট্রযন্ত্রের প্রভাবশালী কর্মকর্তাদের কিছু ছবি, প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ, ভারতপন্থী বুদ্ধিজীবী এবং ইসলামবিদ্বেষী নাস্তিক বলে চিহ্নিত লোকজনের অন্তরঙ্গ ছবিগুলো ফেসবুকে চলে আসে।

সেসব ছবিতে দেখা যায়, ইসকনের ধর্মগুরুরা নিজেদের মন্দিরে বাংলাদেশের উল্লিখিত লোকজনকে সংবর্ধনা দিচ্ছে- অথবা তারা ওই সব লোকের কর্মস্থলে গিয়ে দেখাসাক্ষাৎ করেছে। ছবিতে ইসকন নেতাদের অঙ্গভঙ্গি, হাস্যোজ্জ্বল চেহারা এবং ফল-ফুলের সমাহার দেখে বোঝা যায়, তাদের মধ্যে চমৎকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক-সমঝোতা বা বোঝাপড়া রয়েছে। এসব ছবি ব্যাপক হারে প্রচার হওয়ার পর ইসকন সম্পর্কে মানুষের নেতিবাচক ধারণা বাড়তে থাকে।

ইসকন নিয়ে চলমান বিতর্কের মধ্যে আমি শত শত মানুষের অনুরোধ পেয়েছি বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত লেখার জন্য। একটি লেখা তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করতে গিয়ে আমি এ সংগঠনটি সম্পর্কে যা জানতে পারি তা রীতিমতো কৌতূহলোদ্দীপক। তারা এ সংগঠন প্রতিষ্ঠার পর থেকে কিভাবে কোমলমতি শিশু সন্তানদের টার্গেট করে নিজেদের মন্ত্র ওই সব শিশুর মন-মস্তিষ্কে ঢুকিয়ে দেয় এবং নিজেদের ধর্মে দীক্ষিত করে তা রীতিমত বিস্ময়কর।

সংগঠনটির নেতাদের শিশু নির্যাতন, শিশুদেরকে যৌন নিপীড়ন ইত্যাদি কুকর্মের কারণে তাদেরকে দেশ-বিদেশে বহু মামলা-মোকদ্দমা মোকাবেলা করতে হয়েছে; যার মধ্যে কয়েকটি মামলায় তাদের সাজাও হয়েছে। সবচেয়ে বিস্ময়কর ব্যাপার হলো, তারা যে হিন্দুধর্মের প্রচার-প্রসারের জন্য কাজ করছে; সেই হিন্দুধর্মের প্রতিষ্ঠিত প্রায় সব ধর্মগুরু-ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান এবং হিন্দু রাষ্ট্রশক্তি তাদেরকে দু’চোখে দেখতে পারে না।

আপনি যদি ইসকন সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান তবে প্রথমেই ইসকন শব্দের পুরো রূপটি জানতে হবে। ইংরেজিতে আইএসকেসিওএন (ISKCON) শব্দের পুরো রূপটি হলো ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর কৃষ্ণ কন্সাসনেস, যা পশ্চিমা দুনিয়ায় হরে কৃষ্ণ মুভমেন্ট বা হরে কৃষ্ণ আন্দোলন নামে পরিচিত।

১৯৬৬ সালে মার্কিন মুল্লুকে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। অভয় করনারাভিন্দ নামের একজন হিন্দু ধর্মযাজক এটি প্রতিষ্ঠা করেন এবং অতি অল্প সময়ের মধ্যে তিনি সংগঠনটিকে ব্যাপকভাবে পরিচিত করে তোলেন। ষাটের দশকের হতাশাগ্রস্ত পশ্চিমা সমাজে যোগব্যায়াম এবং ধ্যান করার প্রাচীন ভারতীয় রীতিকে তিনি হরে কৃষ্ণ কীর্তনের সুরে অনেকের কাছে আকর্ষণীয় করে তোলেন।

ভারতীয় কীর্তনের ধ্রুপদী সুরের সাথে তিনি পশ্চিমা ঘরানার জনপ্রিয় সঙ্গীতের তাল-লয়-সুর সংযুক্ত করে তার হরে কৃষ্ণ কীর্তনগুলোকে দারুণ শ্রুতিমধুর করে তোলেন। ষাটের দশকের পশ্চিমা দুনিয়ার সঙ্গীতজগতের কিংবদন্তি জর্জ হ্যারিসন এবং জন লেননের সাহায্য নিয়ে অভয় করনারাভিন্দ কয়েকটি জনপ্রিয় কীর্তনের অ্যালবাম তৈরি করেন।

বিটল-সখ্যাত জর্জ হ্যারিসনের সুপারহিট অ্যালবাম মাই সুইট লর্ড এবং জন লেননের গিভ পিস অ্যা চান্স অ্যালবামের সাথে হরে কৃষ্ণ লিরিক্স যোগ করার ফলে ইসকন এবং হরে কৃষ্ণ ইউরোপ-আমেরিকার মানুষের মুখে মুখে ভাসতে থাকে।

মার্কিন পপ তারকাদের কল্যাণে আরো অনেক নামীদামি তারকা, প্রভাবশালী লোকজন এবং ধনাঢ্য ব্যক্তিরা ইসকন সম্পর্কে আগ্রহী হয়ে ওঠেন। ফলে অভয় করনারাভিন্দকে আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি।

যে অভয় একদিন শূন্য হাতে মার্কিন মুল্লুকের নিউ ইয়র্ক শহরে পা রেখেছিলেন, সেই তিনি ধর্মের নামে এত বড় প্রতিষ্ঠান গড়ে তুললেন; যার আর্থিক মূল্য দেখে দুনিয়া কাঁপানো সফল ব্যবসায়ীরা পর্যন্ত হতবাক হয়ে পড়লেন। বর্তমানে ইসকন নামের প্রতিষ্ঠানটি বিভিন্ন মন্দির, ধ্যানগৃহ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং তীর্থকেন্দ্রের মাধ্যমে সারা দুনিয়ার শত শত দেশের কয়েক হাজার স্থানে নিজেদের কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে যাচ্ছে।

আপনি যদি অতি সরলভাবে ইসকনের কর্মকাণ্ড পর্যালোচনা করেন, তবে দেখতে পাবেন- তারা সনাতন ধর্মের অনুসারী। তারা হরে কৃষ্ণ নামের গুণকীর্তন করে এবং হিন্দু ধর্মের বিধানাবলির আলোকে জীবন পরিচালনা করে। তারা তাদের মন্দিরে কীর্তন-ভজন প্রভৃতি গান গেয়ে নিজেদের ধর্মাচার চর্চা করে। তাদের পরিচালিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং অনাথ আশ্রমে দরিদ্র ও অসহায় ছেলেদেরকে আশ্রয় দেয়া হয় এবং শিক্ষিত করে গড়ে তোলা হয়।

ইসকন সম্পর্কে উল্লিখিত দু’টি সাড়া জাগানো মামলার বাইরে সত্তর এবং আশির দশকে শিশু নির্যাতন এবং শিশু বলাৎকারের একাধিক মামলা দায়ের করা হয়, যেগুলোর মধ্যে টারলি কেস (Turley Case) সারা দুনিয়ায় হইচই ফেলে দেয়। ২০০৪ সালে এই মামলা নিষ্পত্তি হয়। বাদির পক্ষে আদালতের রায় ছিল যে, ইসকনকে ৯০ কোটি মার্কিন ডলার অর্থাৎ বাংলাদেশী ঢাকায় প্রায় সাত হাজার ৬০০ কোটি টাকা বাদিকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

ইসকন এ অবস্থায় নিজেদের দেউলিয়া ঘোষণা করে এবং দেড় কোটি ডলার, অর্থাৎ ১২৭ কোটি টাকা পরিশোধ করে রক্ষা পায়। ইসকনের কর্মকাণ্ড নিয়ে ভারতবর্ষের হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যেও রয়েছে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া। হিন্দুরা মনে করছে যে, ইসকন বিকৃত ধর্মমত প্রচার করে হিন্দুইজমের সর্বনাশ করছে। ইসকন প্রচার করছে, তাদের ধর্মে বর্ণিত ৩৩ কোটি দেবতার মধ্যে প্রধান দেবতা হলো কৃষ্ণ।

তাদের মতে কৃষ্ণ হলো আদি ও একক দেবতা। কৃষ্ণ থেকেই বাকি দেবতাদের সৃষ্টি হয়েছে। পৃথিবীতে মানবরূপে যত দেবতা এসেছেন, তারা সবাই কৃষ্ণের অবতার বা কৃষ্ণজাত সৃষ্টি। ইসকনের হরে কৃষ্ণ মতবাদের সাথে কোনো হিন্দু সংগঠনই একমত নয়। হিন্দুরা সেই অনাদিকাল থেকে শিবকেই প্রধান দেবতা মেনে আসছে। সুতরাং হরে কৃষ্ণ মতবাদ পুরো হিন্দুইজমের ওপরই আঘাত হেনেছে বলে হিন্দুরা অভিযোগ করছে।

সারা দুনিয়ায় যারা ইসকন পরিচালনা করছেন, তারা সব সময় দেশী-বিদেশী রাষ্ট্রশক্তি আন্তর্জাতিক ও দেশীয় গণমাধ্যম এবং পৃথিবীর প্রভাবশালী ধনী ব্যক্তিদের সাথে কৌশলগত সম্পর্ক গড়ে তোলার ক্ষেত্রে যে দক্ষতার পরিচয় দিয়ে যাচ্ছেন, যা পৃথিবীর অন্য কোনো ধর্মীয় সংগঠন কল্পনাও করতে পারে না।

ফলে পৃথিবীব্যাপী ইসকনের সদস্য সংখ্যা যেমন জ্যামিতিক হারে বাড়ছে, তেমনি সংগঠন হিসেবে ইসকনের প্রভাব-প্রতিপত্তি তাদের প্রতিদ্বন্দ্বীদের ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে গেছে। ইসকন গোঁড়া হিন্দুত্ববাদ পরিহার করে তাদের হরে কৃষ্ণ আন্দোলনকে এতটাই উদারনৈতিক করেছে যে, পৃথিবীর যেকোনো মতবাদের যেকোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী ইসকনের সদস্য হিসেবে যোগদান করতে পারে।

ইসকন তাদের এই মতবাদকে অর্থবিত্ত, ক্ষমতা, সঙ্গীত-বিনোদন এবং খাদ্য-পানীয় দিয়ে অত্যন্ত আকর্ষণীয় পণ্যরূপে মাশরেক থেকে মাগরেব এবং আমেরিকা থেকে জাগরেব পর্যন্ত জনগোষ্ঠীর দুয়ারে দুয়ারে পৌঁছে দিচ্ছে একটি মাত্র উদ্দেশ্য নিয়ে, আর তা হলো- সবাই সমস্বরে গেয়ে উঠুক! হরে কৃষ্ণ! হরিবল।

লেখক : সাবেক সংসদ সদস্য, গোলাম মাওলা রনি।

ক্যামব্রিজ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের জেএসসি পরিক্ষার্থীদের মাঝে প্রবেশ পত্র বিতরন

এম বি জামানঃ ফতুল্লার সস্তাপুরে অবস্থিত ক্যামব্রিজ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের জেএসসি পরিক্ষার্থীদের মাঝে প্রবেশ পত্র বিতরন করা হয়েছে। প্রবেশ পত্র বিতরন উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সকালে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

আলোচনা সভায় অধ্যক্ষ মোহাম্মদ বাহাউদ্দিনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন অত্র স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এম এ মোতালিব, বিশেষ অতিথি ছিলেন কে এ একাডেমীর অধ্যক্ষ মোঃ কাউছার আহমেদ, প্রেস বিডি ডটনেটের সম্পাদক মোঃ বদিউজ্জামান সহ অত্র স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকাবৃন্দ। প্রধান অতিথির বক্তব্যে  মোতালিব বলেন,শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড তাই তোমরা সুশিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে, তোমরাই একদিন এদেশের বড় অফিসার, মন্ত্রী, এমপি হবে। তোমাদের উপর নির্ভর করবে এ দেশের ভবিষ্যৎ। বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষা খাতকে গুরুত্ব দিয়েছেন তাই শিক্ষার্থীের মাঝে বিনামূল্য বই বিতরন সহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা দিয়েছেন। তাই তোমরা ভালোভাবে লেখাপড়া করবে। তিনি আরো বলেন, পিতামাতার পরেই শিক্ষকের স্থান, শিক্ষকরা তোমাদের পড়ালেখা করে শিক্ষিত করে গড়ে তুলে তাই তাদের সব সময় সম্মান করবে। আশা করি তোমরা সবাই পরিক্ষায় এ প্লাস পাবে।

সাংবা‌দিক ক‌চি, নয়ন ও জা‌হিদের রোগ মু‌ক্তি কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

স্টাফ রিপোর্টার: বাংলাদেশ ফটো জার্না‌লিস্ট এসোসি‌য়েশন নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখা সভাপ‌তি মাহমুদ হাসান ক‌চি ও সা‌বেক সাংগঠ‌নিক সম্পাদক মে‌হেদী হাসান নয়‌ন ও নারায়ণগঞ্জ সাংবা‌দিক সংগ্রাম প‌রিষ‌দের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জা‌হি‌দের দ্রুত রোগ মু‌ক্তি ও সুস্থ্যতা কামনায় মিলাদ ও দোয়া মাহ‌ফিল অনু‌ষ্ঠিত‌ হয়েছে।

 

‌সোমবার বাদ আছর নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ ফটো জার্না‌লিস্ট এসোসি‌য়েশন জেলা শাখার উদ্যোগে এ মিলাদ ও দোয়া মাহ‌ফিল অনু‌ষ্ঠিত হয়।

ভূমি অফিসে দূর্নীতির অভিযোগ পেলে কঠোর ব্যবস্থা: ডিসি না:গঞ্জ

নিউজ প্রতিদিন: নারায়ণগঞ্জ ভূমি অফিসে কারো বিরুদ্ধে দূর্নীতির অভিযোগ পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে কঠোর হুঁশিয়ারী দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো. জসিম উদ্দীন।

সোমবার (২৮ অক্টোবর) সকালে জেলা রেজিস্ট্রার কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারিদের সাথে মতবিনিময়কালে ওই হুঁশিয়ারী তিনি ওই হুশিয়ারি দিয়েছেন।

মতবিনিময়কালে মাঠ পর্যায়ে সাব রেজিস্ট্রি অফিস, জোনাল সেটেলমেন্ট অফিস ও ভূমি অফিসের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠায় তা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন ডিসি।

তিনি বলেন, দুর্নীতি ও হয়রানিমুক্ত অফিস ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে জনগণের দোরগোড়ায় কিভাবে সেবা পৌঁছে দিতে হবে। সে প্রসঙ্গে তিনি সকলকে দিক নির্দেশনা প্রদান করেন।

সন্তানের সামনে বাবাকে উলঙ্গ করে হাত পা বেঁধে নির্যাতনকারী হাসান গ্রেফতার

ডেক্স রিপোর্ট: 

ভোলার লালমোহন উপজেলাধীন ডাওরী বাজারে জসিম নামে এক ব্যক্তিকে উলঙ্গ করে নির্যাতনকারী হাসানকে অবশেষে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। প্রায় এক বছর আগে ওই নির্যাতন চালালেও রবিবার একটি ডাকাতি মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়। হাসান গ্রেফতার হওয়ার পর রবিবার রাতে নির্যাতনের ওই ভিডিওটি ভাইরাল হয়। এতে দেশব্যাপী তোলপাড় চলছে।

জসিমের হাত-পা বেঁধে উলঙ্গ করে নির্যাতনকারী মো. হাসান নিজেকে কালমা ইউনিয়ন যুবলীগের নেতা হিসেবে পরিচয় দিতেন বলে জানা গেছে। তবে তিনি ইউনিয়ন যুবলীগের কোনো পদে নেই বলে স্থানীয় যুবলীগ সূত্র নিশ্চিত করেছে।
জানা যায়, রবিবার রাতে ডাকাতি মামলায় পুলিশ হাসানকে গ্রেফতারের পর জসিমকে উলঙ্গ করে নির্যাতনের ওই ভিডিও ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে সারাদেশে সমালোচনার ঝড় বইছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় যুবলীগের এক নেতা জানান, হাসান যুবলীগের নানা কর্মসূচিতে মাঝে-মাঝে উপস্থিত থাকতো। তবে যুবলীগে তার কোনো পদ নেই।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, যুবলীগের নাম ব্যবহার করে হাসান ইয়াবা ব্যবসা ও ডাকাতি করতো। তার ভয়ে পুরো এলাকা আতঙ্কে থাকতো। হাসান গ্রেফতারের খবরে পুরো এলাকায় স্বস্তি ফিরে এসেছে। এলাকার মানুষ আনন্দিত হয়েছে।

লালমোহন থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর খায়রুল কবীর জানান, হাসান কর্তৃক এক ব্যক্তিকে নির্যাতনের ভিডিওটি ২০১৮ সালের। হাসানকে রবিবার রাতে ডাকাতি মামলায় গ্রেফতার করার পর ওই ভিডিওটি ছাড়া হয়েছে। নির্যাতনের স্বীকার জসিমের বিরুদ্ধেও মাদক ও অস্ত্র আইনে চারটি মামলা রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, নির্যাতনকারী হাসানের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম ও হালিশহর থানায় অস্ত্র, মাদক, এবং লালমোহন থানায় ডাকাতির তিনটি মামলা রয়েছে।

ইতিহাস গড়লেন মৌসুমী

বিনোদন ডেস্ক : শিল্পী সমিতির প্রথম নারী সভাপতি নির্বাচিত হয়ে ইতিহাস গড়ছেন অভিনেত্রী মৌসুমী। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন সকাল ৯টা থেকে এফডিসিতে শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ। নির্বাচন ঘিরে কঠোর অবস্থানে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

এছাড়া নির্বাচন স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে কেন্দ্রের ভেতর সিসিটিভি স্থাপন করা হয়েছে। যাতে করে ভোটাররা ভোট প্রদানের দৃশ্য ছাড়া অন্যান্য কার্যক্রম দেখতে পারেন।

ভোটকেন্দ্রের দিকে যেতেই দেখা যায় ভোটারদের বসার অবস্থানের সামনের মনিটর স্থাপন করা হয়েছে। এতে দেখা যাচ্ছে চলতি ভোটে প্রেজাইডিং অফিসাররা কী করছেন। ভোটাররা তাদের ব্যালট সংগ্রহ করে বুথের ভেতর ঢুকছেন।

সিসিটিভি ও মনিটর স্থাপনের কারণে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন ভোটাররা। অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশেই চলছে নির্বাচন। ভোটকেন্দ্রের ভোটারদের মধ্যে রয়েছে দারুণ উৎসাহ-উদ্দীপনা।

সকাল ৯টা থেকে শিল্পী সমিতির ভোটাররা তাদের ভোট দেওয়া শুরু করেছেন। বেলা যত গড়াচ্ছে তারকা ভোটারদের উপস্থিতি তত বাড়ছে। সকাল থেকেই তারা তাদের পছন্দমতো প্রার্থীদের ভোট দিচ্ছেন। এখন পর্যন্ত নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ে সবাই সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।

বিস্তারিত আসছে..

ফতুল্লা মোস্তাফিজ সেন্টারে নবজাতকের পর প্রসূতির মৃত্যু

নিউজ প্রতিদিন:ফতুল্লা মোস্তাফিজ সেন্টারে অবস্থিত ফতুল্লা জেনারেল হালপাতালে ভুল চিকিৎসায় নবজাতকের পর এবার সুমী আক্তার(৩০) নামে এক প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার দিনগত রাতে এ ঘটনা ঘটে। প্রভাবশালীদের সহযোগীতায় ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়া হয়েছে।

প্রসূতির স্বজনরা জানায়, চিকিসৎকদের অবহেলার কারণে সুমী আক্তারের মৃত্যু হয়েছে। চিতিৎসকারা সঠিক ভাবে দায়িত্ব নিয়ে চিকিৎসা করলে সুমীকে অকালে জীবন দিতে হতো না। এদিকে , সুমীর মৃত্যুর একটি প্রভাবশালী মহল ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে দৌড়ঝাপ শুরু করে। রফাদফার পর ৩ লাখ টাকার বিনিময়ে ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়া হয়েছে বলে বিশ্বস্ত একটি সূত্রে জানাগেছে।

এর আগে রোববার দুপুরে ফতুল্লার মোস্তাফিজ সেন্টারে অবস্থিত ফতুল্লা জেনারেল হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় নবজাকতের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় শিশুর বাবা মাসুম মিয়া বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করতে চাইলে উল্টো অঙ্গিকার নামা দিয়ে তারা থানা ছাড়েন । স্বজনদের অভিযোগ, তাদের সাথে ক্লিনিকের চিকিৎসকরা দুঃব্যবহার করে বের করে দিয়েছে। নবজাতকের মৃত্যুর জন্য ক্লিনিকের চিকিৎসকদের অবহেলাকেই দায়ি করছেন তারা। এদিকে ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে একটি প্রভাবশালী মহল নানা মহলে দৌড়ঝাপ করেছে এবং এই প্রভাশালী মহলের সাথে বিশেষ পেশার একজন জড়িত রয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে।

ভুল চিকিৎসায় মৃত শিশুর নানী জানান, বুধবার বিকেল ৪টায় ফতুল্লার মোস্তাফিজ সেন্টারে অবিস্থত জেনারেল হাসপাতালে তার মেয়ে পিংকিংকে ভর্তি করানো হয়। একই দিন বিকেল সাড়ে ৫টায় সিজারের মাধ্যমে একটি পুত্র সন্তান জন্ম নেয়। এ ঘটনার পর থেকে নব যাতক শিশুর অবস্থার অবনতি হতে থাকে। শনিবার রাতে অবস্থার অবনতি ঘটলে ক্লিনিকটির চিকিৎসকরা জোর করে অন্যত্র চিকিৎসা নিতে রোগিকে বের করে দেয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু রাত গভীর হওয়ায় সম্ভব হয়নি। রোববার ভোরে রোগির অভিভাবকরা প্রথমে শহরের ৩শ শয্যা হাসপাতালে পরে মাতুয়াইল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে থেকে ঢাকা শিশু হাসপাতালে নেয়ার পথে নব যাতকের মৃত্যু হয়।

উল্লেখ্য, এই ক্লিনিকে কিছুদিন আগেও রক্তের ভুল রিপোর্ট দেয়ার অভিযোগ উঠেছিল। এছাড়া প্রায় সময়ই এই ক্লিনিকে রোগিদের বিভিন্ন পরীক্ষা নিরক্ষায় ভুল রিপোর্ট দেয়া হয়ে থাকে বলেও অভিযোগ রয়েছে। এই ক্লিনিকটি বহুল ভবনে হলেও লিফটের কোন ব্যবস্থা নেই। যদি ২য় তলার উপরে কোন ক্লিনিক থাকলে লিফট সুবিধা থাকা বাধ্যতামূলক হলেও, মোস্তাফিজ সেন্টার কর্তৃপক্ষ তা মানছেন না এমন অভিযোগ ভুক্তভোগী মহলের। এ ব্যাপারে সিভিল সার্জনের হস্তক্ষেপ দাবি করেছে ভুক্তভোগীরা। হাসপাতালের ম্যানেজার এম আর কেনন জানান, রাতে নবজাতকের অবস্থা খারাপ হওয়ায় তাকে রেফার্ড করা হয়।

ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসলাম হোসেন বলেন, শিশুটিকে নিয়ে থানায় এসেছিলো তার বাবা-মা। তবে, আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমরা আগ্রহ প্রকাশ করলেও তার পরবর্তীতে আর রাজি না হয়ে মৃত শিশুটিকে নিয়ে চলে যায়।

সড়কে ৬০ কিমি গতির গাড়ি আর পিস্তলের গুলি সমান বিপদ: ইলিয়াস কাঞ্চন

নিউজ প্রতিদিন: 

সড়কে ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার গতির গাড়ি চলা আর ২০ পিস্তলের গুলি সমান বিপদের বলে মন্তব্য করেছেন নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) আন্দোলনের চেয়ারম্যান চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন। তিনি বলেছন, ‘আমি প্রত্যেককে বলতে চাই, আপনারা মনে রাখবেন, সড়কে যখন গাড়ি চলে তখন তার একটা গতি থাকে। একটি গাড়ি যদি ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার বেগে চলে, তাহলে ২০টি পিস্তল দিয়ে গুলি করলে যে বিপদ হয়, সেই একই বিপদ হবে। সেই বিপদ  মাথায় না রেখে যদি আমরা গাড়ি  চালাই এবং পথ চলি তাহলে আমাদের বাঁচার উপায় নেই।

মঙ্গলবার সকালে জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস উপলক্ষে সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় আয়োজিত সড়ক দিবসের র‌্যালিতে তিনি এসব কথা বলেন।

ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, জীবন আমার, সেই জীবনের দায়িত্ব আমি যদি না নিই, তাহলে আমার বাঁচার উপায় নেই। তাকে বাঁচানোর দায়িত্ব আমারই। তিনি বলেন, ‘যারা সড়কে আসবেন, তারা সবাই মনে রাখবেন সড়ক কোনো আনন্দের জায়গা নয়, একটি বিপজ্জনক জায়গা। প্রতিমুহূর্তে এখানে গাড়ি চলছে, দুর্ঘটনা ঘটে।

র‌্যালিতে হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি ব্যারিস্টার মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘মানুষের যাতায়াতের জন্য সরকার সড়ক-মহাসড়ক করেছে। কিন্তু তাতে দেখা যাচ্ছে, সড়কের পাশেও মানুষ বাজার বসাচ্ছে। তখন কিন্তু দুর্ঘটনা ঘটছে। এখন মানুষ সচেতন হচ্ছে, দুর্ঘটনাও কিন্তু কমে আসছে। সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে মালিক-শ্রমিক এবং যাত্রী সবাইকে সচেতন হতে হবে। সবার মধ্যে সচেতনতা আসলে দুর্ঘটনাও কমে আসবে।’

অনুষ্ঠানে সড়ক পরবিহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সড়ক পরবিহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব নজরুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।