কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় এক ভুয়া ডাক্তার গ্রেফতার করেছে পুলিশ।গ্রেফতার হওয়া ভুয়া ডাক্তার মাহফুজ মজুমদার (৪০) ঢাকার সাভারের মুকমাপাড়া মোল্লাবাড়ির আবদুল মালেকের ছেলে এবং বর্তমানে ঢাকার দক্ষিণ খানের নর্দাপাড়ার মসজিদ রোডের ১১২নং রোডের বাসার বাসিন্দা বলে পুলিশকে জানিয়েছে।
শনিবার বিকালে কিশোরগঞ্জের আদালতে সোপর্দ করা হলে আদালত তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
মাহফুজ মজুমদার নিজের নামের সঙ্গে ডা. এবং এমবিবিএস, পিজিটি, সিসিডি (বারডেম), মা ও শিশু বিশেষজ্ঞ ইত্যাদি টাইটেল জুড়ে দিয়ে সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে এবং প্যাড তৈরি করে ২ মাস ধরে উপজেলার পুলেরঘাট বাজারের ইউনাইটেড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে বসে রমরমা রোগী দেখার বাণিজ্য চালিয়ে আসছিলেন।
পাকুন্দিয়া থানার ওসি মো. আজহারুল ইসলাম জানিয়েছেন, কিছুদিন ধরে প্রেসক্রিপশন, চিকিৎসা ও তার দেয়া ওষুধ দেখে চিকিৎসা নিতে আসা এলাকার সচেতন নাগরিকদের মধ্যে সন্দেহ দানা বেধে ওঠতে থাকে। শুক্রবার রাতে এলাকার লোকজন সংঘবদ্ধ হয়ে মাহফুজ মজুমদারকে পাকড়াও করে পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আনোয়ারুল রউফের কাছে নিয়ে যায়।
সেখানে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে ডা. সেজে প্রতারণার কথা স্বীকার করার পর তাকে দুপুরে থানায় হস্তান্তর করা হয়। এছাড়া এ ঘটনায় পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক ডা. মো. শরীফুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।








মাদক দমনের ব্যাপারে শরফুদ্দিন আহমেদ বলেন, মাদক নিয়ন্ত্রনে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। সমাজ থেকে মাদক নিমূর্লে সমাজের প্রতিটি মানুষকে সচেতন হতে হবে। তা হলেই মাদক ব্যবসা নির্মূল হবে। তিনি মাদক ব্যবসায়ীদের করুণ পরিনতির কথা স্মরণ করিয়ে বলেন, ইতোমধ্যে অনেক মাদক ব্যবসায়ীর করুন পরিনতি আপনারা দেখেছেন। অনেক মাদক ব্যবসায়ী মাদক ব্যবসা করে টাকা উপার্জণ করে ভোগ করতে পারেনি। আর এসব পরিনতি দেখে অন্যান্য মাদক ব্যবসায়ীরা সর্তক হলে মাদক ব্যবসা থাকবে না।
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মঞ্জুর কাদের বলেন, অপরাধ দমনে পুলিশের আন্তরিকতার অভাব নেই। আপনাদের সহযোগীতা পেলে সমাজের অপরাধ আর থাকবে না। তিনি বলেন, ক্রিকেট জুয়া বন্ধের ব্যপারে মঞ্জুর কাদের বলেন, এই জুয়া খেলা দৃশ্যমান নয়, এটা প্রতিরোধে স্থানীয়দের সহযোগী প্রয়োজন। মাদক ব্যবসা প্রসঙ্গে বলেন, মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান সব সময়ই আপোষহীন।

