২১শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
৬ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 123

কোটা সংস্কার আন্দোলনের ৮ জনের জামিন

কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী সংগঠন সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ, ফারুক হোসেন, এ পি এম সুহেল, সাখাওয়াত হোসেন রাতুল ও যুগ্ম-আহ্বায়ক লুৎফুন্নাহার লুনাসহ ৮ জনের জামিন আবেদন অবশেষে মঞ্জুর করেছেন আদালত। যদিও সোমবার সকালে তাদের সাতজনের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন আদালত। জামিন মঞ্জুর হওয়া বাকীরা হলেন- তরিকুল ইসলাম, মশিউর রহমান ও জসিম উদ্দিন।

তাদের আইনজীবী জায়েদুর রহমান বলেন, সকালে সাত জনের জামিন আবেদন করলে আদালত তা নামঞ্জুর করেন। দুপুরে জামিনের জন্য আমরা পুনরায় আবেদন করলে ঢাকা মহানগর হাকিম সরাফুজ্জামান আনছারীর আদালত তা মঞ্জুর করেন। এসময় নিরাপদ সড়ক আন্দোলন চলাকালীন দুই ছাত্রের মৃত্যু নিয়ে গুজব ছড়ানোর অভিযোগে গ্রেফতার লুৎফুন্নাহার লুনারও জামিন আবেদন করেন আসামিপক্ষের আইনজীবী। আদালত তা মঞ্জুর করেন।

তিনি বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ভিসির বাসা ভাঙচুর, পুলিশের কর্তব্য কাজে বাধা ও আইসিটি আইনে দায়র করা তিন মামলায় তাদের জামিন আবেদন করা হয়। এর মধ্যে শাহবাগ থানার আইসিটি আইনে ও ভিসির বাসা ভাঙচুরের মামলায় রাশেদের জামিন আবেদন করা হয়। ভিসির বাসা ভাঙচুরের মামলায় জামিনের আবেদন করা হয় সুহেল, মশিউর ও জসিমের। এছাড়া পুলিশের কর্তব্য কাজে বাধা দেয়ার ঘটনায় করা মামলায় জামিনের আবেদন করা হয় ফারুক ও তরিকুলের। এ ছাড়াও ভাঙচুর ও আইসিটি আইনের মামলায় জামিনের আবেদন করা হয় রাতুলের।

উল্লেখ্য, গত ৮ এপ্রিল কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে দায়িত্বরত পুলিশকে মারধর, কর্তব্যে বাধা, পুলিশের ওয়াকিটকি ছিনতাই ও ভিসির বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনার অভিযোগে ১০ এপ্রিল শাহবাগ থানায় চারটি মামলা হয়। এর মধ্যে পুলিশ বাদী হয়ে তিনটি মামলা করে।

আর ভিসির বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র সিকিউরিটি অফিসার এসএম কামরুল আহসান বাদী হয়ে আরও একটি মামলা করেন। তবে চার মামলায় আসামিদের নাম ও সংখ্যা উল্লেখ করা হয়নি। এ ছাড়াও কোটা নিয়ে গুজব ছড়ানোর অভিযোগে পুলিশ বাদী হয়ে আরেকটা মামলা করে। এদিকে নিরাপদ সড়ক আন্দোলন চলাকালীন দুই ছাত্রের মৃত্যু নিয়ে গুজব ছড়ানোর অভিযোগে রাজধানীর রমনা থানায় কোটা সংস্কার আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম-আহ্বায়ক লুৎফুন্নাহার লুনার বিরুদ্ধে তথ্য প্রযুক্তি আইনে একটি মামলা দায়ের হয়েছে।

ঈদ আনন্দে রঙ্গিন হয়ে উঠুক প্রতিটি হৃদয়-রাসেল চৌধুরী

মুসলিম উম্মাহ’র সবচেয়ে বড় এই উৎসবে ধনী-দরিদ্র, উঁচু-নিচু সকল ভেদাভেদ ভুলে সবাইকে মহানন্দে মেতে উঠার আহবানে, দেশ ও দেশের বাইরে সকল মুসলমানকে জানাই পবিত্র ঈদ-উল আযহার প্রাণঢালা শুভেচ্ছা। ঈদ আনন্দে রঙ্গিন হয়ে উঠুক প্রতিটি হৃদয়।

জাতীয় ঈদগাহের আশপাশে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা: ডিএমপি

জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল আজহার প্রধান জামাতকে কেন্দ্র করে পাঁচ স্তরবিশিষ্ট নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া।

আজ সোমবার দুপুরে জাতীয় ঈদগাহ পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান তিনি।

আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ‘ঈদুল আজহার প্রধান জামাতকে কেন্দ্র করে জাতীয় ঈদগাহ মাঠে সুনির্দিষ্ট নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এ ছাড়া নেওয়া হয়েছে পাঁচ স্তরবিশিষ্ট নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এই নিরাপত্তা ব্যবস্থায় পোশাকধারী পুলিশ, ডিবি পুলিশ, সোয়াট, কাউন্টার টেররিজম ও র‌্যাব সদস্যরা নিয়োজিত থাকবে।’

পুলিশ কমিশনার বলেন, ‘ঈদগাহ মাঠের প্রবেশের তিনটি রাস্তায় থাকবে পুলিশ ব্যারিকেড ও তল্লাশি চৌকি। ঈদগাহ প্রবেশের তিনটি রাস্তা হলো মৎস্য ভবন, শিক্ষা ভবন ও প্রেসক্লাব। পরে এ তিনটি ব্যারিকেডে নিরাপত্তা ব্যবস্থা পার হয়ে আবার প্রধান ফটকে নিরাপত্তা তল্লাশি পার হতে হবে মুসল্লিদের। এ ছাড়া নারীদের জন্য রয়েছে আলাদা প্রবেশপথ। সেখানে নারী পুলিশরা তল্লাশি করবেন।’ তিনি আরো বলেন, ‘এবার অন্য যেকোনো বারের তুলনায় বেশি নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

রাজধানীর প্রতিটি ঈদের জামাতকে নিরাপদ রাখতে ১৪ হাজার ডিএমপির সদস্য নিয়োজিত থাকবে। এ ছাড়া ঈদগাহ মাঠ ও এর আশপাশের এলাকা সিসিটিভির নজরদারি থাকবে, যা কন্ট্রোল রুম থেকে মনিটর করা হবে।’

এ সময় মুসল্লিদের উদ্দেশে আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ‘আমি মুসল্লিদের অনুরোধ করে বলব, তারা যেন জায়নামাজ ও ছাতা ছাড়া কোনো জিনিস যেন ঈদগাহ মাঠে নিয়ে না আসেন। তবে প্রয়োজন হলে জায়নামাজ ও ছাতা তল্লাশি করা হতে পারে। তল্লাশি ও নিরাপত্তার কারণে কিছুটা লম্বা লাইনের সৃষ্টি হতে পারে। তবে মুসল্লিদের বলব, বিরক্ত না হয়ে যেন পুলিশকে সহযোগিতা করবেন।’

ঈদের জামাতকে কেন্দ্র করে কোনো নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই উল্লেখ করে আছাদুজ্জামান বলেন, ‘কোরবানির পশুর হাট ও ঈদযাত্রা যেমন আমরা নিশ্ছিদ্র ব্যবস্থার মধ্যে সম্পূর্ণ করেছি, তেমনি ঈদের জামাতও নিরাপদভাবে অনুষ্ঠিত হবে।’

দেশ ও দেশের বাইরের সকল মুসলমানকে ঈদ মোবারক-মাশফীকুর রহমান শিশির

সমগ্র মুসলিম জাহানের জন্যে আনন্দের সওগাত নিয়ে হাজির হয়েছে পবিত্র ঈদ-উল-আযহা। মুসলিম উম্মাহ’র সবচেয়ে বড় এই উৎসবে ধনী-দরিদ্র, উঁচু-নিচু সকল ভেদাভেদ ভুলে সবাইকে মহানন্দে মেতে উঠার আহবানে, দেশ ও দেশের বাইরে সকল মুসলমানকে জানাই পবিত্র ঈদ-উল আযহার প্রাণঢালা শুভেচ্ছা। ঈদ আনন্দে রঙ্গিন হয়ে উঠুক প্রতিটি হৃদয়। সুস্থ্য দেহ ও সুন্দর মন নিয়ে সবাই যাতে এই মহানন্দে শরীক হতে পারে সৃষ্টিকর্তার কাছে এই প্রার্থনা করি। আমীন ॥

ঈদযাত্রায় ২ দিনে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১৬

ঢাকা, ফেনী, সিরাজগঞ্জ, গোপালগঞ্জ, ময়মনসিংহ, ঝিনাইদহ, মাদারীপুর ও গাজীপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় অন্তত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও কমপক্ষে ২৯ জন।

রবিবার রাত থেকে সোমবার সকালে এ ঘটনাগুলো ঘটেছে।

ফেনী: ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলায় গরুবাহী ট্রাক ও মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে দুই শিশুসহ ৭ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৭ জন।

সোমবার ভোর ৪টার দিকে উপজেলার সুলতানা ফিলিং স্টেশনের সামনে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতদের মধ্যে দুই শিশু ও চার নারী রয়েছেন।

তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। আহতদের ফেনী আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

মুহুরীগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. মাহাবুব আলম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ফেনী আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়ে দিয়েছে। নিহতদের মধ্যে দুই শিশু ও চার নারী রয়েছে। তাদের নামা-পরিচায় তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।

ময়মনসিংহ : ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলার খামারবাড়ি বাজার এলাকায় গরুবাহী ট্রাক উল্টে সোহেল মিয়া (২০) নামে একজন নিহত হয়েছেন। আজ রোববার সকালে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

তারাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুল হক জানান, শেরপুর জেলা থেকে ছেড়ে আসা ঢাকামুখি পশুবাহী একটি ট্রাকটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে ঘটনাস্থলেই সোহেল মারা যান। এ ঘটনায় আহত সুজনকে (২৫) ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

গোপালগঞ্জ: গোপালগঞ্জে যাত্রীবাহী পিকআপ ভ্যান নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মধুমতি নদীতে পড়ে চিত্ত রঞ্জন দাস (৩২) নামে এক জুতা শ্রমিক নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন পিকআপ ভ্যানে থাকা অপর ১২ শ্রমিক।

রবিবার রাতে সদর উপজেলার গান্ধিয়াশুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত চিত্ত রঞ্জন দাস যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলার প্রতাপপুর গ্রামের যুশি রঞ্জন দাসের ছেলে। হতাহতদের মধ্যে ৩ জন জুতা কারখানার মালিক ও ১০ জন শ্রমিক বলে জানিয়েছেন বৌলতলী পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক সাজেদুর রহমান।

খবর পেয়ে আজ সকালে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছেন। অন্য শ্রমিকদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

মাদারীপুর: মাদারীপুরের ডাসার উপজেলায় একটি মাইক্রোবাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে থাকা মুদি দোকানে ঢুকে পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই মুদি দোকানদার এমারত তালুকদারের মেয়ে কর্নপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ইমা (৭) নিহত হয়। এ ছাড়া দুর্ঘটনায় শিশুসহ আহত হয় ৫ জন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রবিবার সন্ধ্যায় ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের কর্নপাড়া এলাকায় মাইক্রোবাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে থাকা একটি মুদি দোকানে ঢুকে পড়ে। এ সময় দোকানে থাকা দ্বিতীয় শ্রেণির ইমা মারা যায় এবং কর্নপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির আরেক ছাত্রী রুহুল শরীফের মেয়ে সুমনা (৭) গুরুতর আহত হয়। পাশের চায়ের দোকানে থাকা ও মাইক্রোবাসে থাকা আরো চারজন আহত হয়। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। গুরুতর আহত শিশু সুমনাকে বরিশাল মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

দুর্ঘটনার পরে এলাকাবাসী গাছে গুড়ি ফেলে রাস্তা এক ঘণ্টা অবরোধ করে রাখে। এতে দুই পাশে প্রায় পাঁচ শতাধিক গাড়ির জট বেঁধে যায়। পরবর্তী সময়ে পুলিশ গিয়ে ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের আশ্বাস দিলে এলাকাবাসী অবরোধ তুলে নেয়।

দুর্ঘটনার সময় মুদি দোকানের মালিক এমারত তালুকদার তার মেয়ে ও মেয়ের বান্ধবীকে দোকানে রেখে বাজারের অন্য একটি দোকানে গিয়েছিলেন।

মাদারীপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন দেব বলেন, কিছু সময় এলাকাবাসী রাস্তা অবরোধ করে রাখলেও সুষ্ঠু বিচারের আশ্বাস দিলে তারা অবরোধ তুলে নেয়।

ঢাকা : রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ট্রাকের ধাক্কায় সোহেল পারভেজ (৩২) নামে এক পাঠাও চালক নিহত হয়েছেন। সোমবার সকালে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত সোহেল চুয়াডাঙ্গা সদরের রেলপাড়া এলাকার ওয়াহিদুল ইসলামের ছেলে। তিনি ঢাকার রায়ের বাজারে একটি বাসায় ভাড়া থাকতেন।

ঘাতক ট্রাকটি জব্দ করা হয়েছে জানিয়ে মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জামাল উদ্দিন বলেন, সকালে ভাঙা মসজিদ সড়ক দিয়ে যাচ্ছিলেন সোহেল। এসময় একটি ট্রাক তাকে ধাক্কা দিলে তিনি গুরুতর আহন হন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে নেওয়া হয়েছে।

সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলায় ট্রাক ও পিকআপভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে খোকন শেখ (৩০) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। এসময় আহত হয়েছে অন্তত ৪ জন।

সোমবার সকালে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম সংযোগ মহাসড়কের ঝাঐল ওভারব্রিজ এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত খোকন ময়মনসিংহের ঝিকরগাছা উপজেলার বাকুয়া গ্রামের মওলা বক্সের ছেলে।

পুলিশ জানায়, সকালে কোনাবাড়িতে একটি ট্রাক ও পিকআপভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত চারজন আহত হন।
আহতদের উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে নেয়ার পথে খোকন শেখ নামে একজনের মৃত্যু হয়।
সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মহিদুল ইসলাম একজনের মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

ঝিনাইদহ: ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পাঁচমাইল ঘোড়ামারা নামক স্থানে ট্রাক চাপায় ঢাকা কলেজের মাস্টাসের ছাত্র সেতু (২১) নিহত হয়েছেন। এ সময় তার দুই ভাই আহত হন। নিহত সেতা চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার বিষ্ণপুর গ্রামের মোশাররফ হোসেনের ছেলে।

রবিবার বিকেল ৩টার দিকে ঝিনাইদহ-মাগুরা মহাসড়কের পাঁচমাইল ঘোড়ামারা নামক স্থানে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি এমদাদুল হক শেখ জানান, ঈদের ছুটিতে হতাহতরা মোটরসাইকেল যোগে ঢাকা থেকে বাড়ি ফিরছিল। তারা পাঁচমাইল ঘোড়ামারা নামক স্থানে পৌঁছালে একটি ট্রাকের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই নিহত হন সেতু নামে এক শিক্ষার্থী। আহতদের ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

গাজীপুর: গাজীপুরে কাভার্ডভ্যান চাপায় ২ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
সোমবার দুপুরে গাজীপুরের কোনাবাড়িতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিকভাবে দুর্ঘটনার কারণ ও হতাহতদের নাম পরিচয় জানা যায়নি।

ঈদ আনন্দে রঙ্গিন হয়ে উঠুক প্রতিটি হৃদয়-আতাউর রহমান

মুসলিম উম্মাহ’র সবচেয়ে বড় এই উৎসবে ধনী-দরিদ্র, উঁচু-নিচু সকল ভেদাভেদ ভুলে সবাইকে মহানন্দে মেতে উঠার আহবানে, দেশ ও দেশের বাইরে সকল মুসলমানকে জানাই পবিত্র ঈদ-উল আযহার প্রাণঢালা শুভেচ্ছা। ঈদ আনন্দে রঙ্গিন হয়ে উঠুক প্রতিটি হৃদয়।

যে কোন মুহূর্তে বিনা ভোটের সরকার হুড়মুড় করে পড়ে যাবে: রিজভী আহমেদ

দেশের মানুষের মনে ঈদের কোনো আনন্দ নেই দাবি করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম- মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেছেন, ‘একদিন পরই মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব ঈদ-উল আযহা। ঈদ মানেই উৎসব, ঈদ মানেই আনন্দ। কিন্তু মানুষের মনে ঈদের কোনো আনন্দ নেই। দেশে যে ভয়াবহ দুঃশাসন ও স্বৈরশাসন চলছে এর যাতাকলে পিষ্ট হয়ে গোটা জাতি আজ আতঙ্কিত উৎকণ্ঠিত’।

সোমবার বেলা ১১টায় নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী আহমেদ বলেন, শুধুমাত্র কিছু সংখ্যক আওয়ামী ভাবাপন্ন লোক হয়ত তাদের নিজেদের নিরাপদ মনে করতে পারে, কিন্তু বিএনপিসহ বেশিরভাগ রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী, দেশের সাধারণ মানুষ, শিক্ষক, সাংবাদিক, পেশাজীবী, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থী, কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীরা এখন অবৈধ সরকারের নানা বাহিনী দ্বারা আক্রান্ত, ক্ষতবিক্ষত।

‘এতদিন শুধু বিএনপি ও বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা, হামলা, জেল-জুলুম, নির্যাতন নিপীড়নের খড়গ চলছিল। চলছিল অপহরণ, আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর পরিচয়ে তুলে নেওয়া, গুম, খুন, বিচারবহির্ভূত হত্যা। এখন হামলা, মামলা, রিমান্ড এমনকি তুলে নিয়ে গিয়ে হত্যা করা হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরীহ শিক্ষার্থীদে। স্কুল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীরাও রেহাই পাচ্ছে না অবৈধ শাসক গোষ্ঠীর হিংস্র আক্রমণ থেকে। নিরীহ ও নিরপরাধ শিক্ষার্থীরা ন্যায় সঙ্গত ও যৌক্তিক আন্দোলনে অংশ নিয়ে ন্যায্য দাবিতে প্রতিবাদ করে এখন তারা কারাবন্দি’।

বিএনপির এই নেতা প্রশ্ন রেখে বলেন, ছাত্ররা তাদের সহপাঠী জীবন বাঁচাতে রাস্তায় দাঁড়িয়ে ন্যায় সঙ্গত প্রতিবাদ করেছিল সেটা কি অপরাধ? শিক্ষার্থীদের ন্যায় সঙ্গত কোটা সংস্কার আন্দোলন কি অপরাধ? অন্যায়ের বিরুদ্ধে মতপ্রকাশ করা কি অপরাধ? বেআইনী অস্ত্রে সজ্জিত হেলমেটধারী সরকারি দলের ক্যাডাররা ধাওয়া করে শিক্ষার্থীদের ওপর আক্রমণ করে রক্তাক্ত করা কি ন্যায় সঙ্গত? আওয়ামী ক্যাডারদের হাতে আইন তুলে নেওয়া কি বৈধ কাজ? তাদের নামে মামলা কেন হলো না? তারা কেন গ্রেফতার হলো না? তারা কেন এখন কারাগারে নেই?

মনে হয় সরকারি দলের ক্যাডারদের প্রকাশ্যে সহিংস সন্ত্রাসের জন্য লাইসেন্স দেয়া হয়েছে। সে কারণে তারা আইনের উর্ধ্বে। সেজন্যেই প্রধানমন্ত্রী নিজ দলীয় ক্যাডারদের দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন অথচ আহত কোমলমতি শিক্ষার্থী ও আহত সাংবাদিকদের না দেখতে গিয়ে অবজ্ঞা করেছেন। তবে এ অনাচারগুলোর উত্তর একদিন ক্ষমতাসীনদের দিতেই হবে বলেন রিজভী আহমেদ।

রিজভী আহমেদ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, জবাবদিহিতার দিন ঘনিয়ে আসছে। ঈশান কোনে কালো মেঘ দেখা দিয়েছে, যে কোন মুহূর্তে কালবৈশাখির মত্ত ঝাপ্টায় বিনা ভোটের সরকার হুড়মুড় করে পড়ে যাবে।

তিনি বলেন, শুধুমাত্র সরকারের প্রধান প্রতিপক্ষ হওয়ায় বিএনপি চেয়ারপারসন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কিভাবে জালনথির ওপর ভিত্তি করে মিথ্যা মামলা দিয়ে সরকার বন্দি করে রেখেছে। তিনি বার বার উচ্চ আদালত থেকে জামিন পাওয়ার পরও নতুন নতুন মামলা ও অজুহাত দেখিয়ে তাঁকে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে। তিনি গুরুতর অসুস্থ হওয়ার পরও তাঁকে চিকিৎসা না দিয়ে নানাভাবে নির্যাতন করা হচ্ছে।

‘বিএনপির লাখ লাখ নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে হাজার হাজার মিথ্যা মামলার খড়গ ঝুলছে। কারাবন্দি আছেন হাজারো নেতা-কর্মী। প্রতিনিয়ত চলছে গুম,খুন, বিচারবহির্ভূত হত্যা আর মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার নির্যাতন। এমন পরিস্থিতি আসন্ন ঈদ নিয়ে মানুষের মনে কোন আনন্দ, নেই কোন স্বস্তি’।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, গত পরশু থেকে বিএনপি জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও বরেণ্য আইনজীবী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদকে তাঁর নিজ গ্রামের বাড়িতে পুলিশ অবরুদ্ধ করে রেখেছে, পুলিশ আজও অবরোধ তুলেনি। সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নির্দেশেই ব্যারিষ্টার মওদুদ আহমেদকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, ড. মামুন আহমেদ, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ওবায়দুল ইসলাম, সহ-দফতর সম্পাদক মুনির হোসেন, তাইফুল ইসলাম টিপু প্রমুখ।

দেশ ও দেশের বাইরের সকল মুসলমানকে ঈদ মোবারক-আফাজউদ্দিন ভূইয়া

সমগ্র মুসলিম জাহানের জন্যে আনন্দের সওগাত নিয়ে হাজির হয়েছে পবিত্র ঈদ-উল-আযহা। মুসলিম উম্মাহ’র সবচেয়ে বড় এই উৎসবে ধনী-দরিদ্র, উঁচু-নিচু সকল ভেদাভেদ ভুলে সবাইকে মহানন্দে মেতে উঠার আহবানে, দেশ ও দেশের বাইরে সকল মুসলমানকে জানাই পবিত্র ঈদ-উল আযহার প্রাণঢালা শুভেচ্ছা। ঈদ আনন্দে রঙ্গিন হয়ে উঠুক প্রতিটি হৃদয়। সুস্থ্য দেহ ও সুন্দর মন নিয়ে সবাই যাতে এই মহানন্দে শরীক হতে পারে সৃষ্টিকর্তার কাছে এই প্রার্থনা করি। আমীন ॥

লাব্বাইক ধ্বনিতে মুখরিত আরাফাতের ময়দান

মুসলমানদের সবচেয়ে বড় সম্মেলন পবিত্র হজের মূলপর্ব শুরু হয়েছে আজ সোমবার। মিনা প্রান্তর থেকে ২০ লক্ষাধিক হাজি আরাফাতের ময়দানে পৌঁছাতে শুরু করেছেন। হাজিদের লাব্বাইক ধ্বনিতে মুখরিত আরাফাত প্রান্তর।

সেলাইবিহীন শুভ্র কাপড়ে সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সারাবিশ্ব থেকে সমবেত মুসলমানরা আজ থাকবেন সেখানে। সোমবার ফজরের নামাজের পর থেকেই আরাফাতের ময়দানে পৌঁছতে শুরু করেছেন হাজিরা। মঙ্গলবার সৌদি আরবে পশু কোরবানির মধ্য দিয়ে শেষ হবে হজের আনুষ্ঠানিকতা। এর আগে মিনায় অবস্থান নেয়ার মধ্য দিয়ে শনিবার সন্ধ্যায় শুরু হয়েছে পবিত্র হজ পালনের আনুষ্ঠানিকতা।

রবিবার সারাদিন ও রাত তারা মিনায় কাটান ইবাদত-বন্দেগির মধ্য দিয়ে। আল্লাহর নৈকট্য লাভের আশায় মশগুল ছিলেন জিকির ও তালবিয়াতে। নামাজ আদায় করেন জামাতের সঙ্গে।

সোমবার সকালে হাজিরা সমবেত হয়েছেন প্রায় ৬ কিলোমিটার দূরে বিদায় হজের স্মৃতিজড়িত আরাফাতের ময়দানে। চার বর্গমাইল আয়তনের এ বিশাল সমতল মাঠের দক্ষিণ দিকে মক্কা হাদা তায়েফ রিংরোড, উত্তরে সাদ পাহাড়।

সেখান থেকে আরাফাত সীমান্ত পশ্চিমে আরও প্রায় পৌনে ১ মাইল বিস্তৃত। পবিত্র এ ভূমিতে যার যার মতো সুবিধাজনক জায়গা বেছে নিয়ে তারা ইবাদত করবেন; হজের খুতবা শুনবেন এবং জোহর ও আসরের নামাজ পড়বেন।

সৌদি দৈনিক আল-আরাবিয়া জানিয়েছে, বাদশাহ সালমান এবার হজের খুতবা পড়ার দায়িত্ব দিয়েছেন মসজিদে নববীর ইমাম শেখ হুসেইন বিন আবদুল আজিজকে। এ খুতবা রেডিও ও টেলিভিশনে সম্প্রচার করা হবে বিশ্বময়।

এই আরাফাতে উপস্থিত না হলে হজ পূর্ণ হয় না। তাই হজে এসে যারা অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন, তাদেরও অ্যাম্বুলেন্সে করে আরাফাতের ময়দানে নিয়ে আসা হয় স্বল্প সময়ের জন্য।

ইসলামী রীতি অনুযায়ী, জিলহজ মাসের নবম দিনটি আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করে ইবাদতে কাটানোই হল হজ।

আরাফাত থেকে মিনায় ফেরার পথে আজ সন্ধ্যায় মুজদালিফায় মাগরিব ও এশার নামাজ পড়বেন সমবেত মুসলমানরা। মুজদালিফায় রাতে খোলা আকাশের নিচে থাকবেন তারা। এ সময়েই তারা সাতটি পাথর সংগ্রহ করবেন, যা মিনার জামারায় শয়তানকে উদ্দেশ করে ছোড়া হবে।

আগামীকাল মঙ্গলবার সকালে মিনায় ফিরে সেই পাথর তারা প্রতীকী শয়তানকে লক্ষ্য করে ছুড়বেন। এরপর কোরবানি দিয়ে ইহরাম ত্যাগ করবেন। সবশেষে কাবা শরিফকে বিদায়ী তাওয়াফের মধ্য দিয়ে শেষ হবে হজের আনুষ্ঠানিকতা।

সৌদি আরবের সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী বিশ্বের ১৬৪ দেশের ২০ লাখের বেশি মুসলমান এবার হজ করছেন, যাদের মধ্যে বাংলাদেশির সংখ্যা প্রায় সোয়া লাখ।

দেশ ও দেশের বাইরের সকল মুসলমানকে ঈদ মোবারক-আলহাজ্ব এম শওকত আলী

সমগ্র মুসলিম জাহানের জন্যে আনন্দের সওগাত নিয়ে হাজির হয়েছে পবিত্র ঈদ-উল-আযহা। মুসলিম উম্মাহ’র সবচেয়ে বড় এই উৎসবে ধনী-দরিদ্র, উঁচু-নিচু সকল ভেদাভেদ ভুলে সবাইকে মহানন্দে মেতে উঠার আহবানে, দেশ ও দেশের বাইরে সকল মুসলমানকে জানাই পবিত্র ঈদ-উল আযহার প্রাণঢালা শুভেচ্ছা। ঈদ আনন্দে রঙ্গিন হয়ে উঠুক প্রতিটি হৃদয়। সুস্থ্য দেহ ও সুন্দর মন নিয়ে সবাই যাতে এই মহানন্দে শরীক হতে পারে সৃষ্টিকর্তার কাছে এই প্রার্থনা করি। আমীন ॥