২২শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
৭ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 196

৪ লাখ ২৬৬ কোটি টাকার বাজেট পেশ

নতুন অর্থবছরে ৪ লাখ ২৬৬ কোটি টাকা ব্যয়ের ফর্দ জাতীয় সংসদের সামনে উপস্থাপন করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

প্রস্তাবিত বাজেটের এই ব্যয় বিদায়ী ২০১৫-১৬ অর্থবছরের মূল বাজেটের চেয়ে ১৭ শতাংশ এবং সংশোধিত বাজেটের চেয়ে ২৬ শতাংশের বেশি।

বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে তিনি এ বাজেট পেশ করেন। ২০২১ সালে মধ্যম আয়ের ও ’৪১ সালে উন্নত রাষ্ট্র গড়ার লক্ষ্যকে সামনে রেখে এ বাজেট প্রণয়ন করা হয়েছে।

বাজেটে মোট রাজস্ব আয় ধরা হয়েছে ২ লাখ ৮৭ হাজার ৯৯০ কোটি টাকা। এরমধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড সূত্রে আয় ধরা হয়েছে ২ লাখ ৪৮ হাজার ১৯০ কোটি টাকা। এছাড়া এনবিআর বহির্ভূত সূত্র থেকে কর রাজস্ব ধরা হয়েছে ৮ হাজার ৬২২ কোটি টাকা। কর বহির্ভূত খাত থেকে রাজস্ব আয় ধরা হয়েছে ৩১ হাজার ১৭৯ কোটি টাকা।

প্রস্তাবিত বাজেটে অনুন্নয়নসহ ব্যয় ধরা হয়েছে ২ লাখ ৩৪ হাজার ২৬২ কোটি টাকা। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আকার ধরা হয়েছে ১ লাখ ৫৫ হাজার ২৫২ কোটি টাকা। প্রস্তাবিত বাজেটে সার্বিক বাজেট ঘাটতি ১ লাখ ২১ হাজার ১৬৮ কোটি টাকা দেখানো হয়েছে। এ ঘাটতি অর্থায়নে বৈদেশিক সূত্র থেকে ৬০ হাজার ৮১৬ কোটি টাকা এবং অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ৬০ হাজার ৩৫২ কোটি টাকা। অভ্যন্তরীণ উৎসের মধ্যে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে ২৮ হাজার ২০৩ কোটি টাকা, সঞ্চয়পত্র ও অন্যান্য ব্যাংক বহির্ভূত উৎস থেকে ৩২ হাজার ১৪৯ কোটি টাকা সংস্থানের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

প্রস্তাবিত বাজেটে মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৭.৪ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া প্রস্তাবিত বাজেটে মূল্যস্ফীতি ৫.৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। এর আগে সংসদ ভবনের মন্ত্রিসভা কক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিপরিষদের সভায় প্রস্তাবিত বাজেট অনুমোদন করা হয়। এরপরই রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ প্রস্তাবিত বাজেট অনুমোদন করেন।নতুন অর্থবছরে ৪ লাখ ২৬৬ কোটি টাকা ব্যয়ের ফর্দ জাতীয় সংসদের সামনে উপস্থাপন করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

প্রস্তাবিত বাজেটের এই ব্যয় বিদায়ী ২০১৫-১৬ অর্থবছরের মূল বাজেটের চেয়ে ১৭ শতাংশ এবং সংশোধিত বাজেটের চেয়ে ২৬ শতাংশের বেশি।

বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে তিনি এ বাজেট পেশ করেন। ২০২১ সালে মধ্যম আয়ের ও ’৪১ সালে উন্নত রাষ্ট্র গড়ার লক্ষ্যকে সামনে রেখে এ বাজেট প্রণয়ন করা হয়েছে।

বাজেটে মোট রাজস্ব আয় ধরা হয়েছে ২ লাখ ৮৭ হাজার ৯৯০ কোটি টাকা। এরমধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড সূত্রে আয় ধরা হয়েছে ২ লাখ ৪৮ হাজার ১৯০ কোটি টাকা। এছাড়া এনবিআর বহির্ভূত সূত্র থেকে কর রাজস্ব ধরা হয়েছে ৮ হাজার ৬২২ কোটি টাকা। কর বহির্ভূত খাত থেকে রাজস্ব আয় ধরা হয়েছে ৩১ হাজার ১৭৯ কোটি টাকা।

প্রস্তাবিত বাজেটে অনুন্নয়নসহ ব্যয় ধরা হয়েছে ২ লাখ ৩৪ হাজার ২৬২ কোটি টাকা। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আকার ধরা হয়েছে ১ লাখ ৫৫ হাজার ২৫২ কোটি টাকা। প্রস্তাবিত বাজেটে সার্বিক বাজেট ঘাটতি ১ লাখ ২১ হাজার ১৬৮ কোটি টাকা দেখানো হয়েছে। এ ঘাটতি অর্থায়নে বৈদেশিক সূত্র থেকে ৬০ হাজার ৮১৬ কোটি টাকা এবং অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ৬০ হাজার ৩৫২ কোটি টাকা। অভ্যন্তরীণ উৎসের মধ্যে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে ২৮ হাজার ২০৩ কোটি টাকা, সঞ্চয়পত্র ও অন্যান্য ব্যাংক বহির্ভূত উৎস থেকে ৩২ হাজার ১৪৯ কোটি টাকা সংস্থানের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

প্রস্তাবিত বাজেটে মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৭.৪ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া প্রস্তাবিত বাজেটে মূল্যস্ফীতি ৫.৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। এর আগে সংসদ ভবনের মন্ত্রিসভা কক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিপরিষদের সভায় প্রস্তাবিত বাজেট অনুমোদন করা হয়। এরপরই রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ প্রস্তাবিত বাজেট অনুমোদন করেন।

লুটপাট ও চুরির বাজেট: খালেদা জিয়া

????????????????????????????????????

নতুন অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটকে আওয়ামী লীগের বাজেট বলে অভিহিত করেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। খালেদা বলেছেন, ‘এ বাজেট লুটপাটের বাজেট। এই বাজেট অর্থমন্ত্রীর নয়, শেখ হাসিনার বাজেট।’

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সুপ্রিমকোর্টে আইনজীবীদের এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

খালেদা জিয়া বলেন, এটি নিজেদের পকেট ভারী করার বাজেট। এই বাজেট অর্থমন্ত্রী তৈরি করেননি, এটি শেখ হাসিনার কথামতো তৈরি করা হয়েছে।

বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন,  বাজেটের কী দরকার? প্রত্যেক বারই তো বাজেট করা হয় এবং সে বাজেট শেষ হয়।

তিনি অভিযোগ করেন, নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে সরকার। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির মতো নির্বাচনের চেষ্টা করছে তারা। সরকারের এই অপচেষ্টা সফল হবে না। ৫ জানুয়ারির মতো নির্বাচনের চেষ্টা করলে, সেখান থেকেই সরকারকে বিদায় নিতে হবে।

ফতুল্লায় তিন ব্ল্যাকমেইলার গ্রেফতার

 

নিজস্ব প্রতিবেদক

মহিলা দিয়ে প্রতারনার মাধ্যমে চাকুরীজীবীকে ব্যাকমেইলিং করে টাকা ও মটরসাইকেল হাতিয়ে নেয়ার ঘটনায় প্রতারকচক্রের ৩ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ। ২৯ মে সোমবার বিকার ৪টায় দাপা সাহারা সিটি সংলগ্ন পাকিস্তানী বিল্ডিং এলাকা তেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। পরে তাদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক প্রতারিত ব্যাক্তির মটরসাইকেল উদ্ধার করে পুলিশ।  গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে রহমানের ছেলে ডাকাত টুটুল(৩০), আফজালের ছেলে বোতল রাসেল(৩৫) ও মৃত আব্দুস সালামের ছেলে মামুন(২৫) । দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত এ অভিযানের নেতৃত্ব দেন ফতুলা মডেল থানা ওসি(অপারেশন) মজিবুর রহমান ও এএসআই কামরুল হাসান। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসা ও ডাকাতির মামলা রয়েছে।

মামলার বাদী শিকার আবু বক্কর সিদ্দিক জানায়, গত শনিবার রাতে ১০/১২জনের একটি সংঘবদ্ধ প্রতারকচক্র মোবাইল ফোনে একটি মেয়েকে দিয়ে তাকে ও তার সহকর্মী আসাদুজ্জামান টুটুলকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে তাকে দাপা ইদ্রাকপুর পাইলট স্কুল সংলগ্ন পাকিস্তানি বিল্ডিং এলাকায় নিয়ে আসে। এখানে আসার পর তাকে বাড়ির মধ্যে আটক রেখে ওই মেয়েকে পাশে দাঁড় করিয়ে ছবি তুলে মারধর করে হাতে থাকা স্বর্নের আংটি, মোবাইল, টাকা ও মটরসাইকেল রেখে দেয়। এ সময় সিদ্দিকের ব্যাংক একাউন্টের এটিএম কার্ডের মাধ্যমে বুথ থেকে আরো ১০ হাজার টাকা তুলে নেয়। পরে রাত ৩টায় ভয়ভীতি দেখিয়ে সাদা কাগজে স্বাক্ষর রেখে আরো পঞ্চাশ হাজার টাকা আনার জন্য ছেড়ে দেয়। এতে ভীত হয়ে চাকুরীজীবি সিদ্ধিক ও টুটুল আরো ২০ হাজার প্রদান করলেও তাদের হোন্ডা কিংবা স্বর্নালঙ্কার কিছুই ফেরত দেয়।

এ ঘটনায় প্রতারনার শিকার টুটুল ফতুলা মডেল থানায় অভিযোগ দিলে পুলিশ গত রোববার মধ্যরাত থেকে অভিযানে নামে। একপর্যায়ে সোমবার বিকালে সাহারা সিটি এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রতারক চক্রের ৩ সদস্যকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হলেও ডাকাত রকিম(৩০)পিতা আমির হোসেন, তালিবুল(২৫)পিতা- আব্দুর রব, রাজু পিতা অজ্ঞাত, শিশির দেওয়ান পিতা মৃত আরশাফ দেওয়ানসহ প্রায় ৮/১০জন পালিয়ে যায়। পরে তল্লাশি চালিয়ে পাকিস্তানী বিল্ডিংয়ের নীচে কামরুল ইসলাম অপু‘র মালিকানাধীন প্রভাবশালী নেতাদের ছবি টানানো স্থানীয় একটি অফিসে তল্লাশি চালিয়ে ছিনতাইকৃত হোন্ডার কাগজপত্র ও প্রতারনার শিকার ব্যাক্তিদের কাছ থেকে জোরপূর্বক আদায়কৃত স্বাক্ষরযুক্ত সাদা কাগজ এবং পাইলট স্কুল সংলগ্ন একটি গ্যারেজ থেকে হোন্ডা উদ্ধার করা হয়। এ ব্যাপারে ফতুলা মডেল থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মজিবুর রহমান জানান,এ ঘটনার সাথে আরো ক’জন জড়িত রয়েছে,তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

ফতুল্লার রিপোর্টার্স ইউনিটি থেকে মুন্না পদত্যাগ

প্রেস বিজ্ঞপ্তি : ফতুল্লার রিপোর্টার্স ইউনিটি থেকে প্রচার সম্পাদক মো: মামুনুর রশিদ মুন্না স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছে। শনিবার দুপুরে ফতুল্লার রিপোর্টার্স ইউনিটির প্রচার সম্পাদক মো: মামুনুর রশিদ মুন্না স্বাক্ষরিত এক প্রেসবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, সংগঠনের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক তার সাথে অশোভন আচরন করায় তিনি ফতুল্লার রিপোর্টার্স ইউনিটি থেকে প্রচার সম্পাদকের পদসহ সাধারন সদস্য পদ থেকেও স্বেচ্ছায় অব্যাহতি নিয়েছেন।

সাংবাদিকের পকেটে ইয়াবা ঢোকাতে গিয়ে জনরোষে পালিয়ে গেল পুলিশ !

সাংবাদিকের পকেটে ইয়াবা বড়ি ঢোকাতে গিয়ে জনতার হাতে ধরা খেলেন পুলিশের এক উপপরিদর্শক (এসআই) ও তার সহযোগি দুই কনস্টেবল। পরে প্রায় আধা ঘন্টা ক্ষুব্দ জনতার হাতে অবরুদ্ধ থাকার পর ক্ষমা চেয়ে পালিয়ে যায় ওই পুলিশ সদস্যরা।
ঘটনাটি ঘটেছে গত সোমবার নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার মোগরাপাড়া চৌরাস্তার লিজা ফিলিং স্টেশনের সামনে। এ ঘটনায় পুলিশের ওই এসআই সহ তিনজনের শাস্তির দাবিতে পুলিশ সদর দপ্তর ও পুলিশ সুপারের বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। মাজহারুল ইসলাম আলোকিত সময়ের স্থানীয় প্রতিনিধি।
লিখিত অভিযোগে মাজহারুল ইসলাম উল্লেখ করেন, গত সোমবার রাতে প্রেসক্লাব থেকে রিকশাযোগে বাড়ি ফেরার পথে মোগরাপাড়া চৌরাস্তার লিজা ফিলিং স্টেশনের সামনে সোনারগাঁ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মফিজুল ইসলাম ও তার সহযোগি দুই কনস্টেবল হারুন মিয়া ও হালিম মিয়া দৈনিক আলোকিত সময় পত্রিকার সোনারগাঁ প্রতিনিধি মাজহারুল ইসলামের পথরোধ করে। এ সময় তার পকেটে ইয়াবা বড়ি ঢুকিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হলে সে চিৎকার করে রাস্তার পাশে ল্যাম্পপোস্টের আলোর নিচে চলে আসে। চিৎকার শুনে মোগরাপাড়া চৌরাস্তার কাঁচা বাজারের ব্যবসায়ীরাসহ স্থানীয় জনতা ছুটে আসেন। পরে সাংবাদিক মাজহারুল ইসলাম উপস্থিত জনতাদের বলে যে পুলিশ তার পকেটে ইয়াবা বড়ি ঢুকিয়ে থানায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। এসময় উত্তেজিত জনতা পুলিশের ওই এসআই ও দুই কনস্টেবলের কাছে জানতে চাইলে এসআই মফিজুল ইসলাম জানায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা আছে। পরে উপস্থিত সবাই গ্রেপ্তারী পরোয়ানার কাগজ দেখতে চাইলে এসআই মফিজুল কোন কাগজ দেখাতে পারেনি। এসময় উপস্থিত জনতা উত্তেজিত হয়ে এসআই ও দুই কনস্টেবলকে প্রায় আধাঘন্টা অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে এসআই মফিজুল ইসলাম ও তার দুই সহযোগি কনস্টেবল ক্ষমা চেয়ে ঘটনাস্থল থেকে কেটে পড়েন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত সোমবার রাত ১০ টার দিকে লিজা ফিলিং স্টেশনের সামনে কয়েকজন পুলিশ সদস্যদের দেখা পান একজন পথচারীর সঙ্গে জবরদস্তি করে পকেটে হাত দেওয়ার চেষ্টা করছেন। পথচারীর চিৎকার শুনে সামনে এগিয়ে গেলে পুলিশ সদস্যরা জানায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারী পরোয়ারা আছে। কিন্তু পুলিশ সদস্যরা কোন গ্রেপ্তারী পরোয়ারার কাগজ দেখাতে পারেনি। পরে পুলিশ সদস্যরা ক্ষমা চেয়ে কেটে পড়েন।

সাংবাদিক মাজহারুল ইসলাম জানান, সম্প্রতি সোনারগাঁয়ের আনন্দবাজারে যুবকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার, সোনারগাঁ ডিগ্রী কলেজের সামনে অটোরিকশা চালককে গলাকেটে হত্যাসহ খুন, গণডাকাতি ও মাদকের ভয়াবহতা বেড়ে যাওয়ায় গত ১৫ মে দৈনিক আমাদের আলোকিত সময় পত্রিকায় “আইন শৃঙ্খলার চরম অবনতি, আতঙ্কে সোনারগাঁবাসী” সংবাদ প্রকাশিত হয়।
এ সংবাদ প্রকাশের পর থেকে সোনারগাঁ থানার উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আমাকে বিভিন্ন সময় হুমকি দিচ্ছে। এর জের ধরে গত সোমবার রাতে প্রেসক্লাব থেকে বাড়ি ফেরার পথে আমার পকেটে ইয়াবা বড়ি ঢুকিয়ে থানায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে সোনারগাঁ থানার এসআই মফিজুল ইসলাম ও তার সহযোগি দুই কনস্টেবল হারুন মিয়া ও হালিম মিয়া।
জানা যায়, প্রাচীন বাংলার রাজধানী সোনারগাঁয়ে সম্প্রতি একের পর এক খুন, মাদকের ছড়াছড়ি, চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের ঘটনার সঙ্গে জড়িত বড় বড় অপরাধীরা ধরা ছোয়ার বাইরে থাকার কারনে অপরাধের মাত্রা দিনের পর দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। সোনারগাঁয়ে অন্য যে কোনো সময়ের তুলনায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির এ অবনতির পেছনে এলাকাবাসী ও রাজনৈতিক দলের নেতারা থানা পুলিশকে দায়ী করে বিভিন্ন সভা সমাবেশে বক্তব্য দিচ্ছেন। গত ১০ মে ও ২০ মে থানা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক মাহফুজুর রহমান কালাম মাদক বিরোধী সভায় পুলিশের কঠোর সমালোচনা করেন।

এ ব্যাপারে সোনারগাঁ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মফিজুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

ভাস্কর্য অপসারণের পেছনে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্য’

বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালতে স্থাপিত গ্রিক দেবীর ভাস্কর্য অপসারণ করা হয়েছে৷ অনেকে মনে করছেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক ফায়দা হাসিল করতেই ভাস্কর্যটি অপসারণ করেছে৷

বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ভাস্কর্যটি অপসারণের পর বিষয়টি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা চলছে বাংলাদেশ জুড়ে৷ রাস্তায়ও নেমেছেন অনেকে৷

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক স্নেহাদ্রী চক্রবর্ত্তী রিন্টু বলেন, নির্বাচনী রাজনীতির সাথে মিলিয়ে আওয়ামী লীগ ভাস্কর্য সরানোর কাজটা করল৷ প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তিনিও চান না, এই ভাস্কর্য এখানে থাকুক৷ এই কথাটাই যথেষ্ট৷ মৌলবাদী শক্তির সাথে সম্পর্ক রেখে, তাদেরকে কাজে লাগানোর অংশ হিসাবে প্রধানমন্ত্রী এই কাজ করেছেন৷

বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সদ্য সাবেক সভাপতি সৈকত মল্লিক বলেন, যারা এটা অপসারণের দাবি করেছেন, তারা সম্ভবত জানেন না, মূর্তি ও ভাস্কর্য এক বিষয় না৷ তিনি মনে করেন, হেফাজতে ইসলামের দাবির প্রেক্ষিতে এটা অপসারণ, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের আকাঙ্ক্ষার সাথে সাংঘর্ষিক৷ সরকার এখানে নিরাপদ দূরত্বে থাকছেন৷ একদিকে হেফাজতে ইসলাম, অন্যদিকে প্রগতিশীলরা৷

ছাত্র ইউনিয়ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সভাপতি তুহিন কান্তি দাস বলেন, কাল রাতে ভাস্কর্য অপসারণ করা হয়েছে, এটা নতুন কোনো ঘটনা নয়৷ এর আগে আমরা দেখেছি, হেফাজতের দাবির প্রেক্ষিতে পাঠ্যপুস্তকে সাম্প্রদায়িকীকরণ করা হয়৷ কোনো ধরণের বিচার বিশ্লেষণ ছাড়া মাস্টার্সের মান দিয়ে দিলেন৷ তাছাড়া প্রধানমন্ত্রী যখন নিজেই বলেন, হাই কোর্টে ভাস্কর্য থাকা তার পছন্দ না৷ তখন বোঝা যায়, সরকার হেফাজতের সাথে আপোশ করে ক্ষমতায় থাকতে চায়৷ এটা বাংলাদেশের স্বাধীনতার চেতনার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা৷

রাজনীতিতে বিরোধিতা থাকলেও একই সুরে বিষয়টিকে আদালতের উপরেই ছেড়ে দেয়ার পক্ষে ছাত্রলীগ ও ছাত্রদল৷ সংসদের বাইরে থাকা বিরোধী দল বিএনপির অঙ্গ সংগঠন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি রাজীব আহসান বলেন, এটা সরকার ও সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্ত৷ সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এবং অন্যরা যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তার প্রেক্ষিতে ভাস্কর্যটি অপসারণ করা হয়েছে৷

আমাদের কথা হচ্ছে, এই ভাস্কর্য স্থাপনের সময়ই এই বিষয়গুলো চিন্তা করা উচিত ছিল৷ অপসারণের বিষয়ে আমাদের মন্তব্যের কী আছে৷

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকির হোসেন বলেন, এটা আদালতের বিষয়৷ অপসারণের জন্য আদালত যদি রায় দিয়ে থাকে, তাহলে করে ফেলবে৷ আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল৷ আদালত যে রায় দেবে, সেটার প্রতিও আমাদের শ্রদ্ধা আছে৷

অপরাজেয় বাংলার মতো ভাস্কর্যগুলোও অপসারণের দাবি উঠলে আপনাদের অবস্থান কী হবে– জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা কোনো দাবি হতে পারে না৷ এ রকম কোনো দাবি এলে ছাত্রলীগ অতীতের মতো করে সেটাকে প্রতিহত করবে৷

ভাস্কর্য অপসারণ প্রসঙ্গে গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার বলেন, সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এই ভাস্কর্যকে ব্যবহার করা হয়েছে৷ এটা তৈরি বা ভাঙা কোনোটার সাথেই বাংলাদেশের জনগণ অবহিত নয়৷ মানুষ জানেও না কবে এটা তৈরি করা হয়েছে৷ উদ্দেশ্যমূলকভাবে এই পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছে৷

ইমরান এইচ সরকার আরো বলেন, আপনি জানেন, দেশে নানানকরম সমস্যা৷ দেশে হত্যা-গুম থেকে শুরু করে প্রতিদিন ধর্ষণ হচ্ছে৷ মানুষ কথা বলতে পারছে না৷ সামগ্রিক এই বিষয়গুলোকে আড়াল করতে এটাকে একটা ইস্যু বানানো হয়েছে৷ এখন আবার সেটাকে ভাঙা হয়েছে, মৌলবাদীদের কাছাকাছি নেয়ার জন্য৷

উচ্চ আদালতের আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়াও বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ৷ তিনি বলেন, এটা বসানোর ফলে আইন অঙ্গনে বিরাট কোনো পরিবর্তন হয়েছে বলে আমার মনে হয়নি৷ এটাকে ন্যায় বিচারের প্রতীক হিসাবে বসানো একটা প্রতীকী বিষয়৷

বিচার অঙ্গনে সৌন্দর্য্য বর্ধনের অংশ হিসাবে হয়ত এটা বসানো হয়েছে৷ এটাতে বাংলাদেশে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা হয়ে যায় নাই৷ তবে এটা নিয়ে আইন বিভাগ ও শাসন বিভাগের মধ্যে দ্বন্দ্ব দেখেছি৷ ধর্মীয়ভাবেও ব্যবহারের অপচেষ্টা হয়েছে৷

তিনি বলেন, এই ভাস্কর্য স্থাপন বা অপসারণে দেশে বড় কোনো পরিবর্তন হয়ে গেছে বলে অধিকাংশ মানুষ মনেই করে না৷ সেখানে তাদের সম্পর্কেই একটা ভুল বার্তা যায়, মনে হয় যেন বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষই ধর্মান্ধ৷ ব্যাপারটা এতটা সরলীকরণ করা ঠিক না৷ -ডয়চে ভেলে।

মিলাদ কিয়ামের বিরোধী পক্ষ বাহাসে উপস্থিত হয়নি- তাহরিকে খাতমে নুবুওয়্যাত

বৃহস্পতিবার ঢাকাস্থ ইঞ্জিনিয়ারস ইনষ্টিটিউশনে বহুল আলোচিত ও সোস্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া মিলাদ কিয়াম বিষয়ে অনুষ্ঠিত পূর্ব নির্ধারিত বাহাসে মিলাদ কিয়াম বিরোধী পক্ষ উপস্থিত হয়নি। কিন্তু পক্ষের লোকজন নির্ধারিত সময় পার হওয়ার এক ঘন্টা পরও ২য় পক্ষ উপস্থিত না হওয়ায় মিলাদ কিয়ামের পক্ষের প্রধান মুবাহিস ড. এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী ও তার সাথের মুবাহিসগণ কোরআন, হাদিস, তাফসীর, ফিক্হ ও ফাতাওয়ার কিতাব থেকে মিলাদ কিয়ামের পক্ষে বরাতসহ দলিল তুলে ধরেন। এছাড়াও তিনি বিরোধী পক্ষের পূর্বসূরী মাশায়েখগণের লিখিত কিতাব থেকেও বরাতসহ মিলাদ ও কিয়ামের পক্ষে তাদের মতামত তুলে ধরেন বাহাসের বিষয়ে দু’পক্ষের চুক্তিনামায় উল্লেখ ছিল যে পক্ষ বাহাসে উপস্থিত হবে না তারা পরাজিত বলে গণ্য হবে। বাহাসে মিলাদ কিয়াম বিরোধীরা উপস্থিত না হওয়ায় চুক্তি অনুযায়ী তারা পরাজিত হয়েছে। উল্লেখ্য মিলাদ কিয়ামের বিরোধীগণ যাত্রাবাড়ী মাদ্রাসায় বাহাস হবে বলে প্রচার করলেও সেখানেও তারা কেউ উপস্থিত হননি। মাদ্রাসা বন্ধ ছিল। প্রিন্সিপালও উপস্থিত ছিলেন না। মিলাদ কিয়ামের পক্ষে প্রধান মুবাহিস ড. এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী ছাড়াও ড. হুজ্জাতুল্লাহ নকশেবন্দী, মাওলানা মাঞ্জুর হুসাইন সহ প্রায় সকল মুবাহিস উপস্থিত ছিলেন। গণ্যমান্য অন্যান্য উলামায়ে কেরামের মধ্যে মাওলানা ইমদাদুল আব্বাসী, মাওলানা এহসান উল্লাহ আব্বাসী, মাওলানা নেয়মাতুল্লাহ আব্বাসী, মাওলানা তামিম বিল্লাহসহ অন্যন্যরা উপস্থিত ছিলেন। মিলাদ কিয়ামের পক্ষে প্রধান মুবাহিস ড. এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী বিপুল জনতার উপস্থিতিতে মিলাদ কিয়ামের পক্ষে বিজয় ঘোষনা করে দোয়া মোনাজাত করেন।

তথাকথিত মুহিউস সুন্নাহ দাবিদার যাত্রাবাড়ীর মাহমুদুল হাসানের সুন্নাহ বিরোধী আচরণ

কিরুপ আচরণ করতে হবে, মেহমানদের কিভাবে গ্রহণ করা হবে, কথা বলার ক্ষেত্রে সুন্নাত কি এসব সবক প্রদানের মাঝে যিনি জীবন পার করলেন, আজ ওনার এসব বিষয়ে সুন্নাহবিরোধী সর্বোপরি বিবেক বহির্ভূত আচরণ দেখে আমরা তাজ্জব হলাম। একজন প্রথিতযশা আলেম হিসেবে নয়, একজন সাধারণ মানুষও কি এমন আচরণ করতে পারেন?
রুমে প্রবেশের পর আব্বাসী হুজুরের নাম বলার পর থেকেই শুরু হয় ওনার বিমাতাশুলব আচারণ, হুমকি, ধমকি ও কটুবাক্যে। একের পর এক শানিত করে যাচ্ছেন এসব বৈরী আচরণে। চেহারাকে অগ্নিসর্মা করে, চোখ রাঙ্গিয়ে, উচ্চবাচ্য করে এমনভাবে আমাদের শাসালেন যে মনে হয় কোন শত্রুকে হুমকি ধমকির মাধ্যমে ভীতিসঞ্চার করেছেন।
আমরা মর্মাহত, নির্বিকার ও পাঠকের কাছে বিচারপ্রার্থী ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে শুরু করলাম ২৫ মে বাহাস প্রসঙ্গে আয়োজনের যাবতীয় বিষয়াবলী নিয়ে। বাহাস শব্দ শুনেই তিনি অগ্নিসর্মা হয়ে গেলেন, বললেন কিসের বাহাস কোন বাহাস নয়, আমাকে বলা হয়েছে ইলমী মুজাকারার কথা, উভয় পক্ষ্যের ৫ জন ৫ জন বা ১০ জন ১০ বসে আলোচনা করবেন।
অথচ পাঠক নিশ্চয়ই অবগত আছেন দুই পক্ষই বাহাস করার জন্য দীর্ঘ দুই মাস যাবৎ বিভিন্ন বৈঠক করে আসছে, সব বৈঠকেই বাহাসের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে, অথচ এখন বাহাসের কথা সরাসরি অস্বীকার করে পীঠ বাচাতে ইলমী মুজাকারার আশ্রয় নিচ্ছে। পাঠক নিশ্চয়ই অবগত আছেন যে উভয়পক্ষের সম্মতিতে যে চুক্তিনামা করা হয়েছে তাতে শিরোনাম দেওয়া হয়েছে প্রচলিত মিলাত কিয়াম নিয়ে বাহাসের চুক্তিনামা।

ওনারা ভালো করেই জানেন বাহাস আর সাথারণ মুজাকারা এক নয়, বাহাসের নির্দিষ্ট কিছু শর্ত থাকে, কিছু নিয়ম থাকে যা সাধারণ আলোচনায় থাকেনা। মিলাদ কিয়াম বিরোধীরা বাহাস থেকে সড়ে এসে কেন্ন সাধারণ আলোচনায় বসতে তোড়জোড় শুরু করেছেন তা পাঠকমহল ভালো করেই বুঝতে পারছেন।

আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, আমরা সবসময় এক নীতিতে বিশ্বাসী, তাই চুক্তি মোতাবেক বাহাসই হবে সাধারণ কোন আলোচনা সভা (মুজাকারা ) নয়। কেননা ফলাফল প্রক্রিয়া বিহীন কোন আলোচনায় চুড়ান্ত সমাধান আসেনা।
অতএব সাধারণ মুজাকারা নয়, হতে হবে বাহাস। হযরতের কাছে আমরা জানতে চাইলাম প্রশাসনিক নিরাপত্তার বিষয়ে। এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করার পরই হযরত আরো গরম হয়ে উঠলেন, কিসের প্রশাসন? কোন প্রশাসন আসবে না, আমিই প্রশাসন। অর্থাৎ কোন প্রশাসন ওনারা বরদাশত করবেন না, জানাবেন না, এমনকি ঢুকতেও দিবেন না।
হযরতকে জিজ্ঞেস করলাম তাহলে পূর্ণ জিম্মাদারি নিয়েছেন আপনি? হযরত পূর্ণ শক্তি দিয়ে অস্বীকার করে বললেন জিম্মাদারি আমার নয়, জিম্মাদারির কোন প্রশ্নই আসেনা।

পাঠক কি দাড়ালো?
ষড়যন্ত্রের রুপরেখা কতোটা ভয়াবহ তা অবশ্যই দেখতে পাচ্ছেন। ওনার মাদরাসার ভিতরে হাজার হাজার ছাত্র আছে অথচ বাহাসের নিরাপত্তার জন্য কোন প্রশাসন দিবেন না এবং জিম্মাদারিও নিবেন না, অর্থাৎ সম্মিলিত পরিকল্পনার মাধ্যমে নির্দিষ্ট চকে অগ্রসর হচ্ছেন ওনারা।  যদি সৎ সাহস থাকে তাহলে প্রশাসনের বিষয়ে এতো নাটকীয়তা কেন? এতো তালবাহানা কেন? কি জবাব দিবেন ঐ পক্ষের প্রতিনিধি দল? বিগত ৯ মে কেন ৬ সদস্যের প্রতিনিধি দল গঠন করা হলো? যদি সত্য প্রতিষ্ঠাই তাদের মাকসাদ হতো তাহলে প্রশাসন নিয়ে এতো তালবাহানা কেন? এতো ভয় কেন? নাকি নিজেদের পরিকল্পিত চকে অগ্রসর হতে প্রশাসনের লোকেরা প্রধান বাধা। প্রতি প্রোগ্রামে প্রশাসনের কথা বলে আসলেও বাহাসের ৪ দিন আগে প্রশাসন নেওয়া যাবেনা, বাহাস নয় সাধারণ আলোচনা হবে, বিবিধ বিষয় প্রমাণ করে বাহাস থেকে সটকে পড়তে একের পর এক বাহানা। ১৩.৫০ মিনিট থেকে ১৪.২৪ মিনিট পর্যন্ত হযরতের হুমকিতে আমরা রীতিমত নিস্তব্ধ ও ভীতসন্ত্রস্ত। “কোন কথা বলবোনা ২৫ তারিখ আসেন। না, কি ঠেকছে আমার কথা বলার, কেন আমাকে চেতাইতেছেন, তারা বলতেছে হুজুরে এদের লালনপালন করতেছে। উদারতার (…) প্রশাসনের ভয় দেখান কেন আমাকে? যত কথা বলবেন ততো মাইর খাবেন আপনারা। পর্যালোচনা এখানেই সব পরিষ্কার যে কেন প্রশাসন নিতে চাচ্ছেন না। একটা পক্ষের প্রতিনিধি দলের সাথে কোন কথা বলতেই তিনি অপারগ। অথচ ঘন্টার পর ঘন্টা ঐ পক্ষ্যের আর্জি শুনে সে মোতাবেক ব্যবস্থা নিচ্ছেন। এ এক বিমাতাশুলব আচরণ। হযরতের শেষ উক্তি যে কতোটা ভয়ংকর তা পাঠক ও শ্রোতারাই বিবেচনা করবেন। “যত কথা বলবেন ততো মাইর খাবেন আপনারা” নির্বিগ্নে নিরীহ অবস্থায় মারামারি ই কি মূল মাকসাদ? ওনি মাইরের হুমকি দেন কি করে?মিলাদ কিয়ামের পক্ষ্যে প্রতিনিধি হয়ে আমাদের যাওয়া নাকি চরম বেয়াদবি হয়েছে, হযরত নিজেকে মুহিউস সুন্নাহ দাবি করলেও এক্ষেত্রে কোন সুন্নাতের পরিচয় দিলেন?
* রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে কি কোন গোত্র বা কওম কর্তৃক প্রতিনিধি দল আসেননি? তাতে কি হুযুর পাক সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বেয়াদব সম্মোধন করেছেন? গোত্র প্রধান আসতে হবে বলে বৈরী আচরণ করেছেন?

কোথায় আজ রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আদর্শ?
সম্পূর্ণ বিপরীত আদর্শের ধারক হয়েও যে তথাকথিত মুহিউস সুন্নাহ হওয়া যায় তা আজ বুঝলাম….

পাঠক আরো একটু গভীরভাবে চিন্তা করুন….
আব্বাসী হুজুরকে নাকি হযরত চিনেনই না, তাহলে হযরত দেখা করার জন্য আব্বাসী হুজুরকে আসার কথা বললেন কেন?

এ এক স্ববিরোধী উক্তি?
ড. সাইয়্যেদ এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী হুজুরের সম্পূর্ণ বিষয়াবলী (হুজুরের আকিদাহ সম্পর্কে সব জানেন) সম্পকে জানেন অথচ হুজুরকেই চিনেন না।
হুজুরের খানকার সামনে দিয়ে ২ বছর নিয়মিত যাতায়াত করেও হুজুরকে চিনেন না।

হযরতের ছেলে নিট কনসার্সে চাকুরীর সুত্রে ২ বছর নিয়মিত খানকাতে এসে বসে থাকতেন, অথচ হযরত চিনেন না।

হুজুরের বাসার (আব্বাসী মনজিল) পাশেই অবস্থিত নিট কনসার্সের কর্ণধার….. (যিনি হযরতের মাদরাসার সবচেয়ে বড় ডোনার) অনবরত ডোনেশন কালেকশনে এসেও হুজুরকে চিনেন না।
চমৎকার স্ববিরোধী বক্তব্য…… হযরতের কথার আওয়াজ ও ব্যবহার এমন হবে তা ছিলো কল্পনাতীত।
গালিগালাজ : আমাদের শাইখ এবং মিলাদ কিয়ামের পক্ষের প্রধান মুবাহিস ড. সাইয়্যেদ এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী হুজুরকে ২টি অশালীন ও কটুবাক্যে সম্মোধন করে বলেন বেয়াকুফ ও বদমাইশ। আস্তাগফিরুল্লাহ!! নাউজুবিল্লা।।
এ অধিকার ওনাকে কে দিলো যে তিনি গালিগালাজ করবেন?
একজন সাধারণ মানুষের মুখেও তো এ ভাষা বড় বেমানান ও গুনাহের কাজ,
একজন আলেম, একজন শাইখ ও মুহিউস সুন্নাহর আচরণ এমন হয কি করে?

সুন্নাহ বিরোধী আচরণ:
হযরত শুরু থেকেই আব্বাসী হুযুরকে তুই তুকারি করে সম্মোধন করেছেন যা স্বাভাবিক সমাজেই নিন্দিত, নামধারী মুহিউস সুন্নাহর সমাজে নন্দিত হয় কিভাবে?

প্রতিনিধি দলের সমন্বয়ক মাহদি ভাই অত্যন্ত বিনয়ের সহিত বলল, হযরত একটু অনুমুতি দিলে একটা কথা বলব, হযরত অগ্নিসর্মা হয়ে বলে উঠলেন তুমি কে? বেরিয়ে যাও……
এছাড়াও বেশ
কয়েকবার বেরিয়ে যান, চলে যান বলে ধমকি দিলেন।
এ কেমন সুন্নাহ ভিত্তিক আচরণ?
.
ফরায়েজী হযরতের চিরাচরিত মিথ্যাচারের দৃষ্টান্ত।
৯/৫/১৭ তারিখের বৈঠকে ফরায়েজী সাহেব স্পষ্ট দাবী করলেন যে আমরা কোন মুবাহেস বা বিচারক পরিবর্তন করিনাই। অথচ ফরায়েজী সাহেবের পাশে বসা মুফতি শাসছুদ্দিন সাহেব বললেন আমরা মুবাহেস পরিবর্তন করে তার স্বাক্ষর নিয়েছি। মিথ্যাচার প্রমাণ হওয়ার সাথে সাথে ফরায়েজী সাহেব তার কর্মী ভাইকে হাতজোড় করে বলতে লাগলেন আপনি কোন কথা বলবেন না। আমরা কোন মোবাহেস পরিবর্তন করিনি।
অথচ আজ প্রকাশ করলেন ওনারা আজিজুল হক মাদানী সহ আসবেন….
পাঠক যার কাছে সামান্য কথার আমানত ঠিক থাকেনা, মিথ্যাচারের চুড়ান্ত সীমা অতিক্রম করেন তিনি কিভাবে কুরআন ও সুন্নাহর আমানত রক্ষা করবেন?
এ প্রতারণার পরও ফরায়েজী কোন মুখে কথা বলবেন?

৯/৫/১৭ তারিখের মিথ্যাচারে
১। মসজিদে প্রবেশ করেই বললেন গত বৈঠক আমি লাইভে দেখেছি, পরে বলে উঠলেন গত বৈঠক সম্পর্কে আমি কিছুই জানিনা।
লাইভের কথা স্বরণ করালে বললেন কিছু কিছু দেখেছি…..
২। ৮ তারিখ আব্বাসী হুজুরকে ফোন দিয়ে ৯ তারিখের বৈঠকে যাওয়ার দাওয়াত দিয়েছিলেন, কারণ হিসেবে উল্লেখ করেন, গত বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে আজ অনুমতির জন্য আমরা ২ জন যাব। অথচ বৈঠকে উপস্থিত সবাই এ কথা অস্বীকার করলে ফরায়েজী হযরত বিমর্ষ হয়ে বলে উঠলেন সময় তো কম তাই নিজ থেকেই বললাম।
এ ছাড়াও অনেক…..

প্রস্তাবনা :
১। মিলাদ কিয়ামের পক্ষে আমাদের শাইখ ড. সাইয়্যেদ এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী হুজুর উদার ও বড় মনের পরিচয় দিয়ে মাহমুদুল হাসানের মাদরাসায় বাহাসের প্রস্তাব দিয়েছিলেন, যা একটি বিরল ঘটনা, কিন্তু মাহমুদুল হাসান সাহেবের উদ্ধত ও মারমুখী আচরণের কারণে যাত্রাবাড়ী মাদরাসাতে ২৫ তারিখের বাহাস মিলাদ কিয়াম বিরোধীদের দ্বারাই অনিশ্চিত হয়ে গেল। তাদের প্রধান কারণ-

ক. ২ মাস ব্যাপী প্রস্তিত চলছে বাহাসের, অথচ মাহমুদুল হাসান স্পষ্ট নাকচ করে বললেন কোন বাহাস হবেনা হবে সাধারণা আলোচনা (মুজাকারা) যার জন্য কোন চুক্তি, সালিস, মোবাহেস প্রয়োজন হয়না, প্রয়োজন হয় মুজাকিরের।
আমরা পূর্বঘোষিত বাহাসের জন্য প্রস্তুত, মুজাকারা করতে হলে বিরোধীদের পূর্বের বাহাস বানচালের জন্য ক্ষমা চেয়ে নতুন মুজাকারার প্রস্তুতি নিতে হবে।

খ. মাহমুদুল হাসান আমাদের প্রধান মুবাহিস ড. সাইয়্যেদ এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী হুজুরকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছেন এবং উপস্থিত ক্ষেত্রে আমাদের প্রতিনিধিদের কে প্রকাশ্যে মার দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন। অতএব সে তার গ্রহণযোগ্যতা হারিয়ে এক পক্ষ্যের প্রতিনিধিতে পরিণত হয়েছেন, অতএব সেখানে সুস্থ মস্তিষ্কের কেউ বাহাসের জন্য যেতে পারেনা। আমাদের উদারতাই তাদের হীন চরিত্র ও সংকীর্ণতাকে প্রকাশ করেছে।

গ. বাহাসের উল্লেখযোগ্য একটি শর্ত হলো প্রশাসনের উপস্থিতিতে দুই পক্ষ্যের আলোচনা অনুষ্ঠিত হওয়া, আমরা বারবার প্রশাসনের জন্য অনুরোধ করলেও তিনি কর্ণপাত না করে উল্টো অগ্নিসর্মা হয়ে বলেছেন, কোন প্রশাসন ঢুকতে পারবেনা, কিসের প্রশাসন? এবং তিনি কোন প্রকার জিম্মাদারিও গ্রহণ করবেন না। তাহলে বাহাস থেকে সড়ে আসলো কারা? আমরা এখনো তাদেরকে বাহাসের জন্য আমন্ত্রণ জানাচ্ছি
উপরোল্লিখিত ডকুমেন্টারি পোষ্ট থেকে একথা দিবালোকের ন্যায় স্পষ্ট যে, মাহমুদুল হাসান সাহেবকে বাহাসের জন্য রাজি করানো না করতে পারা ও বাহাসের সাবলীল পরিবেশ করতে না পারায়, তাদের পূর্বের ঘোষনা অনুযায়ী এখন স্থান নির্ধারণ করবেন আব্বাসী হুজুর, অতএব আমরা সব শর্ত মেনে বাহাসের স্থান নির্ধারণে বদ্ধ পরিকর ইনশাআল্লাহ , এবং প্রশাসন উপস্থিত রেখে ঢাকা শহরের প্রাণকেন্দ্রে একটি নিরপেক্ষ স্থানে বাহাসের স্থান নির্ধারণ হবে ইনশাআল্লাহ, এবং তাদের প্রধান মুবাহিস মিজানুর রহমান সাঈদের ঘোষনা অনুযায়ী সেখানে আসতে তারা বাধ্য কেননা তিনি ঘোষনা দিয়েছিলেন, যাত্রাবাড়ীতে বাহাস অনুষ্ঠিত না হলে আব্বাসী হুজুরের মনোনীত জায়গায় বাহাস হবে ইনশাআল্লাহ। একই কথা তাদের প্রতিনিধিও বলেছেন।

তথাকথিত কথিত মহিউস সুন্নাহ এর সুন্নাহ বিরোধী আচরণের ভিডিও লিংকঃ-
https://m.facebook.com/story.php…

শফিউল আলম প্রধান আর নেই

নিজস্ব প্রতিবেদক: জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সভাপতি শফিউল আলম প্রধান আর নেই। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।  রবিবার ভোর সাড়ে ৬টায় রাজধানীর আসাদগেটে নিজ বাসভবনে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। জাগপা’র সাধারণ সম্পাদক খন্দকার লুৎফর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

শফিউল আলম প্রধান কয়েকদিন ধরে জ্বরে ভুগছিলেন। রবিবার সকালে পরিবারের সদস্যরা তাকে ঘুম থেকে ওঠার জন্য ডাক দেন। কিন্তু তিনি সাড়া দেননি। এ অবস্থায় তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

তার মৃত্যুর খবরে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা তার বাড়িতে যান । শফিউল আলম প্রধানের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।

শফিউল আলম প্রধান আওয়ামী লীগের ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগের মাধ্যমে রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন। তিনি সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক হয়েছিলেন।

১৯৭৪ সালের এপ্রিলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুহসীন হলে সাত ছাত্রকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় আসামি হয়ে ছাত্রলীগের রাজনীতি থেকে ছিটকে পড়েন তিনি। এই মামলায় তার সাজাও হয়েছিল। পরে জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রপতি হিসেবে তাকে ক্ষমা করে দেন।

সে সময় কারাগারে যেতে হলেও পরে জিয়াউর রহমানের সময়ে মুক্তি পান এবং ১৯৮০ সালের ৬ এপ্রিল রমনা গ্রিনে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি গঠন করে তার সভাপতি হন শফিউল আলম প্রধান।

দুই ছাত্রী ধর্ষণ: নাঈম আশরাফের ধর্ষণের কথা স্বীকার

ডেস্ক নিউজ: তদন্ত কর্মকর্তাদের কাছে ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে বনানীতে দুই শিক্ষার্থী ধর্ষণ মামলার আসামি নাঈম আশরাফ ওরফে হালিম। রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে মামলার বাদীর বান্ধবীকে ধর্ষণের বিষয়টি স্বীকার করে নাঈম। এরপরই তাদের ডিএনএ পরীক্ষার জন্য সিআইডির ফরেনসিক ল্যাবে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন তদন্ত তদারক কর্মকর্তারা। এরইমধ্যে এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর মুখ্য হাকিমের আদালতে আবেদন করা হয়েছে। রবিবার এ বিষয়ে শুনানি রয়েছে। তদন্ত সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন।

তদন্ত তদারকিতে থাকা দায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘গ্রেফতারের পর আদালতের মাধ্যমে নাঈম আশরাফকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাতদিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। রিমান্ডের তৃতীয় দিনে তদন্তকারী কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণে জড়িত থাকার বিষয়টি ছাড়াও আরও গুরুত্বপূর্ণ অনেক তথ্য দিয়েছে নাঈম। পরিকল্পিতভাবেই দুই শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে জ্ঞিাসাবাদে জানিয়েছে সে। এছাড়া এই ধর্ষণ-পরিকল্পনার সঙ্গে আরও কারা জড়িত ছিল, তাদেরও নাম-পরিচয় বিস্তারিত জানিয়েছে।’

ওই পুলিশ কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘মামলার বাদীর বান্ধবীর পোশাকে পাওয়া ডিএনএ-এর সঙ্গে আসামি নাঈম আশরাফের ডিএনএ মিলিয়ে দেখা হবে। এজন্য নাঈম আশরাফের শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে সিআইডির ফরেনসিক পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে। সব আলামত ও তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহের পরই এ মামলার অভিযোগপত্র দেওয়া হবে।’ নাঈম আশরাফ সম্পর্কে আরও অনেক তথ্য আছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) জনসংযোগ বিভাগের উপ-কমিশনার মো. মাসুদুর রহমান বলেন, ‘নাঈম আশরাফ জিজ্ঞাসাবাদের প্রথমদিকে নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছে। তবে এখন সে মুখ খুলতে শুরু করেছে। এরইমধ্যে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে।’

এদিকে ধর্ষণের ঘটনাস্থল ও ধর্ষণের সহযোগী হিসাবে রেইনট্রি হোটেলের মালিকের ছেলেকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানিয়েছেন তদন্তে সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা। কারণ, ধর্ষণের আগে দুই শিক্ষার্থীর বন্ধু শাহরিয়ারকে মারধরের ভিডিও ফুটেজ পেয়েছেন তারা। যা এজাহারেও উল্লেখ রয়েছে। তবে ধর্ষণের সময় মোবাইল ফোনে যে ভিডিও করা হয়েছিল, সেটা এখনও উদ্ধার করা যায়নি। সিআইডির ফরেনসিক ল্যাবে পরীক্ষার পর সেই ভিডিও উদ্ধার করা সম্ভব হবে বলে আশা করছেন তারা। তবে আসামিদের গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে ও আদালতে স্বীকারোক্তি ছাড়াও তাদের কাছ থেকে জব্দ করা আলামতের মাধ্যমে অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে।

সাফাতের দেহরক্ষী রহমত আলী ওরফে আজাদ পুলিশকে বিস্তারিত তথ্য দিয়েছে। তবে ধর্ষণের সঙ্গে তার জড়িত থাকার কোনও তথ্য পায়নি পুলিশ। ঘটনার মাত্র দুইদিন আগে তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। ধর্ষণের পরই তাকে বাদ দেওয়া হয়েছে।

গত ১১ মে রাতে সিলেট শহরের একটি বাড়ি থেকে সাফাত আহমেদ ও সাদমান সাকিফকে প্রথম গ্রেফতার করে পুলিশ। তারা দু’জনই আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়ে বর্তমানে কারাগারে আছে। এরপর গাড়ি চালক বিল্লাল হোসেন ও দেহরক্ষী রহমত আলীকে রাজধানীর নবাবপুরের একটি হোটেল থেকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। গত বুধবার ১৭ মে রাতে মুন্সীগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

গত ২৮ মার্চ রাতে ধর্ষণের ঘটনা ঘটলেও বনানী থানায় মামলা হয় গত ৬ মে। ধর্ষণের পর নানাভাবে ধর্ষণের শিকার দুই শিক্ষার্থীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে মামলা থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করা হয়েছিল। পরে সাফাত আহমদ, নাঈম আশরাফ, সাদমান সাকিফ, সাফাতের গাড়িচালক বিল্লাল হোসেন ও দেহরক্ষী রহমত আলী ওরফে আজাদকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়।