১৬ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
১লা নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 116

বাবর-পিন্টুসহ ১৯ জনের মৃত্যুদণ্ড, তারেক রহমান, হারিছ চৌধুরীসহ ১৭ জনের যাবজ্জীবন

২১ শে আগস্ট হামলা মামলার রায়ে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বাবর, আব্দুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ আসামীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া বিএনপির ভারপ্রাপ্ত ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, হারিছ চৌধুরী, কায়কোবাদসহ ১৭ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। ঢাকার ১ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিন এ রায় ঘোষণা করেন। দুপুর বারোটার কিছু আগে আদালতে রায় পড়া শুরু হয়। এর আগে বিশেষ নিরাপত্তায় সকালে ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারের পাশে স্থাপিত অস্থায়ী বিশেষ আদালতে অভিযুক্ত ৩১ আসামিকে হাজির করা হয়। আদালতের বাইরে নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে অসংখ্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।


উল্লেখ্য, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার জনসভায় গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। হামলায় আওয়ামী লীগের ২২ জন নেতা-কর্মী ও অজ্ঞাত দুই ব্যক্তি নিহত হন।

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায় আজ

২১ আগস্টের বর্বরোচিত ও নৃশংস গ্রেনেড হামলা মামলার রায় আজ। রাজধানীর নাজিমউদ্দিন রোডে পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারের পাশে স্থাপিত ঢাকার ১ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক গ্রেনেড হামলার ঘটনায় আনা পৃথক দুই মামলার রায় ঘোষণা করবেন। প্রায় ১০ বছর বিচারিক কার্যক্রম শেষে গত ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক শাহেদ নূর উদ্দীন এ রায়ের দিন ধার্য করেন।
গ্রেনেড হামলার প্রধান টার্গেট ছিলেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। শুরু থেকেই নৃশংস এই হত্যাকাণ্ডের তদন্ত ভিন্ন খাতে নিতে নানা চেষ্টা করা হয়। ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় নতুন করে তদন্ত শুরু হয়। বেরিয়ে আসে অনেক অজানা তথ্য। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনায় আনা দুই মামলায় আসামির সংখ্যা ৪৯ জন। এদের মধ্যে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, জঙ্গি মাওলানা তাজউদ্দিন আহমেদসহ ১৮ জন পলাতক রয়েছেন। কারাগারে রয়েছেন, বিএনপি নেতা সাবেক স্বরাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী লুত্ফুজ্জামান বাবর, বিএনপি নেতা সাবেক শিক্ষা উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টুসহ ৩১ জন। যুক্তিতর্ক শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষ আদালতের কাছে দুই মামলার ৪৯ আসামির সর্বোচ্চ শাস্তির (মৃত্যুদণ্ড) আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান আইনজীবী সৈয়দ রেজাউর রহমান ইত্তেফাককে বলেছেন, দেশের আপামর জনগণ এই মামলার রায়ের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। রায় ঘিরে নিরাপত্তা রায়কে ঘিরে যাতে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয় সে জন্য ঢাকাসহ সারাদেশে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। নাজিমউদ্দিন রোডের বিশেষ আদালতের চারপাশের সড়কে কয়েকস্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন এলাকা চিহ্নিত করে সেখানে পুলিশ সাদা পোশাকে দায়িত্ব পালন করবে। শহরজুড়ে থাকবে গোয়েন্দা নজরদারি। সব মিলে রাজধানীতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রায় পাঁচ হাজার সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল জানিয়েছেন, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার রায় ঘিরে কোনো ধরনের হুমকি নেই। এ মামলায় বিচারক যে রায় ঘোষণা করবেন অবশ্যই তা কার্যকর হবে। তিনি বলেন, রায় ঘিরে কোনো কিছু হবে না। অনেকে মনে করছেন শান্তি-শৃঙ্খলার অবনতি হবে, কিন্তু আমি মনে করি এগুলো কোনো কিছুই হবে না। ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, রায় ঘিরে নিরাপত্তার সকল ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। কেউ যদি নিরাপত্তা বিঘ্নিত করার অপচেষ্টা করে তবে কঠোরভাবে তা দমন করা হবে এবং আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সেদিনের ঘটনা দেশব্যাপী সন্ত্রাসবিরোধী ও বোমা হামলার প্রতিবাদে ১৪ বছর ৪৯ দিন আগে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগ সমাবেশের আয়োজন করেছিল। এই সমাবেশ শেষ হওয়ার মুহূর্তে চালানো হয় পৈশাচিক গ্রেনেড হামলা। এ হামলায় নিহত হন প্রয়াত রাষ্ট্রপতি মোঃ জিল্লুর রহমানের সহধর্মিণী ও মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী বেগম আইভী রহমানসহ ২৪ জন। অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান তত্কালীন বিরোধী দলীয় নেতা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। আহত হন প্রায় ৪শ’ নেতা-কর্মীসহ সাধারণ মানুষ। এদের অনেকেই এখনও শরীরে গ্রেনেডের স্প্লি­ন্টার নিয়ে দুঃসহ জীবন কাটাচ্ছেন।
মামলার তদন্ত
ঘটনার পর দিন (২২ আগস্ট) বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকারের নির্দেশে তরিঘড়ি করে মতিঝিল থানায় (বর্তমানে পল্টন থানা)  উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফারুক আহমেদ বাদী হয়ে মামলা (মামলা নম্বর ৯৭) করেন। তবে আওয়ামী লীগ নেতা (প্রয়াত) আব্দুল জলিল ও সাবের হোসেন চৌধুরী থানায় মামলা করতে গেলে তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়। মামলাটি প্রথমে তদন্ত করে থানা পুলিশ। পরে তদন্তের দায়িত্ব পায় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। পরবর্তীতে মামলাটি যায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডি)। এরপরই ঘটনা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা শুরু করে চারদলীয় জোট সরকার। হামলার দায় চাপানোর চেষ্টা করা হয় আওয়ামী লীগের ওপর। এখানেই শেষ নয় বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ঘটনা তদন্তে ২০০৪ সালের ২২ আগস্ট বিচারপতি জয়নুল আবেদীনকে চেয়ারম্যান করে এক সদস্যের বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠন করে। এক মাস ১০ দিনের মাথায় ১৬২ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন দিয়ে কমিশন বলে সংগৃহীত তথ্য প্রমাণে সন্দেহাতীতভাবে ইঙ্গিত করে এ হামলার পেছনে একটি শক্তিশালী বিদেশি শক্তি জড়িত। তবে ওই প্রতিবেদন বিদেশি শক্তির  নাম নির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়নি। এছাড়া সে সময়ের জোট সরকার যুক্তরাজ্যের তদন্ত সংস্থা স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডকে তদন্তের জন্য আমন্ত্রণ জানালেও তারা সরকারের অসহযোগিতায় বিরক্তি প্রকাশ করে চলে যায়।
তদন্ত ভিন্ন খাতে নেয়ার চেষ্টা
অপরদিকে হামলার পর তত্কালীন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুত্ফুজ্জামান বাবরের তত্ত্বাবধানে একটি তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করা হয় এবং এতে জজ মিয়া নামে এক ভবঘুরে, একজন ছাত্র, একজন আওয়ামী লীগ কর্মীসহ ২০ জনকে গ্রেফতার করা হয়। সাজানো হয় জজ মিয়া নাটক। অথচ পরবর্তী তদন্তে তাদের কারো বিরুদ্ধেই অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। বিষয়টি ফাঁস হয়ে পড়ায়  মামলার কার্যক্রম থেমে যায়।
প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন শুরু
২০০৭ সালের সেনা-সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় মামলার কার্যক্রম নতুন করে শুরু হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নিযুক্ত হন সিআইডির সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার ফজলুল কবির। কিন্তু মামলার তদন্ত করতে গিয়ে তাকে বার বার হোঁচট খেতে হয়। একজন সাবেক সেনা কর্মকর্তার (যিনি মামলার পলাতক আসামি) রোষানলে পড়তে হয় তাকে। মামলার অন্যতম আসামি হামলার গ্রেনেড সরবরাহকারীর বিএনপি নেতা ও সাবেক উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুকে গ্রেফতার করার সময় সরাসরি তাকে হুমকি দেয়া হয়। কিন্তু তারপরও মামলার তদন্ত কর্তকর্তা ছিলেন অনড়।
মামলার  প্রথম চার্জশিট
ঘটনার তিন বছর ৯ মাস ২১ দিন পর ২০০৮ সালের ১১ জুন পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ-সিআইডির সিনিয়র এএসপি ফজলুল কবির চার দলীয় জোট সরকারের উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টু, জঙ্গি নেতা মুফতি হান্নানসহ ২২ জনকে অভিযুক্ত করে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে সিএমএম আদালতে দু’টি অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন। ওই বছরই মামলা দু’টির কার্যক্রম দ্রুত বিচার আদালত-১-এ স্থানান্তর করা হয়। এ আদালতে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনের ২৯/১১ (হত্যা) ও ৩০/১১ (বিস্ফোরক) মামলা দু’টির বিচার কার্যক্রম শুরু হয়। পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডের পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারের পাশে স্থাপিত ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিন এর আদালতে এ মামলার বিচার শুরু হয়।
মামলার সম্পূরক চার্জশিট
২০০৮ সালের ২৯ অক্টোবর থেকে ২০০৯ সালের ৯ জুন পর্যন্ত ৬১ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করে ট্রাইব্যুনাল। কিন্তু প্রথম অভিযোগপত্রে গ্রেনেড সংগ্রহ, সরবরাহকারী, আক্রমণের পরিকল্পনাকারী আসামিরা শনাক্ত এবং অন্তর্ভুক্ত না হওয়ায় ২০০৯ সালের ৩ আগস্ট রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনক্রমে অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেয় ট্রাইব্যুনাল। এবার মামলাটি অধিকতর তদন্তের দায়িত্ব পান সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার আব্দুল কাহার আকন্দ। তিনি ২০১১ সালের ৩ জুলাই প্রথম অভিযোগপত্রের ২২ জন ছাড়াও তারেক রহমানসহ আরো ৩০ জনের (মোট আসামি ৫২ জন) বিরুদ্ধে সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১২ সালের ১৮ মার্চ বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ সম্পূরক চার্জশিটের ৩০ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে ফের বিচার শুরু হয়। তবে এর মধ্যে তিনজন আসামির অন্য মামলায় মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ায় তাদের মামলা থেকে বাদ দেয়া হয়। এরা হলেন— জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, জঙ্গি নেতা মুফতি আব্দুল হান্নান ও শহিদুল আলম বিপুল।
অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের পর রাষ্ট্রপক্ষের ৪৯১ জন সাক্ষীর মধ্যে ২২৫ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। আসামিপক্ষে ২০ জন সাফাই সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। মামলায় ১৪৪টি আলামত ও ৫৫টি বস্তু প্রদর্শন  করা হয়েছে। গত বছরের ৩০ মে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার আব্দুল কাহার আকন্দের জেরা শেষের মধ্য দিয়ে সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়।
গত বছরের ২৩ অক্টোবর এ মামলার যুক্তিতর্ক শুরু হয়। মামলার যুক্তিতর্কের ১১৯ কার্যদিবসের মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষ নিয়েছে ২৯ কার্যদিবস আর আসামি পক্ষ নিয়েছে ৯০ কার্যদিবস। শুনানি শেষে গত ১৮ সেপ্টেম্বর আদালত জামিনে থাকা ৮ আসামির জামিন বাতিল করে ও রায়ের দিন ঘোষণা করে।

ফতুল্লার বক্তাবলীর ধলেশ্বরী নদী থেকে ৩ লক্ষ টাকার কারেন্ট জাল জব্দ।

মা ইলিশ সংরক্ষন অভিযান পরিচালনা করে ফতুল্লা থানাধীন বক্তাবলীর ধলেশ্বরী নদী থেকে ২০ হাজার মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করেছে বক্তাবলী নৌ-পুলিশ। যার আনুমানিক মূল্য ৩ লক্ষ টাকা।

৯ অক্টোবর (মঙ্গলবার) দুপুর ১টায় সদর উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মামুনুর রশীদ ও বক্তাবলী নৌঁ-পুলিশ ফাঁড়ির এস আই নুরুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে কারেন্ট জাল গুলো জব্দ করেন।

জব্দকৃত জাল গুলো আগুনে পুড়িয়ে  ধ্বংশ করা হয়।

সুপ্রিমকোর্টে বিএনপি ও আ.লীগ সমর্থিত আইনজীবীদের হাতাহাতি

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীদের বসার জন্য নির্দিষ্ট হল রুমের চেয়ার-টেবিল সরিয়ে সংবাদ সম্মেলন করাকে কেন্দ্র করে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ সমর্থিত আইনজীবীদের মধ্যে হাতাহাতি ও হট্টগোল হয়েছে।

মঙ্গলবার (৯ অক্টোবর) দুপুরে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনের দক্ষিণ হলে এ ঘটনা ঘটে।

এর আগে সোমবার (৮ অক্টোবর) আপিল বিভাগে নিয়োগ পান তিন বিচারপতি। সেই নিয়োগে জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন ডাকে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি। মঙ্গলবার দুপুরে সমিতি ভবনের দক্ষিণ হলে সম্মেলনটি শুরু হয়।

মূলত এই হলটি সাধারণ আইনজীবীদের বসার নির্ধারিত স্থান। কিন্তু চেয়ার-টেবিল সরিয়ে সেখানে সংবাদ সম্মেলন করায় বিপাকে পড়েন সাধারণ আইনজীবীরা।  এ নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়।

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির বিএনপি নেতাদের সঙ্গে  আওয়ামী সমর্থিত আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সাইয়েদুল হক সুমনসহ অন্য আইনজীবীরা কথা কাটাকাটিসহ হট্টগোলে জড়িয়ে পড়েন।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন এ ঘটনার নিন্দা জানান।

জানতে চাইলে ব্যারিস্টার সৈয়দ সাইয়েদুল হক সুমন বলেন, ‘আইনজীবী সমিতি আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন নিয়ে সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে। সে কারণে হল রুমের চেয়ার-টেবিল সরিয়ে সেখানে তারা সংবাদ সম্মেলন করছে।

এই হল রুমে অনেক জ্যেষ্ঠ আইনজীবীও বসেন।  অথচ যারা বিচারপতিদের জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করছে, তারা জ্যেষ্ঠ আইনজীবীদের বসার ক্ষেত্রে জ্যেষ্ঠতা কেন রাখে না?

আমরা এর প্রতিবাদ করায় তারা আমাদের ওপর চড়াও হয়। এ নিয়ে হট্টগোলের সৃষ্টি হয়। আমরা ঘটনাটি সিনিয়র আইনজীবীদের জানিয়েছি। তারা এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়েছেন।

ইয়াবা ৫ গ্রাম বহনের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড

বর্তমানে মাদকদ্রব্যে আসক্তির পরিমাণ অনেক পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে। যার ফলে সমাজে মাদকাসক্তে আসক্তির পরিমাণও বেড়েছে। আর সব থেকে বেড়েছে ইয়াবা সেবনে। কোনভাবেই এই মাদক বা ইয়াবা সেবন বন্ধ করা যাচ্ছে না।

তাই ইয়াবার বিষয়ে কঠোর বিধান রাখা হয়েছে এবারে মন্ত্রিসভা আইনে। সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে মাদক নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৮ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এই আইনে ৫ গ্রামের বেশি ইয়াবা, ২৫ গ্রামের বেশি হেরোইন বা কোকেন উৎপাদন, পরিবহন, বিপণনের পাশাপাশি সেবন করলে এই শাস্তি।

সোমবার (০৮ অক্টোবর) সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই অনুমোদন দেয়া হয়। আইনে ইয়াবা, সীসা বার এবং ডোপ টেস্টকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, নতুন আইনে ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়া ইয়াবা নিয়ন্ত্রণে কঠোর ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ৫ গ্রামের বেশি ইয়াবা বহনে সর্বনিম্ন শাস্তি যাবজ্জীবন রাখা হয়েছে। ৫ গ্রামের কম বহন করলে সর্বোচ্চ ১৫ বছর ও সর্বনিম্ন ৫ বছর কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। এছাড়া যে কোনো পানীয়তে শূন্য দশমিক ৫ শতাংশের বেশি পরিমাণ অ্যালকোহল থাকলে সেটি বিয়ার হিসেবে গণ্য করা হবে।

এছাড়া আজকের বৈঠকে শ্রম আইনের সংশোধনীর খসড়াও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এছাড়া বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড আইন-২০১৮ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়।

এতে উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমসহ মন্ত্রিপরিষদের অন্যান্য সদস্যরা। বৈঠক শেষে দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলমের সাংবাদিকদের ব্রিফ করার কথা রয়েছে।

হেফাজতে ইসলাম থেকে পদত্যাগ-জুনায়েদ বাবুনগরীকে ৫০১ আলেমের অভিনন্দন

হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমির, দেশের প্রবীণ আলেম আল্লামা শাহ মুহিববুল্লাহ বাবুনগরী পদত্যাগ করায় তাকে অভিনন্দন জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন দেশের ৫০১ আলেম। গতকাল যাত্রাবাড়ী আশরাফিয়া মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা জাফর আহমদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে তারা বলেন, হক্কানী আলেমরা কখনো ধর্মহীনতা ও নাস্তিকতাকে সমর্থন করতে পারে না।

তারা এ মতবাদকে কুফুরি মতবাদ আখ্যায়িত করে কোনো হক্কানী আলেম নীতি-আদর্শ বিসর্জন দিয়ে বাতিল শক্তির সাথে আঁতাত করতে পারেন না। আল্লামা বাবুনগরী সময়োপযোগী ও সাহসী সিদ্ধান্ত নেয়ায় দেশবাসীর পক্ষ থেকে আমরা তাকে ধন্যবাদ জানাই। তারা বলেন, কওমি সনদের স্বীকৃতি ওলামায়ে কেরামের ন্যায্য অধিকার, এ জন্য ওলামায়ে কেরামের ঐতিহ্য বিলীন করে কারো গোলাম হওয়া যাবে না।

বিবৃতিদাতাদের অন্যতম হলেন : মুফতি হিফজুর রহমান, মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস, মাওলানা মফিজুর রহমান, মুফতি আব্দুল বারী, মাওলানা আল আমীন, মাওলানা মুজিবুর রহমান, মাওলানা আশরাফুল হক আমিনী, মাওলানা জাফর আহমদ, মাওলানা আমানুল্লাহ, মাওলানা ইসহাক শরিফ,
মাওলানা মুফতি সিদ্দিকুর রহমান, মাওলানা দেলোয়ার হোসেন, মুফতি রুহুল আমীন, মাওলানা সুলাইমান, মাওলানা অলিউর রহমান, মাওলানা ফারুক আহমদ, মুফতি জসিম উদ্দিন প্রমুখ। ‘আল্লামা শফী আদর্শচ্যুত হননি’ হেফাজতের জরুরি সভায় নেতারা আল্লামা শাহ আহমদ শফীর বক্তব্যকে ঘিরে হেফাজতে ইসলামের অভ্যন্তরে তোলপাড় চলছেই।

‘ধর্মনিরপেক্ষতাবাদী আওয়ামী এজেন্টদের’ সাথে না থাকার ঘোষণা দিয়ে সিনিয়র নায়েবে আমীর আল্লামা শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরীর হেফাজতের সাথে সম্পর্ক ছিন্নের ঘোষণার পর তাকে সমর্থন করেন অপর নায়েবে আমির ইসলামী ঐক্যজোট একাংশের চেয়ারম্যান ও নেজাম ইসলাম পার্টির সভাপতি মুফতি ইজহারুল ইসলাম চৌধুরী।
এ দু’জনের বক্তব্যকে ঘিরে সারাদেশে হেফাজত নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে মিশ্র-তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। নেতাকর্মীদের প্রশ্নবাণ আর তোপের মুখে পড়তে থাকেন হেফাজতের শীর্ষ নেতারা। এ প্রেক্ষাপটে গতকাল (রোববার) বিকেলে সিনিয়র নেতাদের সাথে হাটহাজারী মাদরাসায় জরুরি সভায় বসেন হেফাজত আমির শাহ আহমদ শফী।

বৈঠক শেষে এক বিবৃতিতে বলা হয়, হেফাজত আমির আওয়ামী লীগ হয়ে যাননি, যারা তাকে আওয়ামী লীগ বলছেন তারা মিথ্যাবাদী। তিনি হেফাজতের আদর্শে অবিচল এবং অটল রয়েছেন। আদর্শচ্যুত হয়ে যাননি। তিনি কোন প্রকার প্রলোভনে উদ্বুদ্ধ হননি এবং কোন আর্থিক লেনদেনও করেননি।
জানা গেছে, বৈঠকে সিনিয়র নেতারা হেফাজত আমিরকে তার অবস্থান ব্যাখ্যা করতে বলেন। এরপর তিনি তার অবস্থান ব্যাখ্যা করে বলেন, তিনি হেফাজতের আদর্শ থেকে সরে যাননি। ১৩ দফা দাবির ব্যাপারে তার অবস্থান আগের মতো অনড় রয়েছে। বিশ্বস্তু সূত্রে জানা গেছে, জরুরি সভায় সিনিয়র নায়েবে আমির আল্লামা শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরীর হেফাজতের সাথে সম্পর্ক ছিন্নের বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে আলোচনা হয়। তবে সভা শেষে দেয়া বিবৃতিতে এ বিষয়টি কৌশলে এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে।

হেফাজত আমিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জরুরি সভায় মহাসচিব আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী, মাওলানা হাফেয তাজুল ইসলাম, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মুহাম্মদ সলিমুল্লাহ, মাওলানা লোকমান হাকিম, মাওলানা সাজিদুর রহমান, মাওলানা আইয়ুব বাবুনগরী, মাওলানা মুফতি জসীমুদ্দিন, মাওলানা আশরাফ আলী নেজামপুরী, মাওলানা ইসহাক মেহেরী, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, মাওলানা মুহাম্মদ আনাস মাদানী ও মাওলানা মুফতি রহিমুল্লাহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সভা থেকে আল্লামা শফীর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে মুফতি ইজহারুল ইসলাম চৌধুরী যে বক্তব্য দিয়েছেন তার তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়। হেফাজতে ইসলাম নেতৃবৃন্দের পক্ষ থেকে বলা হয়, মুফতি ইজহারুল ইসলাম হেফাজতের কেউ নন। আগেও ছিলো না এখনও নেই।

যিনি হেফাজতের দায়িত্বশীলই নন, তিনি আবার হেফাজত আমীরকে বহিষ্কার করবেন! এটা পাগলের প্রলাপ। তারা বলেন, হেফাজতে ইসলাম দেশের শীর্ষ ওলামায়ে কেরামের বৃহৎ অরাজনৈতিক সংগঠন। আল্লামা শাহ আহমদ শফীর নেতৃত্বে দেশের ওলামায়ে কেরাম হেফাজতের ব্যানারে ঐক্যবদ্ধ ছিলো, আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে ইনশাআল্লাহ। মুফতি ইজহারুল ইসলাম হেফাজতের প্রতিষ্ঠাতা নায়েবে আমীর নন উল্লেখ করে বলা হয়, প্রতিষ্ঠাতা তো অনেক দূরের বিষয়, তিনি হেফাজতেরও কেউ নন।
হেফাজতের প্রতিষ্ঠাতা একমাত্র শায়খুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফী। হেফাজত নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, বিগত পহেলা অক্টোবর হাটহাজারী মাদরাসায় চট্টগ্রাম জেলা বেফাক কর্তৃক আয়োজিত পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে আল্লামা শাহ আহমদ শফী স্পষ্ট বলেছেন, আমি আওয়ামী লীগ হয়ে যাইনি। যারা তাকে আওয়ামী লীগ বলেছেন তারা মিথ্যাবাদি।

মিথ্যাচার কখনো স্থায়ী হয় না। তিনি তার আদর্শে অবিচল রয়েছেন এবং হেফাজতের সমস্ত দাবি দাওয়ার বিষয়ে অটল রয়েছেন। তিনি আদর্শচ্যুত হয়ে যাননি। প্রকৃত ঘটনা না জেনে না বুঝে কারো বিরুদ্ধে মন্তব্য করা সুস্থ মস্তিষ্কের পরিচায়ক নয়।
হেফাজত নেতারা বলেন, আমরা স্পষ্ট উল্লেখ করতে চাই কওমী মাদরাসা সনদের স্বীকৃতি আদায়ের বিষয়টি দেশের প্রসিদ্ধ ৬টি বোর্ডের নেতৃবৃন্দের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বর্তমান সরকারের সাথে আলোচনা-পর্যালোচনার মাধ্যমে সরকার প্রধান হিসেবে প্রধানমন্ত্রী এমএ-এর সমমান ঘোষণা করেছেন।

এটি কওমী ওলামাদের দীর্ঘদিনের দাবি। আল্লামা শাহ আহমদ শফীর নেতৃত্বে এই দাবি সফলভাবে আদায় করতে সক্ষম হয়েছে। কওমী মাদরাসা সনদের স্বীকৃতি আর হেফাজতে ইসলামের ১৩ দফা দাবী এক নয়। তারা আরো বলেন, সনদের স্বীকৃতি এটা আমাদের অধিকার।

নাগরিক হিসেবে সমাজ ও রাষ্ট্রে আমাদের অবদানও কম নয়। সনদের স্বীকৃতির বিল জাতীয় সংসদে পাস হওয়ায় বোর্ড চেয়ারম্যান হিসেবে প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানানো মানে সরকারের কাছে কওমী ওলামায়ে কেরামদেরকে বিক্রি করে দেয়া নয়।


আল্লামা শাহ আহমদ শফীর নেতৃতে কওমী ওলামায়ে কেরামের বিজয় নিশ্চিত হওয়াতে কিছু স্বার্থান্বেষী মহল তা মেনে নিতে পারছে না। তারা ইনিয়ে বিনিয়ে আল্লামা শাহ আহমদ শফীকে শাপলার ট্রাজেডির সাথে বিমুখতা প্রদর্শন বলে ব্যর্থ প্রমাণ করার অপপ্রয়াস চালিয়ে আসছে। নেতারা বলেন, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের পক্ষ থেকে পরিষ্কার বলতে চাই, আল্লামা শাহ আহমদ শফী কোন প্রলোভনে উদ্ধুদ্ধ হননি এবং কারো কাছ থেকে কোন প্রকার আর্থিক লেনদেন করেননি। তিনি হেফাজতের আদর্শ থেকেও চুল পরিমাণ বিচ্যুত হননি।

শওকত চেয়ারম্যানের ছেলে হৃদয়কে মাদকসহ আটকের ঘটনার দেলোয়ারের নিন্দা জ্ঞাপন।

বক্তাবলী ইউনিয়ন প‌রিষদের চেয়ারম্যান ও ফতুল্লা থানা আওয়ামীলী‌গের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মো.শওকত আলীর ছে‌লে সা‌ব্বির আহম্মদ হ্নদয় রাজনী‌তির প্র‌তি‌হিংসার শিকার ব‌লে দা‌বি কর‌ছেন  বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ী মো.দেলোয়ার হোসেন । বক্তাবলী ইউনিয়ন প‌রিষ‌দে তিনবার চেয়ারম্যান নির্বা‌চিত হওয়ায়, নারায়গঞ্জ জেলার শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যান হি‌সে‌বে রাষ্ট্রীয় স্বর্নপদক পাওয়ায় এবং নানায়ণগঞ্জ ৪ আসনের সাংসদ জন‌নেতা এ কে এম শামীম ওসমানের অধিক শ্রদ্ধাভাজন হওয়ার কার‌ণে হিংসায় বশবর্তী হ‌য়ে আড়াল থে‌কে মো. শওকত আলী সা‌হেব‌কে ঘা‌য়েল করার জন্যই ষড়য‌ন্ত্রকারী‌দের পায়তাড়ার ব‌হিঃপ্রকাশ ব‌লে ম‌নে ক‌রেন সা‌বেক ছাত্র‌নেতা ভি‌পি আলমগীর হো‌সেন।

‌তি‌নি প্র‌তিবাদ জা‌নি‌য়ে ব‌লেন বিশ্ব‌বিদ্যালয়ে পড়ুয়া মেধাবী শিক্ষার্থী সা‌ব্বির আহম্মদ হ্নদয়‌কে বাসা থে‌কে ডে‌কে এনে পূর্বপ‌রিক‌ল্পিতভা‌বে চেয়ারম্যানকে সামা‌জিক ও রাজনৈ‌তিকভা‌বে হেয় প্র‌তিপন্ন করার জন্যই ষড়যন্ত্রকারীরা ‌র‌্যাবকে ভুল তথ্য দি‌য়ে হ্নদয়‌কে ফেন‌সি‌ডিল দি‌য়ে আটক করা হয়। ঘটনার সা‌থে জ‌ড়িত থাকা কুচ‌ক্রী ও ষড়যন্ত্রকারী‌দের খু‌জে বের ক‌রে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য র‌্যাবসহ আইন প্র‌য়োগকারী সংস্থার প্র‌তি দাবী জানান।‌ দেলোয়ার হো‌সেন আরও ব‌লেন যে, হ্নদয়‌কে ব্য‌ক্তিগতভা‌বে দীর্ঘ বছর ধ‌রে চি‌নি ও জা‌নি। শওকত চেয়ারম্যান ৪০ বছর ধ‌রে  স্বচ্ছ ও প‌রিচ্ছন্ন মানুষ হি‌সে‌বে ফতুল্লা থানা আওয়ামীলী‌গসহ প্র‌তি‌টি ইউনিয়‌ন আওয়ামীলীগের কর্মী‌দের সুসংগ‌ঠিত ক‌রে জন‌নেতা সাংসদ এ কে এম শামী‌ম ওসমা‌নের প‌ক্ষে কাজ ক‌রে আস‌ছেন। শওকত চেয়ারম্যান মাদ‌কের বিরু‌দ্ধে সমা‌জে আপোষহীনভা‌বে কাজ কর‌ছেন। তার ছে‌লে হ্নদয় মাদক বি‌ক্রি ক‌রে এলাকার কেউ বিশ্বাস ক‌রে না। হ্নদয়‌কে ফেন‌সি‌ডিল দি‌য়ে আট‌কের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্র‌তিবাদ জা‌নি‌য়ে ঘটনার সা‌থে জ‌ড়িত ষড়যন্ত্রকারী‌দের খুঁ‌জে বের করতে এবং রিক্সার গ্যা‌রে‌জের মা‌লিক‌কে আটক ক‌রে জিজ্ঞাসাবাদ ক‌রে প্রকৃত ঘটনা বের করার জন্য র‌্যাবের প্র‌তি জোর দাবী জানান বক্তাবলীর কৃতি সন্তান বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মো.দেলোয়ার হোসেন।

নিজ শক্তিতে দুই হাজার বছর টিকে থাকতে পারবে সৌদি’-মোহাম্মদ বিন সালমান।

যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা ছাড়াই নিজ শক্তিতে দুই হাজার বছর টিকে থাকতে পারবে সৌদি আরব, কিন্তু মার্কিনিদের মতো কোনো গৃহযুদ্ধের মুখোমুখি হতে হবে না বলে মন্তব্য করেছেন সৌদি সিংহাসনের উত্তরসূরি মোহাম্মদ বিন সালমান।

এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, মার্কিন সামরিক বাহিনীর সহায়তা ছাড়া দুই সপ্তাহও ক্ষমতায় টিকে থাকার মুরোদ নেই সৌদি বাদশাহর। কাজেই যুক্তরাষ্ট্রের ঋণ তাকে শোধ করতে হবে।

ট্রাম্পের এ মন্তব্যের জবাবে যুবরাজ মোহাম্মদ বলেন, আমি তার সঙ্গে কাজ করতে ভালোবাসি। আপনারা জানেন, আপনাকে এটা মানতেই হবে, যে কোনো বন্ধু খারাপ ও ভালো বিষয়গুলোই বলতে পারেন।

‘কাজেই যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে আমরা যত অস্ত্র পেয়েছি, তার দাম শোধ করেছি। কোনো কিছুই বিনামূল্যে দেয়া হয়নি। সৌদি ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্ক শুরু হওয়ার পর থেকে সবকিছুই আমরা অর্থের বিনিময়ে ক্রয় করেছি।’

গত মঙ্গলবার মিসিসিপিতে এক সমাবেশে মিত্রদেশ সৌদি আরব নিয়ে সবচেয়ে তিক্ত কথাটি বলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এমন কঠিন বাক্যবিনিময়ের পরেও দেশদুটির মধ্যে বন্ধুত্বের সম্পর্ক অটুট রয়েছে। মধ্যেপ্রাচ্যে শিয়া সংখ্যাগরিষ্ঠ ইরানের আধিপত্য রুখতে যেটাকে সুরক্ষাপ্রাচীর হিসেবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে।

শুক্রবার ব্লুমবার্গকে দেয়া সাক্ষাৎকারে এমবিএস নামে খ্যাত মোহাম্মদ বিন সালমান বলেন, আপনি যদি যুক্তরাষ্ট্রের দিকে তাকান, তাহলে দেখবেন, তারা বিনামূল্যে দাস পেতে চেয়েছে। কিন্তু গৃহযুদ্ধ দিয়ে তার মূল্য শোধ করতে হয়েছে। এতে কয়েক বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্র বিভক্ত ছিল।

এমনকি যুক্তরাষ্ট্রে দাসত্ব থেকে মুক্তি পেতে হাজার হাজার মানুষকে জীবন বিলিয়ে দিতে হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন এমবিএস।

‘কিন্তু আমরা কোনো গৃহযুদ্ধ ছাড়াই উগ্রবাদ ও সন্ত্রাসবাদ থেকে মুক্তি পেতে চাই। আমাদের দেখতে হচ্ছে, যাতে দেশের উৎপাদন ব্যাহত না হয় এবং সবকিছুতে উন্নয়ন অব্যাহত থাকে,’ বলেন এমবিএস।

আওয়ামীগ নেতা শওকত চেয়ারম্যানের ছেলে হৃদয়কে মাদকসহ আটকের ঘটনায় ভিপি আলমগীরের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ।

বক্তাবলী ইউনিয়ন প‌রিষদের চেয়ারম্যান ও ফতুল্লা থানা আওয়ামীলী‌গের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মো.শওকত আলীর ছে‌লে সা‌ব্বির আহম্মদ হ্নদয় রাজনী‌তির প্র‌তি‌হিংসার শিকার ব‌লে দা‌বি কর‌ছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলী‌গের সা‌বেক সি‌নিয়র সহসভাপ‌তি ভি.‌পি আলহাজ্ব মো. আলমগী হো‌সেন। বক্তাবলী ইউনিয়ন প‌রিষ‌দে তিনবার চেয়ারম্যান নির্বা‌চিত হওয়ায়, নারায়গঞ্জ জেলার শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যান হি‌সে‌বে রাষ্ট্রীয় স্বর্নপদক পাওয়ায় এবং নানায়ণগঞ্জ ৪ আসনের সাংসদ জন‌নেতা এ কে এম শামীম ওসমানের অধিক শ্রদ্ধাভাজন হওয়ার কার‌ণে হিংসায় বশবর্তী হ‌য়ে আড়াল থে‌কে মো. শওকত আলী সা‌হেব‌কে ঘা‌য়েল করার জন্যই ষড়য‌ন্ত্রকারী‌দের পায়তাড়ার ব‌হিঃপ্রকাশ ব‌লে ম‌নে ক‌রেন সা‌বেক ছাত্র‌নেতা ভি‌পি আলমগীর হো‌সেন।

‌তি‌নি প্র‌তিবাদ জা‌নি‌য়ে ব‌লেন বিশ্ব‌বিদ্যালয়ে পড়ুয়া মেধাবী শিক্ষার্থী সা‌ব্বির আহম্মদ হ্নদয়‌কে বাসা থে‌কে ডে‌কে এনে পূর্বপ‌রিক‌ল্পিতভা‌বে চেয়ার ম্যান সা‌হেব‌কে সামা‌জিক ও রাজনৈ‌তিকভা‌বে হেয় প্র‌তিপন্ন করার জন্যই ষড়যন্ত্রকারীরা ‌রেব‌কে ভুল তথ্য দি‌য়ে হ্নদয়‌কে ফেন‌সি‌ডিল দি‌য়ে আটক করা হয়। ঘটনার সা‌থে জ‌ড়িত থাকা কুচ‌ক্রী ও ষড়যন্ত্রকারী‌দের খু‌জে বের ক‌রে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য রেবসহ আইন প্র‌য়োগকারী সংস্থার প্র‌তি দাবী জানান।‌ ভি‌পি‌ আলমগীর হো‌সেন আরও ব‌লেন যে, হ্নদয়‌কে ব্য‌ক্তিগতভা‌বে দীর্ঘ বছর ধ‌রে চি‌নি ও জা‌নি। শওকত চেয়ারম্যান ৪০ বছর ধ‌রে সামা‌জিক স্বচ্ছ ও প‌রিচ্ছন্ন মানুষ হি‌সে‌বে ফতুল্লা থানা আওয়ামীলী‌গসহ প্র‌তি‌টি ইউনিয়‌ন আওয়ামীলীগের কর্মী‌দের সুসংগ‌ঠিত ক‌রে জন‌নেতা সাংসদ এ কে এম শামী‌ম ওসমা‌নের প‌ক্ষে কাজ ক‌রে আস‌ছেন। শওকত চেয়ারম্যান মাদ‌কের বিরু‌দ্ধে সমা‌জে আপোষহীনভা‌বে কাজ কর‌ছেন। তার ছে‌লে হ্নদয় মাদক বি‌ক্রি ক‌রে এলাকার কেউ বিশ্বাস ক‌রে না। হ্নদয়‌কে ফেন‌সি‌ডিল দি‌য়ে আট‌কের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্র‌তিবাদ জা‌নি‌য়ে ঘটনার সা‌থে জ‌ড়িত ষড়যন্ত্রকারী‌দের খুঁ‌জে বের করতে এবং রিক্সার গ্যা‌রে‌জের মা‌লিক‌কে আটক ক‌রে জিজ্ঞাসাবাদ ক‌রে প্রকৃত ঘটনা বের করার জন্য রে‌বের প্র‌তি জোর দাবী জানান সা‌বেক ছাত্র‌নেতা ভি‌পি আলমগীর হো‌সেন।

পুলিশের উপর হামলায় ছাত্রলীগ কর্মী গ্রেফতার

নিউজ প্রতিদিন : উল্টোপথে মোটরসাইকেল চালানোয় বাধা দিলে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যকে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় আমির ফরহাদ আদর (২৭) নামে এক ছাত্রলীগ কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
রোববার ভোরে চট্টগ্রাম নগরীর সদরঘাট মোড় থেকে আদরকে গ্রেফতার করেছে কোতোয়ালী থানা পুলিশ। এ নিয়ে ওই ঘটনায় করা মামলার এজাহারভুক্ত চারজন আসামি গ্রেফতার হলেও দুজন এখনও পলাতক আছে বলে জানিয়েছেন কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন।
তিনি বলেন, গ্রেফতার হওয়া আদর নিজেকে ছাত্রলীগ কর্মী হিসেবে পরিচয় দিয়েছে।
ওসি জানান, ‘মামলার আসামিদের মধ্যে আদর ও ফয়সাল গ্রেফতার হয়েছে। মেহেরাজ ও এনামুল হক আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন নিয়েছেন। তবে শিবু ভট্টাচার্য ও রাসেল উদ্দিন জয় এখনও পলাতক।’
প্রসঙ্গত, গত ১২ আগস্ট নগরীর নিউমার্কেট মোড়ে এক পুলিশ সদস্যকে কয়েকজন যুবকের ধাওয়া দেওয়ার ছবি গণমাধ্যমে প্রকাশ হলে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। আসামি মেহেরাজের সঙ্গে মূলত ঘটনার সূত্রপাত হয়। নগরীর মাদারবাড়ি এলাকার বাসিন্দা মেহেরাজ মোটরসাইকেল নিয়ে উল্টোপথে নিউমার্কেট এলাকায় আসেন। তার মাথায় হেলমেটও ছিল না। নিউমার্কেট মোড়ে দায়িত্বরত সার্জেন্ট মেহেরাজের বিরুদ্ধে মামলা দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মেহেরাজ তার কথিত রাজনৈতিক বড় ভাইদের ফোন দিয়ে নিয়ে আসে। তারা এসে নিউমার্কেট মোড় পুলিশ বক্সে গিয়ে পুলিশ সদস্যদের লাঞ্ছিত করে। খবর পেয়ে কোতোয়ালী থানা থেকে পুলিশের টিম গেলে তাদেরও ধাওয়া দেয় তারা।