৮ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
২৪শে অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 215

ফতুল্লায় নিখোজের ২দিন পর যুবকের লাশ উদ্ধার

নারায়ণগঞ্জের সদর উপজেলার ফতুল্লায় নিখোঁজের দুইদিন পর মাছের খামার থেকে মানিক মিয়া (৩৫) নামে এক ইটভাটার শ্রমিকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (২৮ জানুয়ারী) বেলা ১২টার সময় ফতুল্লার লাঁলপুর এলাকায় বিএনপি’র স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা রিয়াদ মো: চৌধুরীর মাছের খামার হতে মানিকের লাশ উদ্ধার করা হয়। তবে নিহতের পরিবারের অভিযোগ মানিক মিয়াকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করে খামারে ফেলে দেয়া হয়েছে।

নিহত মানিক মিয়া ফতুল্লার ফাজিলপুর এলাকার মৃত সোনা মিয়ার ছেলে। ঘটনার সংবাদ পেয়ে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরন করেন। নিহত মানিক মিয়া বক্তাবলীর বাবুল মিয়ার ইটভাটায় কাজ করে পরিবার নিয়ে বসবাস করে করতো।

এদিকে নিহতের স্ত্রী ডলি বেগম সময় নারায়ণগঞ্জ.কম’কে জানান, বক্তাবলীর বাবুল মিয়ার ইটভাটায় তার তিন মেয়ে এক ছেলে নিয়ে তারা স্বামী-স্ত্রী মিলে কাজ করে ঐ স্থানে বসবাস করে আসছিল। বৃহস্পতিবার সন্ধায় তার স্বামী মানিক মিয়া মাছ ধরার কথা বলে বাসা থেকে বের হয়। এরপর হতে মানিক মিয়া নিখোঁজ হয়ে যায়। টানা দু’দিন যাবত নিখোঁজের পর শনিবার সকালে ফতুল্লার লালপুর এলাকায় বিএনপি নেতা রিয়াদ চৌধুরীর একটি মাছের খামার থেকে তার স্বামীর লাশের সন্ধান পাওয়া যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে সে তার স্বামীর লাশ সনাক্ত করে।

এসময় ডলি বেগম অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার স্বামী মাছ ধরতে বেরিয়ে ছিলেন। তাকে পরিকল্পিত ভাবে-ই হত্যা করা হয়েছে।’

ঘটনাস্থলে যাওয়া ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল উদ্দিন জানান, ‘মানিক মিয়ার লাশ উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরন করা হয়েছে। লাশের ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর কারন জানা যাবে। ’

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যে পুলিশ উসকানি পাবে : বুলবুল

বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল বলেছেন, এটিএন নিউজের দুই সংবাদকর্মীর ওপর হামলা নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল যে বক্তব্য দিয়েছেন, তাতে পুলিশ সদস্যরা উসকানি পাবেন।

শনিবার রাজধানীর শাহবাগে এক প্রতিবাদ সমাবেশ শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন বুলবুল।

ঢাকায় তেল-গ্যাস-খনিজসম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির হরতাল চলাকালে সাংবাদিক নির্যাতনের ব্যাপারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, সাংবাদিক নির্যাতন পুলিশে করে না। মাঝেমধ্যে ধাক্কাধাক্কি লেগে যায়, এটা স্বাভাবিক। আপনারা দুজন বন্ধু যদি একসঙ্গে চলেন ধাক্কাধাক্কি তো লেগেই যায়। এই ধরনের একটা কিছু হয়েছে।

শুক্রবার বিকালে মৌলভীবাজার জেলার শমসেরনগরে শাহ তোরণের ফলক উন্মোচন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

শনিবার সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনায় বেলা ১১টার দিকে প্রতিবাদ সমাবেশ শুরু হয়। শেষ হয় বেলা ১১টা ২০ মিনিটে।

সমাবেশে মুখে কালো কাপড় বেঁধে বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকরা উপস্থিত হন। ওই সময় সাংবাদিকদের বিভিন্ন ধরনের প্ল্যাকার্ড ও ব্যানার নিয়ে দাঁড়াতে দেখা যায়।

সমাবেশ শেষে মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল বলেন, বহুবার গণমাধ্যমকর্মীরা তাঁদের পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন। কিন্তু বিগত সময়ে কোনো সুষ্ঠু বিচার সম্পন্ন হয়নি।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের বিষয়ে বুলবুল বলেন, ওই ঘটনার পর মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যে পুলিশ সদস্যরা উসকানি পেয়ে যাবেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে তাঁর বক্তব্য প্রত্যাহার করতে হবে।

সমাবেশে উপস্থিত এটিএন নিউজের বার্তাপ্রধান মুন্নী সাহা বলেন, নিরস্ত্র সাংবাদিকদের পুলিশ যেভাবে পিটিয়েছে, সেটা মানবতাবিরোধী। এই ঘটনার জন্য যে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে, আশা করা যায়, সে তদন্ত কমিটি সুষ্ঠুভাবে প্রতিবেদন দেবে। মুন্নী সাহা আরো বলেন, আজ এই সমাবেশস্থলে যাঁরা উপস্থিত হয়েছেন, তাঁরা কোনো সাংবাদিক সংগঠনের ব্যানারে উপস্থিত হননি। প্রত্যেকে নিজ নিজ উদ্যোগ এই সমাবেশে এসেছেন।

বৃহস্পতিবার বাগেরহাটের রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধের দাবিতে তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির ডাকা আধা বেলা হরতাল পালন করে। হরতাল চলাকালে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এটিএন নিউজের নিজস্ব প্রতিবেদক এহসান বিন দিদার ও ক্যামেরাম্যান আবদুল আলীম পুলিশি নির্যাতনের শিকার হন। এ ঘটনা তদন্তে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। পাশাপাশি শাহবাগ থানার এক সহকারী উপপরিদর্শককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

শুক্রবার এ ঘটনায় একটি অভিযোগও নিয়েছে পুলিশ। পাশাপাশি হামলার ঘটনায় রাজশাহীতে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ দুঃখ প্রকাশও করেন। এর মধ্যেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ নিয়ে মন্তব্য করেন।

বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যেতে পারে পাকিস্তান!

২০১৯ সালে ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিতব্য ওয়ান্ডে বিশ্বকাপে সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পাকিস্তান অংশ গ্রহণ করতে পারবে কি না, তা নিয়ে বড়সড় প্রশ্নচিহ্ন দেখা দিয়েছে! তবে শেষ পর্যন্ত সুযোগ পেলেও তা সরাসরি নয়, লড়াই করে জায়গা করতে হবে তাদের।

আজহার আলির দলের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স এ বিষয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। চলতি বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আইসিসি ক্রমতালিকায় প্রথম আটটি দল সরাসরি ২০১৯ বিশ্বকাপে যোগ্যতা অর্জন করবে।

পাকিস্তান এখন ৮৯ পয়েন্ট নিয়ে আট নম্বরে আছে। ৮৭ পয়েন্ট নিয়ে একধাপ পেছনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। মার্চে ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে সিরিজ খেলতে যাচ্ছে পাকিস্তান। দুই দলের কাছেই সেই সিরিজটি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে চলেছে।

তবে সবচেয়ে শঙ্কায় রয়েছে পাকিস্তান। কারণ অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে সদ্যসমাপ্ত ওয়ান্ডে সিরিজে ১-৪ ব্যবধানে বিপর্যস্ত হয়েছে পাকিস্তান। এই হারের পর আজহারের অধিনায়ক পদে থাকা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।

কয়েকদিন আগেই পিসিবি চেয়ারম্যান শাহরিয়ার খান বলেছেন, তারা অস্ট্রেলিয়া সফরে দলের পারফরম্যান্স নিয়ে অখুশি। দল দেশে ফিরলে আজহারের অধিনায়কত্ব নিয়ে আলোচনা হবে। সব মিলিয়ে পাক ক্রিকেট ফের সঙ্কটের মুখে।

হরতালে পুলিশি নির্যাতনের শিকার ২ সাংবাদিক

তেল-গ্যাস ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি ডাকা হরতালের সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে পুলিশি নির্যাতনের শিকার হয়েছেন দুই সাংবাদিক।

বৃহস্পতিবার শাহবাগ থানার সামনে কয়েকজন পুলিশ মিলে ওই সাংবাদিকদের নির্মম নির্যাতন করেন। পুলিশের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেয়া হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকালে তেল-গ্যাস ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সুন্দরবন বাঁচানোর হরতালে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ও গরম পানি ছুড়ে মারে। এরপর দফায় দফায় তাদের সঙ্গে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

এসময় পুলিশি অ্যাকশনের ছবি সংগ্রহ করতে গেলে বেসরকারি টেলিভিশন এটিএন নিউজের ক্যামেরাপারসন আব্দুল আলিমের ওপর চড়াও হয় পুলিশ। এ ঘটনায় বাধা দিতে গেলে রিপোর্টার ইশান দিদারকেও বেধড়ক মারধর করা হয়।

এটিএন নিউজের অ্যসোসিয়েট হেড অব নিউজ প্রভাষ আমিন তার ফেসবুক টাইমলাইনে জানান, পুলিশ হরতাল সমর্থকদের পেটাচ্ছিল। তার ছবি তুলছিলেন এটিএন নিউজের ক্যামেরাপারসন আব্দুল আলিম। ‘এ অপরাধে’ পুলিশ শাহবাগ থানার ভেতরে নিয়ে তাকে পেটাতে থাকে। বাধা দিতে গেলে রিপোর্টার ইশান দিদারকেও পিটিয়েছে পুলিশ।

তিনি আরো জানান, ২০/৩০ জন পুলিশ মিলে এই দুই সাংবাদিককে বেধড়ক পিটিয়েছে। এখন তাদের ঢাকা মেডিকেলে নেয়া হয়েছে। আলিমের আঘাত গুরুতর, ইশানের আঘাতও কম নয়।

এদিকে শাহবাগ থানার ওসি আবু বকর সিদ্দিক সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ঘটনার সময় তিনি রাস্তার উল্টোদিকে ছিলেন। ঘটনাস্থল সিসি ক্যামেরায় আওতাধীন, যারা এ ঘটনায় জড়িত তাদের বের করে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

“গোলাম আজমের পক্ষে ছিলেন সম্পাদক ইকবাল সোবহান চৌধুরী” ৩ সম্পাদককে সংসদে তলবের দাবি শামিম ওসমানের

আবুল কালাম আজাদ:প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের চরিত্র হরণ করে সংবাদ প্রকাশ করায় গণমাধ্যমের তিন সম্পাদককে সংসদে তলবের দাবি জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান। একই সঙ্গে গণমাধ্যমের জন্য নতুন আইন প্রণয়নের দাবি জানান তিনি।

বুধবার রাতে দশম জাতীয় সংসদের চতুর্দশ অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাবে সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব দাবি জানান।

আইন প্রণয়নে শামীম ওসমানের এ দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদসহ বেশিরভাগ সংসদ সদস্য। তারা টেবিল চাপড়ে ওই বক্তব্যে সমর্থন জানান।

শামীম ওসমানের বক্তব্য শেষে স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া বলেন, এ চেয়ারে বসে আমি অনেক কিছুই বলতে পারি না। রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাবে না বলে সংশ্লিষ্ট বিধিতে বললে আমি যত ক্ষুদ্র ব্যক্তি হই না কেন রুল জারি করতাম। তবে আপনি কোনো বিধিতে নোটিশ দিলে রুলিং দেব।

বক্তৃতার শুরুতেই মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন হত্যা প্রসঙ্গ তুলে শামীম ওসমান বলেন, যতই আমি-আপনি এখানে শোক জানাই, তিনি আর ফিরে আসবেন না। আমি প্রশ্ন রাখতে চাই জাতির বিবেকের কাছে, সব সংসদ সদস্যের কাছে। আমার প্রশ্ন হল, গুলিবদ্ধি হয়ে লিটন কি মৃত্যুর জন্য বেশি কষ্ট পেয়েছিলেন নাকি তার বিরুদ্ধে কিছু পত্রিকা অপপ্রচার চালিয়েছিল, সেটা ভেবে বেশি কষ্ট পেয়েছিলেন?

তিনি বলেন, লিটনের মৃত্যুতে শোক প্রস্তাব গ্রহণ করার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একথা বলার পরও পরদিন দু-একটি মিডিয়ায় দেখলাম লিটনকে অন্যভাবে চিহ্নিত করার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু কেন?

শামীম ওসমান বলেন, কিছু পত্রিকা হলুদ সাংবাদিকতা করছে। এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন। এসব ঠেকাতে আইন করেন। সময় এসেছে আইন করার। কারণ ওরা খেলতে শুরু করেছে।

নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য বলেন, আমি নিজে মৃত্যু দেখে এসেছি। আজকে এখানে দাঁড়িয়ে আছি, এটা আমার এক্সটেনশন লাইফ। আল্লাহ রাব্বুল আল আমিন আমাকে এ লাইফ দিয়েছেন। ঠিক যেইভাবে আমার নেত্রীকে এ পর্যন্ত ২০ বার দিয়েছেন।

হত্যার উদ্দেশ্যে নিজের ওপর চালানো হামলার কথা উল্লেখ করে শামীম ওসমান বলেন, রক্ত কত গরম, রক্ত কত আগুনের মতো গরম হয় আমি অনুভব করেছিলাম। যখন জ্ঞান ফিরেছিল আমার মনে নাই। আমি সেদিন ভেবেছিলাম এটাই বুঝি আমার কবর। ওই গরমটাকে আমি অনুভব করেছিলাম। ভেবেছিলাম একজন মুসলমান হিসেবে কবরের আজাব শুরু হয়েছে। তবে সেদিন আমি কিন্তু আমার জন্য কষ্ট পাইনি। নিজের জন্য চিন্তা করি নাই। আমি চিন্তা করেছিলাম আমার ছোট মেয়েটা, ছেলেটা, মা, স্ত্রী ও পরিবার-পরিজন নিয়ে। আমি তখন বুঝেছিলাম একজন পিতা কত মহৎ হন। আমি মনে করি আমার বন্ধু লিটন যখন গুলিতে নিহত হয় সে সময় সেও হয়তো নিজের জন্য চিন্তা করেন নাই। কষ্ট পান নাই। কষ্ট পেয়েছিলেন তার বিরুদ্ধে যে মিথ্যা অপপ্রচারটা হয়েছিল সেটা ভেবে।

শামীম ওসমান বলেন, আমি কিছু মিডিয়ার এসব কর্মকাণ্ডের মধ্যে ষড়যন্ত্র দেখতে পাই। এরা কারা! এ পত্রিকাগুলি কারা! আমি নাম ধরেই বলতে চাই। কারণ আমি কাউকে ভয় করি না। এমন কোনো কাজ করি না আল্লাহ রাব্বুল আল আমিন ছাড়া কাউকে ভয় পাব।

তিনি বলেন, এই ডেইলি স্টার, এই প্রথম আলো; এরা কারা? কি কারণে চরিত্র হরণে নেমেছে তারা। আজকে আমি সেই কথাটি বলতে চাই। বন্ধু লিটন নয়। এ সংসদের অধিকাংশ সংসদ সদস্য যারা শেখ হাসিনার বাইরে রাজনীতি করতে চান না। যারা আপস করবেন না। যারা রাইজিং লিডার। প্রতিনিয়ত কোনো না কোনোভাবে তাদের বিরুদ্ধেও লিখা হচ্ছে। সূত্র বলে, অমুককে এমন করে বলা হচ্ছে। আমি নিজে সবচেয়ে বড় ভিকটিম। লং মার্চ, গোলাম আযম এবং নিষদ্ধিপল্লী এই তিনটি কাজ করার পর আমাকে গডফাদার বানানোর চেষ্টা করা হল। এখনো হচ্ছে। ভবিষ্যতে হবে। যখন পারে নাই। তখন বোমা মেরে মারার চেষ্টা করা হল। তারা সেদিন বলেছিল এটি সাজানো নাটক। নাটক করে নিজের গায়ে বোমা মেরেছি, নিজের ২০ জন ভাইকে মেরে ফেলেছি!

তিনি বলেন, ওরা আমার নেত্রীকে মারতে চায়। ২১ আগস্ট তার প্রমাণ। নেত্রীকে মারার চেষ্টা এখনো চলমান আছে।

স্পিকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে শামীম ওসমান বলেন, আমি জানি না এটা আমার শেষ বক্তব্য কিনা? আমি এটাও জানি না, আজকে আপনাকে আমি শেষ দেখছি কিনা। কারণ শকুনীরা চারিদিকে গরম নিঃশ্বাস নিচ্ছে। নিঃশ্বাস নিচ্ছে শেখ হাসিনার অগ্রগতিকে ঠেকিয়ে দেয়ার জন্য।

তিনি বলেন, আমি তাকে (প্রধানমন্ত্রী) খুব ভালোবাসি। আমরা তো সবাই তাকে ভালোবাসি। যারা বেশি ভালোবাসেন তাদের ওপরই আঘাতটা বেশি হচ্ছে। লংমার্চ ঠেকানোর কথা আমি স্বীকার করছি। আমি ঠেকিয়েছি। কিন্তু আটকে দেয়া হয় নাই। লংমার্চের সময় পরিবর্তন করে দেয়া হয়েছিল। কারণ প্ল্যান ছিল ফেনীর কোনো এক জায়গায় খালেদা জিয়ার গাড়ির পিছনে দুটি বাস ছিল। ওই বাসে মাটিকাটা শ্রমিক নেয়া হয়েছিল। বাসটি বোমা মেরে উড়িয়ে দেয়ার প্ল্যান ছিল। উদ্দেশ্য দেশকে অশান্ত করা। এই নিউজ তৎকালীন গোয়েন্দা সংস্থার ফাইল দেখলেই প্রমাণ হবে। আমি নিজে ৬৫ জন মানুষকে বাঁচানোর জন্য নিজের ওপর দায়িত্ব নিয়েছি। আমি তাতে অনুতপ্ত না। আমরা কিন্তু খালেদা জিয়াকে আটকে দেই নাই। বরঞ্চ বিরোধীদলীয় নেত্রী যাতে সঠিকভাবে চিটাগাং যেতে পারেন, সেই ব্যবস্থা করে দিয়েছিলাম। গোলাম আযমকে অবাঞ্ছিত করেছিলাম নারায়ণগঞ্জে। আমি মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। এরকম যদি অবাঞ্ছিত করার ঘটনা সারা দেশে হতো আজকে জঙ্গিবাদের এই চিত্র দেখতে হতো না। এসব করার কারণে ওরা আমাকে আঘাত করেছিল। এতেও আমার কোনো আপত্তি নাই।

তিনি বলেন, জোড় হাত করে বলছি, আমাকে আজকে একটু সময় দিন। আজকে আমি আমার কথা বলতে চাই না। অধিকাংশ সংসদ সদস্যের মনের কথা বলতে চাই। যখন ইচ্ছা তখন একজনের বিরুদ্ধে লিখে দেয়া হচ্ছে। আমি কোথায় বলব।

এ সময় তিনি কিছু কাগজ তুলে বলেন, যদি লিটনকে সেই দিন ১৬৪ বিধিতে কথা বলতে দিতেন। লিটন তার আত্মার তৃপ্তি নিয়ে বলত, আমি এই কাজ করি নাই। আমি যদি না বেরোতাম আমাকে গুলি করে মারত। বাংলাদেশের ৯০ ভাগ সাংবাদিক ভালো মানুষ। যারা ওয়ান-ইলেভেন ঘটাতে চায়, কিছু আঁতেল সুশীল আছেন তারা নতুন করে চক্রান্ত শুরু করেছেন। শেখ হাসিনার প্রশ্নে যারা বিন্দু পরিমাণ আপস করবে না তাদের টার্গেট করা হচ্ছে। চরিত্র হরণ করার ষড়যন্ত্র চলছে। এমনভাবে এটা করা হবে যাতে আগামীতে তারা জনগণের সামনে যেতে না পারে। কিংবা দলের ভিতরে বিতর্কিত করার চেষ্টা হবে। হয়তো দলের ভিতরেও কিছু লোক থাকতে পারে। এইগুলো করার জন্য।

শামীম ওসমান বলেন, এটা হতেই পারে। কারণ মোশতাক তো এ দলের লোক ছিল। আমাদের কোনো ইজ্জত নাই। আমাদের কোনো সমাজ নাই। আমাদের ঘরবাড়ি, বউ-বাচ্চা নাই। আমাদের কিছু নাই। আমাদের রক্তের কোনো দাম নাই। আমরা মরলে কেউ কাঁদে না। আমাদের রক্ত, রক্ত না। আমাদের রক্ত নর্দমার ময়লা পানি। কিন্তু শেখ হাসিনা। উনি কে। উনি তো জাতির জনকের কন্যা। আমরা যারা ‘৭৫-এর পর এসেছি তিনি আমাদের মা হন। মাতৃতুল্য নেত্রী। ওয়ান-ইলেভেনের সময় তার বিরুদ্ধে যারা ছিল তাদের কিছুই হল না। এগুলো কিসের আলামত। তারা কি বিচারের ঊর্ধ্বে। তাদের মতো কিছু সাংবাদিকদের জন্য আজকে সত্যিকারের ভালো সাংবাদিক; যাদের সংখ্যা ৯০ শতাংশের বেশি তারা বিতর্কিত হচ্ছেন।

তিনি আরো বলেন, আমার নেত্রী নীলকণ্ঠী। উনি বিষ হজম করেন। কারণ আমার নেত্রী তার বাবার স্বপ্ন পূরণ করতে চান। যারা দেশের বিরুদ্ধে খেলা খেলে, যারা মানুষের বিরুদ্ধে খেলে, নেত্রী তাদের ব্যাপারে আপস করেন না। কিন্তু যারা উনার বিরুদ্ধে খেলেন তাদের কিন্তু উনি ক্ষমা চাইলেই ক্ষমা করে দেন। কারণ উনি ক্ষমাশীল ও ধৈর্যশীল। আমরা জানি না, ওরা কারা। আমার নেত্রী আজকে নাম বলেন নাই। ওরা নতুন করে ষড়যন্ত্র করছে। বিদেশের মাটিতে মিটিং হয়েছে। দুঃখ ওরা কী করেছে সেটা না, আমার দলের লেবাস পরে আছেন ভালো কথা। সরকারেরও সুযোগ-সুবিধা নেন। উপদেষ্টাও হন। উনার পত্রিকায় গত তিন দিন আগে লেখা হল বিভিন্ন সংসদ সদস্যের নামে, আমার নামসহ। আমি অবাক হলাম। কষ্ট পেলাম। বলে কী এই লোকটা? কে এই লোকটা, উনার ব্যাকগ্রাউন্ড কী? ব্যাকগ্রাউন্ড দেখলাম। ১৯৭০ সালে সলিমুল্লাহ সাহেব ছিলেন স্পোর্টস রিপোর্টার অবজারভারের। উনি মুক্তিযুদ্ধে চলে যান। আর এই ভদ্রলোক তখন এসে তার স্থলাভিষিক্ত হন। ১৯৭১ সালের ৫ মে উনি জয়েন করেন, যখন সবাই যুদ্ধ করছেন। ১৯৭৮ সালে নেত্রী ফেরেন নাই; তখন আমরা তরুণ। রাজপথে দাঁড়িয়ে জিয়াউর রহমানের গাড়ি আটকে দিয়েছি। কষ্ট লাগে, আমরা যখন এ কাজটি করছি। এই ভদ্রলোক কৃপায় টিকে আছেন। মোশতাককে নিয়ে বড় চিন্তা হয়। ভয় লাগে। মনে হয় কোথায় কী জানি একটা ষড়যন্ত্র হচ্ছে। কারণ এই ভদ্রলোক গোলাম আযমের নাগরিকত্ব ফিরিয়ে দেয়ার জন্য যারা সই করেছিলেন, তার মধ্যে অন্যতম। আজকের এই ভদ্রলোক ১৯৭৮ সালে সই দিয়েছিলেন। জামায়াতে ইসলামীর প্রকাশিত ‘গোলাম আযমের সংগ্রামী জীবন’ বইতে লেখা আছে উনি গোলাম আযমের নাগরিকত্ব ফিরিয়ে দেয়ার জন্য সিগনেচার করেছিলেন। এটিও আছে সংগ্রাম পত্রিকায়। এই লোকটা কে? উনি তো আমাদের মধ্যেই ঘোরাফেরা করেন। প্রগতিশীল সাজেন। আর এই সংসদ সদস্যদের মাদকের সম্রাট বানানোর চেষ্টা করেন। উনার নাম ইকবাল সোবহান চৌধুরী।

এ সময় সংসদ সদস্যরা টেবিল চাপড়ে শামীম ওসমানের বক্তব্যকে সমর্থন জানান।

স্পিকারের উদ্দেশে শামীম ওসমান বলেন, যদি আমাদের মধ্যে কেউ একজন অপরাধী হয়, তাহলে তার বিরুদ্ধে তদন্ত হওয়া উচিত। আমাদের স্যাক করা উচিত। সংসদ থেকে বের করে দেয়া উচিত। আপিল করছি। বহু দেখা হয়ে গেছে। তবে এদের কাছে মাথা নত করার লোক আমি না। কারণ আমি আল্লাহকে বিশ্বাস করি। ওদের সাহস বেড়ে গেছে। ওরা শেখ হাসিনাকে নিয়ে বলে। কারণ ওদের কিছু হয় না। ভালো সম্পাদকও তো আছে। অনেক ভালো সম্পাদক আছে। আমাকে একজন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছেন, আমি ডেইলি স্টার প্রথম আলো পড়ি না। আপনার নেতারা কিভাবে ডেইলি স্টারের জন্মদিনের কেক কাটেন! কিভাবে আপনার কোনো নেতা প্রথম আলোর পাঠক ফোরামের নেতা হন। এটি চিন্তার বিষয়। শুনেছি, কোনো এক জায়গায় বসে ষড়যন্ত্র হয়েছে। ১০০ জন এমপির নাম ঠিক করা হয়েছে। সেই এমপিদের বিভিন্নভাবে হেয় করার চেষ্টা করা হবে। এমন সিচুয়েশন সৃষ্টি করা হবে ভবিষ্যতে যাতে তাদের রাজনীতি করা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।

শামীম ওসমান বলেন, ১৬৪ বিধিতে আপনি তো আমাদের জিজ্ঞেস করতে পারতেন। আপনি আমাদের প্রটেকশন দেন। আইদার আমাকে ছেড়ে দেন। সাধারণ মানুষ বানিয়ে দেন। জাস্ট সাধারণ মানুষ বানিয়ে দেন। কারণ আমি যাতে কিছু করলে আমার দল বা নেত্রীর ওপরে না পড়ে। তারপর দেখাব, সাধারণ মানুষের ক্ষমতা কতটুকু। লাখ লোক নিয়ে ওদের অফিসের সামনে আসতে আমাদের বেশি সময় লাগবে না। আমরা এই বাংলাদেশেই বড় হয়েছি।

শামীম ওসমান বলেন, অনুরোধ জানিয়ে বলছি ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। নেত্রীর প্লেনের ইঞ্জিন বিকল হয়। লিটন মারা যায়। সবার বিরুদ্ধে লেখা হয়। পরিস্থিতি এমন কি কেউ করতে চায় যে, সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে বলবে, প্রিয় দেশবাসী, এভাবে দেশ চলতে পারে না। কেউ বলতে চায় কি-না! যদি বলতে চায়, তাহলে আমি বলি আমরা অপপ্রচারে ভয় পাই না।

তিনি বলেন, আমাদের এই তরুণ সংসদ সদস্য যারা আছেন তাদের ধরা হচ্ছে। মন্ত্রীদের ধরা হচ্ছে। আমার মনে হয় আপনি প্রবীণ সংসদ সদস্য হিসেবে, ডেপুটি স্পিকার হিসেবে লিটনের গার্জিয়ান হিসেবে আপনি কিছু বলবেন আমার বক্তব্যের পরে। আমরা চাই এরপর থেকে যদি কোনো সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে লেখা হয়। তাহলে সে যাতে প্রথমে এসে কথা বলতে পারেন। যদি সে দোষী হন ব্যবস্থা নেন। আর যদি না হন, যারা লেখে তাদের ডেকে আনেন। জিজ্ঞাসাবাদ করেন।

চ্যানেল এস ও নিউজ প্রতিদিন ডট নেট এর উদ্যোগে শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ।

দুঃস্থ ও অসহায়দের মাঝে চ্যানেল এস ও নিউজ প্রতিদিন ডট নেট এর উদ্যোগে মহানগর ব্লাড ব্যাংক এন্ড ট্রান্সফিউশন সেন্টারে বুধবার সকাল ১০টায় শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন নিউজ প্রতিদিন ডট নেট এর সম্পাদক মোঃ আবুল কালাম আজাদ,চ্যানেল এস এর স্টাফ রিপোর্টার মোঃ জিয়াউল হোসেন জুয়েল,দৈনিক ডান্ডি বার্তার বার্তা সম্পাদক মোঃ আব্দুল রহিম,মহানগর ব্লাড ব্যাংক এন্ড ট্রান্সফিউশন সেন্টার এর ব্যাপস্থাপনা পরিচালক মাহমুদুল হাসানসহ আরো গণ্যমাণ্য ব্যক্তিবর্গ।

নির্বাচন নিয়ে আগ্রহী হচ্ছে নারায়ণগঞ্জের রাজনৈতিক দলগুলো

স্টাফ রিপোর্ট‍ারঃ হাঁটি হাঁটি পা পা করে আওয়ামী লীগ এখন নির্বাচনের দিকে হাটছে। দলীয় এমপি এবং নেতাদের জনসম্পৃক্ততা বৃদ্ধি, দলীয় বিরোধ মিটানো ও উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডকে দৃশ্যমান করতে দলের হাই কমান্ডের পক্ষ থেকে তাগিদ দেয়া হয়েছে। মাঠে নেমেছে আওয়ামী লীগের নিজস্ব গোয়েন্দা টিম। তারা দলীয় এমপি ও শীর্ষ নেতাদের জনপ্রিয়তা এবং জনগণের সাথে কেমন সম্পৃক্ততা রয়েছে তা নিয়ে কাজ করছে। দ্বাদশ নির্বাচনে দল কাকে মনোনিত করবেন আর কে মনোনয়ন পাওয়ার যোগ্য তা নিয়ে আওয়ামী লীগ কাজ শুরু করে দিয়েছে। দলের তৃনমূল থেকে নানা তথ্য উপাথ্য সংগ্রহ করতে শুরু করেছে বলে আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানাগেছে। নারায়ণগঞ্জ নিয়েও কাজ শুরু করে দিয়েছে আওয়ামী লীগের হাই কান্ড। আগামী নির্বাচনে দল কাকে মনোনিত করবে এ নিয়েও কাজ শুরু করে দিয়েছে। তবে আগামীতে নারায়ণগঞ্জের পাঁটি আসনের জন্য প্রার্থী খুঁজতে শুরু করেছে আওয়ামী লীগ। জাতীয় পার্টির আগামীতে সবগুলো আসনে প্রার্থী দিতে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। পৃথক ভাবে নির্বাচনের লক্ষ্যে পরোক্ষভাবে কাজ শুরু করেছে জাতীয় পার্টির নীতিনির্ধারনী ফোরাম। সব কিছু ঠিক থাকলে নারায়ণগঞ্জেও জাতীয় পার্টিসবগুলো আসনে প্রার্থী দিবে বলে জাতীয় পার্টিও নির্ভরযোগ্যি সূত্রে জানাগেছে। বসে নেই বিএনপিও। রাষ্ট্রপতির সাথে ইসি নিয়ে আলোচনার পর নির্বাচনী প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে বিএনপি। নির্বাচনে অংশ নিতে আগ্রহী নারায়ণগঞ্জের নেতারাও নির্বাচনী প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানাগেছে। বোদ্ধা মহলের মতে, নারায়ণগঞ্জের রাজনৈতিক দলগুলো এখন নির্বাচনী তৎপরতায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে। রাজনৈতিক বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নিয়ে যে ভুল করেছিল তা আর আগামীতে করতে চাচ্ছে না। ফলে বিএনপি নির্বাচনী নিয়ে বেশী আগ্রহী হয়ে উঠেছে। সূত্রমতে, দ্বাদশ নির্বাচন নিয়ে শুধু আওয়ামী লীগেই প্রস্তুতি শুরু হয়নি। বিএনপি ও জাতীয় পার্টিও নির্বাচন নিয়ে ভাবতে শুরু করেছে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগে এই প্রস্তুতি অনেকটা বেশী। আগামীতে দল কাকে মনোনিত করবে, কার জনপ্রিয়তা বেশী, নেতাদের জনপ্রিয়তা কেমন এসব নিয়ে কাজ শুরু করে দিয়েছে আওয়ামী লীগ। নির্বাচনের আগে দলীয় বিরোধ মিটানো এবং অঙ্গ সংগঠনগুলোতে নতুন করে ঢেলে সাজানোরও নিদের্শনা রয়েছে। ইতোমধ্যে আওয়ামী লীগের তাদের প্রায় সবগুলো সাংগঠনিক জেলা কমিটিগঠনে সক্ষম হয়েছে। বাকীগুলোকে নতুন করে সাজাতে কাজ চলছে। তবে আওয়ামী লীগ বরাবরই নারায়ণগঞ্জকে গুরুত্বের সাথে দেখছেন। যদিও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে নারায়ণগঞ্জের কোন নেতাকে স্থান দেয়া হয়নি। তবে নিারায়ণগঞ্জের নেতাদের কোন অংশ কম গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে না। আর এসব কারণে আগামী নির্বাচনের আগে জেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনকে নতুন করে সাজাতে তৎপর হয়েছে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমান্ড। যে কোন সময় জেলা আওয়ামী লীগের পূর্নাঙ্গ কমিটি ঘোষাণা করা হবে। পাশাপাশি নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনগুলোতে নতুনদের হাতে নেতৃৃত্ব তুলে দেয়ারও তৎপরতা চলছে। আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানাগেছে, আগামী নির্বাচনে বর্তমান এমপিদের কর্মকান্ডের উপর নির্ভর করছে আগামীতে দলীয় মনোনয়ন। আওয়ামী লীগের প্রার্থীতার ক্ষেত্রে পরিবর্তনও আসতে পারে বলে জানাগেছে। অপরদিকে, বসে নেই জাতীয় পার্টি ও বিএনপি। জাতীয় পার্টি আগামীতে সবগুলো আসনে প্রার্থী দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। নারায়ণগঞ্জের ৫টি আসনেও জাতীয় পার্টি একক প্রার্থী দিতে পারে বলে জানাগেছে। নারায়ণগঞ্জের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় একাধিক নেতা দলীয় নেতাকর্মীদের সংগঠিত করতে কাজ শুরু করে দিয়েছে। বিএনপি পরোক্ষ ভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচনের জন্য। নারায়ণগঞ্জ থেকে বিএনপির যে সমস্ত নেতা নির্বাচন করতে আগ্রহী সেসব নেতারা নিজ নিজ কর্মী সমর্থকদের সংগঠিত করতে কাজ করে যাচ্ছে। কেন্দ্রীয় লবিংও অব্যাহত রেখেছে কোন কোন নেতা। কমিটি গঠন এবং কমিটিতে স্থান পেতে জেলা বিএনপির একাধিক নেতা নির্বাচনে প্রার্থী হতে তৎপর রয়েছে বলে বিএনপির একাধিক সূত্রে জানাগেছে।

জোয়ার হোসেন জুয়েল এর কুলখানী অনুষ্ঠিত

সিদ্দিরগঞ্জ থানাধীন আইলপাড়া এনায়েতনগরের হযরত শহজালাল (র) জামে মসজিদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মৃত মোঃ জোয়ার হোসেন জুয়েলের কুলখানী তার নিজ বাসভবনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। কুলখানী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন,সমাজ সেবক মোঃ মহসিন ভূইয়া, মোঃ শাহজাহান, মোঃ শহিদুল্লাহ,মোঃ মোতালেব ও আঃ হকসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

মুক্তিযোদ্ধ প্রজন্ম লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে যুবলীগ নেতা খালেকের শোডাউন

স্টাফ রিপোর্টারঃ নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে দায়িত্ব বুঝে নিয়েছেন। ফুলের শুভেচ্ছায় সিক্ত হয়ে প্রথমবারের মতো নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে দায়িত্বভার গ্রহণ করলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন। একই সাথে পরিষদের নব-নির্বাচিত সাধারণ সদস্যরা তাদের নিজ নিজ দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। এদের মধ্যে সংরক্ষিত নারী আসনে সদস্যরাও রয়েছে। আনোয়ার হোসেনের দায়িত্ব গ্রহন অনুষ্ঠানে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে দলীয় নেতাকর্মীরা অংশ গ্রহন করেছে। এই শোডাউনে কুতুবপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারন সম্পাদক দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে শোডাউনে অশ নেয়। প্রায় দুই শতাধিক হোন্ডা বহর নিয়ে তিনি শোডাউন করেন। এ সময় নারায়ণগঞ্জ মহানর মুক্তিযোদ্ধ প্রজন্মলীগের নেতাকর্মীরাও অংশ নেয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন, তরুন লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক রোমান, যুবলীগ নেতা রুবেল, আদর্শনগর ইউনিট আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আ: কাউয়ূম সরকার শাহিন, কুতুবপুর ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক নিশাদ আহমেদ, মহানগর মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মলীগের সভাপতি মাসুম আহমেদ সুমন, সাধারন সম্পাদক রিয়াজ আহমেদ রিপন, সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাহিদ খান, যুগ্ম সম্পাদক সোহেল হোসেন, নূর হোসেন, শেখ সেলিম, আব্দুল আজিজ, সিনবাদ, টিটু,ডা:কামরুল হাসান সরকার প্রমুখ।

সিদ্দিরগঞ্জের এনায়েতনগরবাসী ডাকাত পান্নার অত্যাচারে অতিষ্ঠ

স্টাফ রিপোর্টারঃ সিদ্দিরগঞ্জের এনায়েতনগর এলাকায় তিতাস রোডে কাঁচা বাজার বসিয়ে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে এক ডজন মামলার আসামী ডাকাত সালাউদ্দিন পান্নার বিরুদ্ধে। এতে করে বেপরোয়া এই চাঁদাবাজের কর্মকান্ডের কারনে এলাকার মানুষ অতিষ্ট হয়ে উঠেছে। মানছেনা এলাকার জনপ্রতিনিধি সহ পুলিশ প্রশাসনকেও। একের পর এক অপকর্ম করে পার পেয়ে যাওয়া ডাকাত পান্নার বিরুদ্ধে এলাকার লোকজন ফুঁসে উঠেছে। জানাগেছে, সিদ্দিরগঞ্জের এনায়েতনগর এলাকার তিতাস রোডে কাঁচাবাজার বসিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ চাঁদা আদায় করে আসছে সালাউদ্দিন পান্না ওরফে ডাকাত পান্না। কাঁচাবাজারের ময়লা পানি ও আর্বজনার কারনে নবনির্মিত এই পাকা রোডটি স্যাঁতস্যাঁতে হয়ে ঢালাই নস্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে। সরকারী এই পাকা রোডে প্রায় ১ শত দোকান বসিয়ে প্রতিটি দোকান থেকে প্রতিদিন ৩০ থেকে ৫০ করে চাঁদা আদায় করছে ডাকাত পান্না। এই ব্যাপারে কেউ বাঁধা প্রদান করলেই তার উপর চলে ডাকাত পান্না বাহিনীর নির্যাতন। এই নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে এলাকাবাসী ও এই চাঁদাবাজের সাথে কয়েক দফা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। আহত হয়েছে হয়েছে দু-গ্রুপের প্রায় ১০ জন। এই ঘটনায় এনায়েতনগর তিতাস রোড এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হলে সিদ্দিরগঞ্জ থানা পুলিশ রোড থেকে অবৈধ দোকানপাট উঠিয়ে দেয়। কিন্তু পুনরায় এই পাকা রোডে অবৈধ দোকানপাট বসাবার জন্য পাঁয়তারা করছে ডাকাত পান্না। এই ঘটনায় ৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রুহুল আমির মোল্লা বলেন, আমি সালাউদ্দিন পান্নাকে মেইন রোডে অবৈধ দোকানপাট বসানোর জন্য নিষেধ করার পরও তা কর্নপাত করেনি পান্না। তাই পুলিশ প্রশাসন এই রোড থেকে অবৈধ দোকানপাট সরিয়ে দিয়ে দায়িত্ব পালন করছে। এদিকে এলাকাবাসী জানায়,বহু অপকর্মের হোতা সালাউদ্দিন পান্না ওরফে ডাকাত পান্না আবারও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। পান্নার ছত্রছায়ায় এলাকায় চলছে চুরি ছিনতাই ও মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন অপরাধ মূলক কর্মকান্ড। তার কাজে কেউ বাঁধা হলেই তার কোন রক্ষা নেই। ডাকাত পান্না একেক সময় একেক রূপ ধারণ করে। তার কর্মকান্ডের কারণে এলাকার লোকজন অতিষ্ট হয়ে উঠেছে। এই ডাকাতের বিরুদ্ধে থানায় একাধিক অভিযোগ থাকলেও তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় বেপরোয়া হয়ে উঠেছে ডাকাত পান্না। এই চাঁদাবাজ ডাকাতকে গেপ্তার করা হলে এলাকায় শান্তি বিরাজ করবে বলে মনে করে এলাকার সচেতন মহল।