নিউজ প্রতিদিন: ফতুল্লা থানাধীন বক্তাবলী আকবরনগরের আলোচিত দুই নাম-সামেদ হাজ্বী ও রহিম হাজ্বী। তাদের শত্রুতা দীর্ঘদিনের। মৌসুমে মৌসুমে টেঁটা-বল্লম নিয়ে মাঠে নামে এই দুই হাজ্বীর লোকজন। ইউনিয়নের আকবর বার বার শিরোনামে আসে এই দুই হাজীর কল্যাণে। মামলা-মোকদ্দমায় এক পক্ষ আরেকপক্ষকে ঘায়েলের চেষ্টায় লিপ্ত। দুই গ্রুপের হামলায় বেশ কয়েকজনের প্রাণহানিও ঘটেছে।
এলাকাবাসীর অনুরোধে এই দুই হাজীকে মিলিয়ে দেয়ার উদ্যোগ নেন বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম শওকত আলী। শওকত আলীর এই উদ্যোগে শামিল হন-ফতুল্লা থানার ওসি, ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম সাইফ উল্লাহ বাদলসহ জেলা ও ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) বক্তাবলীর আকবরনগরে সামেদ হাজী ও রহিম হাজীর এই মহামিলন উপলক্ষ্যে ভুড়িভোজেরও আয়োজন করা হয়।
এ আয়োজনে আরও উপস্থিত ছিলেন-ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা শহীদুল্লাহ, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মীর সোহেল আলী, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক শাহ নিজাম, এনায়েত নগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আসাদুজ্জামান, ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মোঃ আবুল হোসেন প্রধান,জেলা পরিষদ সদস্য জাহাঙ্গীর হোসেন, সামেদ আলী, রহিম হাজ্বী সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন-ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগ নেতা মজিবুর রহমান, বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার আতাউর রহমান প্রধান, মনির হোসেন মেম্বার, আকিলউদ্দিন মেম্বার, আমজাদ হোসেন মেম্বার, ওমর ফারুক মেম্বার, জাহাঙ্গীর হোসেন মেম্বার, ফুল চাঁন মাদবর, মন্নাফ দেওয়ান, যুবলীগ নেতা মোঃ আনোয়ার হোসেন, খোরশেদ আলম মাস্টার,আনোয়ার আলী, আক্তারুজ্জামান, খোরশেদ আলম খুশু ও আরব আলী প্রমুখ।
বৈঠকে ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক হাজ্বী শওকত আলী বলেন, যেহেতু দুই পক্ষ মিলে গেছে। আদালত ও পুলিশকে টাকা না দিয়ে যার যার মামলা সে তুলে নিবে। রহিম ও সামেদ শুধু ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি সাধারণ মানুষ ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যারা ঘরে ঘুমাতে পারেনি তারা যেন ঘুমাতে পারে সে ব্যবস্থা করতে হবে।২/৪ জন আছে তারা চাইবে শাম্তি বিনষ্ট করতে। আবার যদি দুই হাজ্বী মারামারি করে আমরা দুই পক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করবো।
মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক শাহ নিজাম বলেন, আপনাদের সন্তানের ভবিষ্যতের কথা ভেবে মারামারি বন্ধ করতে হবে।সর্বোচ্চ ছাড় দিয়ে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হবে।মামলা তুলে নিতে পুলিশকে সবধরনের সহযোগিতা করার আহবান জানান।
ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আসলাম হোসেন বলেন, আমি সর্বোচ্চ পর্যায়ে আলোচনা করেছি। কে কি বললো এটাকে গুরুত্ব না দিয়ে মহিলাদের মুখ গুলো ঠিক রাখতে হবে। তারা একজন আরেকজনকে সহ্য করতে পারেনা। যার যার কাজ সে করবে। মনমানসিকতার পরিবর্তন করতে হবে। তবে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হবে।