নিউজ প্রতিদিন ডট নেট: পবিত্র ঈদুল আজহার আর মাত্র বাকি ১ দিন। ফতুল্লার বক্তাবলী ফেরীঘাট সংলগ্ন হাটে সর্বোচ্চ সংখ্যক কুরবানীর পশু ক্রয় বিক্রয় হবে বলে ক্রেতা-বিক্রেতারা মনে করছেন।
এরই মধ্যে বক্তাবলীর হাটে কেনা-বেচা জমে উঠেছে। মাঠ দখল করা এবং পশুর বাড়তি যত্ন নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন ব্যবসায়ীরা।
এবার বক্তাবলীর পশুর হাট ঈদের দিন সকাল পযর্ন্ত বসবে। সরেজমিনে ঘুরে জানা যায়, বক্তাবলীর হাটের বড় বৈশিষ্ট্য হলো এখানে হাসলির পরিমান খুবই কম এছাড়া এই হাটে আগত ক্রেতা বিক্রেতাদের সার্বিক নিরাপত্তা ও থাকা খাওয়ার সু-ব্যবস্থা পাশাপাশি বর্ষা মৌসুম হওয়ায় প্যান্ডেল করা হয়েছে ফলে বৃষ্টিতে কুরবানীর পশুর ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তাছাড়া কুরবানীর পশুর চিকিৎসার জন্য চিকিৎসকের একটি টিম সবসময় এখানে অবস্থান করবে। বিদ্যুৎ চলে গেলে জেনারেটর এর ব্যবস্থা রয়েছে উপজেলার অন্যান্য পশুর হাটগুলোতে এ ধরনের ব্যবস্থা না থাকায় দূর-দূরান্ত থেকে অধিকাংশ পাইকাররা গরু ছাগল মহিষ ও ভেড়াসহ অন্যান্য কোরবানির পশুর হাটে আসতে শুরু করেছে।
শুক্র ও শনিবার বক্তাবলীর হাটসহ কয়েকটি হাটে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ক্রেতা-ব্যবসায়ীদের আকৃষ্ট করতে এরই মধ্যে প্রচার-প্রচারণা শুরু করেছেন হাটের ইজারাদাররা। ফতুল্লায় ১৭টি কোরবানির পশুর হাটের মধ্যে ১৬টি অস্থায়ী পশুর হাট ১ স্থায়ী পশুর হাট।
বক্তাবলীর হাটে গিয়ে দেখা যায়,দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে গরু নিয়ে আসছেন বেপারীরা।
ফতুল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.আসলাম হোসেন জানান,কোরবানির পশু হাটের নিরাপত্তার জন্য ইতো মধ্যেই হাট ইজারাদারদের সাথে বিশেষ সভা করেছি। এসআই ও এএসআই-এর নের্তৃত্বে ৭ থেকে ৮ সদস্যের একটি টিম হাটে টহল দিচ্ছে।তিনি আরো জানান, ক্রেতা ও বিক্রেতাগণ যাতে নিরাপত্তার সাথে পশু কেনা-বেচা ও টাকা পয়সা লেনদেনকরতে পারে সেটির নিরাপত্তা নিশ্চত করা হচ্ছে।
জাল টাকা শনাক্তের জন্য মেশিন বসানো হয়েছে।হাটে ছিনতাইকারী বা মলম পার্টির দৌরাত্ম্য বন্ধে সাদা পোশাকেও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা টহল দিচ্ছে। তবে হাটে এখনো কোনো টাকা ছিনতাইয়ের খবর পাওয়া যায়নি।