৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২৩শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 98

সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবদলের কর্মী সভা অনুষ্ঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার কারা ও রোগমুক্তি কামনায় দোয়া মাহফিল ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবদলের কর্মী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৯ এপ্রিল শুক্রবার বিকেলে সিদ্ধিরগঞ্জের সানারপাড় এলাকার করিম মার্কেটে এই মাহফিল কর্মী সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের সভাপতি মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ বলেন, দলের কঠিন সময়ে যুবদলকে দায়িত্ব নিতে হবে। নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদল অন্যান্য সংগঠন থেকে ব্যতিক্রম হতে চায়। আগামী দিনে রাজপথের আন্দোলন সংগ্রামে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদল। আপনারা সকলেই নির্ভয়ে রাজনীতি করবেন। আপনাদেরকে হেফাজত করার দায়িত্ব আমাদের। দলে অনেকেই সমকক্ষ থাকতে পারেন। এইজন্য সবাইকে দায়িত্ব দেয়া সম্ভব নয়। দায়িত্ব বন্টনের ক্ষেত্রে কোন ভুল হয়ে থাকলে আমাদেরকে ক্ষমা করবেন।

তিনি আরও বলেন, আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বৃদ্ধ বয়সে কারাবরণ করছেন। বর্তমান সরকার মিথ্যা মামলায় জেলে পাঠিয়ে বেগম জিয়াকে হত্যার ষড়যন্ত্র করছে। দেশনেত্রী খালেদা জিয়া নিজের জীবনকে বাজি রেখে দেশের মানুষের কল্যাণের জন্য কারাবরণ করছেন। তাকে আন্দোলনের মাধ্যমে মুক্ত করতে হবে। আগামী দিনের সকল আন্দোলন সংগ্রামে নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলকে সক্রিয় ভূমিকা রাখতে হবে। সকল কর্মসূচিতেই আপনারা সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করবেন।

নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মমতাজ উদ্দিন মন্তুর সভাপতিত্বে এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি জুয়েল প্রধান, জুয়েল রানা, আমির হোসেন, রিটন দে, গোলাম কিবরিয়া, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক আলী নওশাদ তুষার, ইকবাল হোসেন, আল-আমিন খান, মঞ্জুরুল আলম মুসা, মোকতার ভূইয়া, সোহেল খান বাবু, মিজানুর রহমান, শেখ মোঃ অপু, সহ-সাধারন সম্পাদক শহীদুল ইসলাম, ফয়সাল মাহমুদ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আরমান হোসেন, সহ-কোষাধ্যক্ষ রুবেল হোসেন, সহ-দপ্তর সম্পাদক সোহেল মাহমুদ, সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বাহার, সহ-তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মোঃ তৈয়ম সহ সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবদলের ১০ টি ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।

সাধারণ সম্পাদক মমতাজ উদ্দিন মন্তু বলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদল সু-শৃঙ্খল ও শক্তিশালী দল। অতীতের সকল আন্দোলন সংগ্রামে নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। আপনারা কেউ ধৈর্যহারা হয়েন না। দলের প্রতি ত্যাগ অনুযায়ী সকলকেই মূল্যায়ণ করা হবে। রাজপথের নেতার্মীদেরকেই মূল্যায়ণ করা হবে। কেউ ভুল বুঝবেন না। সকল দিক বিবেচনা করে থানা কমিটি দেয়া হবে।

টিকিট কেটে চোখ দেখালেন প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ তিনি দেশের প্রধানমন্ত্রী। অথচ সাধারণ রোগীর মতোই দশ টাকার টিকিট কেটে আজ চিকিৎসা নিয়েছেন। শুক্রবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে গিয়ে ১০ টাকা দিয়ে টিকিট কেটে চোখ দেখান শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব এহসানুল করিম এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এ সময় তিনি হাসপাতালের বর্তমান কর্মকাণ্ড সম্পর্কে খোঁজ-খবর নেন এবং চিকিৎসক ও নার্সদের ধন্যবাদ দেন।

এর আগেও এভাবে টিকিট কেটে চিকিৎসা নিয়েছেন শেখ হাসিনা। পাঁচ টাকা মূল্যের নির্ধারিত টিকিট কেটে একাধিকবার গাজীপুরের কাশিমপুরে শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেমোরিয়াল কেপিজে হাসপাতালে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়েছিলেন তিনি।

ওই হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে গিয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘আমি যদি কখনও অসুস্থ হয়ে পড়ি, তাহলে আপনারা আমাকে বিদেশে নেবেন না। এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে উঠাবেন না। আমি দেশের মাটিতেই চিকিৎসা নেব। এই হাসপাতালে চিকিৎসা নেব।’

আ.লীগের জনপ্রিয়তা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে : প্রধানমন্ত্রী

রাষ্ট্রপরিচালনায় থাকলে সাধারণত জনপ্রিয়তা হ্রাস পায়, সেখানে বিগত বছরগুলোতে রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ের আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির কার্যনির্বাহী সংসদ ও উপদেষ্টা পরিষদের যৌথ সভার সূচনা বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘সাধারণত রাষ্ট্র পরিচালনা করতে গেলে অনেক সময় সরকার ধীরে ধীরে মানুষের কাছ থেকে হারিয়ে যায় বা তাদের জনপ্রিয়তা হ্রাস পায়। কিন্তু আল্লাহর রহমতে আমরা আওয়ামী লীগ সরকারে আসার পর থেকে জনগণের আস্থা-বিশ্বাস অর্জন করেছি, জনপ্রিয়তা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।’

জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির কারণে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনগণ আওয়ামী লীগকে সমর্থন করেছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এবারের নির্বাচন-যেটা হয়ে গেল যদি নির্বাচনের দিক তাকান, দেখবেন সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ আওয়ামী লীগকে সমর্থন করেছে। যেটা অতীতে কখনো দেখা যায়নি।’

তিনি বলেন, ‘এবার সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ আওয়ামী লীগকে সমর্থন জানায়। এমনকি ব্যবসায়ী সম্প্রদায় ঐক্যবদ্ধ হয়ে আওয়ামী লীগকে সমর্থন করেছে। কৃষক, শ্রমিক, শিক্ষক, ছাত্র- সবচেয়ে বড় কথা যারা প্রথমবারের ভোটার, নবীন ভোটার-সকলেই আওয়ামী লীগ সরকারকে আবারা চেয়েছে, তাদের সেবা করার জন্য মানুষ ভোট দিয়েছে।’

নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াতের ভরাডুবির কারণ বলতে গিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘নির্বাচনকে তারা (বিএনপি-জামায়াত) মনে করেছে ব্যবসা। টিকিট বেচে তারা কিছু পয়সা কামাই করে নিয়েছে কিন্তু নির্বাচনের প্রতি তাদের খুব একটা নজর ছিল না। জাতীয়-আন্তর্জাতিকভাবে যখন সার্ভে (জরিপ) করা হয়েছিল, সেই সার্ভেতে তখন থেকে স্পষ্ট যে আওয়ামী লীগকে জনগণ চায়। জনগণ আওয়ামী লীগকে ভোট দেবে এবং আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় আসবে। বাণিজ্য করার ওপর তারা গুরুত্ব দিয়েছে। যার জন্য তাদের এই হাল।’

বিএনপি-জামায়াত আমলের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ-এগুলোই ছিল তাদের কাজ। আজকে দেশের মানুষ অন্তত শান্তি পাচ্ছে।’

এবারের নববর্ষ সবাই উৎসাহ-উদ্দীপনায় উদযাপন করেছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এবার ব্যাপকভাবে নববর্ষ উদযাপন হয়েছে। শ্রেণি-পেশা নির্বিশেষে সকলে এই উৎসবটা করেছে। আমরা কিন্তু নববর্ষ ভাতাও দিচ্ছি। এ সময় বাংলাদেশকে ক্ষুধা, দারিদ্র্যমুক্ত, উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয় পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি।

জাতির পিতার অবদানের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যুদ্ধবিধ্বস্ত স্বাধীন দেশটা যখন জাতির পিতার নেতৃত্বে উন্নয়নের পথে যাত্রা শুরু করে তখনই ১৫ আগস্টের নির্মম ঘটনা ঘটে। নির্মমভাবে জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যা করা হয়।’

১৫ আগস্ট-পরবর্তী ২১ বছরের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এরপর জাতির জীবনে নেমে আসে অমানিশার অন্ধকার। এ সময় মানুষের কোনো অগ্রগতি হয়নি। কেবলমাত্র আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় আসে তখনই এদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন হতে শুরু করে।’

আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন প্রসঙ্গে টানা তিনবারসহ চারবারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘৯৬ সালে প্রথম ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ, এরপর ২০০৮ সালে নির্বাচনে আবারো বিজয়ী হয়ে সরকার গঠন করি এবং এখন পর্যন্ত রাষ্ট্র পরিচালনা করছি। বাংলাদেশ আজকে ক্ষুধামুক্ত, বাংলাদেশ আজকে দারিদ্র্যমুক্ত হবার পথে। আমরা প্রায় ৪০ ভাগ থেকে ২১ ভাগে দারিদ্র্যের হার নামিয়ে এনেছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। উন্নয়নের ছোঁয়া আজকে গ্রামপর্যায় পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। আজকে গ্রামের মানুষ দারিদ্র্যমুক্ত হচ্ছে, মানুষের আর্থিক সচ্ছলতা বাড়ছে। এটাই জাতির জনকের স্বপ্ন ছিল, যেটা জাতির পিতা চেয়েছিলেন যে বাংলাদেশ হবে ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলাদেশ।’

সভায় আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদ ও উপদেষ্টা পরিষদের প্রায় সকল সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

ডাকাতির প্রস্তুতিকালে দেশীয় অস্ত্র সহ ১ জন গ্রেফতার

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ডাকাতির প্রস্তুতিকালে দেশীয় অস্ত্রসহ ১ ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এসময় আরো ১১ ডাকাত পালিয়ে গেছে বলে জানা গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের নাসিক ৩নং ওয়ার্ডের রসুলবাগে। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান জেলা পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদ। এসময় সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর শাহীন শাহ পারভেজসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক কামরুজ্জামান বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে সিদ্ধিরগঞ্জের ৩নং ওয়ার্ডের রসুলবাগ এলাকায় নব নির্মিত একটি ভবনের ভেতর একটি সংঘবদ্ধ ডাকাত দল ডাকাতির প্রস্তুতিক নিচ্ছে বলে খবর পান। সেই সময় তিনি সংগীয় ফোর্সসহ ওই স্থানে অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় ইসমাইল মিয়া (২০) নামে ১ জনকে গ্রেফতার করতে সমর্থ হয় পুলিশ। এবং অন্যরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায় । এসময় ডাকাতদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় ২টি চাইনিজ কুড়াল, একটি খেলনা পিস্তল ও ৪টি ছুরি। পরে আটকৃতকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানাযায় নাদির (৩০) বিষু (২০), আকাশ (২৬), সুজন (১৯), মাসুদ (২০), শাহ আলম (১৪) সহ অজ্ঞাত ৪/৫ জন পালিয়ে গেছে। তারা দীর্ঘ সময় ডাকাতির কাজের সাথে সম্পৃক্ত বলেও পুলিশের কাছে স্বিকার করেছে আটকৃত ওই আসামী। পলাতক আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও এসপি জানান।

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে তীব্র যানজট

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে মেঘনা টোলপ্লাজা এলাকা থেকে মহাসড়কের দু’প্রান্তে প্রায় ২৫ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। দিনভর অব্যাহতভাবে লেগে থাকা এ যানজটের কবলে পড়ে শতশত পরিবহন যাত্রী চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। অনেক পরিবহন যাত্রী তাদের নির্ধারিত গন্তব্যে পৌঁছতে পায়ে হেঁটে রওনা হন। শুক্রবার সকাল থেকে সৃষ্ট এ যানজট শুরু হয়ে বিকেল চলে। এ সময় যানবাহনগুলোকে থেমে থেমে চলতে দেখা গেছে।

এলাকাবাসী ও পরিবহন মালিক শ্রমিকদের অভিযোগ, শবে বরাতসহ সরকারি তিন দিন ছুটি হওয়ায় যানবাহনের চাপ অন্যদিনের তুলনায় ৪ গুন বেশি বেড়ে গেছে। এছাড়াও মেঘনা সেতুর টোল আদায়ে ধীরগতি, অতিরিক্ত যানবাহন চলাচল, কাঁচপুর সেতুতে গাড়ি বিকল, নতুনভাবে দুটি সেতুর কাজ পরিচালনা করা, সেতুর উপর যাত্রীবাহী বাস বিকল হওয়া ও কাঁচপুর হাইওয়ে থানা পুলিশের দায়িত্ব অবহেলারর কারণে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। যানজট নিরশনে প্রশাসনের পক্ষ থেকে তেমন কোনো কার্যকারি প্রদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে না।

কাঁচপুর হাইওয়ে থানা পুলিশের ওসি কাইয়ুম আলী সরদার জানান, শুক্রবার ছুটির দিন। এছাড়া শবে বরাতসহ তিন দিনের ছুটি থাকায় মহাসড়কে বাড়তি গাড়ির চাপ ছিল বেশি। মেঘনা টোল প্লাজায় টোল আদায়ে ধীর গতির কারণে এ যানজট দীর্ঘ হতে থাকে। শুক্রবার ভোরে কাঁচপুর সেতুতে তিনটি গাড়ি বিকল হওয়ার কারণে যান চলাচল বন্ধ থাকে। ফলে সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে কাঁচপুর থেকে গজারিয়া উপজেলার বাউশিয়া এলাকায় অন্যদিকে সাইনর্বোড ও শনিরআখড়া পর্যন্ত গিয়ে পড়েছে।

শুক্রবার বিকেলে সরেজমিন মোগরাপাড়া চৌরাস্তা এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, তীব্র যানজটের কবলে আটকে আছে শতশত যানবাহন। আধাঘণ্টা পরপর ধীরগতিতে একটু একটু করে যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেলেও তা আবার মুহূর্তের মধ্যে থেমে যাচ্ছে।

নিউ আলিফ কার্গো সার্ভিসের চালক মনোয়ার জানান, অতিরিক্ত পণ্যবাহী গাড়ির চাপ, মেঘনা টোল প্লাজায় ধীরগতিতে টোল আদায় ও মহাসড়কে কাঁচপুর সেতুতে ৩টি গাড়ি বিকল হওয়ায় কাঁচপুর থেকে যানজট দীর্ঘ হতে থাকে। ফলে মহাসড়কে সৃষ্টি হয়ে যানজটে পরিণত হয়।

কাঁচপুর হাইওয়ে থানা পুলিশের ওসি তদন্ত আলী রেজা জানান, সরকারি ছুটিসহ টানা ৩ দিন ছুটি হওয়ায় ঘরমুখো হয়ে পড়ে মানুষ। অনেকে তাদের গ্রামের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয়। অতিরিক্ত যানবাহন চলাচল করার কারণে মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে যানজট সৃষ্টি হয়।

কুতুবপুরে ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারন সভা অনুষ্ঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ কুতুবপুর ইউনিয়ন ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের কার্যালয়ে দোয়া ও সাধারন সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার বিকালে ফতুল্লার আলীগঞ্জে আওয়ামীলীগের কার্যালয়ে দোয়া ও সাধারন সভা অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া ও সাধারন সভায় উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ফতুল্লা থানা যুবলীগের সভাপতি মীর সোহেল আলী, কুতুবপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন, নারায়ণগঞ্জ জেলা কৃষকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল হোসেন, আলীগঞ্জ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সাধারন সম্পাদক হাজী মনির উদ্দিন, আলীগঞ্জ ক্লাবের সাধারন সম্পাদক নুরিসলাম মেম্বার, হাজী মো. নাছির উদ্দিন, নাছির উদ্দিন আল আজাদ, সোরহাব, হাজী আমির হোসেন, মাছুম, বাদলসহ আওয়ামীলীগের অঙ্গসংগঠনের নেতা কর্মীরা।

নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ফতুল্লা থানা যুবলীগের সভাপতি মীর সোহেল আলীর পক্ষ থেকে ফতুল্লা ইউনিয়ন বৃহত্তর ১, ২ ও ৩নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ মোঃ মেহেদী হাসান শাহিন এর নেতৃত্বে ফতুল্লা মডেল থানার নব নিযুক্ত অফিসার ইনচার্জ জনাব আসলাম হোসেনকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ জনি, যুগ্ম সম্পাদক সৈয়দ আজিজুল রহমান তমাল, এনায়েতনগর ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা সোহেল মাদবর, কুতুব ইউনিয়ন ৭নং ওয়ার্ড আওমী যুবলীগের আহবায়ক মোঃ আরিফ জং, যুগ্ম আহবায়ক সৈয়দ মোঃ সাইদুর রহমান তুহিন, যুবলীগ নেতা বিল্লাল, রহমান, মোঃ মাসুম, নাজমুল ও ইব্রাহিম প্রমুখ।

সম্পত্তি আত্মসাৎ’র অভিযোগে চরমোনাই পীরের বিরুদ্ধে মামলা

স্টাফ রিপোর্টারঃ
চরমোনাইর পীর সৈয়দ মোঃ রেজাউল করিম সহ ৩৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ন্যায্য সম্পত্তি বুঝিয়ে না দেয়ায় ১৮ এপ্রিল(বৃহস্পতিবার) চরমোনাইর সাবেক পীর মরহুম সৈয়দ মোঃ এছাহাক (রাঃ) ছেলে সৈয়দ রশীদ আহমদ ফিরদাউস বাদী হয়ে বরিশাল সদর সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। মামলা নং-২২৮/২০১৮। আদালতের বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে পরবর্তী আদেশের জন্য রেখে দেন|

মামলায় অন্যান্য বিবাদীদের মধ্যে রয়েছেন,চরমোনাইর সাবেক পীর মরহুম সৈয়দ মোঃ এছাহাক (রাঃ) ছেলে সৈয়দ মোঃ মোবারক করিম,চরমোনাইর সাবেক পীর মরহুম সৈয়দ মোঃ ফজলুল করিমের ছেলে বর্তমান পীর সৈয়দ মোঃ রেজাউল করিম তার ভাই সৈয়দ মোঃ মমতাজুল করিম মোস্তাক,সৈয়দ মোঃ মোছাদ্দেক বিল্লাহ্, ইসলামি আন্দোলনের নায়েবে আমীর সৈয়দ মোঃ ফাইজুল করিম,সৈয়দ মোঃ জিয়াউল করিম,চরমোনাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ আবুল খায়ের মোঃ ইসহাক, সৈয়দ নুরুল করিম ও সৈয়দা আফিফা খাতুন সহ ৩৩ জন। আদালতের বরাত দিয়ে আইনজীবী আজাদ রহমান জানান,বরিশাল সদর উপজেলার জে.এল ৯২নং মৌজায় চরমোনাই বিভিন্ন খতিয়ান ও দাগে বাদীর ২.৬৫ একর জমি বন্টন নিয়ে বিবাদী ঘুরতে থাকে।

পরে জমির কথা অস্বীকার করায় আদালতে বন্টন মামলা দায়ের করেন চরমোনাইর সাবেক পীর মরহুম সৈয়দ মোঃ এছাহাক (রাঃ) ছেলে সৈয়দ রশীদ আহমদ ফিরদাউস। মামলার নথিসূত্রে প্রকাশ, বরিশাল সদর উপজেলার অন্তর্গত জে. এল. ৯২নং চরমোনাই মৌজায় এস. এ. রেকর্ডীয় সৈয়দ মোঃ এছহাক তার জীবমানে তিন বিবাহ করেন। ১ম স্ত্রীর গর্ভে এবং সৈয়দ মোঃ এছাহাকের ঔরষে ২ ছেলে সৈয়দ মোঃ মোবারক করিম, সৈয়দ মোঃ ফজলুল করিম এবং ৩ কন্যা সৈয়দা মোসাঃ আনোয়ারা বেগম, সৈয়দা মোসাঃ নুরজাহান বেগম, সৈয়দা মোসাঃ মমতাজ বেগম জন্মগ্রহণ করেন।

সৈয়দ ফজলুল করিম ইন্তেকাল করলে ৮ জন ওয়ারিশ, সৈয়দা আনোয়ারা বেগমের লোকান্তরে ৩ জন ওয়ারিশ, সৈয়দা মোসাঃ নুরজাহান বেগমের লোকান্তরে ৮ জন ওয়ারিশ, সৈয়দা মোসাঃ মমতাজ বেগমের লোকান্তরে ৬ জন ওয়ারিশ থাকেন। সৈয়দ মোঃ এছহাকের ২য় স্ত্রী ছালেহা খাতুনের গর্ভে এবং সৈয়দ মোঃ এছহাকের ঔরষে ২ কন্যা মোসাঃ হুরুন্নেছা বেগম এবং মোসাঃ সৈয়দা মনিরুন্নেছা জন্মগ্রহণ করেন। মোসাঃ হুরুন্নেছা বেগমের লোকান্তরে ৩ জন ওয়ারিশ থাকেন।

সৈয়দ মোঃ এছহাকের ৩য় স্ত্রী আমেনা বেগমের গর্ভে এবং সৈয়দ মোঃ এছহাকের ঔরষে ৩ পুত্র ১ কন্যা জন্মগ্রহণ করেন। উল্লেখিত মতে বাদী সৈয়দ মোঃ এছহাকের পুত্র হিসাবে বিরোধপূর্ণ জমিতে ২.৬৫ একর ভূমিতে স্বত্ববান মালিক দখিলকার বিদ্যমান থাকেন। এই ২.৬৫ একর ভূমি নিয়েই বিরোধ। বিভাজ্য ভূমির পরিমাণ ২৬.২৪ একর।

যার মধ্যে বিরোধীয় ভূমির পরিমাণ ২.৬৫ একর। বিরোধীয় ভূমি এযাবৎকাল আদালতের মাধ্যমে বন্টন হয়নি। এ নিয়ে নিয়মিত বিবাদ সৃষ্টি হলে ভূমি আপোষে বন্টন কওে দেয়ার জন্য অনুরোধ করলে ঘুরাইয়া অবশেষে গত ৬ জুলাই পরে জমির কথা অস্বীকার করায় এই মামলাটি দায়ের হয়।

অবশেষে কাউন্সিলর ডিস বাবু গ্রেফতার

অবশেষে চাঁদাবাজ মামলায় ১৭ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আব্দুল করিম বাবু ওরফে ডিস বাবুকে গ্রেফতার করেছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা গোয়ান্দা শাখা পুলিশ (ডিবি)।

বৃহষ্পিতবার দুপুর আড়াই টায় শহরের পাইকপাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

আটককের বিষয়টি নিশ্চিত করে ডিবির ইন্সপেক্টর এনামুল হক জানান,বন্দর থানার একটি চাঁদা বাজি মামলায় ডিস বাবুকে আটক করা হয়েছে। তাকে এখন বন্দর থানায় হস্তান্তরের জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

মামলা সূত্রে জানা যায়,ডিস ব্যবসা কেন্দ্র করে হাসান নামে এক ডিস ব্যবসায়ী কাউন্সিরর বাবুর বিরুদ্ধে একটি চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করেন। সেই মামলাই ডিস বাবুকে আজ গ্রেফতার করা হয়।

মুন্সীগঞ্জের বালুরচরে ২১৬ ক্যান বিয়ারসহ আহসান হাবীব গ্রেফতার

মুন্সীগঞ্জের সিরাজদীখান থানাধীন মোল্লাকান্দি বালুরচর এলাকা থেকে ২১৬ ক্যান বিদেশী বিয়ারসহ মোঃ আহসান হাবীব (৪০) নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১১।
গত মঙ্গলবার রাত পৌনে ১২টার দিকে অভিযান চালিয়ে ওই মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়।

মাদক ব্যবসায়ী আহসান হাবীব ওই এলাকার হেলাল উদ্দিন মুন্সির ছেলে।

এক ই-মেইল বার্তায় র‌্যাব-১১ জানায়, আহসান হাবীব এলাকায় দীর্ঘদিন যাবৎ মাদকদ্রব্য বিক্রি করে আসছিলো। বতার বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে মুন্সিগঞ্জ জেলার সিরাজদিখাঁন থানায় একটি মামলা হয়েছে। আর এই ঘটনায় মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখাঁন থানায় ২০১৮ সনের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে তার বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে।

বক্তাবলীর ব্যবসায়ী সেলিম চৌধুরীর হত্যাকারী মোহাম্মদ আলী ও সোলেমান ৩ দিনের রিমান্ডে

বক্তাবলীর ঝুট ব্যবসায়ী কামরুজ্জামান সেলিম চৌধুরীকে (৫২)পূর্বপরিকল্পিত ভাবে হত্যা করে মাটিতে পুতে রাখার ঘটনায় গ্রেফতার হওয়ায় হত্যাকান্ডের মূলহোতা মোহাম্মদ আলীসহ দুইজনকে ৩দিন করে রিমান্ড নিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ ৭দিন রিমান্ড আবেদন করে আদালতে প্রেরণ করলে বিজ্ঞ আদালত তাদেরকে ৩দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। সোমবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের একটি আদালতে রিমান্ড শুনানী শেষে আদালত রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এরআগে শুক্রবার একই হত্যাকান্ডে মোহাম্মদ আলীর কর্মচারী ফয়সাল (২৮) হত্যার দায় স্বীকার করে নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মো.কাউছার আলমের আদালতে ১৬৪ ধারা জবানবন্দি দিয়েছে।

নিহত কামরুজ্জামান সেলিম ওরফে সেলিম চৌধুরীর বাড়ি ফতুল্লার বক্তাবলী কানাইনগর এলাকার মৃত সামছুল হুদা চৌধুরীর ছেলে। আর সেলিম চৌধুরী হত্যাকান্ডের মূলহোতা মোহাম্মদ আলী আলীরটেক ইউনিয়নের ডিগ্রিরচর এলাকার সালাউদ্দিনের ছেলে ও সোলয়মান গোপালনগর এলাকার বাসিন্দা।

নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক হাবিবুর রহমান মোহাম্মদ আলী ও সোলয়মানের তিনদিন করে রিমান্ড মঞ্জুরের বিষয়ে সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ব্যবসায়ী সেলিম চৌধুরী হত্যাকান্ডের ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া মোহাম্মদ আলী ও সোলয়মানকে ৭দিন করে রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ আদালতে প্রেরণ করে। সোমবার রিমান্ড শুনানীতে আদালত তাদেরকে তিনদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

মামলার তদন্তকারী অফিসার ফতুল্লা মডেল থানার পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এস আই) মামুন আল আবেদ জানান, ব্যবসায়ী সেলিম চৌধুরীর দুই লাখ টাকা আত্মসাত করতে পূর্বপরিকল্পিত ভাবে সেলিম চৌধুরীকে মোহাম্মদ আলী তার লোকজন নিয়ে নির্মম ভাবে হত্যা করে মোহাম্মদ আলীর গোডাউনে মাটিতে পুতে রাখে। লাশে পাশে চুন দিয়ে রাখে যাতে করে লাশ মাটির সাথে মিশে যায়।

মোহাম্মদ আলীর পরিকল্পনা মোতাবেক ৩১ মার্চ বিকেলে সেলিম চৌধুরীকে মোহাম্মদ আলীর ফতুল্লার ভোলাইলের ঝুটের গোডাউনে মাথায় লোহার রড দিয়ে আঘাত করে হত্যা করে। এরপর মোহাম্মদ আলী, ফয়সাল, আলী হোসেন ও সোলয়মানসহ ৪জন মিলে সেলিমের হাত পা বেধে উলঙ্গ করে প্লাষ্টিকের বস্তায় ভরে রাখে। পরে গোডাউনের ভিতরে একটি গর্ত করে মাটিতে পুটে রাখে।

তিনি আরো জানান, সেলিমকে যেখানে মাটি চাপা দেয়া হয়েছে সেখানে চৌকি রেখে ৯দিন ফয়সাল ঘুমিয়েছে। ১০দিনের দিন ১০ এপ্রিল মোবাইল ট্র্যাকিং করে সেলিমের নিখোঁজের সময়কার অবস্থান নিশ্চিত করে এবং ভোলাইল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন মোহাম্মদ আলীর ঝুটের গোডাউনে অভিযান চালিয়ে হত্যাকান্ডের মূলহোতা মোহাম্মদ আলী, সোলয়মান ও ফয়সালকে আটক করা হয়। তাদের দেওয়া স্বীকারোক্তিতে মাটি খুঁড়ে বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করা হয়।