৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২৩শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 99

শামীম ওসমান ও এসপি হারুনের নববর্ষ পালন

বাংলা নববর্ষের প্রথম দিনে প্রথমবারের মতো বিরল এক দৃশ্য ধরা দিলো। সাম্প্রতিক সময়ে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ আর নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি শামীম ওসমানের সাথে সম্পর্কে টানাপোড়ন চলছে এমন কথা চাউর হয়েছিলো। তবে নতুন বছরে সেসব জল্পনা কল্পনা উড়িয়ে দিয়ে পুলিশ সুপারের বাসভবনে বৈশাখী উৎসব অনুষ্ঠানে হাজির শামীম ওসমান। তাকে দেখে উপস্থিত অন্য অতিথিরাও বেজায় খুশি।

অবশেষে এসপি হারুনের অতীতে করা দাবিই সত্যি প্রমাণিত হলো। এসপি হারুন দাবি করে আসছিলেন, তার সাথে জেলার সকল এমপির সাথে সম্পর্ক ভালো।

শামীম ওসমান এসপি হারুনের বাসভবনে ঢুকেন দুপুর দেড়টার দিকে। বাংলা নববর্ষে উৎসবের মাত্রাটা যেন আরো বেড়ে গেলো।

এসপি হারুনও কম যাননা। নববর্ষ উপলক্ষে শতভাগ বাঙালিয়ানা উৎসবের আয়োজন ছিলো তার বাসভবনে। ত্রিশ পদের ভর্তা, পান্তা-ইলিশ, কাঠাল, আতাঁফল আর দেশীয় ফল রাখা হয় ভোজন অনুষ্ঠানে। এমনকি ফুচকা, চটপটি আর চা-কফির ব্যবস্থা তো ছিলোই। ভ্যানগাড়িতে ছিলো ডাবও। ডাব কেটে দুজন পরিবেশন করছিলো সবাইকে।

ছিলো সাপখেলা, বানর খেলা আর ম্যাজিক দেখিয়ে উপস্থিত অতিথিদের বিনোদন দেয়া। পুলিশ সুপারের এমন আয়োজনে অভিভূত করে সবাইকে।
সবশ্রেণি পেশার মানুষের মিলনে নানা আনন্দ আয়োজনের মধ্য দিয়েই পালিত হলো নতুন বছরের প্রথম দিন। সামাজিক সব অনাচারের বিরুদ্ধে মানুষের মনে শুভবোধ জাগিয়ে তোলার মানসেই যেন পুলিশ সুপারের এমন ভিন্নধর্মী আয়োজন।

এদিকে এমন আয়োজনে শামিল হোন এমপি শামীম ওসমান, জেলা প্রশাসক রাব্বী মিয়া, নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাব ও নারায়ণগঞ্জ জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দসহ জেলার সরকারি অফিসের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ বিশিষ্ট জনেরা।

শামীম ওসমান অনুষ্ঠানে এসে প্রায় এক ঘন্টা অবস্থান করেন। এসপি, তাঁর পত্নীসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা শামীম ওসমানকে অভ্যর্থনা জানান। অভ্যর্থনার সময় এসপি পত্নী শামীম ওসমানকে উদ্দেশ্য করে বলেন, বোনের বাড়িতে ভাই আসবে এটিই তো স্বাভাবিক। এরপর শামীম ওসমান অনুষ্ঠান স্থলে এসে কিছুক্ষণ নারায়ণগঞ্জ জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আবদুস সালামের সাথে গল্প করেন। এসময় সমসাময়িক নারায়ণগঞ্জ পরিস্থিতি নিয়ে তিনি তাঁর সাথে কথা বলেন। এরপর শামীম ওসমান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই, পিপি ওয়াজেদ আলী খোকন এবং পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ খেতে বসেন। সবাইকে এক টেবিলে দেখে নতুন বছরে নারায়ণগঞ্জে স্বস্তির সুবাতাস বইতে শুরু করলো বলেও উপস্থিত অনেকে মন্তব্য করেন। খাওয়া শেষে শামীম ওসমান আর বেশিক্ষণ দেরী করেননি। পুলিশ সুপার ও তাঁর পত্নী শামীম ওসমানকে বিদায় বেলায় এগিয়ে দিতে আসেন।

পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের বাসভবনে বৈশাখে অনুষ্ঠানে ছিলেন প্রেসক্লাবের সভাপতি এডভোকেট মাহবুুবুর রহমান মাসুম, সাধারণ সম্পাদক হাসানুজ্জামান শামীমসহ অন্যান্য সাংবাদিকগণ। শামীম ওসমান আসার আধাঘন্টা আগে অনুষ্ঠানস্থলে আসেন চ্যানেল আইয়ের বিশেষ প্রতিনিধি ও যুগের চিন্তা পত্রিকার সম্পাদক আবু আল মোরছালীন বাবলা। খাবার পর্ব শেষে পুলিশ সুপারের সাথে মোরছালীন বাবলা কিছুক্ষণ কথা বলতে দেখা যায়।

এছাড়া এসপির বাসভবনে আয়োজন করা বৈশাখী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, জেলা যুব লীগের সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কাদির, বন্দর আওয়ামী লীগের সভাপতি এমএ রশিদসহ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ।

নারায়ণগঞ্জের সর্বস্তরের মানুষকে নিয়ে পুলিশ সুপারের এমন আয়োজনকে সবাই সাধুবাদ জানিয়েছেন সবাই। কঠোর নিরাপত্তা আর নানা নিয়ম কানুনের বেড়াজালের মধ্য দিয়ে নারায়ণগঞ্জবাসী উদযাপন করছে নতুন বছরকে। লাল-সাদা পোশাকে কিবা বাঙালির প্রিয় পোশাক পাঞ্জাবি আর শাড়ি পরে সব বয়সী নারী-পুরুষরা আনন্দে মেতেছেন। পুলিশ সুপারের বাসভবনে ঢাক, ঢোল, গান আর ব্যতিক্রমী আয়োজন উৎসবের মাত্রাকে আরো বাড়িয়ে দিয়েছে।

বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে ফতুল্লাবাসীকে শওকত চেয়ারমানের শুভেচ্ছা

১লা বৈশাখ ১৪২৬ ও বাংলা শুভ নববর্ষ উপলক্ষে ফতুল্লাবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান,ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও নিউজ প্রতিদিন ডট নেটের প্রধান উপদেষ্টা আলহাজ্ব মো.শওকত আলী।

শনিবার(১৩ এপ্রিল)বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের সচিবের মাধ্যমে তিনি ফতুল্লাবাসীকে এ শুভেচ্ছা জানান।

ফতুল্লাবাসীর সুখ সমৃদ্ধি কামনা করে শওকত আলী বলেন,আমি ফতুল্লা তথা দেশবাসী সকলের সুখ, শান্তি,সমৃদ্ধি ও সুস্বাস্থ্য কামনার পাশাপাশি আমার প্রিয় ফতুল্লাবাসীকে বাংলা নববর্ষের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।

ব্যবসায়ী সেলিম চৌধুরীর খুনিদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন

বক্তাবলীর কানাইনগর এলাকার ব্যবসায়ী সেলিম চৌধুরীর খুনিদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন করা হয়েছে। শনিবার (১৩ এপ্রিল) সকালে নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে নিহতের পরিবার ও বক্তাবলীর বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন এ মানববন্ধনের আয়োজন করে।

মানববন্ধনে নিহত ব্যবসায়ীর স্ত্রী রেহেনা আক্তার রেখা বলেন,ব্যবসায়ী সেলিম চৌধুরীকে যারা নির্মমভাবে হত্যা করেছে সেই খুনিরা যাতে কিছুতেই পার না পায়। সেলিমের খুনিরা যদি কোনোভাবে পার পেয়ে যায় তাহলে আমার একমাত্র ছেলে সন্তানকে নিয়ে নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়া শহীদ মিনারে আত্মহত্যা করব। আমার স্বামীর হত্যাকারী মোহাম্মদ আলীসহ তার সহযোগিদের ফাঁসি চাই।

তিনি আরও বলেন,আমার স্বামী একজন সহজ সরল ব্যক্তি ছিলেন। কারও সঙ্গে উচ্চস্বরে কথা বলেননি। এমনকি কারও সঙ্গে ঝগড়া করেননি। আমার স্বামী মোহাম্মদ আলীকে দুই লাখ টাকা ধার দিয়ে কী অপরাধ করেছিল? যার কারণে সেই টাকা আত্মসাৎ করতে মোহাম্মদ আলী তার সহযোগিদের নিয়ে নির্মমভাবে তাকে হত্যা করলো। আমি চাই খুনি মোহাম্মদ আলী গংরা যাতে কিছুতেই বের হতে না পারে সেজন্য নারায়ণগঞ্জের প্রশাসনের প্রতি আমার বিশেষ অনুরোধ থাকবে।

মানববন্ধনে একাত্মতা প্রকাশ করেন বক্তাবলীর সামাজিক সংগঠন আলোকিত বক্তাবলী,বক্তাবলী ওয়েল ফেয়ার ট্রাস্ট,এবি ফ্রেন্ড অ্যাসোসিয়েশন ও অগ্রযাত্রার নেতৃবৃন্দ।

এসময় মানববন্ধন উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক জামাল উদ্দিন বারী,নারায়ণগঞ্জ কলেজের সাবেক ভিপি আলমগীর হোসেন,স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা খোরশেদ মাস্টার,বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য রাসেল চৌধুরী,আলোকিত বক্তাবলীর সভাপতি নাজির হোসেন,
বক্তাবলী ওয়েল ফেয়ার ট্রাস্টের সভাপতি আলামিন ইকবাল,সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান ফকির, আলোকিত বক্তাবলীর সাধারণ সম্পাদক মো.আবুল কালাম আজাদ,সাংগঠনিক সম্পাদক বাদল হোসেন ববি ও নিহত সেলিম চৌধুরীর মা মমতাজ বেগম, ছেলে রিতুল চৌধুরী প্রমুখ।

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ১১ টি হাট, ঘাট ও বাজারের টেন্ডার সমপন্ন

নিউজ প্রতিদিন: নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ১১ টি হাট, ঘাট ও বাজারের টেন্ডার সমপন্ন হয়েছে। (১১ এপ্রিল ২০১৯) বৃহস্পতিবার দুপুর ২ টায় ইউএনও কার্যালয়ে টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়।

সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদা বারিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত টেন্ডারে উপস্থিত ছিলেন,বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজ্বী মোঃ শওকত আলী, এনায়েত নগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আসাদুজ্জামান,উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আব্দুল গফফার,বিআরডিবি কর্মকর্তা বেলাল হোসেন,পিআইও আনোয়ার হোসেনসহ কমিটির সদস্যবৃন্দ।

ডিগ্রীরচর বাজার ইজারাপান আবু সালেহ আহম্মেদ খোকন,বক্তাবলী বাজার ইজারাপান আব্দুস সামাদ, ডিগ্রীরচর গুদারাঘাট পান আওলাদ হোসেন,বক্তাবলী গুদারাঘাট ইজারাপান সাব্বির আহম্মেদ,ফতুল্লা পিলখানা পশু জবাইখানা পান রাসেল চৌধুরী।

১১ টি হাট ও বাজার,ঘাট ও গুদারাঘাটের মধ্যে ৮ টির টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ হয়। বাকি ৩ টি সরকারী মূল্যের চেয়ে কম হওয়ায় দ্বিতীয় দফায় আবারো টেন্ডার হবে।

এবারই প্রথম সদর উপজেলায় ফতুল্লা পশু (পিলখানা) জবাই খানা প্রকাশ্যে টেন্ডার অনুষ্ঠিত হয়। সরকারী মূল্য ছিল ৪৮ হাজার টাকা। সর্বোচ্চ ৭২ হাজার টাকা দিয়ে নেন রাসেল চৌধুরী।

বক্তাবলীর সেলিম চৌধুরীর জানাযা সমপন্ন

ফতুল্লার কাশিপুর ভোলাইল এলাকায় নির্মম ভাবে নিহত বক্তাবলীর কানাইনগর গ্রামের বাসিন্দা ঝুট ব্যবসায়ী কামরুজ্জামান চৌধুরী সেলিমের জানাযা নামাজ শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। (১১ এপ্রিল ২০১৯) বৃহস্পতিবার বাদ আছর কানাই নগর স্কুল মাঠে জানাযা নামাজ শেষে চৌধুরী বাড়ির পারিবারিক কবর স্থানে দাফন করা হয়।

খুনী মোহাম্মদ আলী বাহিনীর হাতে নির্মম ভাবে নিহত কামরুজ্জামান চোধুরী সেলিমের জানাযায় উপস্থিত ছিলেন কৃষি মন্ত্রনালয়ের চীফ ইঞ্জিনিয়ার হাফিজুল্লাহ চোধুরী,বাংলাদেশ নীট মালিক এসোসিয়েশনের সভাপতি আবু তাহের কালাম চৌধুরী,ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক মোঃ শহীদুল্লাহ, পঞ্চায়েত প্রধান শহীদুল্লাহ ফকির, নাসিরউদ্দিন মাদবর,বক্তাবলী ইউপি মেম্বার রাসেল চৌধুরী সহ সর্বস্তরের ৩/৪ হাজার লোক উপস্থিত হন।

উল্লেখ্য গত ৩১ মার্চ ফতুল্লার শিবু মার্কেট লামাপাড়ার ভাড়া বাসা হতে ব্যবসার উদ্যেশ্যে বের হন কামরুজ্জামান চৌধুরী সেলিম। ৬ এপ্রিল ফতুল্লা মডেল থানায় জিডি করেন। ৮ মার্চ অপহরণ মামলা দায়ের করেন। ১০ এপ্রিল বিকালে ভোলাইলে খুনী মোহাম্মদ আলীর ঝুটের গোডাউন হতে নিখোঁজের ১০ দিন পর বস্তা লাশ উদ্ধার করে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ। প্রধান খুনী মোহাম্মদ আলী, ফয়সালসহ ৩ জনকে আটক করে পুলিশ।

শান্ত ও নিরীহ প্রকৃতির ঝুট ব্যবসায়ী কামরুজ্জামান চৌধুরী সেলিমের লাশ বক্তাবলী পৌছলে শোকের ছায়া নেমে আসে। কানাইনগর গ্রামে পৌছলে স্বজনদের কান্নায় আকাশ ভারী হয়ে উঠে। শোকে মূহ্যমান হয়ে পড়ে মানুষ।দুর দুরান্ত হতে লোকজন ছুটেঁ আসে জানাযায়।

বক্তাবলীর সেলিম চৌধুরীর নিখোঁজের ১০দিন পর লাশ উদ্ধার,আটক-১

ফতুল্লায় নিখোঁজের ১০ দিন পর ব্যবসায়ী কামরুজ্জামান চৌধুরী সেলিম চৌধুরীর (৫২) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পাওনা টাকা চাইতে এসে সেলিম চৌধুরীকে নির্মম ভাবে হত্যা করে বস্তাবন্দি করে মাটিতে পুতে রেখেছিল । আর পুলিশ মাটি খুড়ে সেলিম চৌধুরীর লাশ উদ্ধার করা হয়।

বুধবার (১০ এপ্রিল) বিকেলে ফতুল্লার কাশীপুর ভোলাইলের একটি ঝুটের গোডাউন থেকে ওই লাশটি উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় ফয়সালকে (২৯) আটক করা হয়েছে। আর তার দেওয়া তথ্য মতেই মাটি খুঁড়ে বস্তাবন্দী অবস্থায় লাশটি উদ্ধার করা হয়।

নিহত ব্যবসায়ী সেলিম চৌধুরী ফতুল্লার বক্তাবলীর কানাইনগর এলাকার মৃত শামসুল হুদার ছেলে।
নিহতের স্ত্রী রেহেনা আক্তার রেখা জানান,সেলিম মূলত গার্মেন্টের থান কাপড় ও ঝুট ব্যবসা করতেন।

তাদের বাড়ি বক্তাবলীর কানাইনগর এলাকায় হলেও সে ব্যবসার সুবিধার্থে ফতুল্লার শিবু মার্কেট এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করেন। গত ৩১ মার্চ সকালে বাসা হতে ব্যবসার কাজের উদ্দেশ্যে তিনি বের হয়ে যান।

ওইদিন বেলা ১১টার দিকে সেলিম চৌধুরীর স্ত্রী রেখা মোবাইল ফোনে তার স্বামীর অবস্থান জানতে চাইলে সেলিম চৌধুরী জানিয়েছিলেন তিনি ফতুল্লার পঞ্চবটি মোড়ে ইস্টার্ন ব্যাংকে রয়েছেন। এরপর দুপুর ২টায় খাবার খাওয়ার জন্য ফোন করলে সেলিম চৌধুরীর ব্যবহৃত মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।

রেহেনা আক্তার রেখা আরো জানান,সেলিম চৌধুরী ভোলাইলের মোহাম্মদ আলী নামের এক ঝুট ব্যবসায়ীর কাছে ২ লাখ টাকা পাওনা ছিলেন। ওই টাকা নিয়ে টালবাহনা করছিল মোহাম্মদ আলী।

আর ৩১ মার্চ পাওনা টাকা চাইতে গেলে আলীরটেকের ডিগ্রিরচর গ্রামের সালাউদ্দিনের ছেলে মোহাম্মদ আলীর ভোলাইলের ঝুটের গোডাউনে যায়। এর পর হতে ব্যবসায়ী সেলিম চৌধুরী নিখোঁজ হয়।

ফতুল্লা মডেল থানার এস আই মামুন আল আবেদ জানান,জিডি ও অভিযোগের সূত্র ধরে মোবাইল ট্র্যাকিং করে সেলিমের নিখোঁজের সময়কার অবস্থান নিশ্চিত করা হয়।

পরে বুধবার দুপুরে ভোলাইলে মোহাম্মদ আলীর ঝুটের গোডাউনে অভিযান চালিয়ে কর্মচারী ফয়সালকে আটক করা হয়। তার দেওয়া স্বীকারোক্তিতে মাটি খুঁড়ে বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ৩১ মার্চ রাতেই সেলিমকে হত্যা করে লাশ মাটি খুঁড়ে পুতে রাখা হয় জানিয়েছে ফয়সাল।

বক্তাবলীতে ১২ ইটভাটাকে সাড়ে ৪১ লাখ টাকা জরিমানা

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার বক্তাবলীতে ১২ টি ইটভাটা পরিবেশ ছাড়পত্রবিহীন ও সরকারী অনুমোদ ছাড়া ইট ভাটা স্থাপন করে পরিচালনা করায় সাড়ে ৪১ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করেছে পরিবেশ অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমান আদালত।

এসময় প্রতিটি ইটভাটাকে সরকারী নিয়ম অনুযায়ী এবং পরিবেশ দুষনমুক্ত রেখে ইটভাটা পরিচালনা করার হুশিয়ারী দিয়েছেন। এছাড়া ন্যাশনাল ব্রিক ফিল্ড নামের এক ইটভাটাকে বেকু দিয়ে গুড়িয়ে দিয়ে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের মাধ্যমে পানি দিয়ে অর্ধেক ধ্বংস করে।

রবিবার (৭ এপ্রিল) দুপুর হতে সন্ধা পর্যন্ত ফতুল্লার বক্তাবলীতে পরিবেশ অধিদপ্তরের সদর দপ্তরের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট (সিনিয়র সহকারী সচিব) প্রকৌশলী কাজী তামজীদ আহম্মেদ এর নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়।

নারায়ণগঞ্জ পরিবেশ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, সারা দেশের ন্যায় নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকায় স্থাপিত ইটভাটার মালিক পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়া ও সরকারী ভাবে অনুমোদন না নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে।

সরকারের নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে দীর্ঘদিন ধরে ইটভাটার পরিচালনা করে আসছে। তাই পরিবেশ দুষনমুক্ত রাখতে সরকারের নির্দেশ মোতাবেক ইটভাটা গুলো উপর পর্যায়ক্রমে অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। তাই নারায়ণগঞ্জের বক্তাবলীতে ২য় দফায় রোববার অভিযান পরিচালিত হয়।

অভিযানে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-সহকারী পরিচালক নয়ন মিয়া, র‌্যাব-১১ এর এএসপি মোস্তফিজুর রহমান। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন র‌্যাব সদস্য ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যবৃন্দ।

এদিকে বক্তাবলী ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি ও বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শওকত আলী বলেন, অবৈধ ভাবে ইটভাটা পরিচালনা করবে এটা আমি প্রত্যাশা করি না। সরকারের নিয়ম কানুন মেনে সকল মালিকরা যেন ইটভাটার ব্যবসার পরিচালনা করেন সেই জন্য সবাইকে অনুরোধ করা হয়।

অভিযানের নেতৃত্বদানকারী এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট প্রকৌশলী কাজী তামজীদ আহম্মেদ জানান, পরিবেশ দুষন করে এবং অবৈধ ভাবে বক্তাবলীতে ইটভাটা নির্মান করে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে রবিবার দুপুর হতে সন্ধা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে ১২টি ইটভাটাকে সাড়ে ৪১ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

পর্যায়ক্রমে বাকী ইটভাটা গুলোর উপর অভিযান চালানো হবে। এছাড়া সকল ইটভাটা মালিককে হুশিয়ার করে দেয়া হয়েছে সামনে যাতে লাইসেন্স ছাড়া কোন ইটভাটা পরিচালনা করা হয় এবং জিকজাক ইটভাটা নির্মান করে ব্যবসা পরিচালনা করার জন্য প্রাথমিক ভাবে পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

ফতুল্লায় ইউনাইটেড ফেডারেশন অব গার্মেন্টস ওয়ার্কার্সের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত

গার্মেন্ট শ্রমিকদের প্রানের সংগঠন ইউনাইটেড ফেডারেশন অব গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স এর বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

(৬ এপ্রিল ২০১৯) শনিবার বিকেলে ফতুল্লার আলীগঞ্জ লেবার হলে এ সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে সংগঠনের নেতৃবৃন্দ অংশ গ্রহণ করেন। সভায় আগামী ২৭ এপ্রিল সংগঠনের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) ভবনের সম্মেলন কক্ষে এ দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।

সম্মেলন অনুষ্ঠানের জন্য সর্ব সম্মতিক্রমে ৩ সদস্যের নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে। কমিশনের চেয়ারম্যান করা হয়েছে,এসএম নুরুল ইসলামকে পাশাপাশি কমিটির অন্য দুই সদস্যরা হলেন,কবীর হোসেন রাজু এবং সুমী আক্তার।

ইউনাইটেড ফেডারেশন অব গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও জাতীয় শ্রমিকলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাধারন সম্পাদক আইএলও সদস্য রায় রমেশ চন্দ্রের সভাপতিত্বে সাধারণ সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের কার্যকরী সভাপতি ও জাতীয় শ্রমিকলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির শ্রমিক উন্নয়ন ও কল্যান বিষয়ক সম্পাদক কাউসার আহমেদ পলাশ।

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলামের সঞ্চালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সহ সভাপতি মোঃ জাহাঙ্গীর আলম,সাংগঠনিক সম্পাদক সোহেলী আফরোজ লাভলী,গাজীপুর জেলার নেতা মোঃ বাবুল ও স্বপ্না আক্তার,গুলশান ও বাড্ডা জোনের নেতা রেজাউল করিম,নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন সেন্টু,সাধারণ সম্পাদক কবির হোসেন রাজু, ইমারত নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়ন নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি গোলাম কিবরিয়া সাত্তার,আন্তজিলা ট্রাক চালক ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মোঃ ফারুক আকণ, মোঃ নুরুল ইসলাম,পাগলা শাখার সহ সাংগঠনিক সম্পাদক উবাইদুর রহমান ওবায়েদ,আশুলিয়া,সাভারসহ শিল্প অধ্যুষিত বিভিন্ন আঞ্চলিক জোনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

শামীম ওসমানের কর্মী সম্মেলনে মানুষের ঢল

নিউজ প্রতিদিন: শামীম ওসমানের কর্মী সম্মেলনে মানুষের ঢল নেমেছে। জেলার বিভিন্ন স্থানের নেতাকর্মীরা দুপুরের পর থেকে ইসদাইরের বাংলা ভবনে আসতে শুরু করে।

আজকের সমাবেশে শামীম ওসমান কর্মী সম্মেলনে উপস্থিত হওয়ার আগেই নেতাকর্মীতে কানায় কানায় ভরে যায় ইসদাইরের বাংলা ভবনের অডিটরিয়াম।

সভায় উপস্থিত হয়ে সাংসদ শামীম ওসমান নেতাকর্মীদের ধৈর্য্য ধরার আহবান জানিয়ে বলেন,মশা মারতে কামান দরকার নাই,আমরা সরকারী দল এটা মনে রাখতে হবে। আমরা আমাদের বাবা মায়ের পর সবচেয়ে বড় মানুষ হচ্ছে বঙ্গবন্ধু। তিনি নাই তাই এখন আছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি দেশের উন্নয়ন সুশাসনের জন্য কাজ করছেন। আমাদের অনেকের বয়স তরুণ। তাদের রক্ত টগবগে। তারা দুইদিন ধরেই আমাদের খোকন সাহা ও বাদলসহ নেতাদের নানা প্রশ্নবাণে জর্জরিত করছেন।

নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের ব্যানারে জরুরী কর্মী সভায় উপস্থিত আছেন,মহানগর আওয়ামী লীগের সেক্রেটারী খোকন সাহা,জেলার সেক্রেটারী আবু হাসনাত শহীদ বাদল,সহ সভাপতি চন্দন শীল,সাংগঠনিক সম্পাদক মীর সোগেল আলী,ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম সাইফউল্লাহ বাদল,সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী,বন্দর আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ রশিদ, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লগের সভাপতি মজিবর রহমান, জেলা কৃষক লীগের সেক্রেটারী ইব্রাহিম চেঙ্গিস,জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শিরিন আখতার,ফতুল্লা থানা ছাত্রলীগের সভাপতি আবু মো: শরীফুল হক প্রমুখ।

নারায়ণগঞ্জে ভূয়া ডাক্তারের ১ বছরের কারাদণ্ড

নিউজ প্রতিদিন: নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ সাইনবোর্ড এলাকায় মোঃ নজরুল ইসলাম শেখ (২৭) নামে এক ভুয়া এমবিবিএস ডাক্তারকে এক বছরের সাজা প্রদান করেছে র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।

‘ফ্যামিলী ল্যাব হসপিটাল’ নামে একটি ক্লিনিকে অভিযান চালিয়ে তাকে সাজা প্রদান করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্টেট ও সিদ্ধিরগঞ্জ রাজস্ব সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভুমি) মোঃ আনিসুল ইসলাম। মঙ্গলবার রাত ৮টায় র‌্যাব-১১ সদস্যরা এ অভিযান চালায়।

র‌্যাব জানায়,মোঃ নজরুল ইসলাম শেখ নামের পাশে‘এমবিবিএস,সনোলজিষ্ট’ ডিগ্রী লিখে নিজেকে অভিজ্ঞ ডাক্তার পরিচয়েই দিয়ে ২ বছর যাবত প্রতারণা করে আসছিলেন রোগীদের সাথে।

সিদ্ধিরগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকায় ‘ফ্যামিলী ল্যাব হসপিটাল’নামের ওই ক্লিনিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার রাত ৮টায় র‌্যাব-১১ এর মেজর তালুকদার নাজমুস সাকিব ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ জসিমউদ্দিন (পিপিএম) এর উপস্থিতিতে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ আনিসুল ইমলামের নেতৃত্বে এ অভিযান চালায়।

দন্ডপ্রাপ্ত ভুয়া ডাক্তারের পিতার নাম মোঃ সানা উল্যাহ শেখ। তার গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জ জেলার সদর থানার বিল গজারিয়া এলাকায়।

এ বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আনিসুল ইসলাম জানান, মেডিকেল সহকারী হয়েও গত ২ বছর যাবত মোঃ নজরুল ইসলাম শেখ ‘এমবিবিএস, সনোলজিষ্ট’ হিসেবে রোগীদের সাথে প্রতারণা করে আসছিল। তাকে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে ১ বছরের কারাদন্ড প্রদান করা হয়।

এদিকে অপর একটি সূত্র জানায় এ হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বেল্লাল হোসেন গন মাধ্যমের একজন কর্মী হওয়ায় নানা প্রভাব খাটিয়ে দীর্ঘদিন এসব অনৈতিক চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছে।

২০১৭ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারী গনমাধ্যমের কয়েকজন কর্মী ওই হাসপাতালের কর্মকান্ড নিয়ে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন তৈরীর লক্ষ্যে সেখানে গেলে তাদেরকে আটকে রেখে পুলিশ প্রশাসনকে প্রভাবিত করে সাজানো মামলা দিয়ে হয়রানী করে। মামলাটি এখনও আদালতে চলমান রযেছে।