আঙুলের ছাপ (বায়োমেট্রিক) পদ্ধতিতে চলমান সিম নিবন্ধন কার্যক্রমের সময়সীমা বাড়তে পারে। বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে।
জানতে চাইলে ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বলেন, ‘সিম নিবন্ধনের সময়সীমা বাড়াতে অপারেটরদের আবেদনের চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হলো জনগণ কী চায়। জনগণ যদি মনে করে আরও সময়ের প্রয়োজন, তাহলে সরকার সেটি অবশ্যই বিবেচনা করে দেখবে।’ এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে নিয়ে আগামীকাল বৈঠকে বসার কথা জানান প্রতিমন্ত্রী।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত মোট ৭ কোটি ৩৩ লাখ সিম সফলভাবে নিবন্ধিত হয়েছে। আর এ সময়ে আঙুলের ছাপ ও তথ্য না মেলায় এক কোটির বেশি সিমের নিবন্ধন সফল হয়নি। বর্তমানে দেশে চালু থাকা মোট সিমের সংখ্যা ১৩ কোটি ৮ লাখ। সে হিসেবে মোট সিমের ৫৬ শতাংশ সফলভাবে নিবন্ধিত হয়েছে।
বিটিআরসির পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ৬২ লাখ ৮০ হাজার গ্রাহকের আঙুলের ছাপ না মেলায় সিম নিবন্ধন সফল হয়নি। পরিচয়পত্র পাওয়া না যাওয়ায় মেলেনি আরও ৩৪ লাখ ৯০ হাজার সিমের তথ্য। এ ছাড়া সার্ভারে ত্রুটির কারণে ৩ লাখ ৯০ হাজার এবং অন্যান্য কারণে আরও ৪ লাখ ৩০ হাজার সিমের নিবন্ধন সফল হয়নি।
আঙুলের ছাপ না মেলায় যাঁদের সিম নিবন্ধন সম্পন্ন হয়নি, সে সম্পর্কে বিটিআরসি চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ বলেন, ‘এমন ব্যবহারকারীরা গোটা বাংলাদেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছেন। সারা দেশে নির্বাচন কমিশনের জাতীয় পরিচয় অনুবিভাগের (এনআইডি) পাঁচ শতাধিক স্থানীয় কার্যালয় আছে। তাঁদের সেখানে যোগাযোগ করে পরিচয়পত্রে থাকা ত্রুটি দূর করতে হবে। এতে ব্যবহারকারীরা ভবিষ্যতের জন্য উপকৃত হবেন।’
মুঠোফোন অপারেটরদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অব বাংলাদেশের (অ্যামটব) মহাসচিব টিআইএম নুরুল কবীর বলেন, সিম নিবন্ধনে গ্রাহক ও অপারেটরদের আগ্রহের কোনো অভাব নেই। তবে যে সময় এখন বাকি আছে, তাতে সব সিমের নিবন্ধন শেষ করা সম্ভব নয়। সিম নিবন্ধনের এ প্রক্রিয়া সফলভাবে সমাপ্ত করতে সময় তাই যৌক্তিকভাবে বাড়ানো দরকার।
প্রথম আলো নেয়া