২রা অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
১৭ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 39

চামচারা শেখ হাসিনার সব অর্জন ধ্বংস করে দিচ্ছে: ওবায়দুল কাদেরের ভাই

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : চামচারা’ শেখ হাসিনার সব অর্জন ধ্বংস করে দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই আবদুল কাদের মির্জা। আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট বাজারের ব্যবসায়ীদের নিয়ে এক নির্বাচনী পথসভায় তিনি এই মন্তব্য করেন।

১৬ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় দ্বিতীয় ধাপের পৌরসভা নির্বাচনে আবদুল কাদের মির্জা বসুরহাট পৌরসভার মেয়র পদে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন। সোমবার নির্বাচনী সভায় আবদুল কাদের মির্জা বলেন, ‘ফেনীর একটা উপজেলা চেয়ারম্যান একরাম, তাঁকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করে গাড়ির ভেতরে ঢুকিয়ে পেট্রল ঢেলে জ্বালিয়ে দিয়েছে। নিজাম হাজারীকে জবাব দিতে হবে। কীভাবে লুটপাট চলছে, খবর নেন। চাকরি–বাণিজ্য, টেন্ডারবাজি চলছে হাজার হাজার, লাখ লাখ টাকার। এসব চামচারা শেখ হাসিনার সব অর্জন ধ্বংস করে দিচ্ছে।’

সুষ্ঠু নির্বাচনের আশ্বাস দিয়ে আবদুল কাদের মির্জা বলেন, ‘আমি স্পষ্ট ভাষায় বলছি যে কেন্দ্রে কেউ গন্ডগোল করবে, সঙ্গে সঙ্গে নির্বাচন বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রয়োজনে ১০ বার নির্বাচন হবে। তবু নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ করা যাবে না।’ তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের দিন আপনারা যদি দেখেন আমি অনিয়ম করছি, তাহলে আমি প্রার্থনা করে বলছি, হে খোদা, আমি যদি অনিয়মের ভোটের সঙ্গে সম্পৃক্ত হই, তাহলে তুমি আমাকে ভোটের দিনই মৃত্যু দিয়ো।’

আবদুল কাদের মির্জা আরও বলেন, ‘আজ সকালে এক জায়গা থেকে একজন বিএনপির প্রার্থী আমাকে ফোন করে বলে, ‘‘ভাই, আপনার এলাকায় বিএনপি ভোট করছে, আর আমি আমার বাড়ি থেকেও বের হতে পারছি না, ভোট করা তো দূরের কথা।’’ এই হলো অবস্থা, তারা বড় বড় কথা বলে।’

তিনি তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী দুই প্রার্থীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘আপনাদের প্রতি অনুরোধ, যদি কোথাও কারচুপি হয়, সঙ্গে সঙ্গে আমাকে বলবেন। সঙ্গে সঙ্গে সেই কেন্দ্র বন্ধ করে দেব। নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কোনো কর্মকর্তাকে কোনো অন্যায় করতে দেওয়া হবে না।’

নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে ষড়যন্ত্র চলছে, উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী বলেন, ‘কোম্পানীগঞ্জে যদি একটা মায়ের বুক খালি হয়, নির্বাচন নিয়ে কোনো প্রহসন করা হয়, যদি একটা জাল ভোট কোথাও পড়ে, যদি কারও ঘরে আগুন লাগানো হয়, কারও খড়ের গাদায় আগুন লাগে তার দায়দায়িত্ব নোয়াখালীর ডিসি, এসপি ও নির্বাচন কর্মকর্তাকে নিতে হবে।’

মাদক নিয়ে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি সম্পর্কে আবদুল কাদের মির্জা বলেন, ‘মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের নেত্রী জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন। মাদক কি চলে? চললে প্রশাসনের কাজ কী? আমরা এখান থেকে সকালে ধরে দিলে বিকেলে ছেড়ে দেয়। তাহলে শেখ হাসিনার জিরো টলারেন্স নীতি কোথায় গেল? নেত্রীকে অবজ্ঞা করছে তারা।’ তিনি প্রস্তাব করেন, ‘যারা এমপিসহ জনপ্রতিনিধি হবে, তারা মদ খেতে পারবে না, নারী–কেলেঙ্কারিতে জড়াতে পারবে না। দলের যেকোনো পর্যায়ের নেতা হতে হলে মদ–নারীর সঙ্গে থাকতে পারবে না।’

নির্বাচনী সভায় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাহাব উদ্দিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খানসহ উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। বসুরহাট বাজারের ব্যবসায়ীরা ছাড়াও বিপুলসংখ্যক দলীয় নেতা-কর্মীর সমাগমে পথসভাটি কার্যত সমাবেশে রূপ নেয়।

মুন্সিগঞ্জে বোনকে ধর্ষণ চেষ্টা, ছেলেকে হত্যা করলেন বাবা-মা

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার হোসেন্দী গ্রামে বাড়ির পাশের ডোবা থেকে মো. হাসান মিয়া (১৭) নামে এক কিশোরের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় তার বাবা, মা ও বোনকে আটক করেছে পুলিশ।

শনিবার (৯ জানুয়ারি) দুপুরে গজারিয়ার হোসেন্দী বাজার এলাকা থেকে অভিযুক্ত তিনজনকে আটক করা হয়েছে।

এরা হলেন-নিহত হাসানের বাবা মো. শামীম শিকদার (৪০), মা হাসিনা বেগম (৩৮) ও বোন (১৫)।

গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রইছ উদ্দিন নিশ্চিত করে জানান, নিহত হাসান মিয়া মাদকাসক্ত ছিল। ঘটনার দিন রাতে তার বোন প্রকৃতির ডাকে সাড়ে দিতে ঘরের বাইরে বের হলে হাসান তাকে জোর করে তার ঘরে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে। বোনের চিৎকারে মা, বাবা এসে ছেলেকে মারধর করলে একপর্যায়ে বোন হাসানের পুরুষাঙ্গ কেটে দেয় ও মা পায়ে ধরে ও বাবা বালিশ দিয়ে মুখে চাপা দিলে হাসানের মৃত্যু হয়। গোপন করার জন্য হাসানের মরদেহটি বাড়ির পাশে ডোবায় ফেলে দেয় পরিবারের সদস্যরা। নিহতের মা হাসানের মরদেহ ডোবায় পড়ে রয়েছে বলে স্বপ্নে দেখেছেন বলেও তিনি জানান। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায়। প্রথমে এ হত্যাকাণ্ডটি এলাকার পূর্ব শত্রুতার জেরে হয়েছে বলে মা দাবী করেন।

ওসি আরও জানান,  এ ঘটনা প্রত্যক্ষ করে নিহতের ছোট ভাই। তাদের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করেই ঘটনার মূল রহস্য জানা গেছে। সে মামলার বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করে।

উল্লেখ্য, এর আগে শুক্রবার (৮ জানুয়ারি) সকাল ১১টার দিকে উপজেলার হোসেন্দী গ্রামের ডোবা থেকে হাসানের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। বাড়ির পাশের ডোবা থেকে অতিমাত্রায় দুর্গন্ধ বের হলে পুলিশকে খবর দেয়া হয়। একপর্যায়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে হাসানের মরদেহ উদ্ধার করে। ১৭ দিন ধরে মরদেহটি ডোবায় পড়ে ছিল।

আনুশকার শরীরে মিলেছে রহস্যজনক ‘ফরেন বডির’ আলামত

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : সম্প্রতি চাঞ্চল্যকর ঘটনা রাজধানীর কলাবাগানে আনুশকা নূর আমিন ধর্ষণ ও হত্যা মামলা। মাস্টার মাইন্ড স্কুলের ‘ও’ লেভেলের এই ছাত্রীর রেক্টাম ও যৌনাঙ্গে মিলেছে অস্বাভাবিক ‘ফরেন বডি’র আঘাত। কি ছিল সেই ‘ফরেন বডি’? সেই রহস্যকে কেন্দ্র করে চলছে গভীর অনুসন্ধান।

আনুশকার মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনে কাজ করছে সংশ্লিষ্ট একাধিক প্রতিষ্ঠান। ইতোমধ্যেই মেডিকেল ফরেনসিক টিম ময়নাতদন্তের কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে। বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করে কাজ করে যাচ্ছে সিআইডিসহ আইন প্রয়োগকারী ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। এরইমধ্য থেকে তদন্ত সংশ্লিষ্ট নির্ভরযোগ্য সূত্র প্রত্যক্ষ আলামত ও চিহ্নের ভিত্তিতে ধারণা করছে যে- দেশীয় আকৃতির পুরুষাঙ্গ নয়, বরং ফরেন বা বিদেশি বড় পুরুষাঙ্গ আকৃতির কিছু একটা ভিক্টিমের রেক্টামে পুশ করানো হয়েছে। যে কারণে যৌনাঙ্গ ও রেক্টাম ফেটে গিয়ে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়।

সংশ্লিষ্ট ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) সাজ্জাদুর রহমান বলেন, গত বছরের নভেম্বর থেকে দিহানের সাথে ওই ছাত্রীর প্রেমের সম্পর্ক চলমান ছিল বলে প্রমাণ মিলেছে। আমরা দিহানের বাসা থেকে বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করেছি। তবে, তদন্তের স্বার্থে সকল বিষয়ে এখনই বলা যাচ্ছে না। ময়নাতদন্ত রিপোর্টসহ অন্যান্য পরীক্ষা নিরীক্ষার ডকুমেন্ট আমাদের হাতে আসলেই এই ঘটনার রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব হবে বলে মনে করছি। ফরেনসিক চিকিৎসক অভিমত দিয়েছেন- ‘বিকৃত’ যৌনাচারের কারণে ওই মেয়েটির যৌনাঙ্গ এবং রেক্টাম থেকে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়েছে।

আনুশকা নূরের ময়নাতদন্ত হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এ বিষয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদের কাছে জানতে চাইলে তিনি আরটিভি নিউজকে বলেন, স্বাভাবিক পেনিস দ্বারা রেক্টাম ও যৌনাঙ্গ ব্যবহার করলে এতোটা ভয়াবহ পরিণতি হওয়া কথা নয়। শরীরের নিম্নাঙ্গে ‘কোন ফরেন বডি সাইজ’ কিছু একটা ব্যবহার করা হয়েছে। এক কথায় সেখানে বিকৃত যৌনাচার করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ‘আমি আমার পোস্টমর্টেম জীবনের অভিজ্ঞতার আলোকে বলতে পারি, পেনিস (পুরুষাঙ্গ) দ্বারা এই ইনজুরি মোটেও সম্ভব না। ওটা পেনিসের বাইরে অন্য কিছু ছিল।

ডা. সোহেল মাহমুদ আরটিভি নিউজকে আরও বলেন, যোনিপথ ও পায়ুপথ থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ তার (আনুশকার) মৃত্যুর কারণ হতে পারে। এই প্রচুর রক্তক্ষরণ হওয়ায় সে ‘হাইপো ভোলেমিক’ শকে মারা গেছে। মানুষের মাত্রাতিরিক্ত রক্তক্ষরণ বা দেহ থেকে অতিরিক্ত তরল বের হয়ে গেলে হৃদপিণ্ড স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা হারায়। এ কারণে হৃদযন্ত্র শরীরে রক্ত সরবরাহ করতে পারে না, মানুষ মারা যেতে পারে।

বিকৃত যৌনাচারের তথ্য পাওয়ার কথা জানিয়ে এই ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘যোনিপথ ও পায়ুপথ দুই রাস্তা থেকেই আমরা রক্তক্ষরণের আলামত পেয়েছি। আমরা জোর জবরদস্তির কোনো আলামত পাইনি। তবে যোনিপথ ও পায়ুপথে কিছু ইনজুরি আমরা পেয়েছি। মূলত সেই ইনজুরিগুলোর জন্যই সেখান থেকে রক্তক্ষরণ হয়েছে। কিন্তু বডির অন্য কোথাও জোরাজুরির কোনো আলামত পাওয়া যায়নি।’

যৌনাচার দলগত ছিল কি না? এমন প্রশ্নে সোহেল মাহমুদ বলেন, ‘তার (মেয়েটি) বডি থেকে আমরা ডিএনএ সংগ্রহ করেছি। সেটি আমরা ল্যাবে পাঠিয়েছি। তার রিপোর্ট আসলে আমরা জানতে পারব এটা গ্যাং রেপ ছিল কি না।’

গত শুক্রবার (৮ জানুয়ারি) ঢাকার মুখ্য মহানগর আদালতের হাকিম মামুনুর রশিদ ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় দিহানের জবানবন্দি গ্রহণ করেন।
আদালত ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, জবানবন্দিতে দিহান বলেছেন, শারীরিক সম্পর্কের পর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হলে বন্ধুদের ডেকে তাদের সহযোগিতায় মেয়েটিকে আনোয়ার খান মডার্ন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। পরীক্ষা করার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) দুপুরের পর মেয়েটির মৃত্যুর ঘটনায় রাতেই কলাবাগান থানায় মামলা দায়ের করেন ওই ছাত্রীর বাবা আল আমিন আহম্মেদ।
মামলার এজহারে মেয়েটির বাবা জানান, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টায় তার স্ত্রী অফিসের উদ্দেশে ঘর থেকে বের হন। তিনি ব্যবসায়িক কাজে বের হন সকাল সাড়ে ৯টার দিকে। বেলা পৌনে ১২টার দিকে তার স্ত্রীকে ফোন করে মেয়ে জানায়, সে কোচিং থেকে পড়ালেখার পেপার্স আনতে যাচ্ছে।

বেলা একটা ১৮ মিনিটে মেয়ের মায়ের মোবাইল ফোনে কল আসে। ফারদিন ইফতেখার দিহান (১৮) নিজের পরিচয় দেয়। এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ‘আমার স্ত্রীর ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে ফোন করে বলে, ‘সে দিহান। আমার মেয়ে তার বাসাতে গিয়েছিল। আকস্মিকভাবে আমার মেয়ে তার বাসাতে অচেতন হয়ে পড়লে সে আমার মেয়েকে আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যায়।’

এই খবর পেয়ে মেয়েটির মা অফিস থেকে বের হয়ে বেলা ১টা ৫২ মিনিটে হাসপাতালে ছুটে যান।

এজাহারে আনুশকার বাবা আরও উল্লেখ করেন, ‘সেখানে থাকা কর্তব্যরত ডাক্তারের কাছ থেকে আমার মেয়েকে ধর্ষণ করে মেরে ফেলা হয়েছে মর্মে আমার স্ত্রী জানতে পারেন।’

বেলা ১টা ৫৭ মিনিটে বিষয়টি মেয়ের বাবা আল আমিনকে জানান স্ত্রী। এরপর তিনি পুরান ঢাকার নবাবপুরের ব্যবসাস্থল থেকে দ্রুত হাসপাতালে ছুটে যান।
এজাহারে বাবা লেখেন, ‘জরুরি বিভাগে থাকা কর্তব্যরত ডাক্তার নার্স হাসপাতালে অন্যান্য কর্মচারীসহ উপস্থিত অন্যান্য লোকজনের মাধ্যমে জানতে পারি যে উপরে বর্ণিত বিবাদী ফারদিন ইফতেখার দিহান দুপুরে ১২ টার দিকে বড় মেয়ে আনুশকা নূর আমিনকে প্রেমে প্রলুব্ধ করে মোবাইল ফোনে তার কলাবাগান ডলফিন গলির, লেকসার্কাসের ফাঁকা বাসায় ধর্ষণের উদ্দেশ্যে ডেকে নিয়ে যায়।’

রক্তক্ষরণে মেয়ে অচেতন হয়ে পড়লে দিহান ধর্ষণের বিষয়টি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে বেলা একটা ২৫ মিনিটের দিকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে পৌনে ২টার দিকে মারা যায় মেয়েটি।

পরে কলাবাগান থানা পুলিশের একটি দল হাসপাতালে যায়। তারা মেয়েটির সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগে পাঠায়।

মেয়ের ফোন কলটা কেটে দেওয়ার আফসোস করছেন আনুশকাহ’র বাবা

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : রাজধানীর কলা বাগানের ডলফিন গলি এলাকায় ধানমন্ডির মাস্টারমাইন্ড স্কুলের এক শিক্ষার্থীকে পর অ’ভিযোগ পাওয়া গেছে তার বয়ফ্রেন্ড ফারদিন ইফতেখার দিহান ও তিন সহপাঠীর বি’রুদ্ধে।

যখন প্রচন্ড রক্তপাত শুরু হয় তখন অভিযুক্ত ফারদিন ইফতেখার দিহান তাকে ধানমন্ডির আনোয়ার খান মর্ডান হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে বিকাল পাঁচটায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। মরদেহ বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। এ বিষয়ে আমরা মামলা করেছি।

বাসার পশ্চিম দিকের শেষ ছোট রুমটিই নির্যাতনের শিকার হয়ে মারা যাওয়া কিশোরীর। রুমে ছোট্ট একটা খাট, পড়ার টেবিল আর একটা কাঠের আলমারি।

বর্তমানে বাসাজুড়ে শুধুই শূন্যতা। চারদিকে পিনপতন নীরবতা। খাটে বসে আছেন তিনদিন আগে মারা যাওয়া আনুশকাহ নূর আমিন নামে ওই কিশোরীর বাবা।

রোববার সেদিনের ঘটনার বর্ণনায় আনুশকাহ’র বাবা কান্নাজ’ড়িত কণ্ঠে বলেন, ঘটনার দিন ঠিক ১২টা ১৯ মিনিটে আমা’র মেয়ের নম্বর থেকে কল আসে। আমি মিটিংয়ে থাকায় ফোনটা কেটে দেই। এরপর আর ফোন করেনি। তার কিছু সময় পর আমার স্ত্রীর ফোনে কল আসে। ফোন করে আমার মেয়ের অসুস্থতার কথা জানায়। প্রথম ফোনটা না ধরাটাই ছিল আমার সবচেয়ে বড় ভুল।

 

ফতুল্লা থানা আ’লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের পূর্নাঙ্গ কমিটির অনুমোদন দেয়া হয়েছে। কমিটিতে আলহাজ্ব এম সাইফউল্লাহ বাদলকে সভাপতি ও আলহাজ্ব এম শওকত আলীকে সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেনকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে ৭১ সদস্যের পূর্নাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।

রোববার (১০ জানুয়ারী) জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল হাই ও সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহিদ মোহাম্মদ বাদলের স্বাক্ষরিত ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের কমিটির অনুমোদন দেয়া হয়।

কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি আসাদুজ্জামান, সহ- সভাপতি ওয়ালী মাহমুদ খান, একেএম শহিদুল ইসলাম, খন্দকার লুৎফর রহমান স্বপন, আলহাজ্ব গিয়াস উদ্দিন, মো: আশরাফুল আলম, আব্দুল হাকিম চৌধুরী, মো: মঞ্জুরুল ইসলাম, হাজী মোস্তফা কামাল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এইচ এম ইসহাক, ফরিদ আহম্মেদ লিটন, মোমেন শিকদার, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন, মাহবুব রহমান মাসুম, এমএ মান্নান, আইন বিষয়ক সম্পাদক আবু তাহের রানা, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ইউনুছ দেওয়ান, তথ্য ও গবেষনা বিষয়ক সসম্পাদক মতিউর রহমান প্রধান, ত্রান ও সমাজ কল্যান বিষয়ক সম্পাদক এমএ সাত্তার, দপ্তর সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক আবজাল উন নুর, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক জাহিদুল হক খোকন, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মাহবুব আলম মাসুদ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্ত বিষয়ক সম্পাদক সফিউল্লাহ সফি, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক নাছিমা আক্তার বিউটি, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক ফরিদ উদ্দিন আহম্মেদ, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক রমিজ উদ্দিন ঢালী, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ন কবির রতন, শ্রম সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম বেপারী, সাংস্কৃতিক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক মোস্তফা চৌধুরী, সহ দপ্তর সম্পাদক রাজিব হোসেন মিঠু, সহ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক রেহান শরীফ বিন্দু, কোষাধ্যক্ষ মো: জাকির হোসেন মেম্বার।

কমিটির কার্যনির্বাহী সদস্যরা হলেন এ কে এম শামীম ওসমান, সালমা ওসমান লিপি, ইমতিনান ওসমান অয়ন, শাহ আলম গাজী টেনু, আব্দুল মোতালেব মোল্লা, মমিন মাদবর, মানিক চান, দুলাল হোসেন, আইয়ুব আলী, এমএ সাত্তার, লুৎফর রহমান স্বপন, আজগর আলী, ইদ্রিস আলী, সিদ্দিকুর রহমান, আবুল হোসেন প্রধান, বাবুল মিয়া, আলমগীর হোসেন, সালাউদ্দিন আহম্মেদ, রঞ্জিত মন্ডল, মোস্তফা কন্ট্রাকটার, আব্দুল কাদির ব্যাংকার, জাহাঙ্গীর হোসেন, মিছিল আলী, মজিবুর রহমান, মোবারক, বাদশা মিয়া, রেহান শরীফ, মেহেদী হাসান রবিন, আতাউর রহমান নান্নু, সালাউদ্দিন ভুইয়া, আলাউদ্দিন হাওলাদার, জসিম উদ্দিন, জাহাঙ্গীর হোসেন (সাবেক মেম্বার), শাহীন আলম, আল মামুন মিন্টু।

জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহিদ মোহাম্মদ বাদল জানান, ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের কমিটির অনুমোদন দেয়া হয়েছে। সম্প্রতি সম্মেলনের মাধ্যমে আলহাজ্ব এম সাইফউল্লাহ বাদল সভাপতি ও আলহাজ্ব শওকত আলী সাধারণ সম্পাদক হিসাবে নির্বাচিত হয়েছে। আর এ কমিটিতে ৭১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্নাঙ্গ কমিটির অনুমোদন দেয়া হয়েছে। ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের যাদের নিয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে তারা পরিক্ষিত ও দক্ষ রাজনীতিবিদ।

জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল হাই জানান, ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের ৭১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্নাঙ্গ কমিটির অনুমোদন দেয়া হয়েছে। সম্প্রতি সম্মেলনের মাধ্যমে ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের এম সভাপতি এম সাইফউল্লাহ বাদল ও সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী নির্বাচিত হয়। আর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সকলের সম্মতিক্রমে ৭১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করলে আমরা কমিটির অনুমোদন প্রদান করি। কমিটিতে যারা অন্তর্ভুক্ত হয়েছে তারা আওয়ামীলীগের পরিক্ষিত রাজনীতিবিদ। আমরা জেলা আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে তাদের সফলতা কামনা করছি। তাদের নেতৃত্বে ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগ একটি শক্তিশালী কমিটি গঠিত হয়েছে বলে আমি মনে করছি।

নারায়ণগঞ্জে মদ্যপানে ছাত্রলীগ নেতাসহ ৪ জনের মৃত্যু, ৫ জন আশঙ্কাজনক

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদ হাসান বাবুসহ তিনজনের অতিরিক্ত মদপানে মৃত্যু হয়েছে।

শনিবার বিকেলে জাহিদ হাসান বাবু মারা যান। এর আগে গত শুক্রবার দিবাগত রাতে অপর ছাত্রলীগ নেতা মহসিন ও গাড়ির চালক তোফাজ্জলের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। আশংকাজনক অবস্থায় জিসান, রাহিম ও হৃদয়সহ আরো ৬ জন ঢাকার বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিবার ও এলাকাবাসী। তবে নিহতের পরিবারের দাবী খাদ্যে বিষক্রিয়ায় তাদের মৃত্যু হয়েছে। মদ্যপানে মৃত্যুর খবরটি সঠিক নয় বলে দাবি করেছেন নিহতের পরিবার।

ছাত্রলীগ নেতা বাবুর মৃত্যুর খবরে শোকার্ত পরিবারকে সমবেদনা জানাতে আসেন নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা, নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহীদ মোহাম্মদ বাদল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. আবু জাফর চৌধুরী বিরুসহ জেলা ও স্থানীয় আওয়ামীলীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। তারা শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, সোনারগাঁওয়ের পিরোজপুর ইউনিয়নের মেঘনা শিল্পাঞ্চল এলাকায় সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম আহবায়ক ও পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুমের ছোট ভাই সোনারগাঁও উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদ হাসান বাবু, চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত গাড়িচালক ও পিরোজপুর জৈনপুর গ্রামের সিদ্দিক মিয়ার ছেলে তোফাজ্জল হোসেন, কাদিরগঞ্জ গ্রামের মোক্তার হোসেনের ছেলে ছাত্রলীগ নেতা মহসিন, প্রতাপনগরের কামালের ছেলে জিসানসহ সহ ১০-১২ জনের একটি দল গত বৃহস্পতিবার রাতে সংঘবদ্ধ ভাবে মদ পান করে অসুস্থ্য হয়ে পড়েন। পরে তাদের সোনারগাঁও ও ঢাকার বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করে। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার রাতে গাড়ি চালক তোফাজ্জল ও ছাত্রলীগ নেতা মহসিন মারা যান।

পরে গতকাল শনিবার সকালে তাদের দাফন সম্পন্ন করা হয়। এ ঘটনার পর শনিবার বিকেলে সোনারগাঁও উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদ হাসান বাবু চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। ছাত্রলীগ নেতা বাবুর লাশ মেঘনা প্রতাপের চর এলাকায় নিয়ে আসলে এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। এতে পরিবার, স্বজন ও এলাকাবাসীর মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে। নিহত জাহিদ হাসান বাবুকে রাত সাড়ে ৮টায় মেঘনা শিল্প নগরী স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।

এলাকাবাসী জানায়, অসুস্থ্য হওয়ার পর সবাইকে চিকিৎসা দেওয়ার হয়েছে। এদের মধ্যে ৩ জন সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরে এসেছেন।
সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম আহবায়ক ও পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুম বলেন, খাদ্যে বিষক্রিয়ায় তাদের মৃত্যু হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাড়ির সামনে তাদের ১০-১২জন বন্ধু বান্ধব মিলে স্পীড (কোমল পানীয়) ও বিভিন্ন খাবার খায়। ওই খাবারে বিষক্রিয়ায় তাদের মৃত্যু হয়েছে। মদ পানে তাদের মৃত্যু হলে সঙ্গে সঙ্গে সমস্যার সৃষ্টি হতো। ২৪ ঘন্টার পর তাদের বিষক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। তবে এলাকায় চাওর হয় তারা অতিরিক্ত মদ পান করেছে।

পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য সেলিম রেজা জানান, বৃহস্পতিবার রাতে স্থানীয় একটি রেস্টুরেন্টে নানরুটি, গ্রিল ও কোমলপানীসহ বিভিন্ন খাবার খেয়ে অসুস্থ্য হয়ে পড়েন তারা। আশংকাজনক অবস্থায় তাদের ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাদের মৃত্যু হয়।

সোনারগাঁও থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, অতিরিক্ত মদ পানে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও ৪জন অসুস্থ্য অবস্থায় বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

ফতুল্লা থানা ছাত্রদলের কমিটি বাতিলের দাবীতে বিক্ষোভ, রনির কুশপুত্তলিকা দাহ

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট :  কমিটি বাতিলসহ বিভিন্ন দাবী নিয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করেছে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।

শনিবার সকাল ১১ টায় এ বিক্ষোভ সমাবেশ করে। পরে তারা স্মারকলিপি দেয়। স্মারকলিপিতে তারা উল্লেখ করে ফতুল্লা থানা ছাত্রদলকে ধ্বংস করতে তৎপর একটিমহল। রাজপথে কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে যে মুহুর্তে নেতাকর্মীরা জেল জুলুম নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন ঠিক তখন একটি অশুভ চক্র অপতৎপরতায় লিপ্ত রয়েছে।

তাদের অভিযোগ সরকারি মদদপুষ্ট,আওয়ামী পরিবারের সন্তান রনি কৌশলে নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলকে ধ্বংস করার যে ষড়যন্ত্র মূলক কৌশল অবলম্বন করেছে তারই বাস্তবায়নে সে ফতুল্লা থানা সহ নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের অধিনস্থ প্রতিটি ইউনিটের দীর্ঘদিনের পরিক্ষিত, নির্যাতীত, হামলা-মামলার পরেও রাজপথে সক্রিয় নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে তার পরিবারের সদস্য ও তার ব্যাক্তিগত লোকজন যারা রাজনৈতিকভাবে অনভিজ্ঞ, অছাত্র, মাদকসেবী, বিবাহিত লোকজন দিয়ে ফতুল্লা থানা ছাত্রদলের কমিটি গঠন করেছে।

স্বারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক টিম (খ) এর দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত হওয়ার সুবাদে রনি কেন্দ্রীয় নেতাদের বিভিন্নভাবে ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করে ত্যাগী ও যোগ্য নেতাকর্মীদের বঞ্চিত করে তার পছন্দের লোকদের দিয়ে সেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে কমিটি গঠন করে নেয়।যার প্রতিবাদে ফতুল্লা থানা ছাত্রদলের প্রকৃত যোগ্য ও ত্যাগি নেতাকর্মীরা রাজপথে রনির অযৌক্তিক সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক ভাবে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ এবং রনির কুশপুত্তলিকা দাহ করেছে।

সেই ধারাবাহিকতায় আমরা সবাই আজকে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় প্রাঙ্গণে সমবেত হয়েছে এবং ফতুল্লা থানা ছাত্রদলের সকল প্রতিবাদী সহযোদ্ধারা ঐক্যবদ্ধভাবে আমাদের এই যৌক্তিক প্রতিবাদে একাত্বতাপোষন করেছে।

অবিলম্বে ফতুল্লা থানা ছাত্রদলের বিতর্কিত কমিটি বিলুপ্ত ঘোষনা করে ত্যাগী ও যোগ্যদের স্বমন্বয়ে ফতুল্লা থানা ছাত্রদলের নতুন কমিটি গঠন ও দালাল রনির বহিষ্কারের জোর দাবী জানায়।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবের কাছে আমাদের আবেদন অবিলম্বে সরকারের দালাল রনিকে বহিষ্কারের মাধম্যে নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলকে ধংসের হাত থেকে রক্ষা করার দাবী জানানো হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন সাগর সিদ্দিকী, পিয়াস খন্দকার, আরিফ হাসান, লেলিন আহম্মেদ, রোমান আহম্মেদ, সিফাত আহম্মেদ, সোহাগ,তূর্য,আল আমিন, বাবু, শান্ত, সাকিল, ইফতি, শাওন, রনি, আবিদ ও রবিন প্রমুখ।

 

গরু না থাকায় স্ত্রী-সন্তান দিয়ে জমি চাষ করছেন আবু বকর!

কামরুজ্জামান মিন্টু: কৃষক আবু বকর সিদ্দিকের নেই গরু। অনেক কষ্টে ট্রাক্টর দিয়ে জমি চাষের পর স্ত্রী আর স্কুল পড়ুয়া ছেলেকে দিয়ে জমিতে মই টানাচ্ছেন। অনেকের কাছে টাকা ধার চেয়েও পাননি। আর টাকা ধার নিয়ে যে পরিশোধ করবেন সে সাধ্যও নেই। অভাবের তাড়নায় তাদের এমন দৃশ্য যে কারো মনকে ভারাক্রান্ত করবে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ওই কৃষক ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার হবিরবাড়ি ইউনিয়নের ছোট কাশর গ্রামের বাসিন্দা। এক মেয়ে ও তিন ছেলে সন্তানের জনক আবু বকরের বড় ছেলেও কৃষিকাজ করেন। কিন্তু নিজের পরিবারের ভরণপোষণের পর বাবাকে সাহায্য করার মতো আর্থিক অবস্থা নেই তার। মেজো ছেলে ঢাকায় গার্মেন্টসে চাকরি করেন। এক মেয়ে বিয়ে হয়ে শ্বশুরবাড়িতে। ছোট ছেলে মাহাদী হাসান সুমন দশম শ্রেণির ছাত্র। অভাবের তাড়নায় ছোট ছেলে সুমন আর স্ত্রী মমতাজ বেগমকে নিয়ে কোনো উপায় না পেয়ে ফাসলি জমিতে মই টানিয়ে তৈরি করছেন জমি।

আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ‘৩৫ শতাংশ জমিন ট্রাক্টর দিয়ে হালের কাজ করছি। কিন্তু জমিটি হমান (সমান) করে লাগানির (রোপনের) উপযোগী করতে হইবো। কিন্তু টাহার (টাকা) অভাবে কয়দিন ধরে ক্ষেতে মই দিতে পারতেছি না। অনেক খানেই টেহা (টাকা) পয়সা ধার চাইয়া ব্যর্থ হইছি। পরে কোনো উপায় না পায়া বউ পুলারে লয়া মই দিতাছি।’

আবু বকর সিদ্দিকের স্ত্রী মমতাজ বেগম বলেন, বড় ছেলে বিয়া কইরা আলগা (আলাদা) হইয়া গেছে। ছোড (ছোট) ছেলেরে লইয়া থাকি। ছেলেডা ইস্কুলে টেনে (দশম শ্রেণী) পড়ে। হাতে কোনো টেহা পয়সা (টাকা) নেই। কোনো উপায় না দেইখা স্বামীর কাজে সহযোগিতা করতাছি।’ এই কাজ করায় কোনো লজ্জা বা কষ্ট নেই।

করোনার কারণে স্কুল বন্ধ আর বাবার অনেক বয়স হয়েছে। তাই মায়ের সঙ্গে জমি চাষে নেমে পড়েছেন বলে জানিয়েছেন ছোট ছেলে সুমন।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নারগিস আক্তার বলেন, হালের বলদের অভাবে স্ত্রী-সন্তানকে দিয়ে মই দেয়াটা খুবই পীড়াদায়ক। আমি দ্রুতই খবর নিব এই পরিবারটির। ওই পরিবারকে সরকারি প্রনোদনাসহ বিভিন্ন সহায়তা দেয়া হবে।

সিলেট মাজারে ৭০-৮০ রাকাত নফল নামাজের ব্যাখ্যা দিলেন শামীম ওসমান

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ শামীম ওসমান সিলেট মাজারে মুসল্লি ও স্থানীয় একজন গণমাধ্যমকর্মীর প্রশ্নবানে জর্জরিত হন। শেষে ৮০ রাকাত নফল নাজামের ব্যাখা দেন। ৫ জানুয়ারী তিনি সিলেট মাজার জিয়ারতে গেলে এ ঘটনা ঘটে।

দৈনিক ৭০-৮০ রাকাত নফল নামাজের ব্যাখ্যায় শামীম ওসমান বলেন, ‘আমি নামাজটা পড়ার চেষ্টা করি। আমি নফল ইবাদতে বিশ্বাস করি। গাড়িতে বসে পড়ি। যোহরের পরে পড়ি, মাগরিবের পরে পড়ি, এশার পরে পড়ি, তাহাজ্জুদের পরে পড়ি। আমি ৭০ নাকি ৮০ রাকাত নামজ পড়ি জানিনা। তবে ৭০-৮০ রাকাতের নিচে পড়িনা।’

এসময় পাশে থেকে আরেকজন বলে উঠেন আজকে পড়ছে কিনা জিজ্ঞাসা করেন। এসময় পাশের একজনকে এমপি শামীম ওসমান বলেন কথা কম বলো।

তিনি আরো বলেন, আমি মনে করি মানুষ যখন কোন সমস্যায় পড়ে চাহিদায় পড়ে তখন আল্লাহ সবচেয়ে বেশি পছন্দ করে সেজদায় যাওয়া। ওইটা যদি আছরের ওয়াক্ত না হয় আর ফজরের ওয়াক্ত না হয় তুমি নফল পড়তে পারো। যখন তার বান্দা হাত তুলে কান্দে চায় তখন আল্লাহ ওই হাত ফিরাইয়া দিতে লজ্জা বোধ করে। মারামারি না কইরা ভাল কইরা দোয়া করা যাতে করোনা থেকে বাঁচি।

উল্লেখ্য, ২৬ ডিসেম্বর বিকেলে সিদ্ধিরগঞ্জের নাভানা বালুর মাঠে থানা আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত এক কর্মীসভায় নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান মাওলানাদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমাদেরকে আপনারা ইসলাম বুঝান আমরা কুরআন পড়ি না ? ২২ বছর ধরে তাহাজ্জুদ ছাড়ি নাই। প্রতিদিন ৭০ থেকে ৮০ রাকাআত নফল নামাজ বেশি পড়ি আল্লাহর রহমতে। দুইবেলা কুরআন শরীফ পড়ি। ধর্ম সবার। ধর্মের জবাব আল্লাহর কাছে দিবো আর কারও কাছে না। কারও কাছ থেকে লাইসেন্স দিতে হবে আমার ? আমি মুসলমান আমি মুসলমান না। আপনারা লাইসেন্স দিবেন আমাদের। আল্লাহ আপনাদের হেদায়েত করুক।

২৭ ডিসেম্বর ফতুল্লার কর্মীসভায় শামীমও সমান বলেন, হঠাৎ করে শুনলাম বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভেঙ্গে ফেলবে। কারা ভেঙ্গে ফেলবে? ওরা নাকি আলেম। কিসের আলেম এরা। ওই বেঠা তুই কেমনে আলিম হলি। যারা বলছে তারা যদি আলেমই হইতো তাহলে বাংলাদেশের প্রকৃত আলেম যাকে আমি মন থেকে শ্রদ্ধা করি। ইসলামের কথা হচ্ছে একজনের মুসলমানের মুখ এবং হাত থেকে অন্য মুসলমান নিরাপদ থাকবে। আর তোমরা কি করছ মাওলানা শফী সাহেবের মতো একজন প্রকৃত মুমিন একজন প্রকৃত আলেমকে দুইদিন ধরে আটকিয়ে রাখছিলা। তার গায়ে হাত দিছ। এটা আমাদের কথা না এটা তার পরিবারের কথা হচ্ছে মাওলানা শফী সাহেবকে নির্যাতন করা হয়েছে। আর এই নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে আমাদেরকে ছেড়ে চলে গেছেন। যারা উনার নাম ব্যবহার করে দল গঠন করতে পারে আমি তাদেরকে আলেম বলতে পারি না। তারা আলেম না। আমি অধিকাংশ আলেমের সাথে কথা বলেছি তারা বুঝে গেছে এটা রাজনৈতিক গেম।

 

কুরআন হাদিসে কাউকে ‘মুরগী চোরা’ বলার অনুমতি দেওয়া হয়নি: গোলাম মাওলা রনি

নিউজ  প্রতিদিন ডটনেট : সম্প্রতি সময়ে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি ও বাংলাদেশে ইসলামবিদ্ধেষী হিসেবে পরিচিত শাহরিয়ার কবির নিয়ে বিভিন্ন বক্তব্য দিয়ে আলোচনায় রয়েছেন সাবেক আওয়ামী সাংসদ ও বর্তমান বিএনপির সংসদ সদস্য প্রার্থী গোলাম মাওলা রনি।

শাহরিয়ার কবিরকে নিয়ে তার বক্তব্য বিষয়ে খোলাসা করে আজ দেওয়া এক বক্তব্যে তিনি শাহরিয়ার কবিরের পক্ষ নিয়ে বলেন – ‘আমি মনে করি, কুরআন হাদিস ও ইসলামের কোনো জায়গাতেই কোনো আলেম ওলামারা একথাটি খুঁজে পাবেন না যেখানে একজন মানুষকে মুরগির সাথে তুলনা করা হবে বা একজন মানুষকে বলা হবে যে মানুষটি মুরগি চুরি করতো। যদি সে ধরনের (মুরগি চুরির) প্রমাণ থাকেও যে সে মুরগি চুরি করতো তাহলেও এটিকে গোপন রাখার বিধান আল্লাহতালা করে দিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন – লক্ষ লক্ষ মানুষের সামনে যেভাবে শাহরিয়ার কবিরকে বেইজ্জতি করা হয় সেই বেইজ্জতির ব্যাপারে যদি আমি আমার অবস্থান থেকে কথা না বলি, প্রতিবাদ না করি তাহলে আমি সেই সাধারণ মানুষদের কবলে পড়ে যাব এবং অনাগত দিনে আল্লাহ রব্বুল আলামীনের কাছে আমাকে জবাবদিহি করতে হবে। তখন আমিও তাদের কাতারে পড়ে যাব। তো সেই দিক থেকে আমার কাছে যেটা মনে হয়েছে আমি সেটাই ন্যায্য ভাবে বলেছি বাকি আমার কোনো ভুল-ভ্রান্তি হলে তার ফায়সালা আল্লাহর হাতে।

শাহরিয়ার কবির বাংলাদেশের স্বাধীনতার সময় মুরগী চুরি করে পাকিস্তানী আর্মিদের কাছে সাপ্লাই দিতেন মর্মে দেওয়া অনেকের বক্তব্য ভুলভাবে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে বিশেষ করে আলেম ওলামারা মাহফিলে এসব কথা বলেন দাবি করে ইউটিউবে নিজ চ্যানেলে এক ভিডিও বক্তব্যে গোলাম মাওলানা রণি আজ এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন – শাহরিয়ার কবিরকে নিয়ে যারা আমার বক্তব্য দ্বারা আহত হয়েছেন তারা জানেন যে শাহরিয়ার করির মূলত একজন নাস্তিক। তারা জানেন যে শাহরিয়ার করিরের ছদ্মনাম হলো ‘মুরগী কবির’। তারা জানেন যে, ১৯৭১ সালে শাহরিয়ার কবির বিভিন্ন বাড়ি থেকে মুরগি চুরি করে পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর কাছে সাপ্লাই করতেন এবং এর দ্বারা তার সংসার চলত। অথচ এগুলো তার ব্যাপারে সঠিক তথ্য নয়।

এসব বক্তব্য ছড়িয়ে দিতে বিভিন্ন ইসলামিক বক্তারা ভূমিকা রাখছেন ও জনগণ তাদের বক্তব্যে বিভ্রান্ত হয়ে রনির বক্তব্যে আহত হয়েছেন দাবি করে তিনি বলেন – বিভিন্ন ওয়াজ এর বক্তব্যে বড় বড় দাড়ি রাখা ও টুপি পড়া বক্তারা যখন ঠিক এই কথাগুলি বলতেন যে জনাব শাহরিয়ার কবির একজন নাস্তিক, তিনি মুরগি চুরি করেছেন ৭১ সালে, তাকে সেজন্য মুরগী কবির বলা হয়। এই কারণে যারা সাধারন ও সরল প্রাণের মানুষ রয়েছেন, আল্লাহকে ভালবাসেন এবং রাসূলকে ভালোবাসেন, জান্নাতে যেতে চান, হাদীসকে ভালোবাসেন ও ওয়াজ শুনেন এবং ওয়াজের ময়দানে যারা বক্তব্য দেন তাদের সম্পর্কে তাদের একটা বিরাট ধারণা রয়েছে সংগত কারণেই তারা আমার বক্তব্য আহত হয়েছেন।

তিনি আরও বলেন – ডঃ সলিমুল্লাহ খান কিংবা ফরহাদ মজহার এদের সমপর্যায়ের লোক কিন্তু শাহরিয়ার কবির। এখন বক্তব্য হলো শাহরিয়ার কবির ইসলামের বিরুদ্ধে কথা বলেন, ইসলামপন্থীদের বিরুদ্ধে কথা বলেন, কিন্তু বাংলাদেশের কোন আলেম ওলামা বুকে হাত দিয়ে একবারও বলতে পারবেন যে শাহরিয়ার কবিরের কাছে ইসলামের দাওয়াত দেওয়া হয়েছে। তার কাছে গিয়ে কোরআনের কোনো বিষয় কথা বলা হয়েছে। তার সাথে পারিবারিক পরিবেশে মতবিনিময় করা হয়েছে।

রনি বলেন – আমি জানিনা কেয়ামতের দিন আল্লাহ রব্বুল আলামিন যখন বাংলাদেশের আলেম ওলামাদের কে প্রশ্ন করবেন তখন কয়জন আলেম-ওলামা এব্যাপারে জবাব দিতে পারবেন।

উদাহরণ দিয়ে রনি বলেন – লক্ষ করুন, পাকিস্তানের মাওলানা তারিক জামিল তিনি এই বয়সে, এ অবস্থায় থেকেও কিন্তু দ্বীনের কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি ভারতের বড় বড় সেলিব্রিটি মুসলমান-হিন্দু বলেন তাদেরকে দ্বীনের দাওয়াত দিচ্ছেন। তার দাওয়াতে ভারত-পাকিস্তানের অনেকেই যারা সারাজীবন ইসলামের বিরুদ্ধে ছিলেন হজে গিয়েছেন। ইসলামের ব্যাপারে নমনীয় হয়েছেন। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশে যারা আলেম ওলামা রয়েছেন তারা কি ভাবেন একবারও যে – এই দেশে শীর্ষ পর্যায়ের যেসব বুদ্ধিজীবী রয়েছেন, কবি-সাহিত্যিক রয়েছেন, তাদেরকে শুধুই গালাগাল করে যাচ্ছেন। কিন্তু তাদের সঙ্গে ইসলামের অমীয় বাণী, ইসলাম যে শ্রেষ্ঠ ধর্ম এটি কয়জনে প্রমাণ করার চেষ্টা করছেন। কিন্তু তা না করে এ সমস্ত মানুষদেরকে যেভাবে অপমান করা হচ্ছে, যে ভাবে লাঞ্চিত করা হচ্ছে, ফলে ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও তারা ইসলামে দাখিল হতে পারছে না। তারা সে সুযোগ পাচ্ছে না।

গোলাম মাওলা রনি বলেন – এসব ক্ষেত্রে আমার কাছে মনে হয়েছে শাহরিয়ার কবিরের মতো যেসব লোকজন রয়েছেন তাদের সম্পর্কে বিষোদগার না করে। তাদেরকে তাদের জায়গায় যদি সম্মান করি এটি একটি বিরাট ব্যাপার হবে। এবং এই জিনিসটা আমি শিখিয়েছি নেলসন ম্যান্ডেলার কাছ থেকে।

গোলাম মাওলা রনি আরও বলেন – আমি শাহরিয়ার কবিরের প্রশংসা করেছি কারণ তিনি দেশের একজন শীর্ষ সাংবাদিক এবং তদন্তমুখী সাংবাদিক। এসব ক্ষেত্রে তার অবদান সংবাদপত্র জগতের সাথে যারা জড়িত তারা বুঝতে পারেন। তাছাড়া তিনি একজন বয়স্ক মানুষ। সে যেভাবেই হোক না কেন তার যারা অনুজ রয়েছেন তাদের কাছ থেকে একটি নির্দিষ্ট সম্মান তার প্রাপ্য সেটা যে কোন ধর্মই হোক না কেন। এছাড়াও তিনি যতোটুকু ইসলামকে আক্রমণ করেন ততটুকুই তাকে আক্রমণ করা ইসলামে বৈধতা রয়েছে এর বাহিরে থাকে যে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করা হয়, তাকে গালিগালাজ করা, তার চরিত্র হরণ করা, তার ব্যাপারে আজেবাজে কথা বলা, এটা কোন ধর্ম মতে সমর্থন করে না।

গোলাম মাওলা রনি বলেন – আমি মনে করি শাহরিয়ার কবিরের মত অন্যান্য যারা রয়েছেন তাদের জন্য ইসলামে একটি জায়গা করে দিতে হবে। একটি স্পেস করে দিতে হবে এবং তারা যাতে ইসলামে আসতে পারে এবং আলেম-উলামার সম্পর্কে খারাপ ধারণা পোষণ না করেন সে ব্যাপারেও কিন্তু আমাদেরকে সতর্ক থাকতে হবে।