১৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
৩রা ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 233

জেলা পরিষদ নির্বাচনে আনোয়ারের মনোনয়ন পত্র বৈধ ঘোষণা

নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনে একমাত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ক্ষমতাসীন দল মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব আনোয়ার হোসেনের মনোনয়ন পত্র বৈধ ঘোষণা করেছেন রিটার্নিং অফিসার।

রবিবার (৪ ডিসেম্বর) সকালে জেলা প্রশাসক সভাকক্ষে মনোনয়ন পত্র যাচাই-বাছাইয়ের দিন চেয়ারম্যান পদে এই একক প্রার্থীর মনোনয়ন পত্র বৈধ ঘোষণা করেন রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক মো: রাব্বী মিয়া।

তিনি বলেন, একক প্রার্থী হওয়ায় সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী ১২ ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যা্ন হিসেবে আনোয়ার হোসেনকে বিনা প্রতিদ্বন্দীতায় বিজয়ী ঘোষণা করা হবে।

বক্তাবলীতে মহিলা মাদক ব্যবসায়ী ও পতিতা সর্দারণী সুফিয়াসহ ৪ জন আটক

বক্তাবলীর মহিলা মাদক ব্যবসায়ী ও পতিতা সর্দারণী সুফিয়ার বাড়ীতে পতিতা দিয়ে দেহ ব্যবসা করার সময় ৩০ পিস ইয়াবা ও সুফিয়াসহ ৪ জনকে আটক করেছে বক্তাবলী নৌ-ফাঁড়ী পুলিশ। শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টায় পতিতা সর্দারণী সুফিয়ার বক্তাবলীর রাজাপুর গ্রামের বাড়ী থেকে তাদেরকে আটক করা হয়। বক্তাবলীর নৌ-ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক আব্দুর রাজ্জাক সঙ্গীয় ফোর্স ও এলাকার যুবদের সহযোগিতায় শুক্রবার সুফিয়ার বাড়ীতে অভিযান চালিয়ে অসামাজিক কাজে লিপ্ত থাকাবস্থায় পতিতা আমেনা(২৫), খদ্দের বক্তাবলীর রাজপুর গ্রামের মৃত রহমত আলীর ছেলে হান্নান(৩৩) রামনগর গ্রামের মৃতসোহরাবের ছেলে রাসেল এবং নিজ বাড়িতে দেহ ও মাদক ব্যবসার অভিযোগে ফারুকের স্ত্রী পতিতা সর্দারণী সুফিয়াকে আটক করে। এলাকাবাসী জানায়, রাজাপুর এলাকার প্রভাবশালী ফারুকের স্ত্রী সুফিয়া (৩৫) দীর্ঘদিন যাবত তার নিজ বাসভবনে শহর ও আশেপাশের পতিতা ও মাদক ব্যবসায়ী দিয়ে দেহ ও মাদক ব্যবসা করে আসছে। সুফিয়ার স্বামী ফারুক এলাকার প্রভাবশালী আওয়ামী নামধারী কিছু নেতাদের ছত্রছায়ায় এসব অসামাজিক কার্যকলাপ চালিয়ে আসছে বলে কেউ তার প্রতিবাদ করতে সাহস পাচ্ছে না। যদি নামধারী নেতাদের গ্রেফতার করা হয় তাহলে এলাকায় অসামাজিক কার্যকলাপ ও মাদক ব্যবসা এলাকায় থাকবে না। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বক্তাবলীর নৌ-ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক আব্দুর রাজ্জাক নিউজ প্রতিদিন ডট নেটকে বলেন,সুফিয়া নিজ বাড়িতে দেহ ও মাদক ব্যবসা করছে এমন অভিযোগ জানতে পেরে তার  বাড়িতে অভিযান চালিয়ে সুফিয়াসহ ৪ জনকে আটক করি। তিনি আরো বলেন,বক্তাবলীর যুবকরা যেভাবে আমাদের সহযোগিতা করেছে এটা অব্যহত থাকলে বক্তাবলীতে কোন প্রকার মাদক ব্যবসা ও অসামাজিক কার্যকলাপ হতেদেয়া হবে না।

দুর্নীতির অভিযোগ সত্য নয়, আদালতকে খালেদা জিয়া

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার দুর্নীতির অভিযোগ সত্য নয় বলে আদালতকে জানালেন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া।

বৃহস্পতিবার পুরান ঢাকার বকশীবাজারে স্থাপিত তৃতীয় বিশেষ জজ আবু আহমেদ জমাদারের অস্থায়ী আদালতে আত্মপক্ষ সমর্থনে এ কথা বলেন বিএনপির প্রধান।

খালেদা জিয়াকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিয়ে তার বিরুদ্ধে ৩২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য আদালতে পড়ে শোনান বিচারক। এরপর আদালত খালেদা জিয়ার কাছে জানতে চান এসব অভিযোগ সঠিক কি না?  জবাবে খালেদা জিয়া বলেন, এসব অভিযোগ সত্য নয়।

এরপর অভিযোগের বিষয়ে আদালতে কিছু লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন খালেদা জিয়া। এ পর্যায়ে আজকের কার্যক্রম মুলতবি করে পরবর্তী শুনানির জন্য ৮ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেন আদালত। ওই দিন খালেদা জিয়া তার আত্মপক্ষ সমর্থনের লিখিত বক্তব্যের বাকি অংশ আদালতে উপস্থাপন করবেন।

বৃহস্পতিবার দুপুর পৌনে ১টা থেকে আদালতের কার্যক্রম শুরু হয়। জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থনের ওপর শুনানিতে অংশ নিতে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আদালতে পৌঁছান খালেদা জিয়া।

গত ১০ নভেম্বর আদালতে হাজির হয়ে আত্মপক্ষ সমর্থনের বিষয়ে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা দুই সপ্তাহের সময় চান। পরে আদালত ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত সময় দেন। কিন্তু ওই তারিখে তিনি হাজির না হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে সময় আবেদন করলে আদালত ১ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেন।

ফতুল্লায় বিদেশি পিস্তল ও গুলিসহ গ্রেফতার-১

আসন্ন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সম্পন্ন করতে ইতিমধ্যেই অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারসহ সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারে সাঁড়াশি অভিযান শুরু করে দিয়েছে আইনশৃংখলা বাহিনী। যার প্রেক্ষিতে অস্ত্রসহ একজন সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোস্তাফিজুর রহমান।

তিনি জানান, নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় একটি বিদেশী পিস্তল এবং ৩ রাউন্ড গুলিসহ মাহাবুব আলম লাবু নামে এক সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে ফতুল্লার পশ্চিম দেওভোগ পানির ট্যাংকি এলাকা থেকে ঐ সন্ত্রাসীর স্বীকারোক্তি মতে পিস্তল এবং ম্যাগাজিন ভর্তি গুলি উদ্ধার করা হয়। আটককৃত মাহাবুব আলম লাবু (২৮) সদর উপজেলার ফতুল্লার মাসদাইর বেকারীর মোড় এলাকার ইউনুছ আলীর ছেলে।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযানটি পরিচালনা করেছেন, ফতুল্লা মডেল থানার এসআই কাজী এনামূল হক ও এএসআই কামরুল হাসান।

ফতুল্লা মডেল থানার এ এস আই কামরুল হাসান জানান, বুধবার (৩০ নভেম্বর) রাতে ফতুল্লার মাসদাইর বেকারীর মোড় এলাকা থেকে সন্ত্রাসী মাহাবুব আলম লাবুকে আটক করা হয়। পরে লাবুর স্বীকারোক্তি মতে বৃহস্পতিবার দুপুরে ফতুল্লার দেওভোগ পানির ট্যাংকি এলাকা থেকে ১টি বিদেশী পিস্তল এবং ৩ রাউন্ড গুলি ভর্তি একটি ম্যাগাজিন উদ্ধার করা হয়।

ফতুল্লা মডেল থানার ওসি কামাল উদ্দিন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এ ঘটনায় ফতুল্লা মডেল থানায় অস্ত্র আইনে একটি মামলা হয়েছে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোস্তফিজুর রহমান আরো বলেন, আসন্ন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে এই বিশেষ অভিযান। নাসিক নির্বাচন সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণ করার আমাদের একমাত্র লক্ষ। তার জন্য অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের চলমান অভিযান আমাদের অব্যাহত থাকবে ।

এরআগে, নির্বাচনে সুষ্ঠ পরিবেশ বজায় রাখতে একাধিকবার বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দসহ মেয়র প্রার্থী এড. সাখাওয়াত হোসেন খান অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারসহ বৈধ অস্ত্র জমা নেয়ার দাবী জানিয়েছিলেন।

মালয়েশিয়ার সমুদ্রতীরে ৭৬৭ বাংলাদেশি আটক

মালয়েশিয়ার সমুদ্রতীরের পোর্ট ডিকসনের একটি নির্মাণ প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়ে ৭৬৭ বাংলাদেশিসহ ৯৩৬ জন অবৈধ অভিবাসীকে আটক করেছে সেদেশের ইমিগ্রেশন পুলিশ। ত‍ারা অবৈধভাবে দেশটিতে বসবাস করছিলেন বলে অভিযোগ আনা হয়েছে।

সোমবার পোর্ট ডিকসনের জিমাহ এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয় বলে জানিয়েছে মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা বারনামা।

বারমানা নেগেরি সেম্বাইলান রাজ্যের ইমিগ্রেশন পুলিশের পরিচালক হাপজান হুসাইনিকে উদ্ধৃতি করে জানিয়েছে, আটক হওয়া অভিবাসীদের বয়স ২০ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে। তাদের বিরুদ্ধে জাল ভিসা ব্যবহার, বৈধ কাগজপত্র ছাড়া বা মেয়াদপূর্তির পরেও মালয়েশিয়ায় অবস্থানসহ বিভিন্ন অভিযোগ আনা হয়েছে।

আটকদের ৭৬৭ জন বাংলাদেশ, ৮০ জন পাকিস্তান, ৫০ জন ভারত, ২২ জন ইন্দোনেশিয়া, ১৩ জন শ্রীলঙ্কা, তিনজন মিয়ানমার ও একজন নেপালের নাগরিক বলে বারনামার খবরে জানানো হয়।

সম্প্রতিকালে চাকরির মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়া শ্রমিকদের নিয়োগ চুক্তি নবায়নের সুযোগ দেয় মালয়েশিয়া। কিন্তু তাতে খুব বেশি সাড়া পাওয়া যায়নি। এদিকে চুক্তি নবায়নের সুযোগ শেষ হতেই অবৈধ অভিবাসীদের আটকে অভিযান শুরু করেছে দেশটি।

এ বিষয়ে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, এ সব খবর ওরা সঙ্গে সঙ্গে জানায় না, কিছুদিন সময় নেয়। তবে মুখে মুখে কিছু তো ইনফরমেশন আমাদের কাছে আসে। তারপর আমরা যোগাযোগ করি। টেলিফোনের পরও ওরা (মালয়েশিয়ার কর্তৃপক্ষ) নিশ্চিত করে কোনো কিছু বলে ন‍া। ওরা হয়ত বলে তিনশ বা দুইশ’র মতো ধরেছি।

হাইকমিশনার আরও বলেন, যারা আটক হয়, তাদের কাছে কোনো বৈধ কাগজপত্র থাকে না। ফলে তাদের মধ্যে কতজন বাংলাদেশি সেটা সহজে বলা কঠিন।

রাজধানীতে র‌্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ২

রাজধানীর রামপুরা এলাকায় র‌্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুই ব্যক্তি নিহত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে কথিত এই বন্দুকযুদ্ধ হয়।

র‌্যাবের ভাষ্য, একদল দুষ্কৃতকারীর সঙ্গে র‌্যাবের গুলিবিনিময় হয়। এতে দুই দুষ্কৃতকারী গুলিবিদ্ধ হয়। তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্র জানায়, গতকাল গভীর রাতে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দুজনকে নিয়ে আসা হয়। পরীক্ষা শেষে তাদের মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।

নিহত দুজনের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়েছে বলে র‌্যাবের ভাষ্য।

নারায়ণগঞ্জে গণপিটুনিতে ডাকাত নিহত

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে গণপিটুনিতে এক ডাকাত নিহত হয়েছে। সোমবার রাতে উপজেলার মাহমুদপুর ইউনিয়নের কল্যান্দী গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার দিন রাত ৩টার দিকে কল্যান্দী গ্রামের প্রবাসী ফালাইন্নার বাড়িতে ১৫/২০ জনের মুখোশ পরিহিত ডাকাত দল হানা দেয়। ডাকাতদল প্রথমে অস্ত্রের মুখে সকলকে জিম্মি করে ফেলে। এর পর ঘরে থাকা নগদ ৪ লাখ টাকা, ৫ ভরি স্বর্ণালংকার লুট করে পালিয়ে যেতে থাকে। এ সময় তাদের চিৎকারে আশে-পাশের শত শত লোক বের হয়ে কল্যান্দীর চকে ডাকাতদের ঘিরে ফেলে। এতে ১ ডাকাত আটক হলেও বাকীরা পালিয়ে যায়।

আটককৃত ডাকাতকে গণপিটুনি দিলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। আড়াইহাজার থানার ওসি সাখাওয়াত হোসেন ঘটনা নিশ্চিত করেছেন। তিনি আরো বলেন, নিহত ডাকাতের পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা চলছে।

যথাযথ মযার্দায় বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগে বক্তাবলী গণহত্যা ও প্রতিরোধ দিবস পালন

যথাযথ মযার্দায় বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগে বক্তাবলী গণহত্যা ও প্রতিরোধ দিবস পালন করা হয়েছে। ১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের ২৯ নভেম্বর বক্তাবলী পরগনায় পাক হানাদার বাহিনী কতৃক নিহত ১৩৯ জন শহীদের স্মরণে সকাল ৮টায় বক্তবলীর সৃতি স্তম্ভে  বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পন করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন, বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের(প্যানেল চেয়ারম্যান) আতাউর রহমান প্রধান,২নং ওয়ার্ড মেম্বার আকিল উদ্দিন সিকদার,৪ নং ওয়ার্ড মেম্বার আলহাজ্ব ওমর ফারুক,৬ নং ওয়ার্ড মেম্বার মোঃ রাসেল চৌধুরী,৫নং ওয়ার্ড মেম্বার আবদুল মতিন খান,৭নং ওয়ার্ড মেম্বার আবদুল জলিল গাজী,৮নং ওয়ার্ড মেম্বার মনির হোসেন,৯নং ওয়ার্ড মেম্বার মোঃ আমজাদ হোসেন এবং সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার মোসাঃ হাজেরা বেগম, মোসাঃ মরিয়ম বেগম ও মোসাঃ কুলসুম বেগম। 

ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রহিমকে হত্যার হুমকী

ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক ও দৈনিক ডান্ডিবার্তা পত্রিকার বার্তা সম্পাদক আব্দুর রহিমকে স্বপরিবারে হত্যার হুমকী দিয়েছে সন্ত্রাসীরা। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কয়েক দফায় একটি বাংলালিংক মোবাইল নম্বর থেকে এই হুমকী দেয়। এ ঘটনায় সাংবাদিক আব্দুর রহিম গতকাল শনিবার ফতুল্লা মডেল থানায় সাধারন ডায়েরী দায়ের করেছে। ডায়েরী নং-১৩০০।
সাংবাদিক আব্দুর রহিম জানায়, প্রতিদিনের ন্যায় গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দৈনিক ডান্ডিবার্তায় যাওয়ার পথে মাহমুদ ওরুফে মগা পরিচয় দিয়ে ০১৯৭১১১১৪৭৯ নম্বর থেকে আমার ব্যবহৃত ০১৯২৩৪৯৬৫৫৭ নম্বরে ফোন করে আমাকে  ও আমার পরিবারকে হত্যার হুমকী দেয়। এছাড়া এই হুমকীর সংবাদ প্রকাশ করলে এর পরিনাম ভয়াবহ হবে বলেও জানায়। আমি তার সঠিক পরিচায় জানতে চাইলে ফোন কল কেটে দেয়। আব্দুর রহিম আরো জানায়,  কিছুদিন পূর্বে শাহজাহান রোলিং মিল খাঁ বাড়ি এলাকার ফাহিম ও ফতুল্লা পাইলট স্কুল এলাকায় চিহ্নিত মাদ্রক স¤্রাট দিপুর বিরুদ্ধে দৈনিক ডান্ডিবার্তা পত্রিকায় ধারাবাহিক তথ্যবহুল সংবাদ প্রকাশ করে। এই সাংবাদের পর ফাহিমের পরিবারের ৭ সদস্য ও দিপুকে গ্রেফতার করে ফতুল্লা পুলিশ। এ ঘটনার জের ধরে মাদক ব্যবসায়ীরা তাকে হুমকী দিতে পারে বলে তার ধারনা। উল্লেখ্য, গত ২ মাস পূর্বে মাদক ব্যবসায়ী দিপুর বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকশের জের ধরে সাংবাদিক রহিমকে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকী দেয় বলে অভিযোগ রয়েছে।
এব্যাপারে ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামাল উদ্দিন জানায়, এ ঘটনায় হুমকীদাতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে একজন দারোগাকে নিদের্শ দেয়া হয়েছে।

কলেজ সরকারিকরণের দাবিতে পুলিশের গুলিতে শিক্ষকসহ নিহত ২

ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ায় কলেজ সরকারিকরণের দাবিতে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে শিক্ষকসহ ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহত শিক্ষক আবুল কালাম উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক বলে জানা গেছে। পথচারী নিহত অপর ব্যক্তির নাম সফর আলী (৬০)।

রবিবার ফুলবাড়ীয়া উপজেলা সদরের কলেজের ভিতরেই এ ঘটনা ঘটে। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, পুলিশ ক্যাম্পাসে ঢুকে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা চালিয়েছে।

এ সংঘর্ষের ঘটনায় আরো অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।

ফুলবাড়ীয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিফাত খান রাজীব দাবি করেছেন, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার একপর্যায়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তারা মারা যেতে পারেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ফুলবাড়ীয়া কলেজে সরকারীকরণের দাবিতে দুপুরে পৌর এলাকায় আন্দোলনকারীরা মিছিল বের করতে চাইলে পুলিশ বাঁধা দেয়। পরে কলেজের ক্যাম্পাসে ঢুকে আন্দোনকারীদের ওপর হামলা করে পুলিশ।

এ সময় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইট-পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এতে আহত হন পথচারী মাছবিক্রেতা সফর আলী এবং সহকারী অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ। ফুলবাড়ীয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে সফর আলী মারা যান। অন্যদিকে সহকারী অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদকে ময়মনসিংহ কমিউনিটি বেজড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন বলে জানান ফুলবাড়ীয়া কলেজের সহকারী অধ্যাপক ঈমাম হোসেন।

কলেজ শিক্ষক আরো জানান, পুলিশের লাঠিপেটায় শিক্ষক হেলাল উদ্দিন, উপেন্দ্র চন্দ্র দাস, মুজিবুল হক, মুজিবুর রহমানসহ শিক্ষার্থীরা আহত হন।

এ দিকে ওই ঘটনার প্রতিবাদে আন্দোলনকারীরা উপজেলা সদরের সড়কে গাছ ফেলে অবরোধ সৃষ্টি করে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওসি রিফাত খান রাজীব।

ঘটনায় নিহত সফর আলী সম্পর্কে ওসি রিফাত খান বলেন, কলেজে যখন আন্দোলন চলছিল, তখন একটাপর্যায়ে আমরা উপজেলার দিকে ফেরত আসতে থাকি। আসার পথে উপজেলা পরিষদের দিকে একটা অসুস্থ মানুষ শুয়ে আছে। গামছা পরা। কিছু মানুষ তাকে দেখছে। তখন সাংবাদিকরাও ছিল। তখন বললাম, উনি অসুস্থ তাকে হাসপাতালে পাঠান। পরে স্থানীয় বাসিন্দারা ভ্যানে করে তাকে হাসপাতালে পাঠায়। কিছুক্ষণ পর ভ্যান ওয়ালা ফেরত আসে, জানায় যে তিনি পথেই মারা গেছেন। এ কারণে আর হাসপাতালে নেওয়া হয়নি। পরে অ্যাম্বুলেন্স ডাকি। কারণ তিনি তো মারা নাও যেতে পারেন। পরে আমরাই তাকে হাসপাতালে পাঠাই। পরে হাসপাতাল সূত্রে জানতে পারি তিনি মারা গেছেন।