নিউজ প্রতিদিন : ফ্রান্সের ঘৃনিত পত্রিকা শার্লি এবদো কর্তৃক প্রকাশিত আল্লাহর হাবীব নুরনাবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর ব্যঙ্গচিত্র পুলিশ প্রহরায় প্রদর্শনের ব্যবস্থা করেছে দেশটির সরকার যা চরম ধৃষ্টতা ছাড়া আর কিছুই নয়।
ফরাসি সরকারের এই ঘৃন্য আচরন পৃথিবীর সকল মু’মিনমুসলমানদের হৃদয়ে রক্ত ক্ষরন সৃষ্টি হয়েছে। ফ্রান্সে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ফ্রান্সের এ ধরনের ধৃষ্টতামূলক কর্মকান্ডের নিন্দা না করে তাদের সাথে বিনিয়োগ বৃদ্ধির আশা করছে যা কান্ডজ্ঞানহীন মূর্খতার পরিচায়ক। বাক্ স্বাধীনতার নামে রাসূল (সাঃ)কে নিয়ে কোন প্রকারের ব্যঙ্গ বিদ্রæপ বরদাশত করা হবে না।
২৫ (অক্টোবর) রবিবার বাদ যোহর আব্বাসী মঞ্জিল জৌনপুরী দরবার শরীফ প্রাঙ্গনে ফ্রান্সে রাসূল সাঃ এর ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শনের প্রতিবাদে মানববন্ধনে তাহরিকে খাতমে নুবুয়্যাত বাংলাদেশে আমীর আল্লামা মুফতী ড. সাইয়্যেদ এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী ওয়া সিদ্দিকী পীর সাহেব জৌনপুরী এ কথা বলেন।
পীর সাহেব বলেন, মু’মিন মুসলমানদের হৃদয়ের স্পন্দন রাসূল সাঃ এর শানে বেয়াদবীমূলক আচরন যদি বন্ধ না করা হয় সারা বিশ্বে প্রতিবাদের দাবানল ছড়িয়ে পরবে। আমরা লক্ষ্য করেছি ফরাসী এই ঘৃনিত পত্রিকা এর আগেও কয়েকবার রাসূল সাঃ শানে জঘন্য বেয়দবী করেছে। ফ্রান্স সহ ইউরোপে ইসলাম গ্রহনকারী মুসলিমদের সংখ্যার বৃদ্ধিকে সহ্য করতে না পেরে ফ্রান্স এ ধরনের ঘৃন্য কর্মকান্ডে লিপ্ত হচ্ছে। ফ্রান্স সরকার রাষ্ট্রীয়ভাবে ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শনের মাধ্যমে বিশ্ব মুসলিমকে ক্রুসেডযুদ্ধ বাধানোর গভীর ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। পীর সাহেব আরো বলেন, নিজেদেরকে সভ্য, শিক্ষত ও ধর্মনিরপেক্ষ হিসেবে বিশ্বের নিকট উপস্থাপনকারী দেশটির কান্ডজ্ঞানহীন আচরন শান্তিকামীবিশ্ববাসীকে হতবাক করেছে।
তাই সরকারের নিকট আমাদের দাবীঅনতিবিলম্বে সংসদে নিন্দা প্রস্তাব আনতে হবে। এবং ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূতকে তলব করে ফ্রান্স সরকারকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার আবেদন করতে হবে। যদি ক্ষমা না চায় তাহলে ফ্রান্স দূতাবাস বন্ধ করে দিন। ফ্রান্সের সকল পন্য আমদানী বন্ধ করে দিন।
পীর সাহেব দলমত নির্বেশেষে সকল মু’মিন মুসলমানদেরকে ঈমানী দায়িত্ব হিসেবে ফ্রান্সের সকল পন্য বর্জন করা এবং ফ্রান্স সরকারের বিরুদ্ধে কুনুতে নাজেলা পড়ার আহবান জানান ।


আলোচনা অনুষ্ঠানের পর অতিথীদের উপস্থিতিতে বৃক্ষরোপণ করা হয় এবং এলাকার লোকদের মাঝে চারাগাছ বিতরণ করা হয়। তাছাড়া সংগঠনটি আগামী বছর এই গ্রামের শিশু শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বিনামুল্যে ভর্তির জন্য সহযোগিতার আশ্বাস দেন এবং মৃত ব্যক্তিদের দাফনের জন্য বিনামূল্যে কাফনের কাপড় সরবরাহের কার্যক্রম চালু করা হয়।
এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের যুগ্ম-সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জীবন, আলোকিত বক্তাবলীর সভাপতি নাজির হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম, বক্তাবলী ওয়েল ফেয়ার এসোসিয়েশনের সভাপতি আল আমিন ইকবাল, সিনিয়র সহ-সভাপতি এম এ মতিন, সাধারণ সম্পাদক, মতিউর রহমান ফকির, ধলেশ্বরীর তীরে সংগঠনের সিনিয়র সভাপতি জিয়াউর রহমান ফকির, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল ইমরান, সহ-সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক রাসেল প্রধান, কানাইনগর সমাজ কল্যাণ পরিষদের সভাপতি মাহবুব হাসান রতন, আলোকিত বক্তাবলীর দপ্তর সম্পাদক মো. দুলাল মিয়া, বিশেষ সম্পাদক মনির হোসেন ছাড়া ও এলাকার মিয়ন মাদবর ,সুফিয়ান মাদবর, জলিল মেম্বারসহ গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ।
সমাবেশে পীর সাহেব আরো বলেন, ধর্ষন সামাজিক মহামারীতে রুপ নিয়েছে। এর কারন কুশিক্ষা, কুরআনের আইনে বিচার না হওয়া, পর্দা প্রথা বাধ্যতামূলক না থাকা। ধর্ষণ সন্ত্রাস বন্ধ করতে হলে কুরআন সুন্নাহর আইন বাধ্যতামূলক করে ধর্ষকদের শাহাবাগে, মতিঝিলে প্রকাশ্য ভাবে কতল করতে হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন,নারায়ণগঞ্জ জেলা সেচ্ছাসেবক দল নেতা মতিউর রহমান ফকির

শুক্রবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বাদ আছর বক্তাবলী ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের আমজাদ মেম্বারের নিজস্ব কার্যালয়ে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

এসংবাদ পেয়ে বক্তাবলী ইউনিয়ন যুবদলের নেতৃবৃন্দরা অনুষ্ঠানে এসে ব্যানার ছিড়ে ফেলে অনুষ্ঠানটি পন্ড করে দেয় এবং দাওয়া করে।
