৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২৩শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 122

শামীম ওসমানের জনসভায় শওকতের নজরকাড়া শোডাউন।

নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের জনসভায় বিশাল মিছিল নিয়ে যোগদান করেছেন ফতুল্লা থানা আওয়ামীলের সাধারণ সম্পাদক ও বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো.শওকত আলী।

শনিবার (২৭ অক্টোবর) দুপুর আড়াইটায় ফতুল্লা যমুনা গেইট থেকে আলহাজ্ব মো.শওকতের নেতৃত্বে মিছিলটি বের হয়ে ওসমানী স্টেডিয়ামে গিয়ে শামীম ওসমনের মুল জনসভায় গিয়ে যোগদান করেন।

মিছিলটির অগ্রভাগে ছিল পায়ে হেঁটে প্রায় সহস্রাধিক নেতাকর্মী। যার নেতৃত্বে ছিলেন শওকত আলী। এ সময় স্লোগানে স্লোগানে রাজপথ প্রকম্পিত করে তোলে মিছিলে অংশ নেয়া নেতা নেতাকর্মীরা।

মিছিটিতে উপস্থিত ছিলেন,নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের সদস্য মো.জাহাঙ্গীর আলম,বক্তাবলী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আফাজ উদ্দিন ভূইয়া,সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম,সাংগঠনিক সম্পাদক মো.বাবুল মিয়া,শফিক মাহমুদ,বক্তাবলী ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম,আতাউর রহমান প্রধাণ,ভিপি আলমগীর,ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক হাজ্বী আবুল হোসেন,ফতুল্লা থানা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক মো.নাজির হোসেন,জেলা ছাত্রলীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক মাশফীকুর রহমান শিশির,
ফতুল্লা থানা যুবলীগের সহ সভাপতি বরকত উল্লাহ, বক্তাবলী ইউপি সদস্য আখিল উদ্দিন,মো.ফারুক,আ:মতিন,মো.রাসেল চৌধুরী মো.জলিল গাজী,মো.মনির হোসেন,আমজাদ হোসেন,কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির ৭নং ওয়ার্ড সভাপতি মো.দেলোয়ারসহ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ অাফ্রিকা ও পাকিস্তানকে পেছনে ফেলে র্র্যাংকিংয়ে চতুর্থ বাংলাদেশ।

২০১৪ সালের শেষের দিক। মুশফিকুর রহিমের কাছ থেকে বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের দায়িত্ব পান মাশরাফি বিন মুর্তজা। টানা হারতে থাকা বাংলাদেশ দলকে কোচ হাতুরেসিংহের হাত ধরে নতুন জীবন এনে দেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। ওই বছর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ দিয়ে শুরু হয় নতুন বাংলাদেশের জন্ম। পরের বছর ২০১৫ সালে অস্ট্রেলিয়াতে ওয়ানডে বিশ্বকাপে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে বাংলাদেশ দল।

গ্রুপ পর্বে ইংল্যান্ডের মত শক্তিশালী দল কে বিদায় করে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করে মাশরাফি বিন মুর্তজার দল। মূলত সেই থেকেই শুরু। এরপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি বাংলাদেশ দলকে। বিশ্বকাপ থেকে ফিরে বাংলাদেশ দল দেশের মাটিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৩-০ ব্যবধানে ওয়ানডে সিরিজ জয় লাভ করে।

পাকিস্তানকে হারিয়ে পরের মাসেই ভারতের বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানে ওয়ানডে সিরিজ নিজেদের করে নেয় টাইগাররা। শুধু ভারত-পাকিস্তানি নয় একই বছরের দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জয় লাভ করে বাংলাদেশ। এরপর থেকেই বিভিন্ন সাফল্য ধরা দিতে থাকে মাশরাফিদের।

২০১৬ সালের টি -২০ এশিয়া কাপ এর ফাইনাল, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি সেমিফাইনাল, এবং এ বছর এশিয়া কাপের ফাইনাল। সব মিলিয়ে দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছে বাংলাদেশ দল। বিশেষ করে এ বছরে দারুণ ফর্মে রয়েছে মাশরাফি বিন মুর্তজা অধীনে থাকা সাকিব-তামিম-মুশফিকরা।

গতকাল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ জয় লাভ করেছে বাংলাদেশ দল। ২০১৮ সালে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে মোট ১৭ টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছে। এরমধ্যে জয় তুলে নিয়েছে ১১ টি ম্যাচে। হারতে হয়েছে ৬ টি ম্যাচে। ভগ্নাংশের দিক দিয়ে তাকালে ইংল্যান্ড ভারত এবং নিউজিল্যান্ড এর পরেই অবস্থান করছে বাংলাদেশ দল।

বাংলাদেশের পিছনে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া পাকিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ সহ বাকি সব দল। ২০১৮ সালে জয়ের দিক দিয়ে বাংলাদেশ রয়েছে চতুর্থ স্থানে। ২০১৮ সালে জয়ের ভগ্নাংশের দিক থেকে সবার উপরে রয়েছে ভারত, এর পরেই রয়েছে ইংল্যান্ড এবং নিউজিল্যান্ড। এই তিন দলের পরেই রয়েছে বাংলাদেশ।

‘গোপন বৈঠক’ থেকে জামায়াত-শিবিরের ১৭ নেতাকর্মী আটক

কক্সবাজার শহরের একটি আবাসিক হোটেলে গোপন বৈঠক থেকে জামায়াত-শিবিরের ১৭ জন নেতাকর্মীকে আটক করেছে র‌্যাব।
র‌্যাবের দাবি, নাশকতা পরিকল্পনার উদ্দেশ্যে আটককৃত নেতাকর্মীরা গোপন বৈঠকে বসেছিলেন। 
শুক্রবার রাতে কক্সবাজার শহরে কলাতলীর ‘বে টাচ’ নামে একটি হোটেল থেকে তাদের আটক করা হয়। পরে রাত ৮টা ১৪ মিনিটের দিকে কক্সবাজার র‌্যাব ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মেজর মেহেদী হাসান ক্ষুদে বার্তায় বিষয়টি গণমাধ্যমে জানান।
আটককৃতরা হলেন- কক্সবাজার জেলা শিবিরের সাবেক সভাপতি দরবেশ আলী, চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াতের আমির ও কক্সবাজার জেলা জামায়াতের সাবেক আমির মো. শাহজাহানের ছোট ভাই জামায়াত নেতা মফিজ উদ্দিন, উখিয়া উপজেলা জামায়াতের নেতা শাহনেওয়াজ, জামায়াত নেতা আব্দুল করিম, মো. হাশেম, রফিক উল্লাহ, মোহাম্মদ ছিদ্দিক, সাবেক শিবির নেতা মো. ইউনুচ, জামায়াত নেতা আবুল আলা মোহাম্মদ রুমেল, আনোয়ারুল ইসলাম, মো. ইব্রাহিম, আব্দুর রহমান, মাওলানা মো. ইউসুফ, নিয়ামত উল্লাহ, রফিকুল ইসলাম, আবছার কামাল ও মোহাম্মদ ফারুক।
র‌্যাব সূত্র জানায়, শহরের কলাতলীর ‘বে টাচ’ হোটেলের একটি কক্ষে উখিয়ার অরিজিন হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভার নাম দিয়ে নাশকতা পরিকল্পনার জন্য গোপন বৈঠকে বসেছিলেন জামায়াত-শিবিরের নেতারা।  খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়। 
কক্সবাজার র‌্যাব ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মেজর মেহেদী হাসান বলেন, জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা নাশকতা পরিকল্পনার জন্য হোটেলে গোপন বৈঠকে বসেছিলেন। ওই হোটেলে অভিযান চালিয়ে তাদের পরিকল্পনা ভণ্ডুল করা হয়।  পরে তাদেরকে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি ফরিদ উদ্দীন খন্দকার বলেন, র‌্যাব ১৭ জন জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীকে আটক করে থানায় হস্তান্তর করেছে। আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

নারায়ণগঞ্জ বিএনপি নেতাকর্মীর আগাম জামিন।

নিজস্ব প্রতিবেদক : নারায়ণগঞ্জের রুপগঞ্জ, ফতুল্লা ও সোনারগাঁ থানা বিএনপির ২শ নেতাকর্মী ১১টি নাশকতা ও বিস্ফোরক মামলায় উচ্চ আদালত থেকে ৮ সপ্তাহের আগাম জামিন পেয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে হাইকোর্ট ডিভিশনের বিচারপতি রেজাউল হক ও জাফর আহমেদের বেঞ্চ এ জামিন আদেশ দেন।

এতে জামিন পেয়েছেন দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির সহ সভাপতি আব্দুল মান্নান, জেলা বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ রুহুল আমিন শিকদার, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সম্পাদক সালাহউদ্দিন দেওয়ান, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক খাইরুল ইসলাম সজীব, রুপগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা রফিকুল ইসলাম, কাঞ্চন পৌর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মফিজুল ইসলাম খান, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল্লাহ, ভূলতা ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক রাশেদুল ইসলামসহ রুপগঞ্জ সোনারগাঁ ও ফতুল্লা থানা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের ২ শতাধিক নেতাকর্মী।

বিএনপি নেতাকর্মীদের পক্ষে শুনানীতে অংশ নেন অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদিন, ব্যারিস্টার মাহাবুব উদ্দিন খোকন, অ্যাডভোকেট মাহাবুবুর রহমান খান।

মাছ চুরির মামলা ডা. জাফরুল্লাহর বিরুদ্ধে

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর বিরুদ্ধে সাভারের আশুলিয়ায় মাছ চুরির মামলা করা হয়েছে।
এর আগে তার বিরুদ্ধে জমি দখল, হত্যার হুমকি ও চাঁদাবাজির মামলাও হয়েছে। এ নিয়ে ডা. জাফরুল্লাহর বিরুদ্ধে সাভারেই পৃথক পাঁচটি মামলা করা হল।
বুধবার দিবাগত রাতে রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোড এলাকার বাসিন্দা কাজী মহিবুর রব নামে এক ব্যক্তি ডা. জাফরুল্লাহকে প্রধান আসামি করে দুজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে আশুলিয়া থানায় মামলাটি করেন।
আশুলিয়া থানার ওসি (তদন্ত) জাবেদ মাসুদ বলেন, আশুলিয়ার মির্জানগর এলাকায় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ১৯ দশমিক ৬৩ শতাংশ জায়গার ক্রয়সূত্রে নিজেকে মালিক দাবি করেন কাজী মহিবুর রব নামে এক ব্যক্তি।
‘তার দাবি, দীর্ঘদিন থেকে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ অবৈধভাবে সেই জমি দখল করতে তাকে প্রাণনাশের হুমকিসহ জমিতে অনধিকার প্রবেশ ও চাঁদা দাবি করে আসছেন। এমনকি জাফরুল্লাহ চৌধুরী লোকজন দিয়ে জমিতে থাকা মাছ চুরি করিয়েছেন বলেও অভিযোগ তার।’   এর আগে ডা. জাফরুল্লাহর বিরুদ্ধে অবৈধভাবে জমি দখল, চাঁদাবাজি, প্রাণনাশের হুমকি, মারপিট, লুট, চুরিসহ নানা অভিযোগে গত ১৫ অক্টোবর মোহাম্মদ আলী নামে এক ব্যক্তি একটি, ১৯ অক্টোবর হাসান ইমাম একটি, ২১ অক্টোবর সেলিম আহমেদ একটি এবং ২৩ অক্টোবর নাসির উদ্দিন নামে এক ব্যক্তি একটি মামলা করেন।
এর মধ্যে দুটি মামলায় জাফরুল্লাহ চৌধুরী হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়েছেন।

কাদেরের নমিনেশন দেয়ার ক্ষমতা নাই!

জয়নাল হাজারী:
নির্বাচনের আর বেশি দিন বাকি নাই। নির্বাচনকে ঘিরে বিভিন্ন ধরনের কর্মকাণ্ড আলাপ-আলোচনা দৌঁড়ঝাপও পরিকল্পনা চলছে। সব কিছুকে ছাপিয়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে আ.লীগ থেকে কে কোথায় নমিনেশন পাচ্ছে এবং মনোনয়ন প্রত্যাশিরা নেতাদের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরে বেড়াচ্ছে। বিশেষ করে যে সমস্ত নেতারা আ.লীগের সংসদীয় কমিটিতে রয়েছে।

এ ব্যাপারে আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নাম সকলের উপরে রয়েছে। সচিবালয়ে, কাদেরের বাসভবনে এবং আ.লীগ অফিসে কাদেরের সাক্ষাৎ প্রার্থী শত শত লোক এ সব সাক্ষাৎ প্রার্থীদের অর্ধেকও তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারে না। আমু ভাই তোফায়েল ভাইয়ের ঘরেও সাক্ষাৎ প্রার্থীর সংখ্যা কম নয়। যদিও ইনারা অনবরত বলে যাচ্ছেন আমাদের হাতে কিছু নাই। এ বারের ব্যাপারটি একেবারেই নেত্রীর হাতে। বাজারে গুঞ্জব আছে একশো কোটি টাকা দিয়েও আ.লীগের নমিনেশন কেনার লোক আছে। গতকাল স্বাস্থ্যমন্ত্রী নাসিম ভাই বলেছে সকল নমিনেশনই এবার এককভাবে নেত্রী নিজেই ঠিক করবেন। এ কথার কারণে পরিষ্কার ধারণা করা যায় ওবায়দুল কাদেরও নমিনেশন এ দিক ও দিক করতে পারবে না।

অবশ্য ওবায়দুল কাদের নিজেও কারো নমিনেশন নিশ্চিত করতে পারবে এমন কথা বলেনি মনে হয় বলবেও না। শোনা যায় গতবারের নমিনেশনে ও কাদের কিছু কিছু প্রভাবখাটিয়ে কাজ করেছিল। দুয়েকজনের নিশ্চিত নমিনেশন আপত্তি দিয়ে বাতিল করেছিল। ওবায়দুল কাদেরকে নিজের আসনেই জয়ী হয়ে আসতে ঘাম ঝরাতে হবে। বিএনপি যেভাবেই হোক যদি ভোটে আসে তবে কাদেরকে ভোট করতে হবে ব্যারিষ্ট্রার মওদুদ আহমেদের সঙ্গে। সেখানে মওদুদ আহমেদের শক্ত অবস্থান রয়েছে।

তবে মন্ত্রী থেকেই যখন ওবায়দুল কাদের ভোট করবে তখন বাড়তি কিছু সুবিধা তো পাবেই। পরিস্থিতি যেদিকে যাচ্ছে তাতে আ.লীগও ক্ষমতায় আসবে কাদেরেরাও এমপি মন্ত্রী হবে। আ.লীগের মধ্যে মনোনয়ন প্রত্যাশিদের কারো কারো ধারণা ইচ্ছা করলে ওবায়দুল কাদেরও কিছু কিছু মনোনয়ন নির্ধারণ করবে। তবে নেত্রীর সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত এতে কোন সন্দেহ নাই। এখন শুধু সব চাইতে ভারি প্রশ্ন হচ্ছে বিএনপিকে ভোট করতে দেয়া হবে কি হবে না। সূত্র(হাজারিকা প্রতিদিন)

অবশেষে ব্যারিস্টার মইনুল কারাগারে

ডেস্ক নিউজঃ রংপুরের মানহানির মামলায় গ্রেফতার সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের জামিন আবেদন নামঞ্জুর হওয়ার পর কেরানীগঞ্জের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

আদালতের হাজত খানার কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক মোতালেব হোসেন বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন।

এরআগে ঢাকা মহানগর হাকিম (এসিএমএম) কায়সারুল ইসলামের আদালতে তার জামিন শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। আদালত তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

গতকাল রাতে গ্রেফতার মইনুলকে আজ দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিটে ঢাকা মহানগর আদালতে নেয়া হয়। পরে ঢাকা মহানগর হাকিম (এসিএমএম) কায়সারুল ইসলামের আদালতে মইনুলের জামিন আবেদন করেন তার আইনজীবীরা।

উল্লেখ্য, রংপুরে দায়ের করা মানহানির এক মামলায় সোমবার রাতে আ স ম আবদুর রবের বাসা থেকে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ। গ্রেফতারের পর মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে নেয়া হয়। সেখান থেকেই তাকে ঢাকা মহানগর মুখ্য হাকিমের আদালতে নেয়া হয়।

গত ১৬ অক্টোবর একাত্তর টেলিভিশনের একটি টক শোতে সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টির এক প্রশ্নে রেগে গিয়ে মইনুল হোসেন বলেন, ‘আপনার দুঃসাহসের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ দিচ্ছি। আপনি চরিত্রহীন বলে আমি মনে করতে চাই। আমার সঙ্গে জামায়াতের কানেকশনের কোনো প্রশ্নই নেই। আপনি যে প্রশ্ন করেছেন তা আমার জন্য অত্যন্ত বিব্রতকর।’ মইনুলের এ ধরনের বাক্য ব্যবহারে সমালোচনা শুরু হওয়ার পর তার বিরুদ্ধে ঢাকাসহ দেশের বেশ কয়েকটি এলাকায় মানহানির মামলা দায়ের করা হয়। এর মধ্যে কয়েকটিতে তিনি উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়েছেন।

ফতুল্লায় পুলিশকে গুলি করে পালিয়েছে সন্ত্রাসীরা

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ফতুল্লায় একটি যাত্রীবাহী বাসে তল্লাশির সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়েছে সন্ত্রাসীরা। তাদের ছোড়া গুলিতে পুলিশের এক কনস্টেবল আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় পুলিশ চালক-হেলপারসহ বোরাক পরিবনের একটি বাস আটক করেছে।

এ সময় কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে পালিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা-পাগলা-নারায়ণগঞ্জ সড়কের পাগলা মুন্সীখোলা চেকপোস্টে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বোরাক পরিবহনের চালক সুমন(৩০) ও হেলপার চন্দনকে(২৮) বাসসহ আটক করা হয়েছে।

গুলিবিদ্ধ কনস্টেবল সোহেল মিয়া বলেন, ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের এএসআই মোর্শেদ আলমের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম পাগলা চেকপোস্টে তল্লাশি করছিল। এ সময় রাজধানী থেকে পঞ্চবটি পর্যন্ত চলাচল করা বোরাক পরিবহনের একটি বাস (ঢাকা-মেট্রো-জ-১৪-২০৮৫) থামানো হয়।
পরে বাসে উঠে তল্লাশির সময় তিন যুবক আমার ওপর চড়াও হয়। কিছু বুঝে ওঠার আগেই আমাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে ওই সন্ত্রাসীরা। এতে আমার বাঁ পায়ে গুলি লাগে। পরে সন্ত্রাসীরা আরও কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। ওই সময়ে পুলিশ সদস্যরাও কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে।

স্থানীয়রা জানায়, বাসের আগে আরো ৩টি মটর সাইকেল ছিলো। সন্ত্রাসীরা পুলিশকে গুলি করার পর পরই কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে মটর সাইকেলে চড়ে দ্রুত পালিয়ে যায়।

ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের এসআই শাফিউল আলম বলেন, অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের শনাক্ত করতে অভিযান চলছে। গুলিবিদ্ধ কনস্টেবল সোহেলকে প্রথমে নারায়ণগঞ্জ হাসপাতাল এবং পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

ফতুল্লায় এসএসসি পরীক্ষার্থী ধর্ষিত, শিক্ষক আটক

স্টাফ রিপোর্টারঃ ছাত্রীকে ধর্ষণ করে ফেসে গেলেন ফতুল্লা রেলষ্টেশন এলাকার কোচিং মাস্টার তাপস চন্দ্র(৪২)। গত রোববার সন্ধ্যায় ষ্টেশন নিজ বাড়ির দোতলায় নিয়ে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে।

এ ঘটনায় ধর্ষিতার মা বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছে। মামলা নং ৬২। এর আগেও তাপসের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের যৌন হয়রানরি অভিযোগ রয়েছে। প্রাইভেট পড়াতে গিয়ে এক ছাত্রীকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে লম্পট তাপস ষ্টেশন এলাকায় গণধোলাইয়ের শিকার হয়েছিল।

ধর্ষিতার মা মনোয়ারা জানায়, তার মেয়ে এবার এসএসপি পরীক্ষার্থী, প্রতিদিনের ন্যায় তার মেয়ে তাপসের বাসায় প্রাইভেট পড়তে গেলে সন্ধ্যার পর তার মেয়েকে বাড়ির ২য় তলায় নিয়ে ধর্ষণ করে। এদিকে এ ঘটনাকে ধামাচাপা দিতে একটি মহল নানা মহলে দৌড়ঝাপ শুরু করেছে বলে ধর্ষিতার মায়ের অভিযোগ।

যেভাবে গ্রেফতার হলেন ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন!

চরিত্রহীনকাণ্ড নিয়ে সমালোচনা-মামলার মধ্যে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সোমবার রাত পৌনে ১০টার দিকে উত্তরায় জেএসডি সভাপতি আ স ম আব্দুর রবের বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ।

সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টিকে কটূক্তির ঘটনায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় রংপুরে দায়ের একটি মামলায় ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম-কমিশনার মাহবুব আলম পরিবর্তন ডটকমকে বলেন, ‘ব্যারিস্টার মইনুলকে উত্তরা থেকে রংপুরের একটি মামলার ওয়ারেন্ট থাকায় গ্রেফতার করেছে ডিবি। তাকে মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে নেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে তাকে ঢাকা মহানগর মুখ্য হাকিমের আদালতে সোপর্দ করা হবে। আদালত অনুমতি দিলে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে ডিবি পুলিশ।’

যেভাবে গ্রেফতার হলেন মইনুল
কামাল হোসেনের উদ্যোগে বিএনপিকে নিয়ে গঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে সক্রিয় আছেন ব্যরিস্টার মইনুল। রবসহ ফ্রন্টের বিভিন্ন নেতার বাড়িতে বৈঠকে তার নিয়মিত যাতায়াত।

জানা গেছে, সোমবার সন্ধ্যার পর আ স ম রবের সাথে সাক্ষাত করতে তার উত্তরার বাসায় যান মইনুল৷ কিন্তু রব তখন বাসায় ছিলেন না। মইনুল সেখানে কিছুক্ষণ রবের জন্য অপেক্ষা করেন। রব বাসায় ফেরার কিছুক্ষন পরই ডিবি পুলিশের সদস্যরা তার বাসা ঘিরে ফেলে।

উপস্থিত পুলিশ সদস্যরা মইনুলের বিরুদ্ধে রংপুরের একটি মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা থাকার কথা জানান। এরপরই মইনুলকে গ্রেফতার করে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়৷

আ স ম আব্দুর রবের স্ত্রী তানিয়া রব পরিবর্তন ডটকমকে বলেন, ‘আমরা বাসায় ছিলাম না। রাতে এসে দেখি অনেক লোক, একটু আবাকই হলাম। আজ কোনো মিটিং ছিল না। ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন এমনিতেই এসেছিলেন। রাত পৌনে ১০টার দিকে তাকে ডিবি পুলিশ নিয়ে গেছে।’।

রংপুরের মামলায় জামিন ছিল না মইনুলের
গত ১৬ অক্টোবর একাত্তর টেলিভিশনের একটি আলোচনায় অংশ নেন দৈনিক আমাদের অর্থনীতির জ্যেষ্ঠ নির্বাহী সম্পাদক মাসুদা ভাট্টি এবং বিএনপি নেতা সাখাওয়াত হোসেন সায়ন্ত।

উপস্থাপক মিথিলা ফারজানা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে যুক্ত করার পর মাসুদা ভাট্টি তার কাছে একটি প্রশ্ন করতে চান এবং জানতে চান— সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে আপনাকে শিবিরের একটি জনসভায় অংশ নিতে দেখা গেছে এবং সে কারণেই অনেকেই প্রশ্ন করেছেন যে, আপনি কী জামায়াতের প্রতিনিধি হিসেবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে উপস্থিত থাকছেন?

প্রশ্নটি শেষ করার আগেই ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন ক্ষিপ্ত হয়ে যান এবং বলেন— আপনার। সাহসের প্রশংসা করতে হয়। তবে আমি আপনাকে একজন চরিত্রহীন বলে মনে করতে চাই।

এ ঘটনায় ব্যাপক সমালোচনার পর ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন ফোনে ভাট্টির কাছে ক্ষমা চান। তবে এটি যথেষ্ট নয় বলে প্রকাশ্যে তাকে ক্ষমা চাওয়ার জন্য বলেন মাসুদা ভাট্টিসহ দেশের বিশিষ্টজনরা।

ওই ঘটনার পর মইনুল টেলিফোন করে ক্ষমা চাইলেও মাসুদা ভাট্টি প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানান। তা না করায় মইনুলের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেন মাসুদা ভাট্টি। পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন স্থানেও মানহানির অভিযোগে কয়েকটি মামলা হয় তার বিরুদ্ধে।

এসব মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর মইনুল কয়েকটি মামলায় হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিন নিলেও রংপুরের মামলাটিতে জামিন ছিল না বলে পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।