প্রেস বিজ্ঞপ্তিঃ আগামী ২৯ শে নভেম্বর বুধবার সকাল ১০টায় কানাইনগর এলাকাবাসীর উদ্যোগে ১৯৭১ইং সালের ২৯ শে নভেম্বর বক্তাবলীর পরগনার ১৩৯ জন শহীদদের স্মরণে কানাইনগর ছোবহানীয়া হাই স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে মিলাদ মাহফিল,ফ্রি চক্ষু চিকিৎসা, ডায়াবেটিস ক্যাম্প ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ শওকত আলী।
স্মার্ট কার্ড নির্বাচনকে সুষ্ঠু করার উদ্দেশ্যে বাস্তবায়ন হবে-সিইসি
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা বলেছেন, আগে একটি লোক আরেকটি লোকের ভোট দেয়ার সুযোগ থাকলেও এখন আর সে সুযোগ থাকবেনা। কারণ ছবিসহ হাতে স্মার্ট কার্ড থাকবে। ২৬ থেকে ২৭টি সেবা এই কার্ডের মাধ্যমে আপনারা পাবেন। স্মার্ট কার্ড আমাদের নির্বাচনকে সুষ্ঠু করার উদ্দেশ্যে বাস্তবায়ন হবে।
রোববার দুপুর সাড়ে ১২টায় নারায়ণগঞ্জ ক্লাবে জাতীয় পরিচয়পত্রের উন্নত প্রযুক্তি নির্ভর স্মার্ট কার্ড বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সিইসি বলেন, আগে মোবাইলের মাধ্যমে সন্ত্রাসীদের অবস্থান নিশ্চিত করতে হতো। কিন্তু এখন স্মার্ট কার্ডের মাধ্যমে যেকোনো সন্ত্রাসীর সকল তথ্য আমরা পেতে পারি। আগে একজন অপরাধীর স্থানে অন্য মানুষ ৭ বছর জেল খেটেছে বা অন্য অপরাধী গ্রেফতার হয়েছে। কিন্তু এখন আর তেমন অবস্থা সৃষ্টি হবেনা। জঙ্গী মোকাবেলাসহ সকল কাজে জাতীয় পরিচয়পত্র স্মার্ট কার্ড বিশেষ ভূমিকা রাখবে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘‘দেশের ৪৬০টি স্থানীয় নির্বাচন, দুটি জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে হয়েছে। কোনো বিরূপ প্রতিক্রিয়া বা সন্দেহ প্রকাশ পায়নি। আমরা সক্ষম হবো এবং আমরা প্রস্তুত আছি যে, রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন প্রতিযোগিতামূলক হবে।’’
তিনি আরো বলেন, ‘‘চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে দেশে ৯ কোটি ৪০ লাখ নাগরিকদের হাতে এই স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র পৌঁছে দেওয়া হবে। ফ্রান্সের কোম্পানি অবার্থার টেকনোলজির সঙ্গে আমাদের চুক্তি ভালোভাবে সম্পন্ন না হওয়ায় আমরা একটু পিছিয়ে গেছি। এই কারণে কিছুটা বিলম্ব হয়েছে। এ ছাড়া চোখের আইরিশ ও টেইন ফিঙ্গার মেশিন প্রকিউরম্যান করতে দেরি হয়েছে। এখন সেটা প্রকিউর হয়ে গেছে। বিশ্ব ব্যাংকের সঙ্গে আমাদের যে চুক্তি রয়েছে, তার অধীনে আগামী এক মাসের মধ্যে এগুলো পেয়ে গেলে খুব দ্রæত স্মার্ট কার্ড বিতরণ করা হবে।’’
নারায়নগঞ্জ জেলা আঞ্চলিক নির্বাচনী কর্মকর্তা রকিব উদ্দিন মন্ডলের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব হেলালুউদ্দিন আহমদ, জেলা প্রশাসক মোঃ রাব্বি মিয়া, জেলা পুলিশ সুপার মঈনুল হক, র্যাব-১১ এর অধিনায়ক লেঃ কর্নেল কামরুল হাসান (পিএসসি), জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক ব্রিঃ জেঃ মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আতাউর রহমান, সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুর রশিদসহ নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বাররা।
সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুর রশিদ জানান, উদ্বোধনের প্রথম দিন শহরের ২০ জন বিশিষ্ট ব্যক্তির মাঝে এ কার্ড বিতরণ করা হয়েছে। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ২৭টি ওয়ার্ডের পৌনে পাঁচ লাখ ভোটারের জন্য স্মার্টকার্ড ইতিমধ্যে নারায়ণগঞ্জ জেলা নির্বাচন অফিসে এসে পৌছেছে।
কবিতা মঞ্চের আব্দুর রহিম সভাপতি ও জাহাঙ্গীর ডালিম সম্পাদক
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ গত শুক্রবার সন্ধ্যায় ফতুল্লা প্রেস ক্লাবে স্বরচিত কবিতা পাঠ, গান আর আলোচনার মধ্যদিয়ে জাতীয় লেখক মঞ্চের ১৭ সদেস্যের কমিটি জেলা কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে সাংবাদিক আব্দুর রহিমকে সভাপতি ও কবি জাহাঙ্গীর ডালিমকে সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় কবিতা মঞ্চের সভাপতি কবি মাহমুদুল হাসান নিজামী, প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কবি এস এ শামীম, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আবৃত্তি শিল্পী এড. সিমা ইসলাম, ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের সভাপতি এম সামাদ মতিন, সহ-সভাপতি এড.মশিউর রহমান শাহিন, প্রেস ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সৈয়দ ওবায়েদ উল্লাহ, সাবেক সহ-সভাপতি রুহুল আমীন প্রধান, ফতুল্লার রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি রনজিত মোদক, প্রেস ক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আলিম লিটন, অর্থ সম্পাদক শাকিল আহমেদ ডিয়েল, প্রচার সম্পাদক জি,এ রাজু, কবি দীপক ভৌমিক,কবি হামিদ কাফি । অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ছড়াকার মোকলেসুর রহমান তোতা।
এক নজরে জাতীয় কবিতা মঞ্চ নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটিঃ প্রধান উপদেষ্টাঃ এস এ শামীম উপদেষ্টা,ফজলুল হক কাশেম,বাতেন বাহার,তারাপদ আচার্য,দীপক ভৌমিক, মানিক চক্রবর্তী,এম সামাদ মতিন,জামান ভূইঁয়া,লুৎফর রহমান সরদার। সি:সহ-সভাপতি,মোহাম্মদ নেয়ামত উল্লাহ্,সহ-সভাপতি ডা:বশির আহমেদ তুষার,যুগ্ম সম্পাদক হারুন অর রশিদ সাগর,সাংগঠনিক সম্পাদক মৈনাক শিশির,সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল আমীন, অর্থ সম্পাদকআমানুর রহমান, প্রচার সম্পাদক ইকবাল হাসান রোমেছ, দপ্তর সম্পাদক মঞ্জুরুল ইসলাম,আপ্যায়ন সম্পাদক জামান খান,নারী বিষয়ক সম্পাদক মিনারা সুলতানা। কার্যকরী সদস্য কাজী আনিসুল হক হিরা, শফিকুল ইসলাম আরজু,নিয়াজ মো: মাসুম,মোঃ সোহেল,এম সাদ্দাম হোসেন।
অনুষ্ঠানে স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন, সাহিত্য সংগঠন কবিয়ালের সাধারন সম্পাদক মাসুদ রানা লাল,শেখ হাবিবুর রহমান,সাংবাদিক জাহাঙ্গীর হোসেন, মঞ্জুরুল ইসলাম, গিয়াস উদ্দিন খন্দকার, এম এ মামুন বাবুল, ফরিদা ইয়াস মিন সুমনা, ইসরাত রুবাইয়া প্রমুখ।
জাতীয় কবিতা মঞ্চের জেলা কমিটিতে আঃ রহিম সভাপতি ও জাহাঙ্গীর ডালিম সম্পাদক নির্বাচিত
গত শুক্রবার সন্ধ্যায় ফতুল্লা প্রেস ক্লাবে স্বরচিত কবিতা পাঠ, গান আর আলোচনার মধ্যদিয়ে জাতীয় লেখক মঞ্চের ১৭ সদেস্যের কমিটি জেলা কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে সাংবাদিক আব্দুর রহিমকে সভাপতি ও কবি ডালিমকে সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় কবিতা মঞ্চের সভাপতি কবি মাহমুদুল হাসান নিজামী, প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কবি এস এ শামীম, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আবৃত্তি শিল্পী এড. সিমা ইসলাম, ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের সভাপতি এম সামাদ মতিন, সহ-সভাপতি এড.মশিউর রহমান শাহিন, প্রেস ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সৈয়দ ওবায়েদ উল্লাহ, সাবেক সহ-সভাপতি রুহুল আমীন প্রধান, ফতুল্লার রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি রনজিত মোদক, প্রেস ক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আলিম লিটন, অর্থ সম্পাদক শাকিল আহমেদ ডিয়েল, প্রচার সম্পাদক জি,এ রাজু, কবি দীপক ভৌমিক, কবি হামিদ কাফি । অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ছড়াকার মোকলেসুর রহমান তোতা।
এক নজরে জাতীয় কবিতা মঞ্চ নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটিঃ প্রধান উপদেষ্টাঃ এস এ শামীম উপদেষ্টা, ফজলুল হক কাশেম, বাতেন বাহার, তারাপদ আচার্য, দীপক ভৌমিক, মানিক চক্রবর্তী,এম সামাদ মতিন,জামান ভূইঁয়া,লুৎফর রহমান সরদার। সি:সহ-সভাপতি,মোহাম্মদ নেয়ামত উল্লাহ্,সহ-সভাপতি ডা:বশির আহমেদ তুষার,যুগ্ম সম্পাদক হারুন অর রশিদ সাগর, সাংগঠনিক সম্পাদক মৈনাক শিশির, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল আমীন, অর্থ সম্পাদক আমানুর রহমান, প্রচার সম্পাদক ইকবাল হাসান রোমেছ, দপ্তর সম্পাদক মঞ্জুরুল ইসলাম,আপ্যায়ন সম্পাদক জামান খান, নারী বিষয়ক সম্পাদক মিনারা সুলতানা। কার্যকরী সদস্য কাজী আনিসুল হক হিরা, শফিকুল ইসলাম আরজু, নিয়াজ মো: মাসুম, মোঃ সোহেল, এম সাদ্দাম হোসেন।
অনুষ্ঠানে স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন, সাহিত্য সংগঠন কবিয়ালের সাধারন সম্পাদক মাসুদ রানা লাল, শেখ হাবিবুর রহমান,সাংবাদিক জাহাঙ্গীর হোসেন, মঞ্জুরুল ইসলাম, গিয়াস উদ্দিন খন্দকার, ফরিদা ইয়াস মিন সুমনা, ইসরাত রুবাইয়া প্রমুখ।
পুরুষাঙ্গ কাটা অবস্থায় আইনজীবীর মরদেহ উদ্ধার
চট্টগ্রাম নগরীর কেবি আমান আলী সড়কের একটি ভবনের নিচতলার বাসা থেকে হাত-পা বাঁধা ও মুখে টেপ লাগানো অবস্থায় ওমর ফারুক বাপ্পী (৪০) নামে এক আইনজীবীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বাড়ির মালিকের বরাত দিয়ে চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নুরুল হুদা জানান, এক নারী বাসাটি ভাড়া নিয়েছিলেন। গত বৃহস্পতিবার ওই নারী বাসায় উঠেছে। তার নাম-ঠিকানা বাড়ির মালিক জানাতে পারেনি। শনিবার ভোরে দারোয়ান দেখতে পান বাসার দরজা খোলা। ভেতরে গিয়ে তিনি একটি লাশ পড়ে থাকতে দেখে থানায় খবর দেন। শরীরে তেমন আঘাতের চিহ্ন নেই। তার পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলা হয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চমেক হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে কোতোয়ালি জোনের সহকারী কমিশনার জাহাঙ্গীর আলম জানান, ওমর ফারুক বাপ্পী একজন আইনজীবী ছিলেন। তার কাছে বিভিন্ন ধরণের মামলার রয়েছে। প্রাথমিকভাবে নারী ঘটিত কারণে এ ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তিনি আরো জানান, নিহত আইনজীবীর হাত-পা বাঁধা ছিল। টেপ দিয়ে মোড়ানো ছিল মুখ। তার পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলা হয়েছে। আমরা আইনজীবীর পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা জানিয়েছেন, কাগজে-কলমে বাপ্পী কাউকে বিয়ে করেছেন এমনটা পরিবার জানে না। যে বাসায় বাপ্পীর লাশ পাওয়া গেছে সেটি তার বাসা নয়।
বাপ্পী চট্টগ্রাম আদালতে আইন পেশায় ছিলেন। ২০১৩ সালে তিনি বারে অন্তর্ভুক্ত হন। তিনি বান্দরবান জেলার আলীকদম উপজেলার চৌমুহনী গ্রামের আলী আহমেদের পুত্র।
শুক্রবার ফতুল্লা প্রেস ক্লাবে সাহিত্য আড্ডা
প্রেস বিজ্ঞপ্তিঃ আগামীকাল শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩টায় ফতুল্লা প্রেস ক্লাবে কবিতা মঞ্চের সাহিত্য আড্ডা অনুষ্ঠিত হবে। সাহিত্য আড্ডায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন কবি মাহমুদুল হাসান নিজামী। প্রধান আলোচক হিসেবে থাকবেন সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিত্ব এস এ শামীম। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করবেন ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের সাধারন সম্পাদক আব্দুর রহিম। সাহিত্য আড্ডায় জাতীয় এবং স্থানীয় কবি,লেখক অংশ নিবেন।
আমি যেখানে বেশি ফুল পাই সেখানে ভয় পাই-ওবায়দুল কাদের
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘এই যে তিনি পকেটের টাকা খরচ করে স্কুল করেছেন এটিই হচ্ছে হৃদয়ে লেখা নাম যা রয়ে যাবে। আমি যেখানে বেশি ফুল পাই সেখানে ভয় পাই। কারণ ফুল বেশি পেলে আমার মনে হয় এটি ভালোবাসার ফুল নয়, স্বার্থের ফুল। কিন্তু জনগণের স্বার্থ হলে আমি গুরুত্ব দিই, নাসিম ওসমান আজকে নেই, কিন্তু তার স্বপ্নের শীতলক্ষ্যা সেতুর কাজ শুরু হয়ে গেছে। এই সেতুর পর এখন আবার আরেকটু সেতুর দাবি উঠেছে। জনগণের সরকার, জনগণের দাবিকে এড়িয়ে যেতে পারে না। কাজেই এই সেলিম ওসমান সাহেব তিন বছর ধরে আমার পেছনে লেগে আছেন, ঢাকা এলেই আমার পিছু পড়েন, কী দরকার সেতু দরকার।’
বৃহস্পতিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জে একটি স্কুলের অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। বন্দরের ত্রিবোনী মিনারবাড়ি এলাকায় শামসুজ্জোহা মুসাপুর বন্দর (এম.বি) ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের উদ্বোধনের পর এক মতবিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন ওবায়দুল কাদের।
সেতুমন্ত্রী বলেন, একটি সেতু করতে অনেক সময় লাগে। শীতলক্ষ্যা সেতু আমরা অনেক আগেই করতে পারতাম। এটি বিদেশি প্রজেক্ট। ধাপে ধাপে সবকিছু করতে হয়। একটি ব্রিজ করতে হলে কতগুলো প্রসেস লাগে, যেগুলো আমাদের ফলো করতে হয়। প্রথমত সার্ভে লাগে, তারপর আসবে নির্মাণ প্রক্রিয়া। সেখানে বিদেশি সহযোগিতা লাগে যদি তা না পাই তাহলে আমরা করবো। বিদেশি সহায়তা না পেলে আমরা চেষ্টা করবো।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘প্রথমত আমি খেয়ার স্থানে ফেরি চালু করে দিচ্ছি। আমি মন্ত্রী হিসেবে বলে দিলাম আগামী ১৫ দিনের মধ্যে ফেরি চালু হবে। আগামী আট মাসেই এই সেতু দৃশ্যমান পাবেন না, কারণ আমি সেই কথা বলবো না, সেই ওয়াদা দেব না যেটা রাখতে পারবো না। কারণ এটাই শেখ হাসিনার অঙ্গীকার। জনগণকে ধোঁকা দিয়ে বোকা বানানোর কাজ আমরা করি না। তবে সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হবে। নিয়ম অনুযায়ী যা করার আমরা করছি। যতটুকু বলা আছে তা হবে আর যা কথা দিয়েছি তা রাখবো।’
বিভিন্ন পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, সত্যকে চাপা দিয়ে লাভ নেই। এখানে দোষীদের ধরে শাস্তি দিতে হবে। শেখ হাসিনার আমলে শিক্ষা ক্ষেত্রের যে উন্নতি তা যেন এই প্রশ্নফাঁস ম্লান করে দিতে না পারে। এই প্রশ্ন ফাঁসে যারা জড়িত তাদের চিহ্নিত করে কঠিন ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এতে যদি রাজনৈতিক পরিচয়ের কেউ জড়িত থাকে তবে তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে, কারণ এরা আমাদের ভবিষ্যতকে নষ্ট করছে।’
নারায়ণগঞ্জ আন্দোলন সংগ্রামের সুতিকাগার মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের সব সংগ্রামে নারায়ণগঞ্জ থেকে গড়ে উঠেছিল দুর্বার আন্দোলন। বঙ্গবন্ধুর আন্দোলন, সংগ্রামে সাথে সাথী ছিল এই নারায়ণগঞ্জ। শীতলক্ষ্যা পাড়ে এই পুণ্যভূমিতে এসে আমি নিজেকে ধন্য মনে করছি। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে এই নারায়ণগঞ্জে কোনো সমাবেশে আমার প্রথম আগমন।’
নারায়ণগঞ্জের প্রভাবশালী ওসমান পরিবারের সন্তান জাতীয় পার্টির সাংসদ সেলিম ওসমানের ভূয়সী প্রশংসা করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, ‘সেলিম ওসমান সাহেব আমার একজন প্রিয় মানুষ। তার এত গুণের সমাহার একজন মানুষের মধ্যে এটি ভাবতেও অবাক লাগে। একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা, একজন সফল ব্যবসায়ী, একজন সফল শিল্পপতি, একজন সফল কৃষক, একজন সফল সংগঠক, একজন সফল শিক্ষানুরাগী এবং সবশেষ একজন সফল রাজনৈতিক ও জনপ্রতিনিধি। একজন মানুষের মধ্যে এত গুণের সমাহার তিনি হচ্ছেন নারায়ণগঞ্জের জনপ্রিয় সেলিম ওসমান।’
মন্ত্রী বলেন, ‘মানুষের টাকা পয়সা অনেকের কাছেই থাকে। এদেশে সেলিম ওসমান সাহেবের চেয়ে অনেক ধনী আছেন, কিন্ত খরচ করার মতো মনমানসিকতা নেই। এই স্কুলটি ছিল নাসিম ওসমানের স্বপ্ন। ছোট একটি ঘর থেকে বিশাল কমপ্লেক্স। ৩০ কোটি টাকা নিজের পকেট থেকে একটি স্কুলের জন্য যিনি খরচ করতে পারেন এমন বড় মনের মানুষ বড় মনের টাকাওয়ালা এদেশে খুব কম। পথে পথে আমি তার জনপ্রিয়তার প্রমাণ পেলাম। এই দুপুর বেলাও হাজার হাজার মানুষ মদনপুর থেকে এই বন্দর পর্যন্ত অপেক্ষমাণ। ফুল আর ফুল, ফুলের পাপড়ি। অনেক সুন্দর।’
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘আমি শুধু এতটুকুই বলতে চাই, একটি ব্রিজের জন্য এত ফুল কেন, একটি ব্রিজের জন্য এত তোরণ কেন। একটি ব্রিজের জন্য এত ফুলের পাপড়ি কেন। আমার ছবি দিয়ে এত তোরণ কেন। যেখানে যা প্রয়োজন তা করা মন্ত্রী হিসেবে আমার দায়িত্ব। আমি এখানে ফুলের মালা, পাপড়ি নিতে আসিনি। আমি এখানে শত শত ব্যানার, তোরণ, বিলবোর্ড দেখতে আসিনি। এই যে ফুল, বাগানের ফুল, এক ঘণ্টা কি বড়জোর দুই ঘণ্টা পর ফুল শুকিয়ে যাবে, ব্যানারের ওই ছবি মুছে যাবে, বিলবোর্ডের ছবি মুছে যাবে, বাগানের ফুল শুকিয়ে যাবে। পাথরে লেখা নাম ক্ষয়ে যাবে, হৃদয়ে লেখা নাম রয়ে যাবে।’
ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশ্যে কাদের বলেন, ‘আজকে সেলিম ওসমানের কাছ থেকে তোমরা যে সুযোগ পেয়েছো সেই সুযোগ যে যত বেশি কাজে লাগাবে সে তত বেশি বড় হবে। শিক্ষা কি জীবিকার জন্য না জীবনের জন্য? শিক্ষা জীবিকার জন্য নয় জীবনের জন্য। পরীক্ষায় পাস করার শিক্ষা নয়, আমরা সত্যিকারের শিক্ষার্থী চাই। যে শিক্ষার্থী প্রশ্নপত্র ফাঁস হবে সেই আশায় থাকে, সেই শিক্ষা কি কোনো কাজে লাগবে। প্রশ্নপত্র ফাঁস করে যারা আজকে শিক্ষার ১২টা বাজায় তারা দেশের শত্রু, জাতির শত্রু। তাদের মেরুদণ্ড ভেঙে দিতে হবে। যারা আমাদের মেধাবীদের ভবিষ্যৎ নষ্ট করে দিচ্ছেন তাদের ধ্বংস করে দিতে হবে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা তোমরা কি মাদককে ঘৃণা করো? মাদক আমাদের দেশের তরুণ সমাজকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। আমি আমাদের অভিভাবকসহ সবার কাছে বলছি, আপনাদের ছেলেদেরসহ আমাদের সমাজের ভবিষ্যতকে রক্ষা করতে হবে। এখানে কোনো রাজনীতি নেই। মাদক দলমত নির্বিশেষে আমাদের সবার শত্রু। সবাই মিলে মাদককে না বলতে হবে।’ এ সময় শিক্ষার্থীদের তিনি মাদককে ‘না’ বলতে অঙ্গীকার করান।
মন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের বলি, তুমি যদি মুরব্বিদের সম্মান না করো, তুমি যদি তোমার শিক্ষকদের সম্মান না করো তাহলে তুমি বড় হলে তোমাকেই কেউ সম্মান করবে না। এখানে সেলিম ওসমান ও শামীম ওসমান নারায়ণগঞ্জের সম্মানিত ও প্রভাবশালী নেতা। এখানে মহানগর, জেলা আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির নেতাদের আমি বলবো, আপনারা নারায়ণগঞ্জকে ঐক্যবদ্ধ রাখুন। এখানে সবাই এক থেকে নারায়ণগঞ্জের আন্দোলন সংগ্রামের ঐতিহ্যকে ধরে রাখেন।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দেশের বিরুদ্ধে আজকে যদি কোনো ষড়যন্ত্রমূলক কর্মকাণ্ড চলে, মাদকের মতো জঙ্গিবাদও আমাদের অভিন্ন শত্রু। আমি সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি এবং সেলিম ওসমান সাহেবের সামাজিকমূলক কর্মকাণ্ড ও উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড অমর হয়ে থাকুক। সামসুজ্জোহা সাহেব আমাদের নেতা। আপনাদের (নারায়ণগঞ্জবাসীর) এই আগ্রযাত্রাকে স্বাগত জানাই।’
বন্দর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ রশিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) রাব্বি মিয়া, জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মঈনুল হক, নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য একেএম সেলিম ওসমান, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য হোসনে আরা বাবলী, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান আব্দুল হাই, জাতীয় পার্টির জেলার সভাপতি আবু জাহের, মহানগর জাতীয় পার্টির সভাপতি সানোয়ার হোসেন সানু, নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি খালেদ হায়দার খান কাজল, বিকেএমইএর পরিচালক শাহদাত হোসেন সাজনু, সহসভাপতি শামীম আহমেদ শিপলু, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবর রহমান, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি চন্দন শীল, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহ নিজাম, সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলাল, জিএম আরাফাত, ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেন, মদনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ সালাম, ধামগড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আয়নাল হক, মুসাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মাকসুদ হোসেন, বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এহসানউদ্দিন আহাম্মদ, কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন প্রধান, আলীরটেক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন, বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শওকত আলীসহ ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, জাতীয় পার্টি এবং বন্দরের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
নবীগঞ্জ দিয়ে সেতু নির্মানের দাবী জানীয়েছে বন্দরের সাধারণ জনগন
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ নারায়ণগঞ্জ শহরের সাথে বন্দরকে একবন্ধনে আবদ্ধ করা যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে বন্দরের নবীগঞ্জে একটি সেতু বহু দিনের লালিত স্বপ্ন। সেই স্বপ্নের পালে হাওয়া পরেছে মাননীয় সড়ক ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের বন্দর আগমনের মধ্যে দিয়ে। বৃহস্পতিবার নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য সেলিম উসমানের নির্মিত ৩ টি বিদ্যালয় উদ্ভোধন উপলক্ষে তিনি বন্দর আসেন।
দীর্ঘদিন ঝুলে থাকা এ বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক মহলে কিছু আলোচনা থাকলেও সাধারন মানুষ তেমন সরব ছিল না,যদিও এটা সবার প্রাণের দাবী। এদিকে গত ২৮ আগষ্ট মঞ্জুর মোর্শেদ সুমন নামে একজন ফেইসবুক ব্যাবহারকারী নবীগঞ্জ দিয়ে শীতলক্ষ্যা সেতু নির্মানের দাবীতে মানব বন্ধনের আয়োজন করে নবীগঞ্জ ঘাটে। তখন সমমনা কিছু যুবক যেমন আমরা বন্দরিয়ান্স ফেসবুক গ্রুপ,দৈনিক নবীগঞ্জ ফেইসবুক গ্রুপ সহ সাধারন বেশ কিছু মানুষ তাতে অংশ নেয়। তার পর হতে বিষয়টি বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে।শুরু হয় অনলাইনে দাবী আদায়ের পক্ষে বিভিন্ন জনের পোষ্ট। বৃহস্পতিবার মাননীয় মন্ত্রীর আগমন উপলক্ষ্যে এবারও আমরা বন্দরিয়ান্স ফেইসবুক গ্রুপ,দৈনিক নবীগঞ্জ ফেইসবুক গ্রুপ সহ অনেকে নবীগঞ্জ দিয়ে সেতু নির্মানের দাবীতে স্লোগান দিতে থাকে। এসময় নবীগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডে ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে আমরা বন্দরিয়ান্স ফেইসবুক গ্রুপ,দৈনিক নবীগঞ্জ ফেইসবুক গ্রুপ ও বন্দরের সর্বস্থরের জনগনের ব্যানারে মন্ত্রী কে স্বাগত জানানো হয়।এবং সেতুর দাবীর পক্ষে স্লোগান দেন। এদিকে এই উদ্দ্যোগকে বন্দর নাগরিক কমিটি স্বাগত ও সমর্থন জানিয়েছে।এবং ভবিষ্যত দাবী আদায় কর্মসূচীতে অংশগ্রহনের আগ্রহ ব্যাক্ত করেছে। তবে ছোট একটা আহ্বান আজ বড় একটা কর্মসূচীতে পরিনত হয়েছে।বন্দরবাসী এখন আশ্বান্বিত তাদের দাবী এবার বাস্তবায়নের পথে। দাবীর প্রেক্ষিতে মন্ত্রী তাদের হতাশ করে নি। অনুষ্ঠানে মন্ত্রী ফেরী চলাচলের। এবং পরে সেতুও বাস্তবায়ন হবে।
রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে দ্বিপাক্ষিক তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছি-প্রধানমন্ত্রী
ডেস্ক নিউজঃ সরকার মিয়ানমারের সঙ্গে স্বাভাবিক সম্পর্ক রেখেই রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে দ্বিপাক্ষিক, আঞ্চলিক ও বহুপাক্ষিক কূটনৈতিক তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক মহলের জোর সমর্থন আদায়ে সফল হয়েছে। আমরা কূটনৈতিক তৎপরতা অব্যহত রেখে মিয়ানমারের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক যোগাযোগের মাধ্যমে এ সমস্যা সমাধানে কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। বুধবার (২২ নভেম্বর) জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নোত্তরে সরকার দলের সংসদ সদস্য মিজানুর রহমানের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৈঠকের শুরুতে প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠিত হয়।
মিজানুর রহমানের প্রশ্নের জবাবে সংসদ নেতা আরও বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসনে একটি দ্বিপাক্ষিক চুক্তি সম্পাদন করতে বাংলাদেশ একটি খসড়া হস্তান্তর করেছে। এটি নিয়ে দুই দেশই পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মিয়ানমারের সেনাবাহিনী রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে জাতিগত নিধন ও মানবতাবিরোধী অপরাধ শুরুর পর থেকেই বাংলাদেশ সোচ্চার হয়েছে। দ্রুত বিষয়টি আন্তর্জাতিক মহলের নজরে আনা হয়েছে। অসহনীয় নির্যাতন এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের বিরুদ্ধে বৈশ্বিক জনমত গঠন ও মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টির জন্য কূটনৈতিক কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। আন্তর্জাতিক জনমত গঠনের জোর প্রচেষ্টা চালানোর ফলেই রোহিঙ্গাদের অধিকারের পক্ষে আজ বিশ্ব জনমত গঠিত হয়েছে।’
সংরক্ষিত আসনের সেলিনা জাহান লিটার এক প্রশ্নের জবাবে সংসদ নেতা বলেন, ‘মিয়ানমারের নাগরিকদের নিজ দেশে ফিরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করতে সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।’
তিনি বলেন, ‘মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় দেওয়া ছিল আমাদের অত্যন্ত সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত। এ কারণে বাংলাদেশের নাম আজ বিশ্বনেতাদের কণ্ঠে গভীর শ্রদ্ধা ও সম্মানের সঙ্গে উচ্চারিত হচ্ছে। রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করাসহ এ সংকটের স্থায়ী সমাধানের লক্ষ্যে জোরালো কূটনৈতিক প্রচেষ্টা অব্যহত রেখেছি। মিয়ানমারের ওপর চাপ প্রয়োগে বিশ্বনেতারা বিশেষ ভূমিকা রেখেছেন, বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছেন।’ প্রধানমন্ত্রী জানান, দৈনিক গড়ে ১১ হাজার মিয়ানমারের নাগরিকের বায়োমেট্রিক নিবন্ধন হচ্ছে। গত ২০ নভেম্বর পর্যন্ত ৫ লাখ ৯৯ হাজার ৪৬০ জনের নিবন্ধন সম্পন্ন হয়েছে। আগামী ১২ ডিসেম্বরের মধ্যে নিবন্ধন প্রক্রিয়া শেষ হবে বলে প্রধানমন্ত্রী আশাবাদ জানান।
সেলিনা বেগমের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী আরও জানান, রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে বিশ্ব সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ ও এ সমস্যার স্থায়ী সমাধানে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন আদায়ে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে। জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য নূরুল ইসলাম মিলনের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এ বছরের বন্যায় ফসলের কিছুটা ক্ষতি হলেও সামগ্রিক খাদ্যশস্য উৎপাদনে তেমন ঘাটতি হবে না। খাদ্যশস্য উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য আমরা সচেষ্ট রয়েছি।’
মিনারা সুলতানার কবিতা
ভেঙ্গে যাক বৈষম্যের দেয়াল
……..মিনারা সুলতানা
আবার বৃষ্টি নামুক এক অসময়ের বৃষ্টি,
ঘুরে ঘুরে উড়ে উড়ে চলা
ঘন কাল মেঘগুলো বৃষ্টি হয়ে ঝরুক।
ধুয়ে মুছে যাক অসময়ের সকল কালো ছাপ।
শেষ রাতের তারাগুলো গোনা শেষে
আরও একটি ভোর আসুক,
নেমে আসুক কমলারাঙা সূর্যটা,
নরম আলোয় হারিয়ে যাক সকল আধার।
কোনো এক বৈশাখের বিকেলে
আবারো একাটি ঝড় আসুক,
ভেঙ্গে যাক শ্যাওলা জমানো বৈষম্যের দেয়াল।
অসময়ে বেড়ে ওঠা পরগাছারা
ঝরে পরুক জীবন হোক অরন্যময়।
দিনশেষে আকাশচারী পাখিটাও ঘরে ফেরে,
মাটির অতল গভিরে অন্ধকারে লুকিয়ে থাকা
সরীসৃপটাও বেরিয়ে আসে আলোর খোঁজে,
শেষ পথটাও নাগাল পায় নতুন পথের।









