৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২২শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 106

ঢাকায় শামীম ওসমানের পক্ষে ছাত্রলীগের বিশাল শো-ডাউন

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের বিজয় উৎসব সমাবেশে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমানের পক্ষে বিশাল মিছিল নিয়ে যোগদান করেছে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগ। শনিবার দুপুরে চাষাড়া চত্বরে ছাত্রলীগের বিভিন্ন ইউনিটের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত হন। পরে যথাযথ সময়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে উপস্থিত হন ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দরা। নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগের ছয় হাজার নেতাকর্মীর স্লোগানে ঢাকার রাজপথে শামীম ওসমানের পক্ষে ছাত্রলীগের মিছিল ছিল জেলার অন্যান্য মিছিলের চেয়ে সবচেয়ে বড়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান রিয়াদ, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আজিজুর রহমান আজিজ, সাধারণ সম্পাদক রাফেল প্রধান, মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাসনাত রহমান বিন্দু, সরকারি তোলারাম কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান, মহানগর ছাত্রলীগ নেতা নাছিম মাহমুদ তপন, আহাম্মেদ কাউছার, বাপ্পি, নারায়ণগঞ্জ আইন কলেজ শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি এমএম হাসান, সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেন, ইকবাল, মহানগর ছাত্রলীগ নেতা মেহেদী, ঝিতু, মুক্তি, আনারুল, রহমান, হাবিব, লিয়ন, মিশুক, নির্জন, অপু, শুভ চন্দ্র দে, রাসেল, ফাহিম, তোফা, অনিক, মানিক, মো: অয়ন, রবিন, ফতুল্লা থানা ছাত্রলীগ নেতা মেহেদী হাসান জুয়েল, ফয়সাল, শাহরিয়া রেজা হিমেল, আহাম্মেদ হাসিব, মামুনুর রশীদ, শামীম, শাহিন, মোরাদসহ নেতৃবৃন্দরা।

বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর সাথে কবিয়াল ফাউন্ডেশনের শুভেচ্ছা বিনিময়

১৮ জানুয়ারী (শুক্রবার) বাদ জুম্মা রূপগঞ্জের নয়াপাড়া এলাকায় জামদানী পল্লীতে কবিয়াল ফাউন্ডেশন এর পক্ষ থেকে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীকে ফুলেল শুভেচ্ছা ও কবিয়াল বই, কলম ও বেইজ উপহার দেওয়া হয়।

এই সময় উপস্থিত ছিলেন কবিয়াল ফাউন্ডেশন এর সভাপতি কবি বাপ্পি সাহা,সাধারন সম্পাদক মাসুদ রানা লাল,সিনিয়র সহ সভাপতি শফিকুল ইসলাম আরজু,নিউজ প্রতিদিন ডটনেটের প্রকাশক এম এম হাসান,গাজী টিভির জেলা প্রতিনিধি মো.আশিক, ক্যামেরাম্যান মোজাফর,দৈনিক সংবাদ চর্চার বার্তা সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন ভূইয়া,রূপগঞ্জ প্রতিনিধি মো.তৌহিন,মাসুদ রানা ও গিয়াসউদ্দিন খন্দকার প্রমুখ।

বক্তাবলীর পূর্বচর গড়কূল এলাকাবাসীর উদ্যেগে ওয়াজ ও দোয়ার মাহ‌ফিল

বক্তাবলীর পূর্বচর গড়কূল এলাকাবাসীর উদ্যেগে ৭ম বা‌র্ষিকী ওয়াজ ও দোয়ার মাহ‌ফিলের আয়োজন করা হ‌য়ে‌ছে।

২০ই জানুয়ারী (র‌বিবার) সদর উপজেলার বক্তাবলী ইউনিয়নের চর গড়কূল এলাকাবাসীর উদ্যেগে পূর্বচর গড়কূল উচ্চ বিদ্যাল‌য় মাঠে ওয়াজ ও দোয়ার মাহ‌ফি‌ল অনু‌ষ্ঠিত হ‌বে।

উক্ত মাহফিলে প্রধান আলোচক হিসেবে উপ‌স্থিত থাকবেন হযরত মাওলানা সামছুল হক ও প্রধান অতি‌থি হিসেবে থাকবেন আলো‌কিত বক্তাবলী’র সভাপ‌তি ও পূর্বচর গড়কূল উচ্চ বিদ্যাল‌য় প‌রিচালনা পর্ষ‌দের সভাপ‌তি মোঃ না‌জির হো‌সেন।

‌বিশেষ আলোচক হিসেবে থাকবেন হযরত মাওলানা সা‌য়েম রশীদ আল-আযহারী, হযরত মাওলানা মুফ‌তি আব্দুল কাইয়ুম,হযরত মাওলানা শাহীন আহ‌মেদ মাহমু‌দি এবং বি‌শেষ অতি‌থি হিসেবে উপ‌স্থিত থাক‌বেন পূর্বচর গড়কূল সরকারী প্রাথ‌মিক বিদ্যাল‌য়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ সামসুল হুদা মাস্টার,আলহাজ্ব ডাঃ শাহীন আহা‌ম্মেদ
পূর্বচর গড়কূল বা‌গে রহমত জামে মস‌জি‌দের মোতাওয়াল্লী মোঃ গাজীউর রহমানের সভাপ‌তি‌ত্বে আলহাজ্ব ডাঃ এম.এ কা‌দির মাস্টা‌রের সা‌র্বিক তত্ত্বাবধা‌য়নে ওয়াজ ও দোয়া মাহ‌ফিল প‌রিচালনা ক‌রি‌বেন হযরত মাওলানা জ‌হিরুল ইসলাম ডা‌লিম।

ওয়াজ ও দোয়া মাহফিলে বিশেষ আর্কষণ হিসেবে থাকবে পূর্বচর গড়কূল উচ্চ বিদ্যাল‌য়ের সহকারী শিক্ষক জাহাঙ্গীর হোসেনের প‌রিচালনায় ইসলামী সঙ্গীতানুষ্ঠান ও কোরআন তেলোয়াত প্র‌তি‌যো‌গিতা।

উক্ত মাহফিলে দলে দলে যোগদান ক‌রিয়া দো’জাহানের অশেষ নেকী হা‌সিলের জন্য আয়োজক ক‌মি‌টি এলাকাবাসীকে উপ‌স্থিত থাকার জন্য আহ্বায়ন করা হয়েছে।

সাংবাদিক মাসুদ আলীর উপর সন্ত্রাসী হামলা

ঘুষ নেয়া এবং কাজের অনিয়মের তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছে দৈনিক ডান্ডিবার্তার ফটো সাংবাদিক ও ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের সদস্য মাসুদ আলী।

তার উপর কয়েক দফা হামলা চালিয়েছে ফতুল্লা ইউনিয়ন ১নং ওয়ার্ড এর মেম্বার পরিচয় দানকারী(ভূয়া মেম্বার) আব্দুর রহিম ও তার সহযোগী সন্ত্রাসীরা।

এ সময় সাংবাদিক মাসুদ আলীকে বেধরক মারধর করে ক্যামেরা ও মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে যায়।

মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় দাপা আদর্শ স্কুল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

অপারেশন থিয়েটারে যৌন নীলায় ব্যস্ত চিকিৎসক ও নার্স

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : চুম্বন করে মহা ফাঁপড়ে ভারতের মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়ীনির এক চিকিৎসক। তাও আবার অপারেশন থিয়েটারের মধ্যে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল সেই ভিডিও। বাধ্য হয়েই তাকে বরখাস্ত করেছে জেলা প্রশাসন।

ঘটনা উজ্জ্বয়ীনির জেলা হাসপাতালের। সেখানকার শল্য চিকিৎসক এক মহিলাকে চুম্বন করছেন এমন একটি ভিডিও ঘুরছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। মনে করা হচ্ছে হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারেই ঘটেছে ওই ঘটনা। ক্লিপিংসটি ছড়িয়ে পড়ে হাসপাতালের নার্সদের হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ থেকে।

জেলা শাসক শশাঙ্ক মিশ্র সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন,ওই শল্য চিকিৎসককে অনভিপ্রেত আচরণের জন্য বরখাস্ত করা হয়েছে। ওই চিকিৎসককে কারণ দর্শানোর নোটিশও দেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে,জেলার প্রধান মেডিক্যাল অফিসার ডাক্তার মোহন মালব্য জানান, ওই ঘটনার জন্য তদন্ত হবে। তদন্ত করবেন ডিভিশনাল কমিশনার।

তবে মালব্য স্বীকার করেননি ওই ঘটনা ঘটেছে অপারেশন থিয়েটারের মধ্যেই। পুলিশকেও এ নিয়ে এখনও কোনও অভিযোগ করা হয়নি।

শোনা যাচ্ছে,নার্সদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে এই ধরণের আরও আপত্তিকর ভিডিও আগেও এসেছে।

চরমোনাই পীরের চাচাত ভাই মাউদূতের ইয়াবা সেবনের ছবি ভাইরাল

চরমোনাই পীর ও ইসলামী আন্দোলনের আমির সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিমের চাচাত ভাই মাউদুত করিমের ইয়াবা সেবনের একটি ছবি এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল। হ্যান্ডকাপ পরিহিত ছবিটি ফেসবুকে পোস্ট করার ঘণ্টাখানেকর মধ্যে ভাইরাল হয়ে যায়। বরিশালে শুরু হয় ব্যাপক তোলপাড়। শেয়ার, লাইক ও নানা ধরনের মন্তব্যসহ ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার খোরাক জোগায় ছবিটি।

বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের মুখপাত্র ও গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের সহকারী কমিশনার মো. নাসির উদ্দিন মল্লিক জানান, বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে বরিশাল নগরীর বেলাতলা খেয়াঘাট এলাকা থেকে ৮ পিস ইয়াবাসহ মাউদুত করিমকে আটক করে গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের সদস্যরা। এরপর তাকে হ্যান্ডকাপ পরিয়ে গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয় নিয়ে আসা হয়।

মাউদুত করিম সদর উপজেলার পশুরীকাঠী এলাকার মোবারক করিমের ছেলে। চরমোনাই পীর সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিমের আপন চাচাত ভাই। তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য আইনে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানান সহকারী কমিশনার মো. নাসির উদ্দিন মল্লিক।

হ্যান্ডকাপ পরিহিত মাউদুত করিমের ইয়াবা সেবনের ছবিটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে কে পোস্ট দিল সে ব্যাপারে কিছুই জানেন না বলে দাবি করেন মেট্রোপলিটন পুলিশের মুখপাত্র নাসির উদ্দিন মল্লিক।

তবে গোয়েন্দা পুলিশের অপর একটি সূত্র জানায়, মাউদুত করিমকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয় নিয়ে আসা হলে অনেকেই বিস্ময় প্রকাশ করেন। এ সময় কৌতুহলী হলে মাউদুত করিমের কাছে ইয়াবা সেবনের দৃশ্য দেখতে চান। মাউদুত করিম তাদের অনুরোধে ইয়াবা সেবন করে দেখান। সেখানে উপস্থিত কেউ মুঠোফোনে ছবিটি তুলে ফেসবুকে পোস্ট করেন। ঘণ্টাখানেকর মধ্যে তা ভাইরাল হয়ে যায়।

প্রতারক চক্রের ১৩ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে(সিআইডি)

সহজ-সরল শিক্ষিত বেকার যুবকদের চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে প্রতারক চক্রের ১৩ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট (সিআইডি)। 

এই প্রতারক চক্রের সদস্যরা এমএলএম পদ্ধতির মতো একেকজনকে ভর্তি করানোর পর প্রশিক্ষণের নামে সময়ক্ষেপণ করে, তারপর চাকরিপ্রার্থীকে আরও কিছু ব্যক্তিকে যুক্ত করার মাধ্যমে অধিক টাকা আয়ের প্রলোভন দেখিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিত। ভুক্তভোগী কয়েকজনের অভিযোগের ভিত্তিতে এই চক্রের ১৩ সদস্যকে গ্রেফতার করে সিআইডি। 

এই প্রতারক চক্রের সদস্যরা এমএলএম পদ্ধতির মতো একেকজনকে ভর্তি করানোর পর প্রশিক্ষণের নামে সময়ক্ষেপণ করে,তারপর চাকরিপ্রার্থীকে আরও কিছু ব্যক্তিকে যুক্ত করার মাধ্যমে অধিক টাকা আয়ের প্রলোভন দেখিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিত। ভুক্তভোগী কয়েকজনের অভিযোগের ভিত্তিতে এই চক্রের ১৩ সদস্যকে গ্রেফতার করে সিআইডি। 

বৃহস্পতিবার দুপুরে সিআইডির মালিবাগ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিশেষ পুলিশ সুপার এনামুল কবির সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।

গ্রেফতারকৃতরা হলো,আশরাফুল ইসলাম (২৭),আল আমিন মণ্ডল রতন (৩০),উজ্জ্বল হোসেন (২৩),শিমুল মোল্লা (১৯),জহিরুল ইসলাম ওরফে পাপ্পু মিয়া (২০),আব্দুল মোমিন (২৪),শাহীন আলম (২৪),নুর আলম সিদ্দিকী (২৫),মাজেদুল ইসলাম (২৫),ইমরুল হাসান (২৩),মনিরুজ্জামান (২৪),রিঙ্কু কুমার দাস (৩০) ও অভিজিত পাণ্ডে (২৪)। 

এরা এক্সিলেল্ট ট্রেড মার্কেটিং লিমিটেড নামে প্রতিষ্ঠান খুলে প্রতারণা করত। ভাটারা থানাধীন বারিধারার নতুন বাজার এলাকার প্রাইম অর্কেড বিল্ডিংয়ের পঞ্চম তলায় অভিযান চালিয়ে বুধবার তাদের গ্রেফতার করা হয়। 

এ সময় তাদের কাছ থেকে কোম্পানির প্যাডে ১১৫টি অঙ্গীকারনামা, কোম্পানির নামে পূরণ করা ৪২টি আবেদনপত্র ও এগ্রিমেন্ট ফরম এবং পূরণকৃত ৩০টি ট্রেডিং কার্ড উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ সুপার এনামুল কবির বলেন, লাইফওয়ে নামে একটি কোম্পানিও এ ধরনের প্রতারণাযুক্ত ছিল। গত অক্টোবর মাসে ওই কোম্পানির ১৭ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ওই কোম্পানির ২-৩ জন প্রতারক এক্সিলেল্ট ট্রেড মার্কেটিং লিমিটেডের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। 

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, রাজধানীর বারিধারা এলাকায় একটি কোম্পানি আছে। ওই কোম্পানির কাজই হচ্ছে চাকরি দেয়ার নাম করে টাকা হাতিয়ে নেয়া। টাকা নেয়া হয়ে গেলে তারা প্রশিক্ষণের নাম করে টালবাহানা করে, কোনো চাকরি দেয় না। 

সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, একসময় এমএলএম পদ্ধতির মতো আরও চাকরিপ্রার্থী জোগাড় করতে বলে। তাদের ফাঁদে পড়ে নিরুপায় বেকাররা একপর্যায়ে চাকরিপ্রার্থী জোগাড় করে এনে দেয়, বিনিময়ে তারা সামান্য কিছু কমিশন পায়। চাকরিপ্রার্থী না দিলে কমিশনও আসে না। ফলে তাদের সেখান থেকে ফিরে যেতে হয়। এভাবে শত শত ছেলে মেয়ে প্রতারণার স্বীকার হচ্ছে।

সিআইডি কর্মকর্তা এনামুল কবির বলেন, কারও কাছ থেকে ৩০ হাজার, কারও থেকে ৪৫ হাজার, কারও থেকে ৮০ হাজার আবার কারও কাছ থেকে ১ লাখ ৪৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে তারা। গত দুই মাসে এভাবে ১৩০ জনের কাছ থেকে এই প্রতারক চক্রের সদস্যরা ৫০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এ ঘটনায় ১৮ জনের নামে মামলা হয়েছে। 

তিনি বলেন, এই চক্রের মূলহোতাকে শনাক্ত করা হয়েছে। মূল হোতাসহ মামলার অন্য আসামিদের গ্রেফতাদের চেষ্টা চলছে। সংবাদ সম্মেলনে সিআইডির সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জহিরুল হক, পরিদর্শক মাজহারুল ইসলাম এবং এসআই জাকির হোসেনসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

মহানগর ফিজিওথেরাপী সেন্টারের উদ্বোধন

মহানগর ফিজিওথেরাপী সেন্টারের উদ্বোধন উপলক্ষে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৭ জানুয়ারী (সোমবার) বিকালে মহানগর ব্লাড ব্যাংক হল রুমে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন,মহানগর ব্লাড ব্যাংক ও মহানগর ফিজিওথেরাপী সেন্টারের চেয়ারম্যান এম এম হাসান,শেখ মো.আবুল হাসেম,সাংবাদিক সিরাজুল ইসলাম,হাফেজ মো.আব্দুল্লাহ আল মামুম,মো.রফিকুল ইসমাম মো.জাহিদুল ইসলাম ও শেখ মো.জনি প্রমূখ।

দোয়া পরিচালনা করেন,মুফতি নাজমূল হক নোমানী।

শপথ নিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ৪৬ মন্ত্রী

টানা তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠন করছে আওয়ামী লীগ এবং চতুর্থবার প্রধানমন্ত্রী হলেন শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নতুন মন্ত্রিসভায় জায়গা হয়েছে ২৪ জন মন্ত্রী,১৯জন প্রতিমন্ত্রী এবং তিনজন উপমন্ত্রীর।

সোমবার (০৭ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৩টায় বঙ্গভবনের দরবার হলে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ তাদের শপথ বাক্য পাঠ করান। রীতি অনুযায়ী, প্রথমে প্রধানমন্ত্রী এবং পর্যায়ক্রমে মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী এবং উপমন্ত্রীরা শপথ নেন।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের আয়োজনে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম।

রাষ্ট্রপতি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে আ ক ম মোজাম্মেল হক, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ে ওবায়দুল কাদের, কৃষি মন্ত্রণালয়ে মো. আব্দুর রাজ্জাক, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আসাদুজ্জামান খান, তথ্য মন্ত্রণালয় ড. হাছান মাহমুদ, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে আনিসুল হক, অর্থ মন্ত্রণালয়ে আ হ ম মুস্তফা কামাল, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ে মো. তাজুল ইসলাম, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে ডা. দীপু মনি, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এ কে আব্দুল মোমেন, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে এম এ মান্নান, শিল্প মন্ত্রণালয়ে নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ে গোলাম দস্তগীর গাজী, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে জাহিদ মালেক, খাদ্য মন্ত্রণালয়ে সাধন চন্দ্র মজুমদার, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে টিপু মুনশি, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে নুরুজ্জামান আহমেদ, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে শ ম রেজাউল করিম, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ে মো. শাহাব উদ্দিন, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে বীর বাহাদুর উ শৈ সিং, ভূমি মন্ত্রণালয়ে সাইফুজ্জামান চৌধুরী, রেলপথ মন্ত্রলণালয়ে মো. নুরুল ইসলাম সুজন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে স্থপতি ইয়াফেস ওসমান এবং ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে মোস্তাফা জব্বারকে শপথ পড়ান।
আর ১৯ জন প্রতিমন্ত্রীর মধ্যে শিল্প মন্ত্রণালয়ে কামাল আহমেদ মজুমদার, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে ইমরান আহমেদ, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে জাহিদ আহসান রাসেল, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ে নসরুল হামিদ, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে মো. আশরাফ আলী খান খসরু, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে বেগম মুন্নুজান সুফিয়ান, নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে মো. জাকির হোসেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মো. শাহরিয়ার আলম, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগে জুনাইদ আহমেদ পলক, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে ফরহাদ হোসেন, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ে স্বপন ভট্টাচার্য, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ে জাহিদ ফারুক, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে মো. মুরাদ হাসান, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে শরীফ আহমেদ, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে কে এম খালিদ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে ডা. মো. এনামুর রহমান, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ে মো. মাহবুব আলী এবং ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহকে শপথ পড়িয়েছেন রাষ্ট্রপতি।

এছাড়া পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ে বেগম হাবিবুন নাহার, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ে এ কে এম এনামুল হক শামীম এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে মহিবুল হাসান চৌধুরীকে উপমন্ত্রী হিসেবে শপথবাক্য পড়ানো হয়। ।

এর আগে গত ৩ জানুয়ারি সকালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যদের (এমপি) শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।

৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ হয়। নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয় পায় আওয়ামী লীগ।

নারায়ণগঞ্জের গাজীসহ মন্ত্রিসভায় স্থান পেলেন যারা

আগামী কাল সোমবার নতুন মন্ত্রিসভা শপথ নেবে । এবারের মন্ত্রিপরিষদ গঠিত হচ্ছে ৪৬ সদস্যের। যার মধ্যে ২৪ জন মন্ত্রী, ১৯ জন প্রতিমন্ত্রী ও ৩ জন উপমন্ত্রী রয়েছে।

মন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণের জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে যারা ফোন পেয়েছেন তাদের মধ্যে কে কোন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাচ্ছেন তার একটি তালিকা সংবাদমাধ্যমের কাছে এসেছে।

পূর্নমন্ত্রী যারা হলেন :

গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক(বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী) আ ক ম মোজাম্মেল হক (মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক) , ওবায়দুল কাদের (সড়ক পরিবহন ও সেতু), আব্দুর রাজ্জাক (কৃষি), আসাদুজ্জামান খান কামাল (স্বরাষ্ট্র), হাছান মাহমুদ (তথ্য), আনিসুল হক (আইন), আ হ ম মুস্তফা কামাল (অর্থ), তাজুল ইসলাম (স্থানীয় সরকার), দীপু মনি (শিক্ষা), এ কে আবদুল মোমেন (পররাষ্ট্র), এম এ মান্নান (পরিকল্পনা), নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন (শিল্প), জাহিদ মালেক (স্বাস্থ্য), সাধন চন্দ্র মজুমদার (খাদ্য), টিপু মুনশি (বাণিজ্য), নুরুজ্জামান আহমেদ (সমাজকল্যাণ), শ ম রেজাউল করিম (গণপূর্ত), মো. শাহাব উদ্দিন (পরিবেশ ও বন), বীর বাহাদুর ঊশৈ সিং (পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক), সাইফুজ্জামান চৌধুরী (ভূমি), নুরুল ইসলাম সুজন (রেলপথ), ইয়াফেস ওসমান—টেকনোক্র্যাট (বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি), মোস্তাফা জব্বার—টেকনোক্র্যাট (ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি)।

১৯ জন প্রতিমন্ত্রী হচ্ছেন—কামাল আহমেদ মজুমদার (শিল্প), ইমরান আহমেদ (প্রবাসীকল্যাণ), জাহিদ আহসান রাসেল (যুব ও ক্রীড়া), নসরুল হামিদ (বিদ্যুৎ ও জ্বালানি), আশরাফ আলী খান খসরু (মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ), মন্নুজান সুফিয়ান (শ্রম), খালিদ মাহমুদ চৌধুরী (নৌপরিবহন), জাকির হোসেন (প্রাথমিক ও গণশিক্ষা), শাহরিয়ার আলম (পররাষ্ট্র), জুনায়েদ আহমেদ পলক (তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি), ফরহাদ হোসেন (জনপ্রশাসন), স্বপন ভট্টাচার্য (স্থানীয় সরকার), জাহিদ ফারুক (পানিসম্পদ), মো. মুরাদ হাসান (স্বাস্থ্য), শরীফ আহমেদ (সমাজকল্যাণ), কে এম খালিদ (সংস্কৃতি), এনামুর রহমান (দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ), মাহবুব আলী (বিমান), শেখ মো. আবদুল্লাহ—টেকনোক্র্যাট (ধর্ম)।

৩ উপমন্ত্রী হচ্ছেন—হাবিবুন নাহার (পরিবেশ), এ কে এম এনামুল হক শামীম (পানিসম্পদ), মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল (শিক্ষা)।

মন্ত্রিসভায় থেকে বাদ পড়েছেন একাধিক হেভিওয়েট মন্ত্রী।