৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২৩শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 112

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ইশতেহার

এম এম হাসান: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে বহুল প্রত্যাশিত ইশতেহার ঘোষণা করেছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।

ইশতেহারে ১৪টি প্রতিশ্রুতির পাশাপাশি কিছু চমকও রাখা হয়েছে। শিক্ষিত ও তরুণ প্রজন্মের ভাবনা এবং তাদের চাহিদার বিষয়গুলো স্থান পেয়েছে ইশতেহারে।

দেয়া হয়েছে চাকরি ও কর্মসংস্থান নিয়ে বেশ কিছু প্রতিশ্রুতি। ইশতেহারে বলা হয়েছে-পুলিশ ও সামরিক বাহিনী ছাড়া চাকরিতে প্রবেশের জন্য কোনো বয়সসীমা থাকবে না।

এ ছাড়া কোটাব্যবস্থা নিয়ে বলা হয়েছে-সরকারি চাকরিতে শুধু অনগ্রসর জনগোষ্ঠী ও প্রতিবন্ধীদের জন্য কোটাব্যবস্থা থাকবে। আর কোনো কোটা থাকবে না।

খসড়া ইশতেহারে চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ বছর ও কোটাব্যবস্থার পুনর্বিন্যাসের প্রতিশ্রুতি থাকার কথা থাকলেও পরে তা বাতিল করা হয়।

সোমবার রাজধানীর হোটেল পূর্বাণী ইন্টারন্যাশনালে এ ইশতেহার ঘোষণা করা হয়। ইশতেহার ঘোষণার আগে বক্তব্য দেন ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন।

শিক্ষিত তরুণ প্রজন্ম ও তাদের কর্মসংস্থান, জনগণের চাহিদা এবং একটি ইনক্লুসিভ সমাজ গঠনের জন্য নিজেদের পরিকল্পনা ও ভাবনাগুলো স্থান পায় ইশতেহারে।

এর আগে বেলা ১১টা ১৫ মিনিটে ইশতেহার ঘোষণার মঞ্চে উঠেন ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন। এর পর শুরু হয় ইশতেহার ঘোষণা। ড. কামালের পক্ষে লিখিত ইশতেহার পাঠ করেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না।

এর আগে জোটের পক্ষ থেকে প্রথম দফায় নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে এবং ডিসেম্বরের ৮ তারিখে ইশতেহার ঘোষণার কথা বললেও পরে তা স্থগিত করা হয়নি।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত রয়েছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র ও বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, গণফোরাম নেতা সুব্রত চৌধুরী, মোস্তফা মহসিন মন্টু, ড. রেজা কিবরিয়া প্রমুখ।

ইশতেহার তৈরির জন্য ঐক্যফ্রন্ট ৬ সদস্যের একটি কমিটি করে দেয়। কমিটিতে বিএনপি থেকে সাংবাদিক মাহফুজউল্লাহ, গণফোরাম থেকে আ ও ম শফিকউল্লাহ, নাগরিক ঐক্য থেকে ডা. জাহেদ উর রহমান, জেএসডি থেকে শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের অধ্যক্ষ ইকবাল সিদ্দিকী এবং ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে রাখা হয়।

বিজয় দিব‌সে চেয়ারম্যান শওকতের নেতৃত্বে বক্তাবলী‌র স্মৃ‌তিস্ত‌ম্ভে শ্রদ্ধা নি‌বেদন

মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বীর সেনানীদের শ্রদ্ধা জানাতে কানাইনগর স্মৃ‌তিস্তম্ভে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে বক্তাবলী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সংগঠন।

রোববার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে ফতুল্লা থানা আওয়ামীলী‌গের সাধারণ সম্পাদক ও বক্তাবলী ইউনিয়ন প‌রিষ‌দের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো.শওকত আলীর নেতৃত্বে বক্তাবলী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ এবং যুবলী‌গের পক্ষ থে‌কে এই শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

এ সম‌য়ে উপ‌স্থিত ছি‌লেন ফতুল্লা থানা আওয়ামীলী‌গের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক আবুল হো‌সেন প্রধান,বক্তাবলী ইউনিয়ন আওয়ামীলী‌গের সভাপ‌তি আফাজ উদ্দীন ভূইয়া, সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম,সাংগঠনিক সম্পাদক শ‌ফিক মাহমুদ পিন্টু,প্যানেল চেয়ারম্যান চেয়ারম্যান আতাউর রহমান প্রধাণ,আলো‌কিত বক্তাবলীর সভাপ‌তি ও ফতুল্লা থানা ছাত্রলী‌গের যুগ্মসম্পাদক না‌জির হো‌সেন,আলোকিত বক্তাবলীর সাংগঠনিক সম্পাদক বাদল হোসেন ববি,আ‌কিল উদ্দীন,আমজাদ হো‌সেন,২নং ওয়ার্ড আওয়ামীলী‌গের সাধারণ সম্পাদক হা‌ফেজ ত‌মিজ উদ্দীন, ৭নং ওয়া‌র্ডের ক‌মিউনি‌টিং পু‌লি‌শের সভাপ‌তি দে‌লোয়ার হো‌সেন,বীর মু‌ক্তিযোদ্ধা ম‌তিউর রহমান,মাশফীকুর রহমান শি‌শির,জামাল হো‌সেন,খো‌র্শেদ মাস্টার,রাশেদুল ইসলাম সুমন,আ‌নোয়ার হো‌সেন,আল ইমরান,মোতা‌লিব,সিরাজ উদ্দীন,মো.রা‌ছেল,আওলাদ হো‌সেন,নজরুল ইসলাম, আক্তার হো‌সেন,ফয়সাল চৌধুরী,মাসুম গাজী,মহ‌সিন খান,মিলন শেখ,অহিদুল ইসলাম টিটুসহ প্রমুখ।

বাবা মানসিকভাবে চরম আঘাত পেয়েছেন-মেয়ে সারা হোসেন

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকেন্দ্রিক গঠিত জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ড. কামাল ভোটের মাঠে জোটের অজনপ্রিয়তা এবং এর পেছনের প্রধান অন্তরায় জামায়াত ইসলামীর জন্য চরম হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। সরকারের বিরুদ্ধে যে পরিকল্পনা তিনি সাজিয়েছিলেন বিএনপির হতবুদ্ধিতার জন্য তা ভেস্তে যাচ্ছে বলেই মনে করছেন এই প্রবীণ নেতা। নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে তিনি গোপনে জামায়াত–শিবিরের সাংগঠনিক শক্তি ব্যবহার করবেন বলে মনস্থির করেছিলেন। তবে নির্বাচনের গণ্ডিতে বিএনপি-জামায়াত–শিবিরের কোন নিজস্ব অবস্থান নেই তা নিশ্চিত হবার পর তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

জানা গেছে, হঠাৎ করেই ১৩ ডিসেম্বর সকাল থেকে ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের সঙ্গে তিনি খারাপ ব্যবহার করছেন। আর ১৪ ডিসেম্বর প্রকাশ্যে এক সাংবাদিকের সঙ্গে ড. কামাল যে ব্যবহার করেছেন তাতে তার মানসিক অবস্থা বেগতিক বলেই মনে করছেন ঐক্যফ্রন্টের একাধিক নেতা। সাংবাদিকদের সাথে ভারসাম্যহীন আচরণ করে তিনি ঐক্যফ্রন্টের ক্ষতি করেছেন বলেও মনে করেন তারা।

ঐক্যফ্রন্ট সূত্র বলছে, ড. কামাল ১৪ ডিসেম্বর রাত থেকেই তার দল গণফোরামের কোন নেতাকর্মীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করছেন না। এমনকি পরিবারের সদস্যদের সাথেও কথা বলতে অনীহা প্রকাশ করছেন তিনি।

এ প্রসঙ্গে ড. কামালের জ্যেষ্ঠ মেয়ে ব্যারিস্টার সারা হোসেন বলেন, ১৪ ডিসেম্বর মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থান থেকে ফেরার পথে বিএনপি কর্মীরা অভ্যন্তরীণ কোন্দলে জড়িয়ে পড়ে। এসময় বাবার গাড়িতেও হামলা চালায় বিএনপির মনোনয়ন বঞ্চিত নেতারা। এতে বাবা মানসিকভাবে চরম আঘাত পেয়েছেন বলেই মনে হচ্ছে। রাত থেকেই ঐক্যফ্রন্টের কোন নেতার সঙ্গে তিনি কথা বলতে চাচ্ছেন না।

এবিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ড. কামাল তিনদিন ধরে বারবার বিএনপির সাংগঠনিক শক্তি প্রদর্শন করার বিষয়ে কথা বলছিলেন। তার মতে, নির্বাচনের মাঠে বিএনপির সাংগঠনিক শক্তিকে তিনি কাজে লাগাতে চান। কিন্তু বাস্তবতা হলো- বিএনপির রাজনৈতিক কর্মীরা দলগতভাবে অনেকটা কোণঠাসা হয়ে আছেন। আমরা ড. কামালকে বারবার বোঝানোর চেষ্টা করেছি, জনগণ স্বাভাবিকভাবেই তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে। আর আমরাই এই নির্বাচনে ক্ষমতায় এসে ড. কামালকে রাষ্ট্রপতি করবো। কিন্তু তিনি নির্বাচনী প্রচারণায় বিএনপি-জামায়াতের সাংগঠনিক শক্তি দেখে সন্তুষ্ট নন বলেই মনে হচ্ছে। মিরপুরের ঘটনার পর থেকে ড. কামাল বিএনপি নেতাদের সঙ্গেও আর যোগাযোগ করতে চাইছেন না। একাধিকবার তার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে ফিরে আসতে হয়েছে নেতাদের।

এদিকে বিশিষ্ট রাজনৈতিক বিশ্লেষক সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, বিএনপির আন্দোলন করার কোন শক্তি কিংবা সামর্থ্য নেই। যদি সেই সক্ষমতা থাকত তাহলে জনবিচ্ছিন্ন ড. কামাল হোসেন ও ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেনের মতো লোকজনের সঙ্গে যুক্ত হতো না। তবে ড. কামাল হোসেন ভোটের হিসেব পর্যালোচনা করে হয়তো বাস্তবতা বুঝতে পেরেছেন। তাই নির্ঘাত ঐক্যফ্রন্টের পরাজয় দেখতে পেয়ে তিনি সাধারণ মানুষের সঙ্গে স্বাভাবিক ব্যবহার করতে পারছেন না।

অপরদিকে গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি ও ঐক্যফ্রন্ট নেতা অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী বলেন, নির্বাচনী প্রচারণায় নেমে ঐক্যফ্রন্ট বুঝতে পেরেছে বিএনপি-জামায়াতের শক্তি কতটুকু। বাস্তবতা হলো- বিএনপির সঙ্গে জোট করা একটি ভুল সিদ্ধান্ত ছিলো এমনটি মনে করছেন ড. কামাল হোসেন। আসলে বিএনপি যতই আন্দোলনের হুমকি দিক না কেন, তাদের সে শক্তি নেই। তাদের ব্যর্থতার জন্য এখন ঐক্যফ্রন্টকে তার খেসারত দিতে হবে। বিএনপি জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন। এখন দেশে অরাজনৈতিক কর্মকাণ্ড করে নির্বাচন বন্ধ করার চেষ্টা করছে দলটি। যার সঙ্গে ঐক্যফ্রন্টের আদর্শের কোন মিল নেই। বিএনপির নির্বুদ্ধিতার জন্য ড. কামাল হোসেন মানসিকভাবে কিছুটা ভেঙে পড়েছেন- এটা স্বাভাবিক একটি বিষয়।

বিজয় দিবসে ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের বর্ণাঢ্য র‌্যালী

বিজয় র‌্যালী ও আলোচনা সভার মধ্যদিয়ে মহান বিজয় দিবস পালন করেছে ফতুল্লা প্রেস ক্লাব। রোববার সকাল ১১টায় ফতুল্লা প্রেস ক্লাব থেকে একটি র‌্যালী বের হয়ে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ সড়ক প্রদক্ষিন শেষে ক্লাবের সামনে এসে বিজয় সমাবেশ ও আলোচনা সভার মধ্যদিয়ে বিজয় দিবস পালন করেন।

বিজয় র‌্যালীতে অংশ নেয় ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের সভাপতি এম সামাদ মতিন, সহ-সভাপতি এড.মশিউর রহমান শাহিন, সাধারন সম্পাদক আবদুর রহিম, প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এ আর মিলন, সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল আলিম লিটন, দপ্তর সম্পাদক রফিক হাসান,প্রচার সম্পাদক জি, এ রাজু, সাংস্কৃতিক সম্পাদক নিয়াজ মোঃ মাসুম, সাবেক সহ-সভাপতি রুহুল আমীন প্রধান, আবুল কালাম আজাজ, আমিনুল ইসলাম মিশু, মাসুদ আলী, শেখ মোঃ সেলিম, সাংবাদিক সাহাব উদ্দিন সাহাব, মোঃ রাসেল,কবি জাহাঙ্গীর ডালিম, কবি হারুন অর রশিদ সাগর, আওয়ামী লীগ নেতা মোবারক হোসেন প্রমুখ। র‌্যালীটি প্রেস ক্লাবের সামনে এসে সংক্ষিপ্ত বিজয় সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়।

বিএনপি-আ’লীগ সংঘর্ষে মাহাবুব উদ্দিন খোকনসহ অর্ধশত নেতা কর্মী আহত

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে বিএনপি আ’লীগের মধ্যে সংঘর্ষে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও সোনাইমুড়ী-চাটখিল আসনের প্রার্থী ব্যারিস্টার মাহাবুব উদ্দিন খোকনসহ অর্ধশত নেতা কর্মী আহত হয়েছে।

গুরুতর আহত অবস্থায় ব্যারিস্টার মাহাবুব উদ্দিন খোকন কে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

অন্য আহতদের কে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। জানাগেছে সোনাইমুড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারি রির্টানিং অফিসার ও পুলিশ প্রশাসন থেকে অনুমতি নিয়ে শনিবার বিকেলে গণসংযোগের আয়োজন করে।

এ উপলক্ষে সোনাইমুড়ী কলেজ মাঠে বিএনপির কর্মীরা জড়ো হয়। এ সময় আ’লীগের সাথে বিএনপির সংঘর্ষ হয়। পরে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও সোনাইমুড়ী-চাটখিল আসনের প্রার্থী ব্যারিস্টার মাহাবুব উদ্দিন খোকনকে নিয়ে সোনাইমুড়ী বাজারে গণসংযোগ কালে পুলিশ ২ দিক থেকে ব্যারিকেট দেয়।

এক পর্যায়ে পুলিশ ২ দিক থেকে লাঠি চার্জ করে এবং রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এ সময় ব্যারিস্টার খোকন আহত হয়। তার শরীরে ৫টি রাবার বুলেট পড়ে। পুলিশের রাবার বুলেট ও আ’লীগের সাথে সংঘর্ষে মোট অর্ধশত নেতা কর্মী আহত হয়।

আওয়ামীলীগের কর্মীরা সোনাইমুড়ী বাইপাসের সব কটি চেয়ার কোস কাউন্টার, সোনাইমুড়ী পৌর বিএনপির সভাপতি মোতাহার হোসেন মানিকের ধান সিড়ি হোটেল, বিএনপি নেতা ডাঃ জালালের ঔষধের দোকান ভাংচুর করে লুট ও নুরুল ইসলাম নুরুর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর করে। সোনাইমুড়ী থানার ওসি আঃ মজিদ বলেন পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রনে আছে।

ধানের শীষ প্রার্থী মির্জা আব্বাসের ওপর হামলা

ঢাকা-৮ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী মির্জা আব্বাসের নির্বাচনি গণসংযোগে হামলার ঘটনা ঘটেছে। সেগুনবাগিচা মসজিদ এলাকায় দুপুর ১টার দিকে হামলার ঘটনা ঘটে। তবে কারা এই হামলা চালিয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

গণসংযোগে থাকা বিএনপির এক কর্মী জানান, মির্জা আব্বাস ১৫-২০ জনের একটি দল নিয়ে এলাকায় গণসংযোগ চালাচ্ছিলেন। এ সময় তার গণসংযোগ পরিচালনাকারী টিমটি সেগুনবাগিচা মসজিদ এলাকায় এলে লাঠিসোটা নিয়ে একদল যুবক তাদের ওপর হামলা চালায়।

তাদের হামলায় আক্রান্ত হন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। পরে কর্মীরা তাকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেন। হামলার শিকার হওয়ার পরপরই মির্জা আব্বাস তার প্রচারণা টিম নিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেছেন।

মির্জা আব্বাসের প্রেস উইং সদস্য জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু জানান, ছাত্রদল নেতা আপেল মাহমুদসহ বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী হামলায় আহত হয়েছেন।

রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাইনুল ইসলাম বলেন, সেগুনবাগিচায় মারামারির সংবাদ পেয়ে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ঘটনার শুরু কীভাবে ও শেষ পরিণতি কী হয়েছে তা জানার পর আমরা বিস্তারিত বলতে পারব।’

বক্তাবলীতে শামীম ওসমানের নৌকার ক্যাম্প উদ্বোধন

ফতুল্লা প্রতিনিধি: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ-৪ (ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য ও আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী একেএম শামীম ওসমানের নৌকা মার্কার নির্বাচনী কার্যালয় ক্যাম্প উদ্বোধনে মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (১৫ ডিসেম্বর) সকাল ১১টা বক্তাবলী ইউনিয়ন ৬নং ওয়ার্ড কানাইনগর এলাকায় এ নির্বাচনি কার্যালয় ক্যাম্প উদ্বোধন করেন ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো.শওকত আলী,নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের সদস্য ও জেলা যুবলীগের যুগ্ম-সম্পাদক মো.জাহাঙ্গীর আলম,বক্তাবলী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব আফাজউদ্দিন ভূইয়া,সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম,সাংগঠনিক সমপাদক মো.বাবুল মিয়া,মো.শফিক মাহমুদ পিন্টু ও বক্তাবলী ইউনিয়ন কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির সভাপতি হাজ্বী আবুল হোসেন প্রধাণ প্রমূখ।

এসময় উপস্থিত ছিলেন,বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান হাজ্বী আতাউর রহমান প্রধাণ,পূর্বচর গড়কূল উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি,আলোকিত বক্তাবলীর সভাপতি ও ফতুল্লা থানা ছাত্রলীগের যুগ্ম-সম্পাদক মো.নাজির হোসেন,নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলী‌গের সা‌বেক দপ্তর সম্পাদক মোঃ মাশফীকুর রহমান শি‌শির।

এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন,বীর মুক্তিযোদ্ধা মতিউর রহমাব,খোরশেদ মাস্টার,আখিলউদ্দিন,মো.জলিল গাজী,মো.মনির হোসেন,আমজাদ হোসেন ও বাদল হেসেন ববিসহ আওয়ামী সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

এ সময় মো.শওকত আলী বলেন,বক্তাবলীকে উপশহরে পরিনত করতে গণমানুষের নেতা আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী একেএম শামীম ওসমানকে ৩০ ডিসেম্বর আমাদের নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে তাকে জয়যুক্ত করতে হবে।

জাহাঙ্গীর আলম বলেন,উন্নয়ন ধারা অব্যাহত রাখতে স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আবারো সরকার গঠন করার জন্য ৩০ ডিসেম্বর নৌকা মার্কায় সকল জনগনকে ভোট দেওয়ার আহবান জানাতে হবে।

উদ্ধোধন ও মিলাদ মাহফিলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আলহাজ্ব একেএম শামীম ওসমানসহ দেশ ও জাতীর কল্যাণে সু-স্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনায় বিশেষ দোয়া করা হয়। দোয়া মাহফিল শেষে মিষ্টি বিতরণ করেন।

বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে কামাল হোসেনের গাড়িবহরে হামলা

রাজধানীর মিরপুরের শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বের হওয়ার সময় জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেনের গাড়িবহরে হামলা চালানো হয়েছে।

সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কামাল হোসেনের নেতৃত্বে ঐক্যফ্রন্টের নেতারা শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদনে আসেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন জাসদের আ স ম আবদুর রব, রেজা কিবরিয়া, বিএনপির নেতৃবৃন্দের মধ্যে ছিলেন আবদুস সালাম, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী প্রমুখ।

গণফোরামের মিডিয়া উইং কর্মকর্তা লতিফুল বারী হামিম গণমাধ্যমকে বলেন, ড. কামাল হোসেনের সঙ্গে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রবসহ গণফোরামের নেতৃবৃন্দ ছিলেন। তারা শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বের হওয়ার সময় আওয়ামী লীগের প্রার্থী আসলামুল হকের সমর্থকেরা তাদের গাড়িবহরে হামলা চালায়। এতে কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। কামাল হোসেনের পেছনের গাড়িতেই ছিলেন আ স ম আবদুর রব। হামলার ঘটনায় আ স ম আবদুর রবের গাড়ির চালক আহত হয়েছেন।

লতিফুল বারী অভিযোগ করেন, গণফোরামের নেতা জগলুল হায়দারের গাড়িসহ আরও কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। এ ঘটনা নিয়ে আজ বেলা তিনটায় ঐক্যফ্রন্টের অস্থায়ী কার্যালয় পুরোনো পল্টনের জামান টাওয়ারে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলবেন ড. কামাল হোসেন।

প্রত্যদর্শীরা জানান, বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধের প্রধান ফটকে ড. কামাল হোসনের গাড়ি রাখা ছিল। তিনি যখন গাড়িতে বসতে যাচ্ছেন, তখন অতর্কিতে ওই গাড়িতে গ্লাস ভাঙচুর করা হয়। আশপাশে যারা তার সঙ্গে হেঁটে আসছিলেন, তাদের মারধর করা হয়। এ ঘটনায় কয়েকজন টিভি সাংবাদিক আহত হন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা আরো জানান, ড. কামাল কবরস্থানে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে প্রধান গেট দিয়ে বের হচ্ছিলেন। এ সময় তার ওপর লাঠিসোটা নিয়ে অতর্কিত হামলা চালানো হয়। হামলার সময় তার নেতাকর্মীরা কামালকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে তাদেরও বেধড়ক পেটানো হয়। এতে নেতাকর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে গেলে বেশ কয়েকটি প্রাইভেটকার ভাংচুর করে হামলাকারীরা। গুরুতর আহত কয়েকজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

নীরব নামে ছাত্রদলের এক কর্মী জানান, হঠাৎই স্থানীয় যুবলীগের নেতাকর্মীরা লাঠিসোঠা নিয়ে আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। পুলিশ ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে থেকে বিষয়টি দেখছিল।

এ ব্যাপারে দারুস সালাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিমুজ্জামান বলেন, ‘আমি তো ভেতরে বেদিতে ছিলাম। শুনলাম মেইন গেটে ঝামেলা হয়েছে। তবে বের হয়ে কিছু পাইনি।’

খেলতে গিয়ে ফাঁস লেগে শিশুর মৃত্যু

টেলিভিশনে রেসলিং খেলা দেখে শিশুরা রেসলিং খেলে। মারামারি দৃশ্য দেখে তেমনি মারামারি নিয়েও খেলা খেলে থাকে।

এবার সিনেমায় ফাঁসির দৃশ্য দেখে ফাঁসি ফাঁসি খেলতে গিয়ে গলায় ফাঁস লেগে শ্বাস বন্ধ হয়ে মারা যায় নয় বছরের শিশু। বুধবার দুপুর পৌনে ১ টার দিকে নাটোরের বড়াইগ্রামের জোনাইল পার্বনী গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, সাধন রোজারিওর ছোট মেয়ে প্রকৃতি রোজারিও বন্ধুদের সাথে খেলতে গিয়ে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস লেগে মারা যায়। সে স্থানীয় সেন্ট মেরীস প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণির ছাত্রী ছিল। তার এই মৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

এ বিষয়ে কলেজ ছাত্রী খ্রিস্টিনা কস্তা জানায়, গতকাল প্রকৃতির জন্মদিন ছিল। সেই জন্মদিনের আনন্দের রেশ বুধবার সকালেও ছিল। সকাল ১১ টা থেকে প্রকৃতি তার বাড়ির বারান্দার ছোট কক্ষে সমবয়সী ৭/৮ জন বন্ধুদের সাথে খেলা করছিল এবং পাশাপাশি টেলিভিশনে সিনেমা দেখছিল। কিন্তু দুপুর হওয়ায় প্রকৃতির বন্ধুরা সকলে একে একে নিজ বাড়িতে চলে যায়।

এক পর্যায়ে প্রকৃতির মা সেবিকা রোজারিও রান্নার কাজ শেষ করে প্রকৃতিকে গোসলের জন্য ডাকে। এতে সে সাড়া না দিলে জানালা দিয়ে দেখতে পায় জানালার গ্রিলের সাথে ওড়নার এক প্রান্ত বাধা এবং অন্য প্রান্তে গলা পেছানো অবস্থায় প্রকৃতির নিথর দেহ। এসময় তার চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসে এবং প্রকৃতিকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
প্রকৃতির পিতা সাধন রোজারিও চট্টগ্রামে চাকরি করেন। দুই বোন এক ভাইয়ের মধ্যে সে সবার ছোট।

বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দিলিপ কুমার দাস ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, শিশুটির মৃত্যুর ঘটনাটি মর্মান্তিক। শিশুটির মৃত্যুর অন্য কোনো রহস্য আছে কি না জানতে তার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নাটোর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, খেলতে খেলতেই এই ফাঁসের ঘটনা ঘটে। (বিডি-প্রতিদিন)

বক্তাবলীতে শামীম ওসমানকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা দেলোয়ারের

নারায়ণগঞ্জ সদর উপ‌জেলার বক্তাবলী‌ ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের সমর্থনে উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। উঠান বৈঠকে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ ৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান।

বক্তাবলী কমিউনিটি পুলিশিং ৭নং ওয়ার্ডের সভাপতি মো.দেলোয়ার হোসেন,ইউপি সদস্য মো.জলিল গাজী, আলো‌কিত বক্তাবলী সংগঠ‌নের সাংগঠনিক সম্পাদক বাদল হোসেন ববি প্রধান অতিথি শামীম ওসমানকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা।
মঙ্গলবার (১১ই ডি‌সেম্বর) দুপুরে পর রাধানগর সরকারী প্রাথ‌মিক বিদ্যাল‌য়ের মা‌ঠে জলিল গাজীর আব্দুল সভাপ‌তি‌ত্বে ও আলো‌কিত বক্তাবলী সংগঠ‌নের সাংগঠনিক সম্পাদক বাদল হোসেন ববির প‌রিচালনায় উঠান বৈঠক অনু‌ষ্ঠিত হয়।
উঠান বৈঠ‌কে উপ‌স্থিত ছি‌লেন ফতুল্লা থানা আওয়ামী লী‌গের সাধারণ সম্পাদক ও বক্তাবলী ইউনিয়ন প‌রিষ‌দের চেয়ারম্যান মোঃ শওকত আলী,জেলা প‌রিষ‌দের সদস্য মোঃ জাহা‌ঙ্গির হো‌সেন,বক্তাবলী ইউনিয়ন আওয়ামী লী‌গের সভাপ‌তি আফাজ উদ্দীন ভূইয়া,সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম,সাংগঠ‌নিক সম্পাদক বাবুল মিয়া,নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলী‌গের সা‌বেক দপ্তর সম্পাদক মোঃ মাশফীকুর রহমান শি‌শির,৯নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য আমজাদ হো‌সেন,৮নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মনির হোসেন,৩নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য আকিলউদ্দিন, ৫নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য আব্দুল ম‌তিন,৬নং ইউপি সদস্য রা‌ছেল চৌধুরী,সংর‌ক্ষিত ম‌হিলা সদস্য হা‌জেরা বেগম,ম‌রিয়ম বেগম,কুলসুম বেগম,ছি‌দ্দিকুর রহমান মোল্লা,জজ মিয়া মাস্টার, আজগর আলী ভূঁইয়া,নুরুল হক মোল্লা,জামাল হো‌সেন,নুরুল ইসলাম মোল্লা প্রমূখ।