৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২৩শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 113

বক্তাবলীতে শামীম ওসমানকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা দেলোয়ারের

নারায়ণগঞ্জ সদর উপ‌জেলার বক্তাবলী‌ ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের সমর্থনে উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। উঠান বৈঠকে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ ৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান।

বক্তাবলী কমিউনিটি পুলিশিং ৭নং ওয়ার্ডের সভাপতি মো.দেলোয়ার হোসেন,ইউপি সদস্য মো.জলিল গাজী, আলো‌কিত বক্তাবলী সংগঠ‌নের সাংগঠনিক সম্পাদক বাদল হোসেন ববি প্রধান অতিথি শামীম ওসমানকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা।
মঙ্গলবার (১১ই ডি‌সেম্বর) দুপুরে পর রাধানগর সরকারী প্রাথ‌মিক বিদ্যাল‌য়ের মা‌ঠে জলিল গাজীর আব্দুল সভাপ‌তি‌ত্বে ও আলো‌কিত বক্তাবলী সংগঠ‌নের সাংগঠনিক সম্পাদক বাদল হোসেন ববির প‌রিচালনায় উঠান বৈঠক অনু‌ষ্ঠিত হয়।
উঠান বৈঠ‌কে উপ‌স্থিত ছি‌লেন ফতুল্লা থানা আওয়ামী লী‌গের সাধারণ সম্পাদক ও বক্তাবলী ইউনিয়ন প‌রিষ‌দের চেয়ারম্যান মোঃ শওকত আলী,জেলা প‌রিষ‌দের সদস্য মোঃ জাহা‌ঙ্গির হো‌সেন,বক্তাবলী ইউনিয়ন আওয়ামী লী‌গের সভাপ‌তি আফাজ উদ্দীন ভূইয়া,সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম,সাংগঠ‌নিক সম্পাদক বাবুল মিয়া,নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলী‌গের সা‌বেক দপ্তর সম্পাদক মোঃ মাশফীকুর রহমান শি‌শির,৯নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য আমজাদ হো‌সেন,৮নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মনির হোসেন,৩নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য আকিলউদ্দিন, ৫নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য আব্দুল ম‌তিন,৬নং ইউপি সদস্য রা‌ছেল চৌধুরী,সংর‌ক্ষিত ম‌হিলা সদস্য হা‌জেরা বেগম,ম‌রিয়ম বেগম,কুলসুম বেগম,ছি‌দ্দিকুর রহমান মোল্লা,জজ মিয়া মাস্টার, আজগর আলী ভূঁইয়া,নুরুল হক মোল্লা,জামাল হো‌সেন,নুরুল ইসলাম মোল্লা প্রমূখ।

বক্তাবলীতে শামীম ওসমানকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা আলোকিত বক্তাবলী সভাপতি নাজিরের।

নারায়ণগঞ্জ সদর উপ‌জেলার বক্তাবলী‌ ইউনিয়নে নৌকা প্রতিকের সমর্থনে উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ ৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান। আলো‌কিত বক্তাবলী সংগঠ‌নের সভাপ‌তি মোঃ না‌জির হো‌সে‌ন প্রধান অতিথি শামীম ওসমানকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।

মঙ্গলবার (১১ই ডি‌সেম্বর) সন্ধ্যার পর চরবয়রাগাদী গ্রা‌মে সরকারী প্রাথ‌মিক বিদ্যাল‌য়ের মা‌ঠে আব্দুল কা‌দির মোল্লার সভাপ‌তি‌ত্বে ও আলো‌কিত বক্তাবলী সংগঠ‌নের সভাপ‌তি মোঃ না‌জির হো‌সে‌নের প‌রিচালনায় উঠান বৈঠক অনু‌ষ্ঠিত হয়।

উঠান বৈঠ‌কে উপ‌স্থিত ছি‌লেন ফতুল্লা থানা আওয়ামী লী‌গের সাধারণ সম্পাদক ও বক্তাবলী ইউনিয়ন প‌রিষ‌দের চেয়ারম্যান মোঃ শওকত আলী,জেলা প‌রিষ‌দের সদস্য মোঃ জাহা‌ঙ্গির হো‌সেন,বক্তাবলী ইউনিয়ন আওয়ামী লী‌গের সভাপ‌তি আফাজ উদ্দীন ভূইয়া,সাধারণ কামরুল ইসলাম,সাংগঠ‌নিক সম্পাদক বাবুল মিয়া,নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলী‌গের সা‌বেক দপ্তর সম্পাদক মোঃ মাশফীকুর রহমান শি‌শির,৯নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য আমজাদ হো‌সেন,৭নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য জ‌লিল গাজী,৩নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য কফিল উদ্দীন,৫নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য আব্দুল ম‌তিন,৬নং ইউপি সদস্য রা‌ছেল চৌধুরী,সংর‌ক্ষিত ম‌হিলা সদস্য হা‌জেরা বেগম,ম‌রিয়ম বেগম,কুলসুম বেগম, ছি‌দ্দিকুর রহমান মোল্লা,জজ মিয়া মাস্টার, আজগর আলী ভূঁইয়া,নুরুল হক মোল্লা,জামাল হো‌সেন,নুরুল ইসলাম মোল্লা,আলো‌কিত বক্তাবলী সংগঠ‌নের সাংগঠ‌নিক সম্পাদক বাদল হো‌সেন ববি, এড.আবু তা‌হের,বুলবুল আহ‌ম্মেদ ভূঁইয়া,‌মোজা‌ম্মেল ব্যাপারী,মোঃ রা‌শেদুল ইসলাম সুমন,আহম্মদ আলী বেপারী,ম‌নির হো‌সেন,সুজন মোল্লা,ছাত্র‌নেতা এমদাদুল হক মিলন,অহিদুল ইসলাম টিটু,বিল্পব,‌রিপন গাজী প্রমুখ।

বক্তাবলী‌ ইউনিয়ন‌কে ফু‌লের বাগা‌নের ম‌তো সাজা‌বো- শামীম ওসমান।

নারায়ণগঞ্জ সদর উপ‌জেলার বক্তাবলী‌ এলাকায় শামীম ওসমান নৌকা প্রতীকে বক্তাবলীর রাজাপুর সরকারি প্রাথমিক স্কুলমাঠে গণসংযোগ ও আলোচনা সভা করেন। সেখান থেকে শেষ করে কানাইনগর ছোবহানিয়া উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ মাঠে গণসংযোগ করেন।

দুপুরে রাধানগর পূর্বপাড়া ঈদগাহ মাঠে গণসংযোগ করেন। পরে এখানে শেষ করে ছমির নগর মাদরাসা মাঠে গণসংযোগ করেন।

সন্ধ্যার পর চরগরকুল আনন্দ বাজার সংলগ্ন প্রাথমিক স্কুল মাঠে গণসংযোগ অনুষ্ঠিত হয়। রাত ৮টায় পূর্ব গোপাল নগরে শামীম ওসমান গণসংযোগ করেন।

মঙ্গলবার (১১ই ডি‌সেম্বর) দিনব্যাপী নৌকা মার্কার নির্বাচনী উঠান বৈঠকে প্রধান অতি‌থির বক্ত‌ব্যে এ কে এম শামীম ওসমান ব‌লেন,আমি পাঁচ বছ‌রে যে প‌রিমান আপনা‌দের বক্তাবলী এলাকায় উন্নয়ন ক‌রে‌ছি বিগত কোন এম‌পি আমার পঞ্চাশ ভাগের এক ভাগও কাজ ক‌রতে পা‌রে‌নি। আমি য‌দি আবার এম‌পি হই আগামী দুই বছ‌রে বক্তাবলী এলাকায় আমার অসমাপ্ত কাজগু‌লো সমাপ্ত ক‌রে বক্তাবলী নদী‌তে ব্রীজ ও এলাকার মান‌ু‌ষের চি‌কিৎসা সেবা নি‌শ্চিত করার জন্য পঞ্চাশ শয্যা বি‌শিষ্ট একটি হাসপাতাল নির্মাণ করবো।

এসময় তি‌নি আরও ব‌লেন,একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচ‌নে কা‌কে এম‌পি হি‌সে‌বে নির্বা‌চিত কর‌বেন তা আপনা‌দের বি‌বে‌কের কা‌ছে ছে‌ড়ে দিলাম। আপনারা য‌দি আমা‌কে আবার এম‌পি হি‌সে‌বে নির্বা‌চিত ক‌রেন বক্তাবলী এলাকা‌কে ফু‌লের বাগা‌নের ম‌তো সাজা‌বো যেন শহর থে‌কে লোকজন দেখ‌তে আসে এবং আপনাদের এলাকার শওকত চেয়ারম্যা‌নের মাধ্য‌মে উন্নয়‌নের পাশাপা‌শি মাদক নির্মূল ক‌রে আপনার সন্তা‌নের ভ‌বিষৎ সু‌নি‌শ্চিত ক‌রবো।

উঠান বৈঠ‌কে উপ‌স্থিত ছি‌লেন ফতুল্লা থানা আওয়ামী লী‌গের সভাপ‌তি ও কাশীপুর ইউনিয়ন প‌রিষ‌দের চেয়ারম্যন আলহাজ্ব সাইফুল্লাহ বাদল,ফতুল্লা থানা আওয়ামী লী‌গের সাধারণ সম্পাদক ও বক্তাবলী ইউনিয়ন প‌রিষ‌দের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ শওকত আলী, জেলা প‌রিষ‌দের সদস্য নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবলী‌গের যুগ্মসম্পাদক মোঃ জাহা‌ঙ্গির হো‌সেন,নারায়ণগঞ্জ জেলা তাঁতীলীগের সদস্য সচিব ভিপি আলমগীর,বক্তাবলী ইউনিয়ন আওয়ামী লী‌গের সভাপ‌তি আফাজ উদ্দীন ভূইয়া,সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম,সাংগঠ‌নিক সম্পাদক বাবুল মিয়া,

পূর্বচর গড়কূল উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি ও আলোকিত বক্তাবলীর সভাপতি মো.নাজির হোসেন,নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলী‌গের সা‌বেক দপ্তর সম্পাদক মোঃ মাশফীকুর রহমান শি‌শির,বক্তাবলী কমিউনিটি পুলিশিং ৭নং ওয়ার্ডের সভাপতি মো.দেলোয়ার হোসেন
আরো উপস্থিত ছিলেন,বক্তাবলী ইউপির ৩নং ওয়ার্ড সদস্য আকিল উদ্দীন,৫ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য আব্দুল ম‌তিন,৬নং ইউপি সদস্য রা‌ছেল চৌধুরী,৯নং ওয়ার্ড সদস্য মো.আমজাদ হোসেন,সংর‌ক্ষিত ম‌হিলা সদস্য হাজেরা বেগম,ম‌রিয়ম বেগম,কুলসুম বেগম,মু‌ক্তি‌যোদ্ধা ম‌তিউর রহসান,মু‌ক্তি‌যোদ্ধা গিয়াস উদ্দীন,‌খো‌র্শেদ মাস্টার,মুক্তি‌যোদ্ধা নুর ইসলাম,আবু সাঈদ রিংকু,মুল্লুক চান,আ‌নোয়ার হো‌সেন, রা‌শেদুল ইসলাম,রিপন গাজী,ম‌নির হো‌সেন,মাহবুবুর রহমান জ‌নি,আলো‌কিত বক্তাবলী সংগঠ‌নের সাংগঠ‌নিক সম্পাদক বাদল হো‌সেন ব‌বি প্রমুখ।
উঠান বৈঠক শে‌ষে শামীম ওসমানের হা‌তে গোলাপ ফু‌লের নৌকা তু‌লে দেন মো.নাজির হোসেন,মোঃ মাশফীকুর রহমান শি‌শির,মো.আমজাদ হোসেন,জলিল গাজী,মো.দেলোয়ার হোসেন,বাদল হোসেন ববি ও রা‌শেদুল ইসলাম সুমন।

বক্তাবলী‌তে নৌকা মার্কার আনন্দ মি‌ছিল।

শামীম ওসমানের কর্মসূচীর অংশ হিসেবে আনন্দ উৎসাহের মধ্য দিয়ে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের ৫টি ইউনিয়নের ২১৬ টি ভোট কেন্দ্রের ন্যায় বক্তাবলী ইউনিয়‌নের প্র‌ত্যেক ওয়া‌র্ডে একই সম‌য়ে বক্তাবলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠ‌নের উদ্দ্যে‌গে শামীম ওসমা‌নের প‌ক্ষে নৌকা মার্কার আনন্দ মি‌ছিল অনু‌ষ্ঠিত হয়।

১০ ডিসেম্বর(সোমবার) বিকাল সোয়া ৪টা আনন্দ মিছিলটি অনুষ্ঠিত হয়।

বক্তাবলী বাজারে ইউনয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি আফাজউদ্দিন ভূইয়ার নেতৃত্বে,বক্তাবলী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলামের নেতৃত্বে,সাংগঠনিক সম্পাদক মো.বাবুল মিয়ার নেতৃত্বে,চর প্রসন্ননগর ব্রীজ এলাকায় ইউপি মেম্বার মো.মনির হোসেন নেতৃত্বে,রাধানগরে ইউপি মেম্বার মো.জলিল গাজী নেতৃত্বে,চর বয়রাগাদী এলাকায় আলোকিত বক্তাবলীর সভাপতি মো.নাজির হোসেন ও ইউপি মেম্বার মো.আমজাদ নেতৃত্বে,উত্তর গোপালনগরে ইউপি মেম্বার জাহাঙ্গীর মাস্টারের নেতৃত্বে,মধ্যনগরে আকিল উদ্দিন মেম্বারের নেতৃত্বে,রামনগরে মাশফীকুর রহমান শিশিরের নেতৃত্বে,লক্ষীনগরে রাশেদুল ইসলাম রাশেলের নেতৃত্বে বিশাল মিছিল বের হয়।

এসময় উপ‌স্থিত ছি‌লেন সা‌বেক ২ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি মো.নাছির মিয়া,৬ নং ওয়ার্ড ই‌উপি সদস্য মোঃ রা‌ছেল চৌধুরী,৬ নং ওয়া‌র্ডের সা‌বেক ইউপি সদস্য হাজী মোঃ শহর আলী,খো‌র্শেদ মাস্টার, গিয়াস উদ্দীন,ম‌নির হো‌সেন,না‌জির হো‌সেন,ইউসুফ মাদবর, নজরুল হো‌সেন, মুকবুল হো‌সেন,সাইদুর, ছি‌দ্দিক মিয়া,আমান উল্লাহ,দিদার হো‌সেন,আলী হো‌সেন,ফয়সাল চৌধুরী,সুজনসহ আওয়ামী সহযোগী সংগঠ‌নের ক‌য়েকশত নেতা কর্মী।

বক্তাবলীকে উপশহরে পরিনত করতে শামীম ওসমানকে নৌকা মার্কায় ভোট দিন-লিপি ওসমান

নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি শামীম ওসমানের স্ত্রী ও নারায়ণগঞ্জ জেলা মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান সালমা ওসমান লিপি বলেছেন, এই নির্বাচনী এলাকায় যত উন্নয়ন দেখেন তা একমাত্র শামীম ওসমানের অবদান। এমন কোন স্থান নেই যেখানে তাঁর উন্নয়নের ছোয়া লাগেনি। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে ও বক্তাবলীকে উপশহরে পরিনত করতে শামীম ওসমানকে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে পুনরায় নির্বাচিত করুন।

১০ ডিসেম্বর সোমবার ফতুল্লার বক্তাবলীতে দিন ব্যাপী উঠান বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে লিপি ওসমান এসব কথা বলেন।


এসময় তিনি আরো বলেন শতোর্দ্ধবর্ষী নারায়ণগঞ্জ পতীতা পল্লী উচ্ছেদ করেছেন শামীম ওসমান। যার মাধ্যমে তিনি নারায়ণগঞ্জকে কলঙ্কমুক্ত করেছেন। ১৯৯৬ সালে সাংসদ হওয়ার পর তার নির্বাচনী এলাকায় প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ করেছেন।

গত সংসদ নির্বাচনে সাংসদ হয়ে করেছেন সাড়ে ৭ হাজার কোটি টাকার কাজ। এসব কিছুই সম্ভব হয়েছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহযোগীতায়। তিনি আজ দেশকে যেভাবে উন্নয়নের পথে নিয়ে যেতে কাজ করছেন এভাবে যদি তিনি আবারও কাজ করার সুযোগ পায় তাহলে এই দেশ আরো উন্নত হবে। আপনারা আগামী সংসদ নির্বাচনে আবারো নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী করবেন। এবং নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে আবারো শামীম ওসমানকে নির্বাচিত করবেন।

উঠান বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন,ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো.শওকত আলী, নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের সদস্য মো.জাহাঙ্গীর হোসেন,জেলা তাঁতীলীগের সদস্য সচিব ভিপি আলমগীর, বক্তাবলী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি হাজ্বী আফাজউদ্দিন ভূইয়া,সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম,সাংগঠনিক সম্পাদক মো.বাবুল মিয়া,মো.শফিক মাহমুদ পিন্টু,বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মো.জাহাঙ্গীর মাস্টার,আলহাজ্ব আতাউর রহমান প্রধাণ,সদস্য আখিলউদ্দিন,হাজ্বী ওমর ফারুক,আব্দুল মতিন,মো.রাসেল চৌধুরী,মো.জলিল গাজী,মো.মনির হোসেন ও আমজাদ হোসেনসহ বক্তাবলী ইউনিয়ন আওয়ামী সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

৫৮টি অনলাইন পত্রিকা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে বিটিআরসি

প্রিয়ডটকম, ঢাকাটাইমস ও পরিবর্তনসহ ৫৮ অনলাইন নিউজ পোর্টাল বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।

এসব পোর্টাল বন্ধে রোববার সব ইন্টারনেট সেবা সরবরাহ সংস্থা এবং আন্তার্জাতিক ইন্টারনেট গেটওয়েকে (আইআইজি) চিঠি দেয়া হয়েছে।বাংলাদেশ ইন্টারনেট সেবা সরবরাহ সংস্থার মহাসচিব মো. ইমদাদুল হক বলেন, বোরবার বিকালে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের পক্ষ থেকে এসব ওয়েবসাইট বন্ধ করে দেয়ার জন্য একটি চিঠি দেয়া হয়েছে।

বন্ধের নির্দেশ পাওয়া সাইটগুলো হল- মধ্যে প্রিয়ডটকম, রাইজিংবিডিডটকম, পরিবর্তনডটকম, রিপোর্টবিডি২৪ডটকম, শীর্ষনিউজ২৪ডটকম, ঢাকাটাইমস২৪ডটকম, বিডিপলিটিকোডটকম, পেজনিউজ২৪ডটকম, রেয়ারনিউজ২৪ডটকম, বিএনপিনিউজ২৪ডটকম, প্রথমবাংলাদেশডটনেট, ডেইলিআমারদেশডটএক্সওয়াইজেড, ডিএনএনডটনিউজ, রাজনীতি২৪ডটকম, আরবিএন২৪ডটকোডটইউকে, সংবাদ২৪৭ডটকম, দেশভাবনাডটকম, আমারদেশ২৪৭ডটকম, অ্যানালাইসিসবিডিডটকম, আওয়াজবিডিডটকম, বদরুলডটঅরগ, বিএনপিঅনলাইনউইংডটকম, ইনডটবিএনপিবাংলাদেশডটকম, বিএনপিবাংলাদেশডটকম, বাংলামেইল৭১ডটইনফো, এটিভি২৪বিডিডটকম, বাংলাস্ট্যাটাসডটকম, বিবাড়িয়ানিউজ২৪ডটকম, শিবিরডটঅরগডটবিডি, নিউজ২১-বিডিডটকম, ওয়াননিউজবিডিডটনেট, নিউজবিডি৭১ডটকম, জাস্টনিউজবিডিডটকম।

মির্জা ফখরুলের গাড়িতে হামলা

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের গাড়িতে হামলা করেছে মনোনয়ন বঞ্চিত প্রার্থীদের সমর্থকরা। শনিবার রাতে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের সামনে মির্জা ফখরুলের গাড়িতে হামলা চালানো হয়। এ সময় গাড়ির গ্লাস ভেঙে যায় এবং চালক হেলাল আহত হন।

ঘটনাস্থলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার বিকালে নারায়ণগঞ্জ-১ আসনে কাজী মনিরুজ্জামান মনিরকে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা দেয়ার পর বিক্ষোভে ফেটে পড়েন অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকারের সমর্থকরা।

নারায়ণগঞ্জে তৈমুর আলম খন্দকার মনোনয়ন না পাওয়ায় তার সমর্থকরা চেয়ারপারসন কার্যালয় লক্ষ্য করে ইট ছোঁড়ে। এ সময় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের গাড়িতেও তারা হামলা করে। তবে এতে ফখরুলের গাড়ি চালক হেলাল ছাড়া আর কেউ আহত হয়েছে কিনা জানা যায়নি। 

সর্বশেষ খবরে জানা গেছে, শনিবার রাত আড়াইটায় মির্জা ফখরুল গুলশানের চেয়ারপার্সনের কার্যালয় থেকে বের হওয়ার সময় তার গাড়ি অবরুদ্ধ করা হয়। দীর্ঘ ৩০ মিনিট চেষ্টা করেও তিনি কার্যালয় থেকে বের হতে পারেননি। 

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় রাত ৩টার দিকে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তাকর্মী চেয়ারপার্সনস সিকিউরিটি ফোর্স (সিএসএফ) একটি মানববেষ্টনী তৈরি করে তাকে ঘিরে গুলশান-২ নম্বর চত্বরের দিকে নিয়ে যান। 

সে সময় মির্জা ফখরুলের ব্যক্তিগত গাড়িটি কার্যালয় থেকে খালি বেরিয়ে মূল সড়ক থেকে ফখরুলকে তুলে নিয়ে যায়।

এর আগে সন্ধ্যা থেকে দেশের বিভিন্ন আসনে বিএনপির মনোনয়ন বঞ্চিত প্রার্থীদের কর্মী সমর্থকরা আন্দোলন করে। 
মধ্যরাতে চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে গেইট ভেঙে তারা কার্যালয়ের ভেতর প্রবেশের চেষ্টা করে। গেটের অপর পাশ থেকে সিএসএফের কর্মকর্তারা প্রতিরোধ গড়ে তোলে।

জানা গেছে, মনোনয়নবঞ্চিত এহছানুল হক মিলনের অনুসারীরা ফখরুলের পথ আটকে তাঁকে চারপাশ থেকে ঘিরে রাখেন। 

তাদের সঙ্গে যোগ দেন গোপালগঞ্জ-১ আসনের সেলিমুজ্জামান সেলিম ও মানিকগঞ্জে প্রয়াত মহাসচিব খন্দকার দেলোয়ার হোসেনের ছেলে অ্যাডভোকেট খোন্দকার আবদুল হামিদ ডাবলুর কয়েক হাজার নেতাকর্মী।

তারা গুলশান কার্যালয়ের সামনে এসে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। একপর্যায়ে বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা কার্যালয় লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। তাদের ছোড়া ইটের আঘাতে কার্যালয়ের দ্বিতীয় তলার জানালার কাচ ভেঙে যায়।

বাইরে যখন বিক্ষোভ চলছিল, সেসময় ভেতরেই ছিলেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, নজরুল ইসলাম খানসহ সিনিয়র কয়েক নেতা।

পরিস্থিতি শান্ত করতে দেলোয়ারের দুই ছেলে ও মেয়েকে কার্যালয়ের ভেতরে ডেকে নেয়া হয়। এ সময় নজরুল ইসলাম খান তাদের সঙ্গে কথা বলেন। দেলোয়ারের সন্তানরা নজরুল ইসলাম খানের কাছে জানতে চান, এ দলে কি তার বাবার কোনো অবদান নেই।
মনোনয়ন তো দূরের কথা, তাদের কেন কার্যালয়ে ঢুকতে দেয়া হল না। এ সময় নজরুল ইসলাম খান তাদের শান্ত হতে বলেন। বাইরে বিক্ষুব্ধ কর্মীদের চলে যেতে বলেন। কার্যালয়ের নিচ তলায় তাদের অপেক্ষা করতে বলেন নজরুল।

এরপর তৈমুর আলম খন্দকারকে ভেতরে ডাকেন নজরুল ইসলাম খান। তার সঙ্গে কথা বলেন তিনি। এ সময় তৈমুর ক্ষুব্ধ কণ্ঠে বলেন, আমি কার্যালয়ের বাইরে আছি। মহাসচিবসহ আপনারা কীভাবে বাইরে বের হন, তা আমি দেখে নেব। এ বলে তিনি নিচে চলে আসেন।

দুপুরে চাঁদপুর-১ আসনের মনোনয়নবঞ্চিত সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী দলের আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক এহছানুল হক মিলনের অনুসারীরা নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করেন।
একপর্যায়ে তারা কার্যালয়ের প্রধান ফটকে তালা লাগিয়ে দেন। মূল গেটে প্রতিবাদ মিছিল লেখা একটি ব্যানার টাঙিয়ে দেয়া হয়। এ সময় মিলনের স্ত্রী নাজমুন নাহার বেবী ছাড়াও বিক্ষোভে অংশ নেন চাঁদপুরের কচুয়া থানা বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। 

বেবী সাংবাদিকদের বলেন, বিগত সময়ে যারা দলের জন্য কাজ করেছেন, তাদের মূল্যায়ন করা হয়নি।

এরপর প্রার্থী পরিবর্তনের জন্য ১২ ঘণ্টার সময় বেঁধে দিয়ে বিএনপির নেতা আ ন ম এহছানুল হক মিলনের অনুসারী নেতাকর্মীরা নয়াপল্টন কার্যালয়ের ফটকের তালা খুলে দেন। এরপর তারা দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সঙ্গে দেখা করে তারা তাদের ক্ষোভের কথা জানান।

বিক্ষোভরত মিলনের একাধিক সমর্থক অভিযোগ করেন, এহছানুল হক মিলনের জায়গায় চাঁদপুর-১ (কচুয়া) আসনে দলীয় মনোনয়ন দেয়া কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মো. মোশাররফ হোসেনকে এলাকায় কেউ চেনেন না।

সারা জীবন তিনি মালয়েশিয়ায় ছিলেন। এহছানুল হক মিলন পাঁচ বছর দেশের বাইরে থাকলেও তার সঙ্গে এলাকার মানুষের নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। এখনও তিনি জেলে আছেন, তার ত্যাগকে মূল্যায়ন করা হয়নি।

মনোনয়নবঞ্চিতদের বিক্ষোভ প্রসঙ্গে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘ধানের শীষ’ প্রতীকে যারা মনোনয়ন পাচ্ছেন, তাদের পক্ষেই নেতাকর্মীরা ‘একট্টা’।

মনোনয়ন নিয়ে ছোটখাটো দুই-একটি প্রতিক্রিয়া- এটা কি নতুন কিছু? এটা নতুন নয়। বরং যাদের দেয়া হয়েছে, তারা অত্যন্ত জনপ্রিয় তাদের এলাকায়। আন্দোলন-সংগ্রাম থেকে শুরু করে এলাকায় তাদের সম্পৃক্ততা অত্যন্ত নিবিড়। যোগ্যদেরই মনোনয়ন দেয়া হয়েছে।

নৌকার মাঝি শামীম ধানের চাষী কাসেমী

সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে,চরম নাটকীয়তার মধ্য দিয়ে অবশেষে নারায়ণগঞ্জ-৪(ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনের আওয়ামীলীগের আলোচিত নেতা এমপি একেএম শামীম ওসমানের সঙ্গে ধানের শীষ প্রতীকে লড়াই করবেন নারায়ণগঞ্জ জেলা জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সভাপতি মুফতি মনির হোসেন কাসেমী। ৮ ডিসেম্বর শনিবার ২০ দলীয় জোটের পক্ষ থেকে মুফতি মনির হোসেন কাসেমীকে মনোনয়নের চিঠি দেয়া হয়।

নারায়ণগঞ্জ মহানগর জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মহানগর সেক্রেটারি মাওলানা ফেরদৌসুর রহমান চিঠি হাতে পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেছেন, মুফতি মনির হোসেন কাসেমী ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচনে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করবেন।

২০ দলীয় জোট এ আসনটি জমিয়তে উলামায়ে ইসলামকে ছাড় দেয়। ফলে এ আসনটিতে বিএনপির দুইজনকে মনোনিত করা হলেও তাদের মধ্যে কাউকে চূড়ান্তভাবে মনোনিত করা হয়নি।

নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা এলাকা নিয়ে গঠিত নারায়ণগঞ্জ-৪ সংসদীয় আসন। এ আসনে বিএনপির মনোনয়ন বঞ্চিত সাবেক এমপি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দীন বিদ্রোহী হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন। ৭ ডিসেম্বর শুক্রবার নির্বাচন কমিশন গিয়াসউদ্দীনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হলে নির্বাচনে লড়াই করার কথা জানান। এখানে আওয়ামীলীগ মনোনয়ন পত্র দাখিল করে পরবর্তীতে শামীম ওসমানকে সমর্থন দিয়ে মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন কেন্দ্রীয় শ্রমিকলীগের শ্রমিক উন্নয়ন কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক কাউসার আহমেদ পলাশ।

সূত্রমতে, এ আসনের বর্তমান এমপি আওয়ামীলীগ মনোনিত প্রার্থী একেএম শামীম ওসমান, বিএনপির মনোনিত প্রার্থী কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য মুহাম্মদ শাহআলম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী শফিকুল ইসলাম, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থী হিমাংসু সাহা, ন্যাপের প্রার্থী ওয়াজিবুল্লাহ অজু, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের প্রার্থী সেলিম মাহামুদ, কমিউনিস্ট পার্টির প্রার্থী ইকবাল মাহামুদ, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের প্রার্থী মুফতি মনির হোসেন কাসেমী, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্র্টির প্রার্থী মাহামুদ হোসেন, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রার্থী শফিকুল ইসলাম দেলোয়ার ও বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের প্রার্থী জসিমউদ্দীনের মনোনয়ন গত ২ ডিসেম্বর বৈধ ঘোষণা করে জেলা রিটার্নিং অফিসার রাব্বী মিয়া।

একই দিন রিটার্নিং অফিসার এখানে ১৬ জন মনোনয়ন দাখিলকারীর মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বিএনপির সাবেক এমপি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দীন ও তার ছেলে স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম মুহাম্মদ কাউসার, জেলা বিএনপির সেক্রেটারি বিএনপির মনোনিত প্রার্থী মামুন মাহামুদ, কেন্দ্রীয় শ্রমিকলীগের শ্রমিক উন্নয়ন কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক স্বতন্ত্র প্রার্থী কাউসার আহমেদ পলাশ ও কেন্দ্রীয় জাতীয়পার্টির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সালাউদ্দীন খোকা মোল্লার মনোনয়ন বাতিল ঘোষণা করা হয়।

শুক্রবার মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দীন ও মামুন মাহামুদের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। বৈধ ঘোষণার পর মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দীন সাংবাদিকদের জানিয়েছেন নির্বাচনে তিনি শেষ পর্যন্ত থাকবেন। এ আসনে বিএনপির দুই মনোনিত প্রার্থী মুহাম্মদ শাহআলম ও মামুন মাহামুদের মধ্যে কাউকে মনোনিত না করে জোটের শরীক দলের নেতা মুফতি মনির হোসেন কাসেমীকে মনোনিত করেছে ২০ দলীয় জোট তথা ঐক্যফ্রন্ট।

নেতাকর্মীদের সূত্রে, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে এখানে আওয়ামীলীগের মনোনয়নে বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় এমপি নির্বাচিত হন একেএম শামীম ওসমান। এর আগের নির্বাচনে যখন শুধুমাত্র ফতুল্লা থানা এলাকা নিয়ে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসন ছিল ওই নির্বাচনে শামীম ওসমানের চাচী চলচিত্র নায়িকা সারাহ বেগম কবরী এখানে এমপি নির্বাচিত হন। ওই নির্বাচনে বিএনপির মনোনিত প্রার্থী ছিলেন মুহাম্মদ শাহআলম।

এ আসনে আওয়ামীলীগ থেকে এমপি শামীম ওসমান ছাড়াও নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন পত্র ক্রয় করেছিলেন কেন্দ্রীয় শ্রমিকলীগের শ্রম কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক কাউসার আহমেদ পলাশ, কেন্দ্রীয় মহিলা লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নাহিদা হাসনাত ও আওয়ামীলীগের উপ-কমিটির সদস্য কামাল উদ্দীন মৃধা। কিন্তু এখানে শামীম ওসমানকে এককভাবে মনোনয়ন দেয় আওয়ামীলীগ।

অন্যদিকে এ আসনের সাবেক এমপি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দীন মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন। তিনি সাংবাদিকদের কাছে অনেকটা জোর দিয়েই বলেছেন, আমি নির্বাচনে থাকছি এটাই সত্য।’ তিনি ২০০১ সালে কেন্দ্রীয় কৃষকলীগের সহ-সভাপতি পদ থেকে নির্বাচনের মাত্র ২১ দিন পূর্বে বিএনপিতে যোগদান করে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করে এমপি নির্বাচিত হন। প্রথমে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির আহ্বায়ক শিল্পপতি সফর আলী ভুইয়াকে দেয়া হলেও তার মনোনয়ন বাতিল করে শামীম ওসমানকে পরাজিত করতে আওয়ামীলীগ থেকে আসা গিয়াসউদ্দীনকে মনোনয়ন দেয় বিএনপি। ওই সময় শামীম ওসমানের সঙ্গে রাজনীতি করে আসা গিয়াসউদ্দীন শামীম ওসমানকেই পরাজিত করেন। পরবর্তীতে শামীম ওসমান দেশ ছেড়ে চলে যান এই গিয়াসের ভয়েই। গিয়াসউদ্দীন ৯ম সংসদ নির্বাচনে কারাগারে থাকায় মনোনয়ন পাননি।

এখানে ৯ম সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন পেয়েছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য শিল্পপতি মুহাম্মদ শাহআলম। তিনিও কল্যান পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির কোষাধ্যক্ষ ছিলেন। বিএনপিতে এসে মনোনয়ন পেলেও তিনি আওয়ামীলীগের প্রার্থী সারাহ বেগম কবরীর কাছে পরাজিত হন। তবে এ আসনে গিয়াসউদ্দীন ও শাহআলম দুজনের কেউই গত দশ বছরে রাজপথের আন্দোলন সংগ্রামে ছিলেন না। শাহআলমের নেতাকর্মীরা দাবি করেন শাহআলম কেন্দ্রীয় বিএনপির ডোনার এবং গিয়াসের নেতাকর্মীরা দাবি করেন গিয়াস যখন এমপি ছিলেন তখন যা কামিয়েছেন তার সিংহভাগ হাওয়া ভবনে পাঠিয়েছিলেন। যে কারনে এইদুজনের কেউই রাজপথে সক্রিয় ছিলেন না। একটি মানববন্ধনেও ছিলেন না এই দুই নেতা।

তবে মনোনয়ন পাওয়া জেলা বিএনপির সেক্রেটারি অধ্যাপক মামুন মাহামুদ একাধিকবার রাজপথে পুলিশের লাঠিপোটার শিকার হয়েছিলেন। বেশকবার তিনি মাসের পর মাস কারাভোগ করেছিলেন। সম্প্রতি তিনি তিন মাস কারাভোগ শেষে জামিনে বের হয়েই মনোনয়ন বোর্ডের কাছে সাক্ষাতকার দিতে যান। এ আসন থেকে মনোনয়ন চেয়েছিলেন জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আব্দুল হাই রাজু ও পারভেজ আহমেদ।

গত নির্বাচনের আগে এ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশা নিয়ে বেশ প্রচারণায় ছিলেন ফতুল্লা থানা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি ও কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুল আলম সেন্টু ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সাবেক পৌর প্রশাসক আবদুল মতিন প্রধান। মতিন প্রধান ইতিমধ্যে আওয়ামীলীগে যোগদান করেছেন। সেন্টু গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করেননি। তিনি এখন শামীম ওসমানের পক্ষে ভোট চাচ্ছেন নিয়মিত। তিনি একটি অনুষ্ঠানে বলেছেন, শামীম ওসমান উন্নয়ন করে জনগণের পীর হয়ে গেছেন।’ এ নির্বাচনেও সেন্টু মনোনয়ন চেয়েছিলেন।

এ আসনে জাতীয়পার্টির মনোনয়ন প্রত্যাশি ছিলেন কেন্দ্রীয় জাতীয়পার্টির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সালাউদ্দীন খোকা মোল্লা। তিনি মনোনয়ন দাখিল করলেও তার মনোনয়ন বাতিল করেছে রিটার্নিং অফিসার। তবে তিনি আপিল করে বৈধতা পেয়েছেন।

ফতুল্লায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার উপর ছাত্রলীগ নেতা মান্নান বাহিনীর হামলা

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লায় রাজনীতিতে একক ভাবে প্রভাব বিস্তার করতে ছাত্রলীগ নেতা মান্নান বাহিনীর ছিচকে সন্ত্রাসীরা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা নোমান আহম্মেদ অর্কোসহ তার বড় ভাইয়ের উপর হামলা চালিয়েছে। এসময় নামধারী ছাত্রলীগের ক্যাডাররা নোমান আহম্মেদ অর্কোসহ তার বড় ভাইকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে। তবে ফতুল্লা থানা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক মান্নানের ইন্ধনে এ হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

শুক্রবার বিকেলে ফতুল্লার মুসলিমনগর নয়াবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটলে শনিবার সকালে আহত নোমান আহম্মেদ অর্কো বাদী হয়ে মান্নান বাহিনীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করে।

এদিকে ফতুল্লা থানা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক এমএ মান্নান নিজেকে এমপি শামীম ওসমান আস্থাভাজন নেতা হিসাবে এলাকায় জাহিল করে ভাতিজা বিল্লালকে দিয়ে একটি বিশাল বাহিনী গড়ে তোলে। এ বাহিনী মুসলিমনগর নয়াবাজার সহ আশে পাশের এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করছে। এ বাহিনীর বিরুদ্ধে কেউ কথা বললে তাকে নাজেহাল করে দেয়। আর মান্নানের ইন্ধনেই সন্ত্রাসী বাহিনীরা এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকান্ডসহ নানা অপকর্ম করে বেড়াচ্ছে। এতে মান্নান ঐ এলাকার আওয়ামীলীগ ও এমপি শামীম ওসমানের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে বলে এলাকার সচেতন মহল মনে করছে। আর শুক্রবার স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা নোমান আহম্মেদ অর্কোসহ তার বড় ভাইয়ের উপর হামলার ঘটনায় এলাকায় নিন্দ্রার ঝড় উঠেছে। এছাড়া আহতদের ছবি দিয়ে ফেইসবুকে বিভিন্ন মহলে সন্ত্রাসীদের ধিক্কার জানাচ্ছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ফতুল্লার মুসলিমনগর নয়াবাজার এলাকার মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল ইসলামের ছেলে নোমান আহম্মেদ অর্কো স্বেচ্ছাসেবক লীগের রাজনীতির সাথে সাথে সম্পৃক্ত। তার সমর্থীত লোকজন নিয়ে স্বেচ্ছাসেবকলীগের ব্যানার নিয়ে আওয়ামীলীগ ও শামীম ওসমানের মিছিল মিটিংয়ে যোগদান করেন। বিশেষ করে অর্কো মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি জুয়েল হোসেন ও ফতুল্লা থানা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারন সম্পাদক আনোয়ার হোসেনের অধিনে রাজনীতি করে। আর স্বেচ্ছাসেবকলীগের রাজনীতি করার অপরাধে ফতুল্লা থানা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক মান্নান অসন্তোষ প্রকাশ করে। যার কারনে নোমান আহম্মেদ অর্কোকে দমাতে তার পিছনে মান্নান বাহিনীর লোককে লেলিয়ে দেয়। তার কারন মান্নান চায় মুসলিমনগর নয়াবাজার এলাকায় তার অধিনে ছাড়া কেউ অন্য কারোর রাজনীতি করতে পারবে না। সেই সুবাধে মান্নানের প্রধান হাতিয়ার ভাতিজা বিল্লালের লোকদের দিয়ে অর্কোকে এলাকায় কোনঠাসা করতে চাইছে। সম্প্রতি অর্কোর সাথে এলাকার লোকজন স্বেচ্ছাসেবকলীগের মিছিলে যাওয়ার অপরাধে রকি নামে এক ব্যক্তিকে মান্নান বাহিনীর সদস্য জজ মিয়া, আলম, নিজাম, হেলাল সহ আরো বেশ কয়েকজন মিলে মারধর করে। এতে রকি কোন প্রতিবাদ করেনি। শুক্রবার বিকেলে রকিকে ফের মারধর করার সময় অর্কো প্রতিবাদ করায় মান্নান বাহিনী ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে বেদম মারধর করতে থাকে। এসময় অর্কোর বড় ভাই আব্দুল্লাহ আল ইমরান তার ছোট ভাইকে বাচাতে গেলে তাকেও মারধর করে। পরে মান্নান বাহিনীর ছিচকে সন্ত্রাসীরা অর্কোর বাড়িতে হামলা চালায় এবং তাদের বাড়ির গেইট ভাঙচুরের চেষ্টা করে। পরে নোমান আহম্মেদ অর্কোসহ তার বড় ভাইকে উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ ৩’শ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয়। তারা চিকিৎসা শেষে নোমান আহম্মেদ অর্কো বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে।

ফতুল্লা মডেল থানার এসআই কাজি এনামুল নোমান আহম্মেদ অর্কোর দায়েরকৃত অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, যারা এ হামলার সাথে সম্পৃক্ত রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

কে হচ্ছেন বিএনপির চুড়ান্ত প্রার্থী শাহআলম না গিয়াস?

নিজস্ব প্রতিবেদক : নারায়ণগঞ্জ ৪ আসনে বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী সাবেক এমপি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষনা করেছে নির্বাচন কমিশন। তার মনোনয়ন বৈধ ঘোষনার পরপরই নারায়ণগঞ্জে গুজব ছড়িয়ে পড়ে নারায়ণগঞ্জ ৪ আসনে কে হচ্ছেন বিএনপির চুড়ান্ত প্রার্থী শাহআলম না গিয়াসউদ্দিন।

বিকাল থেকে ২০৬ আসনে বিএনপির প্রার্থীদের চুড়ান্ত তালিকা প্রকাশ শুরু করেন মহাসচিব মির্জা ফকরুল ইসলাম আলমীর। সর্বশেষ নারায়ণগঞ্জ ২ (আড়াইহাজার) আসনে নজরুল ইসলাম আজাদের নাম ঘোষনা করা হয়। নারায়ণগঞ্জ ৩ (সোনারগাঁ) আসনে আব্দুল মান্নান একক প্রার্থী হওয়ায় তার মনোনয়ন নিয়ে কোন জটিলতা নেই। অপরদিকে নারায়ণগঞ্জ১ (রূপগঞ্জ), নারায়ণগঞ্জ ৪ (ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) ও নারায়ণগঞ্জ ৫ আসনের মনোনয়ন কাকে দেয়া হয়েছে তা এখনো ঘোষনা না করায় নানা গুজব ছড়িয়ে পড়েছে জেলা। একেকজন প্রার্থীর পক্ষে ছড়ানো হচ্ছে নানা গুজব। গুজবে সবচেয়ে আলোচিত হয়ে উঠেছেন বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন। ইতোমধ্যে ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে নারায়ণগঞ্জ ৪ আসনে বিএনপির টিকেট পাচ্ছেন গিয়াসউদ্দিন। কিন্তু নির্বাচন অফিস সূত্র জানিয়েছেন, মনোনয়ন জমার সময়ে যে দলের বা স্বতন্ত্র হিসাবে প্রার্থীরা নিজেদের চিহিৃত করেছেন তার বাইরে যাবার কোন সুযোগ নেই। ধানের শীষের প্রার্থী যেমন নৌকায় যেতে পারবেন না তেমনি স্বতন্ত্র প্রার্থীও কোন দলের প্রতীকে নির্বাচন করতে পারবেন না। এক্ষেত্রে কোন প্রার্থীর যদি মনোনয়ন জমার দেয়ার সময়ের মার্কার কোন পরিবর্তন হয় তাহলে তার মনোনয়ন বাতিল হয়ে যাবে। তাহলে কে হচ্ছেন বিএনপির মনোনীত প্রার্থী শাহ আলম না গিয়াসউদ্দিন।