৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২৪শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 143

অসুস্থ মাকে বাঁচাতে ২ পথশিশুর লড়াই

বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল শহরের তালিকায় ঢাকা।‘ঢাকায় টাকা ওড়ে’; কিন্তু এ উড়ন্ত টাকা যারা ধরতে অক্ষম, তাদের প্রতিটি দিন এক একটি নির্মম গল্পকেও হার মানায়।

এখানে কংক্রিটের দেয়ালে যেভাবে চাপা পড়ে যায় সকালের সোনা রোদ, সেভাবেই চাপা পড়ে থাকে অভাবী অসহায় নিরণ্ণ মানুষের হাহাকার।

এই ইট-কাঠ-পাথরের শহরে বিত্তশালীদের বিলাসী জীবনের ঝলকানিতে যেমন চোখ ধাঁধিয়ে যায়, তেমনি নিরণ্ণ ছ্ন্নিমূলদের অসহায় জীবনের করুণ কাহিনি ছুটন্ত মানুষকে থমকে দাঁড়াতে বাধ্য করে।

অনেক সময় হয়তো পেছনে তাকানোর ফুরসত টুকুও মেলে না। কিন্তু চোখে আটকে থাকে এমন কিছু দৃশ্যপট, যা আপনাকে বারবার ভাবতে বাধ্য করবে- জীবনের মানে কী? বিলাসের ঝলকানিই কি জীবন, নাকি দুর্বল হাতের অশ্রুসজল চোখের অসহায় লড়াইটাই জীবন?

রাজধানীর ধানমণ্ডির সোবহানবাগ মসজিদ এলাকার এক মানবিক দৃশ্যপট তুলে ধরে জীবন সম্পর্কে আমাদের এমনই প্রশ্নের মুখোমুখি করেছেন দৈনিক ইত্তেফাকের সহসম্পাদক সাইফুল ইসলাম জুয়েল।

শনিবার সোবহানবাগ মসজিদ থেকে ২০০ গজ দক্ষিণের ফুটপাতে এক ছিন্নমূল অসহায় মাকে বাঁচাতে তার দুই শিশুসন্তানের লড়াইয়ের দৃশ্য মোবাইল ফোনে ক্যামেরাবন্দি করেন জুয়েল।

ছবিতে দেখে যায়, একজন অসুস্থ মা ফুটপাতে শুয়ে কাতরাচ্ছেন। পাশে তার দুই অবুঝ সন্তান। মাতৃসেবায় ব্যস্ত এ দুই ছোট্ট শিশু। মাথায় পানি ঢেলে মায়ের জ্বর প্রশমন করার চেষ্টা করছে বড় ছেলেটি। পাশে কারা যেন রুটি, কলা রেখে গেছে।

পানি রাখার জন্য কোনো পাত্রও নেই তাদের। কুড়িয়ে পাওয়া মিনারেল ওয়াটারের বোতলেই কাজ চালিয়ে নিচ্ছে শিশুটি।

ছোট ছেলেটি আর কিছু করার ক্ষমতা নেই দেখে বিদ্যুতের একটি খুঁটিতে মাথা ঠেকিয়ে রেখে তার অসহায়ত্ব প্রকাশ করছে।

শনিবার রাতে সামাজিকমাধ্যম ফেসবুকে ছবিটি শেয়ার করে জুয়েল লিখেছেন- ‘একজন অসুস্থ মা ও তার দুই অবুঝ সন্তানের মাতৃসেবা… মা-দের এমন অসুস্থ অবস্থায় দেখলে কষ্ট লাগে, একেবারে দিলে লাগে কষ্টটা।

সে মা ও তার শিশুদের সর্বশেষ অবস্থা জানতে রোববার দুপুরে সাইফুল ইসলাম জুয়েলের সঙ্গে এ প্রতিবেদকের কথা হয়।

জুয়েল যুগান্তরকে জানান, মা ও দুই শিশুর ছবিটি ফেসবুকে শেয়ার করার পর অনেকেই তাকে ফোন করে স্থানটি কোথায় তা জানতে চেয়েছেন। ঢাকার বাইরে থাকেন এমন কয়েকজনও সাহায্যের হাত বাড়াতে ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।

তবে তিনি জানান, সকাল অবধি তেমন কেউ এই দুস্থ, অসহায় মা ও সন্তানদের দেখতে আসেননি।

ছবিটি প্রকাশের পর অনেকেই নানা মন্তব্য করেছেন। একজন লিখেছেন- ‘কী কষ্টের ছবি! হৃদয়বিদারক দৃশ্য, আল্লাহ তুমি এদের হেফাজত করো।’

আরেকজন লিখেছেন- একটা ছবি অনেক কথা বলে। ছবি দেখে কেউ না কেউ তো পাশে দাঁড়াবে।

ছবিটি শেয়ার করে একজন তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে লিখেছেন- একজন মানুষ হিসেবে মৌলিক কিছু অধিকার না পেলেও চিকিৎসা পাওয়া উচিত। তিনি আরও লিখেন- এই অসুস্থ একজনকে মাড়িয়ে চলে যান নগরীর লাখো মানুষ৷ কারও চোখে পড়ে, কারও পড়ে না৷ উচ্চবিত্তের কাছে এ ছবি যেন নিছক শিল্পকর্ম বলেও অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন একজন।

ঢাকা শহরে এমন চিত্র অহরহ৷ অসংখ্য মানুষ এ মেগাসিটির ফুটপাতে ঘুমায়। যারা এ দেশের নাগরিক হয়েও যেন পরবাসী।

কক্সবাজারে পাহাড়ের পাদদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সাহায্যসহ থাকার জায়গা হলেও ঢাকার ছিন্নমূল মানুষদের ফুটপাত ছাড়া আর কোথাও ঠাঁই হয় না।

এমনকি টাকা না থাকায় কোনো হাসপাতাল বা মাতৃসদনে ঠাঁই না হয়ে রাস্তায় সন্তান প্রসব করেছেন এমন ঘটনার সাক্ষীও হয়েছে ঢাকা।

ফতুল্লায় বরিশাইল্যা টিপুর বিরুদ্ধে সরকারী রাস্তা দখলের অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টারঃ ফতুল্লার বনানী সিনেমা হলের টিকেট বিক্রেতা থেকে কোটিপতি বনে যাওয়া পোষ্ট অফিস রোড এলাকার রফিকুল ইসলাম টিপু ওরুফে বরিশাইল্যা টিপুর বিরুদ্ধে অভিযোগের অন্ত নেই। সরকারী-বেসরকারী ব্যাক্তি মালিকানাধীন ভূমি জবর দখলসহ অর্থ আত্মসাতের পর এবার ফতুল্লা ইউনিয়নের উন্নয়ন প্রকল্পের আওতাধীন দীর্ঘ ৫০বছরের ব্যবহৃত সরকারী রাস্তা দখল করে নিয়েছে বরিশাইল্যা টিপু। এ ঘটনায় একাধিকবার স্থানীয় বাসিন্দারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে বিষয়টি লিখিত ভাবে জানালেও তিনি কর্ণপাত না করায় থানা সাধারন ডায়েরী করেছে স্থানীয় বাসিন্দা মো: শরীফ হোসেন। জিডি নং ২৭৪

স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, পোষ্ট অফিস রোডের পাশের জয়নগর ষ্টীল মিল ও সালাসা টেক্সটাইল মিলের মাধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া রোড দীর্ঘ অর্ধশত বছরেরও বেশী সময় স্থানীয়রা ব্যবহার করে আসছে। চলতি বছরের শুরুর দিকে সরকারী এই রাস্তাটি রাতের অন্ধকারে গেইট সাটিয়ে বন্ধ করে নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কাজে ব্যবহার করে আসছে। এই রাস্তা দখলের সময় এলাকাবাসী প্রতিবাদ জানালেও বরিশাইল্যা টিপু কারো কথা না শুনে নিজের মতো করে রাস্তা দখলে নিয়ে নেয়। এ ঘটনায় গত ৮ জানুয়ারী বন্ধ রাস্তা খুলে দেয়ার দাবিতে এলাকাবাসী স্থানীয় চেয়ারম্যানের বরাবর লিখিত অভিযোগ দেয়। কিন্তু রহস্যজনক কারনে চেয়ারম্যান এর কোন সুরাহা করেনি। এতে করে টিপু আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠে। রাস্তা বন্ধের ঘটনায় প্রতিবাদ করায় একই দিনে দেলোয়ার হোসেন দেলুকে বরিশাইল্যা টিপু তার ভাই সাপ্পু, ভাগ্নে রায়হান,রাজিবসহ বেশ কিছু ভাড়াটে সন্ত্রাসী দেলোয়ারের উপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা চালায়।

এসময় দেলোয়ারের ডাকচিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। এসময় স্থানীয়রা দেলোয়ার গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে খানপুর ৩শ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করে পরে অবস্থার অবনতি ঘটলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি। টিপুর বিরুদ্ধে ভূমিদস্যুতা, চেকজালিয়াতি, সন্ত্রাসী লালনসহ নানা অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া তার সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের প্রতিবাদে এলাকাবাসী ঝাড়– মিছিলও করেছিলো। উল্লেখ্য, বরিশাইল্যা টিপু সাবেক এমপি কবরীর সময়ে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাংসদ সেলিম ওসমানের ফ্যাক্টরীতে হামলা চালিয়েছিলো বলেও অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে বিএনপি-জামাতকে মদদ দেয়ারও অভিযোগ রয়েছে।

নারায়ণগঞ্জের আমলাপাড়ায় ২১৬ ক্যান বিয়ারসহ গ্রেফতার -২

পুলিশের চলমান মাদক বিরোধী অভিযানের ধারাবাহিকতায় ২১৬ ক্যান বিয়ার সহ সানি ও জীবন নামে দুই মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছেন সদর মডেল থানা পুলিশ।

শনিবার দিবাগত রাত ১টায় নারায়ণগঞ্জের আমলাপাড়া এলাকায় সদর মডেল থানার ওসি কামরুল ইসলামের দিক নির্দেশনায় ও এসআই শফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে সঙ্গীয় ফোর্স সহ অভিযানে চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।

আটককৃতরা হলেন,মো. সানি নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর থানাধীন সোনা কান্দা এলাকার মৃত গিয়াস উদ্দিনের ছেলে।বর্তমানে সে শহরের খান পুর এলাকায় ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করেন । হাসান সরকার ওরফে জীবন শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া থানাধীন ইউনুস সরকারের ছেলে। বর্তমা্নে সে শহরের নিতাই গঞ্জের ঋষি পাড়া এলাকায় ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করে আসছে ।

আটককৃতদের বিরুদ্ধে সদর মডেল থানায় মাদক আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।পরে রবিবার দুপুরে তাদের আদালতে প্রেরণ করা হলে আদালদত তাদের জামিন না মঞ্জুর করে জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এ বিষয়ে সদর মডেল থানার ওসি মো. কামরুল ইসলাম বলেন,এই অভিযান পুলিশের চলমান মাদক বিরোধী অভিযানের একটি অংশ।এই অভিযান মাদক নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত চলমান থাকবে। আর তার সদর মডেল থানা পুলিশ কঠোর অবস্থানে রয়েছে। আমাদের মাদক নির্মূল করতে তথ্য সহায়তা করুন।

অবৈধ ক্লিনিক ও ডাক্তারের বিরুদ্ধে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের সিদ্ধান্ত

জেলার গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে জেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে ।

রবিবার ( ৮ জুলাই ) ১১ টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয় ।

নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক রাব্বী মিয়া’র সভাপতিত্বে উক্ত জেলা আইন শৃঙ্খলা মাসিক সভায় উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ নারী সংসদ সদস্য এড. হোসেন আরা বাবলী, ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ এহসানুল হক, জেলা অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান, জেলা ইন্ডাস্ট্রির পুলিশ সুপার মোঃ জাহিদুল ইসলাম, জেল সুপার সুভাষ কুমার ঘোষ, র্যাব ১১ এর এএসপি সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা হোসনে আরা বেগম, বন্দর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা পিন্টু বেপাড়ী, রূপগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল ফাতে মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, আড়াইহাজার উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা সুরাইয়া খান, সোনারগাঁ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিনুর ইসলাম, সরকারি তোলারাম কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর বেলা রানী সিংহ, সদর উপজেলার চেয়ারম্যান এড. আবুল কালাম আজাদ বিশ্বাস , সোনারগাঁ উপজেলার চেয়ারম্যান আজহারুল ইসলাম মান্নান, এপিপি এড. জেসমিন আহমেদ প্রমুখ ।

সভায় নারায়ণগঞ্জের বিভিন্নস্থানে অবৈধ প্রাইভেট ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং ভূয়া ডাক্তারের বিরুদ্ধে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে এবং যে সকল শিল্প প্রতিষ্ঠান গুলো টিআইবি ব্যবহার করে না তাদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে ।

সিদ্ধিরগঞ্জে ইয়াবাসহ মাদক সম্রাজ্ঞী রোকসানা গ্রেফতার

সিদ্ধিরগঞ্জের চিহ্নিত মাদক সম্রাজ্ঞী রোকসানাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার ভোর রাতে সিদ্ধিরগঞ্জের নাসিক ৪নং ওয়ার্ডের আটিগ্রাম এলাকার শহিদুল্লার বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।এসময় পুলিশ রোকসানার কাছ থেকে ৩০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করে। মাদক সম্রাজ্ঞী রোকসানার বিরুদ্ধে মাদকবিরোধী আইনে ৮টিসহ মোট ৯টি মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। সে সিদ্ধিরগঞ্জের চিহিৃত মাদক সম্রাজ্ঞী।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানার (এসআই) মো. রফিকুল ইসলাম জানান, মাদক সম্রাজ্ঞী রোকসানার বিরুদ্ধে ৯টি মামলা রয়েছে। সে সিদ্ধিরগঞ্জের চিহিৃত মাদক ব্যবসায়ী। শুক্রবার ভোর রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে ৩০ পিস ইয়াবাসহ আটক করা হয়েছে। রোকসানা সিদ্ধিরগঞ্জের বাগানবাড়ি এলাকার মৃত আয়নাল হকের স্ত্রী। এ ঘটনায় মাদকবিরোধী আইনে তার বিরুদ্ধে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি মামলা করা হয়েছে।(সূত্র-বিডি)

খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও সুচিকিৎসার দাবিতে ফতুল্লায় ছাত্রদলের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত।

বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও সুচিকিৎসার দাবিতে ফতুল্লা ইউনিয়ন ছাত্রদলের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। শুক্রবার বিকাল ৫ টায় ফতুল্লা ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডে এই আলোচনা সভা অনুষ্টিত হয়। আলোচনা সভায় প্রধাণ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফতুল্লা থানা ছাত্রদল নেতা জিয়াউল হক জিয়া। ছাত্রদল নেতা আলী আজর এর সভাপতিত্বে ও সাগর মাহমুদের সঞ্চালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন,ছাত্রনেতা শান্ত,আরিফ মাহামুদ,ইলিয়াছ খানঁ,হোসেন,ছাইফুল,বিজয়,আমির হোসেন,শজিব,ইমন,শাকিব,ছুফিয়ান,রানা,রাহাদ,মুরাদ,ফাহিম,আনোয়ার হোসেন,দেলয়ার হোসেন নয়ন,রাছেল,শ্রমিক নেতা মাজহারুল সুমন প্রমুখ।

না’গঞ্জ মহানগর স্বেচ্ছা সেবক দল নেতা আশা গ্রেফতার

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আবুল কাউসার আশাকে জেলগেট থেকে আটক করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৫ জুলাই) সকাল সাড়ে ১১টায় নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগার থেকে বের হলে ফতুল্লা থানা পুলিশ তাকে আটক করে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে নিয়ে যায়। ফতুল্লা থানা পুলিশ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

আবুল কাউসার আশার আইনজীবী অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান মোল্লা জানিয়েছেন, উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেয়ে নারায়ণগঞ্জ কারাগার থেকে বের হওয়ার পর আবারো আবুল কাউসার আশাকে আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ।

নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি কামরুল ইসলাম জানান, আশাকে সদর মডেল থানায় রাখা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মামলা ও আরো কোন মামলার ওয়ারেন্ট রয়েছে কী না সেসব নথি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

নারায়ণগঞ্জে ছাত্রদলের মিছিলে পুলিশের লাঠিচার্জ

ডেস্ক নিউজঃ নারায়ণগঞ্জে জেলা ছাত্রদলের মিছিলে লাঠিচার্জ করেছে পুলিশ। পুলিশ ও নেতাকর্মীদের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। ওই সময় জেলা ছাত্রদলের অন্তত ১২ জন নেতাকর্মী আহত হন। ঘটনাস্থল থেকে ছাত্রদলের দুই কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাড়ায় বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও তার সু-চিকিৎসার দাবিতে মিছিল করতে গেলে পুলিশের সঙ্গে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, কারাগারে থাকা বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও তার সু-চিকিৎসার দাবিতে বৃহস্পতিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে জেলা বিএনপি। ওই সমাবেশে মিছিল নিয়ে যোগদান করতে গিয়ে চাষাড়া গোল চত্বর এলাকায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন জেলা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। পুলিশের লাঠিচার্জে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মশিউর রহমান রনি, সেক্রেটারি খায়রুল ইসলাম সজীব, ছাত্রদল নেতা শাকিলসহ অন্তত ১২ জন আহত হন। এদের মধ্যে দুজনের অবস্থা গুরুত্বর। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ সাতজনকে প্রাথমিকভাবে আটক করলেও দুজনকে আটক রেখে বাকিদের ছেড়ে দিয়েছে।

পরে চাষাড়া বালুর মাঠ এলাকায় জেলা বিএনপির আয়োজিত সমাবেশে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা বিচ্ছিন্নভাবে যোগদান করেন। এখানে জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আবুল কালাম আজাদ বিশ্বাস, সেক্রেটারি অধ্যাপক মামুন মাহামুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদ হাসান রোজেল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল আমিন সিকদার বক্তব্য দেন।

একই স্থানে সকালে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রদল। এ সমাবেশে বক্তব্য দেন- মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি সাহেদ আহমেদ ও সেক্রেটারি মমিনুর রহমান বাবু।

দুপুরে একই স্থানে মহানগর বিএনপির ব্যানারে মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান একই দাবিতে সমাবেশ করেন।

বিকালে একই স্থানে মহানগর বিএনপির আরেকটি ব্যানারে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা।

জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মশিউর রহমান রনি দাবি করেছেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল নিয়ে জেলা বিএনপির কর্মসূচিতে যোগদান করতে যাচ্ছিলাম। মিছিলটি চাষাড়া পৌঁছালে পুলিশ অহেতুক লাঠিচার্জ করেছে। এতে ১০ থেকে ১২ জন জেলা ছাত্রদলের নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। দুজনের অবস্থা গুরুতর। আমাদের সাতজন নেতাকর্মীকে প্রথমে আটক করে পাঁচজনকে ছেড়ে দিলেও দুজনকে পুলিশ এখনও ছাড়েনি।’

প্রসঙ্গত, ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বেগম খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেয় আদালত। তারপর থেকে তিনি কারাগারে রয়েছেন।

আবু নাসির এর কবিতা

গান – প্রেম ও প্রকৃতি
– আবু নাসির

শ্যামল রূপ তার নীলাভ আঁখি
বলো মনে তারে কোথায় রাখি।

আহা! মরি মরি ও রূপ হেরি
তার রূপে মজে হলাম সুখী
বলো মনে তারে কোথায় রাখি।

দূর সবুজের মাঠের মাঝে
যখন সবুজ রূপে সাজে
নীল আঁখিতে মায়ার দ্যুতি
তখন ধরা শ্যামল রূপে দেখি
বলো মনে তারে কোথায় রাখি।

তার নয়নে রাখলে নয়ন
আমি নিজে হই হরণ
আমি ধরি তার বরণ
নিজে আমি হলাম মেকি
বলো মনে তারে কোথায় রাখি।

মাফরুহা আহসান মিতু’র কবিতা

কষ্ট
……..মাফরুহা আহসান মিতু

কেন জানি মনে হয়
মিছে সব অভিনয়
ভালো লাগা রং মাখা
নিজেকেই ভালো রাখা
মিঠেকড়া ভালোলাগা
একা একা চলে যাওয়া
ভালোবাসা মিছে আশা
সব কিছু মেনে নেওয়া
একাকিত্ত্বে ভেসে যাওয়া
নোনা জলে স্মৃতি চাওয়া
জটিলতা বেড়ে যাওয়া
মেনে নেওয়া মনে নেওয়া
সব কিছু মিছে খেলা
এ যেন অপূর্ণ জীবন
অপূর্ণতায় পূর্ণ হওয়া!