৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২১শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 255

‘বঙ্গবন্ধুকে হারিয়েছি, যেন শেখ হাসিনাকে হারাতে না হয়’বাঙালি কেবল বীরের নয়, বেঈমানের জাতিও-সৈয়দ আশরাফুল

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জঙ্গিদের হুমকি সম্বলিত বার্তা ছড়ানো হচ্ছে। আর এসব বার্তা ছড়ায় সহজে। স্বভাবতই আতঙ্ক ছড়ায় মানুষের মধ্যে। ভিডিও বার্তায় এরই মধ্যে হুমকি দেয়া হয়েছে হলি আর্টিজানের মত হামলা হতেই থাকবে বরং সেগুলো হবে আরও ভয়াবহ।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ইতিমধ্যে যথেষ্ট তৎপর হয়ে তল্লাশী অভিযান অব্যাহত রেখেছে। এসব হুমকি আমলে নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামও নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকতে বলেছেন। বলেছেন, খোলামেলা কিছু বলতে চান না তিনি, ইঙ্গিতই যথেষ্ট। আরও বলেছেন, নজর রাখতে হবে আরেকটি পঁচাত্তর যেন না হতে পারে। বাঙালি কেবল বীরের নয়, বেঈমানের জাতিও-সেই সতর্কতাও দিয়েছেন তিনি।

জঙ্গি হামলা মোকাবেলায় আওয়ামী লীগের তরফ থেকে জঙ্গিবিরোধী কমিটি গঠনের কথা বলার পর সেই কমিটি মাঠে ময়দানে কতটা সক্রিয় তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। ইতিমধ্যে পুলিশের পক্ষ থেকে মন্ত্রীদের সতর্ক থাকার কথা বলা হয়েছে টেলিফোন ম্যাসেজ দিয়ে।

একই সঙ্গে সভা-সমাবেশ করে জনমত গঠনে ভূমিকা নেই মন্ত্রী-এমপিদের। তবে প্রশাসন সারা দেশে ব্যাপকভাবে তৎপর। পুলিশ প্রশাসনের পাশাপাশি সিভিল প্রশাসনও জঙ্গি দমনে কাজ করছে। অভিযানে অংশ নিচ্ছে অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থাও। প্রশাসনের ব্যাপক কার্যক্রমের পাশাপাশি রাজনৈতিক তৎপরতার পক্ষে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ থাকলেও কিছু কিছু জেলায় বিচ্ছিন্ন সভা-সমাবেশ করেছে ১৪ দল। পরিবারের কোনো নিখোঁজ ব্যক্তি থেকে থাকলে তার তালিকা করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

কিন্তু পরিকল্পিতভাবে জনমত গঠনে তেমন কোনো তৎপরতা নেই মন্ত্রী-এমপিদের। অনেকে ঈদেও যাননি এলাকায়, থেকেছেন ঢাকায়। সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদবিরোধী রাজনৈতিক কমিটি গঠনে নেই মন্ত্রী-এমপিদের তেমন কোনো ভূমিকা। অনেক এমপি গ্রুপিংয়ের কারণে কমিটি গঠনের প্রক্রিয়ায় বাধাও সৃষ্টি করেছেন বলে জানা গেছে। কিন্তু আগামীকাল বৃহস্পতিবারের মধ্যে জেলা থেকে ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত কমিটি গঠনে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ রয়েছে। খোদ ঢাকা মহানগরীতেই কোনো কমিটি গঠন করা হয়নি। ঢাকার অর্ধশতাধিক থানার মধ্যে মাত্র একটির কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা ও এমপিদের স্ব স্ব এলাকায় অবস্থান করে সন্ত্রাস প্রতিরোধ কমিটি গঠন ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জনমত সৃষ্টি করতে বিশেষ নির্দেশনাও দেন তিনি। পরে জেলায় জেলায় পাঠানো মাহবুব-উল আলম হানিফ স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয় : জোটনেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ মোতাবেক দেশব্যাপী ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, উপজেলা, জেলা এবং মহানগরে সন্ত্রাসবিরোধী কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এই কমিটির অন্যতম কাজ হচ্ছে সন্ত্রাস, নৈরাজ্য ও জঙ্গিবাদী তৎপরতার বিরুদ্ধে জনগণকে সচেতন করা এবং তাদের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা। কিন্তু অধিকাংশ জেলা ও থানা পর্যায়ে কমিটি গঠন করা হয়নি।

রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় নেতা এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘দলীয় সভানেত্রীর নির্দেশের পরই আমাদের কমিটি গঠনের কাজ শুরু করি। ইতিমধ্যে মহানগরে ১৪ দলের মূল কমিটি গঠন করা হয়েছে। এখন থানা ও ওয়ার্ড কমিটি গঠনের কাজ চলছে।’

হুমকির পর নিরাপত্তা জোরদার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। কূটনীতিকপাড়ার নিরাপত্তায় সাধারণের প্রবেশাধিকার সংরক্ষিত করা হয়েছে। মন্ত্রিপাড়াতেও ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না পরিচয় নিশ্চিত না হওয়ার আগে। সংসদ সদস্য ও মন্ত্রীদেরকে এসএমএস করে সতর্ক করেছে খোদ পুলিশ। এর সত্যতা স্বীকার করে বিবিসিকে বেসামরিক বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেছেন, ‘জঙ্গি হামলা থেকে কেবলমাত্র নিরাপত্তা বাহিনী কাউকে রক্ষা করতে পারবে না। বরং জনগণকে নিয়েই জঙ্গি হামলা প্রতিরোধ করতে হবে’।

মন্ত্রিসভার সদস্যদের কাছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনারের পাঠানো সতর্ক বার্তা প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন ‘আমরা নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন নই, তবে সতর্ক আছি।’

সৈয়দ আশরাফ বলেছেন ‘পঁচাত্তরে আমরা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হারিয়েছি। সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন আর না ঘটে। এ ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক করার দায়িত্ব আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের নিতে হবে।’

তিনি বলেছেন ‘স্বাধীনতার পরপর স্বাধীনতার স্থপতিকে পরিবার-পরিজনসহ হত্যা করার ঘটনা পৃথিবীর ইতিহাসে নেই। ‘বাঙালি যেমন বীরের জাতি, তেমনি বেঈমানের জাতি। তাই আমাদের সজাগ থাকার প্রয়োজন আছে। মনে মনে প্রস্তুতি রাখারও প্রয়োজন আছে।’

গত মঙ্গলবার গণমাধ্যমে সৈয়দ আশরাফের বক্তব্যের পর দলের বিভিন্ন পর্যায়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। সৈয়দ আশরাফ কেন এসব কথা বললেন? কীসের ইঙ্গিত দিলেন? অশুভ কিছু কি ঘটতে যাচ্ছে? সরকার কি কিছু জেনেছে? তার পুরোটা কি জানাতে চাইছে না? না চাইলে কেন? আর পুরোটা জানাতে না চাইলে কেন এভাবে ইঙ্গিতপূর্ণ কথা বললেন?-বোঝার চেষ্টা করছেন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী আর শুভানুধ্যায়ীরা।

জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর একজন সদস্য বলেন, ‘সৈয়দ আশরাফের বক্তব্য নিয়ে অনেক ভেবেছি। কিন্তু দলের সাধারণ সম্পাদকের কথা নিয়ে মন্তব্য করা আমাকে মানায় না’।

দলের আরেক নেতা নূহ উল আলম লেলিন বলেন, ‘শেখ হাসিনাকে ২১ বার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। এখনও হয়ত কোনও চক্রান্ত চলছে। রাজনৈতিক অবস্থান থেকে হয়ত এ কথাই বোঝাতে চেয়েছেন সৈয়দ আশরাফ। তিনি হয়ত বোঝাতে চাইছেন আমরা বঙ্গবন্ধুকে হারিয়েছি, যেন শেখ হাসিনাকে হারাতে না হয়’।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো উপাচার্য (প্রশাসন) ও আওয়ামী লীগপন্থি নীল দলের শিক্ষক নেতা অধ্যাপক আখতারুজ্জামান একটি অনলাইকে বলেন, ‘আশরাফ সাহেবের পুরো বক্তব্যই আমি শুনেছি বর্তমান অবস্থার প্রেক্ষিতে তার এই কথাই খুবই গুরুত্ববহ। আমার কাছে মনে হয়েছে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিরাপত্তার বিষয়ে কথা বলেছেন। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর আওয়ামী লীগ বিরোধী শক্তির হামলার লক্ষ্য একজনই। তিনি আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শত্রুরা এখনও তাকে সরিয়ে দিতে চায়। তাকে হারাতে পারলে আমরা সবাই হেরে যাবো। পুরো জাতির আর কাউকে কিছু করতে হবে না। আশরাফ সাহেব হয়ত এটাই বুঝাতে চেয়েছেন’।

কূটনৈতিক জোনের ৩৪২ রেস্টুরেন্ট উচ্ছেদের নির্দেশ

রাজধানীর গুলশান-বনানী-বারিধারা থেকে ৩৪২টি রেস্টুরেন্ট উচ্ছেদ করার লক্ষ্যে ভবন মালিকদের চিঠি দিয়েছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)।

কূটনৈতিক জোনখ্যাত এ এলাকা থেকে দ্রুততম সময়ে প্রতিষ্ঠানগুলো সরিয়ে না নিলে পানি, বিদ্যুৎ, গ্যাস ও টেলিফোন সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হবে। এ লক্ষ্যে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সোমবার (১৮ জুলাই) থেকে সংশ্লিষ্ট দফতরগুলোকে চিঠি পাঠানো শুরু করেছে।

গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘মন্ত্রিসভার বেধে দেয়া সময়ের মধ্যে আবাসিক এলাকা থেকে অবৈধ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান অপসারণে আমরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। তবে মানবিক দিক বিবেচনায় কাজের গতি কম ছিল। কিন্তু গুলশানের অবৈধ রেস্তোরাঁয় জঙ্গি হামলার পর আমরা কঠোর অবস্থান নিতে বাধ্য হয়েছি। এ অবস্থান থেকে আমরা এক চুলও নড়ব না।’

রাজউকের তালিকা অনুযায়ী, গুলশান-বনানী-বারিধারায় অবৈধভাবে ৩৪২টি রেস্টুরেন্ট গড়ে উঠেছে। এর মধ্যে শুধু গুলশানে রেস্টুরেন্ট আছে ১৯৩টি, বনানীতে ১৩৯টি, বারিধারা এলাকায় ১০টি রেস্টুরেন্ট রয়েছে।

রোববার সচিবালয়ে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় আয়োজিত এক সভা থেকে রাজউকসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে কঠোর অবস্থান নিয়ে কাজ করার নির্দেশ দেয়া হয়। এ সভায় সভাপতিত্ব করেন গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন।

জঙ্গি তালিকায় নাম দেখে থানায় হাজির কলেজ ছাত্রী

জঙ্গি তালিকায় নাম দেখে স্বশরীরে থানায় হাজির হলেন সরকারি শ্রীনগর কলেজের একাদশ শ্রেণীর নিখোঁজ ছাত্রী নুরুন নাহার ইরার। এক মাস ধরে নিখোঁজ ওই কলেজছাত্রীর জঙ্গি কানেকশন নিয়ে সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশ হলে এ নিয়ে ওই এলাকায় ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়।

প্রকাশিত ওই সব প্রতিবেদনে বলা হয়, কিছুদিন আগে ওই ছাত্রী তার পরিবারের লোকজনকে ফোনে জানায়, সে পবিত্র স্থানে রয়েছে এবং ভালো আছে। তাকে খোঁজাখুঁজি করে লাভ নেই।এমন খবরে ওই ছাত্রীর জঙ্গি সম্পৃক্ততা নিয়ে নড়েচড়ে বসে শ্রীনগর থানা পুলিশ।

কিন্তু সবাইকে অবাক করে দিয়ে মঙ্গলবার বিকালে ৫টার দিকে ওই ছাত্রী স্বেচ্ছায় শ্রীনগর থানায় স্বশরীরে হাজির হয়। কেউ যেন হয়রানির শিকার না হয় এজন্য তিনি একটি সাধারণ ডায়েরিও (জিডি) করেন। পরিচয় পেয়ে থানা পুলিশ তাকে তাৎক্ষণিক আটক করে।

এর আগে সরকারি শ্রীনগর কলেজের একাদশ শ্রেণীর নিখোঁজ ছাত্রী নুরুন নাহার ইরার বাবা ইয়াকুব আলী ও মা শামীমা বেগম কয়েকটি টিভি চ্যানেল ও অনলাইন পোর্টালের সাংবাদিকদের কাছে শঙ্কা প্রকাশ করে বলেছিলেন, তাদের মেয়ে জঙ্গি মিশনে যেতে বাড়ি ছেড়ে থাকতে পারে।তারা জানান, ফোনকলের পর তাদের এ ধারণা আরো পোক্ত হয়।

গত ১৯ জুন নিজ বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি ইরা।  এর ২০ দিন পর গত ১০ জুলাই তার মা শামীমা আক্তার শ্রীনগর থানায় একটি জিডি করেন।

থানায় জিডি করার পর পুলিশ তাদের বাসা থেকে দুটি ধর্মীয় বই উদ্ধার করে। তবে শ্রীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাহিদুর রহমান জানান, এগুলো সাধারণ ধর্মীয় বই।

ইরার বাবা জানান, সমষপুর বিজনেস ম্যানেজমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে ২০১৫ সালে এসএসসি পাস করে ইরা।  এরপর শ্রীনগর সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হয়।

তার দাবি, কোনো কারণ ছাড়াই তার মেয়ে হঠাৎ করে উধাও হয়ে যায়। কলেজে যাওয়ার কথা বলে ওইদিন বাড়ি থেকে বের হয়েছিল ইরা। এরপর সে আর বাসায় ফেরেনি।

পরে ইরার পরিবারের কাছ থেকে পাওয়া একটি ছবির সূত্র ধরে মাঠে নামে পুলিশ। ছবিতে দাড়িওয়ালা এক যুবকের সঙ্গে ইরা ও তার আরো দুই বান্ধবী রয়েছে।

ওই যুবকের সন্ধান করতে গিয়ে দেখা যায় তার নাম সিরাজুল ইসলাম নয়ন (৩৫)। সে পাবনার বর্জনাথপুর গ্রামের আবদুল হামিদের ছেলে।

সিরাজুল ইসলাম বর্তমানে সমষপুর বিজনেস ম্যানেজমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ফজলুল হক হান্নুর মালিকানাধীন ঢাকার গুলশান-২ এর ৭২ নম্বর সড়কের ১৫ নং বাড়িতে অবস্থিত আহামেদ গ্রুপের কর্মকর্তা।

নয়নকে ২০১৫ সালে ওই স্কুলের খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছিল। ওই বছর এএসসি পরীক্ষার আগে তিনি ইরাসহ আরো কয়েকজনের গাইড হিসেবে তিন মাস নিযুক্ত ছিলেন।

মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে পুলিশ নয়নকে শ্রীনগর থানায় হাজির করার জন্য আহমেদ গ্রুপের কতৃপক্ষকে অনুরোধ করলে ওই প্রতিষ্ঠানের একটি গাড়িতে করে তাকে কয়েকজন সহকর্মীসহ গুলশান থেকে শ্রীনগর পাঠানো হয়।

নয়ন থানায় পৌঁছানোর আধঘণ্টা আগে ইরা স্বেচ্ছায় থানায় এসে হাজির হয় এবং তার জন্য অন্য কাউকে হয়রানি না করতে বলে।

শ্রীনগর থানার ওসি সাহিদুর রহমান জানান, ওই কলেজছাত্রী এক মাস কোথায় ছিল এ নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য দিচ্ছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

নিখোঁজ ২৬১ জনের তালিকা প্রকাশ করলো র‍্যাব

দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে নিখোঁজ হওয়া ২৬১ জনের তালিকা প্রকাশ করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)। মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টা ২২ মিনিটে ফেসবুকে র‍্যাবের অনলাইন মিডিয়া সেলের পেজে এ তালিকা প্রকাশ করা হয়।

তালিকার বিষয়ে র‍্যাবের পেজে বলা হয়, ‘RAB কর্তৃক দেশব্যাপী অনুসন্ধান চালিয়ে সাম্প্রতিককালের নিখোঁজ ব্যক্তিদের নামের তালিকা প্রকাশ করা হলো। এসব ব্যক্তির খোঁজ জানতে পারলে নিকটস্থ RAB ক্যাম্প/ ব্যাটালিয়নে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা হলো।

মোবাইল : ০১৭৭৭৭২০০৫০

ফেসবুক : https://www.facebook.com/rabonlinemediacell/

ই-মেইল : [email protected]

তালিকাটি নিচের লিংকে দেওয়া হলো।’

এই লিংকে ক্লিক করুন : https://drive.google.com/file/d/0B8Vld2wqAu4kZjBZbFF6R0xvSHc/view

এর আগে মঙ্গলবার দুপুর ১টা ৫৬ মিনিটে রাজধানীর গুলশানে স্প্যানিশ রেস্তোরাঁ হলি আর্টিজান বেকারিতে সন্ত্রাসী হামলায় জড়িত সন্দেহভাজন চার ব্যক্তির ছবি প্রকাশ করে র‍্যাব।

গত ১ জুলাই রাতে হলি আর্টিজানের আশপাশের এলাকায় স্থাপিত ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরার ফুটেজ থেকে এই চারজনের ছবি প্রকাশ করা হয়।

র‍্যাব প্রকাশিত ওই ফুটেজে দেখা যায়, গুলশানের ৭৫ ও ৭৯ নম্বর রোডের সংযোগ সড়কের কাছে রাস্তা ও ফুটপাত ধরে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাঘুরি করছেন কয়েকজন ব্যক্তি। এদের মধ্যে ঘাড়ে ব্যাগ বহনকারী এক নারীও রয়েছেন। তাদের প্রত্যেককেই ফুটপাতের দেয়ালের একেবারে গা ঘেঁষে চলাচল করতে দেখা গেছে। ভিডিও ক্যামেরায় ধারণ হওয়া স্থানটি হলি আর্টিজান বেকারি থেকে মাত্র ১০০ মিটার দূরে। সন্দেহজনকভাবে একটি প্রাইভেটকারকেও ওই সড়কে চিহ্নিত করেছে র‍্যাব।

এই সন্দেহজনক ব্যক্তিদের পরিচয় জানা থাকলে দ্রুত র‍্যাবকে জানাতে অনুরোধ করা হয়েছে। এ জন্য ০১৭৭৭৭২০০৫০ নম্বরে ফোন করে তথ্য দিতে বলা হয়েছে।

গত ১ জুলাই রাত পৌনে ৯টার দিকে গুলশানে স্প্যানিশ রেস্তোরাঁ হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলা চালায় বন্দুকধারীরা। হামলার পর রাতেই তারা ২০ জনকে হত্যা করে।

ওই দিন রাতে উদ্ধার অভিযানের সময় বন্দুকধারীদের বোমার আঘাতে নিহত হন পুলিশের দুই কর্মকর্তা। পরদিন সকালে যৌথ বাহিনীর অভিযানে নিহত হয় পাঁচ হামলাকারী। এ নিয়ে হামলার পর ২৮ জন নিহত হন।

জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস) এ হামলার দায় স্বীকার করে। সংগঠনটির মুখপাত্র আমাক হামলাকারীদের ছবি প্রকাশ করে বলে জানায় জঙ্গি তৎপরতা পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা সাইট ইন্টেলিজেন্স।

শিশুর প্রথম বাড়তি খাবার যেমন হওয়া জরুরী

শিশুর পাঁচ মাস বয়স পর্যন্ত মায়ের বুকের দুধই হচ্ছে শিশুর জন্য আদর্শ খাবার। শিশুর স্বাভাবিক অবস্থার ৬ মাস পূর্ণ হলে ৬ মাস বয়সের পর থেকে একমাত্র মায়ের দুধে শিশুর চাহিদা মেটে না। তাই শিশুকে শক্ত খাবার খাওয়ানো শুরু করতে হয় এবং এটি শিশুর জন্য একটি বড় মাইলফলক অর্জনের মতোই ঘটনা। সব পিতামাতাই সন্তানের জন্য সবচেয়ে ভালো জিনিসটাই চান। শিশুর সার্বিক বৃদ্ধি ও উন্নয়নের জন্য কঠিন খাবার শুরু করার ক্ষেত্রে পুষ্টির বিষয়টিকে প্রাধান্য দিতে হবে। আসুন জেনে নিই, শিশুর প্রথম বাড়তি খাবার কেমন হওয়া উচিত।

১। কলাঃ

শিশুর পাঁচ মাস বয়সের পর থেকে কলা খাওয়ানো শুরু করতে পারেন। কলা পটাসিয়ামে সমৃদ্ধ হওয়ায় শিশুর শরীরের ভারসাম্য রক্ষা করতে সাহায্য করে। পটাসিয়ামে পেশীর কাজে সাহায্য করে এবং হৃদস্পন্দন ও হৃদপেশীর রিলাক্সেশনের জন্য কাজ করে। এছাড়াও কলাতে শর্করা থাকে যা এনার্জি প্রদান করে এবং ফাইবার থাকে যা হজমে সাহায্য করে। একটি পাকা কলার অর্ধেকটা নিয়ে চামচ দিয়ে ভালো করে থেঁতলে নিন, তারপর শিশুকে খাওয়ান।

২। আপেলঃ

শিশুর ৬-৮ মাস বয়সের মধ্যে খাওয়ানোর জন্য সবচেয়ে উপযোগী খাবার হচ্ছে আপেল। প্রতিদিন একটি আপেল আপনার শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। আপেলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান হচ্ছে এর ফাইবার। যা নিয়মিত অন্ত্র পরিষ্কারে সহায়তা করে। আপেলে অন্য যে পুষ্টি উপাদানগুলো থাকে তাহল – ভিটামিন এ এবং ই, ফোলেট, ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম এবং সেলেনিয়াম। বিশেষজ্ঞদের মতে শিশুর ৮ মাস বয়স পর্যন্ত আস্ত আপেলের পরিবর্তে আপেলের সস খাওয়ানো উচিত। আপেলের খোসা ছাড়িয়ে ছোট ছোট টুকরা করে নিন। এক কাপ পানিতে আপেলের টুকরাগুলো দিয়ে ১৫-২০ মিনিট তাপ দিন। ঠান্ডা হওয়ার পর টুকরোগুলো একটি চামচ দিয়ে মসৃণভাবে পেস্ট করে নিন। তারপর শিশুকে খাওয়ান।

৩। মিষ্টি আলুঃ

আপনার শিশুর জন্য সুস্বাদু ও পুষ্টিকর খাবার হচ্ছে মিষ্টি আলু। অধিকাংশ শিশুই মিষ্টি আলু পছন্দ করে। বিটা ক্যারোটিনের সমৃদ্ধ উৎস মিষ্টি আলু যা শরীরে ভিটামিন এ তে রূপান্তরিত হয়। ভিটামিন এ ভালো দৃষ্টিশক্তির জন্য, সুস্থ ত্বকের জন্য এবং শিশুর সার্বিক বৃদ্ধি ও উন্নয়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। মিষ্টি আলু সিদ্ধ করে শিশুকে খাওয়ান।

৪। গাজরঃ

শিশুর জন্য আরেকটি উপকারী খাবার হচ্ছে গাজর। গাজর বিটা ক্যারোটিনে সমৃদ্ধ। এছাড়াও ভিটামিন সি, কে, বি৮ এবং ক্যালসিয়াম, ফোলেট, পটাসিয়াম, আয়রন, কপার ও ম্যাঙ্গানিজ থাকে গাজরে যা শিশুর সার্বিক স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। গাজর সিদ্ধ করে খিচুড়ির সাথে দিয়ে খাওয়াতে পারেন। যে শিশুদের দাঁত উঠেছে তাদেরকে পাতলা করে কেটে দিতে পারেন। এটি শিশু চিবিয়ে খেতে মজা পাবে। তবে সব সময় গাজরের খোসা ছাড়িয়ে দেবেন। কারণ এর খোসা শিশুর হজম হয়না।

৫। চাল, সুজি বা অন্য খাবার:

শিশুকে চালের গুঁড়া বা সুজি রান্না করে দিতে পারেন একদম পাতলা করে। আস্তে আস্তে যখন তারা খেতে অভ্যস্থ হবে তখন একটু একটু করে ঘনত্ব বাড়াবেন। পানি দিয়ে রান্না করা চালের গুঁড়ো বা সুজির সাথে ফর্মুলা দুধ বা বুকের দুধ মিলিয়ে শিশুকে খেতে দিন। আবার যেকোনো একটি ফলের পিউরির সাথেও মিশিয়ে খেতে দিতে পারেন।

 

সরকার কখনই জামায়াতকে নিষিদ্ধ করবে-মাহফুজউল্লাহ

আওয়ামী লীগ কখনই জামায়াতকে নিষিদ্ধ করবে না। ইন্ডিপেন্ডেন্টে টেলিভিশনের ‘আজকের বাংলাদেশ’ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন সিনিয়র সাংবাদিক মাহফুজউল্লাহ। তিনি বলেন, বিএনপি যদি বলে, আমরা জামায়াতের সঙ্গ ছেড়ে দিব কিন্তু বর্তমান সরকারকে নিশ্চয়তা দিতে হবে যে, তারা জামায়াতের সঙ্গে সংবদ্ধ হবে না। কারণ, হেফাজতের শুরু দিকে আওয়ামীলীগের ভূমিকা এবং বর্তমানের ভূমিকার অনেক পার্থাক্য আমরা দেখতে পাচ্ছি।

জামায়াতকে বর্তমান সরকার পলিটিক্যাল স্ট্যান্ড হিসেবে ব্যবহার করছে
মাহফুজউল্লাহ বলেন, জামায়াতকে বর্তমান সরকার পলিটিক্যাল স্ট্যান্ড হিসেবে ব্যবহার করছে। যারফলে জামায়াত বিএনপির এই প্রচারণাটাও অব্যহত রাখছে। এছাড়া, জামায়াতকে নিষিদ্ধ করার সাথে সাথে আরও অনেকগুলে রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করতে হবে। কারণ, ঐ সমস্ত নিবন্ধিত দলের বিরুদ্ধেও জামায়াতের মত একই রকমের অভিযোগ রয়েছে।
মাহফুজউল্লাহ বলেন, একটি গণতান্ত্রিক দেশে একটি অনুমোদিত রাজনৈতিক দল সকল রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করতে পারবে। আর ঐ সকল দলকে যদি মারপিট করে বা গ্রেফতার করে বাঁধা দেওয়া হয় তাহলে এটাকে অগণতান্ত্রিক আচরণ হিসেবে বিবেচিত করতে হবে। কারণ, একটি অনুমোদিত রাজনৈতিক দলকে পিটিয়ে হেনস্তা করলে বুঝে নিতে হবে গণতন্ত্র মানা হচ্ছে না।
সন্ত্রাসী কর্মকা- হিসেবে জামায়াতকে নিষিদ্ধ করা যায় কী না? উপস্থাপকের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নিষিদ্ধ করতে হলে আগে সন্ত্রাসী কর্মকা-ের প্রমাণ দেখাতে হবে। প্রমাণ বলতে কাগজে কলমের প্রমাণ, কারণ আমরা জানি যে, মুখের কথা আর কাগজে কলমের কথার গ্রহণযোগ্যতা অনেক পার্থাক্য। সেক্ষেত্রে জামায়াতকে নিষিদ্ধ করতে হলে অবশ্যই কাগজের প্রমাণ দেখাতে হবে বলে আমি মনে করি।
তিনি বলেন, যদিও অনেক রাজনৈতিক নেতাদের মুখে জামায়াত একটি সন্ত্রাসী দল, সন্ত্রাসী কর্মকা- করে ইত্যাদি বলা হয়েছে। কিন্তু আমার কথা হলো তাদের ঐ মুখের কথার কোনো বিহিত দেখতে পাচ্ছি না কেনো? কারণ, আওয়ামীলীগ জামায়াতকে এবং জামায়াত বিএনপির এই প্রচারণাটা রাজনৈতিক ভাবে ব্যবহার করছে।

ঝিনাইদহে বন্দুকযুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র নিহত

ঝিনাইদহ সদর উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ সাইফুল ইসলাম মামুন নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন।সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত মামুন ঝিনাইদহের শৈলকূপা উপজেলার মুচড়াপাড়া-পুটিমারী গ্রামের লুৎফর হোসেনের ছেলে। তিনি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের মাস্টার্স শেষ বর্ষের ছাত্র। একই সঙ্গে তিনি ইসলামী ছাত্রশিবিরের স্থানীয় গুরুত্বপূর্ণ নেতা বলে জানা গেছে। তবে তাঁর দলীয় পদবি জানা যায়নি।

জানা যায়, গত ১ জুলাই সেবায়েত শ্যামানন্দ দাস বাবাজি নিহত হন। এ খুনের পরে ঝিনাইদহ জেলা শহরের পবহাটী গ্রামের টুলু মিয়ার বাড়ি থেকে সাদা পোশাকের লোকজন তুলে নিয়ে যায় মামুনকে।

পুলিশের ভাষ্য, বন্দুকযুদ্ধের পর ঘটনাস্থল থেকে একটি শাটারগান, দুটি গুলি, পাঁচটি বোমা ও তিনটি রামদা উদ্ধার করা হয়।

ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজবাহার আলী শেখ জানান, সোমবার দিবাগত রাতে পুলিশের একটি টহল দল ঝিনাইদহ-মাগুরা সড়ক দিয়ে হাটগোপালপুর পুলিশ ক্যাম্পের দিকে যাচ্ছিল। সদর উপজেলার পোড়াহাটি ইউনিয়নের আড়ুয়াকান্দি যাওয়ার পর পুলিশের টহল দলকে লক্ষ্য করে বোমা নিক্ষেপ করে সন্ত্রাসীরা। এতে ঝিনাইদহ থানার দুই কনস্টেবল আহত হন। ওই সময় পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হয় ।

আজবাহার আলী জানান, নিহত ব্যক্তির নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি। রাতেই লাশটি ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়।

ফতুল্লার বক্তাবলীতে স্কুল ছাত্র রাতিককে পানিতে চুবিয়ে হত্যার অভিযোগ

ফতুল্লার বক্তাবলীর ধলেশ্বরী নদীতে চুবিয়ে এক স্কুল ছাত্রকে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিখোঁজের একদিন পর নদী থেকে শিশু রাতিকের (১১) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (১৮ জুলাই) ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরী দল নদী থেকে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ ১’শ শয্যা হাসপাতালে প্রেরণ করেন। নিহত রাতিকের বাবা সুলতান মিয়া দুবাই প্রবাসী। বক্তাবলী কানাই নগর  ছোবহানিয়া হাই স্কুল এন্ড কলেজের ৬ষ্ঠ শ্রেনীর ছাত্র। এঘটনায় ফতুল্লা মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। জানা যায়,গত রবিবার বিকেলে বক্তাবলীর বাজার সংলগ্ন ধলেশ্বরী নদীর একটি পাম্পের পাশে  গোসল করছিল রাতিক (১১),  জিসান (১০), সাকিব (১৩)  ও  রাকিব (১২)। এসময় বক্তাবলী রাজাপুর এলাকার মৃত নূর ইসলামের ছেলে ২টি চিপস এর প্যাকেট নিয়ে নদীতে ফেলে। এবং সেই চিপস সাঁতরে নিয়ে আসতে রাতিকের বন্ধুদের বলে। রাতিক অন্য বন্ধুদের আগে দুটি চিপস্ এর প্যাকেট পানি থেকে  তুলে  সাঁতরে নদীর পাড়ে  আসে। এসময় ঘাতক অহিদ, রাতিকের কাছ থেকে চিপস এর প্যাকেট  ছিনিয়ে নিতে চেষ্টা করে। আর এতে ক্ষিপ্ত হয়ে অহিদ শিশু রাতিককে পানিতে চুবিয়ে রাখে। এক পর্যায়ে রাতিকের মৃত্যু নিশ্চিত হয়ে ঘাতক অহিদ রাতিকের লাশ পানিতে ভাসিয়ে দেয়। রাতিকের বন্ধুরা এ ঘটনা রাতিকের পরিবারকে জানায়। পরে স্বজনরা রাতিকের লাশ নদীর খোঁজাখুঁজি করে পায়নি। সোমবার দুপুরে নৌ-ফাড়ীঁ পুলিশের সহযোগিতায় ফায়ার সার্ভিসের একটি ডুবুরী দল রাতিকের মরদেহ উদ্ধার করে। ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ রাতিকের লাশ উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ ভিক্টোরিয়া হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে। ঘটনার পর থেকে ঘাতক পলাতক রয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের নানা মজিবুর রহমান বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে।

সক্রিয় নেতাদের নিয়ে গঠন হবে না’গঞ্জ বিএনপি

 


বিশেষ প্রতিনিধি : 
নারায়ণগঞ্জ বিএনপির রাজনীতিতে দলের বেশ কিছু নেতা আলোচিত হয়ে উঠেছে। দলের হয়ে আন্দোলন করে এবং দলের নির্যাতিত নেতাকর্মীদের পাশে দাড়তে গিয়েই এসব নেতারা কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষনে সক্ষম হয়েছে। আর আগামীতে দল পূর্নগঠনে এসব নেতাদেরই সামনের সাঁড়িতে রাখার চিন্তা করছে বিএনপির নীতিনির্ধারকরা। এসব নেতাদের মধ্যে এড. তৈমুর আলম খন্দকার, এড. আবুল কালাম, আইনজীবী নেতা এড শাখাওয়াত হোসেন খান, এড জাকির, এটিএম কামাল, মাকসুদুল আলম খন্দকুার খোরশেদ, দিপু ভূইঁয়া, মাসুকুল ইসলাম রাজিব, রানা মুজিব, আবুল কালাম আশা, রিয়াদ চৌধুরী অন্যতম। এদের মধ্যে আইনজীবী নেতা এড. শাখাওয়াতের গুরুত্ব কেবল বেড়েই চলেছে। নেতাকর্মীদের মাঝে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এই নেতা। ইতোমধ্যে তিনি বিএনপির রাজনীতিতে বেশ আলোচিত হয়ে উঠেছেন। বিগত ওয়ান এলিভেনের সময় সাহসি ভুমিকা পালনের মধ্য দিয়ে আলোচনায় আসেন জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এড. শাখাওয়াত হোসেন খান। সর্বশেষ সেভেন মার্ডারের পর তার সাহসি ভুমিকার কারনে তিনি সারা দেশে আলোচিত হন।

সূত্রমতে, জেলা ও মহানগর কমিটি গঠনের ব্যাপারে কেন্দ্রীয় নেতাদের চাপ রয়েছে। রাজধানীর পাশের জেলা হওয়ায় নারায়ণগঞ্জকে বেশ গুরুত্ব দিয়ে থাকেন বিএনপির হাই কমান্ড। এ জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপির কমিটি গঠনের ব্যাপাওে কেন্দ্রীয় নেতারা তৎপর হতে শুরু করেছে। নারায়ণগঞ্জ বিএনপিকে আরো বেশী শক্তিশালী করতে দলের সক্রিয় নেতাদেও সমন্বয়ে কমিটি গঠনের চিন্তা করছে বিএনপির নীতিনির্ধারকরা। এছাড়া আসন্ন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের কথা মাথায় রেখেই জেলা বিএনপিকে পূর্নগঠনের চিন্তা করছে হাই কমান্ড। এবারের টাগের্ট নাসিক নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থীই জয়ী হবেন। আর সে লক্ষ নিয়েই কাজ শুরু করেছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানাগেছে। জেলা বিএনপির কমিটিতে প্রবীনদেও পাশাপাশি নবীন অনেক নেতাকে গুরুত্বপূর্ন পদে আনা হচ্ছে। এছাড়া নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপিতে নেতৃত্বেও পরিবর্তন হবে বলেও বিএনপির একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। মহানগর বিএনপির নেতৃত্বে আইনজীবী নেতা এড. শাখাওয়াত হোসেনের নাম বেশ আলোচিত।

এড. সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, বিএনপি আমার রক্তের সাথে মিশে গেছে। সেই জাগো দল থেকেই রাজনীতি করে আসছি। দলীয় পদ পদবী বড় কথা নয়। দলের পদে না থেকে দলের জন্য কিছু করা যায় তার প্রমাণ রেখেছি। আজ দলের কারো কারো চক্ষুশূল হয়ে দল থেকে মাইনাস হয়েছি। আমার চেয়েও অনেক সক্রিয় ত্যাগী নেতাদের অবমূল্যায়ন করে দল থেকে দূরে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। কারণ আমরা কারো ব্যক্তির নামে শ্লোগান দেইনি। কোন ব্যক্তির চাটুকারিতা করিনি। আমরা জিয়াউর রহমানের আদর্শের রাজনীতি করি।

ইতোমধ্যে নারায়ণগঞ্জ মহানগর কমিটি গঠন বিষয়ে এড. শাখাওয়াত হোসেন খান তার প্রতিক্রিয়ায় বলেছিলেন, মহানগর বিএনপির কমিটি গঠনের বিষয়ে কেন্দ্রীয় বিএনপির যাদের সাথেই আমার কথা হয়েছে তাদেরকে বলেছি যদি আমাকে সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয় তাহলেই আমি দায়িত্ব নিব। কারণ অন্য কোন পদে দায়িত্ব দিলে দলকে এমন পর্যায় থেকে শক্তিশালী করতে হলে যা করা দরকার তা করা যাবে না। তাই সভাপতির দায়িত্ব দিলে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপিকে একটি মডেল মহানগর বিএনপির কমিটি হিসেবে গড়ে তুলব। এ কমিটি দেখে দেশের অন্যান্য কমিটিগুলোও কাজ করবে। আর যারা দলের রাজনীতি করেছিল সেই সব ত্যাগী নেতাকর্মীদের মধ্যে যারা পিছনে পড়ে গেছে তাদেরকে সামনে নিয়ে আসব। কোন ভাইয়ের রাজনীতি নয় সকলের শ্লোগান হবে বিএনপির রাজনীতি। কেন্দ্রীয় নেতারা আমাকে মানসিকভাবে প্রস্তত থাকতে বলেছেন।

নারায়ণগঞ্জে সর্বত্র বইছে নাসিক নির্বাচনী হাওয়া

 

মো. আব্দুর রহিম

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন নিয়ে সরব হচ্ছে নির্বাচনে অংশ নেয়া প্রার্থীরা। আওয়ামী লীড়ের পাশাপাশি বিএনপি এবার নির্বাচনী মাঠে থাকার চিন্তা করছে। বিগত ২০১১ সালের নাসিক নির্বাচন থেকে বিএনপি রাজনৈতিক কারণে সরে দাড়ালেও এবার তারা মাঠে থাকার চিন্তা করছে। ইতোমধ্যে বিএনপি থেকে কাকে মনোনিত করা হবে এ নিয়েও চলছে আলোচনা। তবে আলোচনায় রয়েছে সাবেক সাংসদ এড. আবুল কালাম, এড. তৈমুর আলম খন্দকার ও এড শাখাওয়াত হোসেন খানের নাম আলোচনায় রয়েছে। তবে বিএনপি থেকে সাবেক সাংসদ এড. আবুল কালামকে মেয়র প্রার্থী হিসেবে চূড়ান্ত করা হবে বলে বিএনপির একাধিক সূত্রে জানাগেছে। অন্যদিকে, আওয়ামী লীগ থেকে মেয়র আইভী দলীয় প্রতীক পেতে চেষ্টা করে যাচ্ছেন। এছাড়া তিনি দলীয় প্রতীক পাবে বলে আশাবাদী। অন্যদিকে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং আওয়ামী লীগের প্রবীন নেতা হিসেবে পরিচিত আনোয়ার হোসেনও আওয়ামী লীগের সমর্থন পেতে জোর লবিং চালি যাচ্ছেন। তবে তিনি শতভাগ আশাবাদী দলের সমর্থন পাওয়ার ব্যাপারে। মেয়র প্রার্থীরা নিরবে প্রচার প্রচারনা চালালেও সম্ভাব্য কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে চলছে ব্যাপক প্রচারনা। আওয়ামী লীগ, বিএনপির সমর্থন পেতে এসব সম্ভাব্য কাউন্সিলর প্রার্থীরা নানা কৌশলে প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছে। এদেও কেউ কেউ আকার বিভিন্ন এলাকায় ব্যানার,ফেস্টুন সাটিয়ে নির্বাচনে অংশ নেয়ার আগাম বার্তা দিতে শুরু করেছে। অনেকে আবার আওয়ামী লীগ ও বিএনপির শীর্ষ নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করে যাচ্ছে।

সূত্রমতে,নারায়ণগঞ্জের রাজনীতি ক্রমন্বয়ে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের দিকে ধাবিত হচ্ছে। আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি কিংবা জামাত সর্বত্রই এই নির্বাচন নিয়ে চলছে আলোচনা-পর্যালোচনা। রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতা থেকে শুরু করে কর্মীদের মধ্যেও এ নিয়ে আলোচনার যেন কমতি নেই। আলোচনা থেকে দূরে সরে নেই সাধারন মানুষও। প্রায় ৫ বছর আগে নারায়ণগঞ্জ সিটি কনরপোরেশনের প্রথম নির্বানে যে পরিমান আলোচনা হয়েছে, এবারের আসন্ন নির্বাচনকে ঘিরে তারে চেয়ে কয়েকগুন বেশী আলোচনা হচ্ছে। তবে এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি মাঠে থাকার ঘোষণা দিয়েছে। বিগত নির্বাচনে বিএনপি নির্বাচনের আগের রাতে মাঠ ত্যাগ কলেও এবারের নির্বাচনে মাঠ ছাড়ার ইচ্ছে নেই বিএনপির। এছাড়া এবারের নির্বাচনে সাংসদ শামীম ওসমানও প্রার্থী হচ্ছে না। তবে তিনি প্রার্থী না হলেও নির্বাচনে প্রার্থী দিয়ে নির্বাচন করাবেন বলে একাধিকবার জানিয়েছেন। অন্যদিকে এবারের নির্বাচনে দলীয় প্রতীক নিয়ে অংশ নেয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে বর্তমান মেয়র আইভী। তবে এবারের ভোটের হিসেবে ভিন্ন হতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষক মহল।

এদিকে, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে সাংসদ শামীম ওসমান ও মেয়র আইভীর মধ্যে প্রকাশ্যে দন্ধ শুরু হয়েছে। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন এখনো দূরে থাকলেও রাজনীতির ছক তৈরী করে এগিয়ে যাচ্ছেন শামীম ওসমান এবং সেলিনা হায়াত আইভি। আগেরবার দলের সমর্থন ছাড়াই নির্বাচিত হলেও মেয়র আইভি এবার নৌকা প্রতীক নিয়েই নির্বাচনী লড়াইয়ে আসার ঘোষণা দিয়েছেন। আর নিজে প্রার্থী না হলেও আইভিকে নৌকা পেতে দেবেন না বলে সাফ জানিয়ে দিছেন সাংসদ শামীম ওসমান। তবে আওয়ামী লীগ থেকে ক্লিন ইমেজের প্রার্থীও সন্ধান করা হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেনের নামই সবচেয়ে বেশী শোনা যাচ্ছে। অন্যদিকে, বিএনপি সমর্থন কে পায় এ নিয়ে দলের মধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে। দলের মধ্যে গুঞ্জন চলছে তৈমুর আলম খন্দকার ও সাবেক সাংসদ আবুল কালামকে নিয়ে। আলোচনা উঠে এসেছে বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় আইনজীবী নেতা এড. শাখাওয়াত হোসেনও। তবে বিএনপির প্রার্থী কে হচ্ছে এ জন্য বিএনপির চেয়ারপারর্সন বেগম খালেদা জিয়ার সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে বিএনপির নেতাকর্মীকে। তবে আওয়ামী লীগের বিরোধকে পুঁজি করে বিএনপির এর সুফল ঘরে নিতে তৎপর রয়েছে। বিএনপি বিগত দিনের ভুল করতে চাচ্ছে না। নাসিক নির্বাচনে মেয়র প্রার্থীদেও পাশপাশি কাউন্সিলর প্রার্থীরা মাঠে সক্রিয় রয়েছে। নাসিকের বিভিন্ন ওয়ার্ডে নির্বাচনী প্রচারনা চালাচ্ছে কাউন্সিলর প্রার্থীরা। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমর্থন পেতে অনেক কাউন্সিলর প্রার্থী লবিং চালিয়ে যাচ্ছে বলেও বিভিন্ন সূত্রে জানাগেছে।