নারায়ণগঞ্জে সর্বত্র বইছে নাসিক নির্বাচনী হাওয়া

128

 

মো. আব্দুর রহিম

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন নিয়ে সরব হচ্ছে নির্বাচনে অংশ নেয়া প্রার্থীরা। আওয়ামী লীড়ের পাশাপাশি বিএনপি এবার নির্বাচনী মাঠে থাকার চিন্তা করছে। বিগত ২০১১ সালের নাসিক নির্বাচন থেকে বিএনপি রাজনৈতিক কারণে সরে দাড়ালেও এবার তারা মাঠে থাকার চিন্তা করছে। ইতোমধ্যে বিএনপি থেকে কাকে মনোনিত করা হবে এ নিয়েও চলছে আলোচনা। তবে আলোচনায় রয়েছে সাবেক সাংসদ এড. আবুল কালাম, এড. তৈমুর আলম খন্দকার ও এড শাখাওয়াত হোসেন খানের নাম আলোচনায় রয়েছে। তবে বিএনপি থেকে সাবেক সাংসদ এড. আবুল কালামকে মেয়র প্রার্থী হিসেবে চূড়ান্ত করা হবে বলে বিএনপির একাধিক সূত্রে জানাগেছে। অন্যদিকে, আওয়ামী লীগ থেকে মেয়র আইভী দলীয় প্রতীক পেতে চেষ্টা করে যাচ্ছেন। এছাড়া তিনি দলীয় প্রতীক পাবে বলে আশাবাদী। অন্যদিকে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং আওয়ামী লীগের প্রবীন নেতা হিসেবে পরিচিত আনোয়ার হোসেনও আওয়ামী লীগের সমর্থন পেতে জোর লবিং চালি যাচ্ছেন। তবে তিনি শতভাগ আশাবাদী দলের সমর্থন পাওয়ার ব্যাপারে। মেয়র প্রার্থীরা নিরবে প্রচার প্রচারনা চালালেও সম্ভাব্য কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে চলছে ব্যাপক প্রচারনা। আওয়ামী লীগ, বিএনপির সমর্থন পেতে এসব সম্ভাব্য কাউন্সিলর প্রার্থীরা নানা কৌশলে প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছে। এদেও কেউ কেউ আকার বিভিন্ন এলাকায় ব্যানার,ফেস্টুন সাটিয়ে নির্বাচনে অংশ নেয়ার আগাম বার্তা দিতে শুরু করেছে। অনেকে আবার আওয়ামী লীগ ও বিএনপির শীর্ষ নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করে যাচ্ছে।

সূত্রমতে,নারায়ণগঞ্জের রাজনীতি ক্রমন্বয়ে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের দিকে ধাবিত হচ্ছে। আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি কিংবা জামাত সর্বত্রই এই নির্বাচন নিয়ে চলছে আলোচনা-পর্যালোচনা। রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতা থেকে শুরু করে কর্মীদের মধ্যেও এ নিয়ে আলোচনার যেন কমতি নেই। আলোচনা থেকে দূরে সরে নেই সাধারন মানুষও। প্রায় ৫ বছর আগে নারায়ণগঞ্জ সিটি কনরপোরেশনের প্রথম নির্বানে যে পরিমান আলোচনা হয়েছে, এবারের আসন্ন নির্বাচনকে ঘিরে তারে চেয়ে কয়েকগুন বেশী আলোচনা হচ্ছে। তবে এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি মাঠে থাকার ঘোষণা দিয়েছে। বিগত নির্বাচনে বিএনপি নির্বাচনের আগের রাতে মাঠ ত্যাগ কলেও এবারের নির্বাচনে মাঠ ছাড়ার ইচ্ছে নেই বিএনপির। এছাড়া এবারের নির্বাচনে সাংসদ শামীম ওসমানও প্রার্থী হচ্ছে না। তবে তিনি প্রার্থী না হলেও নির্বাচনে প্রার্থী দিয়ে নির্বাচন করাবেন বলে একাধিকবার জানিয়েছেন। অন্যদিকে এবারের নির্বাচনে দলীয় প্রতীক নিয়ে অংশ নেয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে বর্তমান মেয়র আইভী। তবে এবারের ভোটের হিসেবে ভিন্ন হতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষক মহল।

এদিকে, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে সাংসদ শামীম ওসমান ও মেয়র আইভীর মধ্যে প্রকাশ্যে দন্ধ শুরু হয়েছে। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন এখনো দূরে থাকলেও রাজনীতির ছক তৈরী করে এগিয়ে যাচ্ছেন শামীম ওসমান এবং সেলিনা হায়াত আইভি। আগেরবার দলের সমর্থন ছাড়াই নির্বাচিত হলেও মেয়র আইভি এবার নৌকা প্রতীক নিয়েই নির্বাচনী লড়াইয়ে আসার ঘোষণা দিয়েছেন। আর নিজে প্রার্থী না হলেও আইভিকে নৌকা পেতে দেবেন না বলে সাফ জানিয়ে দিছেন সাংসদ শামীম ওসমান। তবে আওয়ামী লীগ থেকে ক্লিন ইমেজের প্রার্থীও সন্ধান করা হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেনের নামই সবচেয়ে বেশী শোনা যাচ্ছে। অন্যদিকে, বিএনপি সমর্থন কে পায় এ নিয়ে দলের মধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে। দলের মধ্যে গুঞ্জন চলছে তৈমুর আলম খন্দকার ও সাবেক সাংসদ আবুল কালামকে নিয়ে। আলোচনা উঠে এসেছে বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় আইনজীবী নেতা এড. শাখাওয়াত হোসেনও। তবে বিএনপির প্রার্থী কে হচ্ছে এ জন্য বিএনপির চেয়ারপারর্সন বেগম খালেদা জিয়ার সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে বিএনপির নেতাকর্মীকে। তবে আওয়ামী লীগের বিরোধকে পুঁজি করে বিএনপির এর সুফল ঘরে নিতে তৎপর রয়েছে। বিএনপি বিগত দিনের ভুল করতে চাচ্ছে না। নাসিক নির্বাচনে মেয়র প্রার্থীদেও পাশপাশি কাউন্সিলর প্রার্থীরা মাঠে সক্রিয় রয়েছে। নাসিকের বিভিন্ন ওয়ার্ডে নির্বাচনী প্রচারনা চালাচ্ছে কাউন্সিলর প্রার্থীরা। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমর্থন পেতে অনেক কাউন্সিলর প্রার্থী লবিং চালিয়ে যাচ্ছে বলেও বিভিন্ন সূত্রে জানাগেছে।