বক্তাবলীর কানাইনগর এলাকার ব্যবসায়ী সেলিম চৌধুরীর খুনিদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন করা হয়েছে। শনিবার (১৩ এপ্রিল) সকালে নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে নিহতের পরিবার ও বক্তাবলীর বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন এ মানববন্ধনের আয়োজন করে।
মানববন্ধনে নিহত ব্যবসায়ীর স্ত্রী রেহেনা আক্তার রেখা বলেন,ব্যবসায়ী সেলিম চৌধুরীকে যারা নির্মমভাবে হত্যা করেছে সেই খুনিরা যাতে কিছুতেই পার না পায়। সেলিমের খুনিরা যদি কোনোভাবে পার পেয়ে যায় তাহলে আমার একমাত্র ছেলে সন্তানকে নিয়ে নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়া শহীদ মিনারে আত্মহত্যা করব। আমার স্বামীর হত্যাকারী মোহাম্মদ আলীসহ তার সহযোগিদের ফাঁসি চাই।
তিনি আরও বলেন,আমার স্বামী একজন সহজ সরল ব্যক্তি ছিলেন। কারও সঙ্গে উচ্চস্বরে কথা বলেননি। এমনকি কারও সঙ্গে ঝগড়া করেননি। আমার স্বামী মোহাম্মদ আলীকে দুই লাখ টাকা ধার দিয়ে কী অপরাধ করেছিল? যার কারণে সেই টাকা আত্মসাৎ করতে মোহাম্মদ আলী তার সহযোগিদের নিয়ে নির্মমভাবে তাকে হত্যা করলো। আমি চাই খুনি মোহাম্মদ আলী গংরা যাতে কিছুতেই বের হতে না পারে সেজন্য নারায়ণগঞ্জের প্রশাসনের প্রতি আমার বিশেষ অনুরোধ থাকবে।
মানববন্ধনে একাত্মতা প্রকাশ করেন বক্তাবলীর সামাজিক সংগঠন আলোকিত বক্তাবলী,বক্তাবলী ওয়েল ফেয়ার ট্রাস্ট,এবি ফ্রেন্ড অ্যাসোসিয়েশন ও অগ্রযাত্রার নেতৃবৃন্দ।
এসময় মানববন্ধন উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক জামাল উদ্দিন বারী,নারায়ণগঞ্জ কলেজের সাবেক ভিপি আলমগীর হোসেন,স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা খোরশেদ মাস্টার,বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য রাসেল চৌধুরী,আলোকিত বক্তাবলীর সভাপতি নাজির হোসেন,
বক্তাবলী ওয়েল ফেয়ার ট্রাস্টের সভাপতি আলামিন ইকবাল,সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান ফকির, আলোকিত বক্তাবলীর সাধারণ সম্পাদক মো.আবুল কালাম আজাদ,সাংগঠনিক সম্পাদক বাদল হোসেন ববি ও নিহত সেলিম চৌধুরীর মা মমতাজ বেগম, ছেলে রিতুল চৌধুরী প্রমুখ।










এতে উল্লেখ করা হয়, জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশিদের নির্দেশে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিবি) সুবাস চন্দ্র সাহার নেতৃত্বে জেলা গোয়েন্দা শাখা ও ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে মেরি অ্যান্ডারসন থেকে মাদক বিক্রেতা, মাদকসেবী ও মাদক ক্রেতাসহ ৭০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৮১ কার্টন বিদেশি বিয়ার ও ৪ কার্টন বিদেশি মদ উদ্ধার করা হয়।