নিজস্ব সংবাদদাতা : ফতুল্লা থানাধীন বক্তাবলী এলাকার আকবর নগর গ্রামে প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে সামেদ আলী বাহিনীর সাথে রহিম হাজীর বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় ফতুল্লা মডেল থানায় সামেদ আলীর বাহিনীর বিরুদ্ধে মামলা রুজু হলো ২ টি । আর অপর দিকে, সামেদ আলীর পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ করেছে স্ত্রী রহিম হাজী বাহিনীর বিরুদ্ধে। এই দুই পরিবারের মারামারি ও বিবাদের নেপথ্যে রয়েছে ঢাকা জেলা দক্ষিন কেরানীগঞ্জ থানাধীন জাজিরার ভূমিদস্যু আবুল কাশেম ওরফে নেতা কাশেম এমনটাই বলছে আকবর নগর ও জাজিরার জন সাধারন।
মামলা সূত্রে জানাযায়, ঢাকা জেলার দক্ষিন কেরানীগঞ্জ পূর্ব জাজিরা এলাকার ফাতেমার স্বামী জয়নাল আবেদীন মন্ডল । সে মাটি কাটার কন্টেক্টরী করে আসছে। তার কাছে ফতুল্লা থানাধীন বক্তাবলী আকবর নগর এলাকার প্রভাবশালী ভূমিদস্যু সমেদ আলী ও তার পরিবার ১০ লক্ষ টাকা চাঁদাদাবী করে আসছে। দাবীকৃত চাঁদা না পেয়ে গত ৯ আগষ্ট সন্ধ্যায় জয়নাল ও তার লোকজন নিয়ে রহিম হাজী ইট খোলায় টলার যোগে যায়। এসময় সমেদ আলী ও তার ছেলে রাজিব(২৬), সজীব (২২), গনি (৩৬০ সহ ২০/২৫জন মিলে জয়নালসহ তার লোকজনকে মারপিট করে। এসময় এরাও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া দেয়। একপর্যায় সামেদ আলীর লোকজন জয়নালের কপালে টেটা বিদ্ধ করে । এরপর সে অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীনে নিয়ে সে আহত গত ১০ আগষ্ট ভোর সাড়ে ৪টায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত্যু বলে ঘোষনা দেয়। এপর মরহুম জয়নাল আবেদীন মন্ডলের স্ত্রী বাদী হয়ে গত ১১ আগষ্ট ফতুল্লা মডেল থানায় সামেদ আলীসহ তার বাহিনীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। মামলা নং- ৪৯(৮)১৮।
অপর মামলাটি করেছে সেলিনা বেগম বাদী হয়ে। তার মামলা বিবরনীতে জানাযায়, ফতুল্লার বক্তাবলী আকবর নগর এলাকার আবুল হোসেন (৫৫)। তার স্ত্রী সেলিনা বেগম (৪৫)। তিনি জানান, তার গ্রামের সমেদ আলী ও রহিম হাজীর পরিবারের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। পূর্ব শত্রতার বিরোধের জের ধরে গত ৯ আগষ্ট বিকেল সাড়ে টায় তারা উভয়ইর সন্তান ও ভাই ভাতিজা নিয়ে কথা কাটিকাটি ও মারা মারি হয়। বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ফুলু মাদবরের বাড়িতে টুকে সামেদ আলীর ছেলে রাজিব ও তার সাঙ্গ পাঙ্গরা মিলে মাদবরের ছেলে নবীসহ ৭/৮ জনকে তারা টেটা বিদ্ধ করে। একপর্যায় রাত সাড়ে আটটায় আবুল হোসেনের স্ত্রী তার ছোট ছেলে শামীম কে ঘুম পড়িয়ে সে নামাজে দাড়ায়। এমন সময় সে দেখতে পায় তার বাঁশের মুলি বেড়াতে আগুন জ্বলছে। এরপর সে চিৎকার দিয়ে তার ছোট ছেলেকে নিয়ে ঘর থেকে বের হয়। এসময় ঘরে থাকা টাকা স্বর্ণালংকারসহ আসবাবপত্র পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এই ঘটনাও ফতুল্লা মডেল থানায় ফাতেমা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছে।
এলাকাবাসীর দাবী সামেদ আলী ও রহিম হাজীর সাথে বিরোধের নেপথ্যে রয়েছে কেরানীগঞ্জ জাজিরার আবুল কাশেম তিনিই নাটের গুরু। এই গুরুই বিরোধ সৃষ্টি করে দুই পক্ষকেই লাগিয়ে রেখে সে তার নিজের স্বার্থ সিদ্ধি হাসিল করে আসছে বলে এমনটাই জানিয়েছে আকবর নগর ও জাজিরার বাসিন্দারা । আকবর নগরবাসীর দাবী এই মোষ্ট ভিলেন আবুল কাশেমকেও আইনী আওতায় আনা হোক।


লাইনের দাঁড়িয়ে স্মার্ট কার্ড নিতে আসা বেশ ক’জন ভোটারের সঙ্গে আলাপকালে জানান, কার্ড নিচ্ছি এটা আমার প্রয়োজনে। তাই দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে কোন বিরক্ত লাগছে না। কেউ কেউ দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে স্মার্ট কার্ড হাতে পেয়ে স্বস্তির হাসিও হাসতে দেখা গেছে। অনেকে আবার স্মার্ট কার্ড হাতে পেয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজের অভিব্যাক্তি ব্যক্ত করেছে। কেউ কেউ হাতে স্মার্ট কার্ড নিয়ে ফটোসেশন এবং সেলফী তুলে এই সময়কে স্মৃতিরে এ্যালবামে বন্ধি রেখেছে।



বক্তারা আরো বলেন, নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনে দায়িত্ব পালনের সময় যে সমস্ত সন্ত্রাসী সাংবাদিকদের উপর হামলা চালিয়েছে তাদের গ্রেফতার করা না হলে এই আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। এসময় সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ বলেন, সন্ত্রাসীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা না হলে আগামীতে বৃহত্তর কর্মসূচির মাধ্যমে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারে বাধ্য করা হবে।
ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের সভাপতি এম সামাদ মতিনের সভাপতিত্বে এবং সাধারন সম্পাদক আবদুর রহিমের সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন, সাবেক সভাপতি সৈয়দ ওবায়েদ উল্লাহ্, সহ-সভাপতি এড.মশিউর রহমান শাহিন, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আলিম লিটন, প্রচার সম্পাদক জিএ রাজু, অর্থ সম্পাদক শাকিল আহমেদ ডিয়েল, সাংস্কৃতিক সম্পাদক নিয়াজ মোঃ মাসুম,সাবেক সহ-সভাপতি রুহুল আমীন প্রধান, কার্যকরী সদস্য মনির হোসেন, মাসুদ আলী,এ আর মিলন, আবুল কালাম আজাদ, ফতুল্লা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি নুরুল ইসলাম নুরু, বন্দর থানা প্রেস ক্লাবের সভাপতি সাব্বির আহমেদ সেন্টু, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের সহ-সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন, ফতুল্লা থানা প্রেস ক্লাবের আহবায়ক আবুল কালাম আজাদ,সদস্য সচিব শেখ মোঃ সেলিম, ফতুল্লা রিপোর্টার্স ক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক এ আর কুতুবে আলম, অর্থ সম্পাদক নজরুল ইসলাম সুজন, বিজয় টিভির ফতুল্লা প্রতিনিধি বদিউজ্জামান, মাইটিভির ফতুল্লা প্রতিনিধি শাহাব উদ্দিন,রাসেল আহমেদ,জনি,হারুন অর রশিদ সাগর, মোঃ মুন্না প্রমুখ। প্রতিবাদ সভা শেষে সাংবাদিকরা একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে সড়ক প্রদক্ষিন করে ফতুল্লা মডেল থানার সামনে গিয়ে শেষ হয়।


