৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২১শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 3

চাঁ’দাবাজি ও শ্লী’লতাহানির অভিযোগে যুবদল নেতা বহিষ্কার

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার কায়েতপাড়া ইউনিয়ন যুবদলের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি শফিকুল ইসলামকে দল থেকে ব’হিষ্কার করা হয়েছে।

রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) রূপগঞ্জ উপজেলা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মো. আমিনুল ইসলাম প্রিন্স স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শৃ’ঙ্খলাভ’ঙ্গের অভিযোগে শফিকুল ইসলামকে দলীয় প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব পদ থেকে ব’হিষ্কার করা হয়েছে। পাশাপাশি দলের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের তার সঙ্গে কোনো যোগাযোগ না রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে চাঁ’দাবাজি ও না’রীর শ্লী’লতাহানির অভিযোগ উঠেছে। এ কারণেই তাকে ব’হিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নেয় উপজেলা যুবদল।

আলীরটেকের বায়োজিত ফজরের নামাজ পড়তে গিয়ে আর বাসায় ফিরেনি

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট: নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার আলীরটেক ইউনিয়নের কুড়েরপাড় গ্রামের এক কিশোর ফজরের নামাজে গিয়ে আর বাসায় ফেরেনি বলে পরিবার জানিয়েছে। নিখোঁজ কিশোরের নাম মো. বায়েজিদ। তিনি মো. আল আমীনের ছেলে।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, ৭ সেপ্টেম্বর (রবিবার) ফজরের নামাজ আদায় করতে বের হয় বায়েজিদ। কিন্তু নামাজ শেষে তিনি আর বাসায় ফেরেননি। এরপর থেকে তার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।

ছেলেটিকে খুঁজে না পেয়ে স্বজনরা বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও কোনো সন্ধান পাননি। ফলে পরিবারের পক্ষ থেকে সাধারণ মানুষের সহায়তা চাওয়া হয়েছে।

কোনো হৃদয়বান ব্যক্তি যদি বায়োজিদকে দেখে থাকেন বা কোনো তথ্য জানেন, তবে নিচের নম্বরে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

(যোগাযোগ: 01336639212)

বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদের শুভেচ্ছা

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট :, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রশিদ দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মী, শুভানুধ্যায়ী এবং সমগ্র দেশবাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।

গণমাধ্যমে পাঠানো এক শুভেচ্ছা বার্তায় মো. আব্দুর রশিদ বলেন, “বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এই শুভক্ষণে আমি দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মী, শুভানুধ্যায়ী এবং দেশবাসীকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।”

তিনি গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা, মহান স্বাধীনতার ঘোষক, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা, বিশ্ববরেণ্য রাষ্ট্রনায়ক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীর উত্তমকে। আব্দুর রশিদ বলেন, ১৯৭৮ সালের এই দিনে দেশের এক চরম ক্রান্তিকালে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।

বার্তায় মো. আব্দুর রশিদ আরও উল্লেখ করেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র রক্ষায় বরাবরই অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। তিনি দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন যে, ভবিষ্যতেও দেশের মানুষের অধিকার আদায়ে ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে বিএনপি তার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে।

দলের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থেকে দেশ ও জনগণের জন্য কাজ করে যাওয়ার আহ্বান জানান তিনি। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপির পক্ষ থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে বলেও হাজ্বী মোঃ আব্দুর রশিদ তার বার্তায় উল্লেখ করেন। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল এবং অন্যান্য গণসংযোগমূলক কার্যক্রম।

এই বার্তায় তিনি দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা করেন এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। মো. আব্দুর রশিদ আশা প্রকাশ করেন যে, বিএনপির নেতৃত্বে দেশে আবারও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে এবং মানুষের অধিকার সুরক্ষিত হবে।

 

বিএনপি’র ৪৭তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে না:গঞ্জ-৪ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী মোহাম্মদ শাহ আলমের শুভেচ্ছা

নিউজ প্রতিদিন ডটনের: বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জসহ সারা দেশের সকল বিএনপি নেতাকর্মীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মোহাম্মদ শাহ আলম।

গণমাধ্যমে পাঠানো এক শুভেচ্ছা বার্তায় মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, “বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের দর্শন বুকে ধারণ করে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তম বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। দীর্ঘ ৪৭ বছরে বিএনপি দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, মানুষের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা এবং জনগণের মৌলিক অধিকার রক্ষায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। স্বৈরাচারী শাসন থেকে দেশকে মুক্ত করতে এবং জনগণের রায়কে সম্মান জানাতে বিএনপি সবসময় আপোষহীন সংগ্রাম করে গেছে।”

তিনি আরও বলেন, “গত সতেরো বছর ফ্যাসিবাদী সরকার দেশের গণতন্ত্র অবরুদ্ধ, মানুষের কথা বলার অধিকার কেড়ে নিয়েছিল এবং ভোটাধিকার হরণ করেছিল, তখন বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আমাদের নতুন করে উজ্জীবিত করে। দেশের এই ক্রান্তিকালে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে আবারও গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার সংগ্রামে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।”

মোহাম্মদ শাহ আলম দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেন, ” বিএনপির সকল কর্মসূচিতে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছে এবং ভবিষ্যতেও করবে। আমরা বিশ্বাস করি, জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে বিএনপি আবারও রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসবে এবং দেশের মানুষের মুখে হাসি ফোটাবে। প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর এই দিনে আমি মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থ জীবন ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি।”

তিনি নারায়ণগঞ্জসহ দেশের সকল নেতাকর্মীকে ঐক্যবদ্ধ থেকে দলের সুদিন ফিরিয়ে আনতে কাজ করার আহ্বান জানান এবং ৪৭তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর এই দিনে সবাইকে দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করার শপথ নেওয়ার অনুরোধ করেন।

 

খেজুর গাছের কাশেমীকে লাল কার্ড দেখালো আলীরটেকবাসী

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : বেশ ঘটা করেই নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার আলীরটেক গিয়েছিলেন খেজুর গাছের প্রার্থী মুফতি মনির হোসাইন কাশেমী। সেখানে এক সভাতে তিনি হাজির হলেও অধিকাংশ চেয়ার ছিল ফাঁকা। সামনের সারিতে এলাকার কয়েকজন থাকলেও বাকিগুলোর আসনে বসা ছিল স্থানীয় একটি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা। শ্রোতার চেয়ে অতিথির সংখ্যাই ছিল বেশী।

২২ আগস্ট আলীরটেকে ওই আয়োজন ছিল। উদ্দেশ্য আসছে সংসদ নির্বাচন। এ আলীরটেক আগে ছিল নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে। কিন্তু আসন পুনর্বিন্যাসের যে প্রস্তাবনা সেখানে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে আলীরটেককে সংযুক্ত করা হয়েছে। এ কারণেই এ এলাকাতে ঢু মেরেছেন কাশেমী।

জানা গেছে, কাশেমীর এ সভাকে কেন্দ্র করে গত কয়েকদিন ধরেই ব্যাপক প্রচারণা করে আসছিল। কিন্তু শেষতক মানুষ সেখানে সাড়া দেয়নি। যারা আয়োজক সেই হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা বিগত দিনে এখানে বর্তমান চেয়ারম্যান জাকির হোসেনের নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেছিল। সে কারণেই এবার সেখানকার জনগণ কাশেমীর সভাকে গুরুত্ব দেয়নি।

প্রসঙ্গত নারায়ণগঞ্জে বিগত দিনে ওসমান পরিবারের পক্ষে কাজ করা ও নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করা প্রার্থীদের পক্ষে থেকে রীতিমত ‘ওসমানীয় হেফাজত’ রূপান্তর হয় ইসলামী সংগঠনটি। বিভিন্ন ইস্যুতে তৎকালীন মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীর বিরুদ্ধে সভা সমাবেশ ও হাত পা ভেঙে শীতলক্ষ্যায় ভাসিয়ে দেওয়ারও হুমকি এসেছিল। সরকারী জায়গা দখল করে নির্মিত নম পার্কের রাহবার নিজামের ডেরায় বসে দিনরাত কূটকৌশল করে শামীম ওসমানের ‘ছোট ভাই’ উপাধি পাওয়া নেতারা এখন মিশে যাচ্ছে বিএনপির সমর্থকদের সঙ্গে।

২০১৩ সালে হেফাজতের আন্দোলনে কঠোর ভূমিকা রেখে নারায়ণগঞ্জে বেশ আলোচিত একজন হয়ে ওঠেন মাওলানা ফেরদাউসুর রহমান। ধীরে ধীরে সংগঠনের আদর্শ উদ্দেশ্য ভুলে গিয়ে নারায়ণগঞ্জের তৎকালীন প্রভাবশালী এমপি বর্তমানে পলাতক শামীম ওসমানের পারপাস সার্ভ করতে কাজ করে যান তিনি। শামীম ওসমানের হয়ে তার প্রতিপক্ষ নাসিকের সাবেক মেয়র সেলিনা হায়াত আইভীকে ঠেকাতে কাজ করেন তিনি।

পর্দার আড়ালে শামীম ওসমানের হুকুম তামিল করতে ঝাপিয়ে পড়েন মাওলানা ফেরদাউসুর রহমান। ধীরে ধীরে সেইসব পর্দার অন্তরালের বিষগুলো শামীম ওসমানের সঙ্গে অন্তরঙ্গ মুহূর্তে প্রকাশ্য হয়ে ওঠে। শামীম ওসমান প্রকাশ্যেই নিজেই ঘোষণা করেন মাওলানা ফেরদাউসুর রহমান তার ছোট ভাই। সেই ফেরদাউসুর রহমান আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীকের ব্যানার নিয়ে হেফাজত ইসলামের নেতাকর্মীদের নিয়ে শোডাউন করতেও দ্বিধাবোধ করেননি।

২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে ঐক্যফ্রন্টের ব্যানারে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে বিএনপি। ওই নির্বাচনে শামীম ওসমানের জয় সহজ করে দিতে জমিয়তে ওলামায়ে ইসলামের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মনির হোসাইন কাসেমীর মনোনয়ন বাগিয়ে অনতে কাজ করেন ফেরদাউসুর রহমান। নির্বাচনে যেনো কোনোভাবেই বিএনপির গিয়াসউদ্দীন কিংবা শাহআলম ধানের শীষ প্রতীকে মনোনয়ন না পান।

শামীম ওসমানের দাবি বাস্তবায়নে এতটাই উদগ্রীব ছিল যে, কেন্দ্রীয় জমিয়তে ওলামায়ে ইসলাম সারাদেশের সব আসন ছাড় দিলেও নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনটি ছাড়তে নারাজ থাকে। ফলশ্রুতিতে মনির হোসাইন কাসেমীকেই ধানের শীষ প্রতীকে মনোনিত করা হয় এবং ফেরদাউসুর রহমানের মিশন বাস্তবে রূপ নেয়।

একই পন্থীয় ভূমিকা রাখেন সদর উপজেলার আলীরটেক ইউনিয়ন পরিষদের গত নির্বাচনে। নির্বাচনে প্রথমে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন পান সাবেক চেয়ারম্যান মতিউর রহমান। কিন্তু জাকির হোসেনও নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে আগ্রহী ছিলেন। এতে শামীম ওসমান ও সেলিম ওসমানের সঙ্গে মধ্যস্ত করেন ফেরদাউসুর রহমান। মাঝখানে কাজে লাগান অস্ত্রধারী ক্যাডার শাহ নিজামকে। এ নিজামের পরিচালনাধীন নম পার্কে নিয়মিত আড্ডা বসাতেন তিনি। ছিলেন বুলবুল নামের একজন জমির দালাল। মতিউর রহমানকে চাপ প্রয়োগ করে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানো হয়। মতি তখন নিজকে অসুস্থ দাবি করে নির্বাচন থেকে সরে যান। দ্বিতীয় দফায় কৌশলে জাকির হোসেনের জন্য নৌকা প্রতীকে এনে দেন শামীম ওসমান। জাকির হোসেনের ওই নির্বাচনে মাওলানা ফেরদাউসুর রহমানকে সঙ্গে নিয়ে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন জমা দেন জাকির হোসেন। নির্বাচনে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীদের নিয়ে জাকির হোসেনের নৌকার পক্ষে শোডাউন করেন এবং নির্বাচনী কাজ করেন।

 

কাশিপুরে শাহ আলমের উদ্যোগে খালেদা জিয়ার জন্মদিন উপলক্ষে ফ্রী মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি মনোনয়ন প্রত্যাশী ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মোহাম্মদ শাহ আলমের উদ্যোগে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ৮০ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে দিনব্যাপী ফ্রী মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (২৩ আগষ্ট) কাশিপুর হাটখোলা সমাজ উন্নয়ন সংসদে সকাল থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত ফ্রী মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়।

ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প উদ্বোধন করেন, জান্ নাহ্ ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধি মো. নূরে আলম লিটু ও মো. আরাফাত আলম জিতু।

এসময় উপস্থিত ছিলেন কাশিপুর সমাজ উন্নয়ন সংসদের সদস্যবৃন্দ ও ফতুল্লা থানা বিএনপির নেতৃবৃন্দ।

আফিয়া জালাল ফাউন্ডেশন এবং জাননাহ ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের যৌথ ব্যবস্থাপনায় ফ্রী মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়।

নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের নির্বাচনী এলাকার প্রতিটি ইউনিয়নে ফ্রী মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হবে। বিভিন্ন রোগে অভিজ্ঞ এমবিবিএস চিকিৎসকগণ অসহায়, গরীব ও দুঃস্থদের মাঝে চিকিৎসা সেবা প্রদান করেন। এ সময় চিকিৎসা সুবিধা প্রাপ্তরা মোহাম্মদ শাহ আলমের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

 

খালেদা জিয়ার জন্মদিন উপলক্ষে শাহ আলমের উদ্যোগে কাশীপুর হাটখোলা মাঠে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মোহাম্মদ শাহ আলম রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি সামাজিক কল্যাণমূলক কর্মকাণ্ডেও সক্রিয় ভূমিকা রেখে চলেছেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে আসছেন। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জন্মদিন উপলক্ষে এবারও তার উদ্যোগে একটি ভিন্নধর্মী আয়োজন করা হচ্ছে। আগামী শনিবার (২৩ আগস্ট ২০২৫) ফতুল্লার কাশিপুর হাটখোলা মাঠে আয়োজন করা হবে একটি ফ্রি মোবাইল মেডিকেল ক্যাম্প।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত হাটখোলা সমাজ উন্নয়ন সংসদ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত এ ক্যাম্পে সাধারণ মানুষ বিনামূল্যে ডাক্তার কনসালটেশন ও রিপোর্ট দেখানোর সুযোগ পাবেন। পাশাপাশি সকল ডায়াগনস্টিক টেস্টে থাকছে ৫০ শতাংশ বিশেষ ছাড়। এতে এলাকার বিপুল সংখ্যক মানুষ উপকৃত হবেন বলে আশা করা হচ্ছে। আয়োজক সূত্র জানিয়েছে, স্থানীয় চিকিৎসক ছাড়াও ঢাকার বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররা এ কার্যক্রমে অংশ নেবেন।

এই আয়োজনের মূল ব্যবস্থাপনা করছে জান্নাহ ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন (JWF) এবং আফিয়া জলাল ফাউন্ডেশন (AJF)। দুটি প্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন ধরে সামাজিক ও মানবিক কাজে জড়িত। তবে পুরো আয়োজনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন শাহ আলম নিজেই। তিনি পুরো কার্যক্রম তদারকি করছেন এবং জনগণের জন্য এই সেবা যেন নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হয় তা নিশ্চিত করতে ব্যক্তিগতভাবে উদ্যোগ নিয়েছেন।

এ প্রসঙ্গে মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, “রাজনীতি মানে শুধু ক্ষমতার লড়াই নয়, জনগণের কল্যাণে কাজ করাই আসল দায়িত্ব। আমি চাই সহজ ও সুলভভাবে স্বাস্থ্যসেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে। ইনশা’আল্লাহ এই আয়োজন থেকে অসংখ্য মানুষ উপকৃত হবেন।”

তিনি আরও বলেন, “আল্লাহর দরবারে দোয়া করি, তিনি যেন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘ জীবন দান করেন এবং আমাদের এই প্রচেষ্টা মানুষের উপকারে আসে।”

মোহাম্মদ শাহ আলম দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতির পাশাপাশি সামাজিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গেও যুক্ত। বিশেষ করে এলাকার গরিব, অসহায় ও নিম্নবিত্ত মানুষের চিকিৎসা ও সামাজিক সমস্যা সমাধানে তিনি নিজেকে নিবেদিত রেখেছেন। বিভিন্ন সময় এলাকায় খাদ্য বিতরণ, শীতবস্ত্র বিতরণ, শিক্ষা সহায়তা এবং চিকিৎসা সহায়তার মাধ্যমে তিনি স্থানীয় জনগণের আস্থার জায়গা তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন।

স্থানীয়দের মতে, মোহাম্মদ শাহ আলমের এই উদ্যোগ গুলো রাজনৈতিক প্রচারণার বাইরে গিয়ে প্রকৃত পক্ষে মানবিক দায়িত্ববোধ থেকে করা। এ ধরণের কর্মকাণ্ডের কারণে এলাকার সাধারণ মানুষ তাকে একজন নিবেদিত প্রাণ নেতা হিসেবে দেখছেন। কাশিপুর এলাকার জনগণ বলেন, “শাহ আলম ভাই সবসময় মানুষের পাশে থাকেন। তিনি শুধু নির্বাচনের সময় নয়, সব সময় এলাকায় আসেন এবং মানুষের খোঁজ খবর নেন। এই মেডিকেল ক্যাম্প আমাদের জন্য আশীর্বাদ স্বরূপ।”

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, শাহ আলমের এই ধরনের মানবিক উদ্যোগ কেবল সামাজিক দায়িত্ব পালন নয়, বরং তার জনপ্রিয়তা বৃদ্ধিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। জনগণের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত হয়ে কাজ করার কারণে তিনি সাধারণ মানুষের আস্থার প্রতীক হয়ে উঠেছেন। বিশেষ করে স্বাস্থ্যসেবার মতো মৌলিক বিষয়ে এই ধরনের আয়োজন মানুষের দোরগোড়ায় চিকিৎসা পৌঁছে দেবে এবং রাজনৈতিক প্রার্থী হিসেবে তার গ্রহণযোগ্যতাও বাড়াবে।

এদিকে স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরাও এই আয়োজনকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন। তাদের মতে, সামাজিক কার্যক্রমের মাধ্যমে জনগণের আস্থা অর্জন সম্ভব হয় এবং এভাবেই প্রকৃত জনপ্রতিনিধি তৈরি হয়। তারা বিশ্বাস করেন, শাহ আলমের এই পদক্ষেপ দল ও জনগণ উভয়ের জন্যই কল্যাণকর হবে।

রাজনীতির অঙ্গনে প্রতিযোগিতার জায়গা থাকলেও জনকল্যাণমূলক কর্মকাণ্ড সবসময় সাধারণ মানুষের কাছে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। বিশেষ করে দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে সুলভ ও সহজ স্বাস্থ্যসেবা মানুষের অন্যতম প্রধান চাহিদা। শাহ আলমের এই উদ্যোগ নিঃসন্দেহে জনগণের কষ্ট লাঘবে ভূমিকা রাখবে।

সব মিলিয়ে বলা যায়, ফতুল্লার কাশিপুর হাটখোলা মাঠে আয়োজিত এই ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প কেবল একটি চিকিৎসা কার্যক্রম নয়, বরং এটি মানুষের আস্থা ও ভালোবাসা অর্জনের একটি অনন্য পদক্ষেপ। জনকল্যাণের এই উদ্যোগ মোহাম্মদ শাহ আলমকে শুধু একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবেই নয়, বরং একজন মানবিক নেতা হিসেবে জনগণের কাছে আরও বেশি গ্রহণযোগ্য করে তুলছে।

 

বক্তাবলী ইসলামিয়া সিনিয়র আলিম মডেল মাদ্রাসার সদস্য পদে সানাউল্লাহ নির্বাচিত

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার বক্তাবলী ইসলামিয়া সিনিয়র মডেল মাদ্রাসার সদস্য পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনে সানাউল্লাহ ৪৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। নির্বাচনে দুইজন প্রার্থী অংশগ্রহণ করেন।

নির্বাচন ঘিরে এলাকায় ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যায়। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ সহ সামাজিক ব্যক্তিরা নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেন। নির্বাচনে প্রিজাইডিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করেন নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সুরাইয়া আশরাফী।

এ সময় মাদ্রাসার নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেন, মাদ্রাসার এডহক কমিটির সভাপতি প্রফেসর মাহবুব আলম, মৎস্যজীবি দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাধারন সম্পাদক মো. মিলন মেহেদী, এডহক কমিটির অভিবাবক সদস্য মো. সাইফল ইসলাম খান, শিক্ষক প্রতিনিধি মুফতি মোখতার হোসাইন, নবনির্বাচিত অভিভাবক সদস্য মো. আলমগীর হোসেন, অভিভাবক সদস্য কবির মীর, অভিভাবক সদস্য মো. জামান, লক্ষীনগর মাদ্রাসা চতুর্থ তলা ভবনের জমিদাতা ও লক্ষীনগর পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আমির হোসেন খান, প্রতিষ্ঠাতা সদস্য মোহাম্মদ ইব্রাহিম খলিল, প্রতিষ্ঠাতা সদস্য মো. সুলতান আহমেদ ভূঁইয়া, প্রতিষ্ঠাতা সদস্য মোহাম্মদ সানাউল্লাহ, প্রতিষ্ঠাতা সদস্য মো. আলাউদ্দিন বারী, বক্তাবলী ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ জালাল হোসেন, বক্তাবলী ইউপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম বাবুল, বক্তাবলী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. নজরুল ইসলাম প্রধান, সাধারন সম্পাদক মো. মতিউর রহমান ফকির, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক মো. রাসেল প্রধান, মাদ্রাসার অধ্যক্ষ এস এম রফিকুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. হালিম আজাদ, সহকারী প্রফেসর সাইদুর রহমান বাচ্চু, সাবেক মেম্বার আব্দুল মতিন, বিএনপি ৬নং ওয়ার্ড বিএনপি সাধারন সম্পাদক মো. রাসেল, সহকারি শিক্ষক মোহাম্মদ শাহিন, সমাজসেবক মীর আলমগীর হোসেন প্রমুখ। নির্বাচনে প্রতিষ্ঠাতা সদস্য পদে মো. সানাউল্লাহ ও মুসলিম খান প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

মোট ভোটার ছিল ৮৪ জন। ভোট কাস্ট হয় ৬৪ টি, একটি ভোট বাতিল হয়। মো. সানাউল্লাহ ৪৭ টি ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মো. মুসলিম পান ১৬ ভোট। প্রিজাইডিং অফিসার উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সুরাইয়া আশরাফী ফলাফল ঘোষণা করেন।

 

মহান আল্লাহ চাইলে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে নির্বাচন করবো-একান্ত সাক্ষাৎকারে মোহাম্মাদ শাহ আলম

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপির) কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের পরিছন্ন রাজনীতিবিদ যাকে সর্বস্তরের জনগন পলিটিক্যাল বিউটি হিসেবে চিনে ও জানে তিনি বিশিষ্ট শিল্পপতি ও সমাজ সেবক আলহাজ্ব মোহাম্মাদ শাহ আলম।

নিউজ প্রতিদিনের একান্ত সাক্ষাৎকারে মোহাম্মাদ শাহ আলম বলেন, আমি জাতীয়তাবাদী আদর্শে বিশ্বাসী, শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শ, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার গতিশীল নেতৃত্ব আর তারুণ্যের প্রতীক তারেক রহমানের ডায়নামিক চিন্তা চেতনাকে ধারণ করে বিএনপির পতাকা হাতে নিয়ে জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের জলাবদ্ধতা নিরসন, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজ মুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠা করাই আমার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য।

জাতীয়তাবাদী আদর্শের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের সার্বিক সহযোগীতা আমার প্রয়োজন। সবার আন্তরিক সহযোগীতা পেলে আমার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌছানো সহজ হবে।

নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের জনগণ জানে কোনো সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, মাদক ব্যবসায়ী ও ভুমিদস্যুরা বিগত সময়ে আমার কাছে প্রশ্রয় পায়নি আগামীতেও পাবে না। আমি সমাজের ভালো মানুষদের নিয়ে ভাল কাজ করবো, আর এই ভালে কাজের জন্য মৃত্যুর পরেও মানুষ আমাকে মনে রাখবে।

নিউজ প্রতিদিনের সাথে একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি আরো বলেন, রাজনীতি হচ্ছে মানুষের সেবা করা, আর মানুষের সার্বিক সেবা করার জন্যই আমার রাজনীতি করা। মহান আল্লাহ আমাকে যথেষ্ট ভালো রেখছেন, সন্ত্রাসী চাঁদাবাজদের প্রশ্রয় দিয়ে অর্থ উপার্জন করতে হবে না। আমি সবাইকে একটা কথাই বলি, যারা মানুষের সেবা করতে চান তারা আমার কাছে আসবেন, যাদের অবৈধ উপায়ে অর্থ উপার্জন করার ইচ্ছা আছে তারা আমার সাথে রাজনীতি করতে আসবেন না।

এক প্রশ্নের উত্তরে মো. শাহ আলম বলেন, কেউ কেউ বলে আমি ১৬ বছর মাঠে ছিলাম না। যারা এসব কথা বলে তারা হয়তো আমার কাছে তাদের কাঙ্ক্ষিত সুযোগ সুবিধা পায়না। কারণ আমি আগেই বলেছি, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ ও জুট সন্ত্রাসীকে প্রশ্রয় দেই না। তাই একটা শ্রেণী বলে আমি ১৬ বছর মাঠে ছিলাম না।

২০০৮ সালের নির্বাচনে ঢাকা বিভাগে একমাত্র আমি বিএনপির প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলাম। কিন্তু তৎকালীন সরকার আমার বিজয় কিভাবে ছিনিয়ে নিয়েছে আপনারা তা জানেন। নির্বাচনের পর অনেকের ধারণা ছিল আমি রাজনীতি করবো না। তাদের সে ধারণা মিথ্যা প্রমাণ করে ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতির দায়িত্ব নিয়ে সকল নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত করেছিলাম। স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকার বিরোধী আন্দোলন সংগ্রামে ঐক্যবদ্ধ করে প্রমান করে ছিলাম শহরের কর্মসূচি ফতুল্লার মানুষ ছাড়া সফল হয়না। দলীয় কর্মসূচি গুলোতে আমার অংশ গ্রহণ ছিল।

স্বৈরাচার সরকারের আমলে আমার বিরুদ্ধে ২৬টি মামলা ছিল। সেই মামলা থাকা সত্বেও প্রতিটি নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে রাজনৈতিক মামলা গুলো থেকে মুক্তি ও জামিনের ব্যবস্থা নিজ উদ্যোগে করেছি।

শুধু তাই নয়, সব সময় তাদের পরিবারের খোঁজ খবর রেখেছি। আমাদের পারিবারিক আফিয়া জালাল ওয়েল ফেয়ার ফাউন্ডেশন ও আমার ব্যক্তিগত জান্নাহ ওয়েল ফেয়ার ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের প্রতিটি ইউনিয়নের মসজিদ, মাদরাসা, কবরস্থানের উন্নয়নে অর্থ সহায়তা অব্যাহত রয়েছে। রোহিঙ্গাদের জন্য আমার ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে তৎকালীন আর্থিক সহযোগিতা করেছি।এলাকার মানুষের উন্নত চিকিৎসার জন্য আধুনিক যন্ত্রপাতি সজ্জিত আফিয়া জালাল হাসপাতাল নির্মাণ করেছি।

জুলাই-আগস্টে দেশব্যাপী স্বৈরাচার বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় অনেক আন্দোলনকারী আহতদের আমি জান্নাহ ওয়েল ফেয়ার ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা ও আর্থিক সহযেগিতা করেছি।

নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের জনগণ ও প্রকৃত নেতা-কর্মীরা আরো ব্যাপক ভালো কাজের জন্য তারা এমপি হিসেবে আমাকে দেখতে চায়। তাদের অনুপ্রেরণা আর ভালবাসা আমার মুল শক্তি। স্বৈরাচার পতনের পর আমরা আশাবাদী আগামী নির্বাচন হবে জনগনের ভোটের নির্বাচন। এই নির্বাচনে জনগন তাদের মুল্যবান পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবে।

আগামী সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার নিয়ে জানতে চাইলে তিনি নিউজ প্রতিদিনকে বলেন, আমি দলের প্রতি অনুগত। দলীয় প্রধান দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, তারুন্যের প্রতীক তারেক রহমান ও কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে আমার সুসম্পর্ক রয়েছে। তাদের কাছ থেকে প্রাথমিক সংকেত পেয়েছি, তারা নির্বাচনের মাঠ গোছাতে বলেছেন। আমি সে লক্ষ্যে কাজ করছি, মহান আল্লাহ চাইলে ও দল যদি মনোনিত করে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে নির্বাচন করবো-ইনশা আল্লাহ।

 

 

না:গঞ্জের তিনটি আসন পূনর্বিন্যাসে নির্বাচন কমিশনকে সমর্থন জানিয়েছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট: নারায়ণগঞ্জের তিনটি আসনকে যেভাবে পূনর্বিন্যাস করা হয়েছে তাতে নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ ও নারায়ণগঞ্জের সচেতন মহলসহ সর্বস্থরের সাধারন মানুষ।

যে বিষয়কে সামনে রেখে তিনটি আসন পূর্বিন্যাস করা হয়েছে তা বাস্তবসম্মত বলেই মনে করেন অনেকে। এই সংসদীয় আসন গুলোতে দুটি বিষয়কে মাথায় রেখে ” আসন বিন্যাস করা হয়েছে।

সেই দুটি বিষয় হলো ১) জনসংখ্যা বা ভোটার সংখ্যা ২) প্রশাসনিক কাজের সুবিধা।

যেভাবে আসন বিন্যাস করা হয়েছে তা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হলে নারায়ণগঞ্জের সব আসনেই ভোটার সংখ্যা থাকবে চার লাখ থেকে পাঁচ লাখ। যেমন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন এলাকার ভোটার সংখ্যা হলো পাঁচ লাখ সতেরো হাজার। তাই শুধু সিটি করপোরেশন এলাকা নিয়ে করা হচ্ছে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসন।

বিপরিতে আগে নারায়ণগঞ্জ-৪ (ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনের যে এলাকা ছিলো সেখানে ভোটার সংখ্যা ছিলো সাড়ে সাত লাখ। তাই এই আসন থেকে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা এলাকা বাদ দিলে ভোটার সংখ্যা অনেক কমে আসবে। যদিও এই আসনের অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে আলীরটেক ও গোগনগর ইউনিয়ন। কিন্তু এই দুই ইউনিয়নে ভোটার সংখ্যা খুবই কম। এছাড়া সোনারগাঁ আসনে বর্তমানে ভোটার সংখ্যা তিন লাখ পয়তাল্লিশ হাজার।

এই আসনে বন্দর উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়ন যোগ হলে ভোটার বেড়ে হবে কম বেশি পাঁচ লাখ। তাই ভোটারদের মাঝে একটি সমতা আনার জন্যই এভাবে আসন পূনর্বিন্যাস করা হচ্ছে। এছাড়া সিটি করপোরেশন আর ইউনিয়ন পরিষদের উন্নয়ন বাজেট সম্পূর্ণ আলাদা হয়ে থাকে। তাই একই আসনে যদি সিটি করপোরেশন আর ইউনিয়ন পরিষদ থাকে তাহলে একজন এমপি ওই এলাকার উন্নয়নে সমন্বয় করতে পারেন না।

তাই এই তিনটি সংসদীয় আসন পূর্ণবিন্যাস হওয়ায় নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানিয়েছে নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও সাধারন জনগন।

সংসদীয় আসনের সীমানা পূর্ণবিন্যাস প্রসঙ্গে সাবেক সংসদ সদস্য মো. গিয়াসউদ্দিন বলেন, “নির্বাচন কমিশন কর্তৃক নারায়ণগঞ্জের তিনটি আসনের সীমানা পুন:নির্ধারণ করে যে খসড়া প্রকাশিত হয়েছে, আমি সেই পদক্ষেপকে স্বাগত জানাই।” আমার এই পদক্ষেপের বিষয়ে কোনো আপত্তি নেই।

সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ নিয়ে নির্বাচন কমিশনের কারিগরি কমিটির প্রস্তাবনার সমর্থন ও নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য মো. শাহ আলম।

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জনসংখ্যা বা ভোটার সংখ্যা, প্রশাসনিক কাজের সুবিধা, জনসাধারণ ও এলাকার সার্বিক উন্নয়নের কথা চিন্তা করে নারায়ণগঞ্জের ৩টি আসনসহ মোট ৩৯টি আসন পূর্ণবিন্যাস করা হয়েছে। এই পূর্ণবিন্যাসকে আমি স্বাগত জানাই। এলাকা বা আসন বিন্যাস কোন বিষয় না দল আমাকে মনোনয়ন দিলে আমি নির্বাচন করতে প্রস্তুত আছি।

এ বিষয়ে দলীয়ভাবে পর্যালোচনার আগে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান। তিনি বলেন, “আমার দল (বিএনপি) পর্যালোচনা করে আমাদের সাথে কথা বলবে, তারপর আমরা এ বিষয়ে মন্তব্য করব। এখন কিছু বলার নেই।”

জামায়াতে ইসলামীর নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার আমীর মাওলানা মঈনুদ্দিন আহমাদ বলেন, “আমরা এখনও চিন্তা-ভাবনা করিনি। আমাদের সামনের প্রোগ্রাম নিয়ে একটু ব্যস্ত সময় পার করছি।”

একই বক্তব্য দিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর নারায়ণগঞ্জ মহানগর শাখার আমীর মাওলানা আবদুল জব্বার।

জেলা হেফাজত ইসলামের সভাপতি ও জমিয়তে ওলামায়ে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মুফতি মনির হোসাইন কাশেমী বলেছেন, নারায়ণগঞ্জের ৩টি আসনে সীমানা পূণর্বিন্যাস নির্বাচন বর্তমান কমিশনের একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত। আমি তাদের এই সিদ্ধান্তের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। তাদের এই সিদ্ধান্তে নারায়ণগঞ্জের ৩ টি নির্বাচনী এলাকায় জনগনের অর্থাৎ ভোটার সমন্বয় হবে। জনপ্রতিনিধিরা জনগনকে সহজে তাদের সঠিক সেবা প্রদান করতে পারবে।

জেলা বিএনপির সদস্য আজহারুল ইসলাম মান্নান বলেন, নির্বাচন কমিশনার সোনারগাঁও উপজেলার সাথে অন্তর্ভুক্ত করনে আমাদের কোন সমস্যা নেই।

ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটু বলেন, আমাদের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা ছিল নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাথে আলীরটেক ও গোগনগর ইউনিয়ন একত্রিত করার।

নির্বাচন কমিশনার সীমানা পূণর্বিন্যাস এর মাধ্যমে আমাদের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরন হওয়ায় আমরা আনন্দিত। আমি আমার দলের পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনাকে অভিনন্দন জানাই।

এলাকা বন্টনের বিষয়টিকে ইতিবাচকভাবে দেখছেন ইসলামী আন্দোলনের নারায়ণগঞ্জ মহানগর শাখার সভাপতি মুফতি মাসুম বিল্লাহ। তিনি বলেন, “ভোটের জন্য মনে হয় ভালো হবে। তবে, বন্দর উপজেলা দু’টি ভাগ হয়ে যাবে এর মাধ্যমে।”